জেডি ভ্যান্সের ফোন: মোদিকে ‘উদ্বেগজনক’ গোয়েন্দা তথ্যের সতর্কতা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১২ ০৮:১৬:৫০
জেডি ভ্যান্সের ফোন: মোদিকে ‘উদ্বেগজনক’ গোয়েন্দা তথ্যের সতর্কতা

সত্য নিউজ: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলা নিয়ে বেড়ে ওঠা উত্তেজনা পর্যবেক্ষণ করছিল যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। গত শুক্রবার সকালে এই উত্তেজনার মধ্যে একটি ‘উদ্বেগজনক’ গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা জানিয়ে সতর্ক করেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা, যারা সিএনএনকে জানিয়েছেন, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে গভীরভাবে নজরদারি চালানোর দায়িত্বে ছিলেন জেডি ভ্যান্স, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুসি ওয়াইলস। গোয়েন্দা তথ্যটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় এর প্রকৃতি প্রকাশ করা হয়নি, তবে সূত্র জানায়, এটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, মার্কিন কর্মকর্তারা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

এমন পরিস্থিতিতে, ভ্যান্স মোদিকে ফোনে জানিয়ে বলেন, হোয়াইট হাউস বিশ্বাস করে যে উত্তেজনা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং ভারতকে সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে, উত্তেজনা কমাতে সম্ভাব্য বিকল্পগুলোর ওপর আলোচনা করার পরামর্শও দেওয়া হয়। ভ্যান্স ফোনালাপে মোদিকে বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র একটি সমঝোতার রূপরেখা প্রস্তুত করেছে, যা পাকিস্তান গ্রহণ করতে পারে। তবে এই বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা বিস্তারিত কিছু জানাননি।

ভ্যান্সের ফোনালাপের পর, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা ভারত ও পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন এবং তাদের আলোচনায় বসানোর জন্য কাজ করেন। এর ফলস্বরূপ, শনিবার বিকেলে ভারত এবং পাকিস্তান একমত হয়ে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়। যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রথম সংবাদটি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, এবং কিছু সময় পর মার্কো রুবিও এক্স (তৎকালীন টুইটার) প্ল্যাটফর্মে জানিয়ে দেন যে, ভারত ও পাকিস্তান একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি হয়েছে।

এ সংঘাতের সূত্রপাত হয় ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার পর। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয় এবং ভারত পাকিস্তানকে এ হামলার জন্য দায়ী করে। তবে পাকিস্তান সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এর পর থেকে দুই দেশ পাল্টাপাল্টি হামলা চালাতে থাকে। ৬ মে দিবাগত রাতে ভারত 'অপারেশন সিঁদুর' চালানোর পর থেকে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। এরপর পাকিস্তান ‘বুনইয়ান-উন-মারসুস’ নামে একটি অভিযান শুরু করে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এই সংঘাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল, তবে এই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ