আমি এখন স্বাধীন দেশের ,স্বাধীন নাগরিক

কারামুক্তির পর আবেগঘন ভাষণে রাজনৈতিক মামলা, ৩৬ জুলাইয়ের বিপ্লব ও ভবিষ্যৎ লড়াইয়ের ঘোষণা দিলেন জামায়াত নেতা
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রায় ১৪ বছর কারাভোগের পর জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম অবশেষে কারামুক্ত হয়েছেন। বুধবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে জনসম্মুখে আসেন তিনি। হাসপাতাল গেটেই তাঁকে অভ্যর্থনা জানান শতাধিক দলীয় নেতাকর্মী।
এরপর শাহবাগ মোড়ে আয়োজিত এক জনসভায় আবেগঘন কণ্ঠে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন,“প্রায় ১৪ বছর পর আমি আজ ছাড়া পেলাম। আমি এখন মুক্ত। আমি এখন স্বাধীন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি এখন স্বাধীন দেশের একজন স্বাধীন নাগরিক।”
জনসভায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে এটিএম আজহার অভিযোগ করেন,“এই মুক্তি শুধু আমার ব্যক্তিগত নয়, এটি একটি দীর্ঘ লড়াইয়ের ফল। একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন মামলায় আমাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সত্য চিরকাল চাপা থাকে না। আজ সেই সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
তিনি আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন,“আমি সর্বপ্রথম আদালতকে ধন্যবাদ জানাই। তারা দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সাহসিকতা দেখিয়েছেন। তবে এটাও সত্য, এতদিন দেশে বিচার ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের অনেক ভাইকে ‘জুডিশিয়াল কিলিং’-এর মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে।”
বক্তব্যে তিনি ৩৬ জুলাইয়ের আন্দোলন এবং ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পালাবদলের কথা স্মরণ করে বলেন,“যারা ৩৬ জুলাইয়ের মহাবিপ্লব ঘটিয়েছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এই বিপ্লব, সেই রক্ত আর ঘামের কারণেই ৫ আগস্ট দেশের জনগণ একটি স্বৈরাচারী শাসকের পতন ঘটাতে পেরেছে। আমার এই মুক্তিও সেই আন্দোলনেরই ফসল।”
তিনি আরও বলেন,“যারা রাজপথে নিজেদের রক্ত ঢেলে একদলীয় শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যাবে না। তাদের শাহাদাত বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য আলোর পথ দেখাবে।”
❝ রাজপথে ফেরার ঘোষণা, নতুন পথচলার বার্তা ❞
আগামী দিনের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে এটিএম আজহার বলেন,“এই মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে আমার ওপর একটা নতুন দায়িত্ব এসেছে। আমি কথা দিচ্ছি, আল্লাহ যদি আমাকে তৌফিক দেন, তাহলে জীবনসায়াহ্ন পর্যন্ত জনগণের অধিকার, ন্যায়বিচার ও ইসলামি মূল্যবোধ রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাব।”তিনি জানান, “আমাদের আন্দোলন থেমে নেই, থামবেও না। আজ থেকে আবার নতুনভাবে পথচলা শুরু হলো। আমরা কখনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি, করবোও না।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ জামায়াতের কেন্দ্রীয় এবং মহানগর পর্যায়ের নেতারা। তাঁরা এটিএম আজহারের মুক্তিকে "রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিপরীতে একটি ন্যায়বিচারের জয়" হিসেবে উল্লেখ করে আগামী দিনে দলকে রাজনীতির কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গেম্বলারদের দৌরাত্ম্য: আস্থা ফেরাতে চাই কঠোর শাস্তি ও কাঠামোগত সংস্কার
- বাংলাদেশে সেনা-সরকার উত্তেজনা ও ‘কু’ এর গুঞ্জন: নেপথ্যে কি?
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক
- তারকা পরিচিতি: রক্ষাকবচ না কি সমাজবিমুখ অব্যাহতি?
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা নিহত
- দেশের ৬ জেলায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা
- বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে কি লিখলেন প্রেস সচিব শফিকুল?
- বাংলাদেশে আন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে মৌলিক অধিকার হুমকিতে
- “ভারতের দালালরা ঘাপটি মেরে বসে আছে”: মুফতি রেজাউল করিম
- "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সব রাজনৈতিক দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে"
- মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কেন অনিশ্চিত
- জেনে নিন ঈদের ছুটিতে কোন কোন এলাকায় ব্যাংক খোলা থাকবে
- যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ট্রাম্পের শুল্কারোপ স্থগিত: ক্ষমতা লঙ্ঘনের অভিযোগ