সিলেটে বর্ষার চিত্র ম্লান, আবহাওয়া অফিস বলছে আরও বৃষ্টির আভাস

সিলেট ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৫ ১০:২৬:২১
সিলেটে বর্ষার চিত্র ম্লান, আবহাওয়া অফিস বলছে আরও বৃষ্টির আভাস

আষাঢ়ের মাঝামাঝি সময়ে এসে দেশের অন্য অঞ্চলগুলোর মতো সিলেটেও বৃষ্টির প্রকোপ তেমন দেখা যাচ্ছে না। শুক্রবার (৪ জুলাই) সিলেট বিভাগে মাত্র ৫.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ।

এদিন সিলেটে গরমের অনুভূতি ছিল বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবার (৫ জুলাই) সিলেট অঞ্চলের কিছু কিছু স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।

চলতি বর্ষাকালে এখন পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের ঘাটতি প্রকট। বিশেষ করে আষাঢ় মাসে বৃষ্টির অনুপস্থিতি কৃষি এবং জলবায়ুর ওপর কিছুটা প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।

স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, আগামী কয়েকদিনে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে, তবে নিরবচ্ছিন্ন ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা এখনও অনিশ্চিত।


বিজিবির অভিযানে জব্দ ২ লাখ ঘনফুট কালোপাথর, পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ

সিলেট ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ২০:২২:৫৪
বিজিবির অভিযানে জব্দ ২ লাখ ঘনফুট কালোপাথর, পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উৎমাছড়া থেকে ২ লাখ ঘনফুট কালোপাথর জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সাদাপাথর লুটের ঘটনার পর এবার কালোপাথর উদ্ধারের ঘটনা ঘটল।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার উৎমাছড়া সংলগ্ন চরার বাজার আদর্শগ্রামে অভিযান চালিয়ে এসব কালো রঙের পাথর জব্দ করা হয়। ৪৮ বিজিবি সিলেটের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হকের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

জানা গেছে, উৎমাছড়া নদী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে পাথর মজুত করে আসছিলেন। তবে বিজিবির কঠোর নজরদারির কারণে এসব পাথর পাচার করতে ব্যর্থ হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইব্রাহিম ইকবাল চৌধুরীর নেতৃত্বে স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার করা পাথরের সঠিক পরিমাপ ও আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। জব্দকৃত এসব পাথর উৎমাছড়ায় পুনঃস্থাপন করা হবে।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার পাড়ুয়া-ভাংতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার ঘনফুট সাদাপাথর উদ্ধার করেছিল পুলিশ। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হলেও এতে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

/আশিক


দফায় দফায় লুট, জনরোষের মুখে বদলি হলেন সিলেট ডিসি-ইউএনও

সিলেট ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ২২:০৫:৫৭
দফায় দফায় লুট, জনরোষের মুখে বদলি হলেন সিলেট ডিসি-ইউএনও
ছবি: সংগৃহীত

কোটি কোটি টাকার পাথর লুটের পর সিলেটের দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর এখন প্রায় কংকালসারে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিতরা বহাল তবিয়তে থাকলেও সেখানে শুধু নেই পাথর। এমন ঘটনার পর স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তীব্র জনরোষের সৃষ্টি হয়েছে।

এই ঘটনা স্থানীয় ইস্যুকে ছাড়িয়ে সবার মুখে মুখে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশনা এবং জনরোষের পরিপ্রেক্ষিতে লুট হওয়া কিছু পাথর কুড়িয়ে এনে প্রতিস্থাপনের চেষ্টা চলছে। তবে সর্বস্তরের সিলেটবাসী এবং প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলেছেন—এত বড় রাষ্ট্রীয় সম্পদ জঘন্যভাবে খেয়ানতের দায় কার?

আইনবিদরা একবাক্যে বলছেন, এ সংক্রান্ত দায়ের করা মামলাতেই মূল অপরাধীদের আড়াল করা হয়েছে। সাদাপাথরের ঘটনাকে ঘিরে যখন তুমুল সমালোচনা, তখন সমালোচনার শীর্ষে থাকা দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ এবং কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার। ইউএনও আজিজুন্নাহারকে ফেঞ্চুগঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

আইনবিদদের মতে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ মানেই জনগণের সম্পদ। এই সম্পদের সুরক্ষার জন্য ধাপে ধাপে বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা রয়েছেন। শত শত নৌকা ও ট্রাক ব্যবহার করে কয়েকশ কোটি টাকার পাথর লুট করা হলেও দায়িত্বশীলরা কী করছিলেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

পাথর লুটের ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন আইনজ্ঞরা। তারা দাবি করছেন, এই মামলাতেও মূল অপরাধীদের কৌশলে আড়াল করা হয়েছে। আইনবিদ এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম বলেন, এত বড় বিপর্যয়ের দায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো, পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।

অপর আইনজ্ঞ শহিদুজ্জামান বলেন, দুই হাজার জনকে আসামি করে মামলা হলে কী হবে, যখন আইনের দৃষ্টিতে মূল অভিযুক্তদের কৌশলে রেহাই দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের গ্রামপুলিশ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ, ইউনিয়ন তহশিল অফিস থেকে এসিল্যান্ড এবং ইউএনও থেকে জেলা প্রশাসন পর্যন্ত সবাই এই লুটের দায় এড়াতে পারেন না।

গত ১৫ আগস্ট খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আনোয়ারুল হাবীব এই ঘটনায় অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)-এর সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ শাহেদা আক্তার বলেন, এই মামলার অভিযোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম দেখানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটের এই ঘটনায় প্রকৃত অভিযুক্ত দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে।

পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর সিলেট জেলা সদস্য সচিব আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, মেঘালয়ের খাসি হিল থেকে নেমে আসা ধলাই নদীর উত্তাল ঢল সামলাত নদীর দুই তীরের পাথরের প্রাকৃতিক গাইড ওয়াল, যা এখন চোর ও লুটেরারা নিয়ে গেছে। এর দায় সংশ্লিষ্টরা কেন নেবেন না?

পরিবেশ ও হাওড় উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা বলেন, সাদাপাথর লুটের ঘটনায় শুধু পাথরের ক্ষতি নয়, এর ফলে পরিবেশ, ভূ-প্রকৃতি এবং সিলেটের পর্যটনেরও বিরাট ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ ও ইউএনও আজিজুন্নাহারের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠার পর তাদের দু'জনকেই বদলি করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, ইউএনও আজিজুন্নাহার একজন পাথর লুটেরার সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছিলেন এবং মাসোহারা নিতেন। এর আগে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসানও সাদাপাথর লুটে স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশের অভিযোগ করেছিলেন।

সিলেটের নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. সারওয়ার আলম। নতুন কোম্পানীগঞ্জ ইউএনও হিসেবে এসেছেন মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

/আশিক


সিলেটে মাটিচাপা দেওয়া ১১ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার

সিলেট ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ১৭:৪৯:১৭
সিলেটে মাটিচাপা দেওয়া ১১ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার
সিলেটের সাদা পাথর থেকে চুরি হওয়া প্রায় ১১ হাজার ঘনফুট পাথর মাটিচাপা অবস্থায় জব্দ। ছবি : কালবেলা

সিলেটের সাদাপাথর থেকে চুরি হওয়া প্রায় ১১ হাজার ঘনফুট পাথর মাটিচাপা অবস্থায় জব্দ করা হয়েছে। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে সালুটিকর এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে এই পাথর জব্দ করা হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) আশিক মাহমুদ কবির। তার নেতৃত্বে পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সিলেট জেলা প্রশাসনের আরডিসি আশিক মাহমুদ কবির জানান, ধোপাগুল সংলগ্ন সালুটিকর ভাটা এলাকার একটি ক্রাশার মিলের আঙিনায় মাটিচাপা অবস্থায় এই পাথরের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রায় ১১ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করার পাশাপাশি দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সিলেটজুড়েই তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এর আগে, সিলেটের ধোপাগুল এলাকার বসতবাড়ি ও ক্রাশার মিলে অভিযান চালিয়ে আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছিল প্রশাসন।


অবাধ লুটপাটে পাথরশূন্য হয়ে যাচ্ছে সিলেটের সাদাপাথর

সিলেট ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১১ ২১:২৫:৫৫
অবাধ লুটপাটে পাথরশূন্য হয়ে যাচ্ছে সিলেটের সাদাপাথর
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত পাথর লুটপাটের কারণে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারি ও পদক্ষেপের অভাবে এখন এই অঞ্চলটি প্রায় পাথরশূন্য হয়ে বিরানভূমিতে পরিণত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, সাম্প্রতিক পাহাড়ি ঢলের ফলে নদীর পানির উচ্চতা বাড়ায় পর্যটকদের আগমন কমে গেছে, যা অনুৎপাদনীয় সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে দিনরাত পাথর উত্তোলন চলছে। শুধুমাত্র গত এক সপ্তাহে নৌকা যোগে হাজারের বেশি ট্রিপে পাথর সরানো হয়েছে।

আঞ্চলিক সূত্র জানায়, দুই সপ্তাহ ধরে কয়েক দফা পাহাড়ি ঢল নেমে ধলাই নদীর উৎসমুখে বিপুল বোল্ডার ও বালু জমেছে। সেই বালু সরিয়ে প্রকাশ্যে পাথর উত্তোলন করছে একটি দুর্ধর্ষ চক্র। স্থানীয়দের দাবি, ইতিমধ্যেই শত কোটি টাকার মূল্যমানের পাথর লুটপাট হয়ে গেছে। যেখানে একসময় স্তরে স্তরে পাথরের স্তূপ ছিল, এখন সেখানে বড় বড় গর্ত দেখা যাচ্ছে।

১৯৯০ সালের পর দীর্ঘ ২৭ বছর পর আবারও এই এলাকায় বিপুল পরিমাণ পাথর জমা হলে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে এলাকাটি সংরক্ষিত হয়ে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় জায়গা হিসেবে পরিচিতি পায়। কিন্তু বর্তমানে সেই সৌন্দর্য বিনষ্ট হওয়ার পথে।

পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা বলেন, "সাদাপাথর লুট শুধু প্রাকৃতিক সম্পদের বিনাশ নয়, এটি কর্মসংস্থান হারানো, পর্যটন শিল্পের ক্ষতি এবং পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্টের সংকেত।"

সিলেট জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদ জানান, "সীমিত জনবল থাকার কারণে তৎপরতা সীমিত, তবে স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। শিগগিরই তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।"

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের মাহমুদ আদনান বলেন, "এককভাবে পুলিশ এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, এজন্য সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।"

সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, "পর্যটন স্পটে পাথর লুটপাট সহ এমন অবৈধ কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। ইতিমধ্যে একটি পরিদর্শন টিম পাঠানো হয়েছে এবং পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে কঠোর অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।"

/আশিক


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুপ্ত রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে: রাকিব

সিলেট ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১১ ১৬:২২:৩২
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুপ্ত রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে: রাকিব
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী রাজনীতিকে যারা এখনও ধারণ করে, তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের দৃঢ় অবস্থান নেওয়া নৈতিক কর্তব্য। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে গুপ্ত রাজনীতি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করার দাবি তিনি জানিয়েছেন।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সিলেটের মুরারীচাঁদ (এমসি) কলেজে ছাত্রদলের কাউন্সিল ও সম্মেলন উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাকিবুল ইসলাম রাকিব এ কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, অতীতে বিশেষ করে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখনও আতঙ্কিত এবং অনেকেই ওই স্মৃতির আঘাত থেকে মুক্তি পাননি। এর ফলে অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে অনীহা তৈরি হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ছাত্রদল এ ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি করবে না এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীবান্ধব রাজনীতি চালিয়ে যাবে।

রাকিব আরো বলেন, গুপ্ত রাজনীতি বন্ধে আইন প্রয়োজন। বাংলাদেশ ছাত্রদল সবসময় প্রকাশ্যে, স্বচ্ছ রাজনীতি করে থাকে এবং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা এখনও গেস্টরুম-গণরুমে ঘটে যাওয়া হিংসার ভয় কাটাতে পারেনি, তাই ছাত্রদল শিক্ষাবান্ধব রাজনীতির পথ অনুসরণ করবে।

একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্যরা এখনও রয়েছে এবং তারা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

২১ বছর পর সিলেট এমসি কলেজে ছাত্রদলের কাউন্সিল ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সম্মেলনটি কলেজের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শুরু হয়। এতে এমসি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক সেলিম আহমদ সাগর ও সদস্যসচিব মোহাইমিনুল হক তপুর নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহিম কার্দি, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

/আশিক


সিলেটের এসএসসির পুনঃনিরীক্ষণে নতুন আশা, ৬৩৬ পত্রে ফল বদল

সিলেট ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৬:৪৮:৩০
সিলেটের এসএসসির পুনঃনিরীক্ষণে নতুন আশা, ৬৩৬ পত্রে ফল বদল
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফলে নতুন করে ৩০ শিক্ষার্থী পাস করেছেন এবং ২২ জনের জিপিএ-৫ এসেছে। রবিবার (১০ আগস্ট) সকালেই সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশিত হয়।

জানা গেছে, ১০ জুলাই প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের পর ১৭ হাজার ৬৮১ শিক্ষার্থী মোট ৩৪ হাজার ৯২০টি পত্রের পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেন। পর্যালোচনার পর ৩৪ হাজার ৯২০ পত্রের মধ্যে ৬৩৬টি উত্তরপত্রে পরিবর্তন আসে। এতে ২২১ জনের জিপিএ পরিবর্তিত হয়।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর তরিকুল ইসলাম জানান, পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থীর ফলাফল সংশোধিত হয়েছে। নতুন করে ৩০ জন পাস এবং ২২ জন জিপিএ-৫ পেয়ে ফলাফলে উন্নতি লাভ করেছেন। তিনি জানান, এই ফলাফল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতি বোর্ডের দায়বদ্ধতা প্রকাশ পায়।

/আশিক


৯ কোটি টাকার প্রকল্পে সিলেটে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন, উদ্বোধন অনিশ্চিত

সিলেট ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৬ ২০:১১:২৩
৯ কোটি টাকার প্রকল্পে সিলেটে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন, উদ্বোধন অনিশ্চিত
ছবি: সিলেটভিউ

সিলেট নগরীতে স্থাপন করা হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকেও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা জানানো হয়নি।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের ৬৩টি জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জুলাই আন্দোলনের স্মৃতিকে ধারণ করে এ ধরনের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রতিটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টাকা করে, আর সারাদেশের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি টাকা।

১৮ ফুট উচ্চতা ও ৬ ফুট প্রস্থের এই স্মৃতিস্তম্ভগুলোতে সংযোজন করা হয়েছে গত বছরের জুলাই আন্দোলনে ব্যবহৃত স্লোগান, কবিতা ও গ্রাফিতি। স্থাপনাগুলো এমনভাবে তৈরি হয়েছে, যাতে এর অভ্যন্তরে আলো জ্বালানোর পর দুই পাশ থেকেই দর্শনার্থীরা লেখা পড়তে পারেন। পাশাপাশি, দেড় ফুট চওড়া একটি বেদি তৈরি করা হয়েছে, যেখানে মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে ফুল অর্পণ করতে পারবেন।

জানাগেছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করেছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

সিলেটে স্থাপন করা স্মৃতিস্তম্ভটি মঙ্গলবার রাতে এসে পৌঁছায়। গণপূর্ত বিভাগের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো স্মৃতিস্তম্ভটি রাতেই নগরীর রিকাবিবাজার এলাকার কবি নজরুল অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জাফর এবং উপসহকারী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন।

তবে তারা জানান, স্মৃতিস্তম্ভটি উদ্বোধনের বিষয়ে কোনো তারিখ বা নির্দেশনা তারা এখনো পাননি।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার উজ জামান বলেন, “আমাদের এখনো কিছু জানানো হয়নি। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে নির্দেশনা এলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

/আশিক


সিলেটে আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়ে তানযীম ইন্টারন্যাশনালের নতুন উদ্যোগ

সিলেট ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ৩১ ২১:৩০:৩৫
সিলেটে আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়ে তানযীম ইন্টারন্যাশনালের নতুন উদ্যোগ
ছবি: সংগৃহীত

আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়ে এগিয়ে চলেছে তানযীম ইন্টারন্যাশনাল তাহফিজ স্কুল

সিলেটের তানযীম ইন্টারন্যাশনাল তাহফিজ স্কুল আধুনিক ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষা একত্র করে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে। পবিত্র কোরআনের হাফেজ তৈরির পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞানে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ফলে অভিভাবকদের মধ্যে স্কুলটি নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

অভিভাবকদের মতে, কেবল আধুনিক শিক্ষা নয়, বরং নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়েই একটি পরিশীলিত ও সুশিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। তারা মনে করেন, তানযীম ইন্টারন্যাশনাল তাহফিজ স্কুল এ দিক থেকে একটি অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) স্কুলটির মদীনা মার্কেট শাখার প্রথম গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা গ্র্যাজুয়েশন গাউন পরে আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেণি পরিবর্তনের উৎসব উদ্‌যাপন করে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকরাও ছিলেন আনন্দে উচ্ছ্বসিত। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয়।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, গোবিন্দগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আলেমে দ্বীন মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, বরিশাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ড. সাফি আহমদ, ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. ফয়সল আহমদ ও স্বদেশ বাংলা গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান।

স্কুলের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা সাঈদ হুসাইন এবং একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর কাজী সুমাইয়া। বক্তব্য রাখেন শিক্ষক তামান্নাতুল জান্নাত ও শারমিন সাদিয়া হলি। অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য দেন রিশেপশন ক্লাসের শিক্ষার্থী আবিরের মাতা হ্যাপি বেগম। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক মাজেদুল ইসলাম। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক আয়োজন পরিচালনা করেন শিল্পী হেলাল আহমদ। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।

/আশিক


সিলেটে আ.লীগ নেতাকে বাঁচাতে বিএনপি নেতার জাল স্বাক্ষরের অভিযোগ

সিলেট ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৬ ২১:৪০:৫০
সিলেটে আ.লীগ নেতাকে বাঁচাতে বিএনপি নেতার জাল স্বাক্ষরের অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা। ছবি: যুগান্তর

বিএনপি নেতার সিল জাল করে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাঁচানোর অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় দায়ের করা একটি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের রক্ষায় বিএনপির নেতার স্বাক্ষর ও সিল জাল করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি।

শনিবার (২৬ জুলাই) বিকালে দক্ষিণ সুরমার রশিদপুর পয়েন্টের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বক্তারা জানান, গত ২৫ ডিসেম্বর ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসটিএম ফখর উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহর সিল ও স্বাক্ষর জাল করে থানায় একটি চিঠি জমা দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে দাবি করা হয়, মামলার আসামিরা বিএনপির সমর্থক এবং তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

এই জালিয়াতির ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। ২৪ জুলাই ‘মামলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাদ দিতে উপজেলা বিএনপির চিঠি’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি সিলেট-২ আসনের নেতাদের নজরে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসটিএম ফখর উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী ও বিশ্বনাথ পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী আব্দুল হাই।

নেতারা বলেন, নিখোঁজ নেতা এম ইলিয়াস আলীর গড়া বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর বিএনপিকে বিভ্রান্ত করতে ষড়যন্ত্র চলছে। তারা জাল সিল-স্বাক্ষর ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।

সংবাদ সম্মেলনে ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথ উপজেলার বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের বহু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

/আশিক

পাঠকের মতামত: