শপথ ছাড়াই ‘মেয়রের’ ভূমিকায় ইশরাক হোসেন, উদ্বেগ স্থানীয় সরকার মহলে

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ না করেই প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে সরব উপস্থিতির মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। নগর ভবনের মিলনায়তন ও অফিস ব্যবহার করে তিনি যেসব সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন, সেগুলোর ব্যানারে তাকে “মাননীয় মেয়র” হিসেবে সম্বোধন করা হচ্ছে—যা ইতোমধ্যেই নানা প্রশ্ন ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ইশরাক হোসেনের কর্মকাণ্ডকে 'ক্রিমিনাল অফেন্স' বা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তার ভাষায়, ‘‘ইশরাক হোসেন এখনো কোনো শপথ নেননি। অথচ তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সভায় অংশ নিচ্ছেন, যা সরকারি কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির শামিল।’’
‘অফিসিয়াল কোনো দায়িত্ব নেই’: উপদেষ্টার অভিযোগস্থানীয় সরকার উপদেষ্টা সজীব ভুঁইয়ার অভিযোগ, শপথ ছাড়া দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ইশরাক হোসেন নগর পরিচালনার নিয়মনীতি লঙ্ঘন করছেন। তিনি বলেন, “উনি অফিসিয়ালি কোনো দায়িত্ব নেননি। অথচ নগর ভবনের ভেতরে মিলনায়তন ও অফিস দখল করে বসেছেন। এতে নাগরিক সেবায় বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে এবং এটি আরও বাড়লে আমাদের বাধ্য হয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হতে পারে।”
তার আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে স্থবির হয়ে পড়তে পারে।
আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরাবিষয়টি নিয়ে মত দিয়েছেন সাবেক স্থানীয় সরকার সচিব আবু আলম শহীদ খান। তিনি বলেন, “শপথ না নিয়ে কেউ প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে পারেন না। এটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাঠামোর ওপর আঘাত হানে এবং অচলাবস্থার জন্ম দিতে পারে।”
তার মতে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং ইশরাক হোসেনের মধ্যে এ নিয়ে দ্রুত আইনগত সমঝোতা প্রয়োজন, নইলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও অনিশ্চয়তাইশরাক হোসেন বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রপ্রার্থীও। তবে বর্তমানে তার শপথ না নেওয়ার বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক ইঙ্গিত খোঁজার চেষ্টাও চলছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি নির্বাচিত জন প্রতিনিধি যদি শপথ ছাড়াই মেয়রের কার্যক্রমে অংশ নেন, তা শুধু আইনগত সংকট নয়, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্যও হুমকিস্বরূপ। একইসঙ্গে এটি সিটি করপোরেশনের কর্মী বাহিনী ও নগরবাসীর মধ্যেও বিভ্রান্তির জন্ম দিতে পারে।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা
- শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!
- স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ
- রিজার্ভের দাপট: বিদ্যুৎ খাতের ১৪ কোম্পানি বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা
- ইউনূস-তারেক ঐতিহাসিক ও সফল বৈঠক: সংস্কার, একতা ও ন্যায়বিচার— এই তিন স্তম্ভে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে সেনা অভিযান:উদ্ধার ইয়াবা ও ধারালো অস্ত্র!
- মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যের নতুন কৌশল: চীন ও রাশিয়া কী করবে?
- তিন মাসেই যে ১০ বেসরকারি ব্যাংকে ৩২ হাজার কোটি টাকার আমানত বৃদ্ধি!
- তারেক রহমানের দেশেফেরার সম্ভাব্য সময় জানালেনমির্জা ফখরুল
- লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠকের পরে পর পর ২টি স্ট্যাটাসে কি বললেন পিনাকী?
- তুরস্ক, সৌদি, ইরান-পাকিস্তানের হাতে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন! কি হতে যাচ্ছে?
- ইসরায়েলে ইরানি মিসাইল, নিহত অন্তত ৭
- ২৮ জুন ঢাকায় জনতার ঢল: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হবে মহাসমুদ্র!
- ডিএসইতে সাধারণ বীমা খাতের প্রান্তিক বিশ্লেষণ:মুনাফা বৃদ্ধির শীর্ষে কারা?
- নির্বাচিত নারী, অলঙ্কার নয়: গণতন্ত্রে নারীর শক্তির সন্ধান