গণভোটে যেতে হবে যদি রাজনৈতিক ঐকমত্য না হয়: গাজী আতাউর রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৮ ২৩:০৯:২০
গণভোটে যেতে হবে যদি রাজনৈতিক ঐকমত্য না হয়: গাজী আতাউর রহমান

জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবে কিছু রাজনৈতিক দলের বিরোধিতাকে ‘রহস্যজনক’ আখ্যা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তাদের মতে, দেশে মৌলিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলো একমত না হলে, এ বিষয়ে গণভোটের মাধ্যমেই জনগণের রায় নেওয়া উচিত।

বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় দিনের বৈঠকে অংশ নেয় ইসলামী আন্দোলনের একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এবং যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, “দেশকে ভবিষ্যতের যেকোনো স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষায় মৌলিক রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কার এখন অপরিহার্য। প্রয়োজনীয় এই সংস্কারে যদি রাজনৈতিক ঐকমত্য না আসে, তাহলে গণভোটে যেতে হবে।”

তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে আরও বলেন, “যেসব রাজনৈতিক সংগঠন এতদিন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা ও শক্তিশালীকরণের পক্ষে কথা বলেছে, তারাই আজ জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে। বিশেষত, কিছু বামপন্থী সংগঠন বলছে—এখন না, পরে করা যেতে পারে। তাদের এমন অবস্থান আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছে।”

ইসলামী আন্দোলনের মতে, স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সরকার ধারাবাহিকভাবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বকীয়তা ক্ষুন্ন করেছে এবং দলীয়করণ করেছে। এই ধারাকে পাল্টাতে হলে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।

প্রস্তাবিত এনসিসি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মনে করছে দলটি।

গাজী আতাউর রহমান আরও বলেন, “যারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনভাবে কার্যকর দেখতে চান না, তারাই কেবল এনসিসি নিয়ে দ্বিমত করতে পারে। জনগণের অধিকারের প্রশ্নে আর সময়ক্ষেপণ করা চলে না।”

—আশিক নিউজ ডেস্ক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত