অস্ট্রেলিয়ায় নতুন সরকার, বিরোধীদলে নারী নেতৃত্ব

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৩ ১৭:৫৩:২৬
অস্ট্রেলিয়ায় নতুন সরকার, বিরোধীদলে নারী নেতৃত্ব

সত্য নিউজ: অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি অ্যালবানিজ দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ২০২৫ সালের ৩ মে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ার পর মঙ্গলবার (১৩ মে) রাজধানী ক্যানবেরায় গভর্নর জেনারেল স্যাম মোস্টিনের কাছে তিনি এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন।

বিশ্লেষকদের মতে, অ্যালবানিজের দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারের অগ্রাধিকার হবে জীবনযাত্রার ব্যয় হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তনের কার্যকর মোকাবিলা এবং আদিবাসী জনগণের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিতকরণ।

অন্যদিকে, লিবারেল পার্টি তাদের দীর্ঘদিনের নেতা পিটার ডাটনকে সরিয়ে দলীয় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারী, সুসান লি-কে প্রধান নির্বাচিত করেছে। অভিজ্ঞ এই সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিরোধী দল গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে লিবারেল পার্টি নতুন ধারায় রাজনীতিতে উত্তরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

তবে মন্ত্রিসভা গঠনে একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হলো, অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মন্ত্রী এড হিউসিককে বাদ দেওয়া। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাঁর স্পষ্ট অবস্থানকেই কারণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। লেবার পার্টির ভেতরে মধ্য ও ডানপন্থী গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব এই বাদ যাওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে নিউ সাউথ ওয়েলসের তিন প্রভাবশালী ডানপন্থী মন্ত্রী টনি বার্ক, জেসন ক্লেয়ার ও ক্রিস বুয়েন্স তাঁদের পদ রক্ষা করেছেন।

বাংলাদেশি অভিবাসী কমিউনিটির জন্য আশার বিষয়, টনি বার্ক আবারও অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। তাঁর আগের মেয়াদে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান ভিসা অফিস চালুর মতো উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, যা বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। সিডনিপ্রবাসী কমিউনিটি নেতা সৈয়দ আশরাফ আহমেদ বলেন, "টনি বার্ক অভিবাসীদের প্রয়োজন বুঝেন, বিশেষ করে বাংলাদেশিদের। তাঁর প্রত্যাবর্তন ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়।"

অন্যদিকে, সুসান লির অধীনে লিবারেল পার্টির নতুন যাত্রা কতটা শক্তিশালী বিরোধী শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে, তা নির্ধারণ করবে অস্ট্রেলিয়ার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ।

এবারের নির্বাচনে ১ কোটি ৮০ লাখ ভোটার অংশগ্রহণ করেছেন, যাঁদের অনেকে বিশ্বের ৮৩টি দেশ থেকে ভোট দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় রাজনৈতিক এ পালাবদল অভিবাসী সমাজ, বিশেষ করে বাংলাদেশি কমিউনিটির কাছে গভীর আগ্রহ ও প্রত্যাশার উৎস। তাঁরা আশা করছেন, নতুন প্রশাসনের কার্যকর নীতিমালায় তাঁদের জীবনমান উন্নত হবে এবং অভিবাসন ব্যবস্থায় বাস্তবিক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

প্রেস সচিবের বক্তব্যে বাকস্বাধীনতা, মব কালচার ও সাংবাদিকতার দ্বন্দ্ব: পাঠবিশ্লেষণ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম সম্প্রতি এক দীর্ঘ বক্তব্যে দেশের সাংবাদিকতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সরকারের অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত... বিস্তারিত