সিস্টিন চ্যাপেলে পোপের প্রথম বার্তা: গির্জা হোক দিশারী

সত্য নিউজ: সদ্য নির্বাচিত পোপ লিও চতুর্দশ তার প্রথম প্রার্থনা অনুষ্ঠানে ধর্মবিশ্বাস হারানোর বিপদের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ভ্যাটিকানের ঐতিহাসিক সিস্টিন চ্যাপেল-এ শুক্রবার দেওয়া উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, আধুনিক সমাজ প্রযুক্তি, অর্থ, ক্ষমতা ও বিনোদনের পেছনে ছুটতে গিয়ে আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্র থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

“বিশ্বাসের অভাব আমাদের দুনিয়াকে অন্ধকার করে তুলছে,” বলেন পোপ লিও,
“এই অন্ধকার রাতকে আলোকিত করতে গির্জাকে হতে হবে বাতিঘর।”

তিনি সবাইকে ক্যাথলিক গির্জার প্রতি নতুন আস্থা ও ঐক্যের আহ্বান জানান এবং কার্ডিনালদের উদ্দেশে বলেন, “আমি জানি, আমি আপনাদের প্রত্যেকের ওপর ভরসা করতে পারি।”

ভাষণের সময় পোপ লিও সাদা পোশাকে, সোনালি অলংকরণ পরিহিত অবস্থায় কার্ডিনালদের সামনে বসেন। তাঁর এ ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করে ভ্যাটিকান প্রশাসন।

একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত: প্রথম আমেরিকান পোপ

পোপ লিও চতুর্দশ হলেন প্রথম আমেরিকান নাগরিক যিনি ক্যাথলিক চার্চের সর্বোচ্চ পদে আসীন হলেন। রবার্ট প্রিভোস্ট, শিকাগোতে জন্মগ্রহণকারী এই বিশপ, ভোটের দ্বিতীয় দিনে চতুর্থ দফায় নির্বাচিত হন এবং নিজের পোপ নাম হিসেবে নেন ‘লিও চতুর্দশ’। তিনি প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস-এর উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

পোপ ফ্রান্সিসের আদর্শকে সামনে রেখে লিও চতুর্দশ শান্তি ও সংলাপের গুরুত্বও তুলে ধরেন।
“সংলাপের মধ্য দিয়ে সম্পর্ক গড়ুন, সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে মানুষকে কাছাকাছি আনুন—এটাই শান্তির পথ,” বলেন তিনি।

পোপের বার্তা: একতা, আস্থা ও আলোর আহ্বান

সিস্টিন চ্যাপেলে এই প্রথম ভাষণে পোপ শুধু চার্চের নৈতিক ভূমিকা নয়, বরং আধুনিক জগতে এর দায়িত্বের কথাও তুলে ধরেছেন। প্রযুক্তির অগ্রগতি ও বস্তুবাদী চিন্তার যুগে মানুষকে আবার বিশ্বাসের পথে ফিরিয়ে আনতে তিনি গির্জার প্রতি নতুন ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান।

পোপ লিও’র বার্তা ছিল স্পষ্ট:
এই যুগে যখন বিশ্বাস দুর্বল হচ্ছে, তখন গির্জাকে হতে হবে নৈতিক শক্তির কেন্দ্রবিন্দু—আলো ও মানবতার দিশারী।