ইসলাম ও জীবন

ইসলামে বিবাহ: একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনের পথে নৈতিক ও আত্মিক নির্দেশনা

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৩ ২০:৫৯:২০
ইসলামে বিবাহ: একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনের পথে নৈতিক ও আত্মিক নির্দেশনা

ইসলাম ধর্মে বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা কেবল মানবজীবনের একটি সামাজিক চুক্তি নয়, বরং এটি একটি ধর্মীয় দায়িত্ব, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ এবং আত্মিক প্রশান্তি ও চারিত্রিক পবিত্রতার উৎস। কুরআন ও সহিহ হাদিসে বিবাহের গুরুত্ব বারবার উচ্চারিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, “তাঁর নিদর্শনসমূহের একটি এই যে, তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য জীবনসঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করো এবং তোমাদের মধ্যে প্রেম ও দয়া স্থাপন করেছেন।” (সূরা রূম, আয়াত ২১)। এই আয়াতই বিবাহের মৌলিক হিকমত বা উদ্দেশ্যকে তুলে ধরে—মানুষের মানসিক, জৈবিক ও আত্মিক চাহিদার পরিপূর্ণতা।

রাসুল (সা.) যুবসমাজকে বিবাহে উৎসাহিত করেছেন এই বলে, “হে যুব সম্প্রদায়! যারা বিয়ের সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিবাহ করে। কেননা, তা দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং যৌনাঙ্গকে হেফাজত করে। আর যার সামর্থ্য নেই, সে যেন সাওম পালন করে; তা যৌনতাকে নিয়ন্ত্রণের উত্তম পন্থা।” (সহিহ বুখারি)। এটি প্রমাণ করে যে, বিবাহ কেবল সম্পর্কের বিষয় নয়, বরং তা মানবিক এবং চারিত্রিক সুরক্ষার অন্যতম প্রাচীর। বিবাহের মাধ্যমে মানুষ হারাম পথ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে এবং নিজের জন্য একটি নিরাপদ, সম্মানজনক এবং প্রশান্তিময় জীবন গড়ে তুলতে পারে।

ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের শাব্দিক অর্থ ‘নিকাহ’—যার মানে হলো মিলন বা চুক্তি। শরীয়তের পরিভাষায় এটি এমন একটি বৈধ চুক্তি, যার মাধ্যমে নারী-পুরুষ একে অপরের জীবনসঙ্গী হয়ে বৈধভাবে একত্রিত হন। ইসলাম বিবাহকে একটি সম্মানজনক বন্ধনে রূপান্তর করেছে যাতে সমাজে বিশৃঙ্খলা না ছড়ায়, অবৈধ সম্পর্ক প্রতিরোধ হয় এবং পরিবার ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা সুসংগঠিত থাকে।

বিবাহ সংঘটিত হওয়ার জন্য ইসলামে নির্ধারিত কিছু মৌলিক শর্ত ও রুকন রয়েছে। প্রথমত, ইজাব বা প্রস্তাব—যা সাধারণত কনের অভিভাবকের পক্ষ থেকে বরকে দেওয়া হয়। দ্বিতীয়ত, কবুল বা সম্মতি—যা বর বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। এই ইজাব ও কবুল স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করতে হয়, এবং দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক, ন্যায়পরায়ণ পুরুষ সাক্ষীর উপস্থিতিতে তা সম্পন্ন করতে হয়। এছাড়া বর ও কনে উভয়কে অবশ্যই একে অপরের প্রতি সম্মত হতে হবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, “কোনো অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোনো নারীর বিবাহ নেই; অভিভাবক ও সাক্ষী ছাড়া কোনো বিবাহ নেই।” (তিরমিজি, সহিহ জামে)।

ইসলামে বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য আরও কিছু শর্ত রয়েছে। যেমন, বর-কনে উভয়কে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত ও চুক্তির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে; কারো উপর জোর করে বিবাহ চাপিয়ে দেওয়া যাবে না; কনের অভিভাবক মুসলিম, ন্যায়পরায়ণ ও প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে; সাক্ষীগণও বিশ্বস্ত ও প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ হতে হবে। ইসলামী ফিকাহ অনুসারে, কাছের আত্মীয় অভিভাবকের অধিকার সর্বাগ্রে। যেমন—বাবা, দাদা, ভাই ইত্যাদি। যদি কাছের কেউ না থাকে, তবে অন্য আত্মীয় বা সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে অভিভাবক হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

বিবাহের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, এটি পারিবারিক বন্ধনকে মজবুত করে এবং প্রজন্ম রক্ষা করে। হালাল উপায়ে সন্তান জন্ম দেওয়া, বংশ রক্ষা, পিতা-মাতার দায়িত্ব গ্রহণ এবং সমাজে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা—সবই বিবাহের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়। এর পাশাপাশি বিবাহ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পারস্পরিক ভালোবাসা, করুণা ও সহনশীলতার বন্ধন গড়ে তোলে। এটি কেবল দৈহিক সম্পর্কের সীমায় আবদ্ধ নয়; বরং আত্মিক বন্ধনের এমন এক কাঠামো যা মানুষকে পূর্ণতা দেয়।

ইসলামে বিবাহের ক্ষেত্রে কিছু সুন্নাত রয়েছে যেগুলো পালন করা উত্তম। যেমন—বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার আগে কনের সৌন্দর্য, চরিত্র, ধর্মীয়তা ইত্যাদি দেখা; বিয়ের খুতবা পাঠ করা; মসজিদে বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা; জুমার দিনে (বিশেষ করে আসরের পর) বিয়ের আকদ পড়ানো। বর-কনে যেন পরস্পরকে দেখে ও জানে, এজন্য দেখা বৈধ করা হয়েছে; তবে নির্জনে সাক্ষাৎ অনুমোদিত নয়।

অন্যদিকে, কিছু নিষিদ্ধ কাজ রয়েছে যেগুলো বিবাহের ক্ষেত্রে পরিহার করতে বলা হয়েছে। যেমন—ইদ্দতকালীন নারীর প্রতি বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া (বিশেষত ‘রাজ‘ঈ’ তালাকের পর), অন্যের প্রস্তাবে হস্তক্ষেপ করা বা মেয়ের সম্মতি ছাড়া জোর করে বিয়ে দেওয়া। ইসলাম এসব অনৈতিক কাজকে নিষিদ্ধ করে একটি স্বচ্ছ ও সম্মানজনক প্রক্রিয়ায় বিবাহ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছে।

সবশেষে, ইসলাম বিবাহকে শুধু একটি সামাজিক দায়িত্ব নয়, বরং একটি ইবাদত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। এটি মানুষের আত্মিক পরিতৃপ্তি, চারিত্রিক উৎকর্ষ এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার মূল ভিত্তি। আজকের যুগে যেখানে চারিত্রিক অবক্ষয়, সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও পারিবারিক ভাঙনের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে, সেখানে ইসলাম প্রদত্ত বিবাহব্যবস্থা হতে পারে একটি সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। সুতরাং বিবাহকে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি ও শরিয়তের নিয়ম অনুযায়ী গুরুত্ব সহকারে পালন করা প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব।

সূত্র: কুরআন, সহিহ বুখারি, তিরমিজি, ইসলামী ফিকাহ গ্রন্থ, সহিহ জামে


জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ০৯:৩৬:০১
জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত

ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আজকের নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করেছে। আজ বুধবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ যা বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জি মতে ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী ঢাকায় আজ জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৫৮ মিনিটে এবং আসরের নামাজ আদায়ের সময় শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে।

সন্ধ্যার দিকে সূর্য পশ্চিম আকাশে অস্ত যাওয়ার পর মাগরিবের নামাজ শুরু হবে ৫টা ১৮ মিনিটে এবং পরবর্তীতে এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে। যারা আগামীকাল বৃহস্পতিবারের ফজর নামাজের প্রস্তুতি নেবেন তাদের জন্য সময় শুরু হবে ভোর ৫টা ১৮ মিনিটে। এছাড়া আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে যা দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য নির্ধারণে সহায়ক হবে।


জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ০৯:২৩:৩৯
জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত

আজ মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ যা বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জির ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ তারিখ। মহান বিজয় দিবসের এই বিশেষ দিনে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্যানুযায়ী নামাজের নির্ধারিত সময়সূচি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আজকের দিনে জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৫৮ মিনিটে এবং এরপর বিকেলের দিকে আসরের নামাজের সময় শুরু হবে ৩টা ৩৮ মিনিটে।

দিনের আলো ফুরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মাগরিবের নামাজের জন্য নির্ধারিত সময় হলো বিকেল ৫টা ১৮ মিনিট যা একইসঙ্গে আজকের সূর্যাস্তের সময়কেও নির্দেশ করে। মাগরিবের পর রাতের ইবাদত অর্থাৎ এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে। এছাড়া যারা আগামীকাল বুধবার রোজা রাখবেন বা ভোরের নামাজ আদায় করবেন তাদের জন্য ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে। আজকের দিনে ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয়ের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৬টা ২৭ মিনিট। উল্লেখ্য, এই সময়সূচিটি মূলত ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য প্রযোজ্য তবে অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে ভৌগোলিক অবস্থানভেদে কয়েক মিনিটের ব্যবধান হতে পারে।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।


১৫ ডিসেম্বর ঢাকা ও আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৮:২৪:১২
১৫ ডিসেম্বর ঢাকা ও আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি
ছবি: সংগৃহীত

আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং হিজরি সনের হিসাবে আজ ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার মুসল্লিদের জন্য আজকের নামাজের নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ ঢাকায় জোহরের নামাজের সময় শুরু হবে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে। এরপর আসরের নামাজ আদায় করা যাবে বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিট থেকে। দিনের শেষ ভাগে সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজ শুরু হবে বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে। রাতের এশার নামাজের সময় নির্ধারিত হয়েছে সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিট থেকে।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ঘটবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে। অন্যদিকে আগামীকাল মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে। আগামী দিনের সূর্যোদয় নির্ধারিত হয়েছে সকাল ৬টা ২৭ মিনিটে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় জ্যোতির্বিদ্যা তথ্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত এই সময়সূচি ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্যও প্রযোজ্য। তবে ভৌগোলিক অবস্থানভেদে কয়েক মিনিট এদিক-সেদিক হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের আগে স্থানীয় মসজিদের সময়সূচি অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।


আজকের বাংলা ও হিজরি তারিখ এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ০৯:৩৯:৩৯
আজকের বাংলা ও হিজরি তারিখ এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি
ছবি : সংগৃহীত

আজ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং হিজরি সন অনুযায়ী ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আজকের নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো। এই সময়সূচি ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা ঢাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।

নামাজের সময়

জোহর জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে।

আসর আসরের ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে।

মাগরিব মাগরিবের নামাজের সময় শুরু হবে বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে।

এশা এশার ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে।

ফজর (আগামীকাল) আগামীকালের ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে।

সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী আজ ঢাকায় সূর্য অস্ত যাবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে। অন্যদিকে আগামীকাল সোমবার সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ২৭ মিনিটে।


ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শনিবারের নামাজের সঠিক সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ০৯:২৪:৫৬
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শনিবারের নামাজের সঠিক সময়সূচি
ছবি : সংগৃহীত

আজ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি তারিখ। বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী আজ ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং আরবি হিজরি সন অনুযায়ী ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা থেকে প্রাপ্ত আজকের ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো।

আজকের জোহরের সময় শুরু হয়েছে ১১টা ৫৬ মিনিটে। বিকেলের আসরের ওয়াক্ত শুরু হবে ৩টা ৩৭ মিনিটে। মাগরিবের আজান বা সূর্যাস্তের সময় ৫টা ১১ মিনিট তবে নামাজের ওয়াক্ত হিসেবে ৫টা ১৭ মিনিট ধরা যেতে পারে। এশার নামাজের সময় শুরু হবে ৬টা ৩৫ মিনিটে।

আগামীকাল রোববার ফজর নামাজের সময় শুরু হবে ভোর ৫টা ১৬ মিনিটে। এছাড়া আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে ৫টা ১১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ৬টা ২৭ মিনিটে। নিয়মিত নামাজ আদায়ে এই সময়সূচি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপকারে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।


আজকের নামাজের সব সময়সূচি এক নজরে

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ০৯:৫০:১৪
আজকের নামাজের সব সময়সূচি এক নজরে
ছবি: সংগৃহীত

আজ শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, বাংলা পঞ্জিকার ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং হিজরি ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চলে আজকের নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী।

জুমার নামাজের সময় আজ শুরু হবে সকাল ১১টা ৫৬ মিনিটে। দুপুরের পর বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে আসরের ওয়াক্ত প্রবেশ করবে। দিনের আলো মিলিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাগরিবের নামাজ আদায়ের সময় নির্ধারিত হয়েছে বিকেল ৫টা ১৬ মিনিটে। সন্ধ্যার পর এশার নামাজের সময় শুরু হবে রাত ৬টা ৩৫ মিনিটে।

আগামীকালের ফজরের নামাজ শুরু হবে ভোর ৫টা ১৬ মিনিটে। আজকের সূর্যাস্ত ঘটবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে এবং পরদিন সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ২৭ মিনিটে। সময়সূচি অনুযায়ী আজকের দিনের ইবাদত-বন্দেগি পরিকল্পনায় সহায়তার জন্য এই তথ্য মুসল্লিদের জন্য নির্ভরযোগ্য নির্দেশনা প্রদান করছে।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।


শুক্রবার সূরা কাহাফ পড়লে যে সওয়াব লাভ হয়

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ২২:৪৬:৪০
শুক্রবার সূরা কাহাফ পড়লে যে সওয়াব লাভ হয়
ছবি: সংগৃহীত

ইসলাম ধর্মে প্রতি শুক্রবারকে আধ্যাত্মিক পুনর্জাগরণের দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই দিনটিকে আরও বরকতময় করার অন্যতম উত্তম আমল হলো সূরা কাহাফের তেলাওয়াত। হাদিসশাস্ত্রে জুমার দিন এই সূরা পাঠের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, যা মুমিনের জীবনে আলো, প্রজ্ঞা ও ঈমানের শক্তি সঞ্চার করে। আলেম সমাজ ব্যাখ্যা করেন যে, সপ্তাহের নির্দিষ্ট এই পাঠ মানুষকে আল্লাহর সাথে গভীর সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে এবং নৈতিক দৃঢ়তায় অনুপ্রাণিত করে।

ধর্মীয় শিক্ষায় উল্লেখ আছে যে প্রতি বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সূরা কাহাফ পাঠ করা উত্তম। এই সময়সীমাকে ‘জুমার রাত এবং দিন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফলে দিনটি কর্মব্যস্ত থাকলেও রাতে বা সকালবেলা সূরা পাঠ করে মুসলমানরা সহজেই এ আমল সম্পাদন করতে পারে।

ইসলামি বিদ্বানরা মনে করেন, সূরা কাহাফ পাঠ মুসলমানদের আত্মিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং দুনিয়াবি বিভ্রান্তি থেকে তাদের মনকে রক্ষা করে। বিশেষভাবে দাজ্জালের ভয়াবহ ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকার উপায় হিসেবে এই সূরার প্রথম দশ অথবা শেষ দশ আয়াত পাঠের কথা নবী মুহাম্মদ (সা.) বর্ণনা করেছেন। পুরো সূরা পাঠ করা বেশি উত্তম হলেও সময়ের সংকটে আংশিক পাঠও উল্লেখযোগ্য ফজিলত প্রদান করে।

সূরা কাহাফ কুরআনের ১৮তম অধ্যায়, মোট ১১০ আয়াত নিয়ে গঠিত এবং এটি মাক্কায় অবতীর্ণ। সূরাটিকে তাফসিরবিদরা ‘পরীক্ষার সূরা’ বলেন, কারণ এখানে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ মানুষের ঈমান, ধৈর্য, নৈতিকতা এবং দৃঢ়তার শিক্ষা দিয়েছেন। গুহাবাসী নবীন যুবকদের কাহিনি, ধনবান দুজন মানুষের পরীক্ষা, হযরত মুসা ও খিযির (আ.)-এর শিক্ষা এবং যুলকারনাইনের ঘটনা এই সূরাকে আত্মোন্নয়ন ও জ্ঞানাচর্চার এক অনন্য উৎসে পরিণত করেছে।

আধ্যাত্মিক দিক থেকে সূরা কাহাফ পাঠ করলে মুমিনের হৃদয়ে একটি সাপ্তাহিক নূর সৃষ্টি হয় যা এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত থাকে। এই নূরকে শুধু আসমানি বরকতের প্রতীক নয়; বরং আলোকিত চরিত্র, দিব্য বোধ এবং সঠিক পথনির্দেশের প্রতীক হিসেবেও ব্যাখ্যা করা হয়। গবেষকরা বলেন, নিয়মিত সূরা কাহাফ পাঠ মানুষকে মানসিক চাপ, হতাশা এবং ভয়ের মতো নেতিবাচক প্রবণতা থেকে মুক্ত থাকতে সহায়তা করে।

এছাড়া, আলেমরা উল্লেখ করেন যে এই সূরার তিলাওয়াত মানুষকে আল্লাহর কুদরতের স্মরণ করিয়ে দেয়, জীবনের অস্থায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে এবং দুনিয়ার সাময়িক মোহমায়া থেকে মানবহৃদয়কে দূরে রাখে। এই সূরাটি ব্যক্তির বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে স্থিতধী থাকতে সহায়তা করে।

জুমার দিনের আমলগুলো মুমিনজীবনের সার্বিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও সপ্তাহে মাত্র কয়েক মিনিট সময় ব্যয় করে সূরা কাহাফ পাঠ করলে একজন মুসলমান তার আত্মিক যাত্রায় একটি দৃঢ় পদক্ষেপ রাখতে পারেন।


মুমিনের জন্য কুরআনের ৪ স্থায়ী আমল

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ২২:৪৩:১২
মুমিনের জন্য কুরআনের ৪ স্থায়ী আমল
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের মূল শিক্ষা মানুষের ঈমানকে সুদৃঢ় করে এবং হৃদয়কে আল্লাহর নৈকট্যের পথে পরিচালিত করে। কুরআনুল কারীমে এমন চারটি গুরুত্বপূর্ণ আমলের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, যা একজন মুমিনকে সারাজীবন আঁকড়ে ধরতে বলা হয়েছে। কারণ এগুলো আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি, জীবনের স্থিতি এবং দুনিয়া–আখিরাতের সফলতার পথ উন্মুক্ত করে।

১. সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রতি অটল শুকরিয়া প্রকাশ

মুমিনের জীবনে যে নিয়ামতই আসুক, তা বড় হোক বা ছোট, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার নির্দেশ রয়েছে। কুরআনে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন,

"তোমরা যদি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের জন্য নিয়ামত বৃদ্ধি করবো।" (সূরা ইব্রাহিম, ৬)

এই আয়াত আমাদের শিখিয়ে দেয়, শুকরিয়া শুধু ইবাদত নয়, বরং আরও নেয়ামতের দরজা উন্মুক্ত হওয়ার মাধ্যম।

২. আল্লাহর স্মরণ থেকে কখনো বিচ্ছিন্ন হবেন না

জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহকে স্মরণ করা একজন মুমিনের পরিচয়। স্মরণ মানুষকে বিভ্রান্তি, ভয় এবং গাফিলতি থেকে বাঁচায়। কুরআনে বলা হয়েছে,

"তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমাদের স্মরণ করবো।" (সূরা বাকারা, ১৫২)

এ আয়াতের প্রতিশ্রুতি নির্দেশ করে যে জিকির আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভের অন্যতম উপায়।

৩. দোয়া করা কখনো বন্ধ করবেন না

দোয়া হলো মুমিনের অস্ত্র, আশা, আশ্রয় এবং বিশ্বাসের প্রতীক। আল্লাহ নিজেই দোয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,"তোমরা আমার কাছে প্রার্থনা করো; আমি অবশ্যই তোমাদের সাড়া দেবো।" (সূরা গাফির, ৬০)

একই বার্তা রয়েছে সূরা বাকারা ১৮৬–এও। দোয়া আল্লাহর সঙ্গে মুমিনের সম্পর্ককে শক্তিশালী করে এবং কঠিন সময়ে অন্তরকে প্রশান্ত রাখে।

৪. তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা কখনো বন্ধ করা যাবে না

মানুষ হিসেবে ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভুলের পর তাওবা করা, ক্ষমা চাইতে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা একজন মুমিনের সৌন্দর্য। কুরআনে আল্লাহ ঘোষণা করেন,

"আল্লাহ এমন জাতিকে আযাব দেন না যারা তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।" (সূরা আনফাল, ৩৩)এ আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়, তাওবা আযাব দূর করে এবং রহমতের দরজা খোলে।


আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় প্রকাশ

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ০৯:৩৫:৩৫
আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ (২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি)। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দৈনিক নামাজের সময়সূচি ইসলামিক ফাউন্ডেশন নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্রকাশ করা হয়েছে।

আজকের নামাজের সময়সূচি

জোহর শুরু – সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটআসর শুরু – বিকেল ৩টা ৩৬ মিনিটমাগরিব – সন্ধ্যা ৫টা ১৬ মিনিটএশা শুরু – সন্ধ্যা ৬টা ৩৪ মিনিট

আগামীকাল ফজর ও সূর্যোদয়–সূর্যাস্ত

আগামীকাল ফজর শুরু – ভোর ৫টা ১৫ মিনিটেআজ সূর্যাস্ত – সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটআগামীকাল সূর্যোদয় – সকাল ৬টা ২৭ মিনিট

শহরবাসীর জন্য এ সময়সূচি দৈনন্দিন ইবাদত–বন্দেগি পালনে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়। মৌসুমি পরিবর্তনের কারণে দিনের দৈর্ঘ্য ও সূর্যোদয়–সূর্যাস্তের সময় কিছুটা হ্রাস–বৃদ্ধি পাওয়ায় নিয়মিত সময় যাচাই করা প্রয়োজন।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত