১৯৭৪ সালের ১ টাকা এখনকার কত টাকার সমান?

একসময় জমিদারদের প্রতাপ এতটাই ছিল যে, তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে জুতো পরে হাঁটার সাহস ছিল না কারও। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে টাকার মান এমনভাবে বদলে গেছে যে, তখনকার জমিদার জীবনে যত টাকা দেখেছেন, আজকের একজন ভিখারির ঝুলিতেও তার চেয়ে বেশি টাকা থাকতে পারে। তবে এই সংখ্যাধিক্য সত্ত্বেও, সাধারণ মানুষের হাতে থাকা ক্রয়ক্ষমতা অনেক কম—যা আগের দিনের ধনী-গরিবের অর্থনৈতিক ব্যবধানকে আরও প্রকট করেছে।
ক্রয়ক্ষমতার ঐতিহাসিক পতন
সম্প্রতি অর্থ বিভাগ টাকার ক্রয়ক্ষমতার এই পতন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে টাকার মান কমে যাওয়ার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে:
১৯৭৪ বনাম ২০১৪: প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরে ১ টাকার ক্রয়ক্ষমতা সমান ছিল ২০১৪ সালের ১২ টাকা ৪৫ পয়সা। অর্থাৎ, ১৯৭৪ সালে ১ টাকায় যা কেনা যেত, ২০১৪ সালে সেটি কিনতে খরচ হয় ১২ টাকারও বেশি।
২০১৪ বনাম ১৯৭৪: অন্যদিকে, ২০১৪ সালের ১ টাকার ক্রয়ক্ষমতা ১৯৭৪ সালের মাত্র ৮ পয়সার সমান। ২০১৪ সালের তুলনায় বর্তমানে ২০২৫ সালে এই হিসাব করতে গেলে ক্যালকুলেটর নিয়ে বসতে হবে।
১৯৭৪ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশে বার্ষিক গড়ে ৭.৩% হারে মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এর ফলে সরকারি কয়েন ও ছোট নোটের (১ পয়সা থেকে ২ টাকা) ব্যবহার কার্যত বিলুপ্তির পথে।
স্বাধীনতার পর অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন ছিল, তা কয়েকটি উদাহরণে স্পষ্ট:
ঐতিহাসিক মূল্য: স্বাধীনতার পরও মাত্র ২০ টাকায় পাওয়া যেত এক মণ চাল। ১ পয়সায় মিলত চকোলেট। ১৯৭৪ সালে চালের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৪০ টাকায় পৌঁছালে সারা দেশে হাহাকার পড়ে যায়।
টিফিনের মূল্য: সেই সময় ধনী পরিবারের ছেলেমেয়েরা স্কুলে টিফিন বাবদ পেত সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা, যা দিয়ে আইসক্রিম, চকোলেট, ঝালমুড়িসহ অনেক কিছু কেনা যেত।
বর্তমান বাস্তবতা: এখনকার প্রজন্ম এসব শুনলে রূপকথা মনে করে। কারণ আজ ভিক্ষুকও পাঁচ-দশ টাকার কম নিতে চায় না। বাসভাড়ার ন্যূনতম হার এখন ৫ টাকা, আর রাজধানীতে সিটিং বাসে অর্ধ কিলোমিটারের ভাড়া ১০ টাকার কম পাওয়া যায় না।
সময় বদলেছে, টাকার মানও বদলেছে। এক সময়ের "এক টাকা" এখন অনেকটাই কেবল ইতিহাস আর স্মৃতির অংশ।
বড় ধাক্কা স্বর্ণবাজারে: ভরিতে কমল ৫,৫১৯ টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামে ওঠানামা ও স্থানীয়ভাবে তেজাবী স্বর্ণের মূল্য কমে যাওয়ার প্রভাব বাংলাদেশের বাজারেও দৃশ্যমান হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার রাতে বাজুস কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, স্থানীয় বাজারে পিওর গোল্ডের মূল্য হ্রাস পাওয়া ও চাহিদা-সরবরাহের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত আগামী দিনের বাজারে স্বর্ণ ক্রেতাদের জন্য স্বস্তি তৈরি করবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরিতে ৫ হাজার ৫১৯ টাকা কমানো হয়েছে। পূর্বের দাম ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা, যা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ২৭২ টাকায়। একইভাবে ২১ ক্যারেট, ১৮ ক্যারেট এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দামেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ কমতি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বৃহত্তম মূল্যহ্রাস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
২১ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০১ টাকা, যা ১৫ নভেম্বর ছিল ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা। ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন ভরি দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৯ টাকা, যা আগের দাম থেকে এক লাফে প্রায় চার হাজারের বেশি কম। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দামও কমে এখন প্রতি ভরিতে নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৭১৮ টাকা। বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, দামের এই পতন উৎসব ও বিয়ের মৌসুমে সাধারণ মানুষকে নতুন কেনার উৎসাহ দিতে পারে।
-রফিক
ডলারের রিজার্ভে সুখবর, নভেম্বরের শুরুতেই বিপুল সাড়া
চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম অর্ধেক সময়েই প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন। মাসের প্রথম ১৫ দিনে মোট ১৫২ কোটি ২০ লাখ (বা ১.৫২ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক রবিবার (১৬ নভেম্বর) রেমিট্যান্স প্রবাহের এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, বৈধ পথে বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো এই অর্থ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফেরাতে সাহায্য করছে।
কর্মকর্তারা মনে করছেন, হুন্ডি বন্ধে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ, প্রবাসীদের জন্য দেওয়া প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং সেবার উন্নতির ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহে এই ভালো দিক দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে, মাসের বাকি দিনগুলোতেও যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তবে নভেম্বর মাস শেষে মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশ ভালো ছিল। ওই মাসে মোট ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের বেশি প্রবাস আয় আসে। এই অঙ্কটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ কোটি ৮৪ লাখ ডলার বেশি। গত বছর অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান দেখায় যে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই প্রবাস আয়ের প্রবাহ শক্তিশালী রয়েছে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছিল প্রায় ২৪৮ কোটি ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ডলার এবং সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলারে পৌঁছেছিল।
সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত) প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ১০১৫ কোটি ডলার বা ১০.১৫ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় এক লাখ ২৪ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। এই চার মাসে মোট রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগের অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ৮৯৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
২০২৬ সালের ব্যাংক ছুটির তালিকা প্রকাশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ২০২৬ সালের জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর ছুটির তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এই নতুন তালিকা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো আগামী বছর মোট ২৮ দিন বন্ধ থাকবে। রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব সুপারভিশন এই তালিকাটি অনুমোদন করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।
প্রকাশিত তালিকা অনুসারে, ২০২৬ সালের প্রথম সরকারি ছুটি হবে শবে বরাত উপলক্ষে। এজন্য ৪ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। একই মাসে, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখেও ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর ১৭ মার্চ শবে কদর উপলক্ষ্যে ছুটি নির্ধারিত হয়েছে।
মার্চ মাসেই জুমাতুল বিদা এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হবে। এই উপলক্ষ্যে ব্যাংকগুলো ১৯ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত একটানা বন্ধ থাকবে। এই পাঁচ দিনের ছুটির মধ্যে দুটি সাপ্তাহিক ছুটিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এরপর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ছুটি থাকবে।
এপ্রিল মাসে, পার্বত্য চট্টগ্রামের (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) জন্য ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি এবং ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। মে মাসের ১ তারিখে মে দিবস ও বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ব্যাংকগুলোতে ২৬ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ছুটি থাকবে। এই ছুটির মধ্যেও দুটি দিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে, ২৬ জুন আশুরা, ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে এবং ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এছাড়া ২৬ আগস্ট ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ৪ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী এবং ২০ ও ২১ অক্টোবর দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ছুটি থাকবে।
বছরের শেষে, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। সবশেষে, ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক হলিডে পালনের মাধ্যমে বছরের ছুটির তালিকা শেষ হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৯ নভেম্বরের জারি করা প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতেই ২০২৬ সালের এই ছুটির তালিকা কার্যকর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ব্যাংকে মোট ছুটি ছিল ২৪ দিন এবং ২০২৫ সালে ছিল ২৭ দিন। সেই তুলনায় আগামী বছর এই ছুটির সংখ্যা বেড়ে ২৮ দিন হলো।
নতুন দামে ২১ ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের মূল্যও কমল
দেশের বাজারে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামা ও স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য হ্রাস পাওয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) নতুন সমন্বয় করেছে স্বর্ণের দামে। শনিবার ১৫ নভেম্বর রাতে বাজুস এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের এই নতুন মূল্য ঘোষণা করে। সংশোধিত দাম কার্যকর হবে রবিবার ১৬ নভেম্বর থেকে।
বাজুস জানায়, তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমায় সব ক্যারেটের স্বর্ণে ভরিপ্রতি মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণায় দেখা যায়, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরিপ্রতি দাম কমেছে ৫ হাজার ৫১৯ টাকা। নতুন দামে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরিপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ২৭২ টাকা।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেট স্বর্ণ এখন বিক্রি হবে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০১ টাকায়, ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন দাম ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৯ টাকা, এবং সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি স্বর্ণের ভরিপ্রতি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৭১৮ টাকা। বাজুসের গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ন্যূনতম ৬ শতাংশ মেকিং চার্জ যোগ হবে। গহনার ডিজাইন, সূক্ষ্মতা ও প্রস্তুত প্রক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে মেকিং চার্জ ভিন্ন হতে পারে।
স্বর্ণের দামে এই পরিবর্তন এমন সময়ে এলো যখন আন্তর্জাতিক বাজারেও স্বর্ণের দাম কিছুটা নিম্নমুখী। স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে তেজাবি স্বর্ণের চাহিদা কমে যাওয়ায় ও সরবরাহ পরিস্থিতির পরিবর্তনে স্থানীয় বাজারে এ সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে ওঠে বলে জানিয়েছে বাজুস।
অন্যদিকে, রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী—২২ ক্যারেট রুপার ভরিপ্রতি দাম ৪,২৪৬ টাকা, ২১ ক্যারেট ৪,০৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৩,৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার ভরিপ্রতি দাম ২,৬০১ টাকা বহাল রাখা হয়েছে।
রেকর্ড ভাঙল সরকারের ঋণ, অর্থ বিভাগের পরিসংখ্যানে নতুন তথ্য
রাজস্ব আদায়ে দীর্ঘদিনের দুর্বলতা এবং বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্যয়ের কারণে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ ২১ ট্রিলিয়ন বা ২১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার অর্থ বিভাগের প্রকাশিত সর্বশেষ ঋণ বুলেটিনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুন মাস শেষে সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪৪ ট্রিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে। ঠিক এক বছর আগে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ দশমিক ৮৯ ট্রিলিয়ন টাকা। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে সরকারের মোট ঋণ প্রায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকারি ঋণের এই হিসাবের মধ্যে বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৯ ট্রিলিয়ন টাকা, যা মোট ঋণের ৪৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গত পাঁচ বছর ধরেই বিদেশি ঋণের পরিমাণ ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২১ সালে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ২০ ট্রিলিয়ন টাকা, যা তৎকালীন মোট ঋণের প্রায় ৩৭ শতাংশ ছিল।
একইভাবে, সরকারের অভ্যন্তরীণ বা দেশের ভেতরের উৎস থেকেও ঋণ গ্রহণ বেড়েছে। গত অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৭৬ ট্রিলিয়ন টাকা, যা প্রায় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে সর্বশেষ ১১ দশমিক ৯৫ ট্রিলিয়ন টাকায় দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালে এই অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ২২ ট্রিলিয়ন টাকা।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অভ্যন্তরীণ ঋণের তুলনায় বৈদেশিক ঋণ বাড়ার হার দ্বিগুণেরও বেশি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই বিপুল পরিমাণ ঋণ বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণকে চিহ্নিত করেছেন। তারা বলছেন, করোনা মহামারির পর বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা মেট্রোরেল এবং মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যাপক ব্যয় করা হচ্ছে, যা সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ দ্রুত বাড়িয়ে দিয়েছে।
ব্যবসায়ীদের সতর্কবার্তা: রাজনৈতিক স্বচ্ছতা না এলে বিনিয়োগ ফিরবে না
বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে এক অস্বস্তিকর ‘অপেক্ষার ঘূর্ণিতে’ আটকে আছে—যেখানে স্থবির বিনিয়োগ, লাগাতার উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং দুর্বল ব্যবসায়িক আস্থা মিলিয়ে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকৌশল কার্যত থমকে গেছে। ব্যবসায়ী, নীতিনির্ধারক এবং অর্থনীতিবিদদের অভিন্ন মত, একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনই এই অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার একমাত্র বাস্তব পথ।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যাশিত সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে যে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা অর্থনীতির প্রতিটি স্তরে গভীর প্রভাব ফেলছে। অনেকেই বলছেন, “অর্থনীতি শ্বাস নিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু হাঁটতে পারছে না”—কারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে জড়তা, ঝুঁকি এড়ানোর প্রবণতা এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্পষ্টতার অভাব পুরো ব্যবসায়িক পরিবেশকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে ফেলেছে।
দেশের প্রধান শিল্প, বিনিয়োগ ও নীতি-পর্যায়ের প্রতিনিধিরা একমত: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া নতুন বিনিয়োগ বা উদ্যোগ নেওয়া প্রায় অসম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইনামুল হক খান, বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরি সকলেই বর্তমান পরিস্থিতির গভীরতা তুলে ধরেছেন।
অর্থনীতিবিদের ভাষায়, অর্থনৈতিক স্থিতি মূলত রাজনৈতিক আস্থার ওপর দাঁড়ানো—এবং সেই আস্থা পুনর্গঠনের দায়িত্ব সরকারেরই। স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ ছাড়া পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে না।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় থমকে থাকা বিনিয়োগ
অর্থনীতিকে আবার গতিময় করতে প্রয়োজন ব্যক্তিখাতের ঋণপ্রবাহ, নতুন স্থাপনা নির্মাণ, শিল্পপ্রস্তুতি ও উদ্যোক্তা কার্যক্রমের বিস্তার। কিন্তু বর্তমান সূচকগুলো উদ্বেগজনক।
ব্যক্তিখাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি প্রায় ৬.৫ শতাংশে নেমে এসেছে—যা স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির প্রায় অর্ধেক।
পুঁজিযন্ত্র আমদানি কমেছে ২৫ শতাংশ; যা ভবিষ্যতের উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক সংকেত দিচ্ছে।
বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কমেছে ২২ শতাংশ; অনেকে বিদ্যমান কার্যক্রমও সঙ্কুচিত করছেন।
এদিকে ভোক্তাদের আর্থিক সক্ষমতাও নড়বড়ে। মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৮.৩৬ শতাংশে, ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তীব্রভাবে কমেছে। জাতীয় সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে ছয় হাজার কোটি টাকারও বেশি—যা স্পষ্ট করে যে, অনেকে জীবনযাপনের ব্যয় মেটাতে সঞ্চয় ভাঙতে বাধ্য হচ্ছেন।
এক অর্থনীতিবিদ মন্তব্য করেছেন, এখন বিনিয়োগ শুধু অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি সামাজিক আস্থা ও নিরাপত্তার প্রশ্ন। রাজনৈতিক উত্তেজনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি উদ্যোক্তাদের ঝুঁকি গ্রহণ ক্ষমতাকে প্রায় স্তব্ধ করে দিয়েছে।
সামাজিক মূল্য ও বেকারত্বের চাপ
অর্থনৈতিক স্থবিরতার সবচেয়ে ভয়াবহ অভিঘাত পড়ছে নিম্নআয়ের মানুষের ওপর। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি দারিদ্র্য বাড়িয়ে তুলছে এবং আরও প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে চরম দারিদ্র্যের নিচে ঠেলে দিতে পারে।
বেকারত্ব আরও বড় উদ্বেগ—দেশে প্রায় ১৩ লাখ যুবক বেকার, যার মধ্যে প্রতি তিনজন স্নাতকের একজন চাকরিহীন। এ অবস্থা দীর্ঘ হলে সামাজিক অস্থিরতা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শিল্প ও ব্যবসায় নেতাদের স্পষ্ট দাবি
দেশের বিভিন্ন শিল্পখাতের নেতারা বলছেন, উৎপাদন, রিয়েল এস্টেট, ব্যাংকিং বা সেবা খাতে নতুন বিনিয়োগ কার্যত থেমে গেছে। বিদেশি ক্রেতা ও উন্নয়ন সহযোগীরাও অপেক্ষায়—তারা একটি স্থায়ী নির্বাচিত সরকার দেখতে চান।
বিজিএমইএ নেতারা মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অংশীদাররা অন্তর্বর্তীকালীন রাজনৈতিক কাঠামোতে আস্থাশীল নন। একইভাবে উন্নয়ন অংশীদাররাও প্রত্যাশা করছেন দ্রুত নির্বাচন এবং একটি স্থায়ী প্রশাসন।
পুনরুদ্ধারের পথ: একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ দায়িত্ব হলো দ্রুত, বিশ্বাসযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা—যা সুশাসন, আস্থা ও নীতি-স্থিতিশীলতার ভিত্তি গড়ে দেবে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত।
বিসিআই সভাপতি পারভেজের মতে, নির্বাচনের সময়সূচি এবং শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি ব্যবসায়িক আস্থাকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে পারে। ড. মুজেরি সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর না হলে এবং সুদের হার উচ্চ থাকলে মূলধন প্রবাহ দুর্বলই থাকবে।
অর্থনীতিবিদদের ভাষায়, দেশ এখন এক “ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে”—যেখানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বর্তমান স্থবিরতাকে মেনে নেওয়া হবে, নাকি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ভিত্তিতে নতুন অর্থনৈতিক গতিশীলতার পথে এগিয়ে যাওয়া হবে।
-এম জামান
স্বর্ণের দাম আবার চড়ল, ২২ ক্যারেটে ভরিতে নতুন রেকর্ড!
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ফের বড় মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) নতুন মূল্যতালিকা ঘোষণা করে জানায়, আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) থেকে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়ছে। নতুন দামে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৭৯১ টাকা।
বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বর্ণের খুচরা দামে এই সমন্বয় করা হয়েছে। নতুন মূল্য সমন্বয়ের ফলে সব ক্যারেটের স্বর্ণের দামই বেড়েছে।
স্বর্ণের নতুন দাম (প্রতি ভরি ১১.৬৬৪ গ্রাম):
২২ ক্যারেট: ২,১৩,৭৯১ টাকা
২১ ক্যারেট: ২,০৪,০০৩ টাকা
১৮ ক্যারেট: ১,৭৪,৮৫৫ টাকা
সনাতন পদ্ধতি: ১,৪৫,৫২০ টাকা
বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ সরকার নির্ধারিত ভ্যাট এবং ৬ শতাংশ ন্যূনতম মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন, ওজন ও মানভেদে মজুরি ভিন্ন হতে পারে।
এদিকে রুপার বাজারে কোনো পরিবর্তন আসেনি। মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে:
২২ ক্যারেট রুপা: ৪,২৪৬ টাকা
২১ ক্যারেট রুপা: ৪,০৪৭ টাকা
১৮ ক্যারেট রুপা: ৩,৪৭৬ টাকা
সনাতন পদ্ধতি: ২,৬০১ টাকা
দুই দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দামে বড় লাফ অস্থির বাজুস বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই
দেশের বাজারে আবারও বড় লাফ দিয়ে বেড়েছে স্বর্ণের দাম। প্রতি ভরিতে এবার ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধি দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড তৈরি করল।
বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বাজুস এই তথ্য জানিয়েছে। শুক্রবার ১৪ নভেম্বর থেকেই স্বর্ণের নতুন এই দাম কার্যকর হবে।
দাম বৃদ্ধির কারণ ও নতুন মূল্য তালিকা
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের বা পিওর গোল্ড মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী দেশের বাজারে প্রতি ভরি বা ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম স্বর্ণের মূল্য নিম্নরূপ হবে:
২২ ক্যারেট প্রতি ভরি ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা
২১ ক্যারেট প্রতি ভরি ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা
১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা
সনাতন পদ্ধতি প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা
ভ্যাট মজুরি ও রুপার দাম
বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরি কম-বেশি হতে পারে।
এদিকে, স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম।
২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়।
২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।
পূর্বের দাম সমন্বয়
এর আগে সবশেষ গত ১১ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ৪ হাজার ১৮৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৮ হাজার ৪৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পূর্বের সেই দাম ১২ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছিল।
মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন বন্ধ: ‘মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০২৫’ কার্যকর
বাংলাদেশে নতুন কোনো মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন আর দেবে না বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বুধবার (১২ নভেম্বর) প্রকাশিত সরকারি গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় কমিশন নতুন ‘মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা, ২০২৫’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার বিএসইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন এই বিধিমালা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয়েছে।
বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে নতুন কোনো মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমের অনুমোদন দেওয়া হবে না। কেবলমাত্র বেমেয়াদি (ওপেন-এন্ড) মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে বর্তমানে কার্যরত মেয়াদি ফান্ডগুলোর জন্য বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে, যাতে ইউনিটহোল্ডারদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।
নতুন বিধিমালার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, গেজেট প্রকাশের ছয় মাসের মধ্যে কোনো স্কিমের ইউনিটপ্রতি গড় লেনদেন মূল্য যদি স্কিমটির ক্রয়মূল্য বা ঘোষিত নিট সম্পদমূল্যের (NAV) তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি কমে যায়, তাহলে ট্রাস্টি ইউনিটহোল্ডারদের স্বার্থে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করতে পারবে। ইজিএমে উপস্থিত ভোটদাতাদের তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট এবং বিএসইসির অনুমোদনের মাধ্যমে ফান্ডটি বেমেয়াদি ফান্ডে রূপান্তর করা বা অবসায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
বিনিয়োগ কাঠামোতেও এসেছে বড় পরিবর্তন। নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, মিউচুয়াল ফান্ড বা এর স্কিমের অর্থ কেবল স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে। পাশাপাশি আইপিও (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব), আরপিও (পুনরায় গণপ্রস্তাব), রাইট শেয়ার এবং সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে। তবে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি), এসএমই প্ল্যাটফর্ম বা মূল বোর্ড থেকে তালিকাচ্যুত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ থাকবে। যদি কোনো সিকিউরিটিজ পরবর্তীতে মূল বোর্ড থেকে তালিকাচ্যুত হয় বা এটিবি/এসএমই বোর্ডে স্থানান্তরিত হয়, তাহলে ছয় মাসের মধ্যে সেই বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে হবে।
বিধিমালায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘এ’ ক্যাটাগরির নিচের ক্রেডিট রেটিংসম্পন্ন বন্ড, ডেট সিকিউরিটিজ এবং ইসলামী শরিয়াভিত্তিক সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের অনুমতি থাকবে না। এর ফলে বিনিয়োগ ঝুঁকি হ্রাস এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী কাঠামো গড়ে উঠবে বলে মনে করছেন বাজারবিশ্লেষকেরা।
বিশ্লেষকদের মতে, মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০২৫ দেশের পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াবে এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ সংস্কৃতি গড়ে তুলবে, যা ভবিষ্যতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
পাঠকের মতামত:
- জনপ্রিয় মার্কেটগুলো আজ বন্ধ ক্রেতাদের জন্য সতর্কতা
- ট্রুডোর নতুন প্রেম নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সাবেক স্ত্রী
- যে আসন থেকে লড়বেন নুরুল হক নুর
- গুলিস্তানের মার্কেটে মধ্যরাতের আগুন আতঙ্ক
- ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ: ঢাকার মাঠে ভারতকে হারিয়ে দাপুটে জয়
- সময়সীমা পার হলে কী হবে? শেখ হাসিনার আপিল নিয়ে প্রসিকিউটরের ব্যাখ্যা
- বন্ধু দেশেই অপহরণের ফাঁদ! বাধ্য হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ইরানের কঠোর পদক্ষেপ
- যারা দেয়াল রাঙিয়েছে, তারাই ভোট দেবে, নির্বাচনের আগে ইউনূসের বার্তা
- তিন অধিনায়কের তিন সহকারী চূড়ান্ত, টেস্ট ও ওয়ানডেতে ভিন্ন সমীকরণ
- স্ক্রিনে ভাসছে 'এরর' বার্তা, বিশ্বজুড়ে ওয়েবসাইট বিভ্রাটের আসল কারণ কী?
- ডায়রিয়া থেকে ডায়াবেটিস: এক ভুসি, সমাধান অনেক! কিন্তু খাওয়ার সঠিক নিয়ম কী?
- অভিমান ভুলে কি ট্রাম্পের ডিনারে যাবেন মাস্ক? নজর এখন হোয়াইট হাউসে
- রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
- কাল থেকে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন? জেনে নিন কোন দেশে কখন সুযোগ
- আগের চিঠির জবাব আসেনি, দণ্ডিত হাসিনাকে ফেরাতে এবার কী করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?
- কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? এই একটি ফলেই মিলবে সহজ সমাধান
- যাচাই-বাছাইয়ে অসংগতি, প্রথমবারের মতো বাতিল হলো জুলাই যোদ্ধাদের গেজেট
- ১০ দিনের আল্টিমেটাম: হাসিনাপন্থি শিক্ষকদের নিয়ে ৪ ছাত্রসংসদের কঠোর ঘোষণা
- ঢাবির বাঁধন ছিঁড়ে স্বতন্ত্র হচ্ছে সাত কলেজ, নতুন নাম কী?
- নিজ দায়িত্বে পোস্টার না সরালে জরিমানা, ডিএনসিসির কঠোর হুঁশিয়ারি
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ড 'খুবই উদ্বেগজনক ও হতাশাজনক': শশী থারুর
- চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ: নারী না পুরুষ, সংখ্যায় কারা এগিয়ে?
- পটুয়াখালী-৩: জোটের বলি নাকি দলের প্রার্থী? হাসান মামুন ও ভিপি নুরের অঘোষিত লড়াই
- ফেব্রুয়ারির শুরুতেই কি ভোট? জার্মান রাষ্ট্রদূতের সামনেই ইঙ্গিত দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শীতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুস্থ থাকার সহজ ১০টি উপায়
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?
- ১৮ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৮ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৮ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শেখ হাসিনার নামে কত সম্পদ আছে? দেখুন হলফনামার পূর্ণ বিবরণ
- এত অর্জন কোনো সরকার করতে পারেনি, অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য তুলে ধরলেন শফিকুল আলম
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসিদের বৈঠক: নির্বাচন নিয়ে উঠল 'দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব'
- একটি 'হ্যাঁ' বা 'না' ভোটে নির্ধারিত হবে সংবিধানের সংস্কার: ব্যালটে থাকছে যে ৪ প্রস্তাব
- নির্বাচনের আগে আনসারের জন্য ১৭ হাজার শটগান কিনছে সরকার
- দোহায় কাতার–বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা আলোচনা: সম্পর্ক জোরদারে নতুন অগ্রগতি
- ভুয়া ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোকে এনসিএসএর কঠোর সতর্কতা
- প্রথম অস্কার পেলেন টম ক্রজ: দাঁড়িয়ে অভিবাদনে ডলবি থিয়েটার
- বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন এনএভি ডেটা প্রকাশ
- তানজিরোর চূড়ান্ত যুদ্ধ—অ্যানিমেশনে নতুন ইতিহাস লিখল ডেমন স্লেয়ার
- ওয়াশিংটন–সিউল চুক্তিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া পিয়ংইয়ংয়ের: এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরে অস্থিরতার ইঙ্গিত
- যুক্তরাষ্ট্র–সৌদি সম্পর্ক পুনর্গঠনে কূটনৈতিক দেনদরবার ও আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা
- হামাসের আপত্তি সত্ত্বেও গাজা পুনর্গঠনে জাতিসংঘে বড় সিদ্ধান্ত
- প্রকাশ্যে যুবদল নেতাকে হত্যা নিয়ে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- নানা কর্মসূচির ঝড়ে আজ রাজধানীতে বাড়তি ব্যস্ততা
- মঙ্গলবার ঢাকার কোন মার্কেট বন্ধ জেনে নিন
- পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের নতুন এনএভি প্রকাশ
- ফেসবুকে মোদীর আবেগঘন পোস্ট ভাইরাল
- বড় ধাক্কা স্বর্ণবাজারে: ভরিতে কমল ৫,৫১৯ টাকা
- আইকিউএয়ার তালিকায় ঢাকার হতাশার খবর
- ডিএসএইচ গার্মেন্টসের আর্থিক ফল প্রকাশ
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- সাদমানের পর মুমিনুলকে নিয়ে জয়ী রথ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি
- বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
- মামলার রেশ না কাটতেই তিশার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ
- নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ
- অ্যাকশন, রিভেঞ্জ আর সিক্রেট মিশন: দেখুন সেরা ১০ কোরিয়ান অ্যাকশন সিরিজ!
- বাংলাদেশ নেপাল ম্যাচের আগে জেনে নিন হেড টু হেড পরিসংখ্যানে কারা চালকের আসনে
- আজকের খেলাধুলা সূচি
- জুলাই অভ্যুত্থান মামলা শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির রায়ের তারিখ ঘোষণা
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে
- রোনালদোর শেষ খেলার পরিকল্পনা নিয়ে বড় ঘোষণা
- যে যে মামলায় ফাঁসির রায় হলো হাসিনা-কামালের
- লকডাউনের দিনেও দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
- কাদিয়ানী ইস্যু ও পাকিস্তানি সংযোগ: বাংলাদেশের ধর্মীয় রাজনীতিতে বিপজ্জনক অস্থিরতার ইঙ্গিত
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?








