রাশিয়া নেতৃত্বাধীন “Zapad-2025” সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

রাশিয়ার নেতৃত্বে আয়োজিত বহুজাতিক সামরিক মহড়া “Zapad-2025”-এ অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। রুশ সরকারি সংবাদ সংস্থা TASS এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই মহড়ায় বাংলাদেশসহ বেলারুশ, ভারত, ইরান, বুর্কিনা ফাসো, কঙ্গো ও মালির সেনা অংশ নেয়।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার মহড়াস্থল পরিদর্শন করেন এবং সামরিক পোশাকে উপস্থিত থেকে বলেন, “আজ আমরা Zapad-2025 মহড়ার চূড়ান্ত পর্ব পরিচালনা করছি, যেখানে প্রায় ১ লাখ সেনাসদস্য অংশ নিচ্ছে।” তিনি জানান, এই মহড়ার মূল লক্ষ্য হলো রাশিয়া-বেলারুশ জোট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধের প্রস্তুতি যাচাই করা।
TASS জানায়, মহড়ার অংশ হিসেবে বারেন্টস সাগরে রাশিয়ার সর্বাধুনিক ‘জিরকন’ হাইপারসনিক নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। বেলারুশ সেনাবাহিনী আরও জানায়, মহড়ায় পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন পরিকল্পনার মহড়াও চালানো হয়েছে।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো মহড়াটি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সম্প্রতি পোল্যান্ডে রুশ ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার পর দেশটি বেলারুশ সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং মহড়ার সময়কাল জুড়ে প্রায় ৪০ হাজার সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেয়। পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক দাবি করেন, Zapad মহড়া আসলে পোল্যান্ডের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সুয়ালকি করিডর দখলের অনুশীলন।
অন্যদিকে, মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরানও মহড়ায় অংশ নিয়েছে। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অভিযোগ, ইরান রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহৃত ‘শাহেদ’ আত্মঘাতী ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে।
প্রসঙ্গত, Zapad মহড়া রাশিয়া ও বেলারুশের যৌথ কৌশলগত সামরিক মহড়া। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত আগের সংস্করণে প্রায় ২ লাখ সেনা অংশ নিয়েছিল, যা ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের কয়েক মাস আগে অনুষ্ঠিত হয়। এবারের মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে ন্যাটোর পূর্ব সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়, যা পশ্চিমা বিশ্বে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
-সুত্রঃ TASS
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত ঐকমত্য চান ড. আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে কমিশন ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায়। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব না হলে বিষয়টি ২ অক্টোবরের পরবর্তী সময়ে গড়াতে পারে।
১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শুরু হওয়া আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, জুলাই সনদ কার্যকর করার জন্য বিশেষজ্ঞরা চারটি সম্ভাব্য পথনকশা দিয়েছেন অধ্যাদেশ জারি, নির্বাহী আদেশ, গণভোট আয়োজন অথবা বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ। এই চারটি পদ্ধতি নিয়েই এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা চলছে।
তিনি আরও বলেন, যদিও কমিশনের কার্যক্রমের মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হয়েছে, কমিশন দীর্ঘসূত্রতায় যেতে আগ্রহী নয়। তার মতে, মাসজুড়ে টানা আলোচনার প্রয়োজন নেই এবং কমিশন দ্রুতই একটি ঐকমত্যের জায়গায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
ড. আলী রীয়াজ স্পষ্ট করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে কমিশনের লক্ষ্য ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। কারণ ওই দিনই কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হবেন। তিনি ২ অক্টোবর দেশে ফিরে আসবেন। ফলে এ সময়সীমার মধ্যেই বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণভোট ও সাংবিধানিক আদেশ নিয়ে যে মতভেদ ছিল, তা ইতোমধ্যে অনেকাংশে দূর হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে অচিরেই একটি ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
-রাফসান
চীনের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ
চীন বাংলাদেশের জন্য গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভ (GGI) এর সহযোগিতায় অংশগ্রহণের দরজা খুলে দিয়েছে। সোমবার ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সচিব) আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এই আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী একটি ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলতে GGI-তে অংশগ্রহণ করতে পারে।
গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভ চালু করেছেন চীনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক প্রশাসন ও পরিচালনায় “চীনা সমাধান” প্রদান করা এবং বিশ্বজুড়ে চলমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা করা।
চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক স্থিতিশীল এবং ইতিবাচক গতিতে এগোচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সুষ্ঠু এবং উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে স্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সচিব) আসাদ আলম সিয়াম GGI-কে স্বাগত জানিয়ে এটি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে অভিহিত করেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিবাচক অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
দুই দেশের আলোচনায় কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নয়, ভৌগোলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষই সহযোগিতার অগ্রাধিকার ও নতুন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
-সুত্রঃ বি এস এস
ঘুষ প্রস্তাবে বরখাস্ত ডিএনসিসি কর্মকর্তা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর এ ব্যবস্থা নেওয়া হলেও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে মঙ্গলবার।
ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে। এ বিষয়ে ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসানের স্বাক্ষরে জারি করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, “অঞ্চল-১ প্রশাসন শাখার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ, অদক্ষতা এবং দুর্নীতি বা প্রতারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হলো এবং বিধি মোতাবেক তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি খোরাকিভাতা প্রাপ্য হবেন।”
সূত্র জানায়, সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে ডিএনসিসির প্রশাসককে বার্তা পাঠিয়ে মিজানুর রহমান উপকর কর্মকর্তা পদে পদায়নের বিনিময়ে ঘুষের প্রস্তাব দেন। সরাসরি ঘুষ প্রস্তাব করার কারণে প্রশাসক এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ডিএনসিসি কিছু কর্মচারীকে উপকর কর্মকর্তা পদে পদায়ন করেছে। সাধারণত এই পদটি নবম গ্রেডভুক্ত হলেও ১৬ থেকে ১৪ গ্রেডের কর্মচারীদেরও পদায়ন করা হয়েছে। মিজানুর রহমানও এ পদে পদায়নের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় তিনি লেখেন, “স্যার আমি মিজানুর রহমান, আমার বর্তমান পদবি প্রশাসনিক কর্মকর্তা (অঞ্চল ১, উত্তরা)। স্যার, কাজটি করে দিলে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব এবং আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে এক লাখ টাকার উপহার রয়েছে। প্রয়োজনে এখনই এক লাখ টাকা দিতে পারি, কেউ জানবে না। স্যার কিছু মনে করবেন না।”
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “ঘুষের প্রস্তাবের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তবে কেন করা হয়েছে আমি সঠিক জানি না।”
-রফিক
দুর্গাপূজায় মিলছে দীর্ঘ ছুটি!
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজে দীর্ঘ ছুটির আমেজ শুরু হতে যাচ্ছে। পূজার শুরুর দিন থেকে সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এবার টানা ১২ দিনের ছুটি কাটানোর সুযোগ পাবেন। শিক্ষা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে এ ছুটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের অনুমোদিত শিক্ষা ক্যালেন্ডারে দেখা যায়, ২৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে ৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) পর্যন্ত দুর্গাপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজ দাহম, প্রবারণা পূর্ণিমা ও লক্ষ্মীপূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে একটানা ছুটি নির্ধারিত আছে।
তালিকা অনুযায়ী, ২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিজয়া দশমী। ৪ অক্টোবর পালিত হবে ফাতেহা-ই-ইয়াজ দাহম, ৫ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা এবং ৬ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা। যদিও লক্ষ্মীপূজা ঐচ্ছিক ছুটি হিসেবে নির্ধারিত, তবে বাস্তবে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিনটি ছুটির অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অনুমোদিত ছুটির তালিকা অনুসারে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব প্রতিষ্ঠানকে শিক্ষা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে ছুটির সময়সূচি তাদের নিজস্ব সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে নির্ধারিত হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারি দপ্তরগুলোতেও ছুটির আনন্দ ছড়িয়ে পড়বে। পূজার সময় সরকারি অফিসে টানা চার দিনের ছুটি নির্ধারিত হয়েছে। ১ ও ২ অক্টোবর পূজার ছুটির পর ৩ ও ৪ অক্টোবর সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরাও দীর্ঘ বিশ্রামের সুযোগ পাবেন।
-রাফসান
দুর্গোৎসব ঘিরে প্রথম চালানে ৩৭ টনের বেশি ইলিশ গেল ভারতে
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ অনুমতিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম চালানে সাড়ে ৩৭ টনের বেশি ইলিশ ৮টি ট্রাকে করে বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে ভারতের পেট্রাপোলে প্রবেশ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামীম হোসেন।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, কলকাতাভিত্তিক পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ট্রেডিং, এফএনএস ফিশ, জয় শান্তসী, মা ইন্টারন্যাশনাল ও আর জে ইন্টারন্যাশনাল প্রথম চালানের ইলিশ আমদানি করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে সততা ফিশ, স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, বিশ্বাস ট্রেডার্স ও লাকি ট্রেডিং নামের ছয়টি প্রতিষ্ঠান এই চালানে অংশ নেয়।
বাংলাদেশ সরকার এ বছর দুর্গোৎসব উপলক্ষে মোট ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩৭টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ টন, ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ টন করে ৭৫০ টন, ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ টন করে ৩৬০ টন এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ টন করে ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির কোটা দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গজুড়ে শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজার আগে ভারতের বাজারে পদ্মার ইলিশ পৌঁছাতে পারায় সেখানকার ভোক্তাদের মাঝে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
তথ্যমতে, গত বছর ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি থাকলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বিপরীতে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ১ হাজার ৩০৬ দশমিক ৮১৩ মেট্রিক টন, যা অনুমোদিত পরিমাণের মাত্র ৪৪ শতাংশ। ইলিশের সংকট এবং উচ্চমূল্যের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কোটার পুরোটা রপ্তানি করতে পারেনি। বিশ্বাস ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নূরুল আমিন বিশ্বাস জানিয়েছেন, এ বছরও একই কারণে পূর্ণ কোটায় রপ্তানি সম্ভব নাও হতে পারে।
ভারতের ফিস ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ মন্তব্য করেন, এ বছর ইলিশের পরিমাণ কম হলেও পূজার আগে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার মানুষ পদ্মার ইলিশের স্বাদ পাবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই সুযোগ দেওয়ায় এপার বাংলার মানুষ গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টাইন অফিসার সজিব সাহা জানিয়েছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানির অনুমোদিত কোটা শেষ করতে হবে। প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ৫৩৩ টাকা সমপরিমাণ। এবার রপ্তানিকৃত প্রতিটি ইলিশের গড় ওজন ১ কেজি ২০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজির মধ্যে রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিশেষ বিবেচনায় ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে আসছে সরকার। ২০২৩ সালে ৭৯ প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার ৫০০ টনের অনুমতি দেওয়া হলেও বেনাপোল দিয়ে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৬৩১ দশমিক ২৪ টন। ২০২২ সালে অনুমোদন ছিল ২ হাজার ৯০০ টন, রপ্তানি হয়েছিল ১ হাজার ৩০০ টন। ২০২১ সালে ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার ৬০০ টন অনুমতি থাকলেও রপ্তানি হয়েছিল ১ হাজার ৬৯৯ টন। এর আগের বছর ২০২০ সালে অনুমতি ছিল ১ হাজার ৪৫০ টন এবং ২০১৯ সালে ৫০০ টন, তখন যথাক্রমে ১ হাজার ৪৭৬ ও ৪৭৬ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল।
-রফিক
ভাঙ্গায় সহিংসতা: পুলিশ-কমিশনের সতর্ক বার্তা, দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় সোমবারের সহিংসতার ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল (DIG) রেজাউল করিম মাল্লিক। ভাঙ্গা থানা কমপ্লেক্সে মধ্যরাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আমরা নিঃসন্দেহে উগ্রবাদীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি যারা সহিংসতায় জড়িত তাদের গ্রেফতার করার জন্য। হামলার মূল নেপথ্যকারদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
DIG মাল্লিক আরও জানান, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (DC) এবং সহকর্মীদের সঙ্গে ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। “এই সহিংসতায় চার থেকে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। যারা হামলায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” তিনি বলেন।
এ ঘটনায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ ভাঙ্গা থানার ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করবে, আর উপজেলা প্রশাসন উপজেলা পরিষদে ঘটে যাওয়া ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করবে।
এদিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ক্বামরুল হাসান মোল্লা সংবাদ মাধ্যমে জানান, “জনসাধারণের অনুভূতি ও ক্ষোভ নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। কমিশন বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করবে।” তিনি আরও জানান, দুই ইউনিয়নের সীমানা পরিবর্তনের বিরোধিতায় হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করা হয়েছে, যার শুনানি ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
DC মোল্লা ভাঙ্গার বাসিন্দাদের ধৈর্য রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা মানুষের অনুভূতি বুঝতে পারছি। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আরও কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ার জন্য আবারও সবাইকে অনুরোধ করছি। ভাঙ্গার মানুষদের সুনাম রয়েছে—অনুগ্রহ করে জনসাধারণের ক্ষতি না হওয়ার দিকে মনোযোগ দিন।”
সোমবার ভাঙ্গা উপজেলায় নির্বাচনী সীমানা পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীরা তাণ্ডব চালান। তারা ভাঙ্গা থানার পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ ভবন, হাইওয়ে পুলিশ আউটপোস্ট, ভাঙ্গা পৌরসভা ভবন ভাঙচুর ও আগুনে ভস্মীভূত করে। স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের অফিস এবং কয়েকটি যানবাহনও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পুলিশ ও প্রশাসনের সতর্ক বার্তা স্পষ্ট—শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা জরুরি, আর দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
-আলমগীর হোসেন
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস
আগামী শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আজ সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
প্রধান উপদেষ্টা মন্দিরে পৌঁছে পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখেন এবং সেখানে উপস্থিত পুরোহিত, ভক্ত ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ সময় তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের আগাম শুভেচ্ছা জানান এবং শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টার এ সফরকে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা আন্তরিক স্বাগত জানান। তারা জানান, এটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সামাজিক সৌহার্দ্যকে আরও সুদৃঢ় করবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির কমিটির প্রতিনিধিরা এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে পূজা উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও সহায়তার বিষয়েও কথা বলেন।
দুর্গাপূজা দেশের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছরই রাজধানীসহ সারাদেশে লাখো মানুষ এতে অংশ নেয়। প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে অনেকেই সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক হিসেবে দেখছেন।
-নাজমুল হোসেন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ইসিতে পৌঁছাতে শুরু করেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনী সরঞ্জাম গ্রহণ শুরু করেছে। ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইসির প্রধান কার্যালয়ে একে একে পৌঁছাচ্ছে ব্যালট বাক্স থেকে শুরু করে ফরম, সিল, প্যাকেটসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কয়েক মাস আগে জারি করা ওয়ার্ক অর্ডারের ভিত্তিতে চলতি সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই ধাপে ধাপে এসব সরঞ্জাম সরবরাহ শুরু হয়েছে। অন্তত ছয় ধরনের সরঞ্জাম কমিশনের গুদামে এসে পৌঁছাচ্ছে, যা গত বৃহস্পতিবার ও আজ রেকর্ড করা হয়েছে।
আজ ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নওয়াজসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইসি ভবনের বেইসমেন্টে অবস্থিত গুদাম পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা ব্যালট বাক্স, তালা, ঢাকনা, জুটের বস্তা, সিল, বিভিন্ন ধরনের ফরম ও প্যাকেটসহ কেনাকাটা করা সামগ্রী সরেজমিনে পরীক্ষা করেন।
ইসির ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ে ধাপে ধাপে ফরম ও প্যাকেট বিতরণ করা হবে। এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, “আজ বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের বৈঠক হয়েছে। নির্বাচনী সামগ্রী ইতোমধ্যেই আসতে শুরু করেছে। কিছু সামগ্রীর প্রায় অর্ধেক হাতে এসেছে, বাকিগুলোও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চলে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।”
অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নওয়াজ বলেন, “আমরা আশা করছি সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব ধরনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম হাতে থাকবে।”
ইসি জানিয়েছে, দেশের ৬৪ জেলার ১০ অঞ্চলের ৩০০ সংসদীয় আসনে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি কেন্দ্রের হিসেবে ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে মোট বুথের সংখ্যা হবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬। আগামী ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আরও বলেন, “পিতলের সিল ও সিলিং ওয়াক্স ছাড়া অন্যান্য সব সরঞ্জাম যথাসময়ে আসছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমাদের হাতে সব উপকরণ এসে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।”
নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সরঞ্জাম গ্রহণ ও বিতরণ প্রক্রিয়া চলমান থাকা মানে এখন থেকে মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক প্রস্তুতিও গতি পাবে। পর্যাপ্ত ও মানসম্মত সরঞ্জাম হাতে এলে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে কমিশনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি আরও মজবুত হবে।
-ইশতিয়াক আহামেদ
ইইউ-বাংলাদেশ কূটনীতি: গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জলবায়ু মোকাবিলায় যৌথ অঙ্গীকার
বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সম্পর্ক এখন এক কৌশলগত পর্যায়ে পৌঁছেছে। মানবাধিকার সুরক্ষা, অর্থনৈতিক সম্ভাবনার সৃষ্টি এবং গণতন্ত্রের বিকাশ—সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে এই অংশীদারিত্বের মূল দর্শন। ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক আলোচনায় ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এসব মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার অ্যাম্বাসেডরস (AOFA), যেখানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আবদুল্লাহ আল হাসান।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। এই সময়ে ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে থেকে গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে চায় এবং সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দ্রুত সাড়া দিতে প্রস্তুত। তিনি উল্লেখ করেন, “এটি একটি অনন্য সুযোগ, যেখানে মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নাগরিক সমাজের জন্য মুক্ত পরিবেশ তৈরির সুযোগ রয়েছে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইইউ বাংলাদেশকে “মুক্ত ও সুষ্ঠু” নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতিতে সহযোগিতা করছে এবং নাগরিক ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন দিচ্ছে।
অর্থনৈতিক খাতেও ইইউ বাংলাদেশের এক শক্তিশালী অংশীদার। রাষ্ট্রদূত মিলার জানান, ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (EIB) এ বছর শেষে বাংলাদেশের জন্য দ্বিগুণ ঋণ সহায়তা দেবে, যা জানুয়ারিতে ইআইবি ভাইস প্রেসিডেন্টের দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। তিনি বলেন, ইউরোপের ‘গ্লোবাল গেটওয়ে’ উদ্যোগ পরিবহন, জ্বালানি, পানি, ডিজিটাল ও টেলিকম খাতে নিরাপদ ও টেকসই সংযোগ বাড়াতে কাজ করছে, যা বাংলাদেশের উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
রাষ্ট্রদূত জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ইউরোপের জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ। “আপনাদের স্থিতিশীলতা মানে আমাদের স্থিতিশীলতা, আপনাদের সমৃদ্ধি মানে আমাদের সমৃদ্ধি।”
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কথা তুলে ধরে মিলার বলেন, ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় সফরের মাধ্যমে তিনি জানতে চেষ্টা করছেন স্থানীয় মানুষদের প্রয়োজন ও ইইউ-অর্থায়িত প্রকল্পের প্রভাব। “আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো সরাসরি জনগণের মুখে শুনে জানা—কি ঘটছে বাস্তবে,” তিনি বলেন।
বাণিজ্য বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন, ইইউ বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত ও ন্যায্য বাণিজ্য নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়াকে মসৃণ করতে একসঙ্গে কাজ করছে। এ ছাড়া ইইউ তাদের বাজেট থেকে ইউরোপের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ নিশ্চিতে গ্যারান্টি দিচ্ছে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সরাসরি প্রবৃদ্ধি আনবে।
রাষ্ট্রদূত মিলারের বক্তব্যে স্পষ্ট, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক রূপান্তরের অংশীদার হতে চায়—গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা থেকে শুরু করে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা পর্যন্ত।
-সুত্রঃ ইউ এন বি
পাঠকের মতামত:
- রাশিয়া নেতৃত্বাধীন “Zapad-2025” সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ডিএসই ঋণপত্র বোর্ডে সীমিত লেনদেন, শীর্ষে যে শেয়ার
- ব্লক মার্কেটে শীর্ষ তিন শেয়ারে ৭০% লেনদেনের দখল
- ১৭ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- মোদির ৭৫তম জন্মদিনে বলিউড ও দক্ষিণী সিনেমার তারকাদের শুভেচ্ছা
- ১৭ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন
- ১৭ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত ঐকমত্য চান ড. আলী রীয়াজ
- চীনের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- ঘুষ প্রস্তাবে বরখাস্ত ডিএনসিসি কর্মকর্তা
- ২১ ক্যারেট বনাম ২২ ক্যারেট: কোন সোনার গয়না বেশি টেকসই
- লেনদেনে চাঙ্গা বাজার, শীর্ষে যেসব কোম্পানি
- সাত দফা দাবিতে সাতরাস্তা অবরোধ
- সংবাদে বিভ্রান্তি, ডিএসইকে ব্যাখ্যা দিল ইউনিয়ন ব্যাংক
- নেতানিয়াহুকে শাস্তির হুঁশিয়ারি দিল কাতার
- বাংলা সিনেমায় প্রথম সারভাইভাল স্টোরি ‘দম’
- “গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান: জাতিসংঘের অভিযোগ ‘গণহত্যা’”
- কেন জামাই শাহিনের উপর অসন্তুষ্ট শ্বশুর শহীদ আফ্রিদি
- ভয়াবহ হামলায় গাজা সিটি ছাড়ছে হাজারো ফিলিস্তিনি
- মোদি–ট্রাম্পের ফোনালাপ, বাণিজ্য আলোচনায় আশার ইঙ্গিত
- দুর্গাপূজায় মিলছে দীর্ঘ ছুটি!
- দুর্গোৎসব ঘিরে প্রথম চালানে ৩৭ টনের বেশি ইলিশ গেল ভারতে
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- বাংলাদেশের সুপার ফোরের সম্ভাবনা: আফগানিস্তান–শ্রীলঙ্কা ম্যাচে কোন ফল দরকার?
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- ১৬ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ১৬ সেপ্টেম্বর দর হারাল শীর্ষ দশ কোম্পানি
- ১৬ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার
- দেবো কে দেব মহাদেবের পার্বতী সোনারিকা ভাদোরিয়া মা হতে চলেছেন
- আফগান সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের অভিযান: নিহত ৩১ তালেবান
- চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের জামায়াতে ইসলামী আমীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ
- বিপিএল এর নাম বদলে যে নাম রাখা হচ্ছে
- যত টাকায় সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এলএনজি আসছে
- নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রমিক সংঘর্ষ
- ‘এটি শিকড়, আবেগ আর অস্তিত্বের প্রশ্ন’
- ভাঙ্গায় সহিংসতা: পুলিশ-কমিশনের সতর্ক বার্তা, দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে
- দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস
- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ইসিতে পৌঁছাতে শুরু করেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম
- গাজায় ইসরায়েলি তীব্র হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনের ঘোষণা
- ইইউ-বাংলাদেশ কূটনীতি: গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জলবায়ু মোকাবিলায় যৌথ অঙ্গীকার
- হারলেই শেষ! বিদায়ের মুখে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
- ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের নামাজের সময়সূচি প্রকাশিত
- ক্যারিয়ার গড়ুন বিকাশে
- নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ
- পিতৃত্বকালীন ছুটি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা!
- শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে
- ৯০৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ১১টি প্যানেল নিয়ে উত্তেজনায় রাকসু নির্বাচন
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- ডাকসুতে শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়ের পেছনে যত কৌশল
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ঝড়ের উত্থান: ২৮২ শেয়ার দাম বাড়ল, লেনদেনে রেকর্ড ৭৭৮ কোটি টাকা!
- গণপরিষদ বা হ্যাঁ-না ভোটের দাবি এবি পার্টির ফুয়াদের
- শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থ পাচারের অভিযোগে নতুন করে আলোড়ন