ডিএসইতে সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধি, শেষ মুহূর্তে চাঙ্গা ছিল বাজার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৬:৪৯:৫৫
ডিএসইতে সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধি, শেষ মুহূর্তে চাঙ্গা ছিল বাজার

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শেষ দিকে ক্রেতাদের ব্যাপক অংশগ্রহণে সূচক এবং লেনদেন উভয়ই বেড়েছে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও, শেষ এক ঘণ্টায় পরিস্থিতি পাল্টে যায় এবং বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার কারণে সূচক এবং লেনদেন উভয়ই কমেছে।

ডিএসই’র চিত্র

লেনদেন শেষে ডিএসইতে মোট ২৮৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ৬০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৮টির।

ভালো কোম্পানি (১০% বা বেশি লভ্যাংশ): ১৬১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ২৭টির কমেছে।

মাঝারি মানের কোম্পানি (১০% এর কম লভ্যাংশ): ৭১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৪টির কমেছে।

জেড গ্রুপ: ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, ২৯টির কমেছে।

মিউচুয়াল ফান্ড: ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে ১৩টির দাম বেড়েছে, ১টির কমেছে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুটি সূচক, ডিএসই-৩০ এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচকও যথাক্রমে ১৮ ও ১৩ পয়েন্ট বেড়েছে।

লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। ডিএসইতে মোট ৫৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১০৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা বেশি।

লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো

ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশন, যার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার। এরপর রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ (১৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা) এবং সামিট এলায়েন্স পোর্ট (১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা)।

শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং, সোনালী পেপার, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস, ই-জেনারেশন এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

সিএসই’র চিত্র

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ পয়েন্ট কমেছে। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৪টির দাম বেড়েছে, ৮৩টির কমেছে এবং ১১টির অপরিবর্তিত ছিল। লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় কম


বিআরটিএ ও এনবিআরের নতুন পরিকল্পনা: নিবন্ধনহীন গাড়ি চিহ্নিত করে কর আদায়

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১১:৪০:১৩
বিআরটিএ ও এনবিআরের নতুন পরিকল্পনা: নিবন্ধনহীন গাড়ি চিহ্নিত করে কর আদায়

দেশের সড়কে বর্তমানে অন্তত আড়াই লাখ নিবন্ধনহীন গাড়ি চলাচল করছে। এতে সরকার প্রতিবছর প্রায় ৬,২৫০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। কিউআর কোড সংবলিত ই-ট্যাক্স টোকেন সংক্রান্ত সম্প্রতি হওয়া একটি সভার কার্যবিবরণী থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত মোট যানবাহন সংখ্যা ৬৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৭৩টি। এতে বাস, মিনিবাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি রয়েছে।

বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, "এখনো আমাদের দেশে দুই থেকে আড়াই লাখ গাড়ির নিবন্ধন নেই। এই গাড়িগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা প্রয়োজন।" তিনি আরও বলেন, ই-ট্যাক্স টোকেন ও আরএফআইডি ট্যাগ ব্যবহার করা গেলে গাড়ির যাবতীয় তথ্য সহজে সংগ্রহ করা যাবে।

কর ফাঁকি ও নতুন উদ্যোগ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল সম্প্রতি ৫ হাজার ৪৮৯টি বিলাসবহুল গাড়ির কর নথি যাচাই করে। এতে দেখা গেছে, ১ হাজার ৩৩৯ জন মালিক তাদের গাড়ির তথ্য লুকিয়ে কর ফাঁকি দিয়েছেন। এনবিআরের ধারণা, এসব গাড়ি থেকে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি হয়েছে।

আইন অনুযায়ী, সম্পদের তথ্য কর নথিতে উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। এটি না করলে জরিমানা ও ফৌজদারি বিধান প্রযোজ্য। বর্তমান কর কাঠামো অনুযায়ী, ব্যক্তিগত গাড়ির ইঞ্জিন ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক অগ্রিম কর নির্ধারিত হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, নিবন্ধনহীন গাড়িগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা এবং ই-ট্যাক্স টোকেন চালু করার প্রক্রিয়া দ্রুত করা হবে। এনবিআরের প্রতিনিধি জানান, এতে কর আদায় বাড়বে এবং নিবন্ধনহীন গাড়ি শনাক্ত করা সহজ হবে। তবে মফস্বলে ট্যাক্স টোকেন জমা দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করতে ব্যাংকিং ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কার্যকারিতা বাড়ানোর প্রয়োজন বলেও সভায় আলোচনা হয়েছে।


দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ: স্বর্ণের দামে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ২১:৫২:৩১
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ: স্বর্ণের দামে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতা
ছবি: সংগৃহীত

এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৮৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা হয়েছে। দেশের বাজারে এর আগে কখনো এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা হয়নি। এত দিন দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬২২ টাকা।

মঙ্গলবার থেকে কার্যকর নতুন দাম

স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এই দাম বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিভিন্ন ক্যারেটের নতুন দাম

এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৮৮৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৭৯৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৫৪০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৩১৮ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৭ টাকা।

রুপার দাম অপরিবর্তিত

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৫৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ সোমবার পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়।

স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ৩ হাজার ৩১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ২ হাজার ৮৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপা ২ হাজার ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


সঞ্চয়পত্রকে ‘লেনদেনযোগ্য’ করার পথে সরকার? আসছে নতুন বাজার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ২১:৩৬:৪৩
সঞ্চয়পত্রকে ‘লেনদেনযোগ্য’ করার পথে সরকার? আসছে নতুন বাজার
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ছবি : কালবেলা

সঞ্চয়পত্র কেনাবেচার আলাদা বাজার তৈরির পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, সঞ্চয়পত্র এখন বাজারের সঙ্গে আংশিক যুক্ত, কিন্তু এটিকে পুরোপুরি লেনদেনযোগ্য করতে হবে। এতে গ্রাহকরা উপকৃত হবেন এবং সেকেন্ডারি মার্কেট তৈরি হওয়ার পাশাপাশি তারল্যও বাড়বে।

বন্ড ও সুকুক বাজার উন্নয়ন

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সরকারি বন্ড কিনতে পারছে, এ বিষয়টিও ইতিবাচক। এখন বেসরকারি বন্ডও লেনদেনযোগ্য করতে হবে ও সঠিক কাঠামোর আওতায় আনতে হবে। এতে রাতারাতি বন্ড মার্কেট দ্বিগুণ হয়ে যাবে এবং বাজার অনেক প্রাণবন্ত হবে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের বন্ড ও সুকুক বাজার উন্মোচন: রাজস্ব স্থিতি, অবকাঠামো বাস্তবায়ন ও ইসলামি মানি মার্কেট উন্নয়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অর্লিন্সের অধ্যাপক এম কবীর হাসান। সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

পেনশন ফান্ড ও বিমা খাতের গুরুত্ব

আহসান এইচ মনসুর বলেন, বন্ড কেনার ক্ষেত্রে সরকারের পেনশন-ব্যবস্থা দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের উৎস হতে পারে। এ ছাড়া করপোরেট পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বেনেভোলেন্ট ফান্ড—এসবকেও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব। সরকার চাইলে এসব বিষয়ে খুব দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। সে জন্য পেনশন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ দরকার। সব প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে তহবিল গড়ে তুলছে, এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশের আর্থিক কাঠামোর বৈশ্বিক তুলনা

গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক কাঠামো বৈশ্বিক অর্থনীতির তুলনায় আলাদা। এক অর্থে এটি উল্টো। বাংলাদেশে আর্থিক কাঠামো ব্যাংকনির্ভর; কিন্তু বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা মূলত বন্ডনির্ভর। বৈশ্বিকভাবে প্রায় ১৩০ ট্রিলিয়ন বা ১৩০ লাখ কোটি ডলারের বন্ড ইস্যু করা হয়েছে; এটি বৈশ্বিক জিডিপির ১৩০ শতাংশ। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার হলো স্টক মার্কেট; এই বাজারে বিনিয়োগ আছে প্রায় ৯০ ট্রিলিয়ন বা ৯০ লাখ কোটি ডলার। তৃতীয়ত, মানি মার্কেট (ব্যাংক ঋণসহ সবকিছু) মোট ৬০ ট্রিলিয়ন বা ৬০ লাখ কোটি ডলারের, অর্থাৎ এটি বন্ড বাজারের অর্ধেকেরও কম। ফলে আমাদের কাঠামোটি একেবারেই উল্টো। পেনশন বা বিমা খাতের কথা বলছি-ই না, সেগুলো এতই ছোট যে বাংলাদেশে জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থাৎ গণনায় ধরার মতোও নয়। এই হলো বাস্তব চিত্র।

সুকুক বাজার ও ভবিষ্যৎ সুপারিশ

সুকুকের বাজার খুবই ছোট উল্লেখ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখন পর্যন্ত মাত্র ২৪ হাজার কোটি টাকার ছয়টি সুকুক ইস্যু হয়েছে। অথচ আমাদের অনেক প্রকল্প থেকে আয় হচ্ছে। সেসব সম্পদ সিকিউরিটাইজ করলে দ্রুত সুকুক বাজার বড় করা সম্ভব। যেমন যমুনা বা পদ্মা সেতু থেকে টোল আদায়ের প্রবাহ ব্যবহার করে নতুন সেতু নির্মাণে বন্ড ইস্যু করা যেতে পারে। একইভাবে মেট্রোরেল, টোল রোড, ফ্লাইওভার—এসব প্রকল্প থেকেও যে আয় হয়, তা সিকিউরিটাইজ করে নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের অর্থ জোগাড় করা সম্ভব। সে জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি বিশেষ কার্যকরী বিভাগ দরকার; এর কাজ হবে শুধু এই বিষয়গুলো দেখা। বর্তমানে বাংলাদেশে বিমার বাজার জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। ভারতে এটি ৪ শতাংশ—উন্নত দেশে ১২ শতাংশ। ফলে বিমা খাতের উন্নয়ন অপরিহার্য।

গভর্নর জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে বন্ড মার্কেট উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। শিগগিরই সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ তা উপস্থাপন করা হবে। সুপারিশগুলোতে বন্ড মার্কেটের বিভিন্ন খাত—কনভেনশনাল ও সুকুক (ইসলামি বন্ড) দুটোই অন্তর্ভুক্ত আছে।


বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠকে সিদ্ধান্ত: ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে, তবে কত?

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৭:৪৩:৪৮
বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠকে সিদ্ধান্ত: ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে, তবে কত?
ছবি: সংগৃহীত

ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের পর সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে কত টাকা বাড়ানো হবে, সেই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

‘আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বেশি’

বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। বিষয়টি আমরা পর্যালোচনা করছি। তারপর তাদের সঙ্গে আবার বসে ভোজ্যতেলের দাম কত টাকা বাড়ানো হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব ও পূর্বের দাম

এর আগে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সয়াবিন ও পাম তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১ হাজার ২০০ ডলার পর্যন্ত হয়েছে।

গত ১৩ এপ্রিল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের ভূমিকা

এদিকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ভোজ্য তেলের দাম যৌক্তিক হারে বৃদ্ধির বিষয়ে কাজ করছে বলে জানা গেছে।


চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা: কী প্রভাব পড়বে রপ্তানিকারকদের ওপর?

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ২১:০৩:০৩
চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা: কী প্রভাব পড়বে রপ্তানিকারকদের ওপর?
চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক ও সেবা খাতে সম্প্রতি ঘোষিত শুল্ক বৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের জোরালো দাবির মুখে এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে সরকার। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ‘কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট ম্যানেজমেন্ট: প্রবলেমস, প্রসপেক্টস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ ঘোষণা দেন নৌপরিবহন বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

চট্টগ্রাম বন্দর অডিটোরিয়ামে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আয়োজিত এই কর্মশালায় উপদেষ্টা জানান, এক মাসের স্থগিতাদেশের পর নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। তিনি বলেন, “পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি এবং বে-টার্মিনালসহ চলমান প্রকল্পগুলো বন্দরের চার্জ বাড়াতে বাধ্য করেছে। তবে এই সাময়িক স্থগিতাদেশ রপ্তানিকারকদের ওপর চাপ কিছুটা কমাবে।”

ব্যবসায়ীদের দাবি

কর্মশালায় ব্যবসায়ী নেতারা বর্ধিত শুল্ক অন্তত ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখা এবং কিছু চার্জ কমানোর দাবি জানান। তারা বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্যের নতুন চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির মতো পরিস্থিতি মোকাবিলায় রপ্তানিকারকদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে সরকারের সহায়তা জরুরি। তারা সেবার সংকট নিরসনে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স দ্রুত করার জন্য আইন সংস্কারের প্রস্তাব দেন।

নতুন শুল্ক কাঠামোতে বন্দর এবং বেসরকারি কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) সেবার চার্জ গড়ে ৪০-৪৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। রপ্তানিকারকরা অভিযোগ করেন, আইসিডিগুলো সেবার মান বা সক্ষমতা না বাড়িয়েই চার্জ বাড়িয়েছে। একইসঙ্গে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাননিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতারও সমালোচনা করেন তারা।

বন্দরের সক্ষমতা ও সংস্কার

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, বন্দরটি নকশা অনুযায়ী ধারণক্ষমতার বাইরে পরিচালিত হচ্ছে। এটি এখনও জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল এবং সীমিত গভীরতার কারণে বৈশ্বিক মানের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কনটেইনার দ্রুত খালাস, কাস্টমস স্বয়ংক্রিয়করণ এবং আগামী পাঁচ বছরের সম্ভাব্য বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি সামলাতে আইন সংস্কারের প্রয়োজন।

এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান জানান, বন্দরে আটকে থাকা সব নিলামযোগ্য কনটেইনার এই মাসেই দ্রুত নিলাম করা হবে। তিনি আরও জানান, সাবেক এমপিদের ফেলে রাখা ৩০টি গাড়ি সরকারি পরিবহন পুলে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কর্মশালায় উপস্থাপিত প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, লজিস্টিকস পারফরম্যান্স, বাণিজ্য ব্যয় এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স দক্ষতার দিক থেকে চট্টগ্রাম বন্দর এখনও বিশ্বের শীর্ষ বন্দরের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে।


বাড়ছে বাণিজ্য, বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার আজকের হার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১২:৫৪:৩৭
বাড়ছে বাণিজ্য, বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার আজকের হার
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়ছে, তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বাড়ছে। আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশি টাকার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে প্রাপ্ত বিনিময় হার:

ইউএস ডলার: ১২১ টাকা ৭৪ পয়সা

ইউরোপীয় ইউরো: ১৪৩ টাকা ৮২ পয়সা

ব্রিটিশ পাউন্ড: ১৬৫ টাকা ৯২ পয়সা

অস্ট্রেলিয়ান ডলার: ৮১ টাকা ৩ পয়সা

জাপানি ইয়েন: ৮২ পয়সা

কানাডিয়ান ডলার: ৮৮ টাকা ৩৯ পয়সা

সুইডিশ ক্রোনা: ১৩ টাকা ১০ পয়সা

সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৫ টাকা ২৮ পয়সা

চীনা ইউয়ান: ১৭ টাকা ১৪ পয়সা

ভারতীয় রুপি: ১ টাকা ৩৮ পয়সা

শ্রীলঙ্কান রুপি: ২ টাকা ৪৮ পয়সা

গুগল সূত্রে প্রাপ্ত বিনিময় হার:

সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৫ টাকা ১৭ পয়সা

মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত: ২৯ টাকা ৪ পয়সা

সৌদি রিয়াল: ৩২ টাকা ৪৯ পয়সা

কুয়েতি দিনার: ৩৯৯ টাকা ২৮ পয়সা

*উল্লেখ্য, যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।


এক মাস পর আবারও তেলের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ১৫:৪০:৫৯
এক মাস পর আবারও তেলের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দেশের বাজারে আবারও সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা প্রতি লিটারে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। আগামী রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে ১ হাজার ২০০ ডলারে পৌঁছেছে। তাদের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৮ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে, তাই দেশের বাজারে দাম সমন্বয় করা জরুরি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অবস্থান

তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করছে, ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবিত এই দাম অনেক বেশি। মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় তাদের প্রস্তাব অস্বাভাবিক। আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। এরপর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” সাধারণত ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এই ধরনের প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই করে থাকে।

উল্লেখ্য, গত ১২ আগস্ট সরকার পাম তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৯ টাকা কমিয়ে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করেছিল। তবে তখন সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকাই ছিল। এর আগে, এপ্রিল মাসে সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, পাম এবং ভুট্টার তেল আমদানিতে এক শতাংশ হারে উৎসে কর বসিয়েছে। ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, এই নতুন করও ভোজ্যতেলের বাজারে প্রভাব ফেলছে।


দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর: রেমিট্যান্স প্রবাহে আবারও রেকর্ড

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ২১:৫৬:৩৭
দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর: রেমিট্যান্স প্রবাহে আবারও রেকর্ড
ছবি: সংগৃহীত

চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৭ দিনে প্রবাসীরা ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৩ কোটি ডলার। সেই তুলনায় এবার উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। শুধু গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক দিনেই প্রবাসীরা দেশে ৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

চলতি অর্থবছরের শুরু অর্থাৎ জুলাই থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ৬৬৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি।

এর আগে গত আগস্টে প্রবাসীরা ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং জুলাই মাসে ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট ৩০.৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন, যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আয়ের রেকর্ড।


পুজোর আগে চড়া দামে ইলিশ: কলকাতায় বাংলাদেশের ইলিশের দাম কত?

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১৪:১৮:১০
পুজোর আগে চড়া দামে ইলিশ: কলকাতায় বাংলাদেশের ইলিশের দাম কত?
ছবি: সংগৃহীত

দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে পৌঁছেছে পদ্মার ইলিশের প্রথম চালান। বুধবার রাতে ১০টি ট্রাকে করে মোট ৫০ টন ইলিশের প্রথম চালানটি বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। পরে আরও ৫০ টন ইলিশ কলকাতা পৌঁছেছে।

খুচরা বাজারে ইলিশের দাম

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কলকাতা ও হাওড়ার পাইকারি বাজারে এই ইলিশ নিলামে ওঠে। খুচরা বাজারে এই ইলিশের দাম প্রতি কেজি ১,৬০০ থেকে ১,৭০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চাহিদা বাড়লে দাম আরও বাড়তে পারে।

১,২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি

বাংলাদেশ সরকার এ বছর মোট ১,২০০ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, শারদীয় উৎসবের আগেই এই ইলিশ ভারতে পাঠানো হচ্ছে। ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, ধাপে ধাপে পুরো ১,২০০ টন ইলিশ ভারতে যাবে।

বর্তমানে প্রতি কেজি ইলিশ ন্যূনতম সাড়ে ১২ ডলারে (প্রায় ১,০৫৭ টাকা) রপ্তানি করা যাবে। এবার মোট ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মৎস্য ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, এই সপ্তাহের মধ্যেই কলকাতা ও আশেপাশের জেলাগুলোর বাজারগুলোতে বাংলাদেশের ইলিশ পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জাতীয় রপ্তানি নীতি অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষে ইলিশ রপ্তানি তালিকায় রয়েছে। তবে প্রথমবার ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে। তখন থেকেই প্রতি বছর দুর্গাপূজার সময় ভারতে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: