ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় নিহত ১২

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ২৫ ১৭:৫১:০৫
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় নিহত ১২

রাশিয়া দ্বিতীয় রাতের মতো ইউক্রেনজুড়ে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে, যার ফলে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতের এই হামলায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন অঞ্চল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা বিভাগ রাতটিকে “ভয়ংকর” আখ্যা দিয়েছে। এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন কিয়েভ ও মস্কো বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে এগোচ্ছিল। এটি ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে বড় বন্দী বিনিময়ের অংশ।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ঝিতোমির এলাকায় নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে, যাদের বয়স যথাক্রমে ৮, ১২ ও ১৭ বছর। এছাড়া খমেলনিতস্কি অঞ্চলে চারজন, কিয়েভে চারজন এবং মাইকোলাইভে একজন নিহত হয়েছেন। কিয়েভে ১৬ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু। এএফপির সাংবাদিকেরা জানান, রাতভর কিয়েভজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বরাতে জানা যায়, তারা রাতভর ৪৫টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ২৬৬টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। রাশিয়ার আগের দিনের হামলাতেও ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ২৫০টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল, যেখানে অন্তত ১৫ জন আহত হন। একইসঙ্গে রাশিয়া দাবি করেছে, মঙ্গলবার থেকে ইউক্রেন ৭৮৮টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তাদের ওপর।

রুশ কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, মস্কোর আকাশসীমার দিকে ধেয়ে আসা অন্তত ১২টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এ ঘটনার পর মস্কোর শেরেমেতিভোসহ চারটি বিমানবন্দরে নতুন নিরাপত্তা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, রাশিয়া স্পষ্টভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চায়। তিনি আন্তর্জাতিক নেতাদের রাশিয়ার ওপর কঠোর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান। তাঁর মতে, কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছাড়া এই নৃশংসতা বন্ধ করা সম্ভব নয়। জেলেনস্কি আরও বলেন, "রুশ নেতৃত্বের ওপর সত্যিকারের ও কঠিন চাপ না থাকলে এই নির্মমতা থামানো সম্ভব নয়।"

তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা একত্রে রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধে বাধ্য করে। এদিকে, কিয়েভ ও মস্কো শনিবার ঘোষণা দেয় যে, ৩০৭ জন রুশ বন্দীর বিনিময়ে একই সংখ্যক ইউক্রেনীয় সেনাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগের দিন আরও ৩৯০ জন বন্দী বিনিময় করা হয়। দুই পক্ষ মিলিয়ে ১ হাজার বন্দী বিনিময়ের পরিকল্পনা করছে। জেলেনস্কি আশা প্রকাশ করেছেন, ১৬ মে ইস্তাম্বুলে বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়ার আলোচনায় আরও অগ্রগতি হবে।

কিবরিয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ