ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম প্রার্থী উমামা ফাতেমা

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ৩০ ২২:১৩:০১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম প্রার্থী উমামা ফাতেমা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম প্রার্থী উমামা ফাতেমা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট চলবে সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৪টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

এদিকে, নির্বাচন সামনে রেখে প্রথম প্রার্থী হিসেবে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে উমামা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছেন। তিনি লিখেছেন, “১ম বর্ষে বৈধ সিটের দাবিতে ‘বৈধ সিট আমার অধিকার’ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলি। এই অভিজ্ঞতায় বুঝেছি, বড় ধরনের পরিবর্তন ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো সমাধান সম্ভব নয়। আর সেই পরিবর্তন আনতে পারে একমাত্র শিক্ষার্থীরাই।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বতন্ত্র ও লেজিটিমেট ছাত্র সংসদ থাকা জরুরি, যেটি কোনো রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবে।” শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, গবেষণার পরিবেশ তৈরি ও নেতৃত্ব তৈরির মানসিকতা গড়ে তুলতে ডাকসুকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান উমামা।

তিনি জানান, একটি গবেষণাভিত্তিক ও স্বতন্ত্র প্যানেল গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছেন, যেখানে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা যুক্ত হতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার, সিট সংকট, ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।

সবশেষে উমামা ফাতেমা অনুরোধ জানান, যারা সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে চান, তাদের এই প্যানেলের সঙ্গে যুক্ত হতে ফরম পূরণের মাধ্যমে আগ্রহ জানাতে।

/আশিক


ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৫:৫১:৩০
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (EWU) সমাজবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ একাডেমিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (NUS)-এর অধ্যাপক প্রফেসর সাইয়েদ ফরিদ আলাতাস। Global Sociology and Decolonization Reimagining Knowledge for Our Times” শীর্ষক এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে (রুম নং ১২৬)।

এই সেমিনারে অংশ নেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক এবং সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অনুরাগীরা। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের কাঠামো ও জ্ঞানচর্চার উপনিবেশিক উত্তরাধিকার থেকে মুক্তি এবং একাডেমিক জ্ঞানের বিকেন্দ্রীকরণ।

সেমিনারের প্রধান বক্তা প্রফেসর সাইয়েদ ফরিদ আলাতাস এশিয়ার সমাজবিজ্ঞান চর্চায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক নাম। তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত একজন বুদ্ধিজীবী। তিনি প্রয়াত সমাজবিজ্ঞানী ও মালয়েশিয়ার প্রখ্যাত চিন্তাবিদ সাইয়েদ হুসেইন আলাতাসের পুত্র, যিনিThe Myth of the Lazy Native” গ্রন্থের মাধ্যমে উপনিবেশিক বুদ্ধিবৃত্তির সমালোচনায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

তার বক্তব্যে প্রফেসর আলাতাস বলেন, “ডিকলোনাইজেশন বা উপনিবেশমুক্তকরণ কেবল তত্ত্বের আলোচনা নয়, এটি হতে হবে বাস্তব প্রয়োগের একটি প্রক্রিয়া।” তিনি বলেন, পশ্চিমা সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বগুলো সম্পূর্ণ বাতিল করার প্রয়োজন নেই, বরং সেগুলোর সীমাবদ্ধতা বুঝে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে পুনর্মূল্যায়ন করা দরকার। তাঁর মতে, “আমাদের উচিত পশ্চিমা চিন্তাধারার মূল্যবান দিকগুলো স্বীকার করা, কিন্তু একই সঙ্গে ইউরোসেন্ট্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বিপজ্জনক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক থাকা।”

তিনি জোর দেন এই বলে যে, উপনিবেশোত্তর সমাজে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষা ও গবেষণা তখনই অর্থবহ হবে, যখন স্থানীয় জ্ঞান, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সাহিত্য ও দর্শনকে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা এমন এক সমাজে বাস করি, যেখানে চিন্তা, তত্ত্ব ও গবেষণার বড় অংশই আমদানিকৃত। এই নির্ভরশীলতা ভাঙতে হলে স্থানীয় জ্ঞানের ভান্ডারকে নতুন করে মূল্যায়ন করতে হবে।”

প্রফেসর আলাতাস শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, সমাজবিজ্ঞানের পাঠদানে পশ্চিমা সমাজতাত্ত্বিকদের পাশাপাশি আঞ্চলিক চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিকদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। তিনি উদাহরণ দেন, “বাংলা, মালয়, বা তামিল সমাজের সাহিত্য ও লোকজ সংস্কৃতিতে যে সামাজিক বোধ ও মূল্যবোধ নিহিত, সেগুলোকেও সমাজবিজ্ঞানের আলোচনায় আনা উচিত।”

তিনি জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এমন পাঠ্যক্রম তৈরি করতে হবে যা স্থানীয় চিন্তা ও ইতিহাসকে কেন্দ্র করে গঠিত, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমাজকে বিশ্লেষণ করতে পারে নিজেদের চোখ দিয়ে, ধার করা চশমা দিয়ে নয়।”

প্রফেসর আলাতাস আরও উল্লেখ করেন যে, ডিকলোনাইজেশন শুধুমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতার বিষয় নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচারেরও এক প্রক্রিয়া। কারণ, জ্ঞানই ক্ষমতা, আর যদি জ্ঞান উৎপাদনের প্রক্রিয়া নির্ভরশীল হয়, তবে সমাজও নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারাশউদ্দিন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ডিকলোনাইজেশন কেবল একটি একাডেমিক বিষয় নয়, এটি একটি জাতীয় অগ্রগতির কৌশলও। কারণ, যে জাতি জ্ঞানের ক্ষেত্রে স্বাধীন, সেই জাতিই প্রকৃত অর্থে মুক্ত।”

তিনি সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, “একটি সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ন্যায়বিচার, এবং সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয় রক্ষায় সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা অপরিসীম। একাডেমিক জ্ঞানকে উপনিবেশমুক্ত করা মানে হলো চিন্তার মুক্তি, যা উন্নয়নের প্রথম ধাপ।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মি. ইশফাক ইলাহী চৌধুরী, যিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “জ্ঞানকে মুক্ত করা মানে কেবল পশ্চিমা প্রভাবমুক্ত করা নয়, বরং নিজস্ব ঐতিহ্যের সঙ্গে বিশ্বচিন্তার সংলাপ সৃষ্টি করা।” তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান, “বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় তৈরি করতে হলে প্রথমেই জানতে হবে আমরা কারা, কোথা থেকে এসেছি, আর আমাদের নিজস্ব চিন্তাচর্চার ঐতিহ্য কী।”

সেমিনারের শেষ পর্বে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় উঠে আসে আধুনিক সমাজবিজ্ঞানে উপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গি অতিক্রমের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। অনেক শিক্ষার্থী তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, কীভাবে পশ্চিমা তত্ত্বকেন্দ্রিক পাঠ্যসূচি কখনও কখনও স্থানীয় বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে।

অংশগ্রহণকারীরা একমত হন যে, সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমে স্থানীয় চিন্তাবিদ, ঐতিহ্য, এবং সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটানো সময়ের দাবি। তারা এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

সেমিনারটি ছিল ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেই অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ, যার লক্ষ্য একাডেমিক জ্ঞানচর্চাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমালোচনামূলক এবং বৈশ্বিক প্রাসঙ্গিক করে তোলা। আলোচনায় স্পষ্টভাবে উঠে আসে যে, ডিকলোনাইজেশন কেবল একটি ধারণা নয়, এটি চিন্তার মুক্তির আন্দোলন, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বৌদ্ধিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারে।


সাভারে ড্যাফোডিল-সিটি ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের ভয়াবহ সংঘর্ষ

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৭ ১১:১৩:০২
সাভারে ড্যাফোডিল-সিটি ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের ভয়াবহ সংঘর্ষ
ছবিঃ সংগৃহীত

সাভারের আশুলিয়ার বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এতে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের সূত্রপাত ও ধ্বংসের চিত্র

সূত্রপাত: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেলের সামনে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল থেকে থুতু ফেললে তা ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর গায়ে লাগে। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জের ধরে রাত ৯টার দিকে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে দেশি অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে ড্যাফোডিলের হোস্টেলে হামলা চালান।

ধ্বংসযজ্ঞ: রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। ড্যাফোডিলের কিছু শিক্ষার্থী রাত ১২টার পর সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম লুট করা হয়; তিনটি বাস ও একটি প্রাইভেটকার জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং আরও পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুরের শিকার হয়। সংঘর্ষের সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।

আইনশৃঙ্খলা ও সংগঠনের প্রতিক্রিয়া

প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চললেও স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো যথাযথ সহায়তা পাওয়া যায়নি।

পুলিশের বক্তব্য: সাভার থানার ডিউটি অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, “আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

পুসাবের নিন্দা: প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ (পুসাব) ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, সম্পদ নষ্ট করা, সহপাঠীদের আহত করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পুসাব দুই পক্ষের অপরাধীদেরকেই আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলমান বিবাদ এখন ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়েছে এবং পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।


রাকসুতে নতুন নেতৃত্ব:নবনির্বাচিত জিএস ফিলিস্তিনের নির্যাতিতদের প্রতি উৎসর্গ করলেন বিজয়

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৭ ১৪:০৮:৪৪
রাকসুতে নতুন নেতৃত্ব:নবনির্বাচিত জিএস ফিলিস্তিনের নির্যাতিতদের প্রতি উৎসর্গ করলেন বিজয়
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে নবনির্বাচিত ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ এবং জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার সবাইকে নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসের উন্নয়নে পরাজিত প্রার্থীদেরও পরামর্শ নেওয়া হবে।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তারা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান।

ঐক্য ও বিজয়ের বার্তা

নবনির্বাচিত ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “যারা বিজয়ী হয়েছেন, তারা নিজ ধর্ম অনুযায়ী উদযাপন করুন। নির্বাচনে জয়-পরাজয় স্বাভাবিক। আমরা সবাই মিলে ক্যাম্পাসকে গড়ে তুলব।”

নবনির্বাচিত জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার শিক্ষার্থীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন, তাদেরও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন:

“আমাদের ক্যাম্পাসে কোনো শত্রু নেই; সবাইকে নিয়ে স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়ব।”

তিনি নিজের বিজয় উৎসর্গ করেছেন ‘আধিপত্যবিরোধী’ আন্দোলনে থাকা সকলকে, ফিলিস্তিনের নির্যাতিতদের পাশাপাশি নিজের বাবা-মাতাকেও।

নির্বাচনের ফল

সাড়ে তিন দশক পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির ভিপি, এজিএসসহ ২০টি পদে জয় লাভ করেছে।

ভিপি: নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।

জিএস: নির্বাচিত হয়েছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাহউদ্দিন আম্মার।

অন্যান্য: বাকি তিনটি পদের মধ্যে ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রদলের নার্গিস খাতুন, আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ তোফা।


রাকসু নির্বাচন: ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে কালির দাগ

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ১১:৩৪:১১
রাকসু নির্বাচন: ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে কালির দাগ
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ভোট জালিয়াতি এড়ানোর জন্য ভোটারদের হাতে দেওয়া অমোচনীয় কালির দাগ ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) অন্তত দশটি কেন্দ্রে ঘুরে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

ঘষতেই অস্পষ্ট হয়ে গেল দাগ

সরেজমিনে দেখা যায়, শিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের নারী বিষয়ক সম্পাদক সাইয়েদা হাফসা ভোট প্রদান করে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে হাতে দেওয়া অমোচনীয় কালির দাগে ঘষা দেন। ঘষা দিতেই তার হাতের দাগ অস্পষ্ট হয়ে যায়। শুধু তার নয়, এমন পরিস্থিতি ডিনস কমপ্লেক্স কেন্দ্র, শহিদুল্লাহ কেন্দ্র, চতুর্থ বিজ্ঞান ভবন কেন্দ্রসহ প্রায় সব কেন্দ্রে দেখা গেছে।

ভোটারের উদ্বেগ: বিজয় ২৪ হল কেন্দ্রে ভোট দেওয়া মাসুম বিল্লাহ বলেন, “আমরা ভোট দিয়েছি। কিন্তু কেন্দ্র থেকে বের হয়েই দেখি হাতের কালির দাগ উঠে যাচ্ছে। জালিয়াতি এড়াতে বিষয়টির দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।”

সাইয়েদা হাফসার মন্তব্য: সাইয়েদা হাফসা বলেন, “এটা তো মুছে যাওয়া উচিত হয়নি। আমরা দ্রুত বিষয়টির সমাধান চাই।”

রিটার্নিং কর্মকর্তার আশ্বাস

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান বলেন, “আমরা দেশের বাজারের সর্বোচ্চ দামের কালির কলম কিনেছি। এরপরও যদি উঠে যায়, তবুও সমস্যা হবে না।” তিনি জানান, ভোটকেন্দ্রে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা দেখে পরিচয় নিশ্চিত করে ভোট নেওয়া হচ্ছে। নেকাব ব্যবহার করা নারী শিক্ষার্থীদের জন্যও আলাদা চেকিংয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এবারের রাকসুতে ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটার ভোট দেবেন। নির্বাচনে ৮৬০ জন প্রার্থী এবং সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি ৫ পদে ৫৮ জন প্রার্থী লড়ছেন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোট বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।


৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন শুরু, উৎসবে মেতেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ০৯:৩৯:৫৫
৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন শুরু, উৎসবে মেতেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
রাকসু নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ। নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। ছবিটি বৃহস্পতিবার মুনুজান হল থেকে তোলা। ছবি- শরিফুল ইসলাম তোতা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনকে ঘিরে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস, যেখানে দল-মত ভুলে সবাই মেতেছে গান-বাজনা ও মেহেদি উৎসবে।

উৎসবমুখর ক্যাম্পাস

সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবার সকাল থেকে ক্যাম্পাস কিছুটা ফাঁকা থাকলেও বিকেল হতে হতে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এক উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। শিক্ষার্থীরা একদিকে গানবাজনায় মেতে ওঠেন, অন্যদিকে নারী শিক্ষার্থীরা মেতেছেন মেহেদি উৎসবে। দল-মত নির্বিশেষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী কাব্য কুন্ডু বলেন, “ক্যাম্পাসে আছি প্রায় ৪ বছর। কিন্তু কখনো ক্যাম্পাসে এমন উৎসবমুখর পরিবেশ চোখে পড়েনি। রাকসুর কারণে সবাই দলমত ভুলে গিয়ে একসাথে আনন্দ করছে। এটাই সবচেয়ে ভালো লাগছে।”

স্বতন্ত্র নারীবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী নিশা আক্তার বলেন, “শিক্ষার্থী ভাই বোনেরা কাল ভোট দিয়ে যোগ্য লোকদের নির্বাচিত করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।”

প্রার্থী ও প্যানেলের চিত্র

রাকসুর ২৩টি পদের বিপরীতে ২৪৭ জন এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে ৫৮ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ১৮ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে (জিএস) ১৩ জন এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ নির্বাচনে মোট ১১টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে আলোচিত ৮টি প্যানেল হলো:

ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’

ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’

ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতৃত্বে গঠিত ‘রাকসু ফর র‌্যাডিক্যাল চেঞ্জ’

সাবেক সমন্বয়কদের নেতৃত্বে ‘আধিপত্যবাদবিরোধী ঐক্য’

বাম জোটের ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’

ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ঘোষিত ‘অপরাজেয় ৭১, অপ্রতিরোধ্য ২৪’

সাবেক আরেক নারী সমন্বয়কের নেত্বতে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন মনোনীত ‘সচেতন শিক্ষার্থী পরিষদ’।


৪৪ বছর পর চাকসু’তে নেতৃত্বে ফিরল ছাত্রশিবির

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ০৯:৩১:০৩
৪৪ বছর পর চাকসু’তে নেতৃত্বে ফিরল ছাত্রশিবির
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে দীর্ঘ ৪৪ বছর পর আবারও নেতৃত্বে ফিরেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ ভিপি (সহ-সভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) সহ মোট ২৪টি পদে বিজয়ী হয়েছে। প্রায় এক দশক ক্যাম্পাসে নিষ্ক্রিয় থাকার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শিবির আবারও প্রকাশ্যে রাজনীতিতে ফিরে আসে এবং এই নির্বাচনে বিশাল জয় পেল।

নির্বাচনের ফলাফল

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টায় সপ্তম চাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন। তিনি জানান, নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা-পূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে: ছাত্রশিবির সমর্থিত মো. ইব্রাহিম হোসেন (ইতিহাস বিভাগের এমফিল শিক্ষার্থী) ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।

জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে: ৮ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব (ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী)। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের মো. শাফায়াত পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট।

মোট পদ: চাকসুর এবারের নির্বাচনে মোট ২৬টি পদের মধ্যে ২৪টি বিজয় তুলে নেয় শিবির সমর্থিত প্যানেল।

ছাত্রদলের একমাত্র জয়

ছাত্রদলের একমাত্র সাফল্য এসেছে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে। এজিএস পদে ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান ৭ হাজার ১৪ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। এছাড়া সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছেন তামান্না মাহবুব নামে এক ছাত্রী।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র সাতবার চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিবিরের সর্বশেষ বিজয় ছিল ১৯৮১ সালে। এরপর ১৯৯০ সালের নির্বাচনের পর দীর্ঘ তিন দশক চাকসু নির্বাচন বন্ধ ছিল।


কোরআন অবমাননা: নর্থ সাউথ থেকে শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৬:৩১:০৭
কোরআন অবমাননা: নর্থ সাউথ থেকে শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল

পবিত্র কোরআন অবমাননা করায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অপূর্ব পাল নামের এক শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক সৈয়দ মানসুর হাশিমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

ঘটনার বিবরণ ও প্রশাসনের পদক্ষেপ

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শনিবার অপূর্ব পাল নামে একজন শিক্ষার্থীকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পবিত্র কোরআন অবমাননারত অবস্থায় প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখতে পান। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা বিভাগ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বহিষ্কার ও মামলা: এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শৃঙ্খলা কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গ্রেপ্তার: ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে।

শিক্ষার্থীর পরিচয়: অপূর্ব নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে এর আগে তিনি বিভাগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধৈর্যের প্রশংসা করে বলেছে, তারা সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও সহাবস্থানের পরিবেশ প্রশংসনীয়ভাবে রক্ষা করেছেন।


নীলক্ষেতে ডাকসুর ব্যালট ছাপানোর কথা স্বীকার করলেন উপাচার্য

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৭:৪৩:১৬
নীলক্ষেতে ডাকসুর ব্যালট ছাপানোর কথা স্বীকার করলেন উপাচার্য
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ব্যালট পেপার রাজধানীর নীলক্ষেতে ছাপানো হয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তবে তিনি দৃঢ়ভাবে দাবি করেছেন, ব্যালট ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা নির্বাচনের ফলকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করেনি।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

নীলক্ষেতে ছাপানোর কারণ

উপাচার্য জানান, একটি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে ব্যালট পেপার ছাপানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ভোটার ও প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় মূল ভেন্ডরের অনুমতিতে একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে একই টেন্ডারের আওতায় কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এই সহযোগী প্রতিষ্ঠান নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপালেও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি। সংশ্লিষ্ট ভেন্ডর এটিকে ‘ব্যস্ততার কারণে ভুলে যাওয়ার’ কথা বলে স্বীকার করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দেওয়া ব্যাখ্যায় সহযোগী প্রতিষ্ঠান জানায়, নীলক্ষেতে ২২ রিম কাগজ ব্যবহার করে মোট ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপা হয়। এর মধ্যে প্রিন্টিং, কাটিং ও ওএমআর প্রি-স্ক্যানসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে ৮৬ হাজার ২৪৩টি ব্যালট চূড়ান্তভাবে সিলগালা করে সরবরাহ করা হয়। অতিরিক্ত ব্যালট প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ধ্বংস করা হয়।

নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার দাবি

উপাচার্য দাবি করেন, ব্যালট প্রস্তুতের পুরো প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়েছে এবং সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যালট ছাপা শেষ হওয়ার পর তা নির্দিষ্ট পরিমাপে কাটিং, সুরক্ষা কোড আরোপ, ওএমআর স্ক্যান, প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার সই ও সিলসহ কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তার সই যুক্ত না হলে, সেই ব্যালট ভোটগ্রহণের জন্য উপযুক্ত হয় না।

তিনি আরও জানান, নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। মোট ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট প্রস্তুত করা হলেও, ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন এবং ব্যবহার হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৬টি ব্যালট। অবশিষ্ট রয়েছে ৬০ হাজার ৩১৮টি।

নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে বিভিন্ন প্যানেল ব্যালট ছাপানোর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে উপাচার্য বলেন, কেউ যদি সুনির্দিষ্ট সময় বা ঘটনার ভিত্তিতে সিসিটিভি ফুটেজ বা ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকা দেখতে চান, তাহলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে তা দেখার সুযোগ থাকবে।


ডাকসু নির্বাচন: প্রশাসনের গড়িমসির অভিযোগ আনলেন তিন ভিপি প্রার্থী

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ২১:৪৯:১৭
ডাকসু নির্বাচন: প্রশাসনের গড়িমসির অভিযোগ আনলেন তিন ভিপি প্রার্থী
ছবি-সমকাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে একাধিক ‘অসঙ্গতি’ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন তা নিয়ে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের উমামা ফাতেমাসহ একাধিক প্রার্থী।

মঙ্গলবার তারা উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর গাউসুল আজম মার্কেটের একটি ছাপাখানায় ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও প্রশাসন সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি।

এছাড়া নির্বাচনে যে ভোট টার্নআউট দেখানো হয়েছে, তা বাস্তবে মাঠপর্যায়ে দেখা যায়নি বলে দাবি করেন তারা। এ জন্য ভোটারদের স্বাক্ষর তালিকা প্রকাশের দাবি জানান প্রার্থীরা।

উমামা ফাতেমা বলেন, “ভোটারের তালিকা আগেও প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে স্বাক্ষর রয়েছে। কে কাকে ভোট দিয়েছেন, তা উল্লেখ নেই। সুতরাং এখানে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু প্রশাসন তালিকা প্রকাশে অনীহা দেখাচ্ছে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিশেষ করে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ঘোষিত ভোট টার্নআউট বাস্তবের সঙ্গে মেলে না।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাদের বলেন, “গাউসুল আজম মার্কেটে ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গেলেও প্রশাসন বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। ভোট কাস্টিং তালিকা প্রকাশেও তারা গড়িমসি করছে, যা আমাদের সন্দেহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।”

আবিদুল ইসলাম খান বলেন, “নির্বাচনের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা এসব কনসার্ন জানিয়েছি। কিন্তু প্রশাসনের উদাসীনতা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম, স্বতন্ত্র প্যানেলের জিএস প্রার্থী আরাফাত চৌধুরী এবং ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী শেখ তানভীর আল হাদী মায়েদ প্রমুখ।

উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ।

পাঠকের মতামত:

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। নির্বাসনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে... বিস্তারিত