শহিদদের ঋণ পরিশোধের সময় এখনই—তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০১ ২১:১২:৫২
শহিদদের ঋণ পরিশোধের সময় এখনই—তারেক রহমান

গণতান্ত্রিক-মানবিক বাংলাদেশ গড়ে শহিদদের ঋণ পরিশোধের এখনই সময়—এই আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “জনগণের বাংলাদেশে, জনগণের সরাসরি ভোটে, জনগণের প্রতি জবাবদিহিমূলক নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে; লাখো শহিদের কাঙ্ক্ষিত একটি ইনসাফভিত্তিক, গণতান্ত্রিক, মানবিক বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়েই শহিদদের প্রতি আমাদের ঋণ পরিশোধের সময় এখনই।”

আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত “গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা” শীর্ষক বিএনপির আলোচনা সভা ও শহিদ পরিবারের সম্মানে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ বক্তব্য দেন।

এটি ছিল বিএনপির ঘোষিত ৩৬ দিনের কর্মসূচির প্রথম আয়োজন, যা জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানটি কেবল স্মরণ নয়, বরং বিএনপির দৃষ্টিতে নতুন রাজনৈতিক অভিযাত্রার সূচনাবিন্দু হিসেবেও বিবেচিত। এই আয়োজনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও পেশাজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী। তিনি জানান, “গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গুলশানের বাসা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বলে আশা করছি।”

উল্লেখযোগ্য যে, বিএনপি ইতোমধ্যে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে যে ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে রয়েছে—বিজয় মিছিল, মৌন মিছিল, ছাত্র সমাবেশ, আলোচনা সভা, সেমিনার, রক্তদান কর্মসূচি, গ্রাফিতি অঙ্কন, পথনাটক, ফুটবল টুর্নামেন্ট, শিশু অধিকারবিষয়ক অনুষ্ঠান এবং ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিসহ অন্তত ২২টি ভিন্নধর্মী আয়োজন।

এই কর্মসূচির সূচনা হয় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। “আলোয় আলোয় স্মৃতি সমুজ্জ্বল” শিরোনামের এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির বর্ষপূর্তি কর্মসূচির সূচনা ঘটে।

এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিএনপি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—তাদের লক্ষ্য শুধু অতীতকে স্মরণ করা নয়, বরং শহিদদের আত্মত্যাগের আলোকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গঠনের জন্য একটি নতুন গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা শুরু করা। তারেক রহমানের বক্তব্যে উচ্চারিত “গণতান্ত্রিক-মানবিক বাংলাদেশ” গড়ার ডাক শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয়, বরং তা শহিদদের প্রতি জাতির দায়বদ্ধতা রূপে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ