যুক্তরাজ্যের হুঁশিয়ারি: গাজায় সংকট চললে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৯ ১৪:০২:২৭
যুক্তরাজ্যের হুঁশিয়ারি: গাজায় সংকট চললে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ

গাজায় চলমান মানবিক সংকট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনে গঠিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএফএইচ)’ কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে। “এই ফাউন্ডেশনকে আমরা সমর্থন করি না। এটি কার্যকরভাবে কাজ করছে না। বহু মানুষ এখনো অনাহারে, অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন,” বলেন ল্যামি।

বৈঠকে এক আইনপ্রণেতার প্রশ্নের উত্তরে ল্যামি বলেন, “গাজায় এই সহনীয়তার বাইরে যাওয়া পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে, হ্যাঁ, যুক্তরাজ্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে।”

সম্প্রতি যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও নরওয়ের সঙ্গে মিলে ইসরায়েলি কট্টরপন্থী দুই মন্ত্রী—ইতামার বেন-গভির ও বেজালেল স্মোটরিচ—এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে এবং গাজায় খাদ্য সংকট শুরু হলে অস্ত্র রপ্তানির ওপরও আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, এসব পদক্ষেপ এখনও প্রতীকী পর্যায়ে রয়েছে এবং তেল আবিবের ওপর যথেষ্ট চাপ তৈরি করতে পারছে না।

বৈঠকে ল্যামি আরও বলেন, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ ও দখলদারি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। তবে যুক্তরাজ্যের চাপের ফলে ইসরায়েলের নীতিতে কি কোনো পরিবর্তন এসেছে—এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “পরিবর্তন এখনো অপর্যাপ্ত।”

তবু যুক্তরাজ্যের অবস্থানকে ইউরোপ ও জি-৭ মিত্রদের তুলনায় অনেক বেশি বলিষ্ঠ বলে দাবি করেন তিনি।

ল্যামি জানান, যুক্তরাজ্য এখনই ফিলিস্তিনকে একতরফাভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায় না। “আমরা চাই এই স্বীকৃতি এমন এক সময়ে আসুক, যা বাস্তব সমাধানের পথ খুলে দেবে।”

তবে পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ার এমিলি থর্নবেরি পাল্টা যুক্তি তুলে ধরে বলেন, “যদি আমরা আরও অপেক্ষা করি, তবে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো বাস্তবতা আর অবশিষ্ট থাকবে না। এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়।”

প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং ইসরায়েলের অন্যতম বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। দেশটির রয়্যাল এয়ার ফোর্স গাজায় বন্দি ইসরায়েলিদের অবস্থান শনাক্তে নজরদারি অভিযানও চালিয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি পক্ষে আন্দোলনকারী সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নিষিদ্ধ করে এবং তাদের বহু সদস্যকে গ্রেপ্তার করায় দেশটির নীতিতে দ্বৈত অবস্থানের অভিযোগও উঠেছে।

/আশিক


ইহুদি উৎসবে হামলাকারী বাবা-ছেলের পরিচয় মিলল

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১৮:৩৮:২৫
ইহুদি উৎসবে হামলাকারী বাবা-ছেলের পরিচয় মিলল
ছবি : সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই সমুদ্রসৈকতে গত রোববার ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক গুলিবর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব চলাকালে বাবা ও ছেলের চালানো ওই হামলায় ১৫ জন নিহত হন।

তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হামলাকারীদের একজন সাজিদ আকরাম ভারতের হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৯৮ সালে তিনি জীবিকার সন্ধানে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান বলে নিশ্চিত করেছেন তেলঙ্গানার এক পুলিশ কর্মকর্তা।

অস্ট্রেলিয়ায় থিতু হওয়ার পর সাজিদ সেখানে এক ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত নারীকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে জন্ম নেওয়া সন্তান নাভিদ আকরাম জন্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। হামলার সময় সাজিদ ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করলেও তার ছেলে ব্যবহার করতেন অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী সাজিদ আকরাম ও তার ছেলে নাভিদ আকরাম হামলার ঠিক আগেই ফিলিপাইন সফরে গিয়েছিলেন। তারা কেন সেখানে গিয়েছিলেন এবং এর সঙ্গে হামলার কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে অস্ট্রেলিয়া ও ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ তথ্য বিনিময়ে সম্মত হয়েছে।

ভারতের পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, সাজিদের বিরুদ্ধে নিজ দেশে কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই। অভিবাসনের পর তিনি মাত্র ছয়বার বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখতে ভারতে এসেছিলেন। তবে তাদের উগ্রপন্থায় জড়ানোর সঙ্গে ভারত বা স্থানীয় কোনো বিষয়ের যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।

গোলাগুলির ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ দ্রুত অভিযানে নামে। ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে প্রধান অভিযুক্ত সাজিদ আকরাম নিহত হন এবং তার ছেলে নাভিদ আকরামকে জীবিত আটক করা হয়।


কূটনৈতিক উত্তেজনায় দিল্লিতে বাংলাদেশি হাইকমিশনার তলব

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১৪:০১:০২
কূটনৈতিক উত্তেজনায় দিল্লিতে বাংলাদেশি হাইকমিশনার তলব
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করছে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে বহনকারী গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাকে তলব করেছে। একই সঙ্গে ঢাকায় অবস্থানরত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ঘিরে সাম্প্রতিক হুমকি এবং বাংলাদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ভারতবিরোধী বক্তব্যের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত।

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রিয়াজ হামিদুল্লাকে ডেকে পাঠানো হয়। কূটনৈতিক সূত্রগুলোর মতে, এই বৈঠকে ভারত তার নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এর আগে চলতি সপ্তাহের সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পাল্টা এই কূটনৈতিক পদক্ষেপকে উভয় দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

দিল্লির এই পদক্ষেপের পেছনে সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা এবং শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতে ভূমিকা রাখা ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অন্যতম মুখ হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যকে কেন্দ্রীয় কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ঢাকায় আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে, বাংলাদেশ প্রয়োজনে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ভারতবিরোধী শক্তি’কে আশ্রয় দিতে পারে এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহকে, যা ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত, দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ করার সক্ষমতাও রাখে। এই বক্তব্য নয়াদিল্লিতে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে বলে জানা গেছে।

এর পাশাপাশি, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ঢাকায় এক বিক্ষোভ চলাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহের ঘটনাও কূটনৈতিক অস্বস্তি বাড়িয়েছে। ভারত এটিকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ হিসেবে দেখছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

-


আমিরাতে ব্যাংকিংয়ে আর লাগবে না ‘ওটিপি’

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১১:৫৮:৫৭
আমিরাতে ব্যাংকিংয়ে আর লাগবে না ‘ওটিপি’
ছবি : সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাংকগুলো তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে। এখন থেকে লেনদেনের জন্য এসএমএস বা ই-মেইলে পাঠানো ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপির ওপর আর ভরসা করছে না তারা। এর বদলে ব্যাংকিং অ্যাপের ভেতর থেকেই লেনদেন অনুমোদনের নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ফিশিং, সিম-সোয়াপ জালিয়াতি এবং ওটিপি চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এসএমএসভিত্তিক যাচাইকরণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছিল। এসব নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতেই ব্যাংকগুলো নতুন এই প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে।

নতুন পদ্ধতিতে গ্রাহকদের কার্ড পেমেন্ট সরাসরি ব্যাংকিং অ্যাপের ভেতরেই অনুমোদন দিতে হবে। মোবাইলে একটি পুশ নোটিফিকেশন আসবে এবং সেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস আইডি বা স্মার্ট পাস পিন ব্যবহার করে লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। এতে বাইরের কোনো মেসেজের ওপর নির্ভর করতে হয় না, ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি ব্যাংকের নিরাপদ সিস্টেমের মধ্যেই থাকে।

খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমিরেটস এনবিডি ইতিমধ্যে এই অ্যাপভিত্তিক যাচাইকরণ ব্যবস্থা চালু করেছে। এখন অনলাইনে পেমেন্টের সময় কার্ডের তথ্য দেওয়ার পর আগের মতো আর ওটিপি পপ-আপ দেখা যায় না। এর বদলে পেমেন্ট স্ক্রিনে একটি বার্তা আসে, যেখানে অ্যাপ দিয়ে লেনদেন অনুমোদন করতে বলা হয়।

পেমেন্ট করার সময় ব্যাংক একটি এসএমএস পাঠিয়ে গ্রাহককে জানায় যে একটি লেনদেন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এরপর গ্রাহককে ব্যাংকের অ্যাপে লগইন করে ‘অ্যাক্টিভিটিজ’ বিভাগে গিয়ে সেই লেনদেনটি যাচাই করতে হয়।

অ্যাপে লগইন করার পর একটি নোটিফিকেশন বা ‘পেন্ডিং পেমেন্ট’ অপশন দেখা যায়। সেখানে ট্যাপ করলে লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য যেমন দোকান বা প্রতিষ্ঠানের নাম এবং টাকার পরিমাণ ভেসে ওঠে। গ্রাহক চাইলে এটি অনুমোদন বা বাতিল করতে পারেন।

নিরাপত্তার স্বার্থে এই ধাপে দুই মিনিটের একটি কাউন্টডাউন টাইমার থাকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে অনুরোধটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। গ্রাহক লেনদেনটি অনুমোদন করলে অ্যাপটি তার স্মার্ট পাস পিন চায় এবং পিন সঠিক হলে পেমেন্ট সম্পন্ন হয়।

গত ২৫ জুলাই থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাংকগুলো ধাপে ধাপে এই পরিবর্তন শুরু করেছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং নিরাপত্তা জোরদার করার অংশ হিসেবে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ব্যাংকগুলো পুরোপুরি এসএমএস ও ই-মেইলভিত্তিক ওটিপি ব্যবহার বন্ধ করে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে

সূত্র : খালিজ টাইমস


যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন: নেতানিয়াহুর ওপর চটলেন ট্রাম্প প্রশাসন

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১১:৪৯:৪৫
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন: নেতানিয়াহুর ওপর চটলেন ট্রাম্প প্রশাসন
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কড়া ভাষায় একটি গোপন বার্তা পাঠিয়েছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রশাসন এই হামলাকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটিতে হামাসের সামরিক শাখার উপকমান্ডার রায়েদ সাদ নিহত হওয়ার পরই এই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়।

হোয়াইট হাউসের ওই বার্তায় নেতানিয়াহুকে সরাসরি হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছে, আপনি যদি নিজের সুনাম নষ্ট করতে চান এবং প্রমাণ করতে চান যে আপনি চুক্তি মানেন না, তবে সেটি আপনার নিজস্ব ব্যাপার।

কিন্তু বার্তায় জোর দিয়ে উল্লেখ করা হয় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেহেতু গাজায় এই চুক্তির মধ্যস্থতা করেছেন, তাই যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই তার সুনাম নষ্ট হতে দেবে না।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, রায়েদ সাদের ওপর চালানো ওই বিশেষ হামলার বিষয়ে ইসরায়েল সরকার ওয়াশিংটনকে আগে থেকে কোনো তথ্য জানায়নি বা কোনো আলোচনাও করেনি।

এদিকে গাজায় হামাসের প্রধান খলিল আল-হায়া টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তাদের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও শনিবারের এই বিমান হামলায় তিনি প্রাণ হারান।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বারবার চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালাচ্ছে। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। বর্তমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও হামলা অব্যাহত থাকায় সেখানে গভীর মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি


গাজায় থামছে না মৃত্যুর মিছিল: এক বাড়ি থেকেই মিলল ৩০ লাশ 

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ০৯:০০:১২
গাজায় থামছে না মৃত্যুর মিছিল: এক বাড়ি থেকেই মিলল ৩০ লাশ 
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের পশ্চিম গাজা সিটির একটি বিধ্বস্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে একই পরিবারের ৩০ জন সদস্যের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে যা আবারও যুদ্ধের ভয়াবহতা ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতকে সামনে এনেছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে যে আল-রিমাল এলাকায় অবস্থিত ওই বাড়িটিতে ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় সালেম পরিবারের এই সদস্যরা প্রাণ হারিয়েছিলেন। উদ্ধারকর্মীদের আশঙ্কা ওই ভয়াবহ হামলায় সালেম পরিবারের প্রায় ৬০ জন সদস্য নিহত হয়ে থাকতে পারেন যার মধ্যে ৩০ জনের লাশ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং বাকিদের সন্ধানে এখনো তল্লাশি চলছে।

সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে যে গাজাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজারো ফিলিস্তিনির মরদেহ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে তারা যে নতুন ও সংগঠিত উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে তার প্রথম স্থান ছিল সালেম পরিবারের এই বাড়িটি। সংস্থাটি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছে যে তাদের হাতে পর্যাপ্ত ভারী যন্ত্রপাতি নেই এবং মাত্র একটি এক্সকাভেটর ও অত্যন্ত সীমিত সরঞ্জাম ব্যবহার করেই তারা ধ্বংসস্তূপ সরানোর এই কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে বর্তমানে গাজার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ দখলে রয়েছে এবং গত ১০ অক্টোবর থেকে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও দখলদার বাহিনী বারবার তা লঙ্ঘন করে উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে হামলা অব্যাহত রেখেছে।

ভয়াবহ এই মানবিক বিপর্যয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের সিংহভাগই নারী ও শিশু এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও এমন সহিংসতা এবং ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দীর্ঘদিন পর একের পর এক লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গাজাবাসীর মনে নতুন করে আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


প্রকৃতির দুর্যোগে গাজায় বাড়ছে দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ১৩:৫২:৫৯
প্রকৃতির দুর্যোগে গাজায় বাড়ছে দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়
ছবি: সংগৃহীত

অধিকৃত পশ্চিম তীরের আর-রাম শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ওই এলাকায় অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলি সেনারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, যার ফলে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি পশ্চিম তীরে চলমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

একই সময়ে গাজা উপত্যকায় প্রবল ঝড়ের কারণে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতায় নতুন করে মানবিক সংকটের চিত্র উঠে এসেছে। ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর ভেতরের বাস্তবতা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বহু জায়গায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ায় অস্থায়ী তাঁবু ও আশ্রয়স্থলগুলো পানিতে ডুবে গেছে, যা বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ সংকটের প্রতিক্রিয়াও তীব্র হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আপিল বিভাগ ইসরায়েলের একটি আইনি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, যেখানে গাজায় সংঘটিত কর্মকাণ্ডের তদন্ত বন্ধের চেষ্টা করা হয়েছিল। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে গাজায় সংঘটিত ঘটনাবলীর ওপর আন্তর্জাতিক তদন্ত এগিয়ে নেওয়ার পথ আরও সুগম হলো।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, গাজার জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে এই বাহিনীতে আরও কয়েকটি দেশ যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ বাহিনীর কাঠামো ও কার্যপরিধি নিয়ে এখনো বিস্তারিত স্পষ্ট হয়নি।

চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মানবিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭০ হাজার ৬৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের হামলায় ইসরায়েলে প্রাণ হারান অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন এবং প্রায় ২০০ জনকে জীবিত আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতার আশঙ্কাকে আরও গভীর করেছে।

সূত্র: আল জাজিরা


১৬ ডিসেম্বর শুধুই ভারতের জয় বললেন নরেন্দ্র মোদি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ১১:০৫:১২
১৬ ডিসেম্বর শুধুই ভারতের জয় বললেন নরেন্দ্র মোদি
ছবি : সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরকে ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করলেও বিস্ময়করভাবে একবারের জন্যও বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ করেননি। ঐতিহাসিক বাস্তবতা হলো দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে এবং যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী মিত্র হিসেবে যুক্ত হওয়ার কারণে ভারতও দিনটিকে তাদের ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। তবে মোদি তার পোস্টে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ভারতীয় সেনাদের দিয়ে লিখেছেন যে বিজয় দিবসে তারা সেই সাহসী সেনাদের স্মরণ করছেন যাদের অসামান্য সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল এবং তাদের এই বীরত্ব ভারতের বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে সেনাদের দৃঢ় মনোবল ও নিঃস্বার্থ সেবা ভারতকে রক্ষা করেছে এবং তাদের ইতিহাসে একটি গৌরবান্বিত মুহূর্ত তৈরি করেছে যা তাদের সাহসকে সম্মান জানায়।

অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন একপাক্ষিক বার্তার বিপরীতে দেশটির সেনাবাহিনী বিজয় দিবস উপলক্ষে যে পোস্ট দিয়েছে সেখানে তারা ঐতিহাসিক সত্যকে স্বীকার করে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে ১৬ ডিসেম্বর বা বিজয় দিবস কেবল একটি তারিখ নয় বরং এটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ঐতিহাসিক ও চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক যেখানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে স্বীকার করা হয়েছে যে এই যৌথ সংগ্রামই বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র নতুন করে অঙ্কন করে ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পুরো বাঙালি জাতির ওপর যে নজিরবিহীন নৃশংসতা ও নির্যাতন চালিয়েছিল এই যুদ্ধের মাধ্যমেই তার অবসান ঘটেছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের পোস্টে উল্লেখ করেছে যা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের চেয়ে অনেকটা ভিন্ন ও বাস্তবধর্মী।


অস্ট্রেলিয়ার বিচে উৎসবে হামলা, হামলাকারী বাবা ও ছেলের পরিচয় প্রকাশ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৯:১২:৫৮
অস্ট্রেলিয়ার বিচে উৎসবে হামলা, হামলাকারী বাবা ও ছেলের পরিচয় প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের জনপ্রিয় বন্ডি বিচে ইহুদি সম্প্রদায়ের হানুক্কা উদযাপন ঘিরে সংঘটিত ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তদন্তে জানা গেছে, এই হামলায় জড়িত দুজনের সম্পর্ক ছিল পিতা ও পুত্র।

নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ‘হানুক্কা বাই দ্য সি’ নামের জনসমাগমপূর্ণ অনুষ্ঠানে ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম এবং তার ৫০ বছর বয়সী বাবা আকস্মিকভাবে গুলি চালানো শুরু করেন। এই সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশু থেকে শুরু করে প্রবীণদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাদের বয়সসীমা ছিল ১০ থেকে ৮৭ বছরের মধ্যে।

পুলিশের হাতে পাওয়া ড্রোন ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, হামলাকারীদের একজন একটি পথচারী সেতুর ওপর অবস্থান নিয়ে নিচে জড়ো হওয়া মানুষের দিকে গুলি ছুড়ছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা অভিযানে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিচে পড়ে যান। এ সময় দ্বিতীয় হামলাকারী নিচে অবস্থান করে সাধারণ মানুষের ওপর গুলিবর্ষণ অব্যাহত রাখেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে এসেছে, হামলাকারীরা ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় গাড়ি থামিয়ে প্রায় দশ মিনিট ধরে ধারাবাহিকভাবে গুলি চালান। আনুমানিক পঞ্চাশটির বেশি গুলি ছোড়া হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে উৎসবে অংশ নেওয়া পরিবার, শিশু এবং পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, নাভিদ আকরাম সিডনির বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার আগে তিনি তার মাকে জানান যে তিনি মাছ ধরতে যাচ্ছেন। হামলার পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বর্তমানে তিনি পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাবা ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হন।

এই হামলায় আহত বহু মানুষকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিডনির শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। নিহতদের মধ্যে ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ধর্মীয় নেতা রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গারের নামও রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শোকের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এক বিবৃতিতে বলেন, দেশটিতে ঘৃণা, সহিংসতা কিংবা সন্ত্রাসের কোনো জায়গা নেই। তিনি এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত এবং দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজন পূর্বে নজরদারির আওতায় থাকলেও তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে তাকে চিহ্নিত করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রমের মূল্যায়ন শুরু হয়েছে।

-রফিক


সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১২:২৪:৪২
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশিরা। ছবি: সংগৃহীত

সুদানের সংঘাতপীড়িত কর্দোফান অঞ্চলে জাতিসংঘের একটি স্থাপনায় ড্রোন হামলায় ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর মধ্য সুদানের কাদুগলি শহরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা লজিস্টিক ঘাঁটিতে এই ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। রোববার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া ও ড. ইউনূসের শোক

এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক বিবৃতিতে তিনি জানান হামলায় নিহতের সংখ্যা ছয় এবং আহত হয়েছেন আরও আটজন। তিনি জাতিসংঘকে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের জরুরি সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে এই কঠিন সময়ে সরকার নিহতদের পরিবারের পাশে থাকবে।

সেনাবাহিনীর অভিযোগ ও ভিডিও প্রকাশ

এই হামলার পেছনে সুদানের সেনাবাহিনী দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফকে দায়ী করেছে। সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায় এই হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের ধ্বংসাত্মক মনোভাব স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। একই সঙ্গে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে জাতিসংঘের ওই স্থাপনার ওপর ঘন কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।

জাতিসংঘের কঠোর নিন্দা ও যুদ্ধাপরাধের সতর্কবার্তা

হামলার ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা লজিস্টিক ঘাঁটিতে চালানো ভয়াবহ ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। দক্ষিণ কর্দোফানে শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই ন্যায়সংগত নয় এবং এর জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত