হারুন-বিপ্লবের গ্রেপ্তার দাবি: সেনবাগে সমাবেশে বিএনপির তীব্র প্রতিবাদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৭ ০৯:৪০:৫৩
হারুন-বিপ্লবের গ্রেপ্তার দাবি: সেনবাগে সমাবেশে বিএনপির তীব্র প্রতিবাদ

২০১১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে হরতাল চলাকালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশের নৃশংস হামলার ঘটনার প্রতিবাদে এবং দায়ীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে নোয়াখালীর সেনবাগে এক বিশাল বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৬ জুলাই) বিকালে সেনবাগ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে পৌর শহরে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশে রূপ নেয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সেনবাগ পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মাস্টার আবদুল হান্নান লিটন। যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির ও উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরনবী রাজু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোদ ভুক্তভোগী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, “২০১১ সালের হামলা ছিল রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের এক নগ্ন উদাহরণ। এডিসি হারুন ও বিপ্লবের নেতৃত্বে পুলিশের যেভাবে আমার ওপর হামলা চালানো হয়, তা গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।” তিনি দাবি করেন, হামলাকারীদের বিচার না হওয়া বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে আরও প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ।

সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো। তিনি বলেন, “ফারুক সাহেবের ওপর হামলা বিএনপির বিরুদ্ধে পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতিশোধের অংশ। আজও আমরা সেই ঘটনার বিচার পাইনি। বিচারহীনতা অব্যাহত থাকলে সারা দেশে গণআন্দোলনের সূচনা হবে।” বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া বলেন, এই হামলার মাধ্যমে শুধু একজন নেতাকে নয়, গোটা বিরোধী রাজনীতিকে ভয় দেখাতে চেয়েছিল সরকার। কিন্তু বিএনপি কখনো ভয় পায়নি, ভবিষ্যতেও পাবে না।

এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোক্তার হোসেন পাটোয়ারী, সাবেক সহসভাপতি আবু ইউসুফ মজুমদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিন উল্যাহ বিএসসি, মিয়া মো. ইলিয়াস, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক বাবুল ও সহিদ উল্যাহ। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতারাও সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, যাদের মধ্যে ছিলেন সুলতান সালাউদ্দীন লিটন, সাহেব উদ্দিন রাসেল, মোকাররম হোসেন, ইমরান হোসেন স্বপন, কামরুল হাসান তুহিন এবং আলাউদ্দিন।

সমাবেশ থেকে বক্তারা স্পষ্ট করে বলেন, হামলার দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার না করা হলে সারাদেশে প্রতিবাদ আরও জোরালো হবে। নেতারা বলেন, এই কর্মসূচি কোনো ব্যক্তির পক্ষে নয়, এটি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং রাষ্ট্রীয় জবাবদিহিতার দাবিতে একটি জনগণের আন্দোলন। বিএনপি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে ছিল, আছে এবং থাকবে।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ