শনি গ্রহের চাঁদ এনসেলাডাসে প্রাণের উপাদান খুঁজে পেল নাসা

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)-এর বিজ্ঞানীরা শনি গ্রহের চাঁদ এনসেলাডাস থেকে নির্গত বরফের গিজারে (icy geysers) নতুন ধরনের জৈব অণু (organics) আবিষ্কার করেছেন। এই আবিষ্কার এনসেলাডাসের সাগরের নিচে প্রাণের অনুকূল পরিবেশ থাকার সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করেছে।
এনসেলাডাসকে দীর্ঘদিন ধরেই পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সন্ধানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ এই ছোট চাঁদটির নিচে একটি লুকানো সাগর রয়েছে এবং এর দক্ষিণ মেরুর ফাটলগুলো থেকে জলের ফোয়ারা (plumes) মহাকাশে নির্গত হয়।
বুধবার প্রকাশিত এই গবেষণাটি নেচার অ্যাস্ট্রোনমি (Nature Astronomy) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাটি ২০০৮ সালে নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযানের তোলা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
আবিষ্কারের পদ্ধতি
ফ্রান্সের ফ্রি ইউনিভার্সিটি অফ বার্লিনের প্রধান লেখক নোজাইর খাওয়াজা বলেন, “আমরা নিশ্চিত যে এই অণুগুলো এনসেলাডাসের ভূগর্ভস্থ সমুদ্র থেকে এসেছে, যা এর বাসযোগ্যতার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে।”
নতুন বিশ্লেষণ: গবেষকরা ক্যাসিনি মহাকাশযান কর্তৃক সংগ্রহ করা বরফের কণার নতুন বিশ্লেষণ করেন। এই কণাগুলো আগে পাওয়া পুরানো কণাগুলোর চেয়ে অনেক ‘নবীন’ ছিল এবং প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৬৪,৮০০ কিলোমিটার (৪০,০০০ মাইল) গতিতে ক্যাসিনির কসমিক ডাস্ট অ্যানালাইজারের (Cosmic Dust Analyzer) সাথে সংঘর্ষ করেছিল।
পরিষ্কার তথ্য: গবেষকরা জানান, এই দ্রুত গতির কারণে কণাগুলোর রাসায়নিক যৌগ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেছে। আগে পুরানো কণাগুলোতে জৈব অণু দেখা গেলেও, মহাকাশের বিকিরণের কারণে সেগুলোর পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু নতুন কণাগুলোতেও একই অণু এবং নতুন কিছু রাসায়নিক যৌগ পাওয়ায় এটি নিশ্চিত হয়েছে যে, এগুলো চাঁদের ভূগর্ভস্থ সমুদ্র থেকেই আসছে।
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের গবেষক ফ্যাবিয়ান ক্লেনার বলেন, “একটি বহির্জাগতিক জল বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের জৈব যৌগ খুঁজে পাওয়া সত্যিই অভূতপূর্ব।”
নতুন মিশনের প্রয়োজন
এনসেলাডাস প্রায় ৫০০ কিলোমিটার জুড়ে বরফে মোড়া একটি জলজ জগৎ, যার একটি পাথুরে কেন্দ্র রয়েছে এবং এর সমুদ্রের তলদেশে সম্ভবত আর্কটিকের মতো জল-তাপীয় ভেন্ট (hydrothermal vents) রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এখন এনসেলাডাসকে আরও ভালোভাবে অন্বেষণ করার জন্য নতুন মিশনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
ইউনিভার্সিটি অফ কেন্টের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক নাইজেল মেসন মনে করেন, চাঁদের ভূগর্ভস্থ সমুদ্রগুলি “আমাদের সৌরজগতের বহির্জাগতিক প্রাণের উত্থানের জন্য সম্ভবত সেরা প্রার্থী।”
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ESA) কয়েক দশক পরে এনসেলাডাসে অবতরণ মিশনের প্রাথমিক পরিকল্পনা করছে। চীনও এ ধরনের একটি মিশনের প্রস্তাব দিয়েছে। নাসা-র ইউরোফা ক্লিপারও বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদ ইউরোপা-র দিকে রওনা দিয়েছে, যেখানে প্রাণের উপাদান খোঁজা হবে।
স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
স্মার্টফোনে জীবনের নানা মুহূর্তের ছবি অনেকেই তুলে রাখি, যা আমাদের স্মৃতি জমা করে। কিন্তু অসতর্কতার কারণে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ ছবি ডিলিট হয়ে যায়। তবে চাইলেই স্মার্টফোন থেকে মুছে ফেলা ছবি উদ্ধার করা সম্ভব। যদি আপনার ফোনে গুগল ফটোস অ্যাপে ব্যাকআপ অপশনটি চালু থাকে, তাহলে ডিলিট হওয়া ছবি খুব সহজেই ফিরে পেতে পারেন।
স্মার্টফোন থেকে মুছে ফেলা ছবি উদ্ধারের তিনটি সহজ পদ্ধতি নিচে তুলে ধরা হলো:
১. সম্প্রতি মুছে ফেলা ফোল্ডার (Recently Deleted)
আপনার অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস (iOS) ফোনে গ্যালারি অ্যাপটি খুলুন। নিচের দিকে স্ক্রল করে ‘Recently Deleted’ বা ‘সম্প্রতি মুছে ফেলা’ অ্যালবামটি খুঁজুন। এখানে আপনি গত ৩০ দিনের মধ্যে ডিলিট করা ছবিগুলো দেখতে পাবেন। ছবি নির্বাচন করে ‘পুনরুদ্ধার করুন’ অপশনে ক্লিক করলেই ফাইলগুলো গ্যালারিতে ফিরে আসবে।
২. গুগল ফটোস অ্যাপের মাধ্যমে
যদি আপনার ফোনের ছবিগুলোর গুগল ফটোস-এ ব্যাকআপ নেওয়া থাকে, তবে এই পদ্ধতিটি সবচেয়ে কার্যকর:
গুগল ফটোস অ্যাপটি ওপেন করুন এবং ‘লাইব্রেরি’ অপশনে ক্লিক করুন।
এরপর ‘ট্রাশ ফোল্ডার’ অপশনে ক্লিক করলেই ডিলিট হওয়া ছবিগুলো দেখতে পাবেন।
যে ছবিগুলো ফিরে পেতে চান, সেগুলো নির্বাচন করে ‘রিস্টোর’ অপশনে ক্লিক করলেই আপনার ছবিগুলো ফোনের গ্যালারিতে ফিরে পাবেন।
৩. প্লে স্টোর থেকে রিকভারি অ্যাপ ব্যবহার
যদি ছবিগুলো স্থায়ীভাবে ডিলিট হয়ে যায়, তবে গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি ফটো রিকভারি অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন।
প্লে স্টোরে অনেক ধরনের ফটো রিকভারি অ্যাপ থাকলেও, সব অ্যাপ আপনার তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না।
তাই DiskDigger, EaseUS MobiSaver, বা Dr.Fone-এর মতো উচ্চ ডাউনলোড সংখ্যা ও রিভিউ থাকা কোনো ফাইল রিকভারি অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন।
অ্যাপটি ইনস্টল করার পর রিকভারি ধাপগুলো অনুসরণ করে খুব সহজে আপনার ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পেতে পারেন।
বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় কেন? সমাধান জেনে নিন
বর্ষার মৌসুমে প্রযুক্তিগতভাবে শুধু মনই ভিজে না, ওয়াইফাইও ভিজে যায়—যা ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণ। ইউটিউব ভিডিও লোড না হওয়া, ভিডিও কল ফ্রিজ করা বা ফেসবুকে লোডিং চিহ্ন ঘোরার মতো সমস্যা এই সময়ে অনেকেই ভোগেন। প্রযুক্তিগত এবং অবকাঠামোগত কিছু কারণে বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। তবে কিছু সহজ ব্যবস্থা নিলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
বৃষ্টিতে ইন্টারনেট ধীর হওয়ার ৫ কারণ
১. রেডিও ওয়েভে প্রতিবন্ধকতা (Signal Attenuation): মোবাইল ডেটা ও ওয়াইফাই মূলত রেডিও ওয়েভের মাধ্যমে কাজ করে। বৃষ্টির ফোঁটা এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে গেলে এই সিগন্যালগুলো দুর্বল হয়ে যায়, যার ফলে ইন্টারনেট স্পিড কমে যায়।
২. ফাইবার ওয়ারে সমস্যা: অনেক এলাকায় ব্যবহৃত ফাইবার অপটিক ক্যাবল বা ডিশ লাইনে বৃষ্টির পানি ঢুকলে বা আর্দ্রতা বাড়লে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ইন্টারনেট ট্রান্সমিশন বাধাগ্রস্ত হয়।
৩. ডিভাইসে আর্দ্রতা জমা: রাউটার, এক্সটেন্ডার বা স্যাটেলাইট ডিভাইসগুলো আর্দ্রতায় ভিজে গেলে সিগন্যাল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ধীরগতির ইন্টারনেটের সমস্যা দেখা দেয়।
৪. বিদ্যুৎ বিভ্রাট: বৃষ্টির সময়ে বিদ্যুৎ চলে গেলে টাওয়ার বা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের (আইএসপি) ব্যাকআপ দুর্বল থাকলে নেটওয়ার্ক ধীর হয়ে যায়।
৫. ব্যবহারকারীর চাপ: বৃষ্টির দিন মানুষ ঘরে বেশি থাকে এবং অনলাইনে সক্রিয় হয়। ফলে নেটওয়ার্কে একযোগে চাপ পড়ে এবং ইন্টারনেট স্পিড স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়।
ধীর ওয়াইফাইয়ের ৬টি সহজ সমাধান
১. রাউটার রিস্টার্ট: সিগন্যাল দুর্বল মনে হলে রাউটার রিস্টার্ট করলে অনেক সময় স্পিড ফিরে আসে।
২. রাউটারকে কেন্দ্রীয় স্থানে রাখুন: রাউটার এমন স্থানে রাখুন, যাতে সিগন্যাল ঘরে সমভাবে ছড়ায়। দেয়াল বা আর্দ্রতা সিগন্যালকে ব্লক করতে পারে।
৩. ব্যাকআপ পাওয়ার: রাউটার ও ফাইবার লাইন ইউপিএস (UPS) বা ব্যাকআপে রাখলে বিদ্যুৎ না থাকলেও ইন্টারনেট সচল থাকে।
৪. মোবাইলে ব্যান্ড পরিবর্তন: মোবাইলে 4G/5G ব্যবহার করার সময় LTE ব্যান্ড (যেমন Band 3/8 থেকে Band 40) পরিবর্তন করলে স্পিড বাড়তে পারে।
৫. আইএসপি’কে দিয়ে লাইন চেক করান: ফাইবার ক্যাবলে পানি ঢুকেছে কি না বা দুর্বল পয়েন্ট আছে কি না, তা পরীক্ষা করানো জরুরি।
৬. রেইন প্রটেকশন: রাউটার বা অন্যান্য ডিভাইসকে ভিজে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে ওয়েদারপ্রুফ কভার ব্যবহার করুন।
আইএসপি ইঞ্জিনিয়ার আরাফাত হোসেন বলেন, “বৃষ্টিতে ইন্টারনেট স্পিড কমার মূল কারণ হলো সিগন্যাল অ্যাটেনুয়েশন। হাই-কোয়ালিটি রাউটার ও ব্যাকআপ থাকলে সমস্যার সমাধান সম্ভব।”
Mily
মেটা আনছে নতুন চমক: সামাজিক মাধ্যমে থাকার জন্য এবার কি অর্থ দিতে হবে?
মার্ক জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠান মেটা যুক্তরাজ্যে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের বিজ্ঞাপনবিহীন সংস্করণ চালু করতে যাচ্ছে। ব্যক্তিগতকৃত বিজ্ঞাপন নিয়ে দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থার সতর্কতার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওয়েব ব্যবহারকারীদের জন্য সাবস্ক্রিপশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২.৯৯ পাউন্ড (প্রায় ৪৮৬ টাকা) এবং মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য ৩.৯৯ পাউন্ড (প্রায় ৬৪৯ টাকা)।
ব্যবহারের বিকল্প
মেটার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীরা এখন দুটি বিকল্প পাবেন। তারা চাইলে বিনা মূল্যের সংস্করণ ব্যবহার করতে পারবেন, তবে তাতে বিজ্ঞাপন দেখতে হবে। অন্যদিকে, নির্দিষ্ট মাসিক ফি দিয়ে বিজ্ঞাপনবিহীন অভিজ্ঞতা উপভোগ করা যাবে। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের অ্যাকাউন্ট একে অপরের সঙ্গে যুক্ত থাকলে শুধু একটি ফি দিয়েই উভয় প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যাবে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সাবস্ক্রিপশন সেবা ধাপে ধাপে চালু হবে।
ইউরোপে বিতর্ক ও যুক্তরাজ্যে সমর্থন
এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) মেটা একই ধরনের সাবস্ক্রিপশন সেবা চালু করেছিল। কিন্তু ইউরোপীয় কমিশন জানায় যে, মেটা ‘ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট’ লঙ্ঘন করেছে এবং সে কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ২০০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করা হয়। কমিশনের অভিযোগ ছিল, মেটা বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহারকারীর কম তথ্য ব্যবহার করে বিনা মূল্যের সংস্করণ চালু করতে পারত, কিন্তু তা করেনি।
তবে যুক্তরাজ্যের তথ্য অধিকার সংস্থা ইনফরমেশন কমিশনার অফিস (আইসিও) মেটার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। আইন সংস্থা টিএলটির অংশীদার গ্যারেথ ওলডেইল বলেন, মেটার এই মডেল যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল অর্থনীতিতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের ইঙ্গিত দেয় এবং এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অবস্থানের পার্থক্য আরও বাড়াল।
সাবধান! ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করছে যে ৫ ধরনের অ্যাপ
আপনার স্মার্টফোনে থাকা কিছু বিপজ্জনক অ্যাপ আপনার অজান্তেই ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নিচ্ছে। এসব অ্যাপস সাধারণত ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার বহন করে, যা আপনার ডিভাইসের অ্যাক্সেস পেয়ে যায় এবং আর্থিক ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য চরম ঝুঁকি তৈরি করে। আপনার ফোনকে নিরাপদ রাখতে এই ধরনের অ্যাপসগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ডিলিট করা জরুরি।
তথ্য চুরি এবং বিপজ্জনক অ্যাপ চিহ্নিত করার উপায়
যে অ্যাপগুলো আপনার তথ্য চুরি করে, তাদের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকে। যেমন, কোনো সাধারণ অ্যাপ (যেমন টর্চলাইট) যদি আপনার কন্টাক্টস, মাইক্রোফোন বা ক্যামেরা অ্যাক্সেসের অনুমতি চায়, তাহলে সতর্ক হতে হবে। এছাড়াও, এই অ্যাপগুলোতে অতিরিক্ত এবং বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয় এবং ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়। যদি গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের বাইরে থেকে কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করা হয়, তাহলে ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
যে পাঁচ ধরনের অ্যাপ সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক:
১. ক্লিনার/অ্যাক্সিলারেটর অ্যাপস: অনেক ফ্রি "ফোন ক্লিনার" অ্যাপ আসলে আপনার ফোন দ্রুত করার পরিবর্তে ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ করে।
২. ফ্রি ভিপিএন (VPN) অ্যাপস: কিছু ফ্রি ভিপিএন অ্যাপ আপনার ইন্টারনেট কার্যকলাপ ট্র্যাক করে এবং সেই ডেটা বিক্রি করে দেয়।
৩. নকল বা ক্লোন অ্যাপস: জনপ্রিয় অ্যাপের নকল বা ক্লোন সংস্করণে ম্যালওয়্যার লুকিয়ে থাকে।
৪. ফ্ল্যাশলাইট/টর্চ অ্যাপস: কিছু টর্চ অ্যাপ অপ্রয়োজনীয়ভাবে আপনার ক্যামেরা, মাইক্রোফোন বা লোকেশন অ্যাক্সেস চায়।
৫. থার্ড-পার্টি কীবোর্ড অ্যাপস: কিছু ফ্রি কীবোর্ড অ্যাপ আপনার টাইপ করা প্রতিটি শব্দ রেকর্ড করতে পারে, যার মধ্যে আপনার পাসওয়ার্ডও থাকতে পারে।
ফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে করণীয়
আপনার ফোনের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিন:
দ্রুত ডিলিট করুন: সন্দেহজনক বা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস দ্রুত আনইনস্টল করুন।
পারমিশন যাচাই করুন: প্রতিটি অ্যাপ কী কী পারমিশন ব্যবহার করছে, তা পরীক্ষা করুন এবং সন্দেহজনক পারমিশন বন্ধ করে দিন।
অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার: ফোনে একটি বিশ্বস্ত অ্যান্টিভাইরাস বা ম্যালওয়্যার সুরক্ষা অ্যাপ ব্যবহার করুন।
অফিসিয়াল স্টোর: অ্যাপস ডাউনলোডের জন্য শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর ব্যবহার করুন।
নিয়মিত আপডেট: আপনার ফোন এবং অ্যাপগুলো নিয়মিত আপডেট রাখুন।
মানবদেহে নতুন অঙ্গের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা: ক্যানসার চিকিৎসায় আশার আলো
মানুষের শরীরে নতুন একটি অঙ্গের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নেদারল্যান্ডসের একদল বিজ্ঞানী প্রস্টেট ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে মানুষের গলার ভেতর লুকিয়ে থাকা এই লালা গ্রন্থিটি আবিষ্কার করেছেন। এই নতুন অঙ্গটির নাম দেওয়া হয়েছে টিউবারিয়াল স্যালিভারি গ্রন্থি (Tubarial Salivary Glands)।
আবিষ্কারের বিস্তারিত
গবেষকদের মতে, এই গ্রন্থিগুলো মানুষের ন্যাসোফ্যারিংস অঞ্চলে অবস্থিত, যা নাকের পিছনের অংশ এবং গলার উপরের অংশকে ঘিরে থাকে। মানবদেহের এই অংশটি দীর্ঘকাল ধরে পর্যবেক্ষণ করা হলেও, এই বিশেষ লালা গ্রন্থিগুলো আগে কখনও শনাক্ত করা যায়নি।
নেদারল্যান্ডস ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা অন্তত ১০০ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এই গ্রন্থিগুলোর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। তারা মনে করছেন, এই আবিষ্কার কেবল মানবদেহের শারীরবৃত্তীয় জ্ঞানের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্যও এটি একটি বড় অগ্রগতি।
ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা
এই আবিষ্কার ক্যানসারের চিকিৎসায়, বিশেষ করে রেডিয়েশন থেরাপি-র ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। সাধারণত, মাথা ও গলার ক্যানসারে রেডিয়েশন থেরাপি ব্যবহার করা হয়। এ সময় রোগীদের যাতে কথা বলতে বা খাবার চিবোতে সমস্যা না হয়, সে জন্য প্রধান লালাগ্রন্থিগুলোকে বাঁচিয়ে চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু এতদিন বিজ্ঞানীরা এই নতুন আবিষ্কৃত আণুবীক্ষণিক লালা গ্রন্থিগুলোর বিষয়ে অবগত ছিলেন না। ফলে এগুলো রেডিয়েশনের কবল থেকে বাঁচত না, যার কারণে রোগীদের মুখে ও গলায় শুষ্কতা এবং অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিত।
গবেষণার প্রধান বিজ্ঞানীরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, ভবিষ্যতে এই নতুন গ্রন্থিগুলোর অবস্থান সম্পর্কে সচেতন থাকলে রেডিয়েশনের সময় রোগীদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানো সম্ভব হবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। এই আবিষ্কার মানবদেহের গঠন ও কার্যকারিতা সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়াকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। বিজ্ঞানীরা এখন এই গ্রন্থিগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা চালাচ্ছেন।
চীনের চমকপ্রদ আবিষ্কার: চাঁদের পৃষ্ঠে তৈরি হবে ইট, নির্মাণ হবে সড়ক ও অবকাঠামো
চীনা গবেষকরা এমন এক যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন, যা চাঁদের মাটি গলিয়ে ইট বানাতে পারবে। আনহুই প্রদেশের হফেই শহরে চলমান ২০২৫ ওয়ার্ল্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কনভেনশনে একটি মহাকাশ প্রযুক্তি গবেষণাগার এই চমকপ্রদ আবিষ্কার নিয়ে এসেছে।
সূর্যালোক ব্যবহার করে ইট তৈরি
যন্ত্রটি চাঁদের পৃষ্ঠে পড়া সূর্যের তাপকে বিশেষভাবে ১ হাজার ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পরিণত করে চাঁদের ঝুরঝুরে মাটি গলিয়ে দিতে পারবে। সেটাকেই পরে রূপ দেওয়া হবে ইটে। এভাবে তৈরি ইট দিয়ে চাঁদে তৈরি হবে সড়ক ও অবকাঠামো, যা ভবিষ্যৎ চন্দ্র গবেষণা স্টেশন নির্মাণের কাজ সম্ভব করবে।
হফেইয়ের ডিপ স্পেস এক্সপ্লোরেশন ল্যাবরেটরি জানিয়েছে, এ যন্ত্রে প্যারাবলিক রিফ্লেক্টর ও ফাইবার-অপটিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে, যা সূর্যালোকের ঘনত্ব স্বাভাবিকের চেয়ে তিন হাজার গুণ বাড়াতে পারে। চাঁদের বিভিন্ন ধরনের মাটির সঙ্গে যন্ত্রটির কার্যকারিতা যাচাই করতে গবেষকরা একাধিক সিমুলেটেড লুনার সয়েল তৈরি করে সফলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন।
চীনের আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণা স্টেশন পরিকল্পনা
ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন নির্মাণ পরিকল্পনা নিয়েছে চীন। এর প্রথম ধাপের কাজ শেষ হবে ২০৩৫ সালের মধ্যে—চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে। ২০৪০-এর দশকে হবে এর বাকি অংশ।
ওই সম্মেলনে আরও দেখানো হয়েছে, রকেটের জন্য পুনঃব্যবহারযোগ্য হিট শিল্ড, চিপ তৈরির কম্পিউটেশনাল লিথোগ্রাফি প্ল্যাটফর্ম, নন-ইনভেসিভ ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেস সিস্টেম এবং বুদ্ধিমান রোবট প্রযুক্তির সর্বজনীন প্ল্যাটফর্ম।
সূত্র : সিএমজি
আপনার ফোন কি হ্যাক হয়েছে? ক্যামেরা-মাইক্রোফোন থেকে নজরদারির লক্ষণ ও সুরক্ষার উপায়
ইন্টারনেট যুক্ত যেকোনো ডিভাইসের মতো স্মার্টফোনও হ্যাকের শিকার হতে পারে। হ্যাকাররা আপনার ফোনে অনুপ্রবেশ করলে ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন ব্যবহার করে গোপনে নজরদারি চালাতে পারে। কীভাবে তারা অনুপ্রবেশ করে এবং কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হওয়া উচিত, তা নিচে সংকলন করা হলো।
হ্যাকাররা যেভাবে ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন নিয়ন্ত্রণ নেয়
হ্যাকাররা বিভিন্ন উপায়ে আপনার স্মার্টফোনে প্রবেশ করে ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে:
ম্যালওয়্যার/স্পাইওয়্যার: ফিশিং ইমেল, জাল অ্যাপ বা ক্ষতিকারক ওয়েবসাইট থেকে ইনস্টল হওয়া সফটওয়্যার ফোনে গোপনে চলতে পারে।
অনিরাপদ অ্যাপস: অপ্রয়োজনীয় পারমিশন (অনুমতি) চাওয়া কোনো অ্যাপ হ্যাকারের কাজে লাগতে পারে।
ফিশিং স্ক্যাম: মিথ্যা লিংকে ক্লিক করালে স্পাইওয়্যার আপনার ফোনে ঢুকে যেতে পারে।
নেটওয়ার্ক আক্রমণ: নিরাপত্তাহীন পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে ডেটা চুরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
সরাসরি অ্যাকসেস: কেউ আপনার ফোন সরাসরি হাতে নিয়ে সহজে স্পাইওয়্যার ইনস্টল করে দিতে পারে।
হ্যাক হওয়ার সম্ভাব্য লক্ষণ
মাইক্রোফোন সম্পর্কিত লক্ষণ:
কলের পেছনে অস্বাভাবিক যান্ত্রিক শব্দ শোনা।
ব্যাটারি দ্রুত খালি হওয়া।
ফোন ব্যবহার না করলেও ঠান্ডা/অস্বাভাবিক গরম হওয়া।
মাইক্রোফোন ইঙ্গিতক (ইন্ডিকেটর) লাইট আকস্মিক জ্বলা।
ডেটা খরচ অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যাওয়া।
ক্যামেরা সম্পর্কিত লক্ষণ:
ক্যামেরা ইন্ডিকেটর লাইট আকস্মিক জ্বলা।
গ্যালারিতে অজানা ছবি বা ভিডিও পাওয়া।
ক্যামেরা অ্যাপ ধীর বা ক্র্যাশ করা।
কোনো অ্যাপ আকস্মিকভাবে ক্যামেরা অ্যাক্সেস চাইছে।
কীভাবে নিরাপদ থাকবেন—প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
স্মার্টফোনকে হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত রাখতে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি:
অ্যাপ পারমিশন চেক: নিয়মিত অ্যাপ পারমিশন চেক করুন; প্রয়োজন ছাড়া ক্যামেরা/মাইক্রোফোন ব্যবহারের অনুমতি সরিয়ে দিন।
শক্ত পাসওয়ার্ড ও বায়োমেট্রিক: শক্ত পাসওয়ার্ড ও বায়োমেট্রিক (ফেস আইডি/ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহার করুন।
অফিসিয়াল স্টোর: কেবলমাত্র অফিসিয়াল স্টোর (গুগল প্লে/অ্যাপ স্টোর) থেকে বিশ্বস্ত অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
সিকিউরিটি অ্যাপ: বিশ্বস্ত সিকিউরিটি অ্যাপ ইন্সটল করুন ও স্ক্যান চালান।
ক্যামেরা কভার: ক্যামেরা ব্যবহার না হলে স্টিকার বা কভার লাগিয়ে রাখুন।
২-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA): ২-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সক্রিয় করুন।
নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট: নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট রাখুন।
ফিশিং সতর্কতা: সন্দেহজনক লিংক/মেসেজ এড়িয়ে চলুন।
ভিপিএন ব্যবহার: পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে ভিপিএন ব্যবহার করুন।
অ্যান্টিট্রাস্ট চাপে আবারও আদালতে গুগল
বিশ্বের শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিন গুগল আবারও মার্কিন আদালতে নতুন পরীক্ষার মুখে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে) এক বিচারকের কাছে গুগলের বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি ব্যবসা (Ad Tech Business) ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিতে আবেদন করেছে। এটি চলতি বছরে গুগলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বড় অ্যান্টিট্রাস্ট চ্যালেঞ্জ। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ক্যালিফোর্নিয়ার এক বিচারক গুগলের সাম্রাজ্য ভাগ করার আরেকটি সরকারি দাবিকে খারিজ করে দেন।
নতুন মামলাটি গুগলের বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। এটি এমন এক "স্ট্যাক" বা টুলসেট যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট মালিকরা বিজ্ঞাপন বিক্রি করে এবং বিজ্ঞাপনদাতারা সেগুলো কিনে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ফেডারেল বিচারক লিওনি ব্রিঙ্কেমা রায় দিয়েছিলেন যে গুগল এই বাজারে বেআইনিভাবে একচেটিয়া দখল বজায় রেখেছে। এখন আদালত ঠিক করবে, গুগলকে কী ধরনের শাস্তি বা কাঠামোগত পরিবর্তন মেনে নিতে হবে তাদের একচেটিয়া অবস্থান ভাঙতে।
সরকারি আইনজীবীরা আদালতে বলবেন, গুগলকে বিজ্ঞাপন প্রকাশক (Ad Publisher) এবং এক্সচেঞ্জ পরিচালনার ব্যবসা থেকে আলাদা করতে হবে। পাশাপাশি, গুগলকে অন্তত ১০ বছর বিজ্ঞাপন এক্সচেঞ্জ পরিচালনা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিতে হবে। তবে গুগল বলছে, এই দাবিগুলো আদালতের পূর্ববর্তী রায়ের সীমা ছাড়িয়ে গেছে, প্রযুক্তিগতভাবে জটিল এবং ছোট ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
গুগলের ভাইস প্রেসিডেন্ট (রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স) লি-অ্যান মুলহল্যান্ড বলেন, “শুরু থেকেই আমরা বলছি যে ডিওজে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন কিভাবে কাজ করে তা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে এবং উপেক্ষা করছে যে এই বাজারে এখন অনেক প্রতিযোগী এবং নতুন খেলোয়াড় এসেছে।”
এদিকে ইউরোপীয় কমিশন সম্প্রতি গুগলকে ২.৯৫ বিলিয়ন ইউরো (৩.৪৭ বিলিয়ন ডলার) জরিমানা করেছে বিজ্ঞাপন বাজারে একচেটিয়া দখলের অভিযোগে। তবে ব্রাসেলস গুগলের কিছু আচরণগত পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ বিভাজনের পথে না হাঁটায় সমালোচনা হয়েছে।
এই মামলার "রেমেডি ফেজ" বা প্রতিকারমূলক ধাপ চলবে প্রায় এক সপ্তাহ। এরপর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শুনবে আদালত।
এটি এমন এক সময়ে শুরু হচ্ছে যখন আরেকটি মামলায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার গুগলের ক্রোম ব্রাউজার বিক্রির দাবি জানিয়েছিল, কিন্তু আদালত সেটি খারিজ করে দেয়—যা গুগলের জন্য বড় জয় হিসেবে দেখা হয়। ঐ মামলায় গুগলকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তথ্য ভাগ করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও ব্যবসা বিভাজনের প্রয়োজন হয়নি।
গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের শেয়ার মূল্য ওই রায়ের পর ২০ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে। বিচারক ব্রিঙ্কেমা জানিয়েছেন, তিনি সার্চ-সংক্রান্ত মামলার ফলাফল খতিয়ে দেখেই এই মামলায় নিজের সিদ্ধান্ত নেবেন।
এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সরকারের চলমান ব্যাপক অ্যান্টিট্রাস্ট অভিযানের অংশ। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে গুগলসহ শীর্ষ পাঁচ প্রযুক্তি জায়ান্টের বিরুদ্ধে একাধিক অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা চলছে।
-এস এম শাহিদ
আইফোন ১৭ এখন বাংলাদেশে: কিনতে গেলে যে ঝুঁকিগুলো জেনে রাখা জরুরি
আইফোন ১৭ সিরিজের বাংলাদেশে আগমন: ‘সবচেয়ে বড় অগ্রগতি’ ও গ্রে মার্কেট ঝুঁকিঅ্যাপল ২০০৭ সালে প্রথম আইফোন উন্মোচন করার পর থেকে নানা পরিবর্তন এনেছে। তবে এবার আইফোন ১৭ সিরিজকে ‘সবচেয়ে বড় অগ্রগতি’ হিসেবে দাবি করেছেন অ্যাপল প্রধান টিম কুক। নতুন ডিজাইনের পাশাপাশি ক্যামেরার মান ও পারফরম্যান্সের গতি বাড়িয়ে আইফোন ১৭ সিরিজ এখন বাংলাদেশের জনপ্রিয় স্মার্টফোন বাজারগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। দাম তুলনামূলক বেশি হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ স্পষ্টভাবে চোখে পড়ছে।
আইফোন ১৭-এর দাম ও বাজার পরিস্থিতি
বর্তমানে আইফোন ১৭ (২৫৬ জিবি) বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে। আইফোন ১৭ প্রো মডেলের দাম রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে। আর সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্সের দাম পেরিয়ে গেছে ২ লাখ টাকা।
তবে জানা যায়, আগামী কয়েক সপ্তাহে সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত নামতে পারে।
গ্রে মার্কেট থেকে আইফোন কেনার ঝুঁকি
নতুন আইফোন ১৭ কেনার আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে, বিশেষ করে গ্রে মার্কেট থেকে কেনার সময়। গ্রে মার্কেট থেকে আইফোন কেনার ক্ষেত্রে যেসব ঝুঁকি দেখা দিতে পারে:
অফিসিয়াল ওয়ারেন্টির অভাব: বিদেশ থেকে কেনা আইফোনে বাংলাদেশে অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ফোন নষ্ট হলে অ্যাপলের অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে মেরামতের সুযোগ পাওয়া যায় না।
ভুয়া বা রিফার্বিশড হওয়ার ঝুঁকি: অনেক সময় আসল মডেলের সঙ্গে নকল বা পুনর্নির্মিত (রিফার্বিশড) সেট মিশে যেতে পারে।
সফটওয়্যার আপডেটের সীমাবদ্ধতা: কিছু মডেলে ভবিষ্যতে সফটওয়্যার বা নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিতে পারে। ৫জি / এলটিই / ৪জি ব্যান্ডগুলো ভালোভাবে কাজ করছে কি না দেখতে হবে। কিছু বিদেশি ইউনিটে স্থানীয় ব্যান্ড সাপোর্ট নাও থাকতে পারে।
অতিরিক্ত খরচ: অফিসিয়াল রিটেইলার/অথরাইজড ডিলার হলে প্রাইস একটু বেশি হতে পারে। এছাড়া অফিসিয়াল সাপোর্ট না থাকায় রিপেয়ারিং বা পার্টস পরিবর্তনে বাড়তি খরচ বহন করতে হয়।
সীমিত বিক্রয়োত্তর সেবা: ট্রাবলশুটিং বা টেক সাপোর্টের ক্ষেত্রে ভোক্তাদের সম্পূর্ণভাবে রিসেলারদের ওপর নির্ভর করতে হয়।
বিশ্ববাজার ও বাংলাদেশের সম্ভাবনা
বিশ্ববাজারে আইফোন ১৭ সিরিজ ইতোমধ্যেই দারুণ সাড়া জাগিয়েছে, বিশেষ করে চীন, মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতীয় বাজারে। এর মধ্যে প্রো ম্যাক্স মডেল বিক্রির শীর্ষে রয়েছে। বাংলাদেশে এখনো অফিসিয়াল লঞ্চ না হলেও আইফোন ১৭-এর আগমন প্রমাণ করে দিয়েছে, অ্যাপলের জন্য এ দেশ একটি সম্ভাবনাময় বাজার। গ্রে মার্কেটে ক্রেতাদের উচ্ছ্বাসই পরিষ্কার করে দিচ্ছে—এখানে ব্র্যান্ডটির প্রভাব যথেষ্ট শক্তিশালী।
সূত্র : জুমবাংলা
পাঠকের মতামত:
- শনি গ্রহের চাঁদ এনসেলাডাসে প্রাণের উপাদান খুঁজে পেল নাসা
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ ঘণ্টা তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- তাসনিম জারাকে নিয়ে অনলাইন হয়রানির নেপথ্যে কারা?
- আজকের রাশিফল: ১ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?
- চুল পাকা? নামীদামি কলপ নয়, নারকেল তেলে এই ১ চামচ দিলেই ম্যাজিক!
- আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই প্রত্যাহার হচ্ছে না: আইন উপদেষ্টা
- আজ দেশের ১০ জেলার ওপর দিয়ে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- নিষেধাজ্ঞার আলোচনার মাঝে সাকিব পেলেন বিরাট সুখবর
- ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’: আধুনিক প্রযুক্তিতে এবার প্রবাসীরাও ভোট দিতে পারবেন
- বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ক্ষুব্ধ তামিম, নেপথ্যে কি?
- রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান কেবল মিয়ানমারেই সম্ভব: জাতিসংঘে ফিলিপ্পো গ্রান্ডি
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- আগামীকালের সেহরি, ইফতার ও নামাজের সময়সূচী
- সাবধান! শিশুদের মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের ৮টি লক্ষণ
- বাঁচা-মরার লড়াই সামনে, কোচের ভাগ্য নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
- ড. ইউনূসের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা সম্মেলন: মূল এজেন্ডা স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন
- গাজার উপকূলে ত্রাণবাহী নৌবহর: ২০০ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে প্রবেশ করল
- ফাঁদ নাকি মুক্তি? ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে ফিলিস্তিন কি মুক্তি পাবে?
- ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি: সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ মৃত্যু
- জিন চিকিৎসা’র নামে প্রতারণা: জয়পুরহাটে রমরমা ব্যবসা
- যে সাগরে কেউ ডুবে না, কেন সেখানে লুকিয়ে আছে এক অভিশপ্ত ইতিহাস?
- দিনে তিনি কানাডায় সাধারণ মালি, রাতে আফ্রিকার এক গোত্রের রাজা!
- দুই দল পেল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন, অংশ নিতে পারবে আগামী নির্বাচনে
- রহস্যময় পাণ্ডুলিপি কোডেক্স জাইগাস: কেন এটি ‘শয়তানের বাইবেল’ নামে পরিচিত?
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে রপ্ত করুন এই একটি অভ্যাস
- ফাইনালে খেলতে না পারাটা ছিল ভীষণ কষ্টের: চোট নিয়ে লিখলেন লিটন দাস
- বিদেশ থেকে চলছে ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র: শফিকুল আলম
- ক্রিকেট বিশ্বে সৌদির আলোড়ন: আইএল টি-টোয়েন্টির সঙ্গে কৌশলগত জোট
- ড. ইউনূস চাইলে আওয়ামী লীগের প্রধান হতে পারেন: রাশেদ খান
- মুখের যে জায়গার ব্রণ ভুলেও ফাটাবেন না
- বর্ষায় কাপড় শুকানোর ৫টি জরুরি কৌশল, দূর হবে স্যাঁতসেঁতে গন্ধ
- পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে দেশের মানুষ: সালাহউদ্দিন আহমদ
- পাকিস্তানে ভয়াবহ বোমা হামলা, অভিযোগ ভারতের দিকে
- গাজা শান্তি পরিকল্পনা: ট্রাম্পের ২১-দফা প্রস্তাবে ভারত ও ইসরায়েল
- আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন? বলে দেবে হাতের আঙুলের দৈর্ঘ্য
- যে কোনো সময় সচল হতে পারে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম: ড. ইউনূস
- ভূতের সঙ্গে যোগাযোগ: ভিক্টোরিয়ান যুগে ব্যবহৃত ৪টি রহস্যময় সরঞ্জাম
- বিস্কুটের টিন দিয়ে তৈরি টিভি, প্রথম যে মানুষটিকে দেখা গিয়েছিল পর্দায়
- রক্তনালী পরিষ্কার করবে যে ৫ খাবার
- ডিএসইতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরার ইঙ্গিত দিল মঙ্গলবারের লেনদেন
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডায়েট বা জিম নয়, এই ৭ অভ্যাসেই কমবে পেটের চর্বি
- ১৮ মাস লাগছে কেন? সমালোচনার জবাবে ড. ইউনূসের ব্যাখ্যা
- বাংলাদেশকে কারও উপনিবেশ বানাতে দেওয়া হবে না: রিজভী
- ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত: অর্থ উপদেষ্টার
- এডিবি’র প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস
- গাজায় শান্তির নকশা না নতুন জটিলতা? ট্রাম্প–নেতানিয়াহুর ২০ দফা পরিকল্পনা
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় কেন? সমাধান জেনে নিন
- ‘আমাকে আলাদা করে তুলে ধরার চেষ্টা হয়নি’: ডা. তাসনিম জারা
- খাগড়াছড়ি-গুইমারায় সহিংসতা: সেনাবাহিনীর বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ফার্মগেটে ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটক অর্ধশত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- বিয়ে করতে গিয়ে বিপত্তি: ‘প্রথম স্ত্রীর’ হাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- বলিউডের শক্তিশালী কণ্ঠস্বর: নারী অধিকার ও পরিবেশ রক্ষায় সোচ্চার তারকারা
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- বাংলাদেশের সামনে ১৬৯ রানের লক্ষ্য দিল ভারত