শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচজন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে: রাশেদ খান

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা পিছিয়ে যাচ্ছে। তার মতে, আজকের আলোচনা দেখে মনে হচ্ছে, নতুন করে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, “শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচজন উপদেষ্টা হাত মিলিয়েছে” এবং তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
‘আমরা পিছনে ফিরে যাচ্ছি’
রাশেদ খান বলেন, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে তারা শুনেছিলেন যে, আজকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। কিন্তু:
“আজকের আলোচনা যেভাবে শুরু হয়েছে, আমার কাছে মনে হলো নতুন করে আমরা আলোচনা শুরু করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের এই আলোচনা দেখে মনে হচ্ছে যে আমরাও শেখ হাসিনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছি।” তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, যে দলগুলো সর্বশেষ দিন জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পক্ষে ছিল, তারাও আজকে অবস্থান পরিবর্তন (ইউটার্ন) করেছে এবং এখন বলছে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট।
রাজনৈতিক চরিত্রের সমালোচনা
রাশেদ খান বলেন, “আমাদের রাজনীতিবিদদের এই ধরনের চরিত্র জনগণ পছন্দ করে না। আপনি সকালে একটা বলবেন, বিকালে একটা বলবেন, আজকে একটা বলবেন, কালকে একটা বলবেন—এটা হতে পারে না।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “তাহলে কি আমরা সেই গণঅভ্যুত্থানের পরে যখন ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়, সেখানে ফিরে যাচ্ছি? যেখানে আমাদেরকে সামনে অগ্রসর হওয়ার কথা, সেখানে আজকের আলোচনা দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে, আমরা পিছনে ফিরে যাচ্ছি।”
ঐকমত্যের অভাব
গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, “আমি ঐকমত্য কমিশনকে স্পষ্টত জানিয়েছি, আপনারা যেমনভাবে আজকের এই আলোচনা দেখে হতাশ হচ্ছেন, ঠিক একইভাবে আমরাও এই আলোচনা দেখে হতাশ হচ্ছি। এটা জনগণ কোনোভাবেই প্রত্যাশা করে না।”
তিনি বলেন, “নয়টি রাজনৈতিক দল বসেছিলাম, আলোচনা করেছি। দেখলাম আজকের এই ঐকমত্য কমিশনে তাদের মধ্যে ভিন্ন মত।” তিনি মনে করেন, আরও এক মাস যদি এইভাবে আলোচনা চলে, তবে কোনোভাবেই সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হবে না।
নির্বাচন সামনে রেখে এনসিপিকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতে নীরব প্রতিযোগিতা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-কে নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে শুরু হয়েছে এক কৌশলগত টানাপোড়েন। আলোচনা এগোলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সমঝোতা হয়নি বলে জানিয়েছেন উভয় দলের নেতারা। বিএনপি চাইছে এনসিপিকে জামায়াত থেকে দূরে রাখতে, অন্যদিকে জামায়াত চাইছে ভোটের মাঠে গণঅভ্যুত্থানের আবেগ পক্ষে রাখতে এনসিপিকে পাশে টানতে।
ঐক্যের পথে বাধা ও দলীয় কৌশল
এনসিপি নেতারা জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচনে জামায়াত প্রত্যাশিত সংখ্যক আসনে ছাড় এবং সব রকম সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে গেলে ডানপন্থি ‘ট্যাগের’ ভয় রয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপি পাশে চাইলেও প্রত্যাশিত সংখ্যক আসন ছাড়তে রাজি নয়। এ দলটি নির্বাচনে প্রত্যাশিত সহায়তা দেবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে এনসিপি নেতাদের।
জামায়াত সূত্র নিশ্চিত করেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টাই বিএনপির সঙ্গে এনসিপির নির্বাচনী ঐক্যে আগ্রহী। তাদের কারণেই এনসিপি জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলনে আসেনি। এনসিপি সূত্র জানিয়েছে, এই ঐক্য না হলে উপদেষ্টাদের অন্তত একজন ঢাকায় বিএনপির দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হতে পারেন।
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বিএনপি অন্য দলকে নিয়ে সরকার গঠনে প্রস্তুত, যার মধ্যে ছাত্রদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি নতুন দলও রয়েছে।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, অন্য দলের মতো বিএনপির সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা হয়েছে, তবে নির্বাচনী জোট বা আসন বণ্টনের আলাপ হয়নি। এনসিপি ৫০-৬০ আসনে ছাড় পেলে জোটের বিষয় ভাববে।
বিএনপির ‘স্বতন্ত্রের ভয়’ ও জামায়াতের সুবিধা
এনসিপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন, নতুন এ দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আগামী সংসদে প্রতিনিধিত্ব থাকা জরুরি। বিএনপির সঙ্গে থাকলে যেসব আসনে ছাড় পাওয়া যাবে, সেগুলোতে জয়ের সম্ভাবনা বেশি।
বিএনপির ভয়: বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, এনসিপিকে আসন ছাড়লেও স্থানীয় নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন—এ নিশ্চয়তা নেই। নির্বাচনী আইন সংশোধিত হওয়ায় এনসিপি নেতাদের নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। ধানের শীষ না থাকলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে সাংগঠনিক ও আর্থিক সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকা এনসিপির প্রার্থীরা মাঠে টিকতে পারবেন না।
জামায়াতের সুবিধা: জামায়াতের সঙ্গে গেলে এনসিপি ৫০-৬০ আসনে অনায়াসে ছাড় পেতে পারে। জামায়াতের সংগঠন ও জনবল বিনা খরচে শতভাগ কাজ করবে এবং জামায়াতের কেউ বিদ্রোহী হবেন না। তবে এনসিপি নেতাদের একাংশের ভয়, এর ফলে তারা ডানপন্থি তকমা পাবেন।
জামায়াতের এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, তাদের জরিপ অনুযায়ী, এনসিপির সারাদেশে ৩ থেকে ৪ শতাংশ ভোট রয়েছে। এনসিপিকে সঙ্গে রাখলে গণঅভ্যুত্থানের আবেগ বিএনপির দিকে যাবে না—এটি জামায়াতের মূল্যায়ন।
হেফাজত ফ্যাক্টর
জামায়াতের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও খেলাফত আন্দোলন এনসিপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। হেফাজতের ‘মুরব্বিরা’ জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার ঘোর বিরোধী। এ পরিস্থিতিতে বিএনপির মতো এনসিপিও হেফাজতের সমর্থন পেতে চাইছে। এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, যদি এনসিপি একা জোট করতে পারে, তবে বিএনপির সঙ্গে দরকষাকষিতে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুলের আহ্বান: ‘আর বিলম্ব নয়’
বাংলাদেশের আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলমকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার (৮ অক্টোবর) তার আটকের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল তার পোস্টে লেখেন, “শহিদুল আলমকে মুক্ত করুন। আমি সরকারকে তার নিরাপদে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
আটকের আগে শহিদুল আলমের বার্তা
আটকের আগ মুহূর্তে শহিদুল আলম ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি জানান এবং তাকে বহনকারী জাহাজ ‘দ্য কনশেনসে’ ইসরায়েলি আক্রমণের লাইভও করেন।
ভিডিওবার্তায় শহিদুল আলম বলেন:
“আমি শহিদুল আলম বাংলাদেশের ফটোগ্রাফার ও লেখক। আপনি যদি এই ভিডিওটি দেখেন, তার মানে আমাদের সমুদ্রে আটকে দেওয়া হয়েছে এবং আমাকে অপহরণ করেছে ইসরায়েল দখলদার বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতা এবং সহায়তায় গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে এই দেশ।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আমার সব সহযোদ্ধা ও বন্ধুদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য।”
হামলা ও কর্মীদের অবস্থা
ত্রাণবাহী ফ্লোটিলা জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী দ্য কনশেনস নামের নৌকায় হামলা করে। এই জাহাজে শহিদুল আলমসহ ৯৩ জন সাংবাদিক, ডাক্তার এবং কর্মী ছিলেন। এই জাহাজের সঙ্গে থাকা তিনটি ছোট নৌকাও আক্রমণ করে ইসরায়েলিরা।
নুরুল হক নুরের বিস্ফোরক মন্তব্য এনসিপি নেতাদের টিভি মালিকানা নিয়ে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই নেতার নামে নতুন দুটি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স পাওয়া নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, যাদের নামে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তারা নিজেদের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারের কর্মকাণ্ডে অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতমূলক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতমূলক মনোভাব
নুরুল হক নুর বলেন, “শুনেছি এনসিপির নেতৃবৃন্দের নামে দুটি গণমাধ্যম অনুমোদন করা হয়েছে। যে দুইজনের নামে হয়েছে, তাদের আমি ভালোভাবে চিনি। তারা নিজের ফ্যামিলি নিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছে।”
তিনি বলেন:
“আমি একটি দলের প্রধান কিন্তু ৫ আগস্টের পরে যেখানে ছিলাম, ওখানেই আছি। তারা অনেকে আমার সহকর্মী ছিলেন। ছোট একটা পত্রিকায় চাকরি করেন। কোত্থেকে কিভাবে কী দেওয়া হয়, সেটা আমি জানি না। এটা আমি খুব অবাক হয়েছি। এটার মধ্যে দিয়ে এ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যে অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতমূলক মনোভাব রয়েছে, সেগুলো বোধহয় প্রকাশ পেয়েছে।”
‘পুরনো স্টাইলে ভাগ-বাঁটোয়ারা’
নুরুল হক নুর সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “এই গণঅভ্যুত্থানে সরকারের কাছে আমরা সেটা (১/১১ সরকারের মতো অ্যাকশন) দেখিনি। এই সরকারের সময় আমরা দেখেছি পুরনো স্টাইলে ভাগ-বাঁটোয়ারা, নিয়ন্ত্রণ, লোকজন বসানো ও প্রতিষ্ঠান দখল—এগুলো চলছে।” তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে অনেক গণমাধ্যম দখল হয়েছে। তিনি বলেন, “এগুলো আমরা এই সরকার দ্বারা প্রত্যাশা করিনি। এই সরকারে যারা আছেন, তাদের এর দায় নিতে হবে।”
লাইসেন্সপ্রাপ্ত চ্যানেল ও নেতারা
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকার দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল—‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’-এর অনুমোদন দিয়েছে।
নেক্সট টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন, যিনি আগে একটি ইংরেজি দৈনিকের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন।
লাইভ টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন আরিফুর রহমান নামের আরেকজন, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন।
শিক্ষক মহাসমাবেশে তারেক রহমান দিলেন শিক্ষা সংস্কারের রূপরেখা
শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবির সঙ্গে বিএনপি নীতিগতভাবে একমত বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, শিক্ষকদের আর্থসামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
চাকরি জাতীয়করণ ও শিক্ষা সংস্কার
‘বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা, অবসর বয়স ৬৫ বছর নির্ধারণ, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ’সহ বিভিন্ন দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তারেক রহমান শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, “দেশের একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে নীতিগতভাবে অবশ্যই একমত।” তিনি বলেন, জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে:
আর্থিক নিরাপত্তা: রাষ্ট্রের সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানো, চাকরি স্থায়ীকরণ বা জাতীয়করণের বিষয়টি ইতিবাচক বিবেচনার জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করা হবে।
শিক্ষা সংস্কার: প্রচলিত শিক্ষা কারিকুলামকে ব্যবহারিক এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রধান করে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে।
কর্মমুখী শিক্ষা: নৈতিকতা এবং ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধের আলোকে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।
তিনি বলেন, এই কম্পিটিশনের বিশ্বে টিকে থাকতে হলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুঁথি নির্ভর না রেখে ব্যবহারিক ও কারিগরি নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থায় রূপান্তর করার বিকল্প নেই।
শিক্ষকদের সম্মান ও জাতীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষকতা পেশা কখনোই উপায়হীন বিকল্প বা একটি সাধারণ চাকরি হতে পারে না। বরং শিক্ষাদীক্ষায় সবচেয়ে মেধাবী মানুষটি যাতে প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নিতে পারে, সেভাবেই শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছে বিএনপি।
তিনি মনে করেন, জাতীয় দিবসগুলোতে আমন্ত্রিত অতীতের তালিকায় প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলের কমপক্ষে একজন করে শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় ভবনে আমন্ত্রণ জানানো অত্যন্ত জরুরি।
অন্যান্য রাজনৈতিক মন্তব্য
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আসন্ন নির্বাচনে আপনাদের বিরাট ভূমিকা আছে, আপনারা প্রতিটি জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন। গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করবার।” তিনি সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো সেলিম ভূঁইয়া বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে জনগণের ভোটে তারেক রহমানকে আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই—এটাই জনগণের কাছে শিক্ষকদের দাবি।” এ সময় তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যে বাড়ি ভাড়া বাড়িয়েছে, তা প্রত্যাখান করার ঘোষণা দেন।
‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে অনড় এনসিপি, ইসি’র তালিকায় নেই কেন?
রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে প্রতীক ইস্যুতেই দুটি ভিন্ন অবস্থানে অনড় রয়েছে এনসিপি ও নির্বাচন কমিশন। এনসিপি শুরু থেকেই তাদের পছন্দের শাপলা প্রতীক চেয়ে আসছে, কিন্তু ইসি বলছে—শাপলা রাজনৈতিক দলের প্রতীকের তালিকায় নেই।
ইসি ৫০টি প্রতীকের একটি তালিকা থেকে যেকোনো একটি বাছাই করতে এনসিপিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু এনসিপি সেই তালিকা প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, শাপলা প্রতীক না দেওয়া হলে তারা অন্য কোনো মার্কা নেবে না।
এনসিপি ও ইসি’র অনড় অবস্থান
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও আইন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মুসা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে তারা ইমেইলের মাধ্যমে ইসিকে চিঠির জবাব দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, শাপলার বাইরে অন্য কোনো প্রতীক তারা গ্রহণ করবে না। তিনি বলেন, “যেহেতু শাপলা প্রতীক পেতে আমাদের কোনো আইনগত জটিলতা নেই, সে কারণে আমরা ইসিকে আমাদের আগের অবস্থানই পুর্নব্যক্ত করেছি।”
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “ইসি যদি শাপলা প্রতীক না দিয়ে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে, তাহলে এই কমিশনের যেকোনো কার্যক্রমে আমাদের অনাস্থা থাকবে।”
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নতুন প্রতীক তালিকার গেজেটে যেহেতু শাপলা নেই, সে কারণে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়ার সুযোগ অনেকটাই কমে গেছে।” তবে কমিশন জানিয়েছে, গেজেট সংশোধন করা হলে সুযোগ থাকতে পারে, যদিও এই বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
অদৃশ্য শক্তির চাপ ও মান্নার অবস্থান
এনসিপি নেতাদের অভিযোগ, এই জটিলতার পেছনে একটি গোয়েন্দা সংস্থা বা ‘অদৃশ্য শক্তি’ কাজ করছে, যার চাপে ইসি স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, “ইসি কোনো অদৃশ্য শক্তির চাপে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক থেকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছে।”
এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “তারা কোনো আইনি ব্যাখ্যা ছাড়া একটি সিদ্ধান্ত আমাদের ওপর চাপিয়ে দেবে, এটা ভাবার কোনো সুযোগ নাই। এটা কোনোভাবে হবে না।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন, শেষ পর্যন্ত শাপলা না পেলে তারা নিবন্ধন না নিয়ে রাজপথের কর্মসূচিতে নামবেন।
তবে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যও একসময় শাপলা প্রতীক চেয়েছিল। মান্না এই প্রসঙ্গে বলেন, “এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিলে ইসির প্রতি আমাদের আপত্তি থাকবে। তবে ছাত্রদের প্রতি আমাদের রেসপেক্ট আছে। সেখান থেকে আমরা বলেছি, আমরা কোনো মামলা করবো না বা আইনি লড়াইয়ে যাবো না।”
নিবন্ধন আটকে যাওয়ার শঙ্কা
নির্বাচন বিশ্লেষক ও সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তারা মনে করছেন, প্রতীক নিয়ে এনসিপির সঙ্গে ইসির এই টানাপোড়েন চলতে থাকলে নতুন এই দলটির নিবন্ধন আটকে যাবে। ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী বলেন, এনসিপি যদি গেজেটের ৫০টি প্রতীকের কোনোটি না নিতে চায়, তখন দলটির নিবন্ধন ঝুলে যাবে। তবে তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান সম্ভব।
উপদেষ্টাদের ‘এক্সিট’ মানসিকতা: তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া সেফ এক্সিট নেই—এনসিপি নেতা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা দায়িত্ব পালনে অনীহা দেখাচ্ছেন এবং কেবল নির্বাচনের মাধ্যমে ‘এক্সিট’ নেওয়ার মানসিকতা নিয়ে এগোচ্ছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এত শহীদের রক্তের বিনিময়ে গড়া এই দায়িত্ব পালনে যদি কেউ ভয় করেন, তাহলে তাদের এই দায়িত্বে থাকার প্রয়োজন নেই।”
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁয় জেলা শাখার সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
‘তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া সেফ এক্সিট নেই’
সারজিস আলম কঠোর ভাষায় বলেন:
“যারা এই মানসিকতা পোষণ করেন, তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই। পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান না কেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের খুঁজে বের করবে।”
তিনি নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে বলেন, শাপলা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে এনসিপির কোনো আইনগত বাধা নেই। কিন্তু এরপরও ইসি যদি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ না করে, তাহলে তা স্বেচ্ছাচারিতা কিংবা কোনো গোষ্ঠীর চাপে পরিচালিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। তিনি বলেন, “এটা আমরা কখনোই মেনে নেব না। আগামীর নির্বাচনে শাপলা নিয়েই আমরা নির্বাচন করব।”
রাজনৈতিক বাস্তবতা ও জোটের সম্ভাবনা
রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, “বাংলাদেশের সৎ ও ভালো মানুষরা চাইলে একটি কার্যকর রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগের যেকোনো সংস্করণ, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাস্তবতায় বাংলাদেশে আর কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক নয়। এনসিপি এই অবস্থান দৃঢ়ভাবে বজায় রাখবে।”
তিনি জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপি কারও সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে অংশ নেবে কি না, সে বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এখনো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তার আগেই সাংগঠনিক ভিত মজবুত করতে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে দেশের সব জেলা, উপজেলা এবং ইউনিট পর্যায়ে কমিটি গঠন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ছবিতে বিড়াল, আসলে কার? তারেক রহমান জানালেন পশুপাখির প্রতি ভালোবাসার সেই গল্প
কয়েক দিন আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তার পোষা বিড়ালের খুনসুটির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এবার সেই বিড়ালটি আসলে কার, সেটা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। তারেক রহমান জানিয়েছেন, বিড়ালটি তার মেয়ের এবং এটি এখন পরিবারের সবারই প্রিয় হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই বিষয়ে কথা বলেন।
পশুপাখির সঙ্গে পরিবারের সম্পর্ক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষা বিড়ালের সঙ্গে তার নিয়মিত ছবি দেখা যাওয়ার বিষয়টি কেন গুরুত্বপূর্ণ, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, বিড়ালটি মূলত তার মেয়ের হলেও “ও এখন অবশ্য সবারই হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই ওকে আদর করি।”
তিনি আরও জানান, পশুপাখির প্রতি তার পরিবারের ভালোবাসা নতুন নয়:
“শুধু বিড়াল নয়, আমি ও আমার ভাই যখন ছোট ছিলাম, তখন আমাদের একটি ছোট কুকুরও ছিল। এমনকি তখন আমাদের বাসায় আম্মা হাঁস-মুরগি পালতেন, ছাগলও ছিল। কবুতরও ছিল আমাদের বাসায়। আমাদের বাসায় একটি বিরাট বড় একটি খাঁচা ছিল, যার মধ্যে বিভিন্ন রকমের পাখি ছিল এবং একটি ময়না ছিল, যে বরিশালি ভাষায় কথাও বলতো।”
তিনি বলেন, পশুপাখির প্রতি এই বিষয়টি হঠাৎ করেই প্রকাশ পায়নি। এটি তার পরিবারে অনেক আগে থেকেই ছিল।
পরিবেশ ও প্রকৃতির গুরুত্ব
তারেক রহমান ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আল্লাহ আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তৈরি করেছেন। তাই আল্লাহর সৃষ্টি যা কিছু আছে, প্রকৃতির প্রতি যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, প্রকৃতি যদি না থাকে, প্রকৃতির ভারসাম্য যদি না থাকে, তবে মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন। তিনি দূষণের উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “নরমালি আমরা জানি, একটি দেশের টোটাল অংশের মধ্যে অ্যাটলিস্ট ২৫ শতাংশ গ্রিন দরকার, বনায়ন দরকার। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আমি যতটুকু জেনেছি, এটি ১২ পার্সেন্টের মতো। হুইচ ইজ ভেরি ডেঞ্জারাস।” তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের স্বার্থেই প্রকৃতি ও পশুপাখির প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং-এর পিয়ংইয়ং সফর: নতুন ঘনিষ্ঠতার বার্তা
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং এই সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন বলে বেইজিং মঙ্গলবার জানিয়েছে। দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতেই তাঁর এ সফর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লি চিয়াং ৯ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া সফর করবেন। তিনি একটি দল ও সরকার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে পিয়ংইয়ং যাবেন এবং সেখানে শাসক ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে অংশ নেবেন।
চীনের শি জিনপিংয়ের পর লি চিয়াং দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা। তাঁর এই সফরকে কেবল সৌজন্য সফর নয়, বরং দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এমন এক সময়ের সফর যখন উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও রাজনৈতিক একঘরে অবস্থার মধ্যেও চীনের সমর্থনের ওপর ক্রমেই নির্ভরশীল হয়ে উঠছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়নহাপ নিউজ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া এ উপলক্ষে একটি বৃহৎ সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করছে। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের প্রতিনিধিদল এই আনুষ্ঠানিক আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক আবারও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গত মাসে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই পিয়ংইয়ং সফর করেন এবং দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার আহ্বান জানান। এর আগে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বেইজিং সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উদযাপন করেন।
চীন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহযোগী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও খাদ্যঘাটতির সময়েও বেইজিং দেশটির পাশে থেকেছে। অন্যদিকে, পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কাছ থেকে “হুমকি”র কথা বলে নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে চীনের সমর্থন উত্তর কোরিয়ার জন্য রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্লেষকদের মতে, লি চিয়াংয়ের এই সফর শুধু দুই দেশের বন্ধুত্বকেই তুলে ধরছে না, বরং এটি একটি ভূরাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার প্রেক্ষাপটে চীন এই সফরের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছে যে, উত্তর-পূর্ব এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্যে তার উপস্থিতি এখনো গুরুত্বপূর্ণ।
চীন ও উত্তর কোরিয়া উভয়ই নিজেদের সম্পর্ককে “পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের” ভিত্তিতে এগিয়ে নিতে চায়। তবে পশ্চিমা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, লি চিয়াংয়ের সফর শুধু সৌজন্য নয়—এটি আঞ্চলিক রাজনীতিতে এক নতুন ঘনিষ্ঠতার সূচনা হতে পারে।
-হাসানুজ্জামান
মেয়ে ও স্ত্রী রাজনীতিতে আসা নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান?
বিএনপির রাজনীতিতে ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান যুক্ত হবেন কি না, এই বিষয়ে কিছুটা কৌশলী জবাব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (০৬ অক্টোবর) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, “আমি ওই যে বললাম, সময় পরিস্থিতি বলে দিবে ওটা।”
পরিবারের প্রভাব ও রাজনীতির প্রেক্ষাপট
বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে পরিবারের প্রভাব কতটা থাকবে, বিবিসি বাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বিষয়টিকে অন্যভাবে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “একজন চিকিৎসকের সন্তান যখন চিকিৎসক হয়, তখন সে ভালোও করে, খারাপও করে। একজন আইনজীবীর সন্তানও দেখা যায় যে, অনেক সময় বাবা-মায়ের মতো ভালো আইনজীবী হয় অথবা হয় না। রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রে অনেকের সন্তান পলিটিক্সে এসেছে। সবাই কি ভালো করেছে? সবাই ভালো করেনি।”
রাজনীতিতে পারিবারিকীকরণ নয়, নির্যাতন
তারেক রহমান বলেন, তাকে ইঙ্গিত করা হলে তিনি বলবেন যে, তিনি বিগত ১৭ বছরে রাজনীতিবিদদের রাজনীতি করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও মিথ্যা মামলার শিকার হতে দেখেছেন। তিনি মন্তব্য করেন, বহু নেতাকর্মী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে, জেল খেটেছে এবং ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আপনি কি বলতে পারবেন, এর কোনটার মধ্যে দিয়ে আমি যাইনি? এর প্রতিটার ভেতর দিয়ে আমি গিয়েছি। প্রত্যেকটা স্তর পার করে এসেছি আমি। আমি শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছি। যেই নির্যাতনের চিহ্ন এখনো কখনো কখনো আমাকে সহ্য করতে হয়।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন:
“কাজেই এইজন্য এই কথাগুলো আমি বললাম যে রাজনীতি পরিবারকরণ হয় না। এটি সমর্থনের ভিত্তিতে হয়। কাজেই যে অর্গানাইজ করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে, সে এগিয়ে যেতে পারবে। কেউ যদি এগিয়ে যেতে না পারে, তাহলে সে এগিয়ে যেতে পারবে না। সময় পরিস্থিতি সবকিছু প্রমাণ করে দিবে।”
পাঠকের মতামত:
- শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচজন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে: রাশেদ খান
- রাশিফল: ৯ অক্টোবর আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
- শর্ত লঙ্ঘনের বিশাল অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচন নিয়ে কেন এত বিতর্ক?
- নির্বাচন সামনে রেখে এনসিপিকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতে নীরব প্রতিযোগিতা
- ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে সই করল ইসরায়েল-হামাস
- ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ৭ বাংলাদেশি
- জেনে নিন আগামীকাল ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগের নামাজের সময়সূচি
- অল্প রানে অলআউট বাংলাদেশ, আফগানদের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ
- মানসিক চাপ ও হতাশা দূর করুন: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ১০ খাবার
- শহিদুল আলমের আটক নিয়ে অপপ্রচার: বাংলাফ্যাক্ট যা জানাল
- স্মার্টফোন ব্যবহারে কঠোর আইন, দিনে ২ ঘণ্টার বেশি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
- জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: চূড়ান্ত ঐকমত্যের পথে কমিশন
- কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা
- নতুন দুটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন, নেপথ্যে এনসিপি ও বিএনপি’র নেতা
- ২১ শতকের নীরব ঘাতক: কোলোরেক্টাল ক্যানসারে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে যে খাবার
- হোয়াটসঅ্যাপে আর লাগবে না নম্বর,ইউজার নেম দিয়েই করা যাবে যোগাযোগ
- ১৬তম মুসলিম হিসেবে নোবেল পুরস্কার জিতলেন ওমর এম ইয়াগি
- আল-আকসা ও শাম: কেন এই ভূখণ্ডকে পৃথিবীর সভ্যতার কেন্দ্র বলা হয়?
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- সতর্কতা জারি: ঢাকাসহ ২০ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা
- উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে বিতর্ক, রিজওয়ানা হাসান চাইলেন নাম
- ৫টি বিশেষ ধরনের মধু, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
- শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
- রসায়নে নোবেল: জল সংগ্রহ ও গ্যাস নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী আবিষ্কার
- সঙ্গী কি আপনাকে এড়িয়ে চলছেন? এই ৬টি লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন
- ১৩ গ্রামের ফোন! বিশ্ব কাঁপানো Zanco Tiny T1
- আফগানিস্তান-বাংলাদেশ ওয়ানডে: টিভিতে ছাড়াও মোবাইলে দেখবেন যেভাবে
- যানজটে আটকা পড়ে গাড়ি ছেড়ে মোটরসাইকেলে উপদেষ্টা
- ৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ
- ৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- নিবন্ধন ছাড়াই ৫ কোটি শিশুকে টিকা দেবে সরকার
- সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুলের আহ্বান: ‘আর বিলম্ব নয়’
- পাকিস্তানে আফগান সীমান্তের কাছে সামরিক কনভয়ে বোমা ও বন্দুক হামলা
- জোরপূর্বক গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র
- আর্সেনালের মাঠে লিয়ঁর প্রতিশোধ, বার্সার ঝড়ে উড়ে গেল বায়ার্ন
- চট্টগ্রামে উত্তেজনা: সড়ক দুর্ঘটনায় নেতার মৃত্যু ঘিরে হেফাজতের অবরোধ
- সিরিয়ার বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল
- নোবেল দৌড়ে ‘গ্রিন কেমিস্ট্রি’—জলবায়ু সংকটের যুগে বৈজ্ঞানিক আশার আলো
- রেকর্ড ছুঁয়েছে সোনার দাম: বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয় সোনা
- ‘আমাকে অপহরণ করা হয়েছে’—ফেসবুক ভিডিওতে শাহিদুল আলমের দাবি
- নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘সেফ এক্সিট’ বিতর্ক
- ট্রাম্পের সফর ঘিরে মালয়েশিয়ায় উত্তেজনা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ
- অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে: শেখ হাসিনার আইনজীবী
- নুরুল হক নুরের বিস্ফোরক মন্তব্য এনসিপি নেতাদের টিভি মালিকানা নিয়ে
- হাটহাজারীতে হেফাজতের অবরোধ: চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ
- যুদ্ধ সমাপ্তি ও সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চাইল হামাস, আলোচনা চলছে মিসরে
- আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- আমি বাংলাদেশের মেসি নই: তকমা গায়ে মাখতে নারাজ হামজা চৌধুরী
- চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তকারী সাফল্য: অন্ধদের চোখে ফের আলো!
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- “বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
- কোরআন অবমাননা: নর্থ সাউথ থেকে শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- আফ্রিকার হৃদয়ে পাথরের রাজ্য: জিম্বাবুয়ের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও আত্মার গল্প
- গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় রাজি হামাস, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি
- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রস্তুতির সার্বিক চিত্র ও টাইমলাইন
- সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী