রিয়াজুল জান্নাতে মাকরুহ ওয়াক্তে নামাজ পড়ার বিধান কি?

সত্য নিউজ: মসজিদে নববীর অন্যতম পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ অংশ রিয়াজুল জান্নাত। এটি নবী করিম (সা.) এর হুজরা থেকে শুরু করে মসজিদে নববীর মিম্বার পর্যন্ত বিস্তৃত একটি অংশ, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ মিটার এবং প্রস্থ ১৫ মিটার। ইসলামিক ঐতিহ্যে এই স্থানটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কারণ মহানবী (সা.) নিজে এক হাদিসে বলেছিলেন, “আমার ঘর ও মিম্বারের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের বাগানগুলোর একটি বাগান।” (সহীহ বুখারী: ১১৯৬, ১১২০; মুসলিম: ২৪৬৩)। এই বাগানের মতো স্থান হওয়ায় রিয়াজুল জান্নাত মুসলমানদের জন্য এক অপূর্ব বরকত ও আশীর্বাদের কেন্দ্র।
রিয়াজুল জান্নাতের ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব
রিয়াজুল জান্নাতশুধু একটি মসজিদের অংশ নয়, এটি জান্নাতের এক বিশেষ বাগানের সঙ্গে তুলনা করা হয়। নবী করিম (সা.) এর হুজরা থেকে মিম্বার পর্যন্ত এই স্থানটি সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য এক আকর্ষণীয় কেন্দ্র, যেখানে নামাজ আদায়, দোয়া, যিকির ও ইবাদত করার জন্য প্রতিটি মুমিনের অন্তর কাঁপে। হজ ও উমরা পালনে যারা মসজিদে নববী তে আসেন, তাদের জীবনের এক বিশেষ আকাঙ্খা পূরণ হয় এই রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায় করে।
নামাজ আদায়ের ফজিলত ও নিয়মানুবর্তিতা
রিয়াজুল জান্নাতে নফল নামাজ পড়া অত্যন্ত পছন্দনীয় এবং বরকতময় কাজ। নবী করিম (সা.) বিশেষভাবে এই স্থানটিকে বরকতপূর্ণ করে ঘোষণা করেছেন। তবে ইসলামি শরিয়তের নিয়ম অনুযায়ী ‘মাকরুহ’ সময়ে, অর্থাৎ ফজরের নামাজের পর সূর্য উঠে না উঠা পর্যন্ত এবং আসরের নামাজের পর সূর্য অস্তমিত না হওয়া পর্যন্ত, এই স্থানসহ সর্বত্র নফল নামাজ আদায় নিষিদ্ধ। এই সময়গুলোতে নফল নামাজ আদায় করাকে মাকরুহ (বিরক্তিকর) হিসেবে গণ্য করা হয়।
এ সময়খানিতে নামাজের পরিবর্তে মুসল্লিরা দোয়া, দুরুদ, কান্নাকাটি, তাওবা ও ইস্তিগফার করার উপদেশ পাওয়া যায়। নবী করিম (সা.) এসময়গুলোতে বিশেষত তওবা ও ইস্তিগফার করার নির্দেশ দিয়েছেন যা আত্মিক শুদ্ধি ও প্রার্থনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আধ্যাত্মিক প্রশান্তির স্থান
রিয়াজুল জান্নাতের বিশেষত্ব কেবল মাত্র শারীরিক অবস্থানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি এক মহাসমারোহিত আধ্যাত্মিক জায়গা, যেখানে নামাজ, দোয়া, যিকির ও ইবাদত সম্পাদনের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে শান্তি, প্রশান্তি ও আস্থার অনুভূতি গভীর হয়। মসজিদে নববীর রিয়াজুল জান্নাতে প্রার্থনার সময় অনুপ্রেরণা ও অনুগ্রহের আবহ সৃষ্টি হয়, যা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য এক অপূর্ব উপহার।
মসজিদে নববীর রিয়াজুল জান্নাত হচ্ছে জান্নাতের সেই ছোট্ট এক অংশ, যেখানে রাসূল (সা.) এর ঘর ও মিম্বারের মাঝামাঝি স্থান অবস্থিত। এই স্থানটি মুসলমানদের জন্য এক অবর্ণনীয় বরকত ও আধ্যাত্মিক উৎস। এখানে সঠিক সময়ে নামাজ আদায় এবং অন্য সময়গুলোতে দোয়া ও তওবা করার মাধ্যমে মুসলমানরা আখেরাতের জন্য মনের প্রস্তুতি নিতে পারেন।
পবিত্র কোরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে রিয়াজুল জান্নাতের মর্যাদা এবং গুরুত্ব অপরিসীম। তাই যেখানে যায়গা পাওয়া যায়, সেখানে নামাজ আদায় এবং ইবাদত করার চেষ্টা প্রত্যেক মুমিনের জন্য উত্তম ও উপকারী।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গেম্বলারদের দৌরাত্ম্য: আস্থা ফেরাতে চাই কঠোর শাস্তি ও কাঠামোগত সংস্কার
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের দীর্ঘ ছুটি, চালু থাকবে জরুরি সেবা
- বাংলাদেশে সেনা-সরকার উত্তেজনা ও ‘কু’ এর গুঞ্জন: নেপথ্যে কি?
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- সেনাপ্রধানের বক্তব্য, জুলকারনাইন তাতে যা বললেন!
- তারকা পরিচিতি: রক্ষাকবচ না কি সমাজবিমুখ অব্যাহতি?
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে কি লিখলেন প্রেস সচিব শফিকুল?
- বাংলাদেশে আন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে মৌলিক অধিকার হুমকিতে
- দারুননাজাত: নৈতিকতার আলোকবর্তিকা
- মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কেন অনিশ্চিত
- ইউজিসি-ম্যাকগিল পিএইচডি স্কলারশিপ: শুধুমাত্রবাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য
- ডিপ্লোমেটিক শেকআপ: জসীম উদ্দিন দূতাবাসে , সচিব হচ্ছেন নজরুল
- ডিসেম্বরে নির্বাচন চান সেনাপ্রধান
- "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সব রাজনৈতিক দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে"