দখল-চাঁদাবাজিতে জড়ালে আপনিও আওয়ামী লীগ: ফখরুলের সতর্ক বার্তা
.jpg)
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যদি কেউ জোর করে দখল কিংবা চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হন, তবে তাকেও 'আওয়ামী লীগ' হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। কারণ বিএনপি এমন অনৈতিকতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেই টিকে আছে। বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীতে দলের এক কর্মীসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা যেন মানুষকে ভয় দেখিয়ে, চাঁদাবাজি করে বা জোর করে কোনো সম্পদ দখল না করেন। আমাদের লড়াই তো সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধেই। আমরা যদি সেই কাজগুলো করি, তাহলে আমরা আর আলাদা থাকি না, আমরাও তখন আওয়ামী লীগ হয়ে যাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনো আইন নিজের হাতে নিতে চাই না। মানুষের অধিকারকে হরণ করা যাবে না। যে সংগ্রাম আমরা করছি, তা হলো মানুষের জন্য, মানুষের ভোট ও অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য।”
সাম্প্রতিক লন্ডন বৈঠক প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “যখন রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলছিল, নির্বাচনের সময় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছিল, তখন এই বৈঠক দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, “আমরা বলেছিলাম, ডিসেম্বরে নির্বাচন চাই। ড. ইউনূস বলেছিলেন এপ্রিলে। কিন্তু আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলোচনার মাধ্যমে সময়টা ফেব্রুয়ারিতে নিয়ে এলেন। এর মধ্যেই বোঝা যায়, তিনি একটি জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। তিনি অনড় ছিলেন না, ছিলেন কৌশলী ও দায়িত্বশীল। সেটাই একজন সত্যিকারের দেশনায়কের বৈশিষ্ট্য।”
মির্জা ফখরুলের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, বিএনপি এখন আর শুধু সরকারের বিরুদ্ধে নয়, নিজেদের দলীয় কাঠামো ও আচরণেও শুদ্ধতা আনার প্রয়াস চালাচ্ছে। বিএনপি চায় না—ক্ষমতার লড়াইয়ে জয়ী হয়ে তারাও যেন ক্ষমতাসীনদের মতোই হয়ে যায়। সে কারণেই তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করছেন—জনগণের আস্থা অর্জন করতে হলে, আগে নিজেকে শুদ্ধ হতে হবে।
বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য এমন সময় এলো, যখন দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি নতুন ভারসাম্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির কৌশলগত অবস্থান এখন পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। এ পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুলের বার্তাটি শুধু নৈতিক অনুশাসন নয়, বরং একটি রাজনৈতিক কৌশলগত সতর্কবার্তা।
এ বক্তব্য রাজনৈতিক বাস্তবতায় নতুন করে ভাবনার খোরাক জোগায়—বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি কেবল প্রতিরোধেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং রাষ্ট্র পরিচালনার জন্যও তারা নিজেদেরকে প্রস্তুত করছে। আর সেই প্রস্তুতির প্রথম শর্ত—নৈতিক ভিত্তিতে দৃঢ় থাকা।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা
- শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!
- জুলাই চার্টার ও জাতীয় ঐকমত্য: জামায়াতের অনুপস্থিতি কতটা যুক্তিসঙ্গত?
- স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ
- রিজার্ভের দাপট: বিদ্যুৎ খাতের ১৪ কোম্পানি বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা
- ইউনূস-তারেক ঐতিহাসিক ও সফল বৈঠক: সংস্কার, একতা ও ন্যায়বিচার— এই তিন স্তম্ভে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ
- উৎসব: ঈদের পর্দায় অনবদ্য এক উদযাপন
- মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যের নতুন কৌশল: চীন ও রাশিয়া কী করবে?
- তিন মাসেই যে ১০ বেসরকারি ব্যাংকে ৩২ হাজার কোটি টাকার আমানত বৃদ্ধি!
- লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠকের পরে পর পর ২টি স্ট্যাটাসে কি বললেন পিনাকী?
- তুরস্ক, সৌদি, ইরান-পাকিস্তানের হাতে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন! কি হতে যাচ্ছে?
- ইসরায়েলে ইরানি মিসাইল, নিহত অন্তত ৭
- ইসরায়েল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সতর্কবার্তা
- ২৮ জুন ঢাকায় জনতার ঢল: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হবে মহাসমুদ্র!
- নির্বাচিত নারী, অলঙ্কার নয়: গণতন্ত্রে নারীর শক্তির সন্ধান