মতামত
ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা

শামসুল আরেফিন রেহান
শিক্ষক ও রাজনৈতিক গবেষক

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সাম্প্রতিক লন্ডন সফরকে ঘিরে দেশি-বিদেশি মিডিয়া, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা হচ্ছে। কেউ দেখছেন এটিকে কূটনৈতিক উদ্যোগ, কেউবা বলছেন বিদেশে সরকারি অর্থ ব্যয়ে একধরনের অপচয়। আবার এই সফরকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর বিশেষকরে বিএনপি এবং এনসিপির আলাদা আলাদা অবস্থান আছে। প্রেস-সচিবের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে এই সফরের উদ্দেশ্য ও আচিভমেন্ট সম্পর্কে জানা যাচ্ছে। জুলকার-নাইন সায়ের মতন সাংবাদিকেরা এই প্রশ্ন ও তুলছেন যে এত আড়ম্বর করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ খরচ করে প্রফেসর ইউনুসদের কেনই বাঁ বিদেশ সফরে যেতে হল? এই প্রশ্ন তোলার পেছনে উদ্দেশ্য যাই-হোক, আমি এই প্রশ্ন তোলাটিকে সাধুবাধ জানাই। ভবিষ্যতে কোন রাস্ট্রনায়ক রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ খরচ করে অভিলাসী কিন্তু অনর্থকহীন বিদেশ সফরে গেলেও আমি চাই সেসব নিয়ে প্রশ্ন করার সংস্কৃতি চালু হোক। কেননা, প্রশ্ন করা মানেই জবাবদিহি করা। আর রাষ্ট্র যারা চালায় তাদেরকে জবাবদিহি করা না গেলে আপনি কিভাবেই বা একটা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলবেন? রাষ্ট্রের দায়িত্ব যখন প্রফেসর ইউনুসের মত গুণী এবং বিশ্ববরেণ্য মানুষ গ্রহণ করেন তখন তার প্রত্যেকটি উদ্যোগকে প্রশ্ন করা কিংবা সেসবের আউটকাম জানতে চাওয়াটাকে আমি ভালোভাবেই দেখতে চাই। তথাপি, প্রফেসর ইউনুসের এই লন্ডন সফরকে “অর্থনৈতিক লাভ-ক্ষতির” দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করলে আমরা হারিয়ে ফেলবো এর আসল তাৎপর্য—যেখানে প্রতীকি, রাজনৈতিক ও নৈতিক বার্তার প্রাধান্য পেয়েছে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথচলাকে প্রভাবিত করতে পারে।
আমাদের খুব ভালোকরে বোঝা উচিত রাষ্ট্র এবং সংস্কারের এই যাত্রাটি এখন কোন মেল্টিং পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে? গণ-অভ্যুত্থানের পরে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের- যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-নাগরিকের অভ্যূত্থানের ৩ তারিখের ঘোষণাপত্রে উল্লেখ ছিল- জন্য দরকার ছিল বিপ্লবী সরকার গঠন, কিংবা নিদেনপক্ষে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করা। নানান কারণেই সেটি যখন করা গেল না এবং অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অভিপ্রায়ে একটি ইন্টেরিয়াম সরকার হল এবং সেই সরকারে নানান-সেক্ট্ররের রিফর্মিস্টদেরকে ডেকে এনে বসানো হল তখন থেকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রগ্রেসিভ এবং র্যাডিকাল কোন কিছু চিন্তার সাহস করতে পারিনি। অভ্যুত্থানকারী ছাত্ররা মাঠের শক্তি হিসেবে আরো কিছুদিন দাঁড়িয়ে না থেকে নিজেদেরকে যখন একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে তখন থেকেই আরো অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে, গত দশ-মাসে আমরা কি দেখতে পেলাম?
রাষ্ট্র গঠনের যেই সময়কালে অভ্যূত্থানকারী সকল দলের মধ্যে মৌলিক বিষয়াদি নিয়ে আলাপ-আলোচনা এবং একশন প্লান দরকার ছিল সেই সময়ে আমরা দেখতে পেলাম পুরাতন দল বিএনপি এবং নতুন দল এনসিপির ভেতরকার টানাপোড়েন এবং বাদানুবাদ। সেই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর প্রধাণের অযাচিত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। এমনকি, সরকারের ভেতরে থেকে ও কোন কোন উপদেষ্টা নিরপেক্ষ আচরণ করে উঠতে পারলো না। তাদের কোন কোন বক্তব্য তাদের অবস্থানের বিপক্ষেই চলে গেল। যে সময়ে জুলাইয়ের যোদ্ধাদের চিকিৎসা ও শহীদের পরিবারদের পুনর্বাসন, ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামীলীগের বিচার নিশ্চিত করা এবং রাষ্ট্রের কলকব্জার মেরামত মূল পলিটিকাল প্রোগ্রাম হওয়ার কথা ছিল সেই সময়ে “ সংস্কার না নির্বাচন” এই বাইনারীতে আমরা সকলেই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। ফলশ্রুতিতে, গত দশ-মাসে আমরা দেখতে পেলাম নানান এজেন্সীর ক্যাম্পেইন, রেটোরিক, ন্যারেটিভস, এবং কন্সপাইরেসি থিওরি। কেউ কেউ বলতে লাগলেন প্রফেসর ইউনুস ৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে চান, তাই উনি নির্বাচন দিতে চান না। কেউ কেউ বলতে লাগলেন বিএনপি একটি চাঁদাবাজ দল, তাই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা উদগ্রীব হয়ে আছে। আবার কেউ কেউ বলতে লাগলেন, ছাত্ররা এবং বিশেষকরে এনসিপির নেতারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই আবার বলতে লাগলেন, দেশ চালাচ্ছে ডিপ-স্টেইট এবং বাইরের কোন শক্তি। প্রফেসর ইউনুসের হাতে কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। বিএনপি আবার ঘোষণা দিয়ে বলতে লাগলেন “ ইন্টেরিয়াম, রিমেম্বার! ইলেকশন ইন ডিসেম্বর”। এইরকম ক্যাম্পেইন, প্রতি-ক্যাম্পেইন এবং এনার্কিক সিচুয়েশনের ভেতর থেকে অভ্যুত্থানের সব-পক্ষকে মৌলিক সংস্কার, আওয়ামীলীগের বিচার নিশ্চিত করা এবং একটি ফ্রি-ফেয়ার এবং ক্রেডিবল ইলেকশন আয়োজনের জন্য যে ধরনের রাজনৈতিক সহযোগিতা দরকার সেটি নিশ্চিত করার জন্য প্রফেসর ইউনুসের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনের এই সাক্ষাতকারটিকে আমি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।
বিশেষত, তারেক রহমানের সঙ্গে প্রফেসর ইউনুসের এই সাক্ষাৎকারটি কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছে, যা দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গন্তব্যের জন্য আশাজাগানিয়া। জুলাই–আগস্ট ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান একটি ফ্যাসিস্ট শাসনের পতনের পথ খুলে দেয়। যদিও ঐ বিপ্লবের গতি-প্রকৃতি বহুস্তরীয় ছিল, তবুও এই অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনীতিতে তারেক রহমান তথা বিএনপির প্রভাব অনস্বীকার্য হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সেক্টরে ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের সক্রিয়তা থাকলেও মূল নিয়ন্ত্রণমূলক ‘লিভার’ ছিল বিএনপির হাতে। এই বাস্তবতা বুঝতে পেরেই প্রফেসর ইউনুসের পক্ষ থেকে এই সংলাপের আয়োজন এবং একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হলো: বিএনপিকে পাশে না পেলে কাঙ্ক্ষিত কোনো সংস্কার সম্ভব নয়। বিএনপির রাজনীতি প্রগতিশীল না হতে পারে, তাদের রাজনীতি পুরনো এস্টাব্লিশমেন্টের উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে, এসব মেনে নেওয়ার পরে ও আপনি দেখবেন আওয়ামী-লীগ না থাকায় যে ভ্যাকুউম তৈরি হয়েছে সেটি মোকাবেলা করার জন্য বিএনপির চাইতে আর কোন রাজনৈতিক দলের এত মাঠের শক্তি নেই যা উপেক্ষা করে কোন ধরনের সংস্কার করা গেলে সেসব টেকসই হতে পারতো। এই রাজনৈতিক বাস্তববোধের জায়গা থেকে এই সাক্ষাৎকারটিকে পাঠ করা যেতে পারে।
এই সাক্ষাৎকারটি একটি প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছে যে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রফেসর ইউনুস ন্যূনতম সংস্কার ও বিচারের পথেই নির্বাচন পর্যন্ত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। এবং, এই আয়োজনে অন্যান্য ক্রিয়াশীল দলের সাথে ও বিএনপি একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রফেসর ইউনুস এবং তার সরকারকে আরো বেশী সহযোগিতা প্রদান করবে। ফলে, “ সংস্কার না নির্বাচন” এই কুতর্কটির আপাতত অবসান হয়ে একে-অন্যের পরিপূরক হয়ে খেই হারিয়ে ফেলা রাষ্ট্র নির্মাণ প্রকল্পটি কিছুটা প্রাণ ফিরে পেল । তবে আমার মত, যারা বিশ্বাস করেছিলেন যে, জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থান পরবর্তী সময় নতুন বাংলাদেশ গঠনের সূচনা করবে—তাদের জন্য বাস্তবতা কিছুটা হতাশাজনক। হয়তো চূড়ান্ত রূপান্তর ঘটেনি, হয়তো অনেক পুরনো মুখ আর কালাকানুন আবারও ফিরে এসেছে। হয়তো ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেই পুরোনো প্রশাসনিক ও সামরিক কাঠামো—যারা স্বাধীন চিন্তার চেয়ে অনুগত আদেশকে বেশি প্রাধান্য দেয়। কিন্তু এসবকে আমি পুরোপুরি ব্যর্থতা বলতে চাই না। কেননা, এস্টাবলিশমেন্ট পুরনো হলেও কিছুটা ঘষামাজা হয়েছে—সেটা হয়তো ‘রাডিক্যাল’ নয়, তবে ‘রিফর্মিস্ট’ রাজনীতির সূচনা বলা যায়। পৃথিবীতে অনেক রাষ্ট্র আছে যারা যুগের পরে যুগ ধরে রিফর্ম করে করেই একটা কল্যাণমূলক কাঠামো অর্জন করেছে। বাংলাদেশ হয়তো সেই প্রসেসে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।
আমাদের মনে রাখা দরকার, জুলাইয়ে এদেশে যে রকমের গণঅভ্যুত্থান দেখা গেছে, তা সাম্প্রতিক দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে বিরল। হাজারো তরুণ, শ্রমজীবী মানুষ, এবং নাগরিক সমাজ একত্রিত হয়ে একটি নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। তারা প্রমাণ করেছে—বাংলাদেশে অত্যাচারী শাসকের কোন জায়গা হবে না। আমাদের প্রত্যাশা ছিল শুধুমাত্র রেজিম চেইঞ্জ নয়, বরঞ্চ ক্ষমতা-কাঠামোকে নাড়িয়ে দেওয়ার। জনগণ সেটি করে দেখিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের মত পোস্ট-কলোনিয়াল রাষ্ট্রের মিলিটারি-বুরোক্রেসি-বিজনেসমান-পলিটিশিয়ান অলিগার্কিরা যে ক্ষমতা ও বলয় তৈরি করে রেখেছে তার ভিত্তিমূল নাড়ানো ও দুর্বল করা গেলে ও উপড়ে ফেলা যায় নি। এই বিষয়টি উপলব্দি করতে পেরেই গত আগস্টেই আমি এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলাম—“অতি আশা কিংবা নিরাশা, দুটোই জাতির জন্য বয়ে আনবে হতাশা”-আজও সে কথার প্রাসঙ্গিকতা দেখতে পাই। আমরা পুরোপুরি কাঙ্ক্ষিত মুক্তি পাইনি, কেননা মানুষের মুক্তি একটি নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রামের পথ। তা সত্ত্বে ও পেয়েছি একটি নির্বাচনী পথ। হয়তো আমরা আদর্শ রাষ্ট্র পাইনি, তবে পেয়েছি সংলাপের সুযোগ, বিবেকের পুনরুজ্জীবন। এর চেয়ে ভালো শুরু আর কী হতে পারতো?
আমার ব্যক্তিগত দুর্ভাগ্য—দেশের বাইরে থাকায় হয়তো এই উৎসবমুখর নির্বাচনে ভোট দিতে পারবো না। কিন্তু ইতিহাসে অংশগ্রহণ মানে শুধু ব্যালট ছোঁয়া নয়, বরং সচেতনভাবে সময়ের ভাষ্যকে তুলে ধরা। আজকের সাক্ষাৎকার সেই ভাষ্যকেই আরেকবার নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। প্রফেসর ইউনুস-তারেক রহমান সাক্ষাৎ এমন এক প্রতীকী ধাপ, যার মাধ্যমে একটি নৈতিক-রাজনৈতিক দিকনির্দেশ পাওয়া গেছে। এটি ছিল কেবল একটি বৈঠক নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক সম্ভাবনার মানচিত্রে এক নতুন চিহ্ন। আজকের বাংলাদেশ যেখানেই যাক, এই সাক্ষাৎ তার ভবিষ্যতের রূপরেখা নির্ধারণে এক গুরত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।
-লেখক শামসুল আরেফিন রেহান গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্টের ম্যাসাসুসেটস বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি গবেষক হিসেবে কর্মরত।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা
- শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!
- স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ
- রিজার্ভের দাপট: বিদ্যুৎ খাতের ১৪ কোম্পানি বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা
- ইউনূস-তারেক ঐতিহাসিক ও সফল বৈঠক: সংস্কার, একতা ও ন্যায়বিচার— এই তিন স্তম্ভে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে সেনা অভিযান:উদ্ধার ইয়াবা ও ধারালো অস্ত্র!
- দ্বিতীয় দিনেও চলছে কোরবানি, কসাই না পাওয়ায় আজ জবাই অনেকের
- তিন মাসেই যে ১০ বেসরকারি ব্যাংকে ৩২ হাজার কোটি টাকার আমানত বৃদ্ধি!
- তারেক রহমানের দেশেফেরার সম্ভাব্য সময় জানালেনমির্জা ফখরুল
- তারেক-ইউনূস বৈঠক: উত্তপ্ত রাজনীতিতে সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট?
- উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষোভ কি ভারতের কেন্দ্রীয় কূটনীতি পাল্টাবে?
- লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠকের পরে পর পর ২টি স্ট্যাটাসে কি বললেন পিনাকী?
- সাক্ষাৎ চাইলেন শেখ হাসিনার ভাগ্নি, মুখ ফিরিয়ে নিলেন ড. ইউনূস
- ডিএসইতে সাধারণ বীমা খাতের প্রান্তিক বিশ্লেষণ:মুনাফা বৃদ্ধির শীর্ষে কারা?
- তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা