১৬ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন নাম ঘোষণা

বাংলাদেশে ১৬টি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এবং কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা এবং তাদের স্বজনদের নাম এসব প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন নামকরণের জন্য কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা জারি করেছে, যা একযোগভাবে প্রযোজ্য হবে প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইনবোর্ড, ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য প্রকাশনার ক্ষেত্রে।
প্রাথমিকভাবে, গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুসারে, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, বরিশাল এবং পাবনা জেলার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:
-
রাজবাড়ীর বালিকান্দির শেখ কামাল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিবর্তন হয়ে হয়েছে বালিয়াকান্দি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
-
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিবর্তন হয়ে হয়েছে টুঙ্গিপাড়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
-
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিবর্তন হয়ে হয়েছে ভেদরগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
-
বরগুনার আমতলির শেখ হাসিনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিবর্তন হয়ে হয়েছে আমতলী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
-
বরিশালের হিজলার দেশরত্ন শেখ হাসিনা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিবর্তন হয়ে হয়েছে হিজলা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
-
পাবনার সাঁথিয়ার শহীদ শেখ রাসেল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিবর্তন হয়ে হয়েছে সাঁথিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
এছাড়া, আরো কিছু নাম পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে। যেমন:
-
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রয়াত সদস্য মো. রেজাউল করিম তালুকদারের নাম বাদ দিয়ে শিবচর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামকরণ করা হয়েছে।
-
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রহমানের মায়ের নাম বাদ দিয়ে বোয়ালমারী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামকরণ করা হয়েছে।
-
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরীর নাম বাদ দিয়ে গোয়ালন্দ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামকরণ করা হয়েছে।
-
প্রয়াত পানিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নাম বাদ দিয়ে ডামুড্যা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামকরণ করা হয়েছে।
এছাড়া, মৌলানা আছাদ আলীর নাম বাদ দিয়ে মাধবপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আবু শারাফ সাদেকের নাম বাদ দিয়ে কেশবপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এবং মোহাম্মদ বায়তুল্লাহর নাম বাদ দিয়ে পত্নীতলা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামকরণ করা হয়েছে।
প্রথমবারের মতো, ঠাকুরগাঁওয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম বাদ দিয়ে ঠাকুরগাঁও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রাখা হয়েছে, যা ছিল প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নামে।
এছাড়া, শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দেশনা এসেছে, যা হলো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড, ওয়েবসাইট, এবং অফিসিয়াল নথিপত্রে নতুন নাম ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। এই পরিবর্তনের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর গত ৬ মে এক আদেশ জারি করে, ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে নতুন নামকরণের জন্য সাইনবোর্ড, ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য প্রকাশনায় সঠিক তথ্য সন্নিবেশনের নির্দেশনা প্রদান করেছে। এছাড়া, ২৪ এপ্রিল ২১টি প্রতিষ্ঠানসহ আরো কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল, যাতে আওয়ামী লীগ নেতা, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়।
এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ, যার লক্ষ্য সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নামের মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দলের প্রভাব প্রতিস্থাপন বন্ধ করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি নিরপেক্ষ এবং আদর্শ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।
এখন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন পরিচিতি দেওয়ার মাধ্যমে এই পরিবর্তন বাস্তবায়িত হচ্ছে।
নৌকা উপহার ঘিরে ফেসবুকে ফাওজুল কবিরের ব্যাখ্যা
ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সালদানি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে একটি নৌকার মডেল উপহার দিয়েছেন। এই উপহারটি দেওয়া হয় গত ১ নভেম্বর আলজেরিয়ার বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনোনয়নক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন, রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে উপহারটি কূটনৈতিক সৌজন্যের অংশ হিসেবে প্রদত্ত।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে এই উপহারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা ও সমালোচনা দেখা যায়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কি কারণে একজন সরকারি উপদেষ্টা এমন উপহার গ্রহণ করেছেন এবং এর রাজনৈতিক বা নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে কোনো প্রভাব আছে কি না। এ নিয়ে বিভ্রান্তি প্রতিরোধের জন্য মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান নিজেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন।
ফেসবুকে প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, উপহারটি ‘পালতোলা দাঁড় পরিচালনাকারী মাঝিসহ নৌকা’ আকারের। তিনি জোর দিয়ে স্পষ্ট করেছেন, এই নৌকার মডেলটি কোনো রাজনৈতিক বা নির্বাচনী প্রতীক বহন করে না। এটি কেবল কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রদত্ত, এবং রাষ্ট্রদূত বা দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা প্রভাব সৃষ্টি করার জন্য নয়।
উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি এখন উপহারটি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চারটি বিকল্প বিবেচনা করছেন। প্রথম বিকল্প হলো এটি সরাসরি আলজেরিয়ার দূতাবাসে ফেরত পাঠানো, যা কূটনৈতিক দিক থেকে নিখুঁত হলেও কিছু ক্ষেত্রে অসৌজন্যমূলক বা হীনমন্যতার তত্ত্বও সৃষ্টি করতে পারে। দ্বিতীয় বিকল্প হলো সরকারি তোশাখানায় জমা রাখা, যা সরকারি দপ্তরীয় প্রটোকলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তৃতীয় বিকল্প হলো শৈলান প্রবীণ নিবাসে সংরক্ষণ করা, যা ব্যক্তিগতভাবে উপহারের ঐতিহাসিক ও প্রতীকী মূল্য ধরে রাখবে। চতুর্থ বিকল্প হলো উপহারটি নিজে রেখে দেওয়া, যা কেবল কূটনৈতিক সৌজন্য হিসেবে গ্রহণের অর্থ বহন করবে এবং ব্যক্তিগত স্মৃতিচিহ্ন হিসেবেও থাকবে।
ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, উপহারটি কোনো ব্যয়বহুল বা মূল্যবান বস্তু নয়। এটি সম্পূর্ণ প্রতীকী এবং কূটনৈতিক বিনিময় হিসেবে প্রদত্ত। তিনি জনসাধারণের ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চেয়ে বলেন, তিনি এই বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন যাতে বিতর্ক, ভুল বোঝাবুঝি বা রাজনৈতিক ব্যাখ্যার সুযোগ সৃষ্টি না হয়।
উপদেষ্টার পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এই উপহার গ্রহণ বা সংরক্ষণে কোনো রাজনৈতিক বা নির্বাচনী ইঙ্গিত নেই। এটি কেবল কূটনৈতিক সৌজন্যের অংশ এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রাখার একটি আনুষ্ঠানিক দিক। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, তার নেওয়া সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করা হবে এবং ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো সম্ভব হবে।
-শরিফুল
আঞ্চলিক শান্তি-নিরাপত্তায় যৌথ উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিল ঢাকা–দোহা
বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে—এমন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বে কোনো হুমকি দেখা দিলে বাংলাদেশ সবসময় কাতারের পাশে থাকবে।
শনিবার বাহরাইনে অনুষ্ঠিত ২১তম IISS মানামা সংলাপের অবকাশে কাতারের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আশ্বাস দেন তিনি। বৈঠকের তথ্য এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে রাজনৈতিক সমন্বয়, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব, জ্বালানি সহযোগিতা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কাতারের অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। একই সঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কাতারের সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকার প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরেকটি বৈঠকে অংশ নেন এশিয়ার আস্থাবর্ধক ও সহযোগিতা বিষয়ক সম্মেলন (CICA)-এর মহাসচিবের সঙ্গে। সেখানে তিনি রাজনৈতিক সংলাপ, আঞ্চলিক শান্তি এবং সহযোগিতা বাড়াতে সংগঠনের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি উল্লেখ করেন, সহযোগিতাপূর্ণ বহুপাক্ষিক কাঠামোই বর্তমানে এশিয়া অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পূর্বশর্ত।
উল্লেখ্য, উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ২১তম মানামা সংলাপে অংশ নিচ্ছেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নীতিনির্ধারকেরা মধ্যপ্রাচ্যসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা, সামরিক সহযোগিতা এবং মানবিক সংকট নিয়ে গভীর আলোচনা করছেন।
-নাজমুল হাসান
প্রবাসী ও বিনিয়োগে নতুন দিগন্ত: বাহরাইনের কাছে ভিসা সুবিধা চাইল বাংলাদেশ
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যবসায়ী, পেশাজীবী এবং দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীদের জন্য বাহরাইনে ভিসা প্রক্রিয়া পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এতে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ এবং অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা আরও জোরদার হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শনিবার বাহরাইনে চলমান ২১তম IISS মানামা সংলাপের অবকাশে বাহরাইনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা আদেল বিন খলিফা আল ফাদেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ জানান। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাহরাইনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ফ্যামিলি ভিসা প্রদান সহজতর করার অনুরোধও জানান। তিনি বলেন, কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা পাশে থাকতে পারলে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হবে, তাদের মানসিক প্রশান্তি বাড়বে এবং উৎপাদনশীলতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
এর জবাবে, বাহরাইনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের কর্মীদের অবদানকে মূল্যায়ন করে বলেন, দেশটির অর্থনীতিতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, ধাপে ধাপে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালুর বিষয়ে তাদের সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
বৈঠকে অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত নাগরিকদের নিজ দেশে শাস্তি ভোগের সুযোগ দেওয়ার জন্য দুই দেশের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর চুক্তি করার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়। এতে মানবিক বিবেচনা এবং আইনগত সহযোগিতা উভয় দিকই মজবুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বর্তমানে ২১তম মানামা সংলাপে অংশ নিচ্ছেন। এই বৈশ্বিক নিরাপত্তা সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের নেতা,মন্ত্রী ও নীতি–নির্ধারকেরা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, কৌশলগত সম্পর্ক এবং মানবিক সংকটসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন।
-আলমগীর হোসেন
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি নিশ্চিতেই জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ: মানামা সংলাপে তৌহিদ হোসেন
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। শনিবার বাহরাইনে অনুষ্ঠিত ২১তম IISS মানামা সংলাপের অবকাশে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুললতিফ বিন রশিদ আল জায়ানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক শান্তি, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সংলাপ বৃদ্ধিতে বাহরাইনের গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা শুধু অঞ্চলের জন্যই নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ ও বাহরাইনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তুলে ধরে তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদারের আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এ অঞ্চলে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে তিনি আগামী ২০২৫ সালে ঢাকা অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ–বাহরাইন রাজনৈতিক পরামর্শের দ্বিতীয় বৈঠক আয়োজনের ইচ্ছা জানান এবং বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, এই পরামর্শ বৈঠক ভবিষ্যৎ সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
উল্লেখ্য, উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বর্তমানে ২১তম মানামা সংলাপে অংশ নিচ্ছেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীতি–নির্ধারক, মন্ত্রী ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করছেন। মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত পরিস্থিতি, সমুদ্র নিরাপত্তা, জ্বালানি স্থিতিশীলতা ও মানবিক সংকট মোকাবিলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এ বছরের সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে।
-নাজমুল হাসান
জুলাই সনদ নিয়ে সরকারের মধ্যস্থতা, গোপন আলোচনায় কী ঘটছে
জুলাই জাতীয় সনদ ও গণভোটকে কেন্দ্র করে দেশের তিন প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি, জামায়াত এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। সনদ বাস্তবায়ন, নির্বাচন সময়সূচি ও সরকারের নিরপেক্ষতা ইস্যুতে এখন দুই প্রধান শরিক দলের শীর্ষ নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে সরাসরি তির্যক ভাষায় অভিযোগ তুলছেন। অন্যদিকে সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে এনসিপি নেতারাও সরকারের ভূমিকা ও দুই দলের রাজনৈতিক অবস্থানকে কঠোরভাবে সমালোচনা করছেন।
এই অচলাবস্থা ও মুখোমুখি অবস্থানে সরকারও এখন বিব্রত। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে পর্দার আড়ালে একটি সমঝোতা প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে চারজন উপদেষ্টা ইতোমধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে দুই দফা আলোচনা করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। যদিও এখনো পর্যন্ত এ আলোচনায় কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি বা সমঝোতার ইঙ্গিত মেলেনি।
সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন যে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন “পুরো জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে।” তিনি ঘোষণা দেন যে, জুলাই সনদের বাস্তবায়নের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে করতে হবে, অর্থাৎ একই দিনে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, তারা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন, কিন্তু একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন মেনে নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁর দাবি, গণভোট অবশ্যই নির্বাচনের আগে হতে হবে। একই অবস্থান নিয়েছে এনসিপিও।
২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে এই বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। একদিকে বিএনপি চাইছে গণভোট ও নির্বাচন একদিনে, অপরদিকে জামায়াত ও এনসিপি চাইছে আগে গণভোট, পরে নির্বাচন। সূত্র জানায়, সরকারের পক্ষ থেকে দুটি সমঝোতা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে প্রথমত, বিএনপিকে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনে সম্মতি দিতে বলা হয়েছে, এবং দ্বিতীয়ত, জামায়াতকে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটে রাজি হতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তবে উভয় দলই এখনো পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড়। এ কারণে সরকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের উদ্যোগ নিয়েছে। জানা গেছে, লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কূটনৈতিক চ্যানেলেও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঐকমত্য কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো যে বক্তব্য দিচ্ছে, তার অধিকাংশই সত্য নয়। কমিশন বলছে, আলোচনাগুলোর অনেকাংশই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভিতে সরাসরি প্রচারিত হয়েছে এবং তার সব রেকর্ড সরকারের হাতে রয়েছে। তবুও তারা প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চান না, কারণ এতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হতে পারে।
সরকারের অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র জানায়, এই বিরোধ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সর্বশেষ বৈঠকেও দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে চারজন উপদেষ্টাকে সমঝোতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এবং জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সমঝোতা সফল হলে দ্রুত জুলাই সনদ বাস্তবায়নসংক্রান্ত আদেশ জারি হতে পারে বলেও সূত্র জানিয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদ তিনটি বিকল্প নিয়ে চিন্তা করছে প্রথমত, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক না রেখে তা ভবিষ্যৎ সংসদের সংবিধান সংস্কার পরিষদের ওপর ছেড়ে দেওয়া; দ্বিতীয়ত, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া; তৃতীয়ত, সনদের বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার বদলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে আদেশ জারি করা। তবে এসব বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন সূত্র বলছে, ঢাকায় থাকা নেতারা বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না এই কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, “সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি মতবিরোধ থেকে যায়, সরকারের পক্ষে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। তাই দলগুলোর উচিত নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজা।”
প্রসঙ্গত, জুলাই জাতীয় সনদে মোট ৮৪টি প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬১টি প্রস্তাবে অন্তত একটি রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) রয়েছে। এর মধ্যে ৪৮টি প্রস্তাব সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিএনপি, জামায়াতসহ ২৫টি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যেই সনদে স্বাক্ষর করেছে।
সনদ বাস্তবায়নের প্রস্তাব অনুযায়ী, ৯টি বিষয় নির্বাহী আদেশে, ২৭টি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এবং সংবিধান সংশোধনের ৪৮টি প্রস্তাব গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে। আগামী সংসদ প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে এই প্রস্তাবসমূহ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। পরে ৪৫ দিনের মধ্যে পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে।
অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার এক অনুষ্ঠানে স্পষ্টভাবে জানান, “আমরা জুলাই সনদের যে অংশে সই করেছি, তার দায় নেব, কিন্তু যেখানে সই করিনি, তার দায় আমাদের নয়।” তিনি আরও বলেন, “আমরা নির্বাচন করতে চাই, নির্বাচনে অংশ নেব। কিন্তু নির্বাচনের আগে গণভোট করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হবে।”
অন্যদিকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আমরা আগে গণভোট চাই। একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট হলে তা জটিলতা সৃষ্টি করবে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে আমরা কোনো ছাড় দেব না।”
-রফিক
হঠাৎ যমুনায় তিন বাহিনী প্রধানের আগমন নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে যা জানা গেল
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়; সে বিষয়ে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান—সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন সাক্ষাৎ করেন। এসময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন যে; নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজার নৌবাহিনীর সদস্য এবং কিছু বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী; প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে বলে জানা গেছে।
ড. ইউনূস গত ১৫ মাসে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পরিশ্রমের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সাধুবাদ জানান; পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে, সেজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান আগামী ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান।
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সরকার বদ্ধপরিকর: ইসি আনোয়ারুল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আয়োজন করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি নিশ্চিত করেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
শনিবার সকালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় 'নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ইসি কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, "আমাদের ওপর দেশের ভালো-মন্দ নির্ভর করে।" তিনি আরও বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে যদি দায়িত্বশীলভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা যায়, তবে কোনো জেলাতেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে কোনো বাধা থাকবে না।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা নিয়ে চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, "সরকার ও নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেই অনুযায়ীই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।" তিনি জানান, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার। পটুয়াখালী জেলার আট উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রায় ৬০ জন কর্মকর্তা এই কর্মশালায় অংশ নেন।
ধাপে ধাপে জানুন বিদেশ থেকে আনা হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের প্রক্রিয়া
আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এর ফলে দেশের নেটওয়ার্কে অনিবন্ধিত বা অননুমোদিত মোবাইল ফোনের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে। নতুন এই ব্যবস্থায় প্রতিটি বৈধ আন্তর্জাতিক আইএমইআই নম্বর ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ব্যবহৃত সিমের সঙ্গে যুক্ত করে নিবন্ধিত হবে, যা অবৈধ ফোন শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।
দেশের বাজারে কেনা ফোনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় না থাকলেও, অনেকের মনে প্রশ্ন—বিদেশ থেকে আনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া হ্যান্ডসেটগুলো কি ব্যবহার করা যাবে? নাকি তা নেটওয়ার্কে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে?
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া হ্যান্ডসেটগুলো প্রাথমিকভাবে দেশের নেটওয়ার্কে সচল থাকবে। তবে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্য দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে কেবল বৈধ হ্যান্ডসেটগুলোকেই নিবন্ধন করে নেটওয়ার্কে স্থায়ীভাবে সচল রাখা হবে। নিবন্ধন ছাড়া কোনো বিদেশি ফোন দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু রাখা যাবে না।
বিদ্যমান ব্যাগেজ নিয়ম অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি দেশের নেটওয়ার্কে আগে ব্যবহৃত একটি ব্যক্তিগত হ্যান্ডসেটের পাশাপাশি বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ একটি হ্যান্ডসেট বিনা শুল্কে আনতে পারবেন। অতিরিক্ত আরও একটি হ্যান্ডসেট শুল্ক দিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে।
বিদেশ থেকে ক্রয়কৃত বা উপহারপ্রাপ্ত মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য গ্রাহককে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে বলে বিটিআরসি জানিয়েছে:
১. অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার: প্রথমে neir.btrc.gov.bd পোর্টালে প্রবেশ করে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে।
২. স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন: পোর্টালে 'Special Registration' সেকশনে গিয়ে মোবাইলের আইএমইআই নম্বর দিতে হবে।
৩. ডকুমেন্ট আপলোড: প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি বা ছবি—যেমন পাসপোর্টের ভিসা বা ইমিগ্রেশন পৃষ্ঠা, ক্রয়ের রসিদ ইত্যাদি—আপলোড করে 'Submit' করতে হবে।
হ্যান্ডসেট বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। অবৈধ হলে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে সেই ফোনটি নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
বিদেশ থেকে কেনা মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য লাগবে
পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্যযুক্ত পাতার ছবি।
পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন সিল থাকা পাতার ছবি।
ক্রয় রসিদ।
প্রয়োজনে কাস্টমস শুল্ক প্রদানের প্রমাণপত্র (যদি একটির বেশি হ্যান্ডসেট হয়)।
উপহার হিসেবে পাওয়া হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে ওপরের কাগজপত্রের সঙ্গে অতিরিক্তভাবে দিতে হবে 'উপহারদাতার প্রত্যয়নপত্র'। অন্যদিকে, এয়ারমেইলে পাওয়া হ্যান্ডসেটের জন্য প্রেরক ও প্রাপকের জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপিসহ ক্রয় রসিদ ও শুল্ক প্রদানের রসিদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) প্রয়োজন হবে।
বিচার বিলম্বিত করার নতুন কৌশল নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনার মামলার রায় অনিশ্চিত
শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ শেখ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রাজউকের প্লট দুর্নীতির ছয়টি মামলার বিচার নভেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার যে ধারণা ছিল, তা বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতদিন এই মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং রায় হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছিল।
সংশ্লিষ্টদের ধারণা ছিল অক্টোবরের শেষ নাগাদ বা নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মামলার রায় আসতে পারে। কিন্তু সাক্ষ্যগ্রহণের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে হঠাৎ করেই পলাতক এক আসামির আত্মসমর্পণের ঘটনায় এই বিচার প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পলাতক আসামির আত্মসমর্পণ
গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) হঠাৎ করেই মামলার চার্জশিটভুক্ত পলাতক এক আসামি, রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তার আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন নাকচ করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মোমেন গত ২৪ সেপ্টেম্বর আশা প্রকাশ করেছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ছয়টি মামলার রায় অক্টোবর বা নভেম্বরের মাঝামাঝি আসবে। প্রসিকিউশন বিভাগ এতদিন পলাতক আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুনানি প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছিল।
তবে প্রসিকিউশন বিভাগ এখন আশঙ্কা করছে, এই আসামির আত্মসমর্পণের সূত্র ধরে মামলার বিচার শুনানি ত্বরান্বিত করার প্রক্রিয়া পেছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বিচার বিলম্বিত করার কৌশল?
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র এবং প্রসিকিউশন বিভাগ ধারণা করছে, এই আসামির আত্মসমর্পণ একটি সুচিন্তিত কৌশল হতে পারে। বিচার বিলম্বিত করার জন্য পলাতক আসামিরা হয়তো এক এক করে আত্মসমর্পণ করে সাক্ষী 'রিকল' (পুনরায় তলব) করার কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মামলার বিচার শেষ হতে কত সময় লাগবে, তা বলা কঠিন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমি যুগান্তরকে বলেছেন, আসামি মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের আইনগত অধিকার রয়েছে সাক্ষী রিকল করার। তিনি বলেন, "আসামি আত্মসমর্পণ করে যদি সাক্ষী রিকল করে, এটা তার আইনগত অধিকার। তার আইনগত অধিকারে তো আদালত অথবা দুদকের বাধা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।" তিনি স্বীকার করেন, এই কারণে বিচার সামান্য বিলম্বিত হতে পারে, কিন্তু বিচারকার্য সম্পন্ন হবেই।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪০ ধারা অনুযায়ী, আদালত ন্যায়ের স্বার্থে যে কোনো পর্যায়ে সাক্ষীকে পুনরায় হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিতে পারেন। এই আইনি বিধানটি আসামিদের বিচার বিলম্বিত করার কৌশলকে আরও সহজ করে দিতে পারে বলে আইনসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত পটভূমি
গত ৩১ জুলাই ঢাকার দুটি বিশেষ জজ আদালত পৃথক ছয় মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা পরিবারের সাত সদস্যসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এর মধ্যে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তিন মামলায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। অপরদিকে ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ রবিউল আলমের আদালতে শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকদের বিরুদ্ধে আরও তিন মামলার বিচার শুনানি শুরু হয়।
এই মামলাগুলো শুরু হয়েছিল গত বছর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর অনুসন্ধানের পর। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দুদক এই অনুসন্ধান শুরু করে।
পাঠকের মতামত:
- দাম্পত্য জীবনে সম্পর্ক রক্ষার কৌশল ও নৈতিক দিকনির্দেশনা
- ডিএসই সার্কিট ব্রেকার রিপোর্ট – ২ নভেম্বর ২০২৫
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শীর্ষ ৩০ কোম্পানির হালনাগাদ মূল্যসম্ভার
- নৌকা উপহার ঘিরে ফেসবুকে ফাওজুল কবিরের ব্যাখ্যা
- ডলারের যুগের অবসান? পাঁচ শতাব্দীর আর্থিক ইতিহাসে পুনরাবৃত্ত পতনের ছন্দ
- বিশ্বকাপের আগে অবসর: টি–টোয়েন্টি অধ্যায়ের ইতি টানলেন উইলিয়ামসন
- আঞ্চলিক শান্তি-নিরাপত্তায় যৌথ উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিল ঢাকা–দোহা
- তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলই তৈরি করল সংকট: বিএনপি
- প্রবাসী ও বিনিয়োগে নতুন দিগন্ত: বাহরাইনের কাছে ভিসা সুবিধা চাইল বাংলাদেশ
- থাইরয়েড ও হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখার সহজ উপায়
- মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি নিশ্চিতেই জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ: মানামা সংলাপে তৌহিদ হোসেন
- বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্মের কোনো ছাড় নেই: রিজভী
- জ্বালানি বাজারে পরিবর্তন ও বৈশ্বিক প্রভাব প্রকাশ
- দূষিত শহরের তালিকায় দিল্লি শীর্ষে, ঢাকার অবস্থান যত
- শেষ মুহূর্তে মেসির গোলেও বাঁচল না মায়ামি, ন্যাশভিলের দাপটে সিরিজ সমতায়
- সুদানের গৃহযুদ্ধ: সেনা ও আরএসএফ সংঘাত ও তীব্র মানবিক সংকট
- সাত মিনিটে কোটি টাকার জুয়েল চুরি, আরও দুইজন আটক
- রিপাবলিক ব্যাংক এর তৃতীয় প্রান্তিক (Q3) আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- এক্সিম ব্যাংক এর তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন
- মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের তৃতীয় প্রান্তিক ফলাফল প্রকাশ
- শাহরুখের জন্মদিনে পরিবার, বন্ধু ও নতুন ছবি
- ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষ আন্দালিব রহমান পার্থের কঠোর হুঁশিয়ারি
- কেনিয়ায় ভয়াবহ ভূমিধস: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১, নিখোঁজ অন্তত ৩০
- বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ল, বাজুসের নতুন ঘোষণা
- অস্ত্র হাতে ইসলামিক সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে কেন নাইজেরিয়ায় প্রবেশের ইঙ্গিত ট্রাম্পের
- জুলাই সনদ নিয়ে সরকারের মধ্যস্থতা, গোপন আলোচনায় কী ঘটছে
- টিভিতে আজকের ক্রীড়া সূচি
- ‘গোল্ডেন বুট’ হাতে, ‘গোলের বন্যা’ পায়ে
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- হাশরের ময়দান: যে অপরাধের জন্য পশু-পাখিরও বিচার হবে
- ০২ নভেম্বর: ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- হঠাৎ যমুনায় তিন বাহিনী প্রধানের আগমন নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে যা জানা গেল
- ওষুধ ছাড়াই হাতের ব্যথা সারান সহজ এই ব্যায়ামটি ঘরে বসেই করতে পারবেন
- রাশিয়ার অপ্রতিরোধ্য পারমাণবিক অস্ত্র পসাইডন ইউরোপের নিরাপত্তায় নতুন হুমকি
- সহজ কিছু টিপস মানলেই আমেরিকা ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে
- রাজনীতির স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করা হচ্ছে কড়া সমালোচনা সালাহউদ্দিন আহমদের
- যুবদল নেতার চাঁদাবাজির টাকা দিয়েই গণভোট সম্ভব: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর
- সোনার বাংলাদেশ নয় এবার 'খেলাফতের বাংলাদেশ' দেখতে চান মাওলানা মামুনুল হক
- নির্বাচন কমিশন কেকের মতো ভাগাভাগি হয়ে গেছে: হাসনাত
- আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শান্তর নতুন চক্রের সূচনা তিন অধিনায়কের যুগ বহাল
- ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সরকার বদ্ধপরিকর: ইসি আনোয়ারুল
- ১৪ বছরের প্রতীক্ষা শেষে খুলনায় আধুনিক কারাগার চালু ফুল দিয়ে বরণ করা হলো কয়েদিদের
- ধাপে ধাপে জানুন বিদেশ থেকে আনা হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের প্রক্রিয়া
- উপহার নিয়ে তোলপাড় ভারতে বাংলাদেশের 'বিকৃত' মানচিত্র প্রসঙ্গে দিল্লির জবাব
- কঠিন ব্যাকরণ নয় শিশুদের মতো করে ইংরেজি শেখার সহজ কৌশল শিখে নিন
- বিচার বিলম্বিত করার নতুন কৌশল নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনার মামলার রায় অনিশ্চিত
- ট্রাম্পের ৭,৫০০ শরণার্থী সীমা: যুক্তরাষ্ট্রের সীমাবদ্ধ অভিবাসন নীতির পুনরাবৃত্তি
- অভিনয় ছেড়ে শরীর নিয়েই বেশি চর্চা হয় কেন সিডনি সুইনি মুখ খুললেন নগ্ন দৃশ্য বিতর্কে
- রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
- ২৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ প্রভাবে ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
- ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- আজকের বাজারের সেরা এবং খারাপ পারফরমার: লাভের সম্ভাবনা কোথায়?
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় বাবা হারানো: দুই শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্ত্রীর আকুল আবেদন
- ২৮ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৭ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ফখরুলের অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকার আস্থার সেতু ভেঙে দিয়েছে








