ইসলামে জিহাদ মানেই যুদ্ধ নয়, চারটি স্তম্ভে দাঁড়িয়ে ন্যায়

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৭ ১৪:৪২:০২
ইসলামে জিহাদ মানেই যুদ্ধ নয়, চারটি স্তম্ভে দাঁড়িয়ে ন্যায়

ইসলামের প্রাথমিক যুগে, বিশেষ করে মক্কা পর্বে, মুসলিমদের ওপর কাফের ও মুশরিকদের নিপীড়ন ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। আল্লাহ তায়ালা তাঁদের এই নিপীড়নের প্রতিক্রিয়ায় সরাসরি সশস্ত্র প্রতিরোধের নির্দেশ দেননি; বরং প্রথমে জুলুমের বিরুদ্ধে সীমিত পরিসরে প্রতিরক্ষা করার অনুমতি দেন। এটি ইসলামে জিহাদের ধারাবাহিক ও সুবিন্যস্ত প্রবর্তনের সূচনা যা কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

সশস্ত্র প্রতিরোধের অনুমতির প্রথম আয়াতটি অবতীর্ণ হয় হিজরতের পর, যখন মুসলিমরা মদিনায় একটি সংগঠিত ও রাজনৈতিকভাবে স্বতন্ত্র সমাজ গঠন করে। সূরা হজের ৩৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে:

أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإنَّ اللهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لقَدِيرٌঅর্থ: যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হলো তাদেরকে যাদের সঙ্গে কাফেররা যুদ্ধ করে, কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ অবশ্যই তাদের সাহায্য করতে সক্ষম। (সূরা হজ: ৩৯)

এই আয়াতের প্রেক্ষাপটে হজরত আবু বকর (রা.) মহানবী (সা.)-এর মক্কা থেকে হিজরতের সময় বলেছিলেন “তারা নবীকে তাড়িয়ে দিয়েছে, নিশ্চয়ই তারা ধ্বংস হবে।” (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

এরপরের ধাপে মুসলিমদের ওপর আত্মরক্ষামূলক জিহাদ ফরজ করা হয়। সূরা বাকারা (আয়াত ১৯০)–তে বলা হয়:

وَقَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللهِ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَكُمْ وَلا تَعْتَدُواঅর্থ: যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তোমরা আল্লাহর পথে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো, তবে সীমা লঙ্ঘন করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।

এ আয়াত ইসলামে যুদ্ধের নৈতিক গণ্ডি নির্ধারণ করে দেয়। এটি যুদ্ধকে প্রতিশোধ নয়, বরং ন্যায্যতা ও আত্মরক্ষার এক ধরনের প্রয়াস হিসেবে নির্ধারণ করে।

ইসলামী ফিকহবিদ ও চিন্তাবিদদের মতে, জিহাদের বিধান পরবর্তী সময়ে ফরজে কিফায়া হিসেবে নির্ধারিত হয় অর্থাৎ মুসলিম উম্মাহর একটি দল তা পালন করলেই সমগ্র জাতির দায়িত্ব আদায় হয়। তবে যদি কেউ না করে, তবে গোটা মুসলিম উম্মাহ গুনাহগার হয়। আর শত্রুর সরাসরি আগ্রাসনের সময়, বা ইসলামের অস্তিত্বের ওপর হুমকি তৈরি হলে, জিহাদ ফরজে আইন হিসেবে আবির্ভূত হয় অর্থাৎ প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য তা পালন করা অপরিহার্য হয়ে পড়ে।

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে জিহাদ কেবল অস্ত্র ধারণ করে যুদ্ধ নয়; বরং এটি বহুমাত্রিক ও চেতনার ভিত্তিতে বিভাজিত:

মনের মাধ্যমে- জুলুমের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও প্রতিবাদ

জবানের মাধ্যমে- সত্য প্রচার ও বাতিলের অপনোদন

হাতে বা কার্যতভাবে- প্রতিরোধ বা রক্ষা

সম্পদের মাধ্যমে- জিহাদে অর্থিক সহায়তা

এই চার রূপের মধ্যে অন্তত একটির মাধ্যমে প্রতিটি মুসলমানের জিহাদে অংশ নেওয়া আবশ্যক।

ইসলামে জিহাদের সূচনা ঘটেছে নিপীড়নের প্রতিরোধ হিসেবে, প্রতিশোধ হিসেবে নয়। এটি আত্মরক্ষা, ন্যায়বিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার একটি পবিত্র ও সীমিত উদ্দেশ্য। হিজরতের পর এর অনুমতি থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে ফরজ হিসেবে নির্ধারণই ইসলামের প্রজ্ঞাবান, ধৈর্যশীল ও ন্যায়নিষ্ঠ যুদ্ধনীতির অনন্য নজির।


জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ০৯:৩৬:০১
জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত

ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আজকের নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করেছে। আজ বুধবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ যা বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জি মতে ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী ঢাকায় আজ জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৫৮ মিনিটে এবং আসরের নামাজ আদায়ের সময় শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে।

সন্ধ্যার দিকে সূর্য পশ্চিম আকাশে অস্ত যাওয়ার পর মাগরিবের নামাজ শুরু হবে ৫টা ১৮ মিনিটে এবং পরবর্তীতে এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে। যারা আগামীকাল বৃহস্পতিবারের ফজর নামাজের প্রস্তুতি নেবেন তাদের জন্য সময় শুরু হবে ভোর ৫টা ১৮ মিনিটে। এছাড়া আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে যা দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য নির্ধারণে সহায়ক হবে।


জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ০৯:২৩:৩৯
জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত

আজ মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ যা বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জির ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ তারিখ। মহান বিজয় দিবসের এই বিশেষ দিনে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্যানুযায়ী নামাজের নির্ধারিত সময়সূচি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আজকের দিনে জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৫৮ মিনিটে এবং এরপর বিকেলের দিকে আসরের নামাজের সময় শুরু হবে ৩টা ৩৮ মিনিটে।

দিনের আলো ফুরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মাগরিবের নামাজের জন্য নির্ধারিত সময় হলো বিকেল ৫টা ১৮ মিনিট যা একইসঙ্গে আজকের সূর্যাস্তের সময়কেও নির্দেশ করে। মাগরিবের পর রাতের ইবাদত অর্থাৎ এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে। এছাড়া যারা আগামীকাল বুধবার রোজা রাখবেন বা ভোরের নামাজ আদায় করবেন তাদের জন্য ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে। আজকের দিনে ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয়ের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৬টা ২৭ মিনিট। উল্লেখ্য, এই সময়সূচিটি মূলত ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য প্রযোজ্য তবে অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে ভৌগোলিক অবস্থানভেদে কয়েক মিনিটের ব্যবধান হতে পারে।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।


১৫ ডিসেম্বর ঢাকা ও আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৮:২৪:১২
১৫ ডিসেম্বর ঢাকা ও আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি
ছবি: সংগৃহীত

আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং হিজরি সনের হিসাবে আজ ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার মুসল্লিদের জন্য আজকের নামাজের নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ ঢাকায় জোহরের নামাজের সময় শুরু হবে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে। এরপর আসরের নামাজ আদায় করা যাবে বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিট থেকে। দিনের শেষ ভাগে সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজ শুরু হবে বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে। রাতের এশার নামাজের সময় নির্ধারিত হয়েছে সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিট থেকে।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ঘটবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে। অন্যদিকে আগামীকাল মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে। আগামী দিনের সূর্যোদয় নির্ধারিত হয়েছে সকাল ৬টা ২৭ মিনিটে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় জ্যোতির্বিদ্যা তথ্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত এই সময়সূচি ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্যও প্রযোজ্য। তবে ভৌগোলিক অবস্থানভেদে কয়েক মিনিট এদিক-সেদিক হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের আগে স্থানীয় মসজিদের সময়সূচি অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।


আজকের বাংলা ও হিজরি তারিখ এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ০৯:৩৯:৩৯
আজকের বাংলা ও হিজরি তারিখ এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি
ছবি : সংগৃহীত

আজ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং হিজরি সন অনুযায়ী ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আজকের নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো। এই সময়সূচি ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা ঢাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।

নামাজের সময়

জোহর জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে।

আসর আসরের ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে।

মাগরিব মাগরিবের নামাজের সময় শুরু হবে বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে।

এশা এশার ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে।

ফজর (আগামীকাল) আগামীকালের ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে।

সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী আজ ঢাকায় সূর্য অস্ত যাবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে। অন্যদিকে আগামীকাল সোমবার সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ২৭ মিনিটে।


ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শনিবারের নামাজের সঠিক সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ০৯:২৪:৫৬
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শনিবারের নামাজের সঠিক সময়সূচি
ছবি : সংগৃহীত

আজ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি তারিখ। বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী আজ ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং আরবি হিজরি সন অনুযায়ী ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা থেকে প্রাপ্ত আজকের ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো।

আজকের জোহরের সময় শুরু হয়েছে ১১টা ৫৬ মিনিটে। বিকেলের আসরের ওয়াক্ত শুরু হবে ৩টা ৩৭ মিনিটে। মাগরিবের আজান বা সূর্যাস্তের সময় ৫টা ১১ মিনিট তবে নামাজের ওয়াক্ত হিসেবে ৫টা ১৭ মিনিট ধরা যেতে পারে। এশার নামাজের সময় শুরু হবে ৬টা ৩৫ মিনিটে।

আগামীকাল রোববার ফজর নামাজের সময় শুরু হবে ভোর ৫টা ১৬ মিনিটে। এছাড়া আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে ৫টা ১১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ৬টা ২৭ মিনিটে। নিয়মিত নামাজ আদায়ে এই সময়সূচি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপকারে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।


আজকের নামাজের সব সময়সূচি এক নজরে

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ০৯:৫০:১৪
আজকের নামাজের সব সময়সূচি এক নজরে
ছবি: সংগৃহীত

আজ শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, বাংলা পঞ্জিকার ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং হিজরি ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চলে আজকের নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী।

জুমার নামাজের সময় আজ শুরু হবে সকাল ১১টা ৫৬ মিনিটে। দুপুরের পর বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে আসরের ওয়াক্ত প্রবেশ করবে। দিনের আলো মিলিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাগরিবের নামাজ আদায়ের সময় নির্ধারিত হয়েছে বিকেল ৫টা ১৬ মিনিটে। সন্ধ্যার পর এশার নামাজের সময় শুরু হবে রাত ৬টা ৩৫ মিনিটে।

আগামীকালের ফজরের নামাজ শুরু হবে ভোর ৫টা ১৬ মিনিটে। আজকের সূর্যাস্ত ঘটবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে এবং পরদিন সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ২৭ মিনিটে। সময়সূচি অনুযায়ী আজকের দিনের ইবাদত-বন্দেগি পরিকল্পনায় সহায়তার জন্য এই তথ্য মুসল্লিদের জন্য নির্ভরযোগ্য নির্দেশনা প্রদান করছে।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।


শুক্রবার সূরা কাহাফ পড়লে যে সওয়াব লাভ হয়

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ২২:৪৬:৪০
শুক্রবার সূরা কাহাফ পড়লে যে সওয়াব লাভ হয়
ছবি: সংগৃহীত

ইসলাম ধর্মে প্রতি শুক্রবারকে আধ্যাত্মিক পুনর্জাগরণের দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই দিনটিকে আরও বরকতময় করার অন্যতম উত্তম আমল হলো সূরা কাহাফের তেলাওয়াত। হাদিসশাস্ত্রে জুমার দিন এই সূরা পাঠের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, যা মুমিনের জীবনে আলো, প্রজ্ঞা ও ঈমানের শক্তি সঞ্চার করে। আলেম সমাজ ব্যাখ্যা করেন যে, সপ্তাহের নির্দিষ্ট এই পাঠ মানুষকে আল্লাহর সাথে গভীর সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে এবং নৈতিক দৃঢ়তায় অনুপ্রাণিত করে।

ধর্মীয় শিক্ষায় উল্লেখ আছে যে প্রতি বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সূরা কাহাফ পাঠ করা উত্তম। এই সময়সীমাকে ‘জুমার রাত এবং দিন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফলে দিনটি কর্মব্যস্ত থাকলেও রাতে বা সকালবেলা সূরা পাঠ করে মুসলমানরা সহজেই এ আমল সম্পাদন করতে পারে।

ইসলামি বিদ্বানরা মনে করেন, সূরা কাহাফ পাঠ মুসলমানদের আত্মিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং দুনিয়াবি বিভ্রান্তি থেকে তাদের মনকে রক্ষা করে। বিশেষভাবে দাজ্জালের ভয়াবহ ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকার উপায় হিসেবে এই সূরার প্রথম দশ অথবা শেষ দশ আয়াত পাঠের কথা নবী মুহাম্মদ (সা.) বর্ণনা করেছেন। পুরো সূরা পাঠ করা বেশি উত্তম হলেও সময়ের সংকটে আংশিক পাঠও উল্লেখযোগ্য ফজিলত প্রদান করে।

সূরা কাহাফ কুরআনের ১৮তম অধ্যায়, মোট ১১০ আয়াত নিয়ে গঠিত এবং এটি মাক্কায় অবতীর্ণ। সূরাটিকে তাফসিরবিদরা ‘পরীক্ষার সূরা’ বলেন, কারণ এখানে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ মানুষের ঈমান, ধৈর্য, নৈতিকতা এবং দৃঢ়তার শিক্ষা দিয়েছেন। গুহাবাসী নবীন যুবকদের কাহিনি, ধনবান দুজন মানুষের পরীক্ষা, হযরত মুসা ও খিযির (আ.)-এর শিক্ষা এবং যুলকারনাইনের ঘটনা এই সূরাকে আত্মোন্নয়ন ও জ্ঞানাচর্চার এক অনন্য উৎসে পরিণত করেছে।

আধ্যাত্মিক দিক থেকে সূরা কাহাফ পাঠ করলে মুমিনের হৃদয়ে একটি সাপ্তাহিক নূর সৃষ্টি হয় যা এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত থাকে। এই নূরকে শুধু আসমানি বরকতের প্রতীক নয়; বরং আলোকিত চরিত্র, দিব্য বোধ এবং সঠিক পথনির্দেশের প্রতীক হিসেবেও ব্যাখ্যা করা হয়। গবেষকরা বলেন, নিয়মিত সূরা কাহাফ পাঠ মানুষকে মানসিক চাপ, হতাশা এবং ভয়ের মতো নেতিবাচক প্রবণতা থেকে মুক্ত থাকতে সহায়তা করে।

এছাড়া, আলেমরা উল্লেখ করেন যে এই সূরার তিলাওয়াত মানুষকে আল্লাহর কুদরতের স্মরণ করিয়ে দেয়, জীবনের অস্থায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে এবং দুনিয়ার সাময়িক মোহমায়া থেকে মানবহৃদয়কে দূরে রাখে। এই সূরাটি ব্যক্তির বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে স্থিতধী থাকতে সহায়তা করে।

জুমার দিনের আমলগুলো মুমিনজীবনের সার্বিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও সপ্তাহে মাত্র কয়েক মিনিট সময় ব্যয় করে সূরা কাহাফ পাঠ করলে একজন মুসলমান তার আত্মিক যাত্রায় একটি দৃঢ় পদক্ষেপ রাখতে পারেন।


মুমিনের জন্য কুরআনের ৪ স্থায়ী আমল

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ২২:৪৩:১২
মুমিনের জন্য কুরআনের ৪ স্থায়ী আমল
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের মূল শিক্ষা মানুষের ঈমানকে সুদৃঢ় করে এবং হৃদয়কে আল্লাহর নৈকট্যের পথে পরিচালিত করে। কুরআনুল কারীমে এমন চারটি গুরুত্বপূর্ণ আমলের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, যা একজন মুমিনকে সারাজীবন আঁকড়ে ধরতে বলা হয়েছে। কারণ এগুলো আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি, জীবনের স্থিতি এবং দুনিয়া–আখিরাতের সফলতার পথ উন্মুক্ত করে।

১. সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রতি অটল শুকরিয়া প্রকাশ

মুমিনের জীবনে যে নিয়ামতই আসুক, তা বড় হোক বা ছোট, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার নির্দেশ রয়েছে। কুরআনে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন,

"তোমরা যদি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের জন্য নিয়ামত বৃদ্ধি করবো।" (সূরা ইব্রাহিম, ৬)

এই আয়াত আমাদের শিখিয়ে দেয়, শুকরিয়া শুধু ইবাদত নয়, বরং আরও নেয়ামতের দরজা উন্মুক্ত হওয়ার মাধ্যম।

২. আল্লাহর স্মরণ থেকে কখনো বিচ্ছিন্ন হবেন না

জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহকে স্মরণ করা একজন মুমিনের পরিচয়। স্মরণ মানুষকে বিভ্রান্তি, ভয় এবং গাফিলতি থেকে বাঁচায়। কুরআনে বলা হয়েছে,

"তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমাদের স্মরণ করবো।" (সূরা বাকারা, ১৫২)

এ আয়াতের প্রতিশ্রুতি নির্দেশ করে যে জিকির আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভের অন্যতম উপায়।

৩. দোয়া করা কখনো বন্ধ করবেন না

দোয়া হলো মুমিনের অস্ত্র, আশা, আশ্রয় এবং বিশ্বাসের প্রতীক। আল্লাহ নিজেই দোয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,"তোমরা আমার কাছে প্রার্থনা করো; আমি অবশ্যই তোমাদের সাড়া দেবো।" (সূরা গাফির, ৬০)

একই বার্তা রয়েছে সূরা বাকারা ১৮৬–এও। দোয়া আল্লাহর সঙ্গে মুমিনের সম্পর্ককে শক্তিশালী করে এবং কঠিন সময়ে অন্তরকে প্রশান্ত রাখে।

৪. তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা কখনো বন্ধ করা যাবে না

মানুষ হিসেবে ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভুলের পর তাওবা করা, ক্ষমা চাইতে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা একজন মুমিনের সৌন্দর্য। কুরআনে আল্লাহ ঘোষণা করেন,

"আল্লাহ এমন জাতিকে আযাব দেন না যারা তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।" (সূরা আনফাল, ৩৩)এ আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়, তাওবা আযাব দূর করে এবং রহমতের দরজা খোলে।


আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় প্রকাশ

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ০৯:৩৫:৩৫
আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ (২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি)। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দৈনিক নামাজের সময়সূচি ইসলামিক ফাউন্ডেশন নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্রকাশ করা হয়েছে।

আজকের নামাজের সময়সূচি

জোহর শুরু – সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটআসর শুরু – বিকেল ৩টা ৩৬ মিনিটমাগরিব – সন্ধ্যা ৫টা ১৬ মিনিটএশা শুরু – সন্ধ্যা ৬টা ৩৪ মিনিট

আগামীকাল ফজর ও সূর্যোদয়–সূর্যাস্ত

আগামীকাল ফজর শুরু – ভোর ৫টা ১৫ মিনিটেআজ সূর্যাস্ত – সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটআগামীকাল সূর্যোদয় – সকাল ৬টা ২৭ মিনিট

শহরবাসীর জন্য এ সময়সূচি দৈনন্দিন ইবাদত–বন্দেগি পালনে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়। মৌসুমি পরিবর্তনের কারণে দিনের দৈর্ঘ্য ও সূর্যোদয়–সূর্যাস্তের সময় কিছুটা হ্রাস–বৃদ্ধি পাওয়ায় নিয়মিত সময় যাচাই করা প্রয়োজন।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত