মৃত্যুর মুখে ডেঙ্গু রোগী: হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অর্ধেকের বেশি মৃত

চলতি বছর ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেছেন। মোট ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
দেরিতে হাসপাতালে আসা বাড়াচ্ছে মৃত্যুর ঝুঁকি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, “মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ডেঙ্গুতে যারা মারা গেছেন, তাদের অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছেন।”
তিনি বলেন, “রোগীরা অনেক সময় দেরিতে হাসপাতালে আসছেন। খারাপ অবস্থায় ভর্তি হচ্ছেন। ফলে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে বাড়িয়ে দিচ্ছে মৃত্যুর ঝুঁকি।”
ডা. আবু জাফর বলেন, “ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হলে কমতে পারে মৃত্যুর হার।”
সেপ্টেম্বরেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, গত কয়েক দিনে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এমনটা দেখা যায়। গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুনে মারা যান ৮ জন, জুলাইয়ে ১৪ জন, আগস্টে ৩০ জন এবং সেপ্টেম্বরে মারা যান ৮৭ জন। সে বছরের জুনে রোগী ভর্তি হয়েছিলেন ৭৯৮ জন, জুলাইয়ে ২,৬৬৯, আগস্টে ৬,৫২১ এবং সেপ্টেম্বরে ১,৮৯৭ জন। এ পরিসংখ্যান দেখে বলা যায়, সেপ্টেম্বরেই সবচেয়ে বেশি রোগী আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুও ঘটেছে বেশি।
তিনি বলেন, “বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে এবং আমরা যে ব্যবস্থাপনা নিচ্ছি, সেটি আপনাদের সামনে তুলে ধরার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনগণকে সচেতন এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করা। কারণ, যত ব্যবস্থাপনাই নেওয়া হোক না কেন, জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে ডেঙ্গুর মতো সংক্রামক রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুব কঠিন।”
কিট মজুদ ও তথ্য প্রকাশে বিভ্রান্তি
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই রোগ যদি শুরুতেই চিহ্নিত করা না যায়, সময়মতো চিকিৎসা শুরু না হয়, তাহলে মৃত্যুর ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। আপনারা যেভাবে অতীতে আমাদের সহযোগিতা করেছেন, আশা করি মানুষের সচেতনতা বাড়াতে ভবিষ্যতেও আমাদের পাশে থাকবেন।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, ডেঙ্গু শনাক্তে ব্যবহৃত এনএস১–কিট সব জায়গায় রয়েছে এবং পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে প্রকাশিত খবরে এসেছে, ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন মারা গেছেন। প্রকৃতপক্ষে এর ৯ জনই মারা যান বৃহস্পতিবার। কিন্তু শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা সেদিন প্রকাশ পায়নি। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। এটা আমাদের ব্যর্থতা বলেই মনে করি।”
সুদের টাকার জন্য মরদেহের দাফনে বাধা, চুয়াডাঙ্গায় অমানবিক ঘটনা
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সুদের টাকা আদায় করতে এক মরদেহের দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মর্জিনা খাতুন নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চিৎলা গ্রামের নতুনপাড়ায় এই অমানবিক ঘটনা ঘটে। অবশেষে টাকা পরিশোধ করেই দাফন করতে বাধ্য হয়েছে পরিবার।
হৃদয়বিদারক ঘটনা
নিহত হারুন (পেশায় রাজমিস্ত্রি) চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিতলা গ্রামের নতুন পাড়ার নিয়ামত আলীর ছেলে। মেয়ের বাড়ি মেহেরপুরের মহাজনপুরে বেড়াতে গিয়ে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মরদেহ নিজ গ্রামে আনা হলে পরিবারের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। এদিন আসরের নামাজের পর তার দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। গোসল করানোর সময় সেখানে হাজির প্রতিবেশী মর্জিনা খাতুন।
মর্জিনা নামে ওই নারীর দাবি, হারুনের কাছে তিনি ১৫ হাজার টাকা পাবেন—আসল নয়, সুদের টাকা! মর্জিনার একটাই কথা, সুদবাবদ ওই ১৫ হাজার টাকা না পেলে হারুনকে দাফন করতে দেবেন না। উপস্থিত সবাই হতবাক হন এবং কেউ কেউ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। শেষমেশ হারুনের পরিবারের লোকজন দাবিকৃত সুদের টাকা পরিশোধ করলে পথ ছাড়েন মর্জিনা।
গ্রামবাসীর ক্ষোভ ও প্রশাসনের তৎপরতা
টাকা কুড়িয়ে নেওয়ার সময় উপস্থিত কেউ কেউ রাগে ও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মরদেহ আটকে সুদের টাকা আদায়ের ঘটনায় হতবাক গ্রামবাসী। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে।
দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, “এটি অমানবিক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় জড়িত সুদ কারবারিদের বিচার হওয়া উচিত।”
এ বিষয়ে দামুড়হুদা ইউএনও তিথী মিত্র বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। ভিডিও দেখেছি। এটি অমানবিক। আমি আরও খোঁজখবর নেব।
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাড়ছে রহস্যজনক মৃত্যু: এবার রাশিয়ান ইলেক্ট্রিশিয়ানের মরদেহ উদ্ধার
পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পে কর্মরত কারপোভ ক্রিল (২৬) নামে রাশিয়ার এক নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে পৌর শহরের পূর্ব টেংরি জিগাতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কারপোভ ক্রিল রূপপুর প্রকল্পে রুশ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইএসকেএম কোম্পানির ইলেক্ট্রিশিয়ান ছিলেন।
যেভাবে মরদেহ উদ্ধার হলো
ঈশ্বরদী থানা সূত্র জানায়, কারপোভ শহরের জিগাতলা এলাকার একটি পঞ্চমতলার ফ্ল্যাটে একাই ভাড়া থাকতেন। শনিবার রাশিয়া থেকে তার পরিবারের সদস্যরা কারপোভের মোবাইল ফোনে বারবার কল করেও সাড়া পাননি। পরে তারা ইএসকেএম কোম্পানির এক কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। ওই কর্মকর্তা কারপোভের ফ্ল্যাটে থাকা প্রতিবেশীদের খবর নেওয়ার জন্য বলেন। দোভাষী নিরাপত্তা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাশের ফ্ল্যাটের আরেক রাশিয়ান নাগরিককে নিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে কারপোভকে বিছানায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর দেওয়া হলে রাশিয়ান চিকিৎসক এসে ক্রিলকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলতি বছরে এটি তৃতীয় মৃত্যু
ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আব্দুন নূর বলেন, রাশিয়ার ওই নাগরিকের মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে তার মরদেহ রাশিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
এ নিয়ে চলতি বছর রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত রাশিয়ার তিন নাগরিকের মৃত্যু হলো। এর আগে রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত নারী কর্মকর্তা কেসেনিয়া পোস্তারু (৩৯) গত ৫ জানুয়ারি গ্রিনসিটির চারতলা থেকে পড়ে মারা যান। অন্যজন ইভান কাইটাজোভের (৪০) লাশ গ্রিনসিটি আবাসিকের একটি বাড়ির শৌচাগার থেকে গত ৯ জানুয়ারি উদ্ধার করা হয়। ঈশ্বরদী থানা ও রূপপুর প্রকল্পের স্থানীয় কার্যালয় সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করে।
আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা উচিত: নাহিদ ইসলাম
সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন। খবর বাসসের।
‘রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের সংঘটিত অপরাধ’
নাহিদ ইসলাম বলেন, “দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত, সেই সুযোগও আছে। আমরাও ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাব।” তিনি দাবি করেন, ট্রাইব্যুনালের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ এসেছে। তার মতে, শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদেরকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জনগণ প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছে। ফলে এটা আওয়ামী লীগের সংঘটিত রাজনৈতিক অপরাধ। তাই দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার পর আজ নাহিদ ইসলামের জেরা শেষ হয়।
এই মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ।
অন্যান্য মামলা
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীতে তিনি এই মামলার ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্যটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।
অবশেষে কাটল জট: রিজার্ভ চুরির সেই ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিরছে দেশে!
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকে রাখা ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেয়াপ্ত করেছে ফিলিপাইন সরকার। আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাজেয়াপ্ত অর্থ দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
কীভাবে অর্থ পাচার হয়েছিল?
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন খান জানান, ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। সুইফট কোডের মাধ্যমে এই অর্থ ফিলিপাইনের মাকাতি সিটির রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার করা হয়েছিল।
২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির তদন্তাধীন।
আইনি লড়াইয়ে সাফল্য
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘ আইনি লড়াই ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ফলেই এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী দায়ের করা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে ফিলিপাইনের আদালত এবং বাংলাদেশি আদালতের সহযোগিতায় এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ চুরির মামলায় অর্থ উদ্ধারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জিত হলো।
সিআইডির একটি সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ফিলিপাইনে থাকা এই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে জমা দেওয়া হবে।
এই বিষয়ে আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ বিস্তারিত জানাবেন।
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ, উৎপত্তিস্থল সিলেটে
আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ১৯ মিনিটে সিলেট নগরীসহ আশপাশের এলাকায় ৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে ভবন দুলে উঠলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে তড়িঘড়ি করে ঘরবাড়ি ও অফিস থেকে বের হয়ে আসেন।
উৎপত্তিস্থল ও মাত্রা
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা। ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক শূন্য ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল রাজধানী ঢাকা থেকে ১৮৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর বলেন, “আজ ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে বলে আমাদের কাছে রেকর্ড আছে। এটি স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প। কিন্তু আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিলেটের ছাতক।”
ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কম
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের মতে, রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার ভূমিকম্পকে তুলনামূলকভাবে হালকা ধরনের বলা হয়। এতে সাধারণত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি থাকে না, তবে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বা দুর্বল কাঠামোয় সামান্য ক্ষতি হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ১০ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিরল প্রজাতির একটি ১০ ফুট লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার করেছে ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামের একটি বসতবাড়ির পাশ থেকে অজগরটি উদ্ধার করা হয়।
জালে আটকে ছিল অজগরটি
ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিমের সদস্য মো. আমির হোসাইন শাওন এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “বসতবাড়ির পাশের একটি জালে সাপটি আটকা পড়েছিল। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা জাল কেটে অজগরটিকে উদ্ধার করি।” তিনি জানান, এটি বার্মিজ প্রজাতির একটি অজগর, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট এবং ওজন আনুমানিক ৮-৯ কেজি।
সুস্থ করে জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে
শাওন আরও বলেন, “দীর্ঘ সময় জালে আটকে থাকার কারণে সাপটি কিছুটা আঘাত পেয়েছে। এটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার পর জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে।”
আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসতে কোনো আপত্তি নেই: হুম্মাম কাদের
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, যারা আগে আওয়ামী লীগ করতেন এবং এখন বিএনপিতে যোগ দিতে চান, তাদের আসা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই, তবে দলে যোগ দেওয়ার আগে বিএনপি নেতাদের ওপর করা অত্যাচারের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এই কথা বলেন।
‘হাইব্রিড’ নিয়ে হাসি-ঠাট্টা নয়
হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হলে বিএনপিকে মন বড় করে ক্ষমা করতে পারার প্রমাণ দিতে হবে। যারা আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসার চেষ্টা করছে, তাদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা না করে তাদের স্বাগত জানানো উচিত। তিনি বলেন, “আমাদের মুসলমান হিসেবে দায়িত্ব মাফ করা।”
তিনি অভিযোগ করেন, ১৬ বছর ধরে অনেককে আওয়ামী লীগকে চাঁদা দিয়ে জীবিত থাকতে হয়েছে। দেশের দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা আসার পরও বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এখন অনেকে চাঁদা আদায় করছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তারেক রহমানের ঘোষণা অনুযায়ী, দলের নাম ভাঙিয়ে যারা এই ধরনের কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি দুবার ভাববেন না।
‘দলে গ্রুপিং চলবে না’
হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার জন্য বিএনপিকে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কিছু লোক এখনও বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী দলে গ্রুপিং তৈরি করছে। তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, “আপনারা যদি বেগম জিয়া, তারেক রহমানকে ভালোবেসে থাকেন এবং জিয়া পরিবারকে বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে জিয়া পরিবারের দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।”
ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ ও ওয়াদা
নিজের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হুম্মাম কাদের চৌধুরী জানান, যখন তাকে এই দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়, তখন তিনি ‘আয়নাঘরে’ ছিলেন। এই সম্মান তাকে তারেক রহমান দিয়েছেন এবং তিনি সম্মানের সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছেন। তিনি তার বাবার প্রসঙ্গে বলেন, তার বাবা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলে গিয়েছেন, তার জন্ম রাউজানে হলেও রাঙ্গুনিয়ায় যেন তাকে মাটি দেওয়া হয়। তিনি জানান, রাঙ্গুনিয়ার মানুষ তাকে নিজেদের সন্তান মনে করতেন।
তিনি ওয়াদা করে বলেন, জিয়া পরিবার রাঙ্গুনিয়ার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দেবে, তা তিনি মেনে নেবেন এবং যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে কাজ করবেন। তিনি আশা করেন, বাকি যারা মনোনয়ন চাচ্ছেন, তারাও একই ধরনের ওয়াদা করবেন। কারণ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্যকে সংসদে পাঠাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
জনসভায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শওকত আলী নূরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতে গ্রেফতার হলেন ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের হোসেন
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেনকে ভারতের গেদে ইমিগ্রেশন পুলিশ জালিয়াতির অভিযোগে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে আটক করার পর বাংলাদেশের দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
যেভাবে ধরা পড়লেন জুবায়ের
দর্শনা ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই তুহিন হোসেন জানান, গত বছরের ২৪ নভেম্বর বৈধভাবে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন জুবায়ের। তবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে না গিয়েও জালিয়াতি করে ভুয়া এন্ট্রি সিল দেখিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করলে তিনি ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হন। এরপর তাকে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মামলা ও জেলহাজতে প্রেরণ
জালিয়াতির অভিযোগে দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ তুহিন হোসেন বাদী হয়ে জুবায়েরের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদ তিতুমীর জানান, শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জুবায়ের হোসেন বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
কৃষি খাতে নীরব দুর্ভিক্ষ: সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে পচছে শত শত টন ফসল
সংরক্ষণ ও পরিকল্পনার অভাবে উত্তরাঞ্চলের মাঠে পচে যাচ্ছে হাজার হাজার টন ফসল। বছরে আলু, আম ও সবজি মিলিয়ে প্রায় সাত থেকে আট লাখ টন ফসল নষ্ট হচ্ছে, যার আর্থিক মূল্য আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি। এতে কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়লেও লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, উপজেলা পর্যায়ে হিমাগার ও আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা না হলে এই লোকসান দিন দিন বাড়বে এবং দেশের জাতীয় অর্থনীতিও বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।
লোকসানের ভয়াবহ চিত্র
কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলে প্রতিবছর প্রায় ২২ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে মৌসুমে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টন আলু পচে যায়। প্রতি কেজি ১৫ টাকা ধরলেও এর ক্ষতির পরিমাণ ৭০০ থেকে ৭৫০ কোটি টাকা। একইভাবে, নওগাঁয় উৎপাদিত ৪.৫ লাখ টন আমের মধ্যে প্রায় ১.৫ লাখ টনই নষ্ট হয়। প্রতি কেজি ৪০ টাকা করে ধরলেও ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০০ কোটি টাকা। রংপুরের বিখ্যাত হাঁড়িভাঙা আমেরও ১০-১৫ শতাংশ নষ্ট হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা। জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই অঞ্চলে উৎপাদিত সবজির ২৫ শতাংশই পচে যায় বা কম দামে বিক্রি হয়। এতে ২৫০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
কৃষকের দুর্ভোগ ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ফায়দা
বগুড়ার কৃষক সেলিম মিয়া জানান, হিমাগারের ভাড়া বেশি এবং জায়গা পাওয়া কঠিন। বাধ্য হয়ে ৩০ টাকা খরচ করে উৎপাদিত আলু তিনি পাইকারদের কাছে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছেন। সেলিম মিয়ার মতো হাজারো কৃষকের এটি প্রতিদিনের চিত্র। মৌসুম শেষে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ফসল বাজারে আসায় দাম অর্ধেকে নেমে যায়।
কৃষকদের অভিযোগ, আড়তদার ও বড় ব্যবসায়ীরা হিমাগারে জায়গা আগাম বুকিং দিয়ে রাখেন। ফলে কৃষকরা জায়গা পান না। যারা পান, তাদের গুনতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া ও পরিবহন খরচ। পরে এই আড়তদাররাই ধীরে ধীরে বাজারে পণ্য ছাড়েন, দাম নিয়ন্ত্রণ করে কয়েক গুণ বেশি লাভ তুলে নেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানও এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “আমরা যারা বড় আড়ত চালাই, তারাই মূলত দাম ঠিক করি।”
বিশেষজ্ঞ ও সরকারের পরিকল্পনা
কৃষি গবেষক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান খান বলেন, আলু, পেঁয়াজ, আম—এগুলো দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সংরক্ষণ ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে কৃষক লোকসান গুনছেন আর আড়তদাররা দাম নিয়ন্ত্রণ করে ফায়দা তুলছেন। তাই উপজেলা পর্যায়ে ছোট-মাঝারি হিমাগার ও প্রি-কুলিং সুবিধা প্রয়োজন।
কৃষি গবেষণা জার্নালের গবেষক হোসেন মো. আলমগীর বলেন, প্রি-কুলিং, গ্রেডিং ও প্যাকহাউস সুবিধা না থাকায় উত্তরবঙ্গের বড় অংশের ফসল মাটিতে মিশে যাচ্ছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই সমস্যা সমাধানে সরকার নতুন হিমাগার স্থাপনের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ২১০ কোটি টাকার বিশেষ বাজেট বরাদ্দ করেছে। এই প্রকল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ ও স্থানীয় কৃষক সংগঠনগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে পোস্ট-হার্ভেস্ট ক্ষতি ২০-২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০-১২ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
পাঠকের মতামত:
- মৃত্যুর মুখে ডেঙ্গু রোগী: হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অর্ধেকের বেশি মৃত
- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজা উপহার: ভারতে গেল সুগন্ধি চাল
- যুক্তরাজ্য সরকারের মানচিত্রে যুক্ত হলো ‘স্টেট অব প্যালেস্টাইন’
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেনের বিস্তারিত বিশ্লেষণ
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন: শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা মুখোমুখি অবস্থানে
- বিসিবি নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ: তামিম-আসিফ মাহমুদের পাল্টাপাল্টি মন্তব্য
- ‘ট্যাক্স দেয়, সেবা পায় না, লোকজন তো গোস্সা করবেই’: অর্থ উপদেষ্টা
- সুদের টাকার জন্য মরদেহের দাফনে বাধা, চুয়াডাঙ্গায় অমানবিক ঘটনা
- এবারের পূজা হবে উৎসবমুখর: সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- অ্যান্টিট্রাস্ট চাপে আবারও আদালতে গুগল
- ৬ নতুন রাজনৈতিক দল পাচ্ছে ইসি’র নিবন্ধন
- লা লিগায় বার্সার দাপট, আতলেতিকোর জয়হীন দুর্দশা চলছেই
- তাহসান খানের আবেগঘন ঘোষণা: সংগীত ও অভিনয় থেকে অবসর
- মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হুমকি: অ্যাঞ্জেলিনা জোলির খোলামেলা মন্তব্য
- হানিয়া আমিরের ঢাকা সফর শেষ: মুগ্ধতা নিয়ে বিদায় নিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী
- আইফোন ১৭ এখন বাংলাদেশে: কিনতে গেলে যে ঝুঁকিগুলো জেনে রাখা জরুরি
- মার্কিন নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের হামলা
- কিম জং উনের হুঁশিয়ারি: ‘নিরস্ত্রীকরণ নয়, চাই সহাবস্থান’
- সরকারি খরচে সিঙ্গাপুরে গেলেন নুরুল হক নুর
- রাজধানীতে ৯ ঘণ্টায় ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি: জলমগ্ন পথঘাট, দুর্ভোগে নগরবাসী
- ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে উত্তাল নিউইয়র্ক: বিএনপি-আওয়ামী লীগের হাতাহাতি
- যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের নতুন হামলা: গাজায় মানবিক বিপর্যয়
- ‘৬-০’ ও বিমানের ইশারা: ভারতকে কী বোঝাতে চাইলেন হারিস রউফ?
- নুর ও নাহিদ: তরুণ নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ, একীভূত হচ্ছে গণঅধিকার ও এনসিপি?
- ভারত-পাকিস্তান লড়াই আর রইল না! সূর্যকুমারের স্পষ্ট ঘোষণা, একতরফা ম্যাচে বিধ্বস্ত পাকিস্তান
- শাহিবজাদা ফারহানের ঝলকে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের উড়ন্ত সূচনা
- অল্প হাঁটতেই ঘেমে যান? ঘাম থেকে রেহাই পাওয়ার সহজ উপায় জেনে নিন
- রাশিয়া দাবি: একদিনে ইউক্রেন হারিয়েছে ১৫১৫ সৈন্য
- গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট পরিচয়ে প্রতারণা, এনায়েতের জালে বেনজীরসহ হেভিওয়েটরা!
- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে উত্তাপ রাবি: পোষ্য কোটা নিয়ে জটিলতা
- রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাড়ছে রহস্যজনক মৃত্যু: এবার রাশিয়ান ইলেক্ট্রিশিয়ানের মরদেহ উদ্ধার
- জাবি নিয়ে আমির হামজার বিতর্কিত মন্তব্য, প্রশাসনের কঠোর প্রতিবাদ
- মোবাইলে স্ক্রলিং বাড়াচ্ছে পাইলসের ঝুঁকি
- ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল ৩ পরাশক্তি
- বিসিবি ঘেরাও করা হবে: নির্বাচন ঘিরে ইশরাক হোসেনের কড়া বার্তা
- জীবনের সেরা বিনিয়োগ: ওয়ারেন বাফেটের এই পরামর্শ আপনার ভাগ্য বদলে দেবে!
- রানের বন্যা বইয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া: ভারতকে পিটিয়ে ৭৮১ রানে বিশ্বরেকর্ড!
- ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ভিপির জরিমানা করা অর্থ জামায়াতের বায়তুল মালে জমা হচ্ছে: রিজভী
- তামিম ইকবালের অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচনে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ চলছে
- ত্বকের যত্নে নারকেল তেল ও কফি স্ক্রাব: দূর হবে কালো দাগ
- ‘৭টি যুদ্ধ থামিয়েছি, ৭টি নোবেল চাই’: ট্রাম্পের নতুন দাবি
- ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য কি তুরস্ক? মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে উত্তেজনা
- ভারতের আসল শত্রু বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা: নরেন্দ্র মোদি
- আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা উচিত: নাহিদ ইসলাম
- ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি : রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী
- দিল্লি হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জ্যাকুলিন ফের্নান্দেজের আপিল
- ২১ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- ১৭ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- ১৫ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার
- ১৫ সেপ্টেম্বর শীর্ষ দশ কোম্পানি দর হারাল
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি