পাশ্চাত্যে উচ্চ শিক্ষা
হাঙ্গেরি: ইউরোপের হৃদয়ে উচ্চশিক্ষার নতুন দুয়ার

বিদ্যা অর্জনের নির্দেশনা সীমাহীন, আর সেই সীমারেখা পেরিয়ে ইউরোপের কেন্দ্রে অবস্থিত হাঙ্গেরি এখন হয়ে উঠেছে বিশ্বের শিক্ষার্থীদের নতুন গন্তব্য। ইতিহাস, সংস্কৃতি, ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার অনন্য সংমিশ্রণ—এই দেশটি আজ ইউরোপের শিক্ষা ও গবেষণার এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। “দানিয়ুবের তীরে জ্ঞান ও ভবিষ্যতের শহর” হিসেবে পরিচিত বুদাপেস্টে শিক্ষা গ্রহণ মানে শুধুমাত্র একাডেমিক উৎকর্ষ নয়, বরং এক পরিপূর্ণ ইউরোপীয় অভিজ্ঞতা অর্জন।
কেন হাঙ্গেরি পড়াশোনার জন্য বেছে নেবেন?
অস্ট্রিয়া, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া ও ইউক্রেনের মাঝখানে অবস্থিত এই দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শেনজেন চুক্তিভুক্ত, ফলে শিক্ষার্থীরা একসাথে বহু দেশের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পান। উন্নত মানের রিসার্চ সুবিধা, আন্তর্জাতিক কোর্স, এবং বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ হাঙ্গেরিকে তুলনামূলক কম খরচে উন্নত শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।
বুদাপেস্ট বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য শহর—শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তার মানে এটি ইউরোপের শীর্ষ শহরগুলোর একটি। শিক্ষার পাশাপাশি সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ থাকায় শিক্ষার্থীরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারেন।
উচ্চশিক্ষায় যোগ্যতা ও ভাষাগত প্রয়োজনীয়তা
হাঙ্গেরির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাচেলর পর্যায়ে ভর্তি হতে HSC বা সমমানের সার্টিফিকেট প্রয়োজন। মাস্টার্সে ব্যাচেলর এবং পিএইচডি পর্যায়ে মাস্টার্স ডিগ্রি আবশ্যক। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে IELTS স্কোর ৫.৫–৬.৫ বা TOEFL ৭২–৯০ পর্যন্ত প্রয়োজন হয়। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় Medium of Instruction (MOI) গ্রহণ করে, বিশেষত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। কিছু কোর্সে Duolingo বা PTE স্কোরও বৈধ।
সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও জনপ্রিয় বিষয়সমূহ
হাঙ্গেরির বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে:
- Eötvös Loránd University (ELTE)
- University of Szeged
- University of Debrecen
- Budapest University of Technology and Economics (BME)
- University of Pécs
- Corvinus University of Budapest
- Hungarian University of Agriculture and Life Sciences
এখানে তথ্যপ্রযুক্তি, চিকিৎসাবিজ্ঞান, প্রকৌশল, স্থাপত্য, আইন, ব্যবসা ও অর্থনীতি, এবং মনোবিজ্ঞানসহ নানা বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
খরচ ও স্কলারশিপ সুবিধা
হাঙ্গেরিতে পড়াশোনার খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম—প্রতি বছর প্রায় €1,500 থেকে €5,000 পর্যন্ত। মাসিক জীবনযাত্রার ব্যয় প্রায় €300–€600 এর মধ্যে।
সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকারি স্কলারশিপ হলো Stipendium Hungaricum, যা পুরো টিউশন ফি ছাড়, মাসিক স্টাইপেন্ড (HUF 43,700–180,000), বিনামূল্যে আবাসন বা আবাসন ভাতা, স্বাস্থ্যবীমা, এবং পরিবার নিয়ে থাকার সুযোগ প্রদান করে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ও সরকারি গবেষণা বৃত্তিও পাওয়া যায়।
ভিসা প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরির ভিসা আবেদন করা যায় ঢাকার VFS Global-এর মাধ্যমে। প্রয়োজন হবে:
- বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার
- স্কলারশিপ বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- স্বাস্থ্য বীমা
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- বৈধ পাসপোর্ট ও ছবি
ভিসা প্রক্রিয়া সাধারণত ৪–৫ সপ্তাহ সময় নেয়, এবং আবেদন ফি প্রায় ৫০ ইউরো।
পড়াশোনা শেষে ক্যারিয়ার ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ
ডিগ্রি শেষ করার পর শিক্ষার্থীরা ৯–১২ মাসের Job Search Visa পান, যার মাধ্যমে তারা ইউরোপজুড়ে চাকরির আবেদন করতে পারেন। চাকরি পেলে সহজেই Work Permit ও পরবর্তীতে Permanent Residence (PR)-এর জন্য আবেদন করা যায়। আইনত ৩ বছর বসবাসের পর National Permanent Residence Permit (NPRP) পাওয়া সম্ভব, যা ফ্রান্স, ইতালি বা পর্তুগালসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ দেয়।
জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি
হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট তার অসাধারণ স্থাপত্য, সেতু, আর্ট গ্যালারি ও দানিয়ুব নদীর মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। এখানে নিরাপত্তা সূচক অত্যন্ত উচ্চ, ক্রাইম ইনডেক্স মাত্র ৩৩.৮—যা ইউরোপের সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর একটি। শিক্ষার্থীরা চাইলে সংগীত, সংস্কৃতি, ও ভ্রমণের মাধ্যমে ইউরোপীয় জীবনধারার স্বাদ নিতে পারেন।

ইউরোপীয় স্বপ্নের দুয়ারে হাঙ্গেরি
যে দেশে তুলনামূলক কম খরচে পাওয়া যায় উচ্চমানের শিক্ষা, যেখানে গবেষণা, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে গড়ে ওঠে সৃজনশীল ভবিষ্যৎ—সেই হাঙ্গেরি এখন শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণের গন্তব্য। আপনি যদি বিশ্বমানের ডিগ্রি, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, ও ক্যারিয়ারের নতুন দিগন্ত খুঁজে থাকেন, তবে হাঙ্গেরিই হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য।
ঢাবির বাঁধন ছিঁড়ে স্বতন্ত্র হচ্ছে সাত কলেজ, নতুন নাম কী?
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে একীভূত করে একটি সম্পূর্ণ নতুন ও স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন এই প্রতিষ্ঠানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিক্ষার মান উন্নয়ন, যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ, দ্রুত ফলাফল প্রকাশ এবং প্রশাসনিক কাজে গতি আনার লক্ষ্যেই এই বড় উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই কলেজগুলোর বর্তমান অধিভুক্তি বা সম্পর্ক বাতিল করা হবে। পরিবর্তে, এই সাতটি কলেজকে নিয়েই গঠিত হবে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’। দীর্ঘদিন ধরে এই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা সেশনজট নিরসন ও মানসম্মত শিক্ষার দাবিতে যে আন্দোলন করে আসছিল, সেই যৌক্তিক চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়েই সরকার এই পথে হেঁটেছে।
এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ইতিমধ্যে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর একটি খসড়া তৈরি করেছে। এই খসড়াটি গত ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষের মতামত চাওয়া হয়েছিল। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে পাঁচ হাজারের বেশি মতামত জমা পড়েছে। এছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনটি মতবিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন সেই সব মতামত এবং আইনি দিকগুলো যাচাই-বাছাই করে খসড়াটি সংশোধনের কাজ চলছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইন বা অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তবে এই অন্তর্বর্তী সময়ে যাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে সরকার সজাগ রয়েছে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত সাত কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর অন্তর্বর্তী প্রশাসন, সাত কলেজের অধ্যক্ষ এবং ঢাকা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, এই প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। যেমন—সাত কলেজের বর্তমান শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের চাকরি বা পদ ঠিক রাখা, প্রতিটি কলেজের নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং কলেজগুলোতে চলমান উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) স্তরের পড়াশোনা কীভাবে চলবে—সেগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তাই তাড়াহুড়ো না করে ধাপে ধাপে একটি সঠিক ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানের মাধ্যমে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগকে দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। তারা জানিয়েছে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী এবং অভিভাবকদের স্বার্থ রক্ষা করাই তাদের মূল লক্ষ্য। একইসঙ্গে, কোনো ধরনের ব্যক্তিগত ধারণা বা অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে গুজব না ছড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার প্রথম এই সাতটি কলেজকে আলাদা করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দিয়েছিল। এই কলেজগুলো হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।
নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে 'সুখবর' দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেছেন, সরকার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। তিনি জানান, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং একটি টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি নিশ্চিত করতে একটি কার্যকর, স্বচ্ছ ও বাস্তবসম্মত এমপিও ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ চলছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তকরণ বিষয়ে আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষা উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এই বৈঠকে শিক্ষক নেতা, নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আবরার আরও বলেন, শিক্ষা হলো জাতীয় উন্নয়নের মেরুদণ্ড। তার মতে, একটি জ্ঞানভিত্তিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলের নেতারাও সরকারের নেওয়া এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তারা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন।
মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইয়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান এবং গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক জোনায়েদ সাকি।
এছাড়াও বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সহসম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির শিক্ষা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ওমর ফারুক এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো. ফয়সালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ রোবোটিক্স ডিগ্রি
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করতে প্রকৌশল অনুষদের অধীনে নতুন বিভাগ হিসেবে ডিপার্টমেন্ট অব রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (আরএমই) চালু করেছে। প্রযুক্তি–চালিত চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে রোবোটিক্স, অটোমেশন এবং বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ব্যবস্থাপনার চাহিদা দ্রুত বাড়তে থাকায় বাংলাদেশে এই ধরনের একটি বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হাবিব কাজল এক বিবৃতির মাধ্যমে এই নতুন উদ্যোগের ঘোষণা দেন।
স্প্রিং–২০২৬ সেমিস্টার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে। এই কোর্সটিকে ডিজাইন করা হয়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্ভাবনী মনোভাব, স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা এবং ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের সক্ষমতা তৈরির উদ্দেশ্যে। বাংলাদেশের প্রযুক্তি ক্ষেত্রকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আরও এগিয়ে নেওয়া এবং ইনোভেশন–নির্ভর অর্থনীতি গঠনে প্রোগ্রামটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
চার বছর মেয়াদী এই স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা রোবোটিক্স, ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্স, কন্ট্রোল সিস্টেম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং এমবেডেড কম্পিউটিং–এর ওপর সমন্বিত ও গভীরতর শিক্ষা গ্রহণ করবে। মোট ১৫৪ ক্রেডিট বিশিষ্ট এই কোর্স কাঠামো শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিমুখী গবেষণা এবং বাস্তব জীবন–সম্মত প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
ভর্তি যোগ্যতার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এসএসসি ও এইচএসসিতে ন্যূনতম ২.৫ জিপিএ পাস করা শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। পাশাপাশি পদার্থবিদ্যা, গণিত ও ইংরেজিতে অন্তত ‘সি’ গ্রেড পেতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ ছাড়া সমমানের অন্য শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেও আবেদন করা যাবে, তবে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোতে ন্যূনতম গ্রেড বজায় রাখতে হবে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক যোগ্যতার শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি O-Level এবং অন্তত দুটি A-Level বিষয় সম্পন্ন থাকা আবশ্যক। সাতটি বিষয়ের মধ্যে চারটিতে ‘বি’ গ্রেড এবং তিনটিতে ‘সি’ গ্রেড থাকা বাধ্যতামূলক। আবেদনকারীদের O-Level ও A-Level উভয় ক্ষেত্রেই পদার্থবিদ্যা এবং গণিত থাকতে হবে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার্থী প্রস্তুত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কঠোর একাডেমিক মান বজায় রেখেছে।
শিক্ষার্থীদের বিশ্বমুখী উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রসারে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, বিশ্বের ৬০০–টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ক্রেডিট ট্রান্সফার ও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সুবিধা থাকবে। এতে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক পরিবেশে গবেষণা ও শিক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে, যা তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক হবে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আশা করছে, রোবোটিক্স ও মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ দেশের প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্প, অটোমেশন, রোবট নির্মাণ, AI-চালিত সিস্টেম এবং উদ্ভাবনী গবেষণাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তরুণদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনী চেতনা বিকাশে বিভাগটি অন্যতম যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
বেতন বাড়বে না আন্দোলন চলবে? শিক্ষকদের দাবিতে নতুন মোড়
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়টি সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম থেকে দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম করার প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও অর্থ বিভাগে পাঠিয়েছে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে সরকারের বার্ষিক অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৮৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ৪ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো প্রস্তাবে সহকারী শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের বিষয়, তাদের দাবির যৌক্তিকতা এবং শিক্ষা মানোন্নয়নে তাদের ভূমিকার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। এর আগে অর্থ বিভাগেও একই প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বর্তমানে সরকারি ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের সমমানের, তাই তাদের বেতন কাঠামোও উন্নীত করা প্রয়োজন।
প্রাথমিক শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি— সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা, এবং চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার ব্যবস্থা করা। এসব দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে শিক্ষকরা রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। একই সঙ্গে সারা দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মবিরতিও চলছে। গত শনিবার শাহবাগে পুলিশের লাঠিপেটা, জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারে শতাধিক শিক্ষক আহত হন, যা আন্দোলনকে আরও উত্তপ্ত করেছে।
বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে বেতন পান, আর প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড ১১তম। সম্প্রতি রিট মামলার রায়ের পর ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড ১০মে উন্নীত করা হয়েছে, যার ফলে সারা দেশের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেডও ১০মে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি, যা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের সমমানের। তাই তাদের বেতন গ্রেড উন্নীত করা যৌক্তিক। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের কাজের গুণগত ও পরিমাণগত দিক এখন আগের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে। তারা শুধু ক্লাস পরিচালনা নয়, প্রশাসনিক কাজ, উপস্থিতি তদারকি, পরীক্ষার দায়িত্ব, অভিভাবক সমন্বয় ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে কর্মরত প্রায় ৩ লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করলে বছরে অতিরিক্ত ৮৩২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ভবিষ্যতে শূন্য ১৭ হাজার ৮টি পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হলে আরও ৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় বাড়বে। বর্তমানে দেশে মোট ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কোটি ছয় লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাই যৌক্তিকতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা প্রয়োজন। বর্তমানে ১০ম গ্রেডে শুরুর মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা, ১১তম গ্রেডে ১২ হাজার ৫০০ টাকা, এবং ১৩তম গ্রেডে ১১ হাজার টাকা। এই পার্থক্যের কারণে শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এ বিষয়ে বলেন, “সহকারী শিক্ষকদের দাবিটি যৌক্তিক। ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং নতুন বেতন কমিশনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।” অন্যদিকে, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ‘ঐক্য পরিষদ’ সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে তাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য। দাবি পূরণ না হলে তারা বার্ষিক পরীক্ষা ও বৃত্তি পরীক্ষা বর্জনসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
-রফিক
নতুন পদে পুরোনো বিতর্ক:প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবে না সংগীত শিক্ষক
ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক এবং শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে এই দুটি পদ বাদ দিয়ে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা–২০২৫’-এ আনা হয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দগত সংশোধন। গত আগস্টে জারি করা মূল বিধিমালাটি সংশোধন করে এসব পরিবর্তন সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল রবিবার সংশোধিত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আগের বিধিমালায় শিক্ষক পদ চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হলেও সংশোধিত সংস্করণে তা দুটি ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে, সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ নতুন বিধিমালায় আর থাকছে না।
এই দুটি পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর চাপের ফল কি না—এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। তিনি বরং গণমাধ্যমকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পরামর্শ দেন।
এদিকে, পদ বাতিলের পাশাপাশি বিধিমালায় একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দগত সংশোধন আনা হয়েছে বলেও অতিরিক্ত সচিব নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল এবং বাকি ৮০ শতাংশ পদ 'অন্যান্য বিষয়ে' স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে, 'অন্যান্য বিষয়ে' শব্দবন্ধটি বিভ্রান্তিকর ছিল বলে মনে করা হয়। এই বিভ্রান্তি দূর করে এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে, ৮০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ের প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। এই অংশটি সংশোধন করে এখন বলা হয়েছে, "বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন স্নাতক ডিগ্রিধারী" প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এই সংশোধনের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার একটি অংশ আরও স্পষ্ট হলো বলে তিনি জানান।
৮ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণে বোর্ডের সময়সূচি প্রকাশ
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড আগামী ৪ নভেম্বর থেকে বিতরণ শুরু হবে। এই কার্যক্রম চলবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় শাখা থেকেই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে এসব রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করতে হবে বলে বোর্ডের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় শাখার পরিদর্শক ড. মো. মাসুদ রানা খানের স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিটি জেলার জন্য আলাদা দিনে কার্ড বিতরণ করা হবে, যাতে পুরো প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও সময়মতো সম্পন্ন হয়।
বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, ৪ নভেম্বর প্রথম দিনে ঢাকা মহানগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্ড বিতরণ করা হবে। ৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ, ৬ নভেম্বর নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ, ৭ নভেম্বর ঢাকা জেলা ও মাদারীপুর, ৯ নভেম্বর শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী, ১০ নভেম্বর গাজীপুর ও ফরিদপুর এবং ১১ নভেম্বর টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণ সম্পন্ন হবে। সর্বশেষ ১২ নভেম্বর বাকি জেলার প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিতরণকৃত কার্ডে কোনো ভুল, যেমন শিক্ষার্থীর নাম, জন্মতারিখ, প্রতিষ্ঠান কোড বা অন্যান্য তথ্যগত ত্রুটি দেখা দিলে তা সংশোধনের আবেদন ২০ নভেম্বরের মধ্যে করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আবেদন না করা হলে সংশোধনের দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বহন করতে হবে।
আবেদন করার সময় প্রতিষ্ঠানকে বোর্ডের নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে এবং তার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম স্বীকৃতি বা সর্বশেষ স্বীকৃতি নবায়নের কপি ও কমিটি অনুমোদনপত্র সংযুক্ত করতে হবে। সংশোধন আবেদনের প্রক্রিয়াটি যথাযথ কাগজপত্রসহ সম্পন্ন করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ড আরও জানিয়েছে, যেসব সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে বা এখনো নবায়ন করা হয়নি, তাদের অবিলম্বে স্বীকৃতি নবায়নের ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বীকৃতি নবায়ন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন কার্ড গ্রহণ করতে পারবে না।
একই সঙ্গে বোর্ড সতর্ক করেছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ না করলে বা বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা বলেন, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ একাডেমিক রেকর্ডের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে কার্ড সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেন, যাতে ভবিষ্যতে কোনো জটিলতা বা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি না হয়।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (EWU) সমাজবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ একাডেমিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (NUS)-এর অধ্যাপক প্রফেসর সাইয়েদ ফরিদ আলাতাস। “Global Sociology and Decolonization – Reimagining Knowledge for Our Times” শীর্ষক এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে (রুম নং ১২৬)।
এই সেমিনারে অংশ নেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক এবং সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অনুরাগীরা। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের কাঠামো ও জ্ঞানচর্চার উপনিবেশিক উত্তরাধিকার থেকে মুক্তি এবং একাডেমিক জ্ঞানের বিকেন্দ্রীকরণ।
সেমিনারের প্রধান বক্তা প্রফেসর সাইয়েদ ফরিদ আলাতাস এশিয়ার সমাজবিজ্ঞান চর্চায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক নাম। তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত একজন বুদ্ধিজীবী। তিনি প্রয়াত সমাজবিজ্ঞানী ও মালয়েশিয়ার প্রখ্যাত চিন্তাবিদ সাইয়েদ হুসেইন আলাতাসের পুত্র, যিনি “The Myth of the Lazy Native” গ্রন্থের মাধ্যমে উপনিবেশিক বুদ্ধিবৃত্তির সমালোচনায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
তার বক্তব্যে প্রফেসর আলাতাস বলেন, “ডিকলোনাইজেশন বা উপনিবেশমুক্তকরণ কেবল তত্ত্বের আলোচনা নয়, এটি হতে হবে বাস্তব প্রয়োগের একটি প্রক্রিয়া।” তিনি বলেন, পশ্চিমা সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বগুলো সম্পূর্ণ বাতিল করার প্রয়োজন নেই, বরং সেগুলোর সীমাবদ্ধতা বুঝে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে পুনর্মূল্যায়ন করা দরকার। তাঁর মতে, “আমাদের উচিত পশ্চিমা চিন্তাধারার মূল্যবান দিকগুলো স্বীকার করা, কিন্তু একই সঙ্গে ইউরোসেন্ট্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বিপজ্জনক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক থাকা।”
তিনি জোর দেন এই বলে যে, উপনিবেশোত্তর সমাজে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষা ও গবেষণা তখনই অর্থবহ হবে, যখন স্থানীয় জ্ঞান, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সাহিত্য ও দর্শনকে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা এমন এক সমাজে বাস করি, যেখানে চিন্তা, তত্ত্ব ও গবেষণার বড় অংশই আমদানিকৃত। এই নির্ভরশীলতা ভাঙতে হলে স্থানীয় জ্ঞানের ভান্ডারকে নতুন করে মূল্যায়ন করতে হবে।”
প্রফেসর আলাতাস শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, সমাজবিজ্ঞানের পাঠদানে পশ্চিমা সমাজতাত্ত্বিকদের পাশাপাশি আঞ্চলিক চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিকদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। তিনি উদাহরণ দেন, “বাংলা, মালয়, বা তামিল সমাজের সাহিত্য ও লোকজ সংস্কৃতিতে যে সামাজিক বোধ ও মূল্যবোধ নিহিত, সেগুলোকেও সমাজবিজ্ঞানের আলোচনায় আনা উচিত।”
তিনি জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এমন পাঠ্যক্রম তৈরি করতে হবে যা স্থানীয় চিন্তা ও ইতিহাসকে কেন্দ্র করে গঠিত, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমাজকে বিশ্লেষণ করতে পারে নিজেদের চোখ দিয়ে, ধার করা চশমা দিয়ে নয়।”
প্রফেসর আলাতাস আরও উল্লেখ করেন যে, ডিকলোনাইজেশন শুধুমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতার বিষয় নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচারেরও এক প্রক্রিয়া। কারণ, জ্ঞানই ক্ষমতা, আর যদি জ্ঞান উৎপাদনের প্রক্রিয়া নির্ভরশীল হয়, তবে সমাজও নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারাশউদ্দিন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ডিকলোনাইজেশন কেবল একটি একাডেমিক বিষয় নয়, এটি একটি জাতীয় অগ্রগতির কৌশলও। কারণ, যে জাতি জ্ঞানের ক্ষেত্রে স্বাধীন, সেই জাতিই প্রকৃত অর্থে মুক্ত।”
তিনি সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, “একটি সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ন্যায়বিচার, এবং সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয় রক্ষায় সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা অপরিসীম। একাডেমিক জ্ঞানকে উপনিবেশমুক্ত করা মানে হলো চিন্তার মুক্তি, যা উন্নয়নের প্রথম ধাপ।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মি. ইশফাক ইলাহী চৌধুরী, যিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “জ্ঞানকে মুক্ত করা মানে কেবল পশ্চিমা প্রভাবমুক্ত করা নয়, বরং নিজস্ব ঐতিহ্যের সঙ্গে বিশ্বচিন্তার সংলাপ সৃষ্টি করা।” তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান, “বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় তৈরি করতে হলে প্রথমেই জানতে হবে আমরা কারা, কোথা থেকে এসেছি, আর আমাদের নিজস্ব চিন্তাচর্চার ঐতিহ্য কী।”
সেমিনারের শেষ পর্বে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় উঠে আসে আধুনিক সমাজবিজ্ঞানে উপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গি অতিক্রমের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। অনেক শিক্ষার্থী তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, কীভাবে পশ্চিমা তত্ত্বকেন্দ্রিক পাঠ্যসূচি কখনও কখনও স্থানীয় বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে।
অংশগ্রহণকারীরা একমত হন যে, সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমে স্থানীয় চিন্তাবিদ, ঐতিহ্য, এবং সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটানো সময়ের দাবি। তারা এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সেমিনারটি ছিল ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেই অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ, যার লক্ষ্য একাডেমিক জ্ঞানচর্চাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমালোচনামূলক এবং বৈশ্বিক প্রাসঙ্গিক করে তোলা। আলোচনায় স্পষ্টভাবে উঠে আসে যে, ডিকলোনাইজেশন কেবল একটি ধারণা নয়, এটি চিন্তার মুক্তির আন্দোলন, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বৌদ্ধিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারে।
কঠিন ব্যাকরণ নয় শিশুদের মতো করে ইংরেজি শেখার সহজ কৌশল শিখে নিন
যেকোনো নতুন ভাষা শেখার প্রথম শর্ত হলো—বলতে ও শুনতে শেখা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা ইংরেজি শেখার শুরু করি ব্যাকরণের জটিল নিয়মকানুন দিয়ে। এই ভুল পদ্ধতির কারণেই দীর্ঘদিন পড়ার পরও অধিকাংশ মানুষ ভালো করে ইংরেজি বলতে বা বুঝতে পারেন না। ফলস্বরূপ, বলা, শোনা বা লেখায় কমবেশি জড়তা থেকেই যায়।
শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী বা অভিভাবক—আপনি যে-ই হোন না কেন, ইংরেজিতে নিজেকে দুর্বল মনে করলে এবং শেখার ইচ্ছা থাকলে কঠিন ব্যাকরণ ও ভোকাবুলারির মারপ্যাঁচ ছাড়াই যেকোনো পরিস্থিতিতে অনায়াসে ইংরেজি বলা শেখার এই সহজ পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
পুরাতন পদ্ধতিকে বিদায়
বাজারের ১০ দিনে, ৩০ দিনে বা ৩ মাসে ইংরেজি শেখার যত বই আছে, সেগুলো দূরে সরিয়ে রাখুন। কারণ, এই ধরনের বই কেনা হলেও নিয়মিত খোলা হয় না।
স্পোকেন ইংলিশের কোচিংয়ে ভর্তি হওয়া বন্ধ করে দিন। কারণ, দেখা যায় অনেকে ভর্তি হলেও নিয়মিত কোচিংয়ে যান না, আর গেলেও খুব বেশি কার্যকর ফল পান না।
শিশুদের মতো করে শিখুন
মানুষ যেকোনো ভাষায় প্রথমে বলতে ও শুনতে শেখে, লিখতে ও পড়তে শেখে পরে। শিশুরা ভাষা শেখে অনুকরণের মাধ্যমে—দেখা, শোনা ও বলার মাধ্যমে। একটি শিশুকে যে ভাষার পরিবেশে রাখা হবে, সে সেই ভাষাই দ্রুত শিখে যায়। ঠিক এই পদ্ধতিতেই ইংরেজি শেখা শুরু করুন।
আপনার হাতে থাকা মুঠোফোন, আইপ্যাড বা ইন্টারনেট সংযোগকে কাজে লাগান। প্রতিদিন ইউটিউব বা ফেসবুকে অন্যান্য ভিডিও দেখে যে সময় ব্যয় করেন, আজ থেকে টানা ৩০ দিন সেই সময়টা শুধু ইংরেজি শেখায় দিন।
কার্যকর কৌশল ইউটিউব শো
ইংরেজি শেখার জন্য ইউটিউবে শিশুদের উপযোগী শিক্ষামূলক শো দেখা সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে। এই শো গুলো শিশুদের জন্য তৈরি হলেও, এটি ইংরেজি শেখা শুরুর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
ইউটিউবে ‘Blippi’ লিখে সার্চ দিন। ইংরেজি একদম না বুঝলেও এই চ্যানেল দেখে অনেক কিছু শেখা সম্ভব। আপনার বাসায় শিশু-কিশোর থাকলে, তাকে নিয়ে একসঙ্গে দেখুন।
Blippi ছাড়াও Dora the Explorer, Daniel Tiger’s Neighborhood, Sesame Street, Peppa Pig -এর মতো শিক্ষামূলক শো দেখতে পারেন।
এই শিশুদের শো-গুলো গল্পভিত্তিক হওয়ায় এগুলোতে আনন্দ, আবেগ ও চমৎকার গ্রাফিক্যাল ভিডিও থাকে। এগুলো দেখলে আপনি ছবি, রং এবং প্রেক্ষাপটের সঙ্গেই শব্দের মিল তৈরি করে দ্রুত ভাষা শিখতে পারবেন।
প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট করে টানা ৩০ দিন এই শো গুলো দেখলে আপনি সহজেই অনেক ইংরেজি শিখে ফেলবেন। আপনার শিশুকে সঙ্গে নিয়ে দেখলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে। অবাক হয়ে দেখবেন, আপনার শিশু আপনার চেয়েও দ্রুত ইংরেজি শিখে ফেলছে।
এই কাজটি শুরু করুন। এবং আজই!
সূত্র : প্রথম আলো
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে ড. গালিবের সতর্কবার্তা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব বলেছেন, জুলাই সনদের কার্যকর বাস্তবায়ন এখন সময়ের অন্যতম জরুরি দাবী। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি সতর্কবার্তা দেন, যদি এটি বাস্তবায়ন না হয়, তবে দেশ ফের ফিরে যাবে ‘শেখ হাসিনার আমলের পুরনো রাজনৈতিক ব্যবস্থায়’, যা আবারও স্বাভাবিক রাজনৈতিক ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করবে।
ড. গালিব বলেন, “জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আমাদের জন্য অপরিহার্য। যদি আমরা এটিকে স্থগিত রাখি, তাহলে হাসিনার আমলের সিস্টেম আবার কার্যকর হবে। এই সিস্টেমে তিনি দাবি করতে পারবেন যে, তিনি নিজে কোনোভাবে অবৈধ ছিলেন না; বরং তার বিপক্ষে যে আন্দোলন হয়েছিল, সেটিই অবৈধ ছিল।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এটি হতে হবে জনগণের সামষ্টিক ইচ্ছার প্রতিফলন, যা অর্জনের একমাত্র কার্যকর উপায় হলো গণভোট।
ড. গালিব আরও বলেন, গণভোটের ফলাফলের রায় পরবর্তী সংসদকে বাধ্যবাধক বা বাইন্ডিং করতে হবে। নতুন সংসদকে অবশ্যই জনগণের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি গণভোটের সময়সূচি নিয়ে বলেন, “এটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে হবে, নাকি জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একসাথে হবে—এটি মূল বিষয় নয়। প্রধান বিষয় হলো, গণভোটের মাধ্যমে সনদকে আইনি বাধ্যবাধকতায় আনা।”
তিনি আরও প্রস্তাব করেন, সনদের যেসব বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দল একমত, সেগুলো একক প্যাকেজে গণভোটের মধ্যে আনা হোক। এবং যেসব বিষয়ে মতবিরোধ আছে, সেগুলো আলাদা প্যাকেজে গণভোটের মাধ্যমে নেওয়া যেতে পারে। দুইটি পৃথক প্রশ্নে জনগণ ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিতে পারবে, এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ড. মির্জা গালিব বলেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করেই আমাদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে হবে। এখানে কোনো কমপ্রোমাইজ গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি মনে করান, দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্থায়িত্বের জন্য সনদের বাস্তবায়ন অপরিহার্য এবং এটি জনগণের ঐকান্তিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্পন্ন হতে হবে।
পাঠকের মতামত:
- জনপ্রিয় মার্কেটগুলো আজ বন্ধ ক্রেতাদের জন্য সতর্কতা
- ট্রুডোর নতুন প্রেম নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সাবেক স্ত্রী
- যে আসন থেকে লড়বেন নুরুল হক নুর
- গুলিস্তানের মার্কেটে মধ্যরাতের আগুন আতঙ্ক
- ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ: ঢাকার মাঠে ভারতকে হারিয়ে দাপুটে জয়
- সময়সীমা পার হলে কী হবে? শেখ হাসিনার আপিল নিয়ে প্রসিকিউটরের ব্যাখ্যা
- বন্ধু দেশেই অপহরণের ফাঁদ! বাধ্য হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ইরানের কঠোর পদক্ষেপ
- যারা দেয়াল রাঙিয়েছে, তারাই ভোট দেবে, নির্বাচনের আগে ইউনূসের বার্তা
- তিন অধিনায়কের তিন সহকারী চূড়ান্ত, টেস্ট ও ওয়ানডেতে ভিন্ন সমীকরণ
- স্ক্রিনে ভাসছে 'এরর' বার্তা, বিশ্বজুড়ে ওয়েবসাইট বিভ্রাটের আসল কারণ কী?
- ডায়রিয়া থেকে ডায়াবেটিস: এক ভুসি, সমাধান অনেক! কিন্তু খাওয়ার সঠিক নিয়ম কী?
- অভিমান ভুলে কি ট্রাম্পের ডিনারে যাবেন মাস্ক? নজর এখন হোয়াইট হাউসে
- রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
- কাল থেকে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন? জেনে নিন কোন দেশে কখন সুযোগ
- আগের চিঠির জবাব আসেনি, দণ্ডিত হাসিনাকে ফেরাতে এবার কী করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?
- কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? এই একটি ফলেই মিলবে সহজ সমাধান
- যাচাই-বাছাইয়ে অসংগতি, প্রথমবারের মতো বাতিল হলো জুলাই যোদ্ধাদের গেজেট
- ১০ দিনের আল্টিমেটাম: হাসিনাপন্থি শিক্ষকদের নিয়ে ৪ ছাত্রসংসদের কঠোর ঘোষণা
- ঢাবির বাঁধন ছিঁড়ে স্বতন্ত্র হচ্ছে সাত কলেজ, নতুন নাম কী?
- নিজ দায়িত্বে পোস্টার না সরালে জরিমানা, ডিএনসিসির কঠোর হুঁশিয়ারি
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ড 'খুবই উদ্বেগজনক ও হতাশাজনক': শশী থারুর
- চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ: নারী না পুরুষ, সংখ্যায় কারা এগিয়ে?
- পটুয়াখালী-৩: জোটের বলি নাকি দলের প্রার্থী? হাসান মামুন ও ভিপি নুরের অঘোষিত লড়াই
- ফেব্রুয়ারির শুরুতেই কি ভোট? জার্মান রাষ্ট্রদূতের সামনেই ইঙ্গিত দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শীতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুস্থ থাকার সহজ ১০টি উপায়
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?
- ১৮ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৮ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৮ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শেখ হাসিনার নামে কত সম্পদ আছে? দেখুন হলফনামার পূর্ণ বিবরণ
- এত অর্জন কোনো সরকার করতে পারেনি, অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য তুলে ধরলেন শফিকুল আলম
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসিদের বৈঠক: নির্বাচন নিয়ে উঠল 'দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব'
- একটি 'হ্যাঁ' বা 'না' ভোটে নির্ধারিত হবে সংবিধানের সংস্কার: ব্যালটে থাকছে যে ৪ প্রস্তাব
- নির্বাচনের আগে আনসারের জন্য ১৭ হাজার শটগান কিনছে সরকার
- দোহায় কাতার–বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা আলোচনা: সম্পর্ক জোরদারে নতুন অগ্রগতি
- ভুয়া ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোকে এনসিএসএর কঠোর সতর্কতা
- প্রথম অস্কার পেলেন টম ক্রজ: দাঁড়িয়ে অভিবাদনে ডলবি থিয়েটার
- বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন এনএভি ডেটা প্রকাশ
- তানজিরোর চূড়ান্ত যুদ্ধ—অ্যানিমেশনে নতুন ইতিহাস লিখল ডেমন স্লেয়ার
- ওয়াশিংটন–সিউল চুক্তিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া পিয়ংইয়ংয়ের: এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরে অস্থিরতার ইঙ্গিত
- যুক্তরাষ্ট্র–সৌদি সম্পর্ক পুনর্গঠনে কূটনৈতিক দেনদরবার ও আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা
- হামাসের আপত্তি সত্ত্বেও গাজা পুনর্গঠনে জাতিসংঘে বড় সিদ্ধান্ত
- প্রকাশ্যে যুবদল নেতাকে হত্যা নিয়ে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- নানা কর্মসূচির ঝড়ে আজ রাজধানীতে বাড়তি ব্যস্ততা
- মঙ্গলবার ঢাকার কোন মার্কেট বন্ধ জেনে নিন
- পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের নতুন এনএভি প্রকাশ
- ফেসবুকে মোদীর আবেগঘন পোস্ট ভাইরাল
- বড় ধাক্কা স্বর্ণবাজারে: ভরিতে কমল ৫,৫১৯ টাকা
- আইকিউএয়ার তালিকায় ঢাকার হতাশার খবর
- ডিএসএইচ গার্মেন্টসের আর্থিক ফল প্রকাশ
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- সাদমানের পর মুমিনুলকে নিয়ে জয়ী রথ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি
- বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
- মামলার রেশ না কাটতেই তিশার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ
- নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ
- অ্যাকশন, রিভেঞ্জ আর সিক্রেট মিশন: দেখুন সেরা ১০ কোরিয়ান অ্যাকশন সিরিজ!
- বাংলাদেশ নেপাল ম্যাচের আগে জেনে নিন হেড টু হেড পরিসংখ্যানে কারা চালকের আসনে
- আজকের খেলাধুলা সূচি
- জুলাই অভ্যুত্থান মামলা শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির রায়ের তারিখ ঘোষণা
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে
- রোনালদোর শেষ খেলার পরিকল্পনা নিয়ে বড় ঘোষণা
- যে যে মামলায় ফাঁসির রায় হলো হাসিনা-কামালের
- লকডাউনের দিনেও দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
- কাদিয়ানী ইস্যু ও পাকিস্তানি সংযোগ: বাংলাদেশের ধর্মীয় রাজনীতিতে বিপজ্জনক অস্থিরতার ইঙ্গিত
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?








