আকস্মিক বন্যায় চীন–নেপাল সেতু ধসে বহু নিখোঁজ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৮ ২০:৫০:০৭
আকস্মিক বন্যায় চীন–নেপাল সেতু ধসে বহু নিখোঁজ

আকস্মিক ভয়াবহ বন্যায় ধসে গেছে চীন–নেপালের মধ্যকার প্রধান সংযোগ সেতু। এতে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের মধ্যে ১২ জন নেপালি ও ৬ জন চীনা নাগরিক। চীনের পক্ষ থেকে আরও ১১ জন নিখোঁজ থাকার তথ্য এসেছে। নিখোঁজদের বেশিরভাগই নির্মাণকাজে নিযুক্ত ছিলেন।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সিনহুয়ার বরাতে জানা যায়, কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার উত্তরে নেপালের রাসুওয়াগাড়িতে অবস্থিত ভোটেকোশি নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি ভোররাতে ধসে পড়ে।

নেপালের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, নদীর স্রোতে আশপাশের ঘরবাড়ি, কাস্টমসে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক ও বৈদ্যুতিক যানবাহনও ভেসে গেছে। নদীতে পড়ে গেছে চীন থেকে আসা কন্টেইনারও। এতে চীন–নেপাল সীমান্ত বাণিজ্য কার্যত স্থগিত হয়ে গেছে। এখন চীনা পণ্য ভারত হয়ে নেপালে প্রবেশ করতে হবে।

চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, নিখোঁজ ১১ চীনা নাগরিক কাঠমান্ডুর উত্তরের একটি নির্মাণাধীন ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোতে কর্মরত ছিলেন।

নেপালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অর্জুন পাউডেল জানান, সেনা হেলিকপ্টারের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৯৫ জন উদ্ধারকর্মী ঘটনাস্থলে কাজ করছেন, আরও উদ্ধারকারী দলের যোগদান চলছে।

নেপালের আবহাওয়া বিভাগ বলছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিব্বতের কোনো হিমবাহ হ্রদ উপচে পড়ার কারণেই আকস্মিকভাবে পানি বেড়েছে। কারণ, স্থানীয়ভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টির নজির নেই। এই তথ্য যাচাই করতে সহায়তা করছে উপগ্রহভিত্তিক সংস্থা সেন্টিনেল এশিয়া।

এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতেও একই সময় দুর্যোগ চলছে।

ভারতের হিমাচল প্রদেশে গত সপ্তাহে ভারি বৃষ্টিতে ২৩টি আকস্মিক বন্যা ও ১৬টি ভূমিধস হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পাকিস্তানে ২৬ জুন থেকে বন্যা ও ধসে অন্তত ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষত গিলগিত-বালতিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে হিমবাহ হ্রদ উপচে বন্যার ঝুঁকিতে সতর্কতা জারি রয়েছে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ