১ লাখ কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া জানাল জাপানের প্রতিনিধি দল

আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখের বেশি দক্ষ কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি জানাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে জাপানের ‘ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস’র (এনবিসিসি) ২৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তি ও নিয়োগের রোডম্যাপ
‘ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস’ ৬৫টিরও বেশি কোম্পানির একটি জাপানি ব্যবসায়িক ফেডারেশন, যারা সম্প্রতি দক্ষ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের সুবিধার্থে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওআই) সই করেছে। এই চুক্তির লক্ষ্য টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম (টিআইটিপি) এবং স্পেসিফাইড স্কিলড ওয়ার্কার্সের (এসএসডব্লিউও) মতো কর্মসূচির আওতায় আগামী পাঁচ বছরে এক লাখের বেশি কর্মী নিয়োগ করা।
প্রথম ধাপ: প্রথম ধাপে আগামী বছর দুই হাজার দক্ষ কর্মী নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। পরে ২০২৭ সালে ছয় হাজার ও ২০২৮ সালে ১৮ হাজার কর্মী নিয়োগ করার কথা রয়েছে।
চাহিদা: নির্মাণ, সেবা, অ্যাভিয়েশন, গার্মেন্টস ও কৃষিতে সবচেয়ে বেশি কর্মী প্রয়োজন। আগামী দিনে গাড়িচালক, অটোমোবাইল ও রিসাইক্লিং খাতেও চাহিদা বাড়বে।
প্রশিক্ষণ ও নারীদের দক্ষতা
এনবিসিসি প্রতিনিধি দল খুলনা ও গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
এনবিসিসি’র সন্তুষ্টি: এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা জানান, “সাত মাসের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা খুবই সন্তুষ্ট। আমরা আশাবাদী আগামী বছরই দুই হাজার দক্ষ কর্মী নিয়োগ দিতে পারব।”
ভাষাগত চ্যালেঞ্জ: তবে তিনি প্রশিক্ষকদের ভাষাগত দক্ষতায় উন্নতি করার পরামর্শ দেন।
ড. ইউনূসের সমাধান: প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভাষাগত দক্ষতা বাড়াতে জাপান থেকে শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস নিতে পারেন বা জাপান থেকে প্রশিক্ষকদের বাংলাদেশে নিয়ে এসে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।
নারী কর্মীর সম্ভাবনা: ড. ইউনূস বাংলাদেশের নারীদের পারদর্শিতা উল্লেখ করে বলেন, “কেয়ারগিভিং সেক্টরে বাংলাদেশের নারীরা অনন্য। ভাষাগত দক্ষতা পেলে বাংলাদেশের মেয়েরা জাপানের কেয়ারগিভিং সেক্টরে অনন্য ভূমিকা রাখবে।” এনবিসিসি প্রতিনিধিরা জানান, আগামী কয়েক বছরে জাপানে ৪ লাখের বেশি দক্ষ নার্সের প্রয়োজন হবে এবং তারা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি নার্স নিয়োগের বিষয়ে বিবেচনা করবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, সরকার জাপানে কর্মী নিয়োগে অগ্রগতি নিয়মিত পর্যালোচনা করছে এবং এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করবে।
জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার ডা. জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আগমনকে মোটেও ভালোভাবে দেখছে না ভারত; এ নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকাকে বার্তা দেওয়ার পর এবার জাকির নায়েকের সফর প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জাকির নায়েক আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশের একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন বলে জানা গেছে। জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতে একাধিক মামলা থাকায়; তিনি ঢাকায় পা রাখলে তাকে যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়, বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভারত এমনটাই প্রত্যাশা করছে।
জাকির নায়েকের ঢাকায় আসার বিষয়টি নিয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছিল। তবে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন তাদের জানিয়েছেন, বিষয়টি তার এখতিয়ারে নেই।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, "এটা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার, তাদের এখতিয়ারে; আপনারা জানেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে বলেছেন যে তিনি এই ব্যাপারে অবহিত নন।" তিনি বলেন, বিদেশী কোনো মেহমান দেশে এলে তার দেখভাল করেন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ধর্ম উপদেষ্টা হিসেবে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। তিনি পুরো বিষয়টি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি; তিনি ভারতে ওয়ান্টেড।" তিনি আশা করেন, জাকির নায়েক যেখানেই যান না কেন; সংশ্লিষ্ট দেশ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবে।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস. এম. মাহবুবুল আলম বাসসকে বলেছিলেন, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্য বাংলাদেশের নজরে এসেছে। তিনি আরও বলেন, "আমরাও বিশ্বাস করি যে, কোনো দেশের অন্য দেশের কোনো অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।"
জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার ডা. জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আগমনকে মোটেও ভালোভাবে দেখছে না ভারত; এ নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকাকে বার্তা দেওয়ার পর এবার জাকির নায়েকের সফর প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জাকির নায়েক আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশের একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন বলে জানা গেছে। জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতে একাধিক মামলা থাকায়; তিনি ঢাকায় পা রাখলে তাকে যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়, বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভারত এমনটাই প্রত্যাশা করছে।
জাকির নায়েকের ঢাকায় আসার বিষয়টি নিয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছিল। তবে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন তাদের জানিয়েছেন, বিষয়টি তার এখতিয়ারে নেই।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, "এটা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার, তাদের এখতিয়ারে; আপনারা জানেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে বলেছেন যে তিনি এই ব্যাপারে অবহিত নন।" তিনি বলেন, বিদেশী কোনো মেহমান দেশে এলে তার দেখভাল করেন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ধর্ম উপদেষ্টা হিসেবে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। তিনি পুরো বিষয়টি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি; তিনি ভারতে ওয়ান্টেড।" তিনি আশা করেন, জাকির নায়েক যেখানেই যান না কেন; সংশ্লিষ্ট দেশ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবে।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস. এম. মাহবুবুল আলম বাসসকে বলেছিলেন, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্য বাংলাদেশের নজরে এসেছে। তিনি আরও বলেন, "আমরাও বিশ্বাস করি যে, কোনো দেশের অন্য দেশের কোনো অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।"
বিশ্ব ইজতেমার সময় পরিবর্তন ঝুঁকি এড়াতে সরকার কী কৌশল নিল,জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
২০২৬ সালের বিশ্ব ইজতেমা আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং যেকোনো ঝুঁকি এড়াতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে শুরায়ে নেজাম ও সাদপন্থিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ধর্ম উপদেষ্টা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, যদি ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়; তাহলে রমজানের পর দুই পক্ষের জন্য আলাদা আলাদাভাবে ইজতেমার আয়োজন করা হবে।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও জানান, ইজতেমা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনের জন্য একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে; এই কমিটি দুই পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান সব ধরনের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে। তিনি নিশ্চিত করেন, দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই ইজতেমার চূড়ান্ত তারিখ ঠিক করা হবে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন।
নৌকা উপহার ঘিরে ফেসবুকে ফাওজুল কবিরের ব্যাখ্যা
ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সালদানি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে একটি নৌকার মডেল উপহার দিয়েছেন। এই উপহারটি দেওয়া হয় গত ১ নভেম্বর আলজেরিয়ার বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনোনয়নক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন, রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে উপহারটি কূটনৈতিক সৌজন্যের অংশ হিসেবে প্রদত্ত।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে এই উপহারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা ও সমালোচনা দেখা যায়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কি কারণে একজন সরকারি উপদেষ্টা এমন উপহার গ্রহণ করেছেন এবং এর রাজনৈতিক বা নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে কোনো প্রভাব আছে কি না। এ নিয়ে বিভ্রান্তি প্রতিরোধের জন্য মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান নিজেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন।
ফেসবুকে প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, উপহারটি ‘পালতোলা দাঁড় পরিচালনাকারী মাঝিসহ নৌকা’ আকারের। তিনি জোর দিয়ে স্পষ্ট করেছেন, এই নৌকার মডেলটি কোনো রাজনৈতিক বা নির্বাচনী প্রতীক বহন করে না। এটি কেবল কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রদত্ত, এবং রাষ্ট্রদূত বা দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা প্রভাব সৃষ্টি করার জন্য নয়।
উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি এখন উপহারটি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চারটি বিকল্প বিবেচনা করছেন। প্রথম বিকল্প হলো এটি সরাসরি আলজেরিয়ার দূতাবাসে ফেরত পাঠানো, যা কূটনৈতিক দিক থেকে নিখুঁত হলেও কিছু ক্ষেত্রে অসৌজন্যমূলক বা হীনমন্যতার তত্ত্বও সৃষ্টি করতে পারে। দ্বিতীয় বিকল্প হলো সরকারি তোশাখানায় জমা রাখা, যা সরকারি দপ্তরীয় প্রটোকলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তৃতীয় বিকল্প হলো শৈলান প্রবীণ নিবাসে সংরক্ষণ করা, যা ব্যক্তিগতভাবে উপহারের ঐতিহাসিক ও প্রতীকী মূল্য ধরে রাখবে। চতুর্থ বিকল্প হলো উপহারটি নিজে রেখে দেওয়া, যা কেবল কূটনৈতিক সৌজন্য হিসেবে গ্রহণের অর্থ বহন করবে এবং ব্যক্তিগত স্মৃতিচিহ্ন হিসেবেও থাকবে।
ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, উপহারটি কোনো ব্যয়বহুল বা মূল্যবান বস্তু নয়। এটি সম্পূর্ণ প্রতীকী এবং কূটনৈতিক বিনিময় হিসেবে প্রদত্ত। তিনি জনসাধারণের ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চেয়ে বলেন, তিনি এই বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন যাতে বিতর্ক, ভুল বোঝাবুঝি বা রাজনৈতিক ব্যাখ্যার সুযোগ সৃষ্টি না হয়।
উপদেষ্টার পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এই উপহার গ্রহণ বা সংরক্ষণে কোনো রাজনৈতিক বা নির্বাচনী ইঙ্গিত নেই। এটি কেবল কূটনৈতিক সৌজন্যের অংশ এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রাখার একটি আনুষ্ঠানিক দিক। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, তার নেওয়া সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করা হবে এবং ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো সম্ভব হবে।
-শরিফুল
আঞ্চলিক শান্তি-নিরাপত্তায় যৌথ উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিল ঢাকা–দোহা
বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে—এমন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বে কোনো হুমকি দেখা দিলে বাংলাদেশ সবসময় কাতারের পাশে থাকবে।
শনিবার বাহরাইনে অনুষ্ঠিত ২১তম IISS মানামা সংলাপের অবকাশে কাতারের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আশ্বাস দেন তিনি। বৈঠকের তথ্য এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে রাজনৈতিক সমন্বয়, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব, জ্বালানি সহযোগিতা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কাতারের অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। একই সঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কাতারের সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকার প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরেকটি বৈঠকে অংশ নেন এশিয়ার আস্থাবর্ধক ও সহযোগিতা বিষয়ক সম্মেলন (CICA)-এর মহাসচিবের সঙ্গে। সেখানে তিনি রাজনৈতিক সংলাপ, আঞ্চলিক শান্তি এবং সহযোগিতা বাড়াতে সংগঠনের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি উল্লেখ করেন, সহযোগিতাপূর্ণ বহুপাক্ষিক কাঠামোই বর্তমানে এশিয়া অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পূর্বশর্ত।
উল্লেখ্য, উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ২১তম মানামা সংলাপে অংশ নিচ্ছেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নীতিনির্ধারকেরা মধ্যপ্রাচ্যসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা, সামরিক সহযোগিতা এবং মানবিক সংকট নিয়ে গভীর আলোচনা করছেন।
-নাজমুল হাসান
প্রবাসী ও বিনিয়োগে নতুন দিগন্ত: বাহরাইনের কাছে ভিসা সুবিধা চাইল বাংলাদেশ
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যবসায়ী, পেশাজীবী এবং দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীদের জন্য বাহরাইনে ভিসা প্রক্রিয়া পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এতে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ এবং অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা আরও জোরদার হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শনিবার বাহরাইনে চলমান ২১তম IISS মানামা সংলাপের অবকাশে বাহরাইনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা আদেল বিন খলিফা আল ফাদেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ জানান। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাহরাইনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ফ্যামিলি ভিসা প্রদান সহজতর করার অনুরোধও জানান। তিনি বলেন, কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা পাশে থাকতে পারলে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হবে, তাদের মানসিক প্রশান্তি বাড়বে এবং উৎপাদনশীলতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
এর জবাবে, বাহরাইনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের কর্মীদের অবদানকে মূল্যায়ন করে বলেন, দেশটির অর্থনীতিতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, ধাপে ধাপে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালুর বিষয়ে তাদের সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
বৈঠকে অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত নাগরিকদের নিজ দেশে শাস্তি ভোগের সুযোগ দেওয়ার জন্য দুই দেশের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর চুক্তি করার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়। এতে মানবিক বিবেচনা এবং আইনগত সহযোগিতা উভয় দিকই মজবুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বর্তমানে ২১তম মানামা সংলাপে অংশ নিচ্ছেন। এই বৈশ্বিক নিরাপত্তা সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের নেতা,মন্ত্রী ও নীতি–নির্ধারকেরা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, কৌশলগত সম্পর্ক এবং মানবিক সংকটসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন।
-আলমগীর হোসেন
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি নিশ্চিতেই জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ: মানামা সংলাপে তৌহিদ হোসেন
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। শনিবার বাহরাইনে অনুষ্ঠিত ২১তম IISS মানামা সংলাপের অবকাশে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুললতিফ বিন রশিদ আল জায়ানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক শান্তি, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সংলাপ বৃদ্ধিতে বাহরাইনের গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা শুধু অঞ্চলের জন্যই নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ ও বাহরাইনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তুলে ধরে তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদারের আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এ অঞ্চলে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে তিনি আগামী ২০২৫ সালে ঢাকা অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ–বাহরাইন রাজনৈতিক পরামর্শের দ্বিতীয় বৈঠক আয়োজনের ইচ্ছা জানান এবং বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, এই পরামর্শ বৈঠক ভবিষ্যৎ সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
উল্লেখ্য, উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বর্তমানে ২১তম মানামা সংলাপে অংশ নিচ্ছেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীতি–নির্ধারক, মন্ত্রী ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করছেন। মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত পরিস্থিতি, সমুদ্র নিরাপত্তা, জ্বালানি স্থিতিশীলতা ও মানবিক সংকট মোকাবিলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এ বছরের সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে।
-নাজমুল হাসান
জুলাই সনদ নিয়ে সরকারের মধ্যস্থতা, গোপন আলোচনায় কী ঘটছে
জুলাই জাতীয় সনদ ও গণভোটকে কেন্দ্র করে দেশের তিন প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি, জামায়াত এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। সনদ বাস্তবায়ন, নির্বাচন সময়সূচি ও সরকারের নিরপেক্ষতা ইস্যুতে এখন দুই প্রধান শরিক দলের শীর্ষ নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে সরাসরি তির্যক ভাষায় অভিযোগ তুলছেন। অন্যদিকে সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে এনসিপি নেতারাও সরকারের ভূমিকা ও দুই দলের রাজনৈতিক অবস্থানকে কঠোরভাবে সমালোচনা করছেন।
এই অচলাবস্থা ও মুখোমুখি অবস্থানে সরকারও এখন বিব্রত। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে পর্দার আড়ালে একটি সমঝোতা প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে চারজন উপদেষ্টা ইতোমধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে দুই দফা আলোচনা করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। যদিও এখনো পর্যন্ত এ আলোচনায় কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি বা সমঝোতার ইঙ্গিত মেলেনি।
সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন যে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন “পুরো জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে।” তিনি ঘোষণা দেন যে, জুলাই সনদের বাস্তবায়নের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে করতে হবে, অর্থাৎ একই দিনে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, তারা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন, কিন্তু একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন মেনে নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁর দাবি, গণভোট অবশ্যই নির্বাচনের আগে হতে হবে। একই অবস্থান নিয়েছে এনসিপিও।
২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে এই বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। একদিকে বিএনপি চাইছে গণভোট ও নির্বাচন একদিনে, অপরদিকে জামায়াত ও এনসিপি চাইছে আগে গণভোট, পরে নির্বাচন। সূত্র জানায়, সরকারের পক্ষ থেকে দুটি সমঝোতা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে প্রথমত, বিএনপিকে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনে সম্মতি দিতে বলা হয়েছে, এবং দ্বিতীয়ত, জামায়াতকে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটে রাজি হতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তবে উভয় দলই এখনো পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড়। এ কারণে সরকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের উদ্যোগ নিয়েছে। জানা গেছে, লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কূটনৈতিক চ্যানেলেও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঐকমত্য কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো যে বক্তব্য দিচ্ছে, তার অধিকাংশই সত্য নয়। কমিশন বলছে, আলোচনাগুলোর অনেকাংশই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভিতে সরাসরি প্রচারিত হয়েছে এবং তার সব রেকর্ড সরকারের হাতে রয়েছে। তবুও তারা প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চান না, কারণ এতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হতে পারে।
সরকারের অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র জানায়, এই বিরোধ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সর্বশেষ বৈঠকেও দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে চারজন উপদেষ্টাকে সমঝোতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এবং জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সমঝোতা সফল হলে দ্রুত জুলাই সনদ বাস্তবায়নসংক্রান্ত আদেশ জারি হতে পারে বলেও সূত্র জানিয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদ তিনটি বিকল্প নিয়ে চিন্তা করছে প্রথমত, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক না রেখে তা ভবিষ্যৎ সংসদের সংবিধান সংস্কার পরিষদের ওপর ছেড়ে দেওয়া; দ্বিতীয়ত, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া; তৃতীয়ত, সনদের বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার বদলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে আদেশ জারি করা। তবে এসব বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন সূত্র বলছে, ঢাকায় থাকা নেতারা বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না এই কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, “সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি মতবিরোধ থেকে যায়, সরকারের পক্ষে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। তাই দলগুলোর উচিত নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজা।”
প্রসঙ্গত, জুলাই জাতীয় সনদে মোট ৮৪টি প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬১টি প্রস্তাবে অন্তত একটি রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) রয়েছে। এর মধ্যে ৪৮টি প্রস্তাব সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিএনপি, জামায়াতসহ ২৫টি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যেই সনদে স্বাক্ষর করেছে।
সনদ বাস্তবায়নের প্রস্তাব অনুযায়ী, ৯টি বিষয় নির্বাহী আদেশে, ২৭টি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এবং সংবিধান সংশোধনের ৪৮টি প্রস্তাব গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে। আগামী সংসদ প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে এই প্রস্তাবসমূহ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। পরে ৪৫ দিনের মধ্যে পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে।
অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার এক অনুষ্ঠানে স্পষ্টভাবে জানান, “আমরা জুলাই সনদের যে অংশে সই করেছি, তার দায় নেব, কিন্তু যেখানে সই করিনি, তার দায় আমাদের নয়।” তিনি আরও বলেন, “আমরা নির্বাচন করতে চাই, নির্বাচনে অংশ নেব। কিন্তু নির্বাচনের আগে গণভোট করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হবে।”
অন্যদিকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আমরা আগে গণভোট চাই। একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট হলে তা জটিলতা সৃষ্টি করবে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে আমরা কোনো ছাড় দেব না।”
-রফিক
হঠাৎ যমুনায় তিন বাহিনী প্রধানের আগমন নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে যা জানা গেল
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়; সে বিষয়ে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান—সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন সাক্ষাৎ করেন। এসময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন যে; নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজার নৌবাহিনীর সদস্য এবং কিছু বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী; প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে বলে জানা গেছে।
ড. ইউনূস গত ১৫ মাসে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পরিশ্রমের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সাধুবাদ জানান; পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে, সেজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান আগামী ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান।
পাঠকের মতামত:
- বার্সেলোনার তারকা ইয়ামালের প্রেম ভেঙেছে, বাবা দিলেন বিয়ের ঘোষণা
- ৩০০ আসনে প্রার্থিতার পরিকল্পনা করছে এনসিপি
- গিজার পিরামিডের পাশেই নতুন স্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘরে কী আছে
- শফিকুর রহমানের ওপর আস্থা রাখল জামায়াত টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
- চীন সরকারের নজিরবিহীন সফলতা ৩০০ মিলিয়ন ভিজিটরের চোখে অন্য শিনচিয়াং
- বিশ্ব ইজতেমার সময় পরিবর্তন ঝুঁকি এড়াতে সরকার কী কৌশল নিল,জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম
- ইউএই ভ্রমণ সহজ হবে, যদি জানেন এই ৭টি ভিসা চেকলিস্ট
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর
- "অপুর সঙ্গে কাজের বিরতি, কিন্তু সম্পর্ক এখনো বন্ধুত্বপূর্ণ"
- উত্তরাঞ্চলে শীতের ঢেউ, আবহাওয়াবিদদের সতর্কবার্তা
- "মাঠে নামলে সরকার টিকবে কি?"
- দাম্পত্য জীবনে সম্পর্ক রক্ষার কৌশল ও নৈতিক দিকনির্দেশনা
- ডিএসই সার্কিট ব্রেকার রিপোর্ট – ২ নভেম্বর ২০২৫
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শীর্ষ ৩০ কোম্পানির হালনাগাদ মূল্যসম্ভার
- নৌকা উপহার ঘিরে ফেসবুকে ফাওজুল কবিরের ব্যাখ্যা
- ডলারের যুগের অবসান? পাঁচ শতাব্দীর আর্থিক ইতিহাসে পুনরাবৃত্ত পতনের ছন্দ
- বিশ্বকাপের আগে অবসর: টি–টোয়েন্টি অধ্যায়ের ইতি টানলেন উইলিয়ামসন
- আঞ্চলিক শান্তি-নিরাপত্তায় যৌথ উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিল ঢাকা–দোহা
- তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলই তৈরি করল সংকট: বিএনপি
- প্রবাসী ও বিনিয়োগে নতুন দিগন্ত: বাহরাইনের কাছে ভিসা সুবিধা চাইল বাংলাদেশ
- থাইরয়েড ও হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখার সহজ উপায়
- মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি নিশ্চিতেই জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ: মানামা সংলাপে তৌহিদ হোসেন
- বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্মের কোনো ছাড় নেই: রিজভী
- জ্বালানি বাজারে পরিবর্তন ও বৈশ্বিক প্রভাব প্রকাশ
- দূষিত শহরের তালিকায় দিল্লি শীর্ষে, ঢাকার অবস্থান যত
- শেষ মুহূর্তে মেসির গোলেও বাঁচল না মায়ামি, ন্যাশভিলের দাপটে সিরিজ সমতায়
- সুদানের গৃহযুদ্ধ: সেনা ও আরএসএফ সংঘাত ও তীব্র মানবিক সংকট
- সাত মিনিটে কোটি টাকার জুয়েল চুরি, আরও দুইজন আটক
- রিপাবলিক ব্যাংক এর তৃতীয় প্রান্তিক (Q3) আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- এক্সিম ব্যাংক এর তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন
- মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের তৃতীয় প্রান্তিক ফলাফল প্রকাশ
- শাহরুখের জন্মদিনে পরিবার, বন্ধু ও নতুন ছবি
- ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষ আন্দালিব রহমান পার্থের কঠোর হুঁশিয়ারি
- কেনিয়ায় ভয়াবহ ভূমিধস: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১, নিখোঁজ অন্তত ৩০
- বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ল, বাজুসের নতুন ঘোষণা
- অস্ত্র হাতে ইসলামিক সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে কেন নাইজেরিয়ায় প্রবেশের ইঙ্গিত ট্রাম্পের
- জুলাই সনদ নিয়ে সরকারের মধ্যস্থতা, গোপন আলোচনায় কী ঘটছে
- টিভিতে আজকের ক্রীড়া সূচি
- ‘গোল্ডেন বুট’ হাতে, ‘গোলের বন্যা’ পায়ে
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
- ২৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ প্রভাবে ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
- আজকের বাজারের সেরা এবং খারাপ পারফরমার: লাভের সম্ভাবনা কোথায়?
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় বাবা হারানো: দুই শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্ত্রীর আকুল আবেদন
- ২৮ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ফখরুলের অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকার আস্থার সেতু ভেঙে দিয়েছে
- ২৭ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ








