জাকির নায়েকের সফর: উদ্বেগ-বিতর্ক সত্ত্বেও বাংলাদেশে আসতে পারেন তিনি

বিশ্বখ্যাত ইসলামি বক্তা ড. জাকির নায়েক আগামী নভেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন—এমন খবর ঘিরে দেশ-বিদেশে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অর্থপাচার ও ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এই ধর্ম প্রচারককে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো এবং তার সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
সফরের প্রস্তুতি ও স্থান নিয়ে বিভেদ
সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা ও পিরোজপুরে জাকির নায়েকের সমাবেশ আয়োজনের জন্য পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এটি হবে তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফর।
স্থান বাছাই পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা ও পিরোজপুর অঞ্চলে সুফিবাদ ও মাজারকেন্দ্রিক ধর্মীয় অনুসারী তুলনামূলকভাবে কম, তাই জাকির নায়েকের মতাদর্শ নিয়ে সেখানে ধর্মতাত্ত্বিক সংঘাতের আশঙ্কা কম।
যেখানে অনুমতি নেই তবে সুফি মতাদর্শের অনুসারী বেশি থাকার কারণে চট্টগ্রাম ও ভারত সীমান্তঘেঁষা সিলেটে প্রস্তাবিত অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেয়নি এসবি।
সময়সূচি ইমিগ্রেশন পুলিশের সূত্র বলছে, জাকির নায়েক ২৬ নভেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারেন। পরদিন ঢাকায় একটি ইনডোর ইসলামিক অনুষ্ঠানে এবং ২৮ নভেম্বর পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি আউটডোর সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক বক্তব্য
জাকির নায়েকের সম্ভাব্য সফর নিয়ে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ভারতের বার্তা ৩০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি; তিনি ভারতে ওয়ান্টেড।” তিনি আশা করেন, সংশ্লিষ্ট দেশ ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবে।
বাংলাদেশের ইঙ্গিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস. এম. মাহবুবুল আলম ভারতের মন্তব্যের জবাবে বলেন, “আমরাও বিশ্বাস করি যে, কোনো দেশের অন্য দেশের কোনো অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।” এই মন্তব্যটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতের আশ্রয় নেওয়ার প্রসঙ্গে পাল্টা ইঙ্গিত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
ধর্ম উপদেষ্টার অবস্থান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনও বলেন, জাকির নায়েকের সফর অনুমোদনের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার এখতিয়ারে নেই।”
পুলিশের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ
ডিএমপি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, ডিএমপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি এবং এখনো কোনো অনুষ্ঠানস্থলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এসবি কর্মকর্তার মত স্পেশাল ব্রাঞ্চের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, “ভারত তার বিষয়ে ভিন্ন অবস্থান নিতে পারে, কারণ তার জন্ম সেখানেই। আমাদেরও অনেক পলাতক আসামি ভারতে রয়েছে, যাদের ফেরত দেওয়া হয়নি। তাই আমরা তাকে অতিথি হিসেবেই দেখছি।”
জাকির নায়েক ২০১৬ সালে অর্থপাচার ও ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর ভারত ত্যাগ করেন এবং বর্তমানে মালয়েশিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন।
সূত্র: টিবিএস
সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে শরিফ ওসমান হাদি
রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনেছেন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হাদির মৃত্যুর বিষয়টি তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এবং ইনকিলাব মঞ্চের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। এই খবরে তার সহযোদ্ধা ও অনুসারীদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত ১২ ডিসেম্বর। ওইদিন গণসংযোগের উদ্দেশ্যে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলিটি সরাসরি তার মাথায় বিদ্ধ হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখানে তার মাথায় জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
সেখানেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে জরুরি ভিত্তিতে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দীর্ঘ প্রায় এক সপ্তাহের জীবনযুদ্ধ শেষে বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার এই অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
ভারত থেকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন হাসিনা: আসিফ নজরুল
ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক জুলাই গণঅভ্যুত্থানকারীদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন এবং এই পরিস্থিতিতে তার দলের অনুসারীদের নির্বিচারে জামিন দেওয়া কোনোভাবেই নিয়মীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। আইন উপদেষ্টা হাইকোর্টের কিছু বেঞ্চের ‘অস্বাভাবিক’ জামিন দেওয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং স্পষ্ট করে বলেন, জামিন পাওয়া কোনো ব্যক্তি যদি পরবর্তীতে জুলাই আন্দোলনের নায়কদের ওপর হামলা বা খুন করে, তবে সেই দায় সংশ্লিষ্ট বিচারককে নিতে হবে কি না, তা বিবেচনার সময় এসেছে।
আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, হাইকোর্টের কিছু বেঞ্চ থেকে অস্বাভাবিকভাবে জামিন দেওয়া হচ্ছে, এমনকি চার ঘণ্টায় আটশ জামিন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি আগেও প্রধান বিচারপতির কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং প্রধান বিচারপতি ব্যবস্থাও নিয়েছিলেন। তবে এখনো তা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। আইন উপদেষ্টা বলেন, একজন ভয়ংকর ব্যক্তি যিনি জামিন পেয়ে গণঅভ্যুত্থানের নায়কদের ওপর হামলা করতে পারেন, তাকে জামিন দেওয়া হলে সরকার অত্যন্ত শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন বোধ করে। আইন মন্ত্রণালয়ের হাইকোর্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই, তাই তিনি বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে এনেছেন এবং নতুন প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান।
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের প্রশংসা করে আইন উপদেষ্টা বলেন, জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে দায়িত্ব নিয়ে তিনি বিচার বিভাগীয় সংস্কারে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা পূরণে এবং বিচার বিভাগের অনিয়ম দূর করতে তার অবদান অনস্বীকার্য। আসিফ নজরুল উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম যোগ্য ও সৎ এই প্রধান বিচারপতিকে পাওয়া ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের একটি বড় অর্জন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, ভবিষ্যতে যিনি প্রধান বিচারপতি হবেন, তার কাছেও এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে যে, আইনগতভাবে জামিন প্রাপ্যদের অধিকার থাকলেও, যারা বেরিয়ে এসে হত্যার কারণ হতে পারে, তাদের জামিন দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
দুই দশকের আক্ষেপ ঘুচল: ২৭তম বিসিএসে বড় নিয়োগ
দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ২৭তম বিসিএস পরীক্ষার (২০০৫) নিয়োগবঞ্চিত ৬৭৩ জনকে নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নব নিয়োগ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াই ও বঞ্চনার শিকার প্রার্থীদের মুখে হাসি ফুটল। সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে নিয়োগপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ৯০ জন, পুলিশ ক্যাডারের ৭০ জন, অডিট ক্যাডারের ৫ জন, খাদ্য ক্যাডারের ২ জন এবং সমবায় ক্যাডারের ৫ জনসহ বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা রয়েছেন। তারা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুসারে ২২ হাজার থেকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা বেতনক্রমে এই নিয়োগ পেয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনে নিয়োগের শর্তাবলী ও জ্যেষ্ঠতার বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জ্যেষ্ঠতা অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে তাদের ব্যাচের অন্য কর্মকর্তাদের যেদিন প্রথম নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, সেই তারিখ থেকেই ভূতাপেক্ষিকভাবে এই নিয়োগ আদেশ কার্যকর হবে। এর অর্থ হলো, তারা তাদের ব্যাচমেটদের সঙ্গে ধারণাগত জ্যেষ্ঠতা বজায় রাখবেন। তবে চাকরিতে যোগদানের আগ পর্যন্ত সময়কালের জন্য তারা কোনো বকেয়া বেতন-ভাতা বা আর্থিক সুবিধা পাবেন না। বিষয়টি দীর্ঘদিনের বঞ্চনার স্বীকৃতি হলেও আর্থিক দিক থেকে তারা বর্তমান সময় থেকেই বেতন ভোগ করবেন।
নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী, নতুন কর্মকর্তাদের আবশ্যিকভাবে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা সরকার নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। তাদের দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে, যা প্রয়োজনে সরকার আরও অনূর্ধ্ব দুই বছর বাড়াতে পারবে। শিক্ষানবিশকালে যদি কেউ চাকরিতে বহাল থাকার অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হন, তবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরামর্শ ব্যতিরেকেই তাকে অপসারণ করা যাবে। এছাড়া প্রশিক্ষণের জন্য কর্মস্থল থেকে অব্যাহতির আগে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একজন জামানতদারসহ বন্ড সই করতে হবে। শর্ত অনুযায়ী, শিক্ষানবিশকাল বা এরপর তিন বছরের মধ্যে চাকরি ছাড়লে প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয়, বেতন ও উত্তোলিত অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন তারা। প্রশিক্ষণ ও বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই তাদের চাকরি স্থায়ী করা হবে।
গুম পরিবারের জন্য ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত: সম্পদ ব্যবহারে বাধা নেই
কোনো ব্যক্তি অন্যূন ৫ বছর ধরে গুম থাকলে এবং জীবিত ফিরে না আসলে ট্রাইব্যুনাল তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ডিসাপিয়ার্ড’ বা ‘গুম’ ঘোষণা করতে পারবে—এমন বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন এই অধ্যাদেশের ফলে গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী বা তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যরা কমিশনের পূর্বানুমতি ছাড়াই গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার ট্রাইব্যুনালের জন্য পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিতে পারবে এবং ভুক্তভোগী চাইলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ পাবেন।
বৈঠকে পরিবেশ সুরক্ষায় ‘বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলের ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্র বিশ্বে বিরল হলেও অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং পর্যটনের বিরূপ প্রভাবে তা এখন হুমকির মুখে। নতুন এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও ক্ষমতা সুস্পষ্ট করা হয়েছে। এখন থেকে হাওর এলাকায় যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা, নিষিদ্ধ কার্যক্রম নির্ধারণ এবং এসব কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে।
কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে বাংলাদেশের একটি নতুন দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। স্বাধীনতার পর থেকে জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থাকলেও বার্নে কোনো দূতাবাস ছিল না। সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী ও কৌশলগত অংশীদার হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একজন রাষ্ট্রদূত ও কয়েকজন কর্মকর্তা নিয়ে দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হবে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মোট ৮২টি মিশন অফিস রয়েছে।
বৈঠকে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন এবং সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান নিয়মিত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। হাদির চিকিৎসার তদারকির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন। এছাড়া চলতি বছর মহান বিজয় দিবস সুন্দরভাবে উদযাপনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
সাময়িক বন্ধের পর আজ স্বাভাবিক ভারতীয় ভিসা সেন্টার
নিরাপত্তাজনিত কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকার পর ঢাকার ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের (আইভেক) কার্যক্রম পুনরায় স্বাভাবিক নিয়মে চালু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই যমুনা ফিউচার পার্কস্থ এই ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় হাইকমিশন। এর ফলে গতকালের অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ভিসা প্রত্যাশীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এর আগে বুধবার ঢাকায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠনের মোর্চা ‘জুলাই ঐক্য’-এর ব্যানারে ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বুধবার দুপুর ২টা থেকে হঠাৎ করেই ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। মূলত বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচির কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতেই এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও যথানিয়মে পাসপোর্ট জমা ও ভিসা প্রসেসিংয়ের কাজ চলছে।
জুলাই যোদ্ধা হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন: সিঙ্গাপুর থেকে জরুরি বার্তা
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই উদ্বেগজনক তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই হাসপাতালে গিয়ে হাদিকে দেখে এসেছেন এবং পরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছেন।
প্রেস সচিব তার পোস্টে উল্লেখ করেন, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান বুধবার দেশটির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদিকে দেখতে যান। এরপর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে হাদির চিকিৎসার সর্বশেষ পরিস্থিতি অবহিত করেন। ফোনালাপে ড. ভিভিয়ান জানান যে হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। এই কঠিন মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এই সম্মুখযোদ্ধার সুস্থতার জন্য সবাইকে দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
এর আগে গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার পল্টন এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার পর তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও হাদির পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এক জরুরি কনফারেন্স কলের মাধ্যমে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এরপর সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাদির ওপর হামলা চালিয়ে মহারাষ্ট্রে আয়েশে ফয়সাল
জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার মূল অভিযুক্ত শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ বর্তমানে ভারতের মহারাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রযুক্তির সহায়তায় তার এই অবস্থান নিশ্চিত করেছে।
হাদিকে গুলি করার পর ফয়সাল ও তার সহযোগী মোটরসাইকেল চালক আলমগীর শেখ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি বাংলাদেশি সিমকার্ড পরিবর্তন করে ভারতীয় রিলায়েন্স জিও কোম্পানির সিম ব্যবহার করছেন।
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ফয়সাল অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে নিজের অবস্থান গোপন করার চেষ্টা করছিলেন। তিনি মোবাইল ফোনে ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) ব্যবহার করে কখনো নিজের অবস্থান সিঙ্গাপুর, কখনো থাইল্যান্ড আবার কখনো পুরান ঢাকায় দেখাচ্ছিলেন। তবে তিনি নিজের ফোনসেটটি পরিবর্তন না করায় আইএমইআই (IMEI) নম্বরের সূত্র ধরে গোয়েন্দারা তার প্রকৃত অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফয়সালের বাবা-মা, স্ত্রী ও শ্যালকসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দি থেকে ঘটনার বিষদ বিবরণ পেয়েছে পুলিশ। মামলার তদারকি কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এডিসি মো. মাহবুবুল আলম জানান, বর্তমানে চারজন রিমান্ডে আছেন।
হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো নরসিংদীর একটি লেক থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। তদন্তে জানা যায়, ঘটনার পর ফয়সাল আগারগাঁওয়ে বোনের বাসায় একটি ব্যাগে অস্ত্রগুলো রেখে যান। পরে তার নির্দেশনায় শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু ও বাবা হুমায়ুন কবিরের মাধ্যমে অস্ত্রগুলো নরসিংদী নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্থানীয় এক যুবকের সহায়তায় আলামত ধ্বংস করতে ব্যাগটি লেকে ফেলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে র্যাব সেই লেক থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করে।
হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির নম্বর প্লেট শনাক্ত করতে গিয়ে বড় ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা নম্বরের শেষ ডিজিট ‘৬’ এর জায়গায় ‘৫’ মনে হওয়ায় আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ছিল হোন্ডা হরনেট, অথচ হান্নানের নামে থাকা বাইকটি সুজুকি জিক্সার। ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান জানিয়েছেন, তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলে হান্নানকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
হাদি হত্যার মিশনে কারা অর্থায়ন করেছে, তা খুঁজে বের করতে কাজ করছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। ইতিমধ্যে ফয়সালের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ (ফ্রিজ) করা হয়েছে এবং লেনদেনের তথ্য জানতে বিএফআইইউ-তে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকার পুরানা পল্টনে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আছেন।
নতুন অপারেশনের ঝুঁকি: হাদির চিকিৎসায় জটিলতা
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা আপাতত ‘স্ট্যাটিক’ বা অপরিবর্তিত রয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. আহাদ জানান, বুধবার হাদির সিটিস্ক্যান করা হয়েছে। রিপোর্নায় দেখা গেছে, তার মস্তিষ্কে ইস্কেমিয়া বা রক্ত সঞ্চালনজনিত সমস্যা আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে, যা উদ্বেগের কারণ।
বর্তমানে শরিফ ওসমান হাদিকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তার হার্ট, ফুসফুস ও কিডনি যন্ত্রের সহায়তায় কাজ করছে। ইউরিন আউটপুটও সাপোর্টের মাধ্যমেই বজায় রাখা হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাদির মস্তিষ্কে গুলির একটি ছোট অংশ এখনো রয়ে গেছে। সেটি অপসারণের জন্য নতুন করে অস্ত্রোপচার করা হবে কি না, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে আলোচনা চলছে।
গুলিটি মস্তিষ্কের যে জায়গায় রয়েছে, সেখানে অপারেশন করলে নতুন কোনো জটিলতা তৈরি হতে পারে কি না, সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। তাই আপাতত তাকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টের আওতায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করা হবে কি না, সে বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। তবে হাদির বর্তমান শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ ভ্রমণের ধকল নিতে পারবে কি না, তা মূল্যায়ন করছেন চিকিৎসকরা। এ ক্ষেত্রে তার পরিবারের ইচ্ছাকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ডা. আহাদ সাধারণ মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং শরিফ ওসমান হাদির সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
মামলা দেখার দরকার নেই, আ.লীগ হলেই অ্যাকশন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা না থাকলেও আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের ধরতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে একটি অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে এই নির্দেশনা দেন তিনি। এ সময় ছাত্রনেতারা উপদেষ্টার পথ আটকে দাঁড়ালে সেখানে এক নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ছাত্ররা অভিযোগ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, পুলিশ ‘মামলা নেই’ অজুহাতে তাদের গ্রেপ্তার করছে না। তাদের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সীকে তাৎক্ষণিকভাবে ডেকে পাঠান উপদেষ্টা।
পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী হলে তার বিরুদ্ধে মামলা আছে কি না, সেটা দেখার কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলেন, যদি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় না আনা হয়, তবে পুলিশের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপদেষ্টার এই বক্তব্যে উপস্থিত ছাত্ররা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এর আগে ছাত্রনেতারা উপদেষ্টার কাছে ৭ দফা দাবি পেশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার, আওয়ামী লীগ ও ওসমান পরিবারের সহযোগী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার এবং থানা ও আদালতকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাত্রদের এসব দাবিকে ‘যৌক্তিক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি জানান, দাবিগুলো বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
জুলাই আন্দোলনে আহত ওসমান হাদির ওপর হামলার বিষয়েও কথা বলেন উপদেষ্টা। তিনি জানান, মূল অভিযুক্তকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হলেও তার ব্যবহৃত হাতিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে এবং এক সহযোগীকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সম্প্রতি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে ‘আলু-পেঁয়াজ’ নিয়ে দেওয়া নিজের আগের মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, সেটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠান ছিল বলে তিনি কৃষকদের সমস্যার কথা জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়গুলো নিয়ে তিনি নিয়মিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন।
তথ্যসূত্র: ডেইলি স্টার
পাঠকের মতামত:
- সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে শরিফ ওসমান হাদি
- ৭১-এর পর ভারতের বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ এখন বাংলাদেশ
- টাকার চিন্তায় ঘুম নেই জেন-Z প্রজন্মের: গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য
- শীতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কেন বাড়ে? জানুন বাঁচার উপায়
- বক্স অফিসে রণবীরের তাণ্ডব: আয়ের অংক শুনলে চমকে যাবেন
- সব জুলাইযোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখছি: সামান্তা শারমিন
- রিজার্ভের নতুন মাইলফলক: একদিনেই বাড়ল বড় অংক
- ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি
- তারেক রহমানের ফেরা: ৭ রুটে স্পেশাল ট্রেন চায় বিএনপি
- ২৫ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শোডাউন: অভ্যর্থনার প্রস্তুতি নিয়ে সালাহউদ্দিনের বার্তা
- ভারত থেকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন হাসিনা: আসিফ নজরুল
- দুই দশকের আক্ষেপ ঘুচল: ২৭তম বিসিএসে বড় নিয়োগ
- গুম পরিবারের জন্য ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত: সম্পদ ব্যবহারে বাধা নেই
- ১৮ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ১৮ ডিসেম্বরের বাজারে লুজার শেয়ারের তালিকা
- ১৮ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- পদত্যাগের পরও সরকারি বাসায় আসিফ-মাহফুজ: কারণ কী?
- মহাবিশ্বের ‘ডাইনোসর’ নক্ষত্রের খোঁজ পেল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ
- ফ্রিজে রাখলে বিষ হতে পারে যেসব খাবার: সতর্ক থাকুন
- শীতে দিনে কত লিটার পানি পান করা জরুরি? জেনে নিন
- বিপাকে ৩,৫০০ শিক্ষক-সাংবাদিক: হাই কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি
- সাময়িক বন্ধের পর আজ স্বাভাবিক ভারতীয় ভিসা সেন্টার
- জুলাই যোদ্ধা হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন: সিঙ্গাপুর থেকে জরুরি বার্তা
- ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল নৌবহর
- ডলার ও পাউন্ডের দাম কত? জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- জাপানিদের মতো সুন্দর ত্বক চান? ব্যবহার করুন চালের পানি
- ১৮ ডিসেম্বর টিভিতে খেলার সময়সূচি: মিস করবেন না যে ম্যাচগুলো
- ঢাকার আকাশ আজ কেমন থাকবে? জানাল আবহাওয়া অফিস
- বাজুসের নতুন ঘোষণা: আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের বর্ধিত দাম
- ভারত বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের ট্রেনিং দিচ্ছে: হাসনাত
- ১৮ ডিসেম্বর: আজকের নামাজের সময়সূচি জেনে নিন
- ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে বরফ গলছে না: টানাপোড়েন এখন প্রকাশ্যে
- হাদির ওপর হামলা চালিয়ে মহারাষ্ট্রে আয়েশে ফয়সাল
- রাস্তায় নামার আগে দেখুন রাজধানীর আজকের কর্মসূচি
- ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সব: গাজার সংকট পৌঁছাল চরমে
- জোটের জট আর আসনের অংক: ভোটের মাঠে শেষ মুহূর্তের নাটক
- ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষা: পাকিস্তানের ভাবমূর্তি সংকট
- বৃহস্পতিবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
- তারেক রহমানের ফ্লাইটে টিকিট নিয়ে হুলুস্থুল: সব ‘সোল্ড আউট’!
- পারফিউমের গন্ধ সারাদিন ধরে রাখার জাদুকরী কৌশল
- চুল পড়া বন্ধের ৬টি সহজ ও কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
- নতুন অপারেশনের ঝুঁকি: হাদির চিকিৎসায় জটিলতা
- মামলা দেখার দরকার নেই, আ.লীগ হলেই অ্যাকশন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলা: উত্তেজনা চরমে
- হাসনাতের প্রচারণায় আটক ২ ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তি
- ঋণের নামে লুটপাট: এস আলমের সাম্রাজ্যে দুদকের হানা
- অবশেষে কাটল জটিলতা: বইমেলার নতুন তারিখ ঘোষণা
- পিরিয়ডের তীব্র ব্যথা: শরীরে বাসা বাঁধছে যে গোপন রোগ
- নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই, সবাই নিরাপদে চলছে: উপদেষ্টা
- ইহুদি উৎসবে হামলাকারী বাবা-ছেলের পরিচয় মিলল
- দুইদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
- বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা
- শনি-রবিবার বিদ্যুৎ থাকবে না বহু এলাকায়
- মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি শুরুর সময়সূচি প্রকাশ
- এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু
- রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন যেসব এলাকা
- তানোরে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার শিশুসাজিদ, কেমন আছে সে
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ শুরু, একটি আসনের জন্য লড়াই যতজনের
- ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা
- দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের নতুন রেকর্ড
- শীতে ত্বক শুষ্ক ও র্যাশ কেন হয়, জানুন সমাধান
- ১৬ অক্টোবর ২০২৫: জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- দক্ষিণ আফ্রিকার দাপটে ভারতের বড় হার চণ্ডীগড়ে
- ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ








