রাশিয়ায় ট্রেনের ওপর সেতু ধসে নিহত ৭, আহত ৩১

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ০১ ০৮:২৮:২৪
রাশিয়ায় ট্রেনের ওপর সেতু ধসে নিহত ৭, আহত ৩১

রাশিয়ার ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। একটি মহাসড়কের সেতু ধসে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের ওপর পড়ে অন্তত ৭ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে গতকাল শনিবার (৩১ মে) রাতে, যখন ট্রেনটি ক্লিমোভো শহর থেকে মস্কোর উদ্দেশে যাত্রা করছিল।

রাশিয়ার জরুরি বিভাগ জানায়, সেতু ধসে পড়ার সময় একাধিক ভারী ট্রাক ট্রেনের ওপর আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার ফলে ট্রেনের ইঞ্জিনসহ একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়। আহতদের মধ্যে একজন শিশু ও আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ জানান, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।”

দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও রেসকিউ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, অতিরিক্ত উদ্ধারকর্মী, সরঞ্জাম ও রাতে কাজের জন্য আলোর ব্যবস্থা ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, ট্রেনের যাত্রীরা একে অপরকে সাহায্য করে ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে আসছেন। বগিগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রেলপথে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে আছে।

মস্কো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “পরিবহন ব্যবস্থায় অবৈধ হস্তক্ষেপের” কারণে সেতুটি ধসে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

মস্কোর আন্তঃআঞ্চলিক পরিবহন প্রসিকিউটরের অফিস জানিয়েছে, এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দুর্ঘটনার পেছনে কারা দায়ী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের কাছাকাছি একটি স্টেশনে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে “বিশেষভাবে প্রস্তুত একটি রিজার্ভ ট্রেন”-এর মাধ্যমে তাঁদের মস্কো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থলটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার (প্রায় ৬২ মাইল) দূরে হওয়ায় রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছেন।


ইসরায়েলে বাসে হামলা: হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, চলছে ব্যাপক অভিযান

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৪:৫৫:০২
ইসরায়েলে বাসে হামলা: হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, চলছে ব্যাপক অভিযান
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের জেরুজালেম শহরের রামোট জংশনের প্রবেশপথে একটি বাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত এবং ২২ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এই হামলা হয় বলে জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জানিয়েছে।

এমডিএ জানিয়েছে যে, বন্দুকধারীরা ৬২ নম্বর বাসে উঠে যাত্রীদের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে। পরে হামলায় জড়িত দুইজনকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এই ঘটনার পর জেরুজালেমের ভেতরে এবং বাইরের সব প্রবেশ ও বেরোনোর পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এমডিএ-র প্যারামেডিক নাদাভ তাইব বলেন, "আমরা গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। যখন আমরা পৌঁছাই, তখন রাস্তায় এবং বাসস্টপের কাছে ফুটপাতে অচেতন অবস্থায় মানুষ পড়ে থাকতে দেখেছি। মেঝেতে প্রচুর ধ্বংসযজ্ঞ এবং ভাঙা কাঁচ ছিল। আমরা আহতদের চিকিৎসা প্রদান শুরু করেছি এবং তাদের হাসপাতালে স্থানান্তর অব্যাহত রেখেছি।"

ইউনাইটেড হাতজালাহ মেডিকেল টিমও ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকজন আহতকে প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে যে, ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে ব্যাপক অভিযান চলছে। তবে হামলাকারীরা নিহত হয়েছে নাকি পালিয়ে গেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

সুত্র: জেরুজালেম পোস্ট


যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে এই শাবানা মাহমুদ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৪:১৩:১৪
যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে এই শাবানা মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত শাবানা মাহমুদকে নিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে শাবানা মাহমুদ দেশটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয় অভিবাসন, পুলিশিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা তদারকি করে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ তথ্য জানায়।

অ্যাঞ্জেলা রেইনার ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারির কারণে উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পরই শাবানা মাহমুদের এই নিয়োগ ঘোষণা করা হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি বলেন, “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান হলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়া। সরকারের প্রথম দায়িত্ব হলো নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আর প্রতিদিন আমি সে লক্ষ্যেই কাজ করব।”

১৯৮০ সালে বার্মিংহামে জন্ম নেওয়া শাবানা মাহমুদের শিকড় পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরের মিরপুরে। তার বাবা-মা লুধারের ভোহরিয়ান গ্রামে বসবাসের পর সৌদি আরবে কিছুদিন কাটান এবং পরবর্তীতে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে চলে আসেন। অক্সফোর্ডের লিংকন কলেজ থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষে তিনি ব্যারিস্টারি পেশায় যুক্ত হন।

২০১০ সালে বার্মিংহামের লেডিওয়ুড আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে ব্রিটিশ রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেন শাবানা। তিনি ছিলেন দেশটির প্রথম দিককার মুসলিম নারী এমপিদের একজন। পরবর্তীতে ছায়া অর্থমন্ত্রী, ছায়া কারাগারবিষয়ক মন্ত্রীসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

২০২৪ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টির বিজয়ের পর তিনি বিচারমন্ত্রী ও লর্ড চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পান। এ সময়ে তিনি কারাগারে অতিরিক্ত বন্দির চাপ কমানো এবং বিচারব্যবস্থার জট নিরসনে নানা পদক্ষেপ নেন। কারাগার সংস্কার বিষয়ে সম্প্রতি তিনি বড় একটি বিল সংসদে উপস্থাপন করেন। তবে এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাকে আরও জটিল দায়িত্ব নিতে হচ্ছে—বিশেষ করে অভিবাসন সংকট, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য হোটেল, রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসীর চ্যানেল অতিক্রম এবং সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের মতো চ্যালেঞ্জ তার সামনে।

শাবানা স্পষ্ট করে বলেছেন, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ছাড়া ব্রিটেন বিভাজিত হয়ে পড়তে পারে। তবে তিনি লেবার পার্টির দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেছেন, ব্রিটেনকে তিনি “পড়শি-সুলভ জাতি”তে রূপ দিতে চান। ইউরোপীয় মানবাধিকার কনভেনশন নিয়েও সংস্কারের প্রস্তাব এনেছেন তিনি। বিশেষ করে অভিবাসন মামলায় ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের অধিকার (আর্টিকেল ৮) প্রয়োগে কড়াকড়ি আনার পরিকল্পনা রয়েছে তার। বিচারমন্ত্রী থাকাকালে তিনি বিদেশি অপরাধীদের দ্রুত বহিষ্কারের প্রস্তাব করেছিলেন। তার ভাষায়, “যদি কেউ আমাদের আতিথেয়তার অপব্যবহার করে আইন ভাঙে, তবে তাকে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো হবে।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের পর লর্ড গ্লাসম্যান তাকে লেবার পার্টির গুরুত্বপূর্ণ অংশের নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে শাবানা মাহমুদ নানান হয়রানি, ভুয়া তথ্য প্রচার এবং ঘৃণার শিকার হয়েছেন। স্থানীয় পাকিস্তানি কমিউনিটিতেও তাকে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় নারী বিদ্বেষী প্রচারণা, পোস্টার ছেঁড়াসহ নানা হয়রানি তাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবুও তিনি বলেছেন, “মুসলিম নারী হয়েও সংসদে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হওয়া আমাকে অনুপ্রাণিত করে।”

ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সংঘাত প্রসঙ্গে শাবানা বলেন, গাজার যুদ্ধ ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে নিরীহ শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অমানবিক। তিনি স্পষ্ট করে জানান, লেবার পার্টি দুই রাষ্ট্র সমাধানে বিশ্বাসী এবং এটিই একমাত্র শান্তির পথ।

-রফিক


রাশিয়ার নজিরবিহীন হামলার পর নতুন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১১:২৭:১৪
রাশিয়ার নজিরবিহীন হামলার পর নতুন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ছবিঃ সংগৃহীত

রাশিয়ার নজিরবিহীন আকাশ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার মস্কোর বিরুদ্ধে আরও নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইউক্রেনজুড়ে চালানো এই হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয় এবং রাজধানী কিয়েভের মন্ত্রিপরিষদ ভবনসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনায় আগুন ধরে যায়।

ভোরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন একযোগে আছড়ে পড়ে কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায়। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানায়, মাত্র এক রাতে রাশিয়া অন্তত ৮১০টি ড্রোন ও ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে—যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আক্রমণ। হামলায় সরকারি স্থাপনার পাশাপাশি আবাসিক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে অনেক নারী-শিশু রয়েছে। একজন গর্ভবতী নারী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেছেন; মা ও নবজাতক দুজনের জীবনই ঝুঁকিতে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি ‘দৃঢ় প্রতিক্রিয়া’ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, “পুতিন বিশ্বের ধৈর্য পরীক্ষা করছেন। আমাদের অংশীদারদের শক্ত প্রতিক্রিয়াই এখন সময়ের দাবি।” তিনি আরও জানান, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং ফ্রান্স ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদারে সহায়তা দেবে।

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিদেঙ্কো কিয়েভের মন্ত্রিপরিষদ ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ভিডিও প্রকাশ করে বলেন, “আমরা ভবনগুলো পুনর্নির্মাণ করব, কিন্তু প্রাণগুলো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না।” এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হামলায় সাতটি ঘোড়াও মারা গেছে। তারা এক বিবৃতিতে লিখেছে, “বিশ্ব হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না, যখন একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র প্রতিদিন মানুষ ও প্রাণের জীবন কেড়ে নিচ্ছে।”

হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ বলেছেন, রাশিয়া ‘যুদ্ধ ও সন্ত্রাসের যুক্তিতে’ ক্রমেই ডুবে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার এটিকে ‘কাপুরুষোচিত হামলা’ আখ্যা দিয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডার লেইয়েন মন্তব্য করেছেন, ক্রেমলিন এখন কার্যত ‘কূটনীতির প্রতি উপহাস’ করছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন, রুশ তেল আমদানি করা দেশগুলোর ওপরও শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। তাঁর মতে, এতে রাশিয়ার অর্থনীতি ভেঙে পড়বে এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য করা যাবে।

রাশিয়া অবশ্য দাবি করেছে, তারা কেবল কিয়েভের একটি প্ল্যান্ট ও লজিস্টিকস হাবকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, সাধারণ জনগণকে নয়। তবে আন্তর্জাতিক মহল রাশিয়ার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

উল্লেখ্য, আগস্টের মাঝামাঝি ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ার পর থেকেই রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা আরও তীব্র করেছে। এদিকে যুদ্ধবিরতির যেকোনো প্রস্তাব তদারকির জন্য ইউরোপের দুই ডজনের বেশি দেশ নিজেদের সম্পৃক্ত করার অঙ্গীকার করেছে। এমনকি কয়েকটি দেশ প্রয়োজনে মাটিতে সেনা পাঠাতেও আগ্রহ দেখিয়েছে, যা নিয়ে মস্কো কঠোর আপত্তি জানিয়েছে।

তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘাতে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড দখল করেছে রাশিয়া। ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী এই সংঘাতে ইতিমধ্যেই লাখো মানুষ গৃহহীন এবং কয়েক হাজার প্রাণ হারিয়েছে।

-সুত্রঃ এ এফ পি


হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান ইসরায়েলের

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ২১:৪১:১২
হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান ইসরায়েলের
গাজা শহরের বহুতল ভবনে ইসরায়েলের হামলা। ছবি: এএফপি (ফাইল)

গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজার সবচেয়ে বড় শহরের কেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সাআর জেরুজালেমে বলেন, “যদি হামাস গাজায় আটকে থাকা বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেয় এবং অস্ত্র সমর্পণ করে, তাহলে এই যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা রাজনৈতিক উপায়ে এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে খুবই খুশি হবো।”

এর জবাবে, হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেন, তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না। তবে ইসরায়েল যদি যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং গাজা থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করতে রাজি হয়, তাহলে তারা সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে। এটি দীর্ঘদিন ধরে এই ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অবস্থান।

গত মাসে ইসরায়েল গাজা সিটিতে হামলা শুরু করে এবং বর্তমানে তাদের সেনারা শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, রাতভর হামলায় শহরজুড়ে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজা সিটির দক্ষিণে একটি স্কুলেও হামলা হয়েছে, যেখানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল।

স্কুলে হামলা প্রসঙ্গে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা হামাসের একজন যোদ্ধাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল এবং হামলা চালানোর আগে বেসামরিক নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছিল। সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, “ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য যেকোনো হুমকি দূর করতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে।

সূত্র: রয়টার্স


রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে নতুন মোড়: বাফার জোনের নিরাপত্তার দায়িত্বে কি বাংলাদেশ?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৭:২৩:২৩
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে নতুন মোড়: বাফার জোনের নিরাপত্তার দায়িত্বে কি বাংলাদেশ?
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, যুদ্ধবিরতি হলে দুই দেশের মাঝখানে একটি ‘বাফার জোন’ বা নিরস্ত্রীকরণ এলাকা গড়ে উঠতে পারে। আর সেই বাফার জোনের নিরাপত্তা তদারকির জন্য বাংলাদেশসহ একাধিক ন্যাটো-বহির্ভূত দেশের সেনা মোতায়েন করা হতে পারে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বাফার জোনের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মতো একাধিক দেশের সেনাদের সেখানে মোতায়েন করা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের মতে, সৌদি কিংবা বাংলাদেশের সেনাদের অংশগ্রহণ নিরাপত্তা জোরদার করবে এবং রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আগ্রাসন ঠেকাতে সহায়তা করবে।

যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই

তবে জটিল বাস্তবতায় যুদ্ধ থামার কোনো দ্রুত সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। গত মাসে আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মুখোমুখি বৈঠক করলেও মস্কো এখনো শান্তিচুক্তির কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক নিয়েও অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন পুতিন, যা ট্রাম্পের হতাশা বাড়াচ্ছে।

বাফার জোন হলো সংঘাতপূর্ণ দুই অঞ্চলের মাঝখানে গড়ে ওঠা একধরনের নিরপেক্ষ বা নিয়ন্ত্রিত এলাকা, যার মূল উদ্দেশ্য হলো উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ প্রতিরোধ করা।

এর আগে আগস্টে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন, যেকোনো শান্তিচুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। বৈঠকের পর জেলেনস্কি এটিকে তার দেখা “সেরা বৈঠক” আখ্যা দেন এবং জানান, যুক্তরাষ্ট্র শুধু সমন্বয় করবে না, বরং নিরাপত্তা নিশ্চয়তারও অংশীদার হবে, যা ইউক্রেনের জন্য বড় অগ্রগতি।

আলোচনায় প্রস্তুত ইউক্রেন

জেলেনস্কি আবারও জানিয়েছেন, ইউক্রেন আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে ভূখণ্ড বিনিময়ের মতো সংবেদনশীল ইস্যু সরাসরি তার ও পুতিনের আলোচনার মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে। সম্প্রতি ট্রাম্প বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো প্রতিরক্ষার প্রথম সারিতে থাকবে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনকে যথেষ্ট সহায়তা করবে।


ইউক্রেনের মন্ত্রিসভার ভবনে রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৪:৫৭:০০
ইউক্রেনের মন্ত্রিসভার ভবনে রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের প্রধান সরকারি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাজধানীর মন্ত্রিসভা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিবিদেঙ্কো। ২০২২ সালে মস্কো সামরিক অভিযান শুরু করার পর এই প্রথম ভবনটি হামলার শিকার হলো।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, শনিবার কিয়েভে রাতভর হামলায় রাশিয়া রেকর্ডসংখ্যক, অর্থাৎ আট শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। সর্বশেষ এসব হামলায় ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৫৬টি ড্রোন ৩৭টি স্থানে আঘাত হেনেছে।

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রিসভা ভবনের ছাদ ও ওপরের তলাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, "শত্রু প্রতিদিন দেশের মানুষের ওপর ভয়ের সৃষ্টি করছে।"

সিভিবিদেঙ্কো জানান, “আজ ভোরে আমরা ইনডিপেনডেনস স্কয়ারের আকাশে ধোঁয়ার এক বড় কুণ্ডলী উঠতে দেখেছি। এরপর আমরা (বিস্ফোরণের শব্দ) শুনেছি এবং দেখেছি, দুটি রুশ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছুটে চলছে। এরপর আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে।”


চাপের মুখে পদত্যাগ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৪:১৪:৪৭
চাপের মুখে পদত্যাগ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু
ছবি: সংগৃহীত

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রোববার দেশটির গণমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরে শিগেরু জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। সম্প্রতি সংসদের উচ্চকক্ষে তার নেতৃত্বাধীন জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে নিজ দলের নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

দলীয় চাপের মুখে সাত দিন আগেও ইশিবার পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছিল। তখন তিনি এমন খবর নাকচ করে দিলেও, ঠিক এক সপ্তাহ পর তিনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার সময় ইশিবা মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলার পাশাপাশি নিজের দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) সংস্কার আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই তার দল সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়।

আগামীকাল সোমবার এলডিপিতে বিশেষ নেতৃত্ব বাছাইয়ের কথা রয়েছে। আল জাজিরার খবর অনুযায়ী, দলের ভেতর সম্ভাব্য বিভক্তি এড়াতেই ইশিবার এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।


ভারত ও রাশিয়া গভীর, অন্ধকার চীনের দিকে চলে গেছে: ট্রাম্প

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ১২:০১:১৪
ভারত ও রাশিয়া গভীর, অন্ধকার চীনের দিকে চলে গেছে: ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেছেন, ভারত ও রাশিয়া যেন ‘গভীর, অন্ধকার চীনের দিকে চলে গেছে’। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এই দুই দেশের নেতাদের বৈঠকের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি এই মন্তব্য করেন। ট্রাম্পের এই বক্তব্যে স্পষ্টত নিউ দিল্লি ও মস্কোর ওপর তার বিরক্তি প্রকাশ পেয়েছে।

ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, “আমরা ভারত ও রাশিয়াকে গভীর, অন্ধকার চীনের কাছে হারিয়েছি। তারা একসাথে দীর্ঘায়ু ও সমৃদ্ধশালী হোক!” তিনি শি জিনপিং, ভ্লাদিমির পুতিন ও নরেন্দ্র মোদির একটি ছবিও শেয়ার করেছেন।

এই মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ক্রেমলিনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন শি জিনপিং চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলনে ২০টিরও বেশি অ-পশ্চিমা দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও উপস্থিত ছিলেন। সামিটে পুতিন ও মোদি একসাথে শি জিনপিংয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন এবং পরে তিনজনকে একসাথে দাঁড়াতেও দেখা যায়।

ট্রাম্প বারবার অভিযোগ করে আসছেন যে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য থেকে অসমভাবে লাভবান হচ্ছে। এই সপ্তাহে তিনি বলেছিলেন, পুতিনের প্রতি খুবই হতাশ হলেও রাশিয়া-চীন সম্পর্ক বৃদ্ধিকে নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন নন। তবে তিনি খুব শীঘ্রই পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করছেন বলেও জানান।


এক ঘটনাতেই উত্তাল ইন্দোনেশিয়া, পাশে দাঁড়িয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলো

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ১১:৪১:০৮
এক ঘটনাতেই উত্তাল ইন্দোনেশিয়া, পাশে দাঁড়িয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলো
ছবি: সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ায় চলমান বিক্ষোভকে প্রতিবেশী দেশগুলোও সমর্থন জানাচ্ছে। সম্প্রতি একজন ডেলিভারি রাইডারের মৃত্যুর পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের নাগরিকরা জনপ্রিয় ডেলিভারি অ্যাপ গ্র্যাব ও গোজেক ব্যবহার করে ইন্দোনেশিয়ার রাইডারদের জন্য খাবার অর্ডার করছেন।

গত ২ সেপ্টেম্বর গোজেকের চালক আফফান কুরনিয়াওয়ান পুলিশের গাড়ির নিচে চাপা পড়ে নিহত হওয়ার পর এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। এই ঘটনায় জনরোষ তীব্র আকার ধারণ করে এবং বিভিন্ন সরকারি ভবনে আগুন দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি দেশজুড়ে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাড়তে থাকে। বিক্ষোভে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

প্রতিবেশী দেশগুলোর নাগরিকরা #SEAblings হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে এই প্রতিবাদে সমর্থন জানাচ্ছেন। ফিলিপাইনের সেবু দ্বীপের বাসিন্দা তারা (৩৪) জাকার্তায় দুই দফায় খাবার ও পানীয় পাঠিয়েছেন। একইসঙ্গে অনলাইনে অন্যদেরও সাহায্যের জন্য নির্দেশিকা পোস্ট করেছেন। মালয়েশীয় শিক্ষার্থী আয়মান হারিজ মুহাম্মদ আদিব বলেছেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাদের সাহস আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।”

ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে খাদ্য ও পানীয় বিতরণে প্রতিবেশী দেশগুলোর সমর্থন পেয়ে বিক্ষোভকারীরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, রাইডাররা আবেগাপ্লুত হয়ে বিদেশ থেকে আসা অর্ডারের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার বাইরে থেকে, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব এশিয়া থেকে খাবারের অর্ডার সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে।

পাঠকের মতামত: