জ্বালানি তেল: সাগর থেকে সড়ক, পথে পথে চুরি

সত্য নিউজ: বাংলাদেশে আমদানি করা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি তেল বঙ্গোপসাগরের মাদার ভেসেল থেকে শুরু করে গ্রাহকের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে সংঘবদ্ধভাবে চুরি হচ্ছে—এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে একটি রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, তেল পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাবিক, ডিপো কর্মকর্তাসহ একটি সুসংগঠিত সিন্ডিকেট শত শত কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কোস্টগার্ডকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম শুরু করার উদ্যোগও নিয়েছে।
চোরাই প্রক্রিয়া: মাদার ভেসেল থেকে শুরু করে পাম্প পর্যন্ত
প্রতিবেদন অনুসারে, চট্টগ্রাম বন্দরের মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে তেল ডিপোতে নেওয়ার সময়ই চুরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। তেলের মাপ নির্ধারণে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা লেনদেন করে পরিমাণ কম বা বেশি দেখিয়ে চুরি করে থাকেন। লাইটার জাহাজের গোপন চেম্বারে অতিরিক্ত ৮০০ থেকে ১,০০০ লিটার পর্যন্ত তেল লুকিয়ে রাখা হয়। এসব তেল পরে খোলাবাজারে বিক্রি করা হয়।
অপরদিকে, রেল ও সড়কপথে পরিবহনেও দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। একটি ট্যাংকলরিতে সাধারণত ১৫০ থেকে ২০০ লিটার পর্যন্ত অতিরিক্ত তেল ভরা হয়, যা ভাউচারে উল্লেখ থাকে না। একইভাবে ড্রামেও ১৫ থেকে ২০ লিটার পর্যন্ত অতিরিক্ত তেল ভরার চিত্র উঠে এসেছে।
কর্ণফুলী নদী ও বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজগুলো থেকেও তেল চুরি হয় বলে জানা গেছে। রাতের অন্ধকারে জাহাজ থেকে ড্রামে ভরে তেল নামিয়ে নদীপথে নৌকায় করে সিন্ডিকেট সদস্যদের কাছে পৌঁছানো হয়, যা পরে বিক্রি হয় স্থানীয় বাজারে বা ইঞ্জিনচালিত নৌযানে।
প্রযুক্তিহীনতা ও জবাবদিহিহীনতা: চুরির প্রধান কারণ
বিপিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে প্রায় ৬৭ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি সরবরাহ করা হয়, যার মধ্যে ৬৭ শতাংশই পরিবহন করা হয় নৌপথে। কিন্তু অধিকাংশ ডিপো, পরিবহন মাধ্যম ও সরবরাহ চেইনে এখনো আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সীমিত, ফলে কার্যকর নজরদারির অভাবে চুরির ঘটনাগুলো ব্যাপক হারে ঘটছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ম্যানুয়াল প্রক্রিয়ায় তেল পরিমাপ ও রেকর্ড সংরক্ষণের ফলে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়। তেল তাপমাত্রার তারতম্যে পরিমাপে অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি হলেও সেটি স্বচ্ছভাবে ব্যবস্থাপনায় আসে না।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সুপারিশ
জ্বালানি চুরি রোধে পদ্মা, মেঘনা এবং যমুনা অয়েল কোম্পানিগুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অটোমেশনের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে। এর ফলে তেল সরবরাহ, মজুত ও বিতরণ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
তেল পরিবহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ট্যাংকলরিতে ট্র্যাকিং সিস্টেম এবং ডিজিটাল লক সংযোজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে করে পথে চুরির সুযোগ কমে আসবে এবং যেকোনো অনিয়ম সহজে শনাক্ত করা যাবে।
তেল চোরাচালান রোধে স্থানীয় প্রশাসন ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে করে নৌপথ ও উপকূলীয় অঞ্চলে সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।
জ্বালানি তেল লোড-আনলোডের প্রতিটি পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা এসেছে। এ ব্যবস্থায় চুরির ঘটনাগুলো রেকর্ড হবে এবং দায়ীদের শনাক্ত করা সহজ হবে।
তেল পরিমাপ ও সরবরাহ কার্যক্রমে নিয়োজিত সার্ভেয়ার কোম্পানির প্রতিনিধি, জাহাজ মাস্টার, নাবিকসহ সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি একটি স্বতন্ত্র ইন্সপেকশন কমিটি গঠন করে তেল পরিমাপ ও সরবরাহ পদ্ধতি নিয়মিতভাবে তদারকি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন ডিপোতে কাগুজে রেকর্ড অনুযায়ী প্রকৃত মজুত তেলের পরিমাণ যাচাইয়ের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ রয়েছে। এ উদ্দেশ্যে একটি অভ্যন্তরীণ মনিটরিং কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে, যা তেলের প্রকৃত মজুত পরিস্থিতি নিয়মিতভাবে মূল্যায়ন করবে।
বিপিসির উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বিপিসির পরিচালক (অপারেশন্স ও পরিকল্পনা) ড. এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, চুরির তথ্য উদঘাটনের পর কোস্টগার্ডকে নিয়মিত অভিযান চালাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একটি তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও জানান, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)-এ ‘কাস্টডি ফ্লো মিটার’ প্রযুক্তির মাধ্যমে অটোমেশন চালুর প্রস্তুতি চলছে, যা পুরো সরবরাহ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করে তুলবে। একইভাবে, সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং ও পাইপলাইন প্রকল্প চালু হলে বিভিন্ন ধাপে সিস্টেম লস কমবে।
বিপিসির অধীন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানিগুলোর সব ডিপো অটোমেশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি চলমান রয়েছে। তবে জনবল সংকট এবং কাঠামোগত সীমাবদ্ধতা বাস্তবায়নকে কিছুটা বিলম্বিত করছে।
রাষ্ট্রীয় জ্বালানি তেল চুরি শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ নয়, এটি রাষ্ট্রের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। প্রয়োজন দ্রুত অটোমেশন, কঠোর নজরদারি এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা। তা না হলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরির এই চক্র অচিরেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে এ হুঁশিয়ারি দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ডেভিল হান্ট ফেজ-২: চব্বিশ ঘণ্টায় বড় সাফল্য পেল পুলিশ
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং ফ্যাসিস্টদের দমনের লক্ষ্যে গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামক বিশেষ অভিযানে যৌথ বাহিনী বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে সোমবার থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে পরিচালিত এই অভিযানে মোট ৮২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী একদিনের এই জোরালো অভিযানে আটককৃতদের মধ্যে বিভিন্ন মামলার ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৬১৬ জন আসামি রয়েছে যাদের দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ খুঁজছিল।
অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধীদের কাছ থেকে বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে তিনটি এলজি, একটি দেশীয় ওয়ান শুটারগান, আট রাউন্ড রাইফেলের গুলি, চার রাউন্ড পিস্তলের গুলি, তিন রাউন্ড কার্তুজ এবং দুটি বার্মিজ চাকু। পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে গত চার দিন ধরে চলা এই বিশেষ অভিযানের ফলে সারা দেশ থেকে এখন পর্যন্ত মোট দুই হাজার ৪৩৩ জনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে যা অপরাধীদের মধ্যে বড় ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এছাড়া চার দিনের এই নিরলস প্রচেষ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সর্বমোট ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ প্রশাসন।
হাদির চিকিৎসার সর্বশেষ আপডেট জানাল পরিবার
রাজধানীর পল্টনে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার প্রয়োজনীয় সব প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তার ভাই ওমর বিন হাদি নিশ্চিত করেছেন যে হাদির শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি লক্ষ্য করা গেলেও চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছেন। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি জানান হাদির সুস্থতার জন্য আরেকটি জটিল অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন রয়েছে তবে তার বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি সেই ধকল সওয়ার মতো উপযোগী না হওয়ায় এখনই অপারেশন টেবিলে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এর আগে সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে হাদিকে সিঙ্গাপুরের সেলেতার বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া হয় এবং সেখান থেকে কালক্ষেপণ না করে সরাসরি তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় হাসপাতালে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ভর্তি করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অধীনে পূর্ণাঙ্গ ডায়াগনস্টিক প্রক্রিয়া শুরু হয় যেখানে হাদির সার্বক্ষণিক দেখভালের জন্য তার ভাই ওমর বিন হাদি এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু আমিনুল হাসান ফয়সালও সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। উল্লেখ্য গত শুক্রবার দুপুরে পল্টন এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার পর হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে এক জরুরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাকে দ্রুত বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হচ্ছে এবং প্রধান উপদেষ্টা নিজে তার চিকিৎসার বিষয়টি সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে উন্নত চিকিৎসার এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় দেশবাসীর কাছে বিশেষ দোয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
হাদির চিকিৎসার সর্বশেষ আপডেট জানাল পরিবার
রাজধানীর পল্টনে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার প্রয়োজনীয় সব প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তার ভাই ওমর বিন হাদি নিশ্চিত করেছেন যে হাদির শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি লক্ষ্য করা গেলেও চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছেন। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি জানান হাদির সুস্থতার জন্য আরেকটি জটিল অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন রয়েছে তবে তার বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি সেই ধকল সওয়ার মতো উপযোগী না হওয়ায় এখনই অপারেশন টেবিলে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এর আগে সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে হাদিকে সিঙ্গাপুরের সেলেতার বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া হয় এবং সেখান থেকে কালক্ষেপণ না করে সরাসরি তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় হাসপাতালে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ভর্তি করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অধীনে পূর্ণাঙ্গ ডায়াগনস্টিক প্রক্রিয়া শুরু হয় যেখানে হাদির সার্বক্ষণিক দেখভালের জন্য তার ভাই ওমর বিন হাদি এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু আমিনুল হাসান ফয়সালও সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। উল্লেখ্য গত শুক্রবার দুপুরে পল্টন এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার পর হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে এক জরুরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাকে দ্রুত বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হচ্ছে এবং প্রধান উপদেষ্টা নিজে তার চিকিৎসার বিষয়টি সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে উন্নত চিকিৎসার এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় দেশবাসীর কাছে বিশেষ দোয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
খালেদা জিয়া ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ঐতিহাসিক ভাষণে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অভিহিত করে তাকে রাষ্ট্রের ‘অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বা ভিআইপি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দেওয়া এই ভাষণে তিনি উল্লেখ করেন যে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতি খালেদা জিয়ার অবিচল অঙ্গীকার এবং তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের উন্নয়নে তার অবদান বিবেচনা করেই সরকার তাকে এই বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করেছে। বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই প্রবীণ নেত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে সরকার শুরু থেকেই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং তার পরিবারের ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে দেশে বা প্রয়োজনে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সব ধরনের রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
একই ভাষণে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও পরবর্তী বিচার প্রক্রিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে ড. ইউনূস এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্বাধীন ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের প্রধান নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন। তিনি দেশবাসীকে জানান যে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অভ্যুত্থানের পর ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা এবং এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক সংস্কার এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন— এই তিনটি বিষয়কে তার সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক একটি মামলার রায় ঘোষিত হওয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচারের পথ সুগম হয়েছে।
বিজয় দিবসের এই বিশেষ মুহূর্তে ড. ইউনূস ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের পাশাপাশি সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী বীরদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং বলেন যে বিগত বছরগুলোতে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের কারণে স্বাধীনতার সূর্য ম্লান হলেও জুলাই অভ্যুত্থান জাতিকে আবারও একটি বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে অন্তর্বর্তী সরকার যে বিস্তৃত সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দেশের আপামর জনগণের সম্মিলিত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তা সফল পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবে এবং একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।
১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহান বিজয় দিবসের সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করে জানিয়েছেন যে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া এই ভাষণে তিনি দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে আসন্ন এই ভোটের ওপরই নির্ভর করছে সমগ্র জাতির তথা আগামীর প্রজন্মের ভবিষ্যৎ এবং আমাদের সন্তানের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি। জনগণের হাতেই দেশের ভাগ্য গড়ার চাবিকাঠি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি সবাইকে যোগ্য ও সৎ প্রার্থী নির্বাচিত করার আহ্বান জানান যাতে একটি সুন্দর ও নিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
ভোটকে জনগণের ভবিষ্যৎ রচনার প্রধান অক্ষর হিসেবে অভিহিত করে ড. ইউনূস দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন যে ভোট বাক্সে নিজের রায় জমা দিতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তিনি প্রতিটি নাগরিককে সযত্নে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন যে কেউ যদি ভোটদানে বাধা সৃষ্টি করতে আসে তবে তাকে সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিহত করতে হবে। ভোটের মাঠে যে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি জনগণকে আশ্বস্ত করেন যে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের পথ মসৃণ করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি আর ফিরে আসবে না: ড. ইউনূস
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্ব্যর্থহীন ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন যে ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাস ঘটিয়ে বা রক্ত ঝরিয়ে এই দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর জাতির সামনে এসে তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন যে পরাজিত শক্তি এবং ফ্যাসিস্ট টেরোরিস্টরা দেশকে অস্থিতিশীল করার যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে দেশবাসীর সামনে উপস্থিত হয়েছেন উল্লেখ করে বলেন বিজয়ের এই আনন্দের দিনেও গভীর বেদনার সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সম্প্রতি যে বর্বরোচিত হামলা হয়েছে তা কেবল একজন ব্যক্তির ওপর আঘাত নয় বরং এটি বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও আমাদের গণতান্ত্রিক পথচলার ওপরই সরাসরি আঘাত।
শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা জানান যে তিনি বর্তমানে অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করে ইতিমধ্যেই তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। সরকার এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেন যে এই ষড়যন্ত্রে জড়িতরা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন তাদের কাউকেই বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। হাদির সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহতালার কাছে দেশবাসীকে কায়মনোবাক্যে দোয়া করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ড. ইউনূস সবাইকে সংযম বজায় রাখার অনুরোধ করেন। তিনি অপপ্রচার বা গুজবে কান না দিয়ে ফ্যাসিস্ট টেরোরিস্টদের সৃষ্ট অস্থিরতা মোকাবিলায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এ দেশের পবিত্র মাটিতে আর কোনোদিন ফিরে আসার সাহস পাবে না।
১৬ ডিসেম্বর ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে আসলে কী হচ্ছিল?
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করলেও বিজয়ের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের খবর সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছাতে কিছুটা সময় লেগেছিল এবং অনেকেই রেডিওর মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ের বার্তা পেয়েছিলেন। তবে দুপুরের দিকেই যখন ভারতীয় মিত্রবাহিনী ও আত্মগোপনে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা প্রকাশ্যে ঢাকার রাস্তায় বেরিয়ে আসতে শুরু করেন তখন সাধারণ মানুষের বুঝতে বাকি ছিল না যে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। গবেষকদের মতে ক্যান্টনমেন্টে আত্মসমর্পণের খুঁটিনাটি নিয়ে যখন রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলছিল তখনো বাইরের সাধারণ মানুষ কিছুটা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলেন কিন্তু ভারতীয় বাহিনীকে শহরে প্রবেশ করতে দেখে সেই শঙ্কা কেটে গিয়ে চারদিক ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে মিত্রবাহিনী ঢাকায় প্রবেশ করে এবং ঠিক একই সময়ে মার্কিন সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থান নেয় যা ছিল এক নাটকীয় মুহূর্ত।
ক্যান্টনমেন্টের ভেতরের পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর যেখানে সকাল থেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল গন্দর্ভ সিং নাগরা ও পাকিস্তানের মেজর জেনারেল জামশেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক চলছিল। ঘটনার মোড় ঘুরে যায় যখন সকালে মেজর জেনারেল নাগরার পাঠানো ‘প্রিয় আবদুল্লাহ’ সম্বোধন করা একটি লিখিত বার্তা পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজির কাছে পৌঁছায় এবং এরপর নাগরাকে নিরাপদে শহরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় যা কার্যত ঢাকার পতন নিশ্চিত করে। পাকিস্তানি জনসংযোগ কর্মকর্তা সিদ্দিক সালিকের বর্ণনামতে নিয়াজি ও নাগরার মধ্যে তখন কিছু কৌতুকপূর্ণ কিন্তু অশালীন কথাবার্তাও হয়েছিল। পরবর্তীতে জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব আত্মসমর্পণের দলিল নিয়ে হাজির হলে নিয়াজি একে ‘যুদ্ধবিরতির খসড়া’ বলতে চাইলও জ্যাকব তা নাকচ করে দেন এবং দলিলে ‘ভারত-বাংলাদেশ যৌথ কমান্ড’ শব্দটি নিয়ে আপত্তি উঠলে জানানো হয় এটি দুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অবশেষে বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক দলিলে স্বাক্ষরের মাধ্যমে নিয়াজি তার রিভলভার ও ব্যাজ জেনারেল অরোরার হাতে তুলে দেন।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার আগেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিজয়ের উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষ বাংলাদেশের পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে আসে যা বিবিসির তৎকালীন ফুটেজেও স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও গবেষক আফসান চৌধুরীর মতে তখনো শহরের কোথাও কোথাও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল এবং মানুষের মনে আনন্দ ও আতঙ্কের এক মিশ্র অনুভূতি কাজ করছিল। প্রয়াত সেনা কর্মকর্তা মইনুল হোসেন চৌধুরীর স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায় সন্ধ্যার পর ঢাকার রাস্তাঘাট কিছুটা জনশূন্য ছিল কারণ পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করলেও সাধারণ মানুষের মনে তখনো পুরোপুরি ভয় কাটেনি। তবে সব শঙ্কা ছাপিয়ে দিনশেষে রেসকোর্স ময়দান থেকে ভেসে আসা ‘জয় বাংলা’ স্লোগানই প্রমাণ করে যে বাঙালি জাতি তার কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটেছে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
সিঙ্গাপুরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ওসমান হাদি
নির্বাচনী প্রচারণা শেষে সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় গুলিবিদ্ধ শরীফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত সংকটাপন্ন এবং সিঙ্গাপুর জেনারেল হসপিটালে (এসজিএইচ) উন্নত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জন ও হাদির চিকিৎসার সমন্বয়ক ডা. আব্দুল আহাদ সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে নিশ্চিত করেছেন যে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গুলিবিদ্ধ এই যোদ্ধার মস্তিষ্কে ইস্কেমিক পরিবর্তন ও ব্রেন ইডেমা বা ফোলা ভাব এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি জানান যে ব্রেন স্টেমে গুরুতর আঘাতের ফলে ভেন্ট্রিকুলার সিস্টেমে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে যা বর্তমানে চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং সেখানে নিউরোসার্জারি ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার টিম যৌথভাবে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
চিকিৎসকদের সর্বশেষ মূল্যায়ন অনুযায়ী বর্তমানে হাদির কিডনি হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস কৃত্রিম ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে সচল রাখা হয়েছে এবং তার গ্লাসগো কোমা স্কেল বা জিসিএস স্কোরে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি অর্থাৎ নিউরোলজিক্যাল অবস্থার দৃশ্যমান কোনো উন্নতি বা অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ডা. আহাদ ব্যাখ্যা করেন যে ব্রেন ইনজুরির ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বা ‘টাইম উইন্ডো’ থাকে যার মধ্যে শরীর ইতিবাচক সাড়া দিলে ভবিষ্যৎ সুস্থতার সম্ভাবনা তৈরি হয় তাই চিকিৎসকরা এখন সেই সময়সীমার মধ্যেই হাদির শারীরিক প্রতিক্রিয়ার দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন। এছাড়া ফুসফুসের সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে আগের মতোই রক্তের উপস্থিতি দেখা গেছে এবং এই জটিলতা বিবেচনা করেই সিঙ্গাপুরে তার শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যবস্থাপনা বা রেসপিরেটরি ম্যানেজমেন্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাদির চোখ খোলা বা অবস্থার উন্নতি হওয়া নিয়ে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন তথ্যকে ভিত্তিহীন গুজব বলে নাকচ করে দিয়ে ডা. আহাদ স্পষ্ট জানিয়েছেন যে তার অবস্থা এখনো ‘স্ট্যাটিক’ বা অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি বলেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অনেক সময় অপ্রত্যাশিত অলৌকিক পরিবর্তন দেখা যায় এবং সেই আশাতেই সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও নিবিড় পরিচর্যা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এই সংকটময় মুহূর্তে হাদির পরিবার ও সহকর্মীরা দেশবাসীর কাছে ভুল তথ্য না ছড়িয়ে কায়মনোবাক্যে দোয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যেন তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারও সবার মাঝে ফিরে আসতে পারেন।
একাই থামিয়ে দিলেন পাকিস্তানি বহর: বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের জন্মদিন আজ
আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এক মৃত্যুঞ্জয়ী বীর সেনানী বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের ৭৮তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৪৭ সালের আজকের এই গৌরবোজ্জ্বল দিনে ভোলার দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই অকুতোভয় বীর যার আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য ইতিহাস। সেনাবাহিনীর হাবিলদার হাবিবুর রহমান ও মালেকা বেগমের জ্যেষ্ঠ সন্তান মোস্তফা কামালের শৈশব কেটেছিল কুমিল্লা সেনানিবাসে যেখানে বাবার কর্মস্থলের সুবাদে সেনাদের কুচকাওয়াজ ও মার্চপাস্ট দেখে তার মনেও সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দানা বেঁধেছিল। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনায় খুব বেশি দূর না এগোলেও দেশপ্রেমের টানে মাত্র ২০ বছর বয়সে ১৯৬৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর নিজের জন্মদিনে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক হিসেবে তার চাকরি চূড়ান্ত হয়।
একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে যখন দেশজুড়ে যুদ্ধের দামামা বাজছিল তখন মোস্তফা কামালের ইউনিটকে কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থানান্তর করা হয় এবং ১৮ এপ্রিল দরুইন গ্রামে তিনি যে বীরত্বের স্বাক্ষর রেখেছিলেন তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। সেদিন মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন মর্টারের গোলাবর্ষণ ও ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুক্তিবাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তখন মেজর শাফায়াত জামিলের নির্দেশে এবং নিজের অসামান্য সাহসিকতার কারণে মোস্তফা কামালকে মৌখিকভাবে ল্যান্সনায়েকের দায়িত্ব দিয়ে দশজন সৈনিকের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল। যুদ্ধের এক পর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে যখন টিকতে না পেরে সহযোদ্ধারা পিছু হঠতে বাধ্য হচ্ছিলেন তখন মোস্তফা কামাল সঙ্গীদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে নিজের এলএমজি নিয়ে একাই শত্রুর মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নেন।
নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে মোস্তফা কামাল ট্রেঞ্চে অবস্থান নিয়ে অবিরাম গুলি চালিয়ে শত্রুবাহিনীর অগ্রগতি রুখে দেন এবং তার নিখুঁত নিশানায় প্রায় ২০-২৫ জন পাকিস্তানি সেনার মৃত্যু হলে হানাদারদের মনোবল ভেঙে পড়ে। একনাগাড়ে যুদ্ধ করতে করতে একসময় তার এলএমজির গুলি শেষ হয়ে যায় এবং তিনি মারাত্মকভাবে জখম হন যার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানি হায়েনারা ট্রেঞ্চে ঢুকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে এই বীরযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তার ক্ষতবিক্ষত দেহটি পরবর্তীতে স্থানীয় গ্রামবাসী দরুইন গ্রামে সমাহিত করেন যেখানে আজ তার স্মৃতিসৌধ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। শাহাদাতের সময় তিনি বাবা-মা, স্ত্রী পেয়ারা বেগম ও মাত্র দেড় মাস বয়সী শিশুসন্তান মোশারেফ বাচ্চুসহ ভাই-বোনদের রেখে গিয়েছিলেন। কালের পরিক্রমায় তার পরিবারের অনেকেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তার ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমানও মারা যান।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান 'বীরশ্রেষ্ঠ' উপাধিতে ভূষিত করে। তার স্মৃতিরক্ষার্থে ভোলা সদরের আলীনগর ইউনিয়নে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে একটি জাদুঘর এবং ভোলা শহরে একটি বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানী ঢাকার কমলাপুর স্টেডিয়ামটির নামকরণও এই মহান বীরের নামে করা হয়েছে যা তরুণ প্রজন্মের কাছে তার বীরত্বগাথা পৌঁছে দিতে ভূমিকা রাখছে।
পাঠকের মতামত:
- নরসিংদীর বিলে মিলল হাদিকে হত্যাচেষ্টা ব্যবহৃত সেই বিদেশি পিস্তল
- মেসি-এমবাপ্পে নয়, ফিফার বর্ষসেরা এবার দেম্বেলে
- রাজধানীতে আজ কার কী কর্মসূচি দেখে নিন একনজরে
- রেমিট্যান্স বাড়লেও স্বস্তি নেই: বাণিজ্য ঘাটতি তুঙ্গে
- গাজায় থামছে না মৃত্যুর মিছিল: এক বাড়ি থেকেই মিলল ৩০ লাশ
- এয়ারপোর্টে আসবেন না: লন্ডন ছাড়ার আগে তারেক রহমানের বার্তা
- ডায়মন্ড অ্যানভিল সেলে জানা গেল পৃথিবীর জন্মরহস্য
- ডেভিল হান্ট ফেজ-২: চব্বিশ ঘণ্টায় বড় সাফল্য পেল পুলিশ
- হাদির চিকিৎসার সর্বশেষ আপডেট জানাল পরিবার
- হাদির চিকিৎসার সর্বশেষ আপডেট জানাল পরিবার
- শীতে কেন বাড়ে মাইগ্রেন? জেনে নিন বাঁচার উপায়
- স্ট্রোকের ৫টি আগাম লক্ষণ যা জীবন বাঁচাতে পারে
- খালেদা জিয়া ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ: প্রধান উপদেষ্টা
- আইপিএল নিলামে তোলপাড়: রেকর্ড দামে বিক্রি ফিজ
- সিডনিকে হারিয়ে রিশাদের অভিষেক রাঙাল হোবার্ট
- ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা
- বিজয় দিবসেই লন্ডনের মঞ্চে শেষবারের মতো তারেক রহমান
- ৫৪ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস হয়নি: রাবি উপাচার্য
- বিজয় দিবস নিয়ে মোদির মন্তব্যে ফুঁসে উঠল ঢাবি শিক্ষার্থী
- তারেককে নিয়ে রিল বানালেই পুরস্কার! বিএনপির অভিনব ঘোষণা
- পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি আর ফিরে আসবে না: ড. ইউনূস
- ১৬ ডিসেম্বর ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে আসলে কী হচ্ছিল?
- সিঙ্গাপুরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ওসমান হাদি
- প্রকৃতির দুর্যোগে গাজায় বাড়ছে দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়
- একই দিনে শুরু আইপিএল ও পিএসএল সূচি নিয়ে চমক
- মাত্র ৩ সপ্তাহেই বিদায় জানান সিগারেটকে: জানুন জাদুকরী ৩-৩-৩-৩ নিয়ম
- বিজয় দিবসের এয়ার শো দেখতে তেজগাঁওয়ে মানুষের ঢল
- ১৬ অক্টোবর ২০২৫: জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- ৫০ জন প্রার্থীকে হত্যার মিশন নিয়েছে আওয়ামী লীগ: রাশেদ
- নতুন রাজনীতি হবে চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিপক্ষে: জামায়াত
- ১৬ ডিসেম্বর শুধুই ভারতের জয় বললেন নরেন্দ্র মোদি
- স্বর্ণের বাজারে আবার অস্থিরতা: এক লাফে বাড়ল স্বর্ণের দাম
- মাত্র ৫টি অভ্যাসে জব্দ হবে ডায়াবেটিস
- রাজধানীসহ সারা দেশে আজকের আবহাওয়ার খবর
- সকাল থেকে বিকেল: ঢাকার রাজপথে আজকের কর্মসূচি
- একাই থামিয়ে দিলেন পাকিস্তানি বহর: বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের জন্মদিন আজ
- জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
- জিয়া বিদ্রোহ না করলে দেশ স্বাধীন হতো না: হাফিজ
- বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- ১ বছরের শিশুও মুক্তিযোদ্ধা: ৫৪ বছরের লজ্জাজনক চিত্র
- আইপিএলের নিলামসহ টিভিতে আজকের খেলার সময়সূচি
- সাভারে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনের সূচনা করলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা
- সবার ওপরে মুক্তিযুদ্ধ, বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই
- প্রতিশোধ নয় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই: তারেক রহমান
- আমরা নিরাপদ না থাকলে শত্রুরাও নিরাপদ থাকবে না: মাহফুজ
- ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলেই বিপদ: জানুন কেন
- শীতে ঠোঁট ফাটা রোধে জাদুকরী ৫টি টিপস
- আমি হালুয়া-রুটি খাওয়া সাংবাদিক নই: রিমান্ড শুনানিতে আনিসের হুঙ্কার
- সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে হাদি
- চোখের যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন কিডনি নষ্ট হচ্ছে
- যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
- দুইদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
- স্কুলভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু, ফল প্রকাশের সময় জানা গেল
- বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা
- শনি-রবিবার বিদ্যুৎ থাকবে না বহু এলাকায়
- মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি শুরুর সময়সূচি প্রকাশ
- রাজশাহীতে নলকূপে আটকে পড়া শিশুকে বের করতে সুরঙ্গ খনন
- এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু
- রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন যেসব এলাকা
- তানোরে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার শিশুসাজিদ, কেমন আছে সে
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ শুরু, একটি আসনের জন্য লড়াই যতজনের
- দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের নতুন রেকর্ড
- শীতে ত্বক শুষ্ক ও র্যাশ কেন হয়, জানুন সমাধান
- বুধবার ঢাকায় কোন মার্কেট বন্ধ আজই জেনে নিন








