আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ যেসব এলাকায়

সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় আজ সোমবার প্রায় ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এটি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃক জরুরি মেরামত, সংরক্ষণ কাজ এবং গাছপালার শাখা-প্রশাখা কর্তনের কারণে নেওয়া বিশেষ ব্যবস্থার অংশ। রবিবার (২ নভেম্বর) সিলেট বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আজ সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১১ কেভি ফিডার লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থগিত থাকবে। এই সময়ের মধ্যে ১১ কেভি শিবগঞ্জ ফিডার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। ফলে শিবগঞ্জ বাজার, শিবগঞ্জ পয়েন্ট, শিবগঞ্জ সোনারপাড়া, টাইম স্কয়ার এবং আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে না।
বিউবো সূত্রে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে গাছপালার শাখা-প্রশাখা কর্তন, বিতরণ লাইন সংস্কার এবং ট্রান্সফরমারের রক্ষণাবেক্ষণসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ সরবরাহের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং অপ্রত্যাশিত বিদ্যুৎ বিভ্রাট কমানো সম্ভব হবে।
নিরাপত্তার কারণে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কাজ চলাকালীন লাইনকে চালু বলেই গণ্য করতে হবে। এতে কেউ দুর্ঘটনার শিকার না হয়, সেই নিশ্চয়তা রাখা হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হলে তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা হবে।
সিলেট বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে সবাইকে সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
-রফিক
জানুন আজ কোথায় কোন মার্কেট বন্ধ
রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কেনাকাটার জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় যাত্রা করেন। তবে অনেক সময় তারা সড়কে যানজট, ট্রাফিক জ্যাম এবং অন্যান্য ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। এসব ঝামেলার পর যখন গন্তব্যে পৌঁছান, তখন দেখেন দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ। এর ফলে শুধু সময় নষ্ট হয় না, বরং দিনভর পরিকল্পিত কেনাকাটাও ব্যর্থ হয়ে যায়। বিশেষ করে সপ্তাহের শুরু সোমবারে এমন পরিস্থিতি ক্রেতাদের জন্য ঝামেলা বাড়ায়। তাই রাজধানীবাসীর সুবিধার্থে জানা জরুরি, সোমবার রাজধানীর কোন কোন এলাকা ও মার্কেট অর্ধদিবসের জন্য বন্ধ থাকবে।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অর্ধদিবসের জন্য দোকানপাট বন্ধ রাখার তালিকায় রয়েছে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্পাঞ্চল। রাজধানীর প্রধান শপিং এবং ব্যবসায়িক এলাকা যেমন আগারগাঁও, তালতলা, শেরেবাংলা নগর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পল্লবী, মিরপুরের বিভিন্ন সেকশন (মিরপুর-১০ থেকে মিরপুর-১৪), ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত, কাফরুল, মহাখালী, নিউ ওল্ড ডিওএইচএস, কাকলী, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকা এবং তেজগাঁও শিল্প এলাকা অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, গুলশান-১ ও ২, বনানী, মহাখালী কমার্শিয়াল এরিয়া, নাখালপাড়া, মহাখালী ইন্টারসিটি বাস টার্মিনাল এলাকা, রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাঁও, গোড়ান, মালিবাগের কিছু অংশ, বাসাবো, ধলপুর, সায়েদাবাদ, মাদারটেক, মুগদা, কমলাপুরের অংশ, যাত্রাবাড়ীর কিছু অংশ, শনির আখড়া, দনিয়া, রায়েরবাগ এবং সানারপাড়ও এই তালিকায় রয়েছে।
একইভাবে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং কমপ্লেক্সও অর্ধদিবসের জন্য বন্ধ থাকবে। এতে রয়েছে বিসিএস কম্পিউটার সিটি (আইডিবি), পল্লবী সুপার মার্কেট, মিরপুর বেনারসি পল্লি, ইব্রাহীমপুর বাজার, রজনীগন্ধা মার্কেট, ইউএই মৈত্রী কমপ্লেক্স, বনানী সুপার মার্কেট, ডিসিসি মার্কেট (গুলশান-১ ও ২), গুলশান পিংক সিটি, মোল্লা টাওয়ার, আল-আমিন সুপার মার্কেট, রামপুরা সুপার মার্কেট, মালিবাগ সুপার মার্কেট, তালতলা সিটি করপোরেশন মার্কেট, কমলাপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, গোরান বাজার, আবেদিন টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লেক্স এবং মিতালী অ্যান্ড ফ্রেন্ড সুপার মার্কেট।
ঢাকাবাসীর জন্য এই তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোন এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে তা জানা থাকলে তারা নিজেদের কেনাকাটার পরিকল্পনা আরও সুষ্ঠুভাবে করতে পারবেন। বিশেষ করে যারা কর্মব্যস্ত, সময়সীমা অনুযায়ী কেনাকাটার পরিকল্পনা করেন, তাদের জন্য এটি সহায়ক। স্থানীয় বাজার প্রশাসন ও দোকানপাট পরিচালকদের পক্ষ থেকেও অর্ধদিবস বন্ধ থাকার ঘোষণা দিয়ে ক্রেতাদের আগে থেকেই সতর্ক করা হয়, যাতে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ক্ষতি বা সময় নষ্ট না হয়।
-শরিফুল
আলুর দাম ২৬ টাকা থেকে নেমে ৮ টাকায়, দিশেহারা ৬০ হাজার চাষি
মুন্সীগঞ্জের আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা বর্তমানে ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়েছেন। জেলার হিমাগারগুলোতে সংরক্ষিত আলুর অর্ধেকেরও বেশি এখনো অবিক্রীত রয়ে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী নভেম্বর মাসের মধ্যেই এসব আলু হিমাগার থেকে বের করে বিক্রি করার কথা থাকলেও, ইতিমধ্যে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে আগাম জাতের আলু বাজারজাত শুরু হওয়ায় পুরোনো সংরক্ষিত আলুর চাহিদা তীব্রভাবে কমে গেছে। এর ফলে আলু ব্যবসায়ী, হিমাগার মালিক এবং চাষিরা সবাই এখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন, কারণ সংরক্ষিত এসব আলুর ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
কৃষকদের হিসাব অনুযায়ী, জমিতে আলু উৎপাদন থেকে শুরু করে হিমাগারে সংরক্ষণ পর্যন্ত প্রতি কেজি আলুর খরচ পড়েছে ২৫ থেকে ২৬ টাকা। অথচ বর্তমানে বাজারে ভালো মানের আলু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮ থেকে ১০ টাকায়। এতে উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় ভয়াবহ লোকসান গুনতে হচ্ছে। যদি সংরক্ষিত আলু বিক্রি না হয়, তবে মুন্সীগঞ্জের আলু চাষ ও বাণিজ্য খাতে এ বছর সাড়ে ৮০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফলে দেশের প্রধান আলু উৎপাদন অঞ্চল হিসেবে পরিচিত মুন্সীগঞ্জের প্রায় ৬০ হাজার আলুচাষির অনেকেই আসন্ন রবি মৌসুমে আলু আবাদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হতে পারেন। এতে জেলার অনেক জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে মুন্সীগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় মোট ৩৪ হাজার ৭৫৮ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে, যার উৎপাদন দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৮ টন। এটি গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৯ হাজার ৬৯ টন বেশি। অধিক লাভের আশায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জেলার ৬১টি হিমাগারে প্রায় পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ৩৩৫ টন আলু সংরক্ষণ করেছিলেন। বর্তমানে সেই আলুর মধ্যে দুই লাখ ২৬ হাজার ২৩ টন খাবার আলু এবং এক লাখ ৬ হাজার ১৬১ টন বীজ আলু হিমাগারে মজুত রয়েছে, যা মিলে তিন লাখ ৩২ হাজার ১৮৪ টন আলু এখনো বিক্রি হয়নি। গত বছর একই সময়ে অবিক্রীত আলুর পরিমাণ ছিল এক লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৫ টন, অর্থাৎ এ বছর প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ আলু হিমাগারে আটকে আছে।
কৃষক, ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকরা জানান, চলতি বছর দেশে আলুর উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। পাশাপাশি বছরজুড়ে নানা ধরনের সবজির প্রাপ্যতা থাকায় আলুর বাজার চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
এক সময় মুন্সীগঞ্জে উৎপাদিত আলুর দেশজুড়ে একক আধিপত্য থাকলেও এখন দেশের বিভিন্ন জেলাতেও ভালো মানের আলু উৎপাদন হচ্ছে, যা স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ফেলছে। ফলে মুন্সীগঞ্জের আলুর প্রতি অন্য জেলাগুলোর চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। তাছাড়া এ বছর বিদেশে আলু রপ্তানিও কমে গেছে, এবং জেলার দুটি পটেটো ফ্ল্যাক্স কারখানা বন্ধ থাকায় বৃহৎ পরিসরে আলু বিক্রির সুযোগও হারিয়ে গেছে। এসব কারণেই আলুর বাজারে ভয়াবহ মন্দা দেখা দিয়েছে।
সদর উপজেলার চাম্পাতলা গ্রামের অভিজ্ঞ আলুচাষি হারুন অর রশিদ বলেন, “এক বস্তা (৫০ কেজি) আলু সংরক্ষণে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ১,২০০ থেকে ১,৪০০ টাকা, কিন্তু এখন বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। এতে আমরা পুরোপুরি দিশেহারা।” একই এলাকার অন্য এক কৃষক দিলদার হোসেন জানান, “পাঁচ দিন ধরে আলু বিক্রি করার চেষ্টা করছি, কিন্তু ক্রেতা নেই। বাড়িতে রাখা ১০০ বস্তা আলুর মধ্যে ইতোমধ্যে ১০ বস্তা পচে গেছে। যদি এই অবস্থা চলতে থাকে, তাহলে কৃষকরা আর আলু চাষে আগ্রহী থাকবে না।”
বিক্রমপুর মাল্টিপারপাস হিমাগারের ম্যানেজার আ. রশিদ বলেন, “সরকার কেজিপ্রতি আলুর দাম ২২ টাকা নির্ধারণ করার পর অনেক কৃষক আলু হিমাগারে আনতে আগ্রহ হারিয়েছেন। নভেম্বরের মধ্যে আলু বের করতে না পারলে আমাদেরও বড় ধরনের ক্ষতি হবে।”
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হাবিবুর রহমান জানান, আলু চাষিদের ক্ষতি কমাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ দফা প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আলু অন্তর্ভুক্ত করা, সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুত ৫০ হাজার টন আলু ক্রয় নিশ্চিত করা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ২০ কেজি করে আলু ক্রয় বাধ্যতামূলক করা এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে আলুর ব্যবহার বৃদ্ধি সংক্রান্ত পদক্ষেপ নেওয়া। এসব প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন হলে আলু বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
-রফিক
উচ্চকক্ষ আর নিম্ন কক্ষের ব্যবধান করলে গরুর মতোই এমপিদের দরকষাকষি শুরু হবে: ফুয়াদ
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ মন্তব্য করেছেন, মুক্তির লড়াই কোনো আইন বা সংবিধান মেনে হয় না। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম কোনো আইন বা সংবিধানের ওপর ভিত্তি করে হয়নি, বরং দেশের আপামর জনসাধারণ মুক্তির লড়াইয়ে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, স্বাধীনতাপরবর্তী দুর্বৃত্তায়নের ফলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলনে জনসাধারণের অংশগ্রহণ না থাকায় সংকট বেড়েছে।
২০২৪ সালের আন্দোলন তিনি বলেন, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেও কোনো আইন বা সংবিধান নিয়ে মানুষ মুক্তি অর্জন করেনি। মুক্তির লড়াইয়ে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি জনসাধারণ অংশগ্রহণ করায় ফ্যাসিবাদী সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
অবদান তিনি মনে করেন, গণঅভ্যুত্থানে কারো একার ক্রেডিট নেই। রিকশাচালক, বৃদ্ধা মা, পথচারী, দারোয়ানসহ সব ধরনের মানুষেরই অবদান রয়েছে।
প্রশাসনের দুর্বলতা তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার এমনভাবে দেশকে আগ্রাসন করেছে, যার জন্য দেশের প্রশাসনিক ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে শত্রু দেশে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি মনে করেন, এদের অপতৎপরতার কারণে দেশ এখন হুমকির মুখে রয়েছে।
উচ্চকক্ষ নিয়ে শঙ্কা তিনি মনে করেন, উচ্চ কক্ষ আর নিম্ন কক্ষ ব্যবধান করলে গরুর মতোই এমপিদের দরকষাকষি শুরু হবে।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক জানান, সারা দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ১০৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবি পার্টি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে দলীয় সরকারের অধীনে গণভোট হওয়া সম্ভব নয়। আসাদুজ্জামান ফুয়াদ জানান, এবি পার্টি আগামী সরকারের অংশীদার হবে না, বরং রাজনীতিই করবে। তারা সবাই মিলে বাংলাদেশ গড়তে চান।
মতবিনিময়কালে এবি পার্টির ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে মনোনীত প্রার্থী শেখ জামাল হোসেন সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উত্তর বাড্ডার এক বাসা থেকে নারী-পুরুষের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর উত্তর বাড্ডার একটি বাসা থেকে নারী ও পুরুষের অর্ধগলিত দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন—সাইফুল ইসলাম (৩০) এবং তার স্ত্রী শাকিলা (২৮)। সাইফুল ছিলেন ওই ভবনের দারোয়ান; আর শাকিলা একই ভবনে রান্নার কাজ করতেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান ঘটনাটি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চল ৩ নম্বর রোডের ২ নম্বর গলির একটি বাসা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে তীব্র দুর্গন্ধের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে অর্ধগলিত অবস্থায় লাশ দুটি দেখতে পায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, ঘটনাটি গত ২৫ অক্টোবরের পর কোনো এক সময়ে ঘটেছে। তবে এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা—তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি; পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
শরীয়তপুরে আবারও দুই পক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২ নভেম্বর) ভোরে বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারিকান্দি এলাকায় অন্তত ৫০ থেকে ৬০টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে; এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের আট সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এই সংঘর্ষের মূলে রয়েছেন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারী এবং একই এলাকার তাইজুল ইসলাম ছৈয়াল। নাসির উদ্দিন বর্তমান চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক; অন্যদিকে তাইজুল স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল জলিল মাদবরের অনুসারী। গত শনিবার সন্ধ্যায় বুধাইরহাট এলাকায় তাদের সমর্থকদের মধ্যে ছোটখাট বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে; যা আজকের বড় সংঘর্ষের সূত্রপাত করে।
চলতি বছর ৫ এপ্রিলও বিলাসপুরে একই ধরনের ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল; সে সময় কুদ্দুস বেপারী ও আবদুল জলিল মাদবরের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ান এবং বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় উভয় নেতা কারাগারে যান। সম্প্রতি কুদ্দুস জামিনে মুক্তি পেলেও; আবদুল জলিল এখনো কারাগারে রয়েছেন।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়; একদল তরুণ ও যুবক হাতে লাল রঙের বালতি নিয়ে দৌড়াচ্ছেন; তারা কিছু একটা তুলে ছুড়ে মারছেন এবং মুহূর্তের মধ্যেই বিকট শব্দে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে। বিস্ফোরণের ধোঁয়ায় চারপাশ আচ্ছন্ন হয়ে যায়; এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের বেশ কিছু বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
সংঘর্ষে যুবদল কর্মী সালাউদ্দিন ও কামালসহ কয়েকজন আহত হন; আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ ও র্যাবের দুটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করে। নাসির উদ্দিন বেপারী ও তাইজুল ইসলাম ছৈয়াল আত্মগোপনে আছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, বিলাসপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষ নাশকতা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়ে আসছিল। তিনি নিশ্চিত করেন, ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে; যারা এই ধরনের নাশকতার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাড্ডায় দারোয়ান ও তাঁর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, মৃত্যুর রহস্যে ধোঁয়াশা
রাজধানীর উত্তর বাড্ডার একটি আবাসিক ভবনের কক্ষ থেকে এক দম্পতির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া গেলেও মৃত্যুর কারণ বা ধরন সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ ধারণা করছে, ঘটনাটি প্রায় এক সপ্তাহ আগে ঘটেছে।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চল ৩ নম্বর রোডের ২ নম্বর গলির একটি বাড়ির ভেতরে ঘর থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, মৃতদের পরিচয় পাওয়া গেছে পুরুষটির নাম সাইফুল ইসলাম (৩০), যিনি ওই ভবনের দারোয়ান হিসেবে কাজ করতেন। আর নারীটি সাইফুলের স্ত্রী শাকিলা, যিনি একই ভবনের ভাড়াটিয়া পরিবারের কাছে রান্নার কাজ করতেন। পুলিশ তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি মৃত্যুর সময়কাল ও সম্ভাব্য কারণ অনুসন্ধান করছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সকালে বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে প্রতিবেশীরা সন্দেহজনক কিছু টের পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে বাড্ডা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘর থেকে স্বামী–স্ত্রীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে তখন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মৃত্যু ২৫ অক্টোবরের পর কোনো এক সময় ঘটেছে। দীর্ঘদিন বন্ধ ঘরে লাশ থাকায় তীব্র পচন ধরেছে।”
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও পুলিশের তদন্ত দল কাজ করছে। লাশ দুটি সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যুর মামলা (ইউডি কেস) দায়ের করা হচ্ছে। তবে তদন্তে যদি হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়, তাহলে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে।
এদিকে, স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনার খবরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, সাইফুল ও শাকিলা দম্পতি প্রায় তিন বছর ধরে ওই ভবনের নিচতলায় বসবাস করছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ বা সমস্যার কথা শোনা যায়নি বলে দাবি করেন অনেকে।
পুলিশ বলছে, তদন্তের স্বার্থে আপাতত বিস্তারিত কিছু জানানো যাচ্ছে না। তবে ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করা হচ্ছে এবং মৃত্যুর প্রকৃতি নির্ধারণে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে শতাধিক নেতাকর্মীর যোগদান
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেছেন। রোববার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় চম্পাপুর ইউনিয়নে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
চম্পাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিলাল ভাট এবং সাবেক ইউপি সদস্য রবীন্দ্রনাথ রায়ের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগ দেন।
সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, চম্পাপুরবাসী অতীতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে তার বিনিময়ে কিছুই পায়নি; আমরা চাই, সবাই মিলে শান্তিতে ও সম-অধিকার নিয়ে কলাপাড়ায় বসবাস করতে। তিনি নবযোগদানকারীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিএনপি সবসময় জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে জনগণের পাশে ছিল এবং থাকবে।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান টুটু বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, বাদল তালুকদার; পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মো. ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নাননু মুন্সীসহ স্থানীয় বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
১৪ বছরের প্রতীক্ষা শেষে খুলনায় আধুনিক কারাগার চালু ফুল দিয়ে বরণ করা হলো কয়েদিদের
দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রতীক্ষার পর অবশেষে খুলনায় আধুনিক নতুন কারাগারটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০০ জন বন্দিকে নিয়ে শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে এই কারাগারের যাত্রা শুরু হয়। খুলনা জেল সুপার প্রধান নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় পুরাতন কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজন ভ্যানে করে কয়েদিদের নতুন কারাগারে আনা হয়। নতুন কারাগারে আসা বন্দিদের কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
জেল সুপার প্রধান নাসির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ১০০ কয়েদি দিয়ে নতুন কারাগারের যাত্রা শুরু হলো। এর আগে গত ২৫ অক্টোবর চালুর কথা থাকলেও অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে নতুন কারাগারের কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, এদিন সকাল ১০টায় পুরাতন জেলা কারাগার থেকে কয়েদি স্থানান্তর শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে জেলার ৯টি উপজেলার কয়েদি এবং হাজতিদের নতুন কারাগারে রাখা হবে। পুরাতন কারাগারটি, যা ভৈরব নদীর তীরে জেলখানা ঘাটে অবস্থিত এবং ১৯১২ সালে নির্মিত, সেটি এখন থেকে খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকার বন্দিদের জন্য খুলনা মহানগর কারাগার হিসেবে চালু থাকবে। পুরাতন কারাগারটির ধারণক্ষমতা মাত্র ৬৭৮ জন।
পুরাতন কারাগার থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে খুলনা শহরের বাইপাস সড়কে জিরো পয়েন্টের কাছে ৩০ একর জমির ওপর ২৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক নতুন জেলা কারাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি সর্বোচ্চ ৪ হাজার বন্দি ধারণ করতে সক্ষম।
এই নতুন কারাগারটিকে একটি সংশোধনাগার হিসেবে নকশা করা হয়েছে। এখানে বিচারাধীন ও দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য পৃথক ইউনিট থাকার পাশাপাশি কিশোর ও নারী বন্দিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এছাড়াও, এই নতুন কারাগারে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, ওয়ার্কশপ, পাঠাগার, কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য বিদ্যালয়, ডে-কেয়ার সেন্টার এবং নারী বন্দিদের সন্তানসহ থাকার জন্য বিনোদন কেন্দ্রও থাকছে।
নিম্ন-আয়ের মানুষের দুর্ভোগ গরিবের বরাদ্দ চাল নিয়ে 'চালবাজি' থামছে না
নিম্ন-আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের চালু করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ঝিনাইদহে কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৫ টাকা কেজি দরে কার্ডের মাধ্যমে পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছানোর কথা থাকলেও, কিছু অসাধু ডিলারের যোগসাজশে এসব চাল স্থানীয় চালকল মালিকদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গরিবের জন্য বরাদ্দকৃত চাল নিয়ে যেসব ডিলাররা অনিয়ম করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঝিনাইদহের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধিকাংশ ডিলার আত্মগোপনে চলে যান। পরে জেলা প্রশাসক জেলার ৬টি পৌরসভাসহ মোট ৬৭টি ইউনিয়নে নতুন ডিলার নিয়োগ দেন।
তবে অভিযোগ উঠেছে, নতুন ডিলারদের মাধ্যমেও অনিয়ম অব্যাহত আছে। ভোররাত থেকেই শ্রমজীবী, রিকশাচালক, ভ্যানচালক ও দিনমজুরসহ নিম্ন-আয়ের মানুষ ডিলারদের দোকানে দাঁড়িয়ে চাল কিনতে আসেন। কিন্তু তারা খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন, কারণ দোকান খোলার আগেই তাদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল 'গায়েব' হয়ে যাচ্ছে।
শৈলকুপা, হরিণাকুণ্ডু ও সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলাররা রাতের আঁধারে ১৫ টাকা দরের চাল ৩০ টাকা কেজি দরে স্থানীয় চালকল মালিকদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। সম্প্রতি সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়ন পরিষদের ডিলার সাকিব আহমদ এক পিকআপ চাল হাটগোপালপুর এলাকার 'শুভ প্রগতি অ্যাগ্রো ফুড' নামের এক চালকল মালিকের কাছে বিক্রি করার ঘটনায় জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা খাদ্য বিভাগে কর্মরত এক কর্মকর্তা জানান, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ডিলারদের চাল বিক্রি করার কথা। কিন্তু কিছু অসাধু ট্যাগ অফিসারের সঙ্গে ডিলাররা যোগসাজশ করে গরিবের জন্য বরাদ্দকৃত চাল চালকল মালিকদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন, যা বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
নারিকেলবাড়িয়া এলাকার ভ্যানচালক সোবাহান বিশ্বাস অভিযোগ করেন, "আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি। তবে ডিলাররা আমাদের বরাদ্দকৃত চালের চেয়ে কম পরিমাণ নিতে বলেন। আবার অনেক সময় বলেন, চাল শেষ হয়ে গেছে। পরে গিয়ে দেখি ওই চাল বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।"
মানবাধিকারকর্মী চন্দন বসু এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "আগের সরকারের সময়েও গরিবের চাল নিয়ে নয়ছয় করতে দেখেছি। এখনো সে ঘটনাই ঘটছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নজরদারি করা প্রয়োজন।"
জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন অবশ্য এই ঘটনাকে 'তুচ্ছ' বলে মন্তব্য করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুবীর নাথ চৌধুরি বলেন, "সম্প্রতি কয়েকটি ডিলারের বিষয়ে আমরা এ ধরনের তথ্য পেয়েছি। এ নিয়ে খাদ্য বিভাগের একাধিক টিম কাজ করছে।" তিনি আরও নিশ্চিত করেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে যেসব ডিলার অনিয়ম করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত:
- আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ যেসব এলাকায়
- জানুন আজ কোথায় কোন মার্কেট বন্ধ
- ইসরায়েলের নেতাদের জন্মনাম ও পরিচয় পরিবর্তনের যত কারণ
- ‘নতুন কুঁড়ি’-তে ফিরলেন আসিফ আকবর
- আলুর দাম ২৬ টাকা থেকে নেমে ৮ টাকায়, দিশেহারা ৬০ হাজার চাষি
- “যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সবাই মেনে নিন”— ঐক্যের বার্তা তারেক রহমানের
- ‘খাবারোভস্ক’ উন্মোচন: রাশিয়ার পানির নিচে নতুন প্রলয়াস্ত্রের যুগ শুরু
- ০৩ নভেম্বর: ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার চলছে: তারেক রহমান
- ত্বকের যত্ন মানে দামি ক্রিম নয়,আপনার দৈনন্দিন যে ৬টি ভুল ত্বককে ক্ষতি করছে
- উচ্চকক্ষ আর নিম্ন কক্ষের ব্যবধান করলে গরুর মতোই এমপিদের দরকষাকষি শুরু হবে: ফুয়াদ
- বিদেশি ‘সরকার পরিবর্তন বা জাতি গঠনের’ মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড
- আইন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল এনসিপি
- আইন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল এনসিপি
- ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা জানালেন ইসি সচিব
- ড. ইউনুস বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিমের মধ্যে ৫০তম
- ১২১তম ১০০ টাকা প্রাইজবন্ড ড্র, প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা
- জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ধৈর্য নবীজি (সাঃ) এর হাদিস ও কোরআনের আলোকে গুরুত্ব
- উত্তর বাড্ডার এক বাসা থেকে নারী-পুরুষের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
- সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে নির্বাচন নয় জামায়াত নেতার কঠোর বার্তা
- পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থ পাচারের মামলা
- ধানের শীষ-শাপলা কলি: ত্রয়োদশ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
- এলপি গ্যাস ও অটোগ্যাসে দাম কমানো হলো যত টাকা
- বেসরকারি ব্যাংক ঘিরে প্রবাসী রেমিট্যান্সের মূল প্রবাহ
- শরীয়তপুরে আবারও দুই পক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষ
- ইসরায়েলের হামলা ও সীমিত হিউম্যানিটেরিয়ান সাহায্য: গাজা-লেবাননে নতুন উত্তেজনা
- ‘আল্লাহ ও তাঁর রসুলকে রেখেছি’: আশারাতুল মুবাশশারার অন্তর্ভুক্ত প্রথম খলিফার গল্প
- মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সমস্যাসমূহ: থেরাপি, ওষুধ ও মানসিক রোগ নির্ণয়ের “অযাচিত ক্ষতি”
- স্বল্প খরচে বিদেশ ভ্রমণ সাশ্রয়ী ভিসা ও কম খরচে ঘোরার সেরা ৫ দেশ
- পানিতে ডুবে মরা ভালো' চুপ্পুর হাতে জুলাই সনদ গ্রহণের চেয়ে: হাসনাত
- ‘গণভোট নিয়ে তর্ক বন্ধ করুন’- বিএনপি–জামায়াতকে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- বাড্ডায় দারোয়ান ও তাঁর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, মৃত্যুর রহস্যে ধোঁয়াশা
- ৮ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণে বোর্ডের সময়সূচি প্রকাশ
- প্রেসিডেন্টের আদেশ মানে জুলাই বিপ্লবের কফিনে শেষ পেরেক: নাহিদ
- ক্যান্সার কি আপনার শরীরে বাসা বাঁধছে প্রাথমিক অবস্থায় দেখা যাওয়া ৫টি লক্ষণ
- আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে শতাধিক নেতাকর্মীর যোগদান
- প্রতীকের বিতর্ক শেষ ইসির শাপলা কলি নিতে সম্মত হলো এনসিপি
- বার্সেলোনার তারকা ইয়ামালের প্রেম ভেঙেছে, বাবা দিলেন বিয়ের ঘোষণা
- ৩০০ আসনে প্রার্থিতার পরিকল্পনা করছে এনসিপি
- গিজার পিরামিডের পাশেই নতুন স্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘরে কী আছে
- শফিকুর রহমানের ওপর আস্থা রাখল জামায়াত টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
- চীন সরকারের নজিরবিহীন সফলতা ৩০০ মিলিয়ন ভিজিটরের চোখে অন্য শিনচিয়াং
- বিশ্ব ইজতেমার সময় পরিবর্তন ঝুঁকি এড়াতে সরকার কী কৌশল নিল,জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
- ২৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ প্রভাবে ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
- আজকের বাজারের সেরা এবং খারাপ পারফরমার: লাভের সম্ভাবনা কোথায়?
- চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আবারও পর্দায় পূজা চেরি
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় বাবা হারানো: দুই শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্ত্রীর আকুল আবেদন
- ২৮ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ








