আল-আকসায় তৃতীয় মন্দির নির্মাণের ঘোষণা ইসরায়েলের

গাজায় ইসরায়েলের ধারাবাহিক গণহত্যা, দখলনীতি এবং সামগ্রিক আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি। ফিলিস্তিনিরা আশঙ্কা করছেন, দীর্ঘকাল ধরে যে ভীতি তারা বুকে লালন করে আসছিলেন, সেটি আজ বাস্তবায়নের পথে মসজিদটি তার ইসলামি পরিচয় হারিয়ে ইসরায়েলি দখলদারদের “তৃতীয় মন্দির” নির্মাণ পরিকল্পনার শিকার হতে চলেছে।
অকল্পনীয় থেকে বাস্তব
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলি অবৈধ বসতিতে হামলার পর থেকে পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে গেছে। অতীতে যেখানে আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রকাশ্যে প্রার্থনা, গান বা পতাকা ওড়ানো কল্পনাতীত ছিল, এখন তা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা বলছেন, ইসরায়েলি সেনা ও পুলিশের নিরাপত্তায় ইহুদিরা দলবদ্ধভাবে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করছে, উচ্চস্বরে প্রার্থনা করছে, এমনকি নাচ-গান করছে এবং ইসরায়েলি পতাকা ওড়াচ্ছে। ইসলামিক ওয়াকফের আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক আউনি বাজবাজ সতর্ক করে বলেন, “এভাবে ইসরায়েল ধীরে ধীরে আল-আকসার ওপর সার্বভৌমত্ব চাপিয়ে দিচ্ছে এবং মুসলিমদের প্রার্থনার অধিকার খর্ব করছে। এটি আন্তর্জাতিক আইন ও ঐতিহাসিক চুক্তির প্রকাশ্য লঙ্ঘন।”
ঐতিহাসিক পটভূমি
আল-আকসা মসজিদ জেরুজালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত, যা কয়েক শতাব্দী ধরে মুসলিমদের আত্মপরিচয়, স্বাধীনতা এবং প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রতীক। অটোমান আমলে ১৯শ শতকের শেষদিকে "স্ট্যাটাস কো" চুক্তি অনুযায়ী, আল-আকসা কমপ্লেক্স কেবল মুসলিম প্রশাসনের অধীনে থাকবে এবং এখানে শুধুমাত্র মুসলিমদের নামাজ পড়ার অধিকার থাকবে। জর্ডানের অধীনে ইসলামিক ওয়াকফ এই প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে আসছে। ১৯৯৪ সালের জর্ডান-ইসরায়েল শান্তি চুক্তিতে এই নিয়ন্ত্রণকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখলের পর থেকে ইসরায়েল ধীরে ধীরে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে এবং ইহুদিদের প্রবেশ বাড়িয়েছে। ২০০০ সালে এরিয়েল শ্যারনের নেতৃত্বে শতাধিক সশস্ত্র সৈন্যসহ আল-আকসায় প্রবেশ দ্বিতীয় ইন্তিফাদার জন্ম দেয়। এরপর থেকে মসজিদের ওপর দখলদারিত্ব আরও বাড়তে থাকে।
অনুপ্রবেশের স্বাভাবিকীকরণ
২০০২ সালের পর থেকে আল-আকসায় ইহুদিদের প্রবেশ “বিশেষ আয়োজন” থেকে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় রূপ নেয়। প্রথমদিকে তারা নির্দিষ্ট কিছু দিনে প্রবেশ করত। কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে প্রতিদিনই সকাল ও দুপুরে তাদের দলবদ্ধভাবে প্রবেশ সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালে শুধু এক বছরেই ৫৬ হাজারের বেশি ইহুদি আল-আকসায় প্রবেশ করে প্রকাশ্যে প্রার্থনা করেছে, যা একসময় গোপনে করা হতো। জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির কেবল সমর্থনই দেননি, বরং নিজেও সেখানে প্রকাশ্যে প্রার্থনা করেছেন।
মুসলিম প্রবেশে কঠোর সীমাবদ্ধতা
যেখানে একসময় শুক্রবারে লাখো মুসল্লি নামাজ আদায় করতেন, এখন কঠোর বিধিনিষেধে সেই সংখ্যা কয়েক হাজারে নেমে এসেছে। অনেক সময় ৫০ বছরের নিচে পুরুষদের মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের প্রবেশও প্রায় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ফলে মসজিদে মুসলিম উপস্থিতি ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।
উত্তেজনা ও বিদ্রোহ
২০২১ সালের রমজানে ইসরায়েলি হামলার পর পুরো ফিলিস্তিন জুড়ে ১১ দিনের বিদ্রোহ শুরু হয় এবং হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ বাধে। ২০২৩ সালে হামাস ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ চালায়, যার নামকরণই করা হয়েছিল আল-আকসায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে।
"তৃতীয় মন্দির" পরিকল্পনা
ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে বড় শঙ্কা এখন আল-আকসার ভেতরে ইসরায়েলি সিনাগগ নির্মাণ। ২০২৩ সালে ইসরায়েলি এমপি অমিত হালেভি প্রস্তাব দেন, আল-আকসার ৩০ শতাংশ দক্ষিণাংশ মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ থাকবে, আর ডোম অব দ্য রকসহ বাকি অংশ ইহুদিদের জন্য। ২০২৪ সালে জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গিভিরও ভেতরে সিনাগগ নির্মাণের পক্ষে মত দেন। এমনকি অর্থমন্ত্রী বেজায়েল স্মোরিচ প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, “আমরা আল-আকসায় তৃতীয় মন্দির পুনর্নির্মাণ করব।”
ফিলিস্তিনিদের আশঙ্কা, ধাপে ধাপে মসজিদের ভেতরে সিনাগগ প্রতিষ্ঠার পর পুরো কমপ্লেক্সই ইহুদিদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদ দখলের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল। ইসলামিক ওয়াকফের এক কর্মকর্তা বলেন, “এটি কেবল অস্থায়ী লঙ্ঘন নয়; বরং একটি পরিকল্পিত ইহুদিকরণ প্রকল্প। এখনই মুসলিম বিশ্বকে সচেতন না হলে বাস্তবতা চাপিয়ে দেওয়া হবে, যা পরে আর ফেরানো সম্ভব হবে না।”
সূত্র: মিডেল ইস্ট আই
ইসরায়েলের হামলার কঠোর জবাব:গাজা সীমান্তে মিসরের নজিরবিহীন সেনা মোতায়েন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পাশে নিজেদের সীমান্তে নজিরবিহীনভাবে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে মিসর। ইসরায়েল গাজার রাজধানী গাজা সিটিতে ব্যাপক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন পরিস্থিতিতে কায়রো আশঙ্কা করছে, হাজার হাজার গাজাবাসী হয়তো মিসরের উত্তর সিনাই অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারেন।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) মিডল ইস্ট আইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিসরের এক সামরিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, বর্তমানে উত্তর সিনাইয়ে প্রায় ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। এটি ১৯৭৯ সালের মিসর-ইসরায়েল শান্তিচুক্তির আওতায় নির্ধারিত সেনা সংখ্যার তুলনায় বহুগুণ বেশি।
ওই সামরিক কর্মকর্তা আরও জানান, প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসির নির্দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করতে এবং গাজার জনগণকে স্থানচ্যুত করতে চায়। কিন্তু মিসর এই পরিকল্পনা কোনোভাবেই সমর্থন করে না।
বর্তমানে সিনাইয়ের বিভিন্ন ঘাঁটিতে মিসরের সেনারা অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে গাজা সীমান্তবর্তী ‘জোন সি’ এলাকায় ভারী সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে সাঁজোয়া যান, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ বাহিনী ও এম-৬০ যুদ্ধট্যাংকও রাখা হয়েছে।
মিসরীয় সূত্র জানিয়েছে, বাড়তি সেনা মোতায়েনের বিষয়টি ইসরায়েলকে জানানো হয়েছে। কায়রো তাদের জানিয়েছে, এটি কেবল আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা। তবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যদি ইসরায়েল মিসরের ভেতরে কোনো হামলা চালায়, তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
এদিকে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি স্পষ্ট করেছেন, গাজার জনগণকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনায় তারা কোনোভাবে সহায়তা করবে না, বরং যেকোনো মূল্যে তা প্রতিরোধ করবে।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই
বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে কলিং ভিসার কোটা উন্মুক্ত করল মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে আবার কলিং ভিসার কোটা উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এই ঘোষণা দেন। জানা গেছে, এবার দেশটিতে সাড়ে ২৪ লাখের বেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে।
দীর্ঘ চার বছরের নিষেধাজ্ঞার পর ২০২২ সালের ৯ আগস্ট মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলেও ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ বিদেশি কর্মীদের জন্য কোটার আবেদন ও অনুমোদন স্থগিত করা হয়েছিল।
প্রায় দুই বছর পর মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি যৌথ কমিটির সভায় কলিং ভিসার কোটা উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল জানান, কৃষি, বাগান, খনিসহ মোট ১৩টি উপখাতে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের আবেদন গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে সার্ভিস সেক্টরের হোলসেল ও রিটেল, সিকিউরিটি গার্ডস, রেস্তোরাঁ, লন্ড্রি, কার্গো এবং বিল্ডিং ক্লিনিং খাতে শ্রমিক নিয়োগের সুযোগ থাকছে।
তিনি আরও বলেন, নির্মাণ (কনস্ট্রাকশন) খাতে নিয়োগ কেবল সরকারি প্রকল্পে সীমাবদ্ধ থাকবে, আর উৎপাদন (ম্যানুফ্যাকচার) খাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মালয়েশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এমআইডিএ) এর আওতাধীন নতুন বিনিয়োগকে।
এবারের কলিং ভিসা/বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের আবেদনের সুযোগ শুধু খাতভিত্তিক অফিসিয়াল এজেন্সিগুলো পাবে। আগের মতো কোনো এজেন্ট বা সরাসরি নিয়োগকর্তা স্বাধীনভাবে আবেদন করতে পারবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এখন ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫৬ জন শ্রমিকের কোটা চালু আছে, যা ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। এরপর বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ সীমিত করে দেশের মোট জনশক্তির ১০% পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হবে। তবে বাংলাদেশিদের জন্য কতজন শ্রমিক নেওয়া হবে, তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।
/আশিক
ভারত মহাসাগরে চীনের নতুন চাল: পাকিস্তানকে উন্নত সাবমেরিন সরবরাহ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ইসলামাবাদকে সমরশক্তি সরবরাহের সবচেয়ে বড় উৎস ছিল চীন। যুদ্ধবিরতির পর নতুন করে যুদ্ধ প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। এবার দেশটি যেমন যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন বন্ধুরূপে পেয়েছে, তেমনি চীনও দিচ্ছে শক্তিশালী সব সমরাস্ত্র।
পাকিস্তানের নৌশক্তি বাড়াতে ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন ইসলামাবাদের হাতে উন্নত সাবমেরিন তুলে দিয়েছে। হ্যাঙ্গর শ্রেণীর আটটি সাবমেরিনের মধ্যে তৃতীয়টি মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) পাকিস্তানে পৌঁছায়। চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান নৌবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে চলতি বছরের মার্চে দ্বিতীয় সাবমেরিনটি সরবরাহ করেছিল বেইজিং।
চীনের নতুন সাবমেরিনের মূল বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী পানির নিচে যুদ্ধক্ষমতা, সর্বাঙ্গীন সেন্সর সিস্টেম, উৎকৃষ্ট স্টেলথ প্রযুক্তি, উচ্চ গতিশীলতা, দীর্ঘ সময় টিকে থাকার ক্ষমতা ও ভয়ঙ্কর অগ্নিশক্তি। ভারতীয় গণমাধ্যম ফলাও করে এ খবর প্রচার করছে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠতাকেও ভারত মেনে নিতে পারছে না।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, চীনের সাবমেরিন হাতে পাওয়া পাকিস্তানের জন্য একটি বড় কৌশলগত অর্জন। পাকিস্তান নৌবাহিনীর মতে, এসব সাবমেরিন ভারত মহাসাগরে শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাকিস্তানের ডেপুটি চিফ অফ নেভাল স্টাফ ভাইস অ্যাডমিরাল আব্দুল সামাদ বলেন, হ্যাঙ্গর ক্লাস সাবমেরিন আঞ্চলিক শক্তি টিকিয়ে রাখতে সহায়ক হবে এবং সামুদ্রিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
ধারণা করা হচ্ছে, এসব সাবমেরিনে এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালশন (AIP) প্রযুক্তি থাকতে পারে। এর আগে চীন থেকে পাকিস্তান চারটি আধুনিক যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি, পাকিস্তান নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে বেলুচিস্তানের গদরবন্দর ও ভারত মহাসাগরে বেইজিংয়ের উপস্থিতি দ্রুত বাড়ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে ‘রিজওয়ান’ নামের প্রথম স্পাইশিপ, ৬০০-র বেশি ভিটিফোর ব্যাটল ট্যাংক এবং ৩৬টি জে-১০সি যুদ্ধবিমান কিনেছে। ২০২২ সালে পাকিস্তান প্রথম জে-১০সি যুদ্ধবিমান হাতে পায়।
বর্তমানে চীনা সাবমেরিন পাকিস্তানের হাতে পৌঁছানো ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নয়া দিল্লির জন্য বড় কৌশলগত উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের নতুন নৌশক্তি আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য পাল্টে দিতে পারে। কারণ ভারতের নৌবাহিনীর হাতে এখনো এআইপি প্রযুক্তি সম্পন্ন সাবমেরিন নেই, যদিও তাদের কাছে দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে।
প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্সে ফিলিস্তিনের নাদিন আইয়ুব
চলতি বছরের নভেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসরে প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন আইনজীবী ও মডেল নাদিন আইয়ুব। এর মাধ্যমে কোনো ফিলিস্তিনি সুন্দরী প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গতকাল সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
দ্য মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন (এমইউও) এক বিবৃতিতে নাদিনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিস ইউনিভার্স বৈচিত্র্য, সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান ও নারীর ক্ষমতায়নকে উদযাপন করে।
নাদিন আইয়ুবকে বিবৃতিতে টিকে থাকা ও দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এবারের প্রতিযোগিতায় ১৩০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের সুন্দরীরা অংশ নেবে। চূড়ান্ত আসর অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ নভেম্বর, থাইল্যান্ডের ব্যাংককে।
আবুধাবিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানায়, নাদিন ২০২২ সালে মিস ফিলিস্তিন নির্বাচিত হন। তিনি ইনস্টাগ্রামে জানান, তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের কণ্ঠস্বর হতে চান।
নাদিন লিখেছেন, ‘প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্সে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত। ফিলিস্তিনে, বিশেষ করে গাজায় একের পর এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটছে। আমি তাদের কণ্ঠস্বর হতে চাই, যারা নীরব থাকতে অস্বীকার করেছে। আমি প্রতিটি ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুর প্রতিনিধি।’ তিনি আরও বলেন, তিনি চান সারা বিশ্ব ফিলিস্তিনিদের শক্তিমত্তার কথা জানুক।
ফিলিস্তিনকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অনুমতি এমন এক সময়ে দেওয়া হয়েছে, যখন বিশ্বজুড়ে গাজায় ইসরায়েলের অভিযান নিয়ে নিন্দার ঝড় বইছে। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে, নতুন করে কিছু দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
/আশিক
পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়াবে উত্তর কোরিয়া, হুমকি কিমের
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার পরিপ্রেক্ষিতে পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) নৌবাহিনীর একটি জাহাজ পরিদর্শনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। কিম এই মহড়াকে ‘যুদ্ধ উস্কে দেওয়ার স্পষ্ট প্রকাশ’ বলে অভিহিত করেছেন।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ায় এই সপ্তাহে বার্ষিক ‘উলচি ফ্রিডম শিল্ড’ মহড়া শুরু হয়েছে। এই মহড়ায় উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক সক্ষমতা মোকাবিলার প্রস্তুতি সমন্বয় করা হবে। এই মহড়া মোট ১১ দিন ধরে চলবে।
সিউল এবং ওয়াশিংটন এই মহড়াকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিরক্ষামূলক বলে দাবি করলেও, পিয়ংইয়ং এটিকে আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করছে।
চলতি মাসের শেষের দিকে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান তুলে ধরার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আলোচনায় পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ঠেকানোর এজেন্ডা শীর্ষে থাকবে।
সিউলের কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশনের বিশ্লেষক হং মিন বলেন, ‘এই পদক্ষেপের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ গ্রহণে অস্বীকৃতি এবং অপরিবর্তনীয়ভাবে পারমাণবিক অস্ত্র উন্নত করার ইচ্ছা প্রকাশ করছে।’
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, দেশটি আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে ৫ হাজার টনের ‘চো হিওন’ শ্রেণীর তৃতীয় ডেস্ট্রয়ার জাহাজ নির্মাণ করবে।
/আশিক
ট্রাম্পের কারণে প্রতিজ্ঞা ভাঙলেন জেলেনস্কি, সামরিক পোশাক ছেড়ে পরলেন স্যুট
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সামরিক পোশাককে নিজের রাজনৈতিক প্রতীক বানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর স্যুট পরবেন না। তবে এবার সেই প্রতিজ্ঞা ভাঙলেন তিনি। আর এর কারণ আর কেউ নন, স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে গিয়ে জেলেনস্কি কালো স্যুট পরে হাজির হন। যদিও তিনি ফরমাল পোশাকের মধ্যেও সামরিক ছোঁয়া রেখেছেন; কালো স্যুট পরলেও পরেননি টাই।
এর আগে হোয়াইট হাউসে গিয়ে পোশাকের কারণে জেলেনস্কি রীতিমতো অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। সামরিক পোশাক পরে বৈঠকে যোগ দেওয়ায় ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তাকে ‘অকৃতজ্ঞ’ ও ‘অসম্মানজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। সেই বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি করে। মূলত সেই অভিজ্ঞতাই জেলেনস্কিকে পোশাক পরিবর্তনের দিকে ধাবিত করেছে।
নতুন রূপে হাজির হওয়া জেলেনস্কিকে এবার প্রশংসা করেছেন ট্রাম্পপন্থি সাংবাদিক ব্রায়ান গ্লেন। আগে সামরিক পোশাক নিয়ে কটাক্ষ করলেও এবার তিনি বলেন, ‘স্যুটে আপনাকে অসাধারণ দেখাচ্ছে।’ জবাবে জেলেনস্কি রসিকতা করে বলেন, ‘আমি বদলেছি, কিন্তু আপনি একই স্যুটে আছেন।’ ট্রাম্পও এই পরিবর্তনের প্রশংসা করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার পর পোশাক ও আচরণে পরিবর্তন এনে হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির এবারের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে কূটনৈতিকভাবে একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করছে।
সূত্র : দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
মোদি ও পুতিনের ফোনালাপ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাসহ যা যা আলোচনা হলো
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার (১৮ আগস্ট) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এর মাত্র কয়েক দিন আগেই পুতিন আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ স্থায়ীভাবে শেষ করার সম্ভাবনা নিয়ে বৈঠক করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদি ফোনালাপে ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, এই যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রয়োজন এবং ভারত এ ব্যাপারে পূর্ণ সমর্থন দিতে প্রস্তুত। পাশাপাশি মোদি ও পুতিন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেছেন এবং দুই নেতা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
পরে এক্সে (পূর্বে টুইটার) মোদি লিখেছেন, “বন্ধু প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ধন্যবাদ জানাই ফোন করার জন্য এবং আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠক সম্পর্কে মতামত শেয়ার করার জন্য। ভারত সবসময় ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে কথা বলেছে এবং এই প্রক্রিয়ার সব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে আসছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।”
উল্লেখ্য, এর ১০ দিন আগেও পুতিন ও মোদির মধ্যে ফোনালাপ হয়েছিল। তখন বৈশ্বিক বাণিজ্য নিয়ে অনিশ্চয়তা, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে আলোচনা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যে, ভারত যদি রাশিয়া থেকে ডিসকাউন্টে অপরিশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রাখে, তাহলে দিল্লির পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, এই অর্থ ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার তহবিল বাড়াচ্ছে।
এর জবাবে ভারত পাল্টা যুক্তি দিয়েছে যে, উন্নত পশ্চিমা দেশগুলো যেহেতু জ্বালানির ওপর তেমন নির্ভরশীল নয়, তারা সহজেই বিকল্প উৎস থেকে বেশি দামে জ্বালানি কিনতে পারে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিলিয়ন মানুষের জ্বালানি চাহিদা এবং ব্যয়ের ভারসাম্য বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
পুতিনের এই ফোনালাপ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন। আলাস্কার তথাকথিত ‘শান্তি সম্মেলনে’ তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে এবার জেলেনস্কির সঙ্গে কূটনৈতিক সহায়তায় জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার উপস্থিত থাকবেন।
/আশিক
গাজাবাসীর নতুন ঠিকানা আফ্রিকা? ইসরায়েলের বিতর্কিত পরিকল্পনা ফাঁস
গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা এবং মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেই নতুন একটি বিতর্কিত পরিকল্পনার অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের গাজার লাখো বাসিন্দাকে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে নির্বাসিত করার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল।
বিভিন্ন সূত্রের দাবি, ইসরায়েল ইতোমধ্যে উগান্ডা, মরক্কো, লিবিয়া, সুদান, সোমালিয়া, ইথিওপিয়াসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, এমনকি দক্ষিণ সুদান সরকারের সঙ্গেও এ সংক্রান্ত কথাবার্তা হয়েছে। যদিও দক্ষিণ সুদান সরকার এই খবর অস্বীকার করেছে।
এদিকে, ইসরায়েলের এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে মিশর। কায়রোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজার জনগণকে তাদের মাতৃভূমি থেকে জোর করে উচ্ছেদ করা হলে তা হবে “ইতিহাসের নিকৃষ্টতম কাজ”। মিশরের মতে, এ ধরনের পরিকল্পনা শুধু একটি ভয়াবহ শরণার্থী সংকটের সৃষ্টি করবে না, বরং ফিলিস্তিনিদের জাতীয় পরিচয় মুছে ফেলার একটি অপচেষ্টাও বটে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি একাধিকবার গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর মাধ্যমে আরব বিশ্ব অভিযোগ করছে যে, আবারও ১৯৪৮ সালের মতো ফিলিস্তিনিদের তাদের মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র চলছে।
/আশিক
ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রাখছে ইসরায়েল:অ্যামনেস্টি
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি অভিযোগ করেছে যে, ইসরায়েল গাজায় ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রাখছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, গাজায় চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত কর্মীরা জানিয়েছেন, অবরোধ ও হামলার কারণে বিপুলসংখ্যক শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় পরিকল্পিতভাবে অনাহারে রাখার কৌশল ব্যবহার করছে, যা ফিলিস্তিনিদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক কাঠামোকে ধ্বংস করছে। এএফপি জানায়, ইসরায়েল দুই বছর ধরে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েল থেকে ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল, যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪৮ জন মুক্তি পেয়েছেন। এখনো প্রায় ৫০ জন গাজায় আটক আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের অন্তত অর্ধেক আর জীবিত নেই। এএফপির অনুরোধে ইসরায়েলি সামরিক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
পাঠকের মতামত:
- আল-আকসায় তৃতীয় মন্দির নির্মাণের ঘোষণা ইসরায়েলের
- দেশের যে সাত অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস, সঙ্গে বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি
- বায়তুল মোকাররমে সমাবেশে চরমোনাই পীরের হুঁশিয়ারি
- অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নতুন দাবি জামায়াতের
- মীর হেলালের বক্তব্যে তারেক রহমানের বার্তা
- হাসপাতালে ভর্তি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
- ইসরায়েলের হামলার কঠোর জবাব:গাজা সীমান্তে মিসরের নজিরবিহীন সেনা মোতায়েন
- বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে কলিং ভিসার কোটা উন্মুক্ত করল মালয়েশিয়া
- ২০২৬ সালের রমজান: তারিখ জানাল জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা
- জামায়াতের সংস্কার চাওয়া হাস্যকর: বললেন হাবিব উন নবী খান সোহেল
- আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে: মেজর (অব.) হাফিজ
- ‘সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির জন্য অস্ত্র তৈরি’: পাবনার চাতরা বিলে কারখানার সন্ধান
- জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ নির্বাচন: তারেক রহমান
- ভারত মহাসাগরে চীনের নতুন চাল: পাকিস্তানকে উন্নত সাবমেরিন সরবরাহ
- ব্যাটারির আয়ু বাঁচাতে এই বিষয়গুলো জানা জরুরি
- পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি: অডিওতে ফাঁস বিএনপি নেতার কাণ্ড
- প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্সে ফিলিস্তিনের নাদিন আইয়ুব
- বিজিবির অভিযানে জব্দ ২ লাখ ঘনফুট কালোপাথর, পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ
- মাইলস্টোনের নিহত শিক্ষকরা চিরস্মরণীয়: প্রধান উপদেষ্টা
- ওরা আমাদের সন্তানের বয়সী,বড় হলে লজ্জিত হবে: কটূক্তির জবাবে সেনাপ্রধান
- বিসিবির দুর্নীতি দমনে নতুন পরামর্শক অ্যালেক্স মার্শাল, দায়িত্ব নিয়েই হুঙ্কার
- পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়াবে উত্তর কোরিয়া, হুমকি কিমের
- পিআর পদ্ধতি নয়, চাই দ্রুত নির্বাচন’: মির্জা ফখরুল
- জাল টাকার শিকার রইস উদ্দিনের বাড়িতে অপু বিশ্বাসের ভালোবাসার পরশ
- জুলাইয়ের হত্যা মামলায় আসামির জামিন,আইন মন্ত্রণালয়ের দায় নেই: আসিফ নজরুল
- গুলিবর্ষণের নির্দেশদাতা: সাভারের সাবেক ইউএনও এখন রাজাপুরের ইউএনও
- কানাডার মন্ট্রিয়েলে ফোবানা সম্মেলনে মঞ্চ মাতাবেন জায়েদ খান
- ড. ইউনূসের সরকারের কাছে এটা আশা করি না: মব জাস্টিস নিয়ে রিজভীর ক্ষোভ
- ট্রাম্পের কারণে প্রতিজ্ঞা ভাঙলেন জেলেনস্কি, সামরিক পোশাক ছেড়ে পরলেন স্যুট
- দুদকের জালে এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তা: চাওয়া হলো সম্পদ বিবরণী
- প্রশাসন একটি দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট: শিবিরের প্যানেলের ক্ষোভ
- এনসিপি’র শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে, জিএস প্রার্থী মাহিন সরকারের বহিষ্কার
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- ১৯ আগস্ট ডিএসইর দরপতনের শীর্ষ দশ শেয়ার
- ১৯ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই: আসিফ নজরুল
- পূবালী ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের কুপন প্রদানের রেকর্ড ডেট ঘোষণা
- ডিএসই ঘোষণা: ২০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডে লেনদেন বিরতি
- স্বামী-স্ত্রীর প্রকাশ্য মারামারির ভাইরাল ভিডিও নিয়ে জানা গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা
- লিভার ডিটক্স পণ্য আসলেই কতটা কার্যকর? চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
- এক ফ্যান-দুটি বাতির ব্যবহার, বিদ্যুৎ বিল ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা!
- স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদে স্ত্রীর কান ছিঁড়ে দিল স্বামী
- শূন্যপদ আর অনিয়মে জর্জরিত শিক্ষা খাত, ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী
- এনা পরিবহন কেলেঙ্কারি ও ভিডিও কাণ্ডে বিতর্কে বিএফআইইউ প্রধান
- শেকলবন্দি বাপ্পীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
- তারেক রহমান–বাবর খালাস রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল
- দফায় দফায় লুট, জনরোষের মুখে বদলি হলেন সিলেট ডিসি-ইউএনও
- মুরাদনগরের ট্রিপল মার্ডারে নতুন মোড়: কাঠগড়ায় আসিফ মাহমুদের বাবা
- ‘ধর্ম নয়, যোগ্যতায় মানুষ মূল্যায়িত হবে’: জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা
- ১১ বগি রেখেই আশুগঞ্জ স্টেশনে প্রবেশ করল মহানগর এক্সপ্রেস
- শেখ মুজিব: দেবতা, ভিলেন নাকি রাজনৈতিক ট্রাজেডির নায়ক?
- ১৪ আগস্ট ব্লক মার্কেটে বড় চুক্তি
- ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া: গণতন্ত্রের আপোষহীন কণ্ঠস্বর ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার
- দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’ গড়ল মুক্তির আগে রেকর্ড
- চূড়ান্ত বিপ্লবের পথে: চিন্তার পুনর্গঠন ও আত্মার জাগরণ
- ১৪ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- ১৪ আগস্ট সেরা দশ লেনদেনকারী শেয়ার
- ১৪ আগস্ট ডিএসইর দরপতনের শীর্ষ দশ শেয়ার
- আজকের শেয়ারদামে এগিয়ে ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- জানে আলম অপুর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে রহস্য, কেন ইশরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ?
- শিক্ষকদের আলটিমেটাম: জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে নতুন মোড়
- আজানের পর দরুদ ও বিশেষ দোয়া: হাদিসে ক্ষমা ও সুপারিশের সুসংবাদ
- "যারা এখনও হলে সিট পাননি, তারা যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন"
- ৪০০ কোটি টাকার বাজেট, ৬ হাজার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি ‘ওয়ার ২’
- বিচার-সংস্কার ছাড়া নির্বাচন পুরোনো সংকট ডেকে আনবে: ইউনূস