টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ আগুন: ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সাহসী প্রচেষ্টা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৯:৩১:১৯
টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ আগুন: ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সাহসী প্রচেষ্টা
দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়/ছবি-সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্য ও তিন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে টঙ্গীর সাহারা সুপার মার্কেটের পাশে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে, দগ্ধ ৮

খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ শাহিন আলম জানান, আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচজন সদস্য ও তিনজন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ আটজনকে প্রথমে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি

তিনি আরও জানান, আগুন কীভাবে লেগেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত শেষ হলে প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গোডাউনের ভেতরে থাকা দাহ্য কেমিক্যাল থেকেই এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।


সরকারি অফিসে ঢুকে হামলা: মানববন্ধনকারীদের পেটালেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৯:০১:৩৮
সরকারি অফিসে ঢুকে হামলা: মানববন্ধনকারীদের পেটালেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
ছবি : কালের কণ্ঠ

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে ঢুকে মানববন্ধনকারীদের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোহেল রানা নামের এক যুবক আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও হামলা

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাঁথিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে মানববন্ধন করছিলেন। আহত সোহেল রানা ছোট পাথাইলহাট গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে।

সূত্র জানায়, উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী (ঝাড়ুদার) তারেক। পদে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হলেও নিয়মবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ভূমিসংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করে থাকেন তিনি। সম্প্রতি তার এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অফিসে লিখিত অভিযোগ করে এলাকাবাসী। আজ সোমবার উপজেলা ভূমি অফিসে সেসব অভিযোগের শুনানি ছিল।

এর আগে এলাকাবাসী উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিরুদ্ধে মানববন্ধনে দাঁড়ান। কিন্তু মানববন্ধনে দাঁড়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিচ্ছন্নতাকর্মী তারেক, নাগডেমরা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নুরুজ্জামান, সদস্যসচিব ফকরুল ইসলাম তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে মানববন্ধনকারীদের ওপর হামলা ও মারধর চালান।

ভূমি অফিসের ভেতরেও মারধর

এ সময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সোহেল রানা নিরাপত্তার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসের ভেতর আশ্রয় নেন। কিন্তু তাতেও রেহাই পাননি তিনি। ভূমি অফিসের ভেতর ঢুকেই সোহেল রানাকে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে সহযোগিতা করেন।

আহত সোহেল রানা বলেন, “একজন অসৎ ও দুর্নীতিবাজ পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিচারের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে দাঁড়াই। কিন্তু পরিচ্ছন্নতাকর্মী তারেকের সঙ্গে যোগসাজশ করে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নুরুজ্জামান, সদস্যসচিব ফকরুল ইসলাম তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। অনেককেই মারধর ও লাঞ্ছিত করেছে। প্রাণ রক্ষার্থে আমি উপজেলা ভূমি অফিসের ভেতর গিয়েও রেহাই পাইনি। ভূমি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই মারধরের সত্যতা মিলবে। অন্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আমাকে মারধরের শিকার হতে হলো। আমি এর বিচার চাই।”

প্রশাসনের বক্তব্য

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. সাদিয়া সুলতানা বলেন, “আজ সোমবার পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের শুনানি ছিল। কিন্তু এর আগেই উভয়পক্ষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আমি অফিসের ভেতর ছিলাম। কে কাকে মেরেছে বা হামলা করেছে জানি না। তবে আমার অফিসের কয়েকটা কম্পিউটার ভেঙেছে। আমি ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। নির্দেশ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”


মৃত্যুর মুখে ডেঙ্গু রোগী: হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অর্ধেকের বেশি মৃত

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৬:২৭:১৪
মৃত্যুর মুখে ডেঙ্গু রোগী: হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অর্ধেকের বেশি মৃত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয় ডেঙ্গু বিষয়ক তথ্য

চলতি বছর ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেছেন। মোট ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

দেরিতে হাসপাতালে আসা বাড়াচ্ছে মৃত্যুর ঝুঁকি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, “মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ডেঙ্গুতে যারা মারা গেছেন, তাদের অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছেন।”

তিনি বলেন, “রোগীরা অনেক সময় দেরিতে হাসপাতালে আসছেন। খারাপ অবস্থায় ভর্তি হচ্ছেন। ফলে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে বাড়িয়ে দিচ্ছে মৃত্যুর ঝুঁকি।”

ডা. আবু জাফর বলেন, “ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হলে কমতে পারে মৃত্যুর হার।”

সেপ্টেম্বরেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, গত কয়েক দিনে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এমনটা দেখা যায়। গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুনে মারা যান ৮ জন, জুলাইয়ে ১৪ জন, আগস্টে ৩০ জন এবং সেপ্টেম্বরে মারা যান ৮৭ জন। সে বছরের জুনে রোগী ভর্তি হয়েছিলেন ৭৯৮ জন, জুলাইয়ে ২,৬৬৯, আগস্টে ৬,৫২১ এবং সেপ্টেম্বরে ১,৮৯৭ জন। এ পরিসংখ্যান দেখে বলা যায়, সেপ্টেম্বরেই সবচেয়ে বেশি রোগী আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুও ঘটেছে বেশি।

তিনি বলেন, “বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে এবং আমরা যে ব্যবস্থাপনা নিচ্ছি, সেটি আপনাদের সামনে তুলে ধরার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনগণকে সচেতন এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করা। কারণ, যত ব্যবস্থাপনাই নেওয়া হোক না কেন, জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে ডেঙ্গুর মতো সংক্রামক রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুব কঠিন।”

কিট মজুদ ও তথ্য প্রকাশে বিভ্রান্তি

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই রোগ যদি শুরুতেই চিহ্নিত করা না যায়, সময়মতো চিকিৎসা শুরু না হয়, তাহলে মৃত্যুর ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। আপনারা যেভাবে অতীতে আমাদের সহযোগিতা করেছেন, আশা করি মানুষের সচেতনতা বাড়াতে ভবিষ্যতেও আমাদের পাশে থাকবেন।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, ডেঙ্গু শনাক্তে ব্যবহৃত এনএস১–কিট সব জায়গায় রয়েছে এবং পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে প্রকাশিত খবরে এসেছে, ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন মারা গেছেন। প্রকৃতপক্ষে এর ৯ জনই মারা যান বৃহস্পতিবার। কিন্তু শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা সেদিন প্রকাশ পায়নি। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। এটা আমাদের ব্যর্থতা বলেই মনে করি।”


সুদের টাকার জন্য মরদেহের দাফনে বাধা, চুয়াডাঙ্গায় অমানবিক ঘটনা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৪:৩৮:১৬
সুদের টাকার জন্য মরদেহের দাফনে বাধা, চুয়াডাঙ্গায় অমানবিক ঘটনা
টাকার জন্য মরদেহ দাফনে বাধা। ছবি : সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সুদের টাকা আদায় করতে এক মরদেহের দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মর্জিনা খাতুন নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চিৎলা গ্রামের নতুনপাড়ায় এই অমানবিক ঘটনা ঘটে। অবশেষে টাকা পরিশোধ করেই দাফন করতে বাধ্য হয়েছে পরিবার।

হৃদয়বিদারক ঘটনা

নিহত হারুন (পেশায় রাজমিস্ত্রি) চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিতলা গ্রামের নতুন পাড়ার নিয়ামত আলীর ছেলে। মেয়ের বাড়ি মেহেরপুরের মহাজনপুরে বেড়াতে গিয়ে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মরদেহ নিজ গ্রামে আনা হলে পরিবারের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। এদিন আসরের নামাজের পর তার দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। গোসল করানোর সময় সেখানে হাজির প্রতিবেশী মর্জিনা খাতুন।

মর্জিনা নামে ওই নারীর দাবি, হারুনের কাছে তিনি ১৫ হাজার টাকা পাবেন—আসল নয়, সুদের টাকা! মর্জিনার একটাই কথা, সুদবাবদ ওই ১৫ হাজার টাকা না পেলে হারুনকে দাফন করতে দেবেন না। উপস্থিত সবাই হতবাক হন এবং কেউ কেউ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। শেষমেশ হারুনের পরিবারের লোকজন দাবিকৃত সুদের টাকা পরিশোধ করলে পথ ছাড়েন মর্জিনা।

গ্রামবাসীর ক্ষোভ ও প্রশাসনের তৎপরতা

টাকা কুড়িয়ে নেওয়ার সময় উপস্থিত কেউ কেউ রাগে ও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মরদেহ আটকে সুদের টাকা আদায়ের ঘটনায় হতবাক গ্রামবাসী। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে।

দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, “এটি অমানবিক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় জড়িত সুদ কারবারিদের বিচার হওয়া উচিত।”

এ বিষয়ে দামুড়হুদা ইউএনও তিথী মিত্র বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। ভিডিও দেখেছি। এটি অমানবিক। আমি আরও খোঁজখবর নেব।


রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাড়ছে রহস্যজনক মৃত্যু: এবার রাশিয়ান ইলেক্ট্রিশিয়ানের মরদেহ উদ্ধার

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ২১:০১:৪৭
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাড়ছে রহস্যজনক মৃত্যু: এবার রাশিয়ান ইলেক্ট্রিশিয়ানের মরদেহ উদ্ধার
কারপোভ ক্রিল

পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পে কর্মরত কারপোভ ক্রিল (২৬) নামে রাশিয়ার এক নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে পৌর শহরের পূর্ব টেংরি জিগাতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কারপোভ ক্রিল রূপপুর প্রকল্পে রুশ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইএসকেএম কোম্পানির ইলেক্ট্রিশিয়ান ছিলেন।

যেভাবে মরদেহ উদ্ধার হলো

ঈশ্বরদী থানা সূত্র জানায়, কারপোভ শহরের জিগাতলা এলাকার একটি পঞ্চমতলার ফ্ল্যাটে একাই ভাড়া থাকতেন। শনিবার রাশিয়া থেকে তার পরিবারের সদস্যরা কারপোভের মোবাইল ফোনে বারবার কল করেও সাড়া পাননি। পরে তারা ইএসকেএম কোম্পানির এক কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। ওই কর্মকর্তা কারপোভের ফ্ল্যাটে থাকা প্রতিবেশীদের খবর নেওয়ার জন্য বলেন। দোভাষী নিরাপত্তা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাশের ফ্ল্যাটের আরেক রাশিয়ান নাগরিককে নিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে কারপোভকে বিছানায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর দেওয়া হলে রাশিয়ান চিকিৎসক এসে ক্রিলকে মৃত ঘোষণা করেন।

চলতি বছরে এটি তৃতীয় মৃত্যু

ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আব্দুন নূর বলেন, রাশিয়ার ওই নাগরিকের মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে তার মরদেহ রাশিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

এ নিয়ে চলতি বছর রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত রাশিয়ার তিন নাগরিকের মৃত্যু হলো। এর আগে রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত নারী কর্মকর্তা কেসেনিয়া পোস্তারু (৩৯) গত ৫ জানুয়ারি গ্রিনসিটির চারতলা থেকে পড়ে মারা যান। অন্যজন ইভান কাইটাজোভের (৪০) লাশ গ্রিনসিটি আবাসিকের একটি বাড়ির শৌচাগার থেকে গত ৯ জানুয়ারি উদ্ধার করা হয়। ঈশ্বরদী থানা ও রূপপুর প্রকল্পের স্থানীয় কার্যালয় সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করে।


আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা উচিত: নাহিদ ইসলাম

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৬:৩২:৫৪
আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা উচিত: নাহিদ ইসলাম
ট্র্যাইব্যুনালে সাক্ষ্য ও জেরা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সমকাল

সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন। খবর বাসসের।

‘রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের সংঘটিত অপরাধ’

নাহিদ ইসলাম বলেন, “দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত, সেই সুযোগও আছে। আমরাও ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাব।” তিনি দাবি করেন, ট্রাইব্যুনালের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ এসেছে। তার মতে, শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদেরকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জনগণ প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছে। ফলে এটা আওয়ামী লীগের সংঘটিত রাজনৈতিক অপরাধ। তাই দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।

ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম

বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার পর আজ নাহিদ ইসলামের জেরা শেষ হয়।

এই মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ।

অন্যান্য মামলা

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীতে তিনি এই মামলার ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্যটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।


অবশেষে কাটল জট: রিজার্ভ চুরির সেই ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিরছে দেশে!

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৪:৩৪:৪৬
অবশেষে কাটল জট: রিজার্ভ চুরির সেই ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিরছে দেশে!
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকে রাখা ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেয়াপ্ত করেছে ফিলিপাইন সরকার। আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাজেয়াপ্ত অর্থ দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

কীভাবে অর্থ পাচার হয়েছিল?

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন খান জানান, ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। সুইফট কোডের মাধ্যমে এই অর্থ ফিলিপাইনের মাকাতি সিটির রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার করা হয়েছিল।

২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির তদন্তাধীন।

আইনি লড়াইয়ে সাফল্য

সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘ আইনি লড়াই ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ফলেই এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী দায়ের করা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে ফিলিপাইনের আদালত এবং বাংলাদেশি আদালতের সহযোগিতায় এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ চুরির মামলায় অর্থ উদ্ধারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জিত হলো।

সিআইডির একটি সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ফিলিপাইনে থাকা এই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে জমা দেওয়া হবে।

এই বিষয়ে আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ বিস্তারিত জানাবেন।


ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ, উৎপত্তিস্থল সিলেটে

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৪:১১:২২
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ, উৎপত্তিস্থল সিলেটে

আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ১৯ মিনিটে সিলেট নগরীসহ আশপাশের এলাকায় ৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে ভবন দুলে উঠলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে তড়িঘড়ি করে ঘরবাড়ি ও অফিস থেকে বের হয়ে আসেন।

উৎপত্তিস্থল ও মাত্রা

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা। ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক শূন্য ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল রাজধানী ঢাকা থেকে ১৮৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর বলেন, “আজ ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে বলে আমাদের কাছে রেকর্ড আছে। এটি স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প। কিন্তু আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিলেটের ছাতক।”

ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কম

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের মতে, রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার ভূমিকম্পকে তুলনামূলকভাবে হালকা ধরনের বলা হয়। এতে সাধারণত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি থাকে না, তবে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বা দুর্বল কাঠামোয় সামান্য ক্ষতি হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


ট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ১০ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১৭:৪৬:১৯
ট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ১০ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
ছবি : কালের কণ্ঠ

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিরল প্রজাতির একটি ১০ ফুট লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার করেছে ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামের একটি বসতবাড়ির পাশ থেকে অজগরটি উদ্ধার করা হয়।

জালে আটকে ছিল অজগরটি

ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিমের সদস্য মো. আমির হোসাইন শাওন এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “বসতবাড়ির পাশের একটি জালে সাপটি আটকা পড়েছিল। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা জাল কেটে অজগরটিকে উদ্ধার করি।” তিনি জানান, এটি বার্মিজ প্রজাতির একটি অজগর, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট এবং ওজন আনুমানিক ৮-৯ কেজি।

সুস্থ করে জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে

শাওন আরও বলেন, “দীর্ঘ সময় জালে আটকে থাকার কারণে সাপটি কিছুটা আঘাত পেয়েছে। এটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার পর জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে।”


আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসতে কোনো আপত্তি নেই: হুম্মাম কাদের

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১২:৪৪:২৫
আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসতে কোনো আপত্তি নেই: হুম্মাম কাদের
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, যারা আগে আওয়ামী লীগ করতেন এবং এখন বিএনপিতে যোগ দিতে চান, তাদের আসা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই, তবে দলে যোগ দেওয়ার আগে বিএনপি নেতাদের ওপর করা অত্যাচারের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এই কথা বলেন।

‘হাইব্রিড’ নিয়ে হাসি-ঠাট্টা নয়

হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হলে বিএনপিকে মন বড় করে ক্ষমা করতে পারার প্রমাণ দিতে হবে। যারা আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসার চেষ্টা করছে, তাদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা না করে তাদের স্বাগত জানানো উচিত। তিনি বলেন, “আমাদের মুসলমান হিসেবে দায়িত্ব মাফ করা।”

তিনি অভিযোগ করেন, ১৬ বছর ধরে অনেককে আওয়ামী লীগকে চাঁদা দিয়ে জীবিত থাকতে হয়েছে। দেশের দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা আসার পরও বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এখন অনেকে চাঁদা আদায় করছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তারেক রহমানের ঘোষণা অনুযায়ী, দলের নাম ভাঙিয়ে যারা এই ধরনের কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি দুবার ভাববেন না।

‘দলে গ্রুপিং চলবে না’

হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার জন্য বিএনপিকে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কিছু লোক এখনও বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী দলে গ্রুপিং তৈরি করছে। তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, “আপনারা যদি বেগম জিয়া, তারেক রহমানকে ভালোবেসে থাকেন এবং জিয়া পরিবারকে বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে জিয়া পরিবারের দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।”

ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ ও ওয়াদা

নিজের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হুম্মাম কাদের চৌধুরী জানান, যখন তাকে এই দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়, তখন তিনি ‘আয়নাঘরে’ ছিলেন। এই সম্মান তাকে তারেক রহমান দিয়েছেন এবং তিনি সম্মানের সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছেন। তিনি তার বাবার প্রসঙ্গে বলেন, তার বাবা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলে গিয়েছেন, তার জন্ম রাউজানে হলেও রাঙ্গুনিয়ায় যেন তাকে মাটি দেওয়া হয়। তিনি জানান, রাঙ্গুনিয়ার মানুষ তাকে নিজেদের সন্তান মনে করতেন।

তিনি ওয়াদা করে বলেন, জিয়া পরিবার রাঙ্গুনিয়ার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দেবে, তা তিনি মেনে নেবেন এবং যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে কাজ করবেন। তিনি আশা করেন, বাকি যারা মনোনয়ন চাচ্ছেন, তারাও একই ধরনের ওয়াদা করবেন। কারণ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্যকে সংসদে পাঠাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

জনসভায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শওকত আলী নূরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: