রেনাটার পাশে আইএফসি, আসছে ৭০০ কোটি টাকার ঋণ

সত্য নিউজ:দেশের অন্যতম প্রধান ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রেনাটা লিমিটেড-কে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা (৫ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার) ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। এ লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) রেনাটা ও আইএফসির মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই অর্থায়ন বাংলাদেশের ওষুধশিল্পে অন্যতম বড় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ওষুধশিল্পে বড়ধরনের বৈশ্বিক আস্থা ও সমর্থন
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঋণের অর্থ ব্যবহার করে রেনাটা মূলত উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি, সরবরাহ শৃঙ্খল শক্তিশালীকরণ এবং উদ্ভাবনী পণ্য উন্নয়নে বিনিয়োগ করবে। এতে দেশের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহের সক্ষমতা আরও বাড়বে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির দিকেও অগ্রসর হবে রেনাটা, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আইএফসি ও রেনাটার এই অংশীদারিত্বকে “জেনেরিক ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের বৈশ্বিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ” হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে শুধু উৎপাদন বাড়বে না, দক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।
রেনাটার বক্তব্য: অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জে বড় সহায়তা
রেনাটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এস কাইসার কবির এই বিনিয়োগকে সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন,
“ডলার সরবরাহে ঘাটতি, বিনিময় হারের অবমূল্যায়ন ও উচ্চ সুদের হার—এই তিনটি বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে আমরা কাজ করছি। এই পরিস্থিতিতে আইএফসির ঋণ আমাদের জন্য সরবরাহ ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বড় সহায়ক হবে।”
আইএফসি: রেনাটার সক্ষমতা বাড়বে, কর্মসংস্থান তৈরি হবে
আইএফসির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক ইমাদ এন ফাখুরি জানান,
“রেনাটার সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারত্ব কেবল উৎপাদন বা মুনাফার জন্য নয়—এটি বাংলাদেশের ওষুধশিল্পকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে নেওয়ার জন্য।” তিনি আরও বলেন, “এই চুক্তির মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এবং রেনাটার জেনেরিক ওষুধ সরবরাহ বিশ্বব্যাপী আরও বিস্তৃত হবে।”
প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশের ফার্মা খাতের অগ্রগতি
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তার ৯৮ শতাংশেরও বেশি ওষুধ চাহিদা দেশীয়ভাবে পূরণ করছে, এবং বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন উৎপাদন ও রপ্তানির সক্ষমতা তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশের ওষুধশিল্প এখন বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আইএফসির এই দীর্ঘমেয়াদি ঋণ কেবল রেনাটার জন্য নয়, বরং গোটা ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের জন্য একটি বার্তা—বিশ্ব বাংলাদেশের শিল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার স্বীকৃতি দিচ্ছে।
এই বিনিয়োগ দেশের ওষুধশিল্পকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে, যেখানে উদ্ভাবন, মান, এবং বৈশ্বিক বিস্তারে বাংলাদেশ আরও দৃঢ় ভূমিকা পালন করবে। রেনাটা ও আইএফসির অংশীদারত্ব অর্থনীতির একটি কৌশলগত খাতে আন্তর্জাতিক আস্থা ও উন্নয়ন অংশীদারিত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে।
ভাঙ্গায় সহিংসতা: পুলিশ-কমিশনের সতর্ক বার্তা, দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় সোমবারের সহিংসতার ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল (DIG) রেজাউল করিম মাল্লিক। ভাঙ্গা থানা কমপ্লেক্সে মধ্যরাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আমরা নিঃসন্দেহে উগ্রবাদীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি যারা সহিংসতায় জড়িত তাদের গ্রেফতার করার জন্য। হামলার মূল নেপথ্যকারদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
DIG মাল্লিক আরও জানান, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (DC) এবং সহকর্মীদের সঙ্গে ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। “এই সহিংসতায় চার থেকে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। যারা হামলায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” তিনি বলেন।
এ ঘটনায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ ভাঙ্গা থানার ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করবে, আর উপজেলা প্রশাসন উপজেলা পরিষদে ঘটে যাওয়া ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করবে।
এদিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ক্বামরুল হাসান মোল্লা সংবাদ মাধ্যমে জানান, “জনসাধারণের অনুভূতি ও ক্ষোভ নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। কমিশন বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করবে।” তিনি আরও জানান, দুই ইউনিয়নের সীমানা পরিবর্তনের বিরোধিতায় হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করা হয়েছে, যার শুনানি ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
DC মোল্লা ভাঙ্গার বাসিন্দাদের ধৈর্য রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা মানুষের অনুভূতি বুঝতে পারছি। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আরও কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ার জন্য আবারও সবাইকে অনুরোধ করছি। ভাঙ্গার মানুষদের সুনাম রয়েছে—অনুগ্রহ করে জনসাধারণের ক্ষতি না হওয়ার দিকে মনোযোগ দিন।”
সোমবার ভাঙ্গা উপজেলায় নির্বাচনী সীমানা পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীরা তাণ্ডব চালান। তারা ভাঙ্গা থানার পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ ভবন, হাইওয়ে পুলিশ আউটপোস্ট, ভাঙ্গা পৌরসভা ভবন ভাঙচুর ও আগুনে ভস্মীভূত করে। স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের অফিস এবং কয়েকটি যানবাহনও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পুলিশ ও প্রশাসনের সতর্ক বার্তা স্পষ্ট—শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা জরুরি, আর দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
-আলমগীর হোসেন
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস
আগামী শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আজ সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
প্রধান উপদেষ্টা মন্দিরে পৌঁছে পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখেন এবং সেখানে উপস্থিত পুরোহিত, ভক্ত ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ সময় তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের আগাম শুভেচ্ছা জানান এবং শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টার এ সফরকে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা আন্তরিক স্বাগত জানান। তারা জানান, এটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সামাজিক সৌহার্দ্যকে আরও সুদৃঢ় করবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির কমিটির প্রতিনিধিরা এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে পূজা উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও সহায়তার বিষয়েও কথা বলেন।
দুর্গাপূজা দেশের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছরই রাজধানীসহ সারাদেশে লাখো মানুষ এতে অংশ নেয়। প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে অনেকেই সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক হিসেবে দেখছেন।
-নাজমুল হোসেন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ইসিতে পৌঁছাতে শুরু করেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনী সরঞ্জাম গ্রহণ শুরু করেছে। ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইসির প্রধান কার্যালয়ে একে একে পৌঁছাচ্ছে ব্যালট বাক্স থেকে শুরু করে ফরম, সিল, প্যাকেটসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কয়েক মাস আগে জারি করা ওয়ার্ক অর্ডারের ভিত্তিতে চলতি সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই ধাপে ধাপে এসব সরঞ্জাম সরবরাহ শুরু হয়েছে। অন্তত ছয় ধরনের সরঞ্জাম কমিশনের গুদামে এসে পৌঁছাচ্ছে, যা গত বৃহস্পতিবার ও আজ রেকর্ড করা হয়েছে।
আজ ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নওয়াজসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইসি ভবনের বেইসমেন্টে অবস্থিত গুদাম পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা ব্যালট বাক্স, তালা, ঢাকনা, জুটের বস্তা, সিল, বিভিন্ন ধরনের ফরম ও প্যাকেটসহ কেনাকাটা করা সামগ্রী সরেজমিনে পরীক্ষা করেন।
ইসির ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ে ধাপে ধাপে ফরম ও প্যাকেট বিতরণ করা হবে। এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, “আজ বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের বৈঠক হয়েছে। নির্বাচনী সামগ্রী ইতোমধ্যেই আসতে শুরু করেছে। কিছু সামগ্রীর প্রায় অর্ধেক হাতে এসেছে, বাকিগুলোও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চলে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।”
অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নওয়াজ বলেন, “আমরা আশা করছি সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব ধরনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম হাতে থাকবে।”
ইসি জানিয়েছে, দেশের ৬৪ জেলার ১০ অঞ্চলের ৩০০ সংসদীয় আসনে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি কেন্দ্রের হিসেবে ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে মোট বুথের সংখ্যা হবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬। আগামী ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আরও বলেন, “পিতলের সিল ও সিলিং ওয়াক্স ছাড়া অন্যান্য সব সরঞ্জাম যথাসময়ে আসছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমাদের হাতে সব উপকরণ এসে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।”
নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সরঞ্জাম গ্রহণ ও বিতরণ প্রক্রিয়া চলমান থাকা মানে এখন থেকে মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক প্রস্তুতিও গতি পাবে। পর্যাপ্ত ও মানসম্মত সরঞ্জাম হাতে এলে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে কমিশনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি আরও মজবুত হবে।
-ইশতিয়াক আহামেদ
ইইউ-বাংলাদেশ কূটনীতি: গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জলবায়ু মোকাবিলায় যৌথ অঙ্গীকার
বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সম্পর্ক এখন এক কৌশলগত পর্যায়ে পৌঁছেছে। মানবাধিকার সুরক্ষা, অর্থনৈতিক সম্ভাবনার সৃষ্টি এবং গণতন্ত্রের বিকাশ—সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে এই অংশীদারিত্বের মূল দর্শন। ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক আলোচনায় ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এসব মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার অ্যাম্বাসেডরস (AOFA), যেখানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আবদুল্লাহ আল হাসান।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। এই সময়ে ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে থেকে গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে চায় এবং সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দ্রুত সাড়া দিতে প্রস্তুত। তিনি উল্লেখ করেন, “এটি একটি অনন্য সুযোগ, যেখানে মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নাগরিক সমাজের জন্য মুক্ত পরিবেশ তৈরির সুযোগ রয়েছে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইইউ বাংলাদেশকে “মুক্ত ও সুষ্ঠু” নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতিতে সহযোগিতা করছে এবং নাগরিক ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন দিচ্ছে।
অর্থনৈতিক খাতেও ইইউ বাংলাদেশের এক শক্তিশালী অংশীদার। রাষ্ট্রদূত মিলার জানান, ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (EIB) এ বছর শেষে বাংলাদেশের জন্য দ্বিগুণ ঋণ সহায়তা দেবে, যা জানুয়ারিতে ইআইবি ভাইস প্রেসিডেন্টের দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। তিনি বলেন, ইউরোপের ‘গ্লোবাল গেটওয়ে’ উদ্যোগ পরিবহন, জ্বালানি, পানি, ডিজিটাল ও টেলিকম খাতে নিরাপদ ও টেকসই সংযোগ বাড়াতে কাজ করছে, যা বাংলাদেশের উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
রাষ্ট্রদূত জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ইউরোপের জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ। “আপনাদের স্থিতিশীলতা মানে আমাদের স্থিতিশীলতা, আপনাদের সমৃদ্ধি মানে আমাদের সমৃদ্ধি।”
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কথা তুলে ধরে মিলার বলেন, ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় সফরের মাধ্যমে তিনি জানতে চেষ্টা করছেন স্থানীয় মানুষদের প্রয়োজন ও ইইউ-অর্থায়িত প্রকল্পের প্রভাব। “আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো সরাসরি জনগণের মুখে শুনে জানা—কি ঘটছে বাস্তবে,” তিনি বলেন।
বাণিজ্য বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন, ইইউ বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত ও ন্যায্য বাণিজ্য নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়াকে মসৃণ করতে একসঙ্গে কাজ করছে। এ ছাড়া ইইউ তাদের বাজেট থেকে ইউরোপের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ নিশ্চিতে গ্যারান্টি দিচ্ছে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সরাসরি প্রবৃদ্ধি আনবে।
রাষ্ট্রদূত মিলারের বক্তব্যে স্পষ্ট, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক রূপান্তরের অংশীদার হতে চায়—গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা থেকে শুরু করে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা পর্যন্ত।
-সুত্রঃ ইউ এন বি
পিতৃত্বকালীন ছুটি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা!
বাংলাদেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির আইনি স্বীকৃতির পথে বড় অগ্রগতি ঘটেছে। সরকারি কর্মীদের জন্য ১৫ দিনের সবেতনে পিতৃত্বকালীন ছুটি প্রদানের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি ও পারিবারিক বাস্তবতার অভিজ্ঞতা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে পরিবার কাঠামোয় বাবার সক্রিয় ভূমিকার গুরুত্ব নতুন করে সামনে এসেছে।
বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবী নারীরা ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটির সুবিধা পান। কিন্তু বাবাদের জন্য এমন কোনো ছুটির বিধান নেই। অথচ সন্তান জন্মের পর পরিবার গঠনের প্রতিটি ধাপে বাবার উপস্থিতি সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত, মা যখন শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল অবস্থায় থাকেন, তখন বাবার পাশে থাকা কেবল আবেগীয় সহায়তা নয়, বরং বাস্তব প্রয়োজন।
সিজারিয়ান ডেলিভারির পর একজন মা দীর্ঘ সময় দুর্বল থাকেন, আর নবজাতক থাকে অতি সংবেদনশীল। এই সময় বাবার সহায়তা পরিবারে জীবনযাত্রার ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম উপাদান হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অধিকাংশ সরকারি চাকরিজীবী বাবাকে অফিসের দায়িত্ব পালন করতে হয়, স্ত্রীর ও সন্তানের পাশে থাকার সুযোগ পান না। এ ধরনের অভিজ্ঞতা প্রায় ৯০ শতাংশ সরকারি কর্মীর জীবনে ঘটে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৭৮টি দেশে ইতিমধ্যেই পিতৃত্বকালীন ছুটি চালু রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানেও বাবাদের জন্য ছুটির ব্যবস্থা আছে। ইউরোপে এ ছুটির সময়কাল আরও দীর্ঘ এবং কাঠামোবদ্ধ। উদাহরণস্বরূপ, স্পেনে বাবারা ১২ সপ্তাহের পিতৃত্বকালীন ছুটি পান, আর পোল্যান্ডে এই সুবিধা ৯০ দিন পর্যন্ত।
বাংলাদেশেও কিছু অগ্রগামী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন আড়ং, ব্র্যাক এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়—ইতোমধ্যে পিতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা চালু করেছে। এবার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ১৫ দিনের ছুটির প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে সন্তান জন্মের পরপরই বাবা পরিবারকে সময় দিতে পারেন, স্ত্রীর পাশে দাঁড়াতে পারেন এবং নবজাতকের সঙ্গে প্রথম দিনের বন্ধনে যুক্ত হতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পিতৃত্বকালীন ছুটি কেবল একটি সামাজিক দাবি নয়, এটি কর্মদক্ষতা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং পারিবারিক কল্যাণের সঙ্গেও সম্পর্কিত। এ ছুটি শেষে কাজে যোগ দেওয়ার পর অনেক কর্মী আরও মনোযোগী, আত্মবিশ্বাসী এবং দায়িত্বশীল হয়ে ওঠেন। মা-বাবার যৌথ অংশগ্রহণ শিশুর বিকাশ ও মানসিক বৃদ্ধিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
-রাফসান
শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আরও এক বা দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হবে।
আজ ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জবানবন্দি চলাকালে বিরতির সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমরা ট্রাইব্যুনালে আবেদন করব যাতে আরও এক-দু’জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পরই সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়া সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর খুব শিগগিরই যুক্তি উপস্থাপন শুরু হবে বলে আশা করছি।”
মামলাটি বিচার করছেন ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বেঞ্চ, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার। আজকের শুনানিতে প্রধান প্রসিকিউটরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম। প্রসিকিউশন টিমের অন্যান্য সদস্যরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমির হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। অপরদিকে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট জায়েদ বিন আমজাদ যুক্তি উপস্থাপন করছেন।
গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিকভাবে তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এবং বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। মামলার একপর্যায়ে সাবেক আইজিপি মামুন দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন গ্রহণ করে এবং তাকে মামলার ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয়।
এছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইসিটিতে আরও দুটি মামলা চলমান। একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের। অন্য মামলায় অভিযোগ রয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকায় হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ চলাকালে গণহত্যা সংঘটনের।
প্রধান প্রসিকিউটরের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে এবং শিগগিরই যুক্তি উপস্থাপন শুরু হলে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির দিকে এগোতে পারে।
-সুত্রঃ বি এস এস
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ — প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি এবং উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে (সিএও) যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি (AUSTR) ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। বৈঠকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, “এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।”
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র গত ৩১ জুলাই বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপিত পারস্পরিক শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে আনে। ড. ইউনূস এই সিদ্ধান্তকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে অভিহিত করেন।
বৈঠকে দুই দেশ বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা ও সয়াবিনসহ কৃষিপণ্য আমদানি বৃদ্ধি এবং জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করে। আলোচনার বিষয়বস্তুতে আরও ছিল—এলপিজি আমদানি, সিভিল এয়ারক্রাফট ক্রয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং রোহিঙ্গা মানবিক সংকট।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি পণ্য আমদানি করতে প্রস্তুত এবং আশা করছে এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে শুল্ক আরও হ্রাস পাবে, যা উভয় দেশের জন্য টেকসই ও পারস্পরিকভাবে লাভজনক বাণিজ্য অংশীদারিত্ব গড়ে তুলবে। তিনি চলমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর হওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শ্রম অধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত ১১ দফা শ্রম কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক শ্রমমান রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আগামী দিনে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ও স্বল্পসুদে ঋণ প্রবাহ আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। “আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের দরজা বাংলাদেশে আরও প্রশস্ত হোক,” বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চ বাংলাদেশের গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া আলোচনাগুলো গতি পাওয়ায় আলোচনার ফলাফল ইতিবাচক হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের আলোচক দলের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেন এবং সময়মতো শুল্ক চুক্তি বাস্তবায়ন ও ক্রয় প্রতিশ্রুতি পূরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, ইউএসটিআরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক এমিলি অ্যাশবি, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মুর্শেদ, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এবং ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন উপস্থিত ছিলেন।
-সুত্রঃ বি এস এস
দেশের উন্নয়নে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তরুণদের দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিটি তরুণের প্রতিভা, শক্তি ও সৃজনশীলতা যেন কেবল ব্যক্তিগত সাফল্যে সীমাবদ্ধ না থাকে; বরং তা সমাজ ও দেশের জন্য উদাহরণ হয়ে উঠুক।
আজ রাজধানীর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে “ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫” প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এ বছর ১২ জন তরুণ-তরুণীকে সমাজসেবায় অসাধারণ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
ড. ইউনূস বলেন, তরুণরা যদি সক্রিয় থাকে তবে এই দেশের কোনো সমস্যা অমীমাংসিত থাকবে না। “আজ আমরা তরুণদের শক্তি উদযাপন করছি। তারা আমাদের জাতির চালিকাশক্তি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যদি তরুণরা উদ্যমী, কর্মচঞ্চল ও নতুন চিন্তাধারায় সমৃদ্ধ থাকে, তবে তাদের অগ্রযাত্রাকে কোনো বাধাই থামাতে পারবে না।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এখানে থাকতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান এবং পুরস্কারপ্রাপ্তদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি এখন আর শিক্ষাক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নেই। তারা স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সুরক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়ও অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। “২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান তরুণদের নেতৃত্বেই হয়েছে—তারা ইতিহাস লিখেছে এবং ভবিষ্যতেও লিখবে,” তিনি যোগ করেন।
ড. ইউনূস বলেন, পথচলায় নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে—জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশগত সংকট—কিন্তু এসব চ্যালেঞ্জে হতাশ হওয়া যাবে না। “আমাদের নিজেদের শক্তি দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমি আশা করি, এই নেতৃত্বও তরুণরাই দেবে।”
তিনি আরও বলেন, স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ কেবল মানবিক সেবার জন্য নয়, এটি আত্মোন্নয়ন, চরিত্র গঠন ও নেতৃত্ব তৈরির একটি অনন্য মাধ্যম। “আমরা চাই আমাদের তরুণরা শুধু স্বেচ্ছাসেবক নয়—তারা যেন সমাজের নীতি নির্ধারক, উদ্ভাবক ও পরিবর্তনের স্থপতি হয়ে ওঠে।”
ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ডকে তিনি কেবল সম্মাননা নয়, বরং নতুন নেতৃত্ব ও নতুন ভাবনার সাহসী যাত্রার ডাক হিসেবে উল্লেখ করেন।
ড. ইউনূস বলেন, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তরুণদের অংশগ্রহণ ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। স্বাস্থ্যখাতে ছোট উদ্যোগও হাজারো শিশুকে রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে; শিক্ষাক্ষেত্রে ছোট প্রচেষ্টা জাতীয় শিক্ষার মান অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারে। পরিবেশ রক্ষায় তাদের সম্মিলিত পদক্ষেপ আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।
তিনি স্বীকার করেন, স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের পথ সহজ নয়—সময়, অর্থ এবং মানসিক চাপের মতো বাধা রয়েছে। কিন্তু এই বাধা অতিক্রমের মধ্য দিয়েই ধৈর্য, সহনশীলতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করা যায়।
ড. ইউনূস শেষ বক্তব্যে পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আমি আমার পক্ষ থেকে, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এবং পুরো জাতির পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনারাই হোন নতুন নীতি প্রণেতা, বিপ্লবী চিন্তার বাহক এবং সামাজিক রূপান্তরের পথিকৃৎ।”
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শোজিব ভূঁইয়া, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত সুরাইয়া ফারহানা রেশমাও বক্তব্য দেন।
-সুত্রঃ বি এস এস
বিশ্ব পর্যটন দিবসে ভ্রমণ মেলা, থাকছে ছাড় ও র্যাফেল ড্র
আসন্ন বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজন করা হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ভ্রমণ ও পর্যটন প্রদর্শনী ১২তম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার (এটিএফ)। ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে পর্যটনকে আরও জনপ্রিয় করে তোলা, পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া এবং দেশি-বিদেশি ভ্রমণ উদ্যোক্তাদের এক মঞ্চে আনার লক্ষ্যে এই আয়োজন আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। তিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আয়োজক ও সহযোগী সংস্থাগুলো
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আয়োজক পর্যটন বিচিত্রা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেলার আয়োজনকে সফল করতে সহযোগিতায় রয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ। সরকারি সহযোগিতা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগে এটি হয়ে উঠবে একটি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক পর্যটন উৎসব।
মেলায় কী থাকছে
পর্যটন বিচিত্রার সম্পাদক ও এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “দেশি-বিদেশি পর্যটন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিচ্ছে এই মেলায়। দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে নানা রকম ডিসকাউন্ট অফার, বিশেষ প্যাকেজ ডিল, আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র, এবং পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট নতুন সুযোগ-সুবিধার তথ্য।”
মেলায় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে—
বিজনেস-টু-বিজনেস (B2B) সেশন: যেখানে দেশি ও বিদেশি পর্যটন উদ্যোক্তা এবং ট্রাভেল এজেন্সিগুলো পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: দেশের ঐতিহ্য, লোকসংস্কৃতি ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরা হবে।
আঞ্চলিক পর্যটন গন্তব্যের প্রচার: ভ্রমণপিপাসুদের জন্য দেশি-বিদেশি ভ্রমণ প্যাকেজ ও গন্তব্য সম্পর্কিত তথ্য সহজলভ্য করা হবে।
বিশেষ ছাড়: শীত মৌসুমের ভ্রমণ পরিকল্পনার জন্য হোটেল, এয়ারলাইন্স, ট্রাভেল এজেন্সি এবং ট্যুর অপারেটররা বিশেষ অফার দেবে।
প্রবেশ ও পুরস্কার ব্যবস্থা
মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। তবে আগ্রহীরা যদি অনলাইনে নিবন্ধন করেন, তবে প্রবেশ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। প্রতিটি প্রবেশ কুপনের বিপরীতে দর্শনার্থীরা অংশ নিতে পারবেন আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র–তে, যেখানে থাকবে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় এয়ারলাইন্সের টিকিট, ভ্রমণ ভাউচার, এবং অন্যান্য উপহার।
এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি পর্যটন কেবল অর্থনীতির চালিকাশক্তি নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জাতীয় পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ বাহক। এই মেলার মাধ্যমে আমরা শুধু নতুন ভ্রমণের সুযোগ তৈরি করছি না; বরং আমরা চাই টেকসই পর্যটনশিল্প গড়ে তুলতে, যা আগামী প্রজন্মের জন্য অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে সমানভাবে সমৃদ্ধ হবে।”
-রফিক
পাঠকের মতামত:
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- ১৬ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ১৬ সেপ্টেম্বর দর হারাল শীর্ষ দশ কোম্পানি
- ১৬ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার
- দেবো কে দেব মহাদেবের পার্বতী সোনারিকা ভাদোরিয়া মা হতে চলেছেন
- আফগান সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের অভিযান: নিহত ৩১ তালেবান
- চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের জামায়াতে ইসলামী আমীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ
- বিপিএল এর নাম বদলে যে নাম রাখা হচ্ছে
- যত টাকায় সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এলএনজি আসছে
- নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রমিক সংঘর্ষ
- ‘এটি শিকড়, আবেগ আর অস্তিত্বের প্রশ্ন’
- ভাঙ্গায় সহিংসতা: পুলিশ-কমিশনের সতর্ক বার্তা, দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে
- দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস
- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ইসিতে পৌঁছাতে শুরু করেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম
- গাজায় ইসরায়েলি তীব্র হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনের ঘোষণা
- ইইউ-বাংলাদেশ কূটনীতি: গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জলবায়ু মোকাবিলায় যৌথ অঙ্গীকার
- হারলেই শেষ! বিদায়ের মুখে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
- ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের নামাজের সময়সূচি প্রকাশিত
- ক্যারিয়ার গড়ুন বিকাশে
- নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ
- পিতৃত্বকালীন ছুটি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা!
- শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে
- ৯০৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ১১টি প্যানেল নিয়ে উত্তেজনায় রাকসু নির্বাচন
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ — প্রধান উপদেষ্টা
- দেশের উন্নয়নে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- চাকরির বাজারে এআইয়ের ঝড়: কারা পড়বেন সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে?
- রিমান্ডে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ দিলেন অভিনেতা সিদ্দিকুর
- ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE) বাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ব্লক লেনদেনে প্রায় ৪৩৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা
- ১৫ সেপ্টেম্বর শীর্ষ দশ কোম্পানি দর হারাল
- ১৫ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার
- ‘আমার বাবাকে কাকা-কাকাতো ভাই মেরে ফেলেছে’
- গ্রেফতার অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন নুসরাত ফারিয়া
- বিশ্ব পর্যটন দিবসে ভ্রমণ মেলা, থাকছে ছাড় ও র্যাফেল ড্র
- রাশফোর্ডের চমৎকার ক্রস, লোপেজ ও লেভানডোস্কির গোল—বার্সার দারুণ পারফরম্যান্স
- কাতারকে সাবধান হতে বললেন ট্রাম্প
- অক্টোবর মাসের বলিউড সিনেমার রোডম্যাপ: প্রেম, কমেডি, থ্রিলার ও হররের সংমিশ্রণ
- বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করবে: লুৎফুজ্জামান বাবর
- সংস্কার কমিশনের ৭০ শতাংশ সুপারিশ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব: আসিফ নজরুল
- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান তারেক রহমানের
- গ্ল্যামার, রঙ আর বার্তা—এমির রেড কার্পেটে সেলিব্রিটিদের সাজসজ্জা
- “গো ব্যাক মোদি” স্লোগানে মুখরিত মণিপুর
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- অবরুদ্ধ গাজায় মৃত্যু-ক্ষুধার মিছিল
- ইসরায়েলি অবরোধের বিরুদ্ধে সমুদ্রপথে প্রতিবাদ, গাজাগামী নৌবহরে যোগ দিল গ্রিসের দুটি জাহাজ
- বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের আরেক গৌরব: নাসার STEM দূত ড. আহসান
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষোভ প্রশমনে ট্রাম্পের ‘ওপেন ডোর’ নীতি
- উন্নয়নের মুখোশ না মহা লুটপাট? শেখ হাসিনার শাসনামলে ২৫ লাখ কোটি টাকার রহস্য
- টিকটক বন্ধ নাকি বাঁচবে? স্পেনের যুক্তরাষ্ট্র-চীন বৈঠকেই মিলবে সিদ্ধান্ত
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- ডোপ টেস্ট কী, কেন করা হয়, কেন এত এখন জরুরি
- নিরাপদ কাতারেও হামলা! দোহায় ইসরাইলি হামলায় তোলপাড় আরব বিশ্ব
- ডাকসুতে শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়ের পেছনে যত কৌশল
- আবারও যুদ্ধের প্রস্তুতিতে ইরান: সেনাপ্রধান হাতামির হুঁশিয়ারি