গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় সাতজন গ্রেফতার

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১১:৪৩:৩১
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় সাতজন গ্রেফতার
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর মহানগরীর চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) কে কুপিয়ে হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপি, আল আমিন, মো. স্বাধীন, শাহজালাল, ফয়সাল হাসান ও মো. সুমন।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) এর উপকমিশনার রবিউল হাসান। তিনি জানান, শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে পুলিশের তিনটি ইউনিট পৃথক স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে এই সাতজনকে গ্রেফতার করে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ভিডিও সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের গাজীপুর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে।

তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বড় ভাই মো. সেলিম বাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, তুহিন তার পরিবার নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বাস করতেন। হত্যাকাণ্ডের রাতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাকে ধাওয়া করলে তুহিন ঈদগাঁ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। কিন্তু দুর্বৃত্তরা দোকানের ভিতর ঢুকে তাকে কোপাতে থাকে। পরে তিনি মারা যান এবং দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয় একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের চেহারা ধরা পড়ে। পুলিশ রাতেই মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচ জনকে আটক করে।

রবিউল হাসান জানান, সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে আসামিদের শনাক্তের পর পুলিশ তিনটি টিম গঠিত করে গ্রেফতার অভিযান চালায়। শুক্রবার রাত প্রায় ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে কেটু মিজান ও তার স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের অন্য একটি টিম গাজীপুর শহরের পাশ থেকে স্বাধীনকে আটক করে। তুরাগ থানা এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে শাহজালাল এবং বাসন এলাকা থেকে ফয়সাল ও সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উপকমিশনার আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রত্যেকেই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। তাদের থেকে হত্যার প্রকৃত কারণ জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরবর্তীতে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে।

/আশিক


নাসির উদ্দিন: মানুষের আস্থা হারিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১১:২০:১০
নাসির উদ্দিন: মানুষের আস্থা হারিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা অনেকাংশে ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি বলেন, জনগণকে কেন্দ্রে এনে নির্বাচন পরিচালনা করা এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে রংপুরে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। নাসির উদ্দিন আরও জানান, আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার অভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে থাকবে, তবে নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে পরিস্থিতি উন্নত হবে বলে আশা করা যায়।

তিনি উল্লেখ করেন, গত নির্বাচনে যারা প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জোর দিয়ে বলেন, আগামী নির্বাচন কমিশন কারো পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করবে না। ১৮ কোটি জনগণের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ভোটের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুন্দর ও ন্যায্য করার জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

/আশিক


সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে সরকারের নির্ধারিত ২৭ টাকার সার বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১০:০৫:৫০
সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে সরকারের নির্ধারিত ২৭ টাকার সার বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়
ছবি: কালের কণ্ঠ

গ্রামের মাঠগুলোতে আমন ধান ও শীতকালীন সবজির জন্য প্রস্তুতি চলছে। তবে সারের দাম বৃদ্ধির কারণে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। সরকার যেখানে টিএসপি সারের প্রতি কেজির দাম ২৭ টাকা নির্ধারণ করেছে, সেখানে স্থানীয় বাজারে তা ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঝিনাইদহের সদর, শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় সার ক্রয়ে কৃষকরা প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কথা জানাচ্ছেন। কৃষি অফিস ও ডিলারদের থেকে সঠিক পরিমাণ সার না পেয়ে কৃষকরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে অন্য জায়গা থেকে কিনছেন। অভিযোগ রয়েছে, কিছু অসাধু ডিলার সরকারি গুদামের সার কালোবাজারে পাচার করছেন।

স্থানীয় সারের ডিলারদের মধ্যে পোড়াহাটি ইউনিয়নের হাজী জাহাঙ্গীর, দোগাছী ইউনিয়নের উজ্জ্বল হোসেন, শৈলকুপার দুধসর ইউনিয়নের সাইয়ুব আলী জোয়ার্দার, হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার মাহবুব হোসেন ও কাপাসাটিয়া ইউনিয়নের সোনা জোয়ার্দার দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় একটি সিন্ডিকেট গঠন করেছেন। তারা বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সারের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। উদাহরণস্বরূপ, ইউরিয়া সার বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা, এমওপি ২৭ থেকে ৩০ টাকা, ডিএপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এবং টিএসপি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।

একজন ডিলার জানিয়েছেন, সবজি চাষের কারণে টিএসপির চাহিদা বেড়েছে, তাই ডিলাররা অধিক দামে বিক্রি করছে। কৃষক আব্দুর রশিদ মল্লিক বলেন, সরকারি দামে সার না পেয়ে তিনি অন্য ডিলারের কাছে দ্বিগুণ মূল্যে সার কিনতে বাধ্য হয়েছেন। শৈলকুপার কৃষক গোলাম নবী অভিযোগ করেছেন, প্রতিবার একই সমস্যা হয়, প্রশাসন জানানো হলেও পদক্ষেপ নেই।

জেলা সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্ঠী চন্দ্র রায় জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপসহ বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে এবং জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিগগির এই সমস্যা সমাধান হবে।

/আশিক


দুই কারণ সামনে রেখে গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যা ঘটনায় তদন্ত

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ০৯:৩৪:২৭
দুই কারণ সামনে রেখে গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যা ঘটনায় তদন্ত
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানের স্ত্রী মুক্তা বেগম স্বামী হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় দুই সম্ভাব্য কারণ নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। একদিকে রয়েছে গাজীপুরের সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের বিরুদ্ধে ভিডিও ধারণের ঘটনা, অন্যদিকে পূর্বশত্রুতার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাম মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল আমিন। সিসিটিভির মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করার পর গত কয়েক দিনে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।

পুলিশের বরাত দিয়ে জানা গেছে, আসাদুজ্জামানের হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেটি দেখে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে তিনটি পুলিশের টিম ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মিজান ও তার স্ত্রী, শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে স্বাধীন এবং রাজধানীর তুরাগ থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঘটনার পর আসাদুজ্জামানের বড় ভাই মো. সেলিম গাজীপুর বাসন থানায় মামলা করেছেন। আসাদুজ্জামান গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীদের দ্বারা কুপিয়ে নিহত হন। তিনি দৈনিক ‘প্রতিদিনের কাগজ’ এর স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন এবং ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার রবিউল হাসান জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ছিনতাইকারী দল ধারালো দেশি অস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করছে। সেই সময় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ওই দৃশ্য ভিডিও করছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিও করার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, চান্দনা চৌরাস্তা মসজিদ মার্কেটের পশ্চিম পাশে, সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিটে একটি নারী ও পুরুষের ধস্তাধস্তির দৃশ্য। নারীকে টেনে ধরছে একজন পুরুষ, যিনি পরে তার উপর চড়াও হন। তখন পাশ থেকে ধারালো অস্ত্র হাতে কিছু যুবক ওই ব্যক্তিকে কোপানোর চেষ্টা করেন। ওই ব্যক্তি পালাতে সক্ষম হন।

আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি এবং তাঁর সহকর্মী শামীম হোসেন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একসঙ্গে হাঁটছিলেন। শামীম বলেন, কয়েকজন ধারালো অস্ত্রধারী ওই পুরুষকে তাড়া করছিল। আসাদুজ্জামান মোবাইল ফোন বের করে তাদের ভিডিও করতে থাকেন। পরে চায়ের দোকানে ঢুকে পালানোর চেষ্টা করলেও তারা ঢুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। শামীম পরে পুলিশকে খবর দেন।

ধস্তাধস্তির সময় আহত ব্যক্তি বাদশা মিয়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি বলেন, তাদের একটি দল তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।

পুলিশ জানায়, গাজীপুর বাসন, ভোগরা ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ছিনতাইকারী একটি চক্র সক্রিয়। ভিডিওতে ধরা পড়ে ছিনতাইকারীদের মধ্যে এক নারীও রয়েছে, যিনি ওই চক্রের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন গতকাল চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। গাজীপুর প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে কর্মসূচিতে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকরা হত্যার নিন্দা জানিয়ে বিচার ও নিরাপত্তা দাবি করেন।

এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণ অধিকার পরিষদ ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা বাসন থানায় মিছিল করে থানা ঘেরাও করে।

আসাদুজ্জামানের জানাজা গতকাল চান্দনা মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সন্ধ্যায় তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা শোকাহত।

এদিকে গাজীপুরের সাহাপাড়া এলাকায় সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মো. ফরিদ নামের এক যুবককে। গত বুধবার চাঁদাবাজির সংবাদ সংগ্রহকালে ওই সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়। মামলার বাদী তার মা। গ্রেপ্তারকৃত ফরিদকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে। পুলিশ অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।

/আশিক


গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের আপডেট

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৮ ১৬:১৩:১৬
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের আপডেট
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সংস্থাটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

নিহতের বড় ভাই সেলিম মিয়া গাজীপুর সদর উপজেলার বাসন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তুহিন অন্য এক যুবককে মারধরের ভিডিও ধারণ করছিলেন। সেই সময় ঘটনাস্থলে থাকা অস্ত্রধারী কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে ধাওয়া করে। জীবন বাঁচাতে তিনি পাশের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন, কিন্তু সেখানেই তাকে ঘিরে ফেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

৩২ বছর বয়সী আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মো. রবিউল হাসান জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। তার মতে, অভিযুক্তরা ধরা পড়লেই হত্যার পেছনের প্রকৃত উদ্দেশ্য উদঘাটিত হবে।

-রফিক


আদালতে দীপু মনিকে কঠোর ভাষায় দুষলেন কলিমউল্লাহ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ২১:৫৭:১৩
আদালতে দীপু মনিকে কঠোর ভাষায় দুষলেন কলিমউল্লাহ
আদালতে বেরোবির সাবেক ভিসি নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। ছবি: সমকাল

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারক।

শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে কলিমউল্লাহ সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেন। আদালতে উপস্থিত থাকাকালে তিনি জানান, ২০১৭ সালে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করেছেন; কোনও অনিয়ম বা দুর্নীতি করেননি।

দুদকের পক্ষে আইনজীবী দেলোয়ার জাহান রুমী জানান, মামলায় মোট পাঁচজন আসামি রয়েছে, যারা যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিগ্রস্ত কাজ দিয়েছেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন ও কারাগারে ডিভিশনের আবেদন করেন।

বিচারক মামলার জটিলতাসহ একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। কলিমউল্লাহ জানান, তাঁর ক্যাম্পাসে উপস্থিতি কম ছিল কারণ তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি তাঁর কাছে অন্যায় দাবি করতেন এবং এই কারণে ক্যাম্পাসে যেতেন কম। তিনি বলেন, “আমি সারাদিন কাজ করে রাতে টকশো করতাম।”

বিচারক আরও জানতে চান, তিনি কীভাবে একই সঙ্গে উপাচার্য, বিভাগের চেয়ারম্যান এবং অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করতেন। কলিমউল্লাহ বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, তাঁর নিয়ন্ত্রণে নয়।

বিচারক নকশা ও উন্নয়ন কাজের বিষয়ে প্রশ্ন করলে কলিমউল্লাহ জানান, অনেক কাজ পূর্ববর্তী উপাচার্যের আমলের, নকশাও আগের। তিনি দাবি করেন, ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করেছেন, এজন্যই তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকায় তদন্ত হবে জানিয়ে বিচারক বলেন, “আপনি জানেন কী করেছেন, কিছুদিন পর দুদক জানবে, তারপর বাকি মানুষও জানবে।”

গ্রেপ্তারের সময় তিনি অপ্রস্তুত ছিলেন এবং দুদক থেকে তলব না হওয়ার বিষয়েও আপত্তি জানান। তবে বিচারক স্পষ্ট করে বলেন, যারা দুর্নীতি করেছেন, তাদেরকে জেলেই থাকতে হবে।

অবশেষে বিচারক কলিমউল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং জানান, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা জেল কর্তৃপক্ষ দেবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে কলিমউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। একই আদালত বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের দুর্নীতির মামলায় কলিমউল্লাহসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু, সাবেক উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী এবং এম এম হাবিবুর রহমান।

/আশিক


‘চাঁদাবাজি’র ভিডিও পোস্টের পর খুন হলেন গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ২১:৫০:৫৮
‘চাঁদাবাজি’র ভিডিও পোস্টের পর খুন হলেন গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। ছবি : সংগৃহীত

গাজীপুরে চা দোকানে বসা অবস্থায় সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা, দিনভর চাঁদাবাজির লাইভ করেছিলেন ফেসবুকে

গাজীপুরের ব্যস্ততম এলাকায় চাঞ্চল্যকর এক খুনের ঘটনা ঘটেছে। মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তার মসজিদ মার্কেটের সামনে একটি চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় এ হামলার শিকার হন তিনি।

নিহত তুহিন (৩৮) দৈনিক ‘প্রতিদিনের কাগজ’-এর গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামে হলেও তিনি পরিবারসহ গাজীপুরেই বসবাস করতেন।

স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে চাঁদাবাজি নিয়ে একটি ফেসবুক লাইভ করেন তুহিন। বিকেলেই চান্দনা চৌরাস্তার ফুটপাত ও দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজি নিয়ে সরাসরি সম্প্রচারে আসেন তিনি। এরপর সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন, ‘যেমন খুশি তেমন রাস্তা পার হওয়ার দৃশ্য। গাজীপুর চৌরাস্তা।’

রাত ৮টার দিকে মসজিদ মার্কেটের সামনে চা পান করছিলেন তিনি। ঠিক তখনই হঠাৎ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা তাকে জবাই করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। হত্যার কারণ উদঘাটনে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

তুহিনের প্রকাশ্য এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখছে।

/আশিক


খুলনায় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মাদক মামলার আসামির পালানো

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ২১:২২:০৩
খুলনায় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মাদক মামলার আসামির পালানো
ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় পুলিশের হেফাজতে থাকা এক আসামি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় প্রিজন সেল থেকে পালিয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ভোররাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে এ ঘটনা ঘটে। পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম ইউসুফ (২৩)। তিনি নগরীর খালিশপুর থানার আলমনগর মোড় এলাকার বাসিন্দা এবং মাদক মামলার আসামি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে আলমনগর মোড় এলাকা থেকে ইউসুফকে ২০টি ইয়াবাসহ আটক করে খালিশপুর থানার পুলিশ। রাতেই তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরে ইউসুফ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁর শরীরে কোনো গুরুতর সমস্যা শনাক্ত করতে না পারলেও, বারবার ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গের কথা বলায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে।

খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তারেক জানান, প্রিজন সেলের বাইরে কারারক্ষীরা দায়িত্বে থাকেন এবং ভেতরের নিরাপত্তা দেখভাল করে পুলিশ। সেলটিতে ইউসুফ ছাড়াও এক বয়স্ক আসামি ছিলেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই বয়স্ক ব্যক্তি বাথরুমে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে দায়িত্বরত কনস্টেবল দরজার তালা খুলে তাঁকে বাইরে নিয়ে যান। তবে ফিরে এসে তালা বন্ধ করতে ভুলে যান। এ সুযোগে ইউসুফ পালিয়ে যান। পরবর্তীতে দেখা যায়, প্রিজন সেলের বাইরের মূল ফটকের তালাও খোলা ছিল। এই গাফিলতির জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে খুলনা জেলা কারাগারের জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান বলেন, 'পলাতক ব্যক্তি আমাদের হেফাজতে ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, সেটিও আমরা জানতাম না। যদি আমাদের হেফাজতে থাকতেন, তবে তাঁকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হতো। তবে প্রিজন সেলে পুলিশ ছাড়াও আমাদের লোকজনও থাকেন। যদি আমাদের কেউ গাফিলতি করে থাকে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

/আশিক


কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো ট্রলার ও জেলের মরদেহ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ১২:৫৩:৩৮
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো ট্রলার ও জেলের মরদেহ
সমুদ্র সৈকতে ভাসছে ট্রলার। ছবি : কালবেলা

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতের ডিসি পার্কসংলগ্ন সাগরে ভেসে এসেছে একটি মাছ ধরার ট্রলার এবং এক জেলের মরদেহ। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) স্থানীয়রা সাগরে এ দৃশ্য দেখে নৌপুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত জেলের নাম ইদ্রিস, তিনি কলাপাড়া উপজেলার মধুখালী এলাকার বাসিন্দা। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার পরনে ছিল একটি লাল গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট। পরে তার ভাতিজা সাগর পোশাক দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন। সাগর জানান, গত ২৬ জুলাই তিনি চাচা ইদ্রিসের সঙ্গে এফবি সাগরকন্যা নামের ট্রলারটিতে ছিলেন। ট্রলারটি সেদিনই সাগরে ডুবে যায়, সেই সময় চাচা ওই পোশাকেই ছিলেন।

ট্রলারে থাকা অন্য জেলেরা জানিয়েছেন, জাল ফেলার কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি ঝড় ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি। মুহূর্তেই ট্রলারটি ডুবে গেলে শুরুতেই এক জেলে নিখোঁজ হন। এরপর বাঁশ ও ফ্লুটের (ভেসে থাকার উপকরণ) সাহায্যে ১৪ জন জেলে ভেসে থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু এরপর আরও পাঁচজন ঢেউয়ের তোড়ে হারিয়ে যান। অবশেষে সাগরের শেষ বয়া এলাকা পর্যন্ত ভেসে যাওয়া জেলেদের মধ্যে ৯ জনকে সোমবার রাতে দুটি মাছ ধরার ট্রলার উদ্ধার করে মহিপুর মৎস্যবন্দরে নিয়ে আসে।

কুয়াকাটা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিকাশ মন্ডল জানান, স্থানীয়দের খবর পেয়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার ও এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরনে ছিল লাল গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট, যা দেখে তার ভাতিজা মরদেহটি ইদ্রিস বলে শনাক্ত করেছেন। সুরতহাল শেষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই সকাল ১০টার দিকে কুয়াকাটার শেষ বয়া থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার গভীর সাগরে ট্রলারটি ১৫ জন জেলেসহ ডুবে যায়। চার দিন পর জীবিত উদ্ধার হন ৯ জন। নিখোঁজ ছয়জনের মধ্যে নজরুল ইসলামের লাশ ১ আগস্ট কুয়াকাটার মীরা বাড়ি সংলগ্ন সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়। এখনো আবদুর রশিদ, রফিক, হারুন ও কালাম নিখোঁজ রয়েছেন।

/আশিক


চট্টগ্রামে বায়েজিদ সড়কের সেতু ধসে যান চলাচল বন্ধ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ১২:০৮:০৩
চট্টগ্রামে বায়েজিদ সড়কের সেতু ধসে যান চলাচল বন্ধ
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বায়েজিদ বোস্তামী সড়কে শীতল ঝর্ণা খালের ওপর নির্মিত একটি সেতুর একাংশ ধসে পড়েছে। এতে ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেনমুখী যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র বিপরীত পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করায় সড়কটিতে ব্যাপক যানজট দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে সেতুটি ধসে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ধসের ফলে সেতুটি দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিফাতুল করিম চৌধুরী জানান, সেতুটি ইটের তৈরি এবং প্রায় ৪০ বছর আগে, অর্থাৎ ১৯৮০ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “সম্প্রতি জলাবদ্ধতা নিরসনে শীতল ঝর্ণা খাল সম্প্রসারণ করা হয়। ফলে খালের প্রস্থ বাড়লেও সেতুটি পূর্বের মাপে থেকেই যায়। অতিরিক্ত পানির স্রোতে সেতুর একাংশ ধসে পড়ে। এটি মেরামতের উপযোগী নয়, এখন পুনর্নির্মাণ করতেই হবে।”

সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে বায়েজিদ সড়কজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নাসিরাবাদ ও ষোলশহর শিল্পাঞ্চলের হাজারো শ্রমিক প্রতিদিন এই পথ ব্যবহার করেন। এছাড়া হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের যোগাযোগ এই সড়কের উপর নির্ভরশীল।

চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের শিক্ষক মনসুর নবী জানান, সকালে কলেজে যাওয়ার সময় তিনি ধসে পড়া সেতুটি দেখতে পান। তিনি বলেন, “এরইমধ্যে জানানো হয়—অতি বৃষ্টির কারণে কলেজ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরে বাসায় ফিরে আসি। এখন গাড়ি একপাশ দিয়ে চলায় পুরো সড়ক জুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। সেতুর অপর পাশটিও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।”

এখনই দ্রুত সেতুটি পুনর্নির্মাণ না করা হলে, নাগরিক দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

/আশিক

পাঠকের মতামত: