শহিদদের ঋণ পরিশোধের সময় এখনই—তারেক রহমান

গণতান্ত্রিক-মানবিক বাংলাদেশ গড়ে শহিদদের ঋণ পরিশোধের এখনই সময়—এই আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “জনগণের বাংলাদেশে, জনগণের সরাসরি ভোটে, জনগণের প্রতি জবাবদিহিমূলক নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে; লাখো শহিদের কাঙ্ক্ষিত একটি ইনসাফভিত্তিক, গণতান্ত্রিক, মানবিক বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়েই শহিদদের প্রতি আমাদের ঋণ পরিশোধের সময় এখনই।”
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত “গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা” শীর্ষক বিএনপির আলোচনা সভা ও শহিদ পরিবারের সম্মানে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ বক্তব্য দেন।
এটি ছিল বিএনপির ঘোষিত ৩৬ দিনের কর্মসূচির প্রথম আয়োজন, যা জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে উদ্যাপন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানটি কেবল স্মরণ নয়, বরং বিএনপির দৃষ্টিতে নতুন রাজনৈতিক অভিযাত্রার সূচনাবিন্দু হিসেবেও বিবেচিত। এই আয়োজনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও পেশাজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী। তিনি জানান, “গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গুলশানের বাসা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বলে আশা করছি।”
উল্লেখযোগ্য যে, বিএনপি ইতোমধ্যে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে যে ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে রয়েছে—বিজয় মিছিল, মৌন মিছিল, ছাত্র সমাবেশ, আলোচনা সভা, সেমিনার, রক্তদান কর্মসূচি, গ্রাফিতি অঙ্কন, পথনাটক, ফুটবল টুর্নামেন্ট, শিশু অধিকারবিষয়ক অনুষ্ঠান এবং ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিসহ অন্তত ২২টি ভিন্নধর্মী আয়োজন।
এই কর্মসূচির সূচনা হয় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। “আলোয় আলোয় স্মৃতি সমুজ্জ্বল” শিরোনামের এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির বর্ষপূর্তি কর্মসূচির সূচনা ঘটে।
এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিএনপি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—তাদের লক্ষ্য শুধু অতীতকে স্মরণ করা নয়, বরং শহিদদের আত্মত্যাগের আলোকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গঠনের জন্য একটি নতুন গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা শুরু করা। তারেক রহমানের বক্তব্যে উচ্চারিত “গণতান্ত্রিক-মানবিক বাংলাদেশ” গড়ার ডাক শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয়, বরং তা শহিদদের প্রতি জাতির দায়বদ্ধতা রূপে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
অমীমাংসিত ইস্যু সরকারের বিষয়, মুসলিম বিশ্বের ঐক্য শক্তিশালী করার আহ্বান জামায়াতের
ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের অমীমাংসিত ইস্যুগুলো দুই দেশের সরকারের বিষয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত সে বিষয়ে মন্তব্য করতে চায় না। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, উপযুক্ত পরিবেশে সরকার এসব বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধানে পৌঁছাবে। শনিবার বিকেলে পাকিস্তান হাইকমিশনে আয়োজিত বৈঠকে জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয় এবং বৈঠকে বিভিন্ন আঞ্চলিক, রাজনৈতিক ও কৌশলগত ইস্যু উঠে আসে।
তাহের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি গত ১৫ বছরে একপেশে হয়ে পড়েছিল। এ সময়ে ভারতের প্রতি অতিরিক্ত ঝুঁকে থাকা নীতি পাকিস্তানসহ অন্যান্য প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ককে অনেকাংশে সীমিত করে রেখেছিল। তবে বর্তমান বাস্তবতায় বাংলাদেশের জন্য সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক অপরিহার্য। তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রশ্নে দুই পক্ষই জোর দিয়েছে যে, ভবিষ্যতে আঞ্চলিক সম্পর্ক হবে সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে, যেখানে কোনো আধিপত্যবাদ বা কর্তৃত্ববাদী মনোভাব থাকবে না।
বৈঠকে মূলত আলোচিত হয়েছে আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে সহযোগিতা, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) পুনরুজ্জীবনের পথ এবং মুসলিম বিশ্বে ঐক্য বৃদ্ধির কৌশল। সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের জানিয়েছেন, সার্ক কার্যত ভারতের কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে, অথচ দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সংহতির জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্ম। তাই পাকিস্তান ও বাংলাদেশ উভয়েই এ জোটকে নতুন করে সক্রিয় ও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
একাত্তরের অমীমাংসিত ইস্যু প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তাহের বলেন, এটি বাংলাদেশের সরকার এবং পাকিস্তান সরকারের আলোচনার বিষয়। জামায়াত আশা করে সরকার সেই আলোচনায় যথাযথভাবে বিষয়গুলো তুলবে। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন এবং অবিভাজিত পাকিস্তানের সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা। তিনি উল্লেখ করেন, এসব ইস্যু সম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালেও সেগুলো সমাধান হলে ভবিষ্যতের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচন প্রসঙ্গ বৈঠকে প্রাসঙ্গিকভাবে এসেছে, তবে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। তবে তিনি স্পষ্ট করে জানান যে, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, নির্বাচন ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এবং সেগুলো সমাধান করতে হবে দেশীয় রাজনৈতিক ঐকমত্যের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, বৈঠকে মুসলিম বিশ্বে ন্যায় ও মানবতার পক্ষে অবস্থান গ্রহণ, মুসলিম জনগণের ওপর চলমান বৈশ্বিক আগ্রাসন মোকাবিলা এবং মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ঐক্য জোরদার করার বিষয়গুলো বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে। তার ভাষায়, মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ভ্রাতৃত্ব শুধু রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক সীমায় আবদ্ধ নয়, বরং এটি ন্যায়বিচার, মানবিকতা এবং সম্মিলিত অগ্রগতির ভিত্তিতে দাঁড়াতে হবে।
সব মিলিয়ে জামায়াতে ইসলামী মনে করে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করার সুযোগ রয়েছে। তবে এর জন্য সরকারের কূটনৈতিক দক্ষতা, ঐতিহাসিক ইস্যুগুলোর সমাধান এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাস্তবতায় সমন্বিত নীতির প্রয়োজন। তাহেরের বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে যে, আস্থা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্কই দুই দেশের জনগণের জন্য প্রকৃত সুফল বয়ে আনতে পারে।
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নতুনভাবে ভাবতে চায় এনসিপি, ৭১-এর অমীমাংসিত ইস্যু সমাধানের আহ্বান
বাংলাদেশের জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনে করে, অতীতের বৈরী ইতিহাস ও তিক্ত অভিজ্ঞতার গণ্ডি পেরিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি। তবে দলটির মতে, এ সম্পর্ককে অর্থবহ ও টেকসই করতে হলে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ-সংক্রান্ত অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সমাধান অবশ্যই করতে হবে। শনিবার বিকেলে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনে সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে এনসিপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। বৈঠক শেষে দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পাকিস্তান সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণের ধারণা এবং প্রত্যাশা তারা তুলে ধরেছেন। অতীতে শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক থাকলেও তা কাটিয়ে উঠে সুসম্পর্কের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ৭১-এর বিষয়টি কোনোভাবেই উপেক্ষিত হতে পারে না। সম্পর্ক উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে। তার ভাষায়, জনগণের পারসেপশন সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয়, তাই পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনো ধরনের সম্পর্ক সম্প্রসারণের আগে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন এবং অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে এখনো সমাধান হয়নি তিনটি ঐতিহাসিক বিষয়—মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, বাংলাদেশে আটকে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের প্রত্যাবাসন এবং অবিভাজিত পাকিস্তানের সম্পদে বাংলাদেশের প্রাপ্য অংশ হস্তান্তর। গত এপ্রিলে ঢাকা বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকার বিষয়গুলো উত্থাপন করেছিল। রোববারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেও এ ইস্যুগুলো আলোচনায় আসবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, তারা পাকিস্তানপক্ষকে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ৭১ ইস্যুর দ্রুত সমাধান জরুরি, আর পাকিস্তান জানিয়েছে তারা এ ব্যাপারে প্রস্তুত। আলোচনায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা, নদী ব্যবস্থাপনা এবং ওষুধশিল্পসহ নানা খাতের সহযোগিতা সম্ভাবনা উঠে এসেছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচি, পাকিস্তানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন, প্রতিরক্ষা খাতে অভিজ্ঞতা বিনিময় ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে। একই সঙ্গে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে যে পরিবর্তন এসেছে, সেই বিষয়গুলোও আলোচনায় উঠে এসেছে। দক্ষিণ এশিয়ার সম্পর্কগুলোকে সমান মর্যাদা, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং অ-আধিপত্যবাদী মনোভাবের ভিত্তিতে এগিয়ে নেওয়া উচিত বলেও এনসিপি নেতারা মত প্রকাশ করেছেন।
সার্ক প্রসঙ্গে এনসিপি নেতারা জানান, ভারতের কারণে সংগঠনটি কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। তাই পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর যৌথ উদ্যোগে সার্ককে কীভাবে আরও কার্যকর করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তানের আঞ্চলিক প্রভাব এবং পারমাণবিক শক্তি হিসেবে তার ভূমিকার কথাও আলোচনায় উঠে এসেছে। সব মিলিয়ে এনসিপির বার্তাটি স্পষ্ট—বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ আছে, তবে সেটি হবে কেবল তখনই যখন ৭১-এর অমীমাংসিত তিনটি ইস্যুর যথাযথ সমাধান হবে, আর পাশাপাশি শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
বিএনপি থেকে নির্বাচন করবেন মাহফুজ? যা বললেন বাবা
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বিএনপি থেকে নির্বাচন করবেন এমন গুঞ্জন উঠেছে। এ বিষয়ে কথা বলেছেন মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমান।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান আজিজুর রহমান। তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভোটের মাধ্যমে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
এক প্রশ্নের জবাবে আজিজুর রহমান বলেন, তিনি নব্বই সাল থেকে বিএনপির রাজনীতি করছেন এবং বিগত ১৫ বছর ৬ মাস দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন।
উপদেষ্টা মাহফুজ নির্বাচন করবেন এমন গুঞ্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "মাহফুজ নির্বাচন করবে কি না পারিবারিকভাবে আলোচনা হয়নি। এ বিষয়ে আমি অবগত নই। আসলে সময়ের পরিক্রমা বলবে কী করব- সেটা একটি জটিল কথা।"
জনগণের আকাঙ্ক্ষা যে দল বুঝবে না, তার ভবিষ্যৎ নেই: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর যে রাজনৈতিক দল জনগণের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে পারবে না, তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জিয়াউর রহমান স্টাডি সার্কেলের (যুক্তরাষ্ট্র) উদ্যোগে ‘ফ্যাসিস্ট আমলে গণমাধ্যম, বর্তমান অবস্থা: জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, অনেক সাংবাদিক দেশ ছেড়ে চলে গেছেন, অনেকে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এর কারণ হলো দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মিডিয়া ও রাজনীতিবিদদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, কিন্তু ক্ষমতা দখলকারী সরকারে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকবে তা আশা করা যায় না।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আশিক ইসলাম। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পথ রুদ্ধ করতে আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের অধীনে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৪৩৬টি মামলা হয় এবং কমপক্ষে ৪ হাজার ৫২০ জনকে আসামি করা হয়। এ আইনে ওই ৫ বছরে কমপক্ষে ৪৫১ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর মধ্যে ৯৭ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দীন হায়দার, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার উপপ্রধান বার্তা সম্পাদক জিএম রাজিব হোসেন প্রমুখ।
দেশের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে দখলের: মির্জা ফখরুল
দেশের রাজনৈতিক সংকটের পেছনে ভয়াবহ দুর্নীতিকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এখানে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাজ নিয়ে নিয়েছেন সংসদ সদস্য; যেটা তার কাজ নয়। আইন প্রণয়নের বদলে রাস্তা উন্নয়ন, ভবন উন্নয়ন, এমনকি গাড়ি কেনা হবে কি না, সেটা নিয়েও কথা বলেছেন তারা। রাষ্ট্রের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে দখলের।শনিবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে অর্পণ আলোক সংঘ কর্তৃক আয়োজিত ‘সামাজিক সুরক্ষা কতটা সুরক্ষিত?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মীদের সংগঠন অর্পণ আলোক সংঘ সভাটি আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তিনি আশাবাদী; হতাশ হতে চান না। তবে তারপরও হতাশ হতে হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমি যখন একটা প্রগতিবাদী সমাজ দেখতে চাই, যখন একটা মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থা চাই, আমি যখন জনগণের বৈষম্য কমিয়ে আনতে চাই...তখন যদি দেখি যে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ভিন্ন চিন্তা করা হচ্ছে, সেটাকে ডাইভার্ট করার চেষ্টা হচ্ছে, মানুষের চিন্তা ভাবনাগুলোকে এবং একটা উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন তো হতাশা আসবেই।’
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেড় বছরে সেই ক্ষতি পূরণ হবে, এমনটা ভাবা যাবে না।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, অর্থনীতিবিদ এম মাসরুর রিয়াজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু প্রমুখ।
ডিজিএফআই ও বসুন্ধরা গ্রুপের প্রভাবে স্বাধীন সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা বা হত্যার বিচার হয় না, ফলে তারা এক অনিশ্চিত জীবনে বাস করেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন।
পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, দেশে টেলিভিশনের জন্য আলাদা কোনো আইন না থাকায় সরকার চাইলে যেকোনো সময় চ্যানেল বন্ধ করে দিতে পারে। তিনি আরও বলেন, অনলাইন ও টিভি মাধ্যমে কোনো নির্ধারিত বেতন কাঠামো নেই। ঢাকায় অনেক সাংবাদিক মাসে মাত্র ৮-১০ হাজার টাকা পান। আর মফস্বলের অধিকাংশ সাংবাদিক কোনো বেতনই পান না, বরং অনেক সময় আইডি কার্ড পাওয়ার জন্য উলটো টাকা দিতে হয়।
তিনি উল্লেখ করেন, পত্রিকাগুলো এখনো ২০১৩ সালের অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনুসরণ করে, তবে সেটিও বাধ্যতামূলক নয়। ফলে অধিকাংশ মালিক তা মানেন না। যেখানে বেতন দেওয়া হয়, সেখানেও ৪-৫ মাস বকেয়া থাকা অস্বাভাবিক নয়। চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই এবং মালিক চাইলে যেকোনো সময় ছাঁটাই করতে পারেন।
স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে বড় বাধা হিসেবে এই এনসিপি নেতা রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন, বিশেষ করে ডিজিএফআই-এর প্রভাব স্পষ্ট বলে তিনি জানান। তাদের নির্দেশ না মানলে বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে যায়, মালিকদের অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হয় এবং নানা ধরনের হয়রানির মুখে পড়তে হয়। এর সঙ্গে রয়েছে কর্পোরেট নেক্সাস, যেখানে বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া সন্ত্রাস অনেককেই আত্মসমর্পণে বাধ্য করে।
/আশিক
দেশের জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন জরুরি: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ দেশ গড়ার জন্য জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে। প্রচলিত নির্বাচন ব্যবস্থা কালো টাকা, পেশিশক্তি ও ভোট জালিয়াতির সুযোগ দেয়, যা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার এবং চাঁদাবাজির জন্ম দেয়। তাই দেশের জন্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন দেওয়া জরুরি।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন।
সমাবেশে সাত দফা ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক সংস্কার, পিআর ভিত্তিক নির্বাচন, জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের আইনিভিত্তি, নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং চাঁদাবাজি বন্ধ।
ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইউসুফ আহমদ মানসুরের সভাপতিত্বে চরমোনাই পীর বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার গণভোটের মাধ্যমে জনগণের পিআর চাওয়ার ইচ্ছা জানতে পারে। নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হতে হবে।”
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) মন্তব্য করেন, মৌলবাদ নিয়ে তার বক্তব্য এবং তারেক রহমান ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্যে মূলত কোনো পার্থক্য নেই। তিনি বলেন, যারা আজ মৌলবাদকে সমালোচনা করেন, তারা একসময় ডানপন্থীদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
/আশিক
আওয়ামী লীগ থেকে একসঙ্গে ৮ নেতার পদত্যাগ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আটজন নেতা দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ননীক্ষীর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা নিজেদের পদত্যাগের কথা প্রকাশ করেন।
পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন ননীক্ষীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনোজ মৌলিক ও কাজী মিজানুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক রাসেল শেখ, সদস্য স্বপন শেখ, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুর আলম মিয়া, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক সুবল রায়, ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আক্কাস চোকদার এবং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জলিল কাজী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে মনোজ মৌলিক জানান, তারা স্বেচ্ছায় আওয়ামী লীগের পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। তিনি বলেন, “আমরা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবো। রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবো। আজ থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না। আমাদের পদত্যাগপত্র উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হায়দার হোসেন বলেন, সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ ঘোষণা দিলেই তা আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ হিসেবে গণ্য হয় না। নিয়ম অনুযায়ী, ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের ইউনিয়ন কমিটির কাছে এবং ইউনিয়ন কমিটির নেতাদের উপজেলা কমিটির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয়। তিনি আরও দাবি করেন, যারা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তারা মূলত আওয়ামী লীগের সময় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, বিশেষ করে সারের ডিলারশিপ ও ব্যবসায়িক সুবিধা নিয়েছেন। তাদের গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভূমিকা ছিল না। হায়দার হোসেন মন্তব্য করেন, “এমন সুবিধাভোগী নেতা দুইশ’জন পদত্যাগ করলেও আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি হবে না।”
-রাফসান
ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্বে জয়ী মাহফুজ আলমের বাবা
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু। সদস্যদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তিনি এই পদে জয়ী হন। এর আগে তিনি একই ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ভোট গণনা শেষে জানা যায়, আজিজুর রহমান বাচ্চু মোরগ প্রতীকে ২৬৬ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে মো. অলি উল্যা জয়লাভ করেন; তিনি ছাতা প্রতীকে ২৫৫ ভোট অর্জন করেন। অন্যদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট নির্বাচিত হন; তিনি মাছ প্রতীকে ২৪১ ভোট পান।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে ইছাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন মোট ৪৫৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচন ছিল সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।
ইউনিয়ন প্রতিনিধি নির্বাচনের এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ইমাম হোসেন, এবং ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এল রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, এ ধরনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচন হলে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে এবং তৃণমূলের সাথে নেতৃত্বের সম্পর্ক গভীরতর হবে।
-রফিক
পাঠকের মতামত:
- মাহাথির মোহাম্মদ ও মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক রূপান্তর: নীতি, সংস্কার ও উত্তরাধিকার
- অমীমাংসিত ইস্যু সরকারের বিষয়, মুসলিম বিশ্বের ঐক্য শক্তিশালী করার আহ্বান জামায়াতের
- পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নতুনভাবে ভাবতে চায় এনসিপি, ৭১-এর অমীমাংসিত ইস্যু সমাধানের আহ্বান
- বিএনপি থেকে নির্বাচন করবেন মাহফুজ? যা বললেন বাবা
- কুকুরকে খাবার দেওয়ায় নারীকে বেধড়ক মারধর, ভিডিও ভাইরাল
- প্রকৃতিবিরোধী কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বরদাশত করা হবে না: রিজওয়ানা হাসান
- ম্যানসিটি বনাম টটেনহাম: ইতিহাদে ফের বিধ্বস্ত সিটিজেনরা
- মওলানা ভাসানী সেতু: ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার তার চুরি
- যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার জন্য নেতানিয়াহু আলোচনা ভণ্ডুল করছেন: হামাস
- বিশ্বে এমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগে দেখা যায়নি: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, মনে করেন প্রধান নির্বাচক
- জনগণের আকাঙ্ক্ষা যে দল বুঝবে না, তার ভবিষ্যৎ নেই: আমীর খসরু
- বঙ্গোপসাগরে নৌকাসহ বাংলাদেশি ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল 'আরাকান আর্মি
- দেশের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে দখলের: মির্জা ফখরুল
- খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে তার বাসভবনে যাবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঢাকার অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত দুটি এলাকা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নির্বাচনের প্রস্তুতি: ২৫ আগস্টের মধ্যে ব্যালট বাক্সের হিসাব চাইল ইসি
- ১৩ বছর পর ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- শিশুদের সুরক্ষায় নতুন নোকিয়া ফোন: 'নগ্ন ছবি' ব্লক করবে এআই
- হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার: গ্রুপ কল শিডিউল করার সুযোগ!
- মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ৩৩ দিন পর মৃত্যুর কাছে হার মানল দগ্ধ শিক্ষার্থী তাসনিয়া
- খুলনায় ডুমুরিয়ায়া বাড়িতে ঢুকে যুবদল নেতাকে হত্যা
- ডিজিএফআই ও বসুন্ধরা গ্রুপের প্রভাবে স্বাধীন সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- কোনো কেন্দ্র দখল করলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল:সিইসি
- আমদানি ব্যয় ৮০ টাকা, খুচরায় ৩০০: কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে চলছে কারসাজি
- ‘মোদির বিরুদ্ধে মিছিল করা বাহার এখন মেয়েকে নিয়ে কলকাতায়’
- বেশি ভিউয়ের লোভে তরুণী সেজে ভিডিও বানাতেন টিকটকার, গ্রেপ্তার
- ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম গ্রেপ্তার
- হৃদপিণ্ডের দুর্বলতার লক্ষণ: জেনে নিন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ
- জেনে নিন আজকের স্বর্ণের বাজারদর: এক ভরি স্বর্ণ কিনতে কত টাকা লাগবে?
- ‘ক্রাশের’ স্বামীকে হত্যা করতে গুগলের সাহায্য নিয়ে বোমা বানালেন প্রেমিক!
- ‘সীমিত আয়ের মানুষ খাবেটা কী?’: ইলিশের পর পটোলের দামও আকাশছোঁয়া
- সামিট গ্রুপ: কালো টাকা সাদা করার আন্তর্জাতিক কৌশল
- গভীর সংকটে দেশের ব্যাংক খাত: মূলধন সংরক্ষণে দক্ষিণ এশিয়ায় তলানিতে বাংলাদেশ
- গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সৌদি আরব
- টিভিতে আজকের খেলা: এক নজরে ক্রিকেট ও ফুটবলের সূচি
- দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, অতি ভারি বর্ষণেরও সম্ভাবনা
- দেশের জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন জরুরি: চরমোনাই পীর
- গাজায় ইসরাইলের হামলা বৃদ্ধি, গত একদিনে আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
- মেঘনার বুকে ভেসে উঠল নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের লাশ, স্তব্ধ পরিবার-সহকর্মীরা
- শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে গণমাধ্যমকে সতর্ক করল অন্তর্বর্তী সরকার
- আওয়ামী লীগ থেকে একসঙ্গে ৮ নেতার পদত্যাগ
- সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর জন্য সুখবর!
- ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্বে জয়ী মাহফুজ আলমের বাবা
- বিএসএফের হাতে বিজিবি সদস্য আটক
- বাউফলে এএসপির বাসায় চাঁদাবাজি, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
- রাজধানীর বাজারে সবজির আগুন, খালি হাতে ফিরছেন অনেকে
- জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সম্মেলনের উদ্যোগে ইউনূস
- গাজা শহর দখলের চূড়ান্ত নির্দেশ নেতানিয়াহুর
- আগে গণপরিষদ নির্বাচন ও সংবিধান সংশোধন, তারপর জাতীয় নির্বাচন: আখতার হোসেন
- একাদশে ভর্তি: প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ হলো,যেভাবে দেখবেন
- ফেসবুক পোস্টে রনির বিরুদ্ধে জুলকারনাইন সায়েরের ক্ষোভ
- ১৭ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- শেয়ারবাজারে বেক্সিমকো ও ইসলামী ব্যাংকের সর্বশেষ দর-বদলের চিত্র
- আল্লাহ আমাকে পাকিস্তানের অভিভাবক বানিয়েছেন,প্রেসিডেন্ট হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নেই: মুনির
- আলবার্ট আইনস্টাইনের শেষ মুহূর্ত: এক ছবিতে ধরা পড়ল এক যুগের অবসান
- আখেরি চাহার শোম্বা: সফর মাসের শেষ বুধবারের ইতিহাস ও তাৎপর্য
- দেশের স্বর্ণের বাজার স্থিতিশীল, জানুন ভরি প্রতি দাম
- জিআইবি জানালো আইপিও অর্থ ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতার কারণ
- খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- রহিমা ফুডসের শেয়ার মালিকানা বদল
- সপ্তাহ শুরুতেই ডিএসইতে উত্থান, সূচক ও লেনদেনে চাঙ্গাভাব
- পিকাসো থেকে নিকোলস: প্রতিভা, সংগ্রাম আর অর্থপূর্ণ জীবনের দিশা
- ১৮ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- ১৮ আগস্ট ডিএসইর দরপতনের শীর্ষ দশ শেয়ার