নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ? ইলন মাস্কের মন্তব্যে উত্তাল ওয়াশিংটন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক নিরাপত্তা যাচাই প্রক্রিয়া ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক সরকারি কর্মী পরিচালক সার্জিও গরকে ‘সাপ’ বলে মন্তব্য করেন। বুধবার (১৮ জুন) প্রকাশিত সেই পোস্টে মাস্ক লিখেছেন, “He is a snake”, যা তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিন রাজনীতিতে আলোচনার জন্ম দেয়।
জানা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের আমলে সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তা যাচাইয়ের দায়িত্বে থাকা সার্জিও গর নিজেই এখনও স্থায়ী নিরাপত্তা ছাড়পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেননি। বিষয়টি প্রথম প্রকাশ করে নিউইয়র্ক পোস্ট, যা পরবর্তীতে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের জন্ম দেয়। বিষয়টি যে কেবল প্রশাসনিক নয়, বরং এর পেছনে গভীর রাজনৈতিক মতানৈক্য কাজ করছে—তা মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মাস্ক ও মার্কিন প্রশাসনের মধ্যকার টানাপোড়েন নতুন নয়। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে মাস্কের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জারেড আইজ্যাকম্যানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ সংস্থার প্রধান হিসেবে নিয়োগ না দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে। গুঞ্জন রয়েছে, এই নিয়োগের বিপক্ষে অবস্থান নিতে সার্জিও গর মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন। তবে কিছু রিপাবলিকান সিনেটরের দাবি, আইজ্যাকম্যান অতীতে ডেমোক্রেটিক পার্টিকে অর্থ সহায়তা দিয়েছিলেন বলেই তাকে নিয়োগ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মাস্ক ও ট্রাম্পের সম্পর্ক এক সময় ছিল সহযোগিতামূলক। কিন্তু মে মাসের শেষদিকে ইলন মাস্ক প্রকাশ্যে ট্রাম্পের বাজেট প্রস্তাবকে ‘ঘৃণ্য’ বলে মন্তব্য করার পর থেকে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ট্রাম্প এরপর পাল্টা হুমকি দেন যে, মাস্কের ব্যবসায়িক চুক্তিগুলো বাতিল করে দেওয়া হতে পারে। মাস্কও জবাবে ট্রাম্পকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলেন এবং তার অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্কিত কিছু মন্তব্য করেন, যেগুলো পরে তিনি মুছে ফেলেন।
সম্প্রতি মাস্ক ট্রাম্পের অভিশংসনের আহ্বানকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানান এবং তিনি নিজেই একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সম্ভাবনার কথাও ইঙ্গিত দেন। ফলে বিষয়টি শুধু ব্যক্তিগত বিরোধ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন একটি শক্তির উদ্ভবের ইঙ্গিত হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দ্বন্দ্ব আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনের পরবর্তী মার্কিন রাজনীতির গতিপথকে প্রভাবিত করতে পারে।
—আশিক নিউজ ডেস্ক
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা
- জুলাই চার্টার ও জাতীয় ঐকমত্য: জামায়াতের অনুপস্থিতি কতটা যুক্তিসঙ্গত?
- রিজার্ভের দাপট: বিদ্যুৎ খাতের ১৪ কোম্পানি বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা
- বিশ্ববিদ্যালয় সংকট, বাজেট বৈষম্য ও শিক্ষায় ন্যায্যতার দাবি
- ইউনূস-তারেক ঐতিহাসিক ও সফল বৈঠক: সংস্কার, একতা ও ন্যায়বিচার— এই তিন স্তম্ভে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ
- উৎসব: ঈদের পর্দায় অনবদ্য এক উদযাপন
- Clash of Civilizations: মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের নতুন রূপরেখা
- মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যের নতুন কৌশল: চীন ও রাশিয়া কী করবে?
- লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠকের পরে পর পর ২টি স্ট্যাটাসে কি বললেন পিনাকী?
- ইসরায়েলে ইরানি মিসাইল, নিহত অন্তত ৭
- তুরস্ক, সৌদি, ইরান-পাকিস্তানের হাতে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন! কি হতে যাচ্ছে?
- ভোক্তার কষ্ট বুঝছে সরকার:বাণিজ্য উপদেষ্টা
- ইসরায়েল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সতর্কবার্তা
- ২৮ জুন ঢাকায় জনতার ঢল: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হবে মহাসমুদ্র!
- নির্বাচিত নারী, অলঙ্কার নয়: গণতন্ত্রে নারীর শক্তির সন্ধান