নতুন করে হামলার মুখে দক্ষিণ গাজা
.jpg)
সত্য নিউজ:উত্তর গাজাকে প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তুপে পরিণত করার পর এবার দক্ষিণ গাজায় নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। সাতদিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গত দুই দিনে মসজিদ, হাসপাতাল ও বসতবাড়িসহ বিভিন্ন জনবহুল স্থানে ইসরাইলি বিমান ও ড্রোন হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ব্যাপক আর্টিলারি গোলাবর্ষণ এবং স্থল অভিযানের আশঙ্কায় দক্ষিণাঞ্চলের জনসাধারণ বর্তমানে চরম আতঙ্কে রয়েছে।
গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় শেষ হয় যুদ্ধবিরতির সময়সীমা। এরপরই পুরনো কৌশলে ফেরে তেল আবিব। শুরু করে লাগাতার বোমাবর্ষণ, গানশিপ হামলা ও ড্রোন অভিযানে নতুন মাত্রা। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, হামাসকে ধ্বংস ও বন্দিদের মুক্ত করতে এ যুদ্ধ থামবে না। তেল আবিব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা আর কোনও যুদ্ধবিরতির আলোচনায় থাকছে না।
এর আগে কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয় প্রথম দফার চার দিনের যুদ্ধবিরতি। দুই দফায় আরও তিনদিন বাড়ানো হয় এই বিরতির মেয়াদ, যার আওতায় মোট সাত দফায় বন্দি বিনিময়ও হয়। তবে ইসরাইলি নেতাদের আগাম হুমকি এবং হামলার প্রস্তুতি দেখে যুদ্ধবিরতির আলোচনাও বর্জন করে হামাস।
‘নিরাপদ’ ঘোষিত এলাকাতেও রক্ষা নেই
সর্বশেষ শনিবার (২ ডিসেম্বর) দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পশ্চিমাঞ্চল আল-মাওয়াসিতে চালানো বিমান হামলায় অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৮৯ জন। ইসরাইল পূর্বেই এই অঞ্চলকে ‘সেফ জোন’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
হামলায় লক্ষ্যবস্তু ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে হামাসের সিনিয়র নেতা মোহাম্মদ দেইফ। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি ইসরাইলি বাহিনী। বরং তারা বলছে, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
‘মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প হয়েছে’
বিবিসিকে দেওয়া এক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায়, হামলার পর এলাকাটি যেন ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপ থেকে রক্তাক্ত আহতদের স্ট্রেচারে করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অনেকে ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়া স্বজনদের খুঁজে ফিরছেন। পাশেই অবস্থিত কুয়েত ফিল্ড হাসপাতালে আহতদের ভিড়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়—বিছানার অভাবে বহুজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয় মেঝেতে।
মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা, উদ্বেগ জাতিসংঘের
গাজার দক্ষিণাংশে খান ইউনিস ও রাফায় হামলার মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রোববার (৩ ডিসেম্বর) আবারও একাধিক স্থানে বোমাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে নিহত হন অন্তত ৩০ জন। বিমান হামলার পাশাপাশি এখন গোলাবর্ষণ চলছে আর্টিলারি থেকেও। এতে করে রাফা সীমান্ত দিয়ে বহু ফিলিস্তিনি মিশরে পালানোর চেষ্টা করতে পারে—এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি জানিয়েছে, যদি পরিস্থিতির অবনতি হয়, তবে ১০ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনিকে মিশরে আশ্রয় নিতে হতে পারে।
নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার যুদ্ধবিরতির অবসানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন ২৪০ জন এবং আহত হয়েছেন ৬৫০ জনের বেশি। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে চার্জ দাখিল, বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার
- চীন না ভারত? উন্নয়ন না আনুগত্য? বুলেট ট্রেন বলছে স্পষ্ট জবাব
- অবশেষে বিসিবি সভাপতি ফারুককে নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ
- বিশ্বশক্তির নজর এখন বাংলাদেশে: খনিজ ভাণ্ডারের নতুন মানচিত্র
- তারেক-ইউনুস উত্তপ্ত ফোনালাপ: যা জানা গেল
- নতুন বিসিবি সভাপতিবুলবুলের কাছে আশরাফুলের চাওয়া
- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: রাষ্ট্র নির্মাণের এক উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি
- হালদা নদীতে ডিম ছাড়ল রুই জাতীয় মা মাছ, সংগ্রহ প্রায় ১৪ হাজার কেজি নিষিক্ত ডিম
- ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কি?
- চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ভোর: দক্ষিণ এশিয়ার তেলের ‘রাজসিংহাসন’ দখলের পথে বাংলাদেশ?
- ভারতের গর্ব এস-৪০০ ধ্বংস: বাস্তবতা নাকি প্রচারযুদ্ধ?
- ধ্বংস থেকে নেতৃত্ব: ৫ আগস্ট থেকে যেভাবে শুরু হলো অর্থনীতির পুনর্জাগরণ
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক
- ধর্ম-সংস্কৃতি উপেক্ষা নয়: সংবিধান সংশোধনে ১৮০ শিক্ষকের সরব প্রতিবাদ
- সোনাক্ষীর ‘নিকিতা রায়’-এর মুক্তি পেছাল, ঘোষণা দিলেন নতুন তারিখ