গাজায় খাদ্য চেয়ে কান্না, গুলি হয়ে উত্তর!

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৪ ১১:৫১:৪৬
গাজায় খাদ্য চেয়ে কান্না, গুলি হয়ে উত্তর!

সত্য নিউজ: অবরুদ্ধ গাজায় বসবাসকারী প্রায় ২১ লাখ ফিলিস্তিনি বর্তমানে দুর্ভিক্ষের গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা আইপিসি। ইসরায়েলের অব্যাহত অবরোধ এবং ত্রাণ প্রবেশে বাধার কারণে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে।

সোমবার প্রকাশিত আইপিসির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের অক্টোবরের পর থেকে গাজার খাদ্য পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। বর্তমানে গাজায় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ অনাহারের মুখে এবং দুই লাখ ৪৪ হাজার মানুষ চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি এখনো দুর্ভিক্ষ ঘোষণার পর্যায়ে না গেলেও দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে তা ঘটতে খুব বেশি সময় লাগবে না। ইতোমধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৭১ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বা ঝুঁকিতে রয়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ প্রস্তুত থাকলেও ইসরায়েলি বাধার কারণে তা প্রবেশ করতে পারছে না। এ অবস্থায় আইপিসি জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে। গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই এখন বেঁচে থাকার জন্য চরম পথে হাঁটছে ভিক্ষা, আবর্জনা কুড়িয়ে বিক্রি কিংবা নোংরা জিনিস খাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েল বলছে, হামাসের হাতে এখনও যেসব ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে, তাদের মুক্তি নিশ্চিত করতে চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবেই তারা ত্রাণ সীমিত রেখেছে। অন্যদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, গাজার মানুষকে অনাহারে রাখার এই নীতি যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে।

ইসরায়েলের চলমান অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গাজায় ক্রমবর্ধমান এই মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন। যদি শান্তি চুক্তি না হয়, তবে হামাসের বিরুদ্ধে আরও বড় সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ