নাগা-সরিষার ভেল্কি: ঘরেই বানান রেস্টুরেন্ট স্টাইল উইংস!

রান্নাবান্না ও রেসিপি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ৩০ ২১:৩৫:৫৯
নাগা-সরিষার ভেল্কি: ঘরেই বানান রেস্টুরেন্ট স্টাইল উইংস!

চিকেন উইংস প্রেমীদের জন্য দুর্দান্ত এক রেসিপি—স্পাইসি নাগা উইংস। হালকা ঝাল, টক, ও ঘ্রাণযুক্ত এই উইংস বানাতে সময় লাগে খুব কম, স্বাদে কিন্তু পুরোদস্তুর রেস্টুরেন্ট লেভেলের! নাগা মরিচের ঝাঁজ, সরিষার ঘ্রাণ আর সয়া-অয়েস্টার সসের মিশেলে তৈরি এই ফিউশন রেসিপিটি হয়ে উঠবে আপনার স্ন্যাকস টেবিলের হিরো।

প্রয়োজনীয় উপকরণ (৮টি উইংসের জন্য):

মুরগির উইংস বা ডানা – ৮টি

আদাবাটা – ১ চা-চামচ

রসুনবাটা – আধা চা-চামচ

নাগা মরিচবাটা – আধা চা-চামচ

গোলমরিচগুঁড়া – আধা চা-চামচ

অয়েস্টার সস – ১ চা-চামচ

সয়া সস – ১ চা-চামচ

লেবুর রস – ১ চা-চামচ

লাল মরিচবাটা – আধা চা-চামচ

সরিষাবাটা – আধা চা-চামচ

সরিষার তেল – ১ চা-চামচ

কর্ন ফ্লাওয়ার – ১ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রণালি:

১. মুরগির ডানা থেকে চিকন অংশ বাদ দিয়ে মাঝের হাড় যুক্ত অংশে কেটে দুই ভাগ করুন। এতে মোট ১৬টি টুকরা পাবেন।২. একটি বড় পাত্রে মুরগির টুকরাগুলো নিয়ে সব উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মেখে নিন।3. অন্তত ১০ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখুন যাতে মশলার স্বাদ ভালোভাবে মাংসের ভেতরে ঢুকে যায়।৪. একটি প্যানে অল্প তেল গরম করে উইংসগুলো মাঝারি আঁচে সোনালি করে ভেজে তুলুন।

চাইলে এগুলো গ্রিল বা এয়ার ফ্রায়ারেও তৈরি করতে পারেন।

পরামর্শ:

টমেটো সস বা গার্লিক ডিপের সঙ্গে পরিবেশন করুন।চায়ের টেবিলে বা হালকা আড্ডায় হবে পারফেক্ট স্ন্যাক।


ওজন কমানোর সবচেয়ে সহজ ও টেস্টি উপায়!

রান্নাবান্না ও রেসিপি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৮ ১৮:৩৩:৫০
ওজন কমানোর সবচেয়ে সহজ ও টেস্টি উপায়!

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে অনেকেই ভাত বা রুটি কমিয়ে দেন। কিন্তু পেট খালি রেখে তো ওজন কমানো সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার নির্বাচন। ডায়েট চার্টে এমন কিছু সালাদ রাখা যেতে পারে, যেগুলো শুধু পেটই ভরাবে না, বরং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহও করবে।

স্বাস্থ্যকর সালাদ মানেই শুধু শসা, টমেটো আর পেঁয়াজ নয়। এতে থাকতে পারে প্রোটিন, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর চর্বি। চলুন, জেনে নিই এমনই কয়েকটি সহজ ও উপকারী সালাদ রেসিপি।

ছোলার সালাদ:

প্রথমে এক কাপ ছোলা সেদ্ধ করে নিন। একটি প্যানে সামান্য অলিভ অয়েল গরম করে তাতে সেদ্ধ ছোলা, আধা চা চামচ অরিগ্যানো, আধা চা চামচ জিরার গুঁড়া, স্বাদমতো মরিচের গুঁড়া ও ১ চা চামচ রসুন কুচি দিয়ে হালকা ভেজে নিন।

ভাজা ছোলা ঠান্ডা হলে একটি বড় পাত্রে নিয়ে তাতে মেশান—আধা কাপ করে শসা, গাজর, টমেটো ও ক্যাপসিকাম কুচি। সঙ্গে দিন ধনেপাতা, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কুচি, সামান্য লবণ, ২ চা চামচ লেবুর রস, গোলমরিচের গুঁড়া, অল্প মধু ও অলিভ অয়েল। সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন সালাদ।

থাই বিফ সালাদ:

আধা কেজি গরুর মাংসের বড় টুকরা বেকিং পাউডার দিয়ে মেখে অল্প তেলে হালকা ভেজে নিন। এরপর পাতলা টুকরো করে কেটে নিন। চাইলে ছোট টুকরা করেও ভেজে নিতে পারেন।

সালাদ ড্রেসিংয়ের জন্য মিশিয়ে নিন—১ চা চামচ রসুন কুচি, লাল কাঁচা মরিচ কুচি, ২ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ ফিশ সস, সামান্য জলপাই তেল ও চিনি।

এবার মাংসের সঙ্গে মেশান টমেটো ও শসার বিচি ফেলে কাটা টুকরা, পেঁয়াজ কুচি, পুদিনা পাতা ও গোলমরিচের গুঁড়া। সব উপকরণ ড্রেসিংয়ের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে পরিবেশন করুন থাই বিফ সালাদ।

এগ সালাদ:

আলু ও ডিম সেদ্ধ করে ছোট কিউব করে কেটে নিন। অন্যদিকে একটি পাত্রে নিন গাজর কুচি, বেবি কর্ন এবং নিজের পছন্দের যেকোনো সবজি।

এইসব উপকরণের সঙ্গে মেশান সেদ্ধ আলু, ডিম, টক দই, গোলমরিচের গুঁড়া এবং পরিমাণমতো লবণ। সব কিছু ভালোভাবে মিশিয়ে তৈরি করুন পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য এগ সালাদ।

এই তিনটি সালাদই সহজে তৈরি করা যায়, এবং প্রতিদিনের ডায়েটে রাখলে তা শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণেই নয়, বরং শরীর সুস্থ রাখতেও সহায়ক হবে। খালি পেটে না থেকে বুদ্ধিমানের মতো বেছে নিন এমন স্বাস্থ্যকর খাবার।

/আশিক


 ঘরেই তৈরি করুন পারফেক্ট হোয়াইট সস, শর্মা সস, মেয়োনিজ!

রান্নাবান্না ও রেসিপি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৭ ০৯:৫৪:৪৭
 ঘরেই তৈরি করুন পারফেক্ট হোয়াইট সস, শর্মা সস, মেয়োনিজ!

নিশ্চিতভাবেই! নিচে হোয়াইট সস, তেল ও ডিমবিহীন শর্মা সস, মেয়োনিজ এবং বার্গার/শর্মা সসের বিস্তারিত ও ধাপে ধাপে রেসিপি তুলে ধরা হলো। প্রতিটি সসের তৈরি প্রণালীকে সহজভাবে ও বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে যেকেউ সহজেই ঘরে তৈরি করতে পারেন।

হোয়াইট সস (সাদা সস)

উপকরণ:

বাটার বা তেল এক টেবিল চামচ, ময়দা এক টেবিল চামচ, চিনি এক চা চামচ, তরল দুধ আধা কাপ, রসুন কুচি, গোল মরিচ গুঁড়ো এবং লবণ ১/৪ চা চামচ করে।

প্রস্তুত প্রণালী:

প্রথমেই একটি মাঝারি সাইজের প্যানে বাটার বা তেল গলিয়ে নিন। বাটার গলে গেলে সেখানে ময়দা দিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। ময়দা ভালোভাবে ভাজতে হবে যেন তা কাঁচা গন্ধ মুক্ত হয় এবং একটু সোনালি রঙ ধারণ করে। এই পর্যায়ে খুব সাবধানে মেশাতে হবে যাতে ময়দা পুড়ে না যায়।

এরপর ময়দার মধ্যে রসুন কুচি, গোল মরিচ গুঁড়ো, লবণ ও চিনি দিয়ে নাড়ুন। এই মশলা গুলো সসের স্বাদ ও গন্ধ বাড়াবে। এরপর ধীরে ধীরে তরল দুধ ঢালুন এবং অবিরাম নাড়তে থাকুন। তরল দুধ দিয়ে সসটি গাঢ় হয়ে ঘন ক্রিমের মত স্বরূপে পরিণত হবে। এই পর্যায়ে মনে রাখবেন, চুলার আঁচ কম রাখতে হবে যাতে সস পুড়ে না যায় এবং ভালোভাবে সেদ্ধ হয়।

সসটি যখন পর্যাপ্ত ঘন হয়ে যাবে, তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিন। এই সস আপনি বার্গার, পাস্তা বা বিভিন্ন মশলাদার খাবারে ব্যবহার করতে পারেন। এটি একটি বেস সস যা অন্যান্য স্বাদ বাড়ানোর সঙ্গেও খুব ভালো মানায়।

তেল ও ডিমবিহীন শর্মা সস

উপকরণ:

টক দই (পানি ঝরানো) আধা কাপ, রসুন বাটা ১/৪ চা চামচ, গুঁড়ো দুধ ১ টেবিল চামচ, সরিষা বাটা ১/৪ চা চামচ, গোল মরিচ গুঁড়ো ২ চিমটি, চিনি দেড় চা চামচ (স্বাদমতো), লবণ স্বাদমতো, টমেটো সস ২-৩ টেবিল চামচ। ঝাল বাড়াতে চাইলে অল্প মরিচ গুঁড়ো দিতে পারেন।

প্রস্তুত প্রণালী:

সব উপকরণ একত্রে একটি বাটিতে নিন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন যতক্ষণ না সব উপকরণ ভালোভাবে মিশে যায় এবং সসটি সমান মসৃণ হয়।

আপনি চাইলে এই মিশ্রণটি ব্লেন্ডারে ৩০-৪০ সেকেন্ড ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। এতে রসুন ও সরিষার স্বাদ আরও বেরিয়ে আসবে। তবে যদি ব্লেন্ডার ব্যবহার করেন, তাহলে রসুন ও সরিষা আস্ত আস্ত দিতে পারেন যেন সস অতিরিক্ত তীব্র না হয়।

এই সসটি তেল বা ডিম ছাড়া তৈরির কারণে যারা তেল ও ডিম এড়িয়ে চলেন, তাদের জন্য আদর্শ। এটি শর্মা, স্যান্ডউইচ কিংবা সালাদের সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়। টমেটো সস এবং সরিষা বাদ দিয়ে একই প্রণালী অনুসরণ করলে ঘরোয়া মেয়োনিজও তৈরি করা যায়।

মেয়োনিজ

উপকরণ:

ডিম (নরম টেম্পারেচারের) ১ টি, সয়াবিন তেল প্রায় ১ কাপ (ডিমের সাইজ অনুসারে সামঞ্জস্য করবেন), গোল মরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, চিনি ২ চা চামচ, লবণ ১/৪ চা চামচ, সিরকা বা লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।

প্রস্তুত প্রণালী:

মেয়োনিজ তৈরির প্রথম ধাপ হলো ব্লেন্ডারে ডিম, গোল মরিচ গুঁড়ো, চিনি, লবণ ও সিরকা একসঙ্গে নিয়ে ভালোভাবে ৩০ সেকেন্ড ব্লেন্ড করা।

এরপর আস্তে আস্তে তেল ঢালতে থাকুন। খুব দ্রুত বা একবারে তেল ঢালবেন না। তেলকে থেমে থেমে ৪-৫বার ভাগ করে ঢালতে হবে এবং প্রতিবার ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এতে মেয়োনিজের ফিনিশিং হবে মসৃণ ও ঘন।

২ মিনিটের মধ্যে মেয়োনিজ তৈরি হয়ে যাবে। মেয়োনিজের ঘনত্ব পরীক্ষা করতে ব্লেন্ডার উল্টে ধরলে যদি তা গড়িয়ে না পড়ে, তাহলে এটি উপযুক্ত কনসিস্টেন্সির। ঘনত্ব কম থাকলে সামান্য তেল আর ঢেলে ব্লেন্ড করুন।

সংরক্ষণ:

নরমাল ফ্রিজে এটি ১ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। বাড়তি সতর্কতার জন্য মেয়োনিজ সংরক্ষণ পাত্র ভালোভাবে পরিষ্কার রাখা উচিত।

বার্গার/শর্মা সস

উপকরণ:

ডিম ১ টি, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা চামচ, সাদা সরিষা বাটা আধা চা চামচ, তেল ১ কাপ বা সামান্য কম, রসুন কুচি ১ চা চামচ, সিরকা ১ টেবিল চামচ, গোল মরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, গুঁড়ো দুধ (ঐচ্ছিক) ১ টেবিল চামচ, টমেটো সস ৪ টেবিল চামচ।

প্রস্তুত প্রণালী:

প্রথমেই মেয়োনিজের মতো ব্লেন্ডারে ডিম, চিনি, লবণ, সরিষা বাটা, রসুন কুচি, সিরকা, গোল মরিচ ও গুঁড়ো দুধ একত্রে ব্লেন্ড করুন।

এরপর আস্তে আস্তে তেল ঢালতে থাকুন এবং ব্লেন্ড চালিয়ে যান যতক্ষণ না সস ঘন হয়। শেষ পর্যায়ে টমেটো সস যোগ করে আবার ভালো করে মিশিয়ে নিন।

এই সসটি বার্গার বা শর্মার স্বাদকে সম্পূর্ণ রূপে বাড়িয়ে তোলে এবং খাবারে একটি লজমা ও টকটকে স্বাদ আনে।

এই চার ধরনের সস যেকোনো ধরনের স্যান্ডউইচ, বার্গার, শর্মা কিংবা সালাদের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়। ঘরোয়া পরিবেশে সহজেই বানিয়ে খাওয়ার স্বাদ বাড়াতে এগুলো অত্যন্ত কার্যকর। স্বাদের ভারসাম্য রেখে, সঠিক মাপমতো উপকরণ দিয়ে তৈরি সস আপনাকে রান্নার রন্ধনে নতুন মাত্রা যোগ করবে।


 বর্ষার নাস্তায় নতুন স্বাদ, কোরিয়ান গার্লিক চিলি পটেটো বাইটস

রান্নাবান্না ও রেসিপি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৭ ১২:০২:৪৪
 বর্ষার নাস্তায় নতুন স্বাদ, কোরিয়ান গার্লিক চিলি পটেটো বাইটস

বর্ষার এই মৌসুমে আলুর স্বাদ থেকে একটু নতুনত্ব চান? তাহলে মজাদার কোরিয়ান গার্লিক চিলি পটেটো বাইটস বানিয়ে দেখতে পারেন। সহজ উপকরণ ও কম সময়ে তৈরি এই রেসিপি, যা সকালে বা বিকেলের নাশতায় সবার পছন্দ হবে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক গার্লিক চিলি পটেটো বাইটস তৈরির করার জন্য কী কী লাগবে এবং কীভাবে তৈরি করবেন-উপকরণ:

১. আলু ২-৩ টি (মাঝারি সাইজ)

২. কর্নফ্লাওয়ার ১ কাপ

৩. রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ

৪. পেঁয়াজ কুচি ২ টি

৫. বেকিং পাউডার ১/৪ চা চামচ

৬. লবণ স্বাদমতো

৭. টমেটো সস ২ টেবিল চামচ

৮. চিলি সস ২ টেবিল চামচ

৯. পানি পরিমাণমতো (ডো তৈরির জন্য)

প্রস্তুতি প্রণালি:

প্রথমে মাঝারি সাইজের ২-৩টি আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। এরপর কর্নফ্লাওয়ার এক কাপ, ১/৪ চা চামচ বেকিং পাউডার, পরিমাণমতো লবণ এবং প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে একটি নরম ডো তৈরি করুন। ডো থেকে ছোট ছোট আকারে বাইটস তৈরি করুন। একটি প্যানে তেল গরম করে আলুর বাইটসগুলো বাদামি রং হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন।

অন্য একটি প্যানে একটু তেল দিয়ে কুচানো রসুন ও পেঁয়াজ হালকা সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এরপর এতে ২ টেবিল চামচ টমেটো সস ও ২ টেবিল চামচ চিলি সস মিশিয়ে ঘন সস তৈরি করুন। ভাজা আলুর বাইটসগুলো এই গার্লিক চিলি সসের সঙ্গে ভালো করে মেখে গরম গরম পরিবেশন করুন।

এভাবেই খুব সহজে আপনি বাড়িতে মজাদার কোরিয়ান গার্লিক চিলি পটেটো বাইটস তৈরি করে পরিবারের সবাইকে খুশি করতে পারেন।


ঘরে বসেই ভুটানি স্বাদ: এমা দাতশি রেসিপি

রান্নাবান্না ও রেসিপি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৫ ১৩:১০:৪০
ঘরে বসেই ভুটানি স্বাদ: এমা দাতশি রেসিপি

ভুটান, হিমালয়ের কোলঘেঁষা শান্তিপূর্ণ এক রাজ্য, যার পরিচিতি শুধু প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যেই নয়, বরং তার গভীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, জীবনধারা এবং খাদ্যসংস্কৃতিতেও। এই রাজ্যের একটি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘এমা দাতশি’ এখন শুধু ভুটানিদের কাছে নয়, গোটা বিশ্বেই পরিচিত হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন এক সাক্ষাৎকারে এই খাবারের অকুণ্ঠ প্রশংসা করায়, ইন্টারনেটজুড়ে রেসিপিটি ছড়িয়ে পড়ে এবং এটি হয়ে ওঠে ভুটানি রন্ধনশৈলীর একটি আন্তর্জাতিক মুখপত্র।

‘এমা দাতশি’: শুধু খাবার নয়, ভুটানের আত্মপরিচয়

ভুটানি ভাষায় ‘এমা’ অর্থাৎ কাঁচা মরিচ এবং ‘দাতশি’ অর্থ চিজ বা পনির। এই দুই উপাদান নিয়েই তৈরি হয় এমা দাতশি, যা দেখতে অনেকটা ঘন ঝোলের মতো। এটি ভুটানের জাতীয় খাবার হিসেবেই স্বীকৃত। প্রতিদিনের ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে এই ঝাল ও ক্রিমি চিজ-ভিত্তিক তরকারিটি ভুটানিদের নিত্যসঙ্গী। খাবারটিতে মসলা খুব কম ব্যবহার হয়, রান্না সহজ এবং সময়সাশ্রয়ী হওয়ায় এটি শহর ও গ্রাম দুই পর্যায়ের ভুটানিদের কাছেই সমান জনপ্রিয়।

ঘরে বসেই ভুটানি স্বাদ: এমা দাতশি রেসিপি

এই ঐতিহ্যবাহী খাবারটি তৈরি করা যায় সহজ কয়েকটি উপকরণে। নিচে তুলে ধরা হলো ঘরে বসেই এমা দাতশি রান্নার বিস্তারিত পদ্ধতি।

উপকরণ:

হ্যালাপিনো মরিচ – ৪টি (লম্বালম্বি করে কাটা, বিচি ফেলে ধোয়া)

চিজ (চেডার বা মোজারেলা) – ১ কাপ (ছোট টুকরো করে কাটা)

কাঁচামরিচ – ২টি

বড় পেঁয়াজ – ১টি (মোটা করে কাটা)

টমেটো – ১টি (কাটা)

রসুন কুচি – ২-৩ কোয়া

আদাবাটা – ১ চা চামচ

সাদা তেল – ২ চা চামচ

মাখন – ১ চা চামচ

গোলমরিচ – ১ চা চামচ

ধনিয়া পাতা কুচি – পরিমাণমতো

লবণ – স্বাদমতো

প্রস্তুত প্রণালি:

প্রথমে মরিচগুলো কেটে বিচি ফেলে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। পেঁয়াজ, টমেটো এবং কাঁচামরিচ বড় করে কেটে নিন। এবার একটি প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে হালকা ভেজে নিন। এরপর দিন আদাবাটা ও টমেটো কুচি এবং কিছুক্ষণ নাড়ুন।

এবার এতে যোগ করুন হ্যালাপিনো ও কাঁচা মরিচ। ভালোভাবে নেড়ে দিন। এর মধ্যে প্রয়োজনমতো পানি ও চিজের টুকরোগুলো দিন। চিজ গলে গেলে তাতে মাখন, লবণ ও গোলমরিচ যোগ করে ৫-৭ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না একটি ঘন গ্রেভি তৈরি হয়।

শেষে ধনিয়া পাতা ছিটিয়ে দিন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন সেদ্ধ ভাত বা গরম রুটির সঙ্গে। চাইলে এটি পাস্তা বা নুডলসের সঙ্গেও খাওয়া যায়।

এক ব্যতিক্রমী রন্ধনসংস্কৃতির স্বাদ

এমা দাতশি যেমন ভুটানিদের জীবনের অংশ, তেমনি এটি এখন বৈশ্বিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার বিশেষ স্বাদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভুটান যেখানে ‘গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস’-এর দেশ, সেখানে এমা দাতশি শুধু ক্ষুধা নয়, বরং একটি শান্তিপূর্ণ জাতিসত্তার সংস্কৃতির প্রতীক। এটি এমন একটি খাবার, যা প্রতিদিনের রুটিন ভাঙে না বরং জীবনকে সহজ, সরল আর স্বাদের সঙ্গে সংযুক্ত রাখে।

আপনি যদি রান্নায় নতুনত্ব খুঁজে থাকেন, তবে এমা দাতশি হতে পারে আপনার কিচেনের পরবর্তী চমক।


এই গরমেই ট্রাই করুন থাই ম্যাংগো স্টিকি রাইস

রান্নাবান্না ও রেসিপি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৭ ১৮:২৮:৪১
এই গরমেই ট্রাই করুন থাই ম্যাংগো স্টিকি রাইস

বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা জাতের পাকা, রসালো আম। গ্রীষ্মকালীন এই ফল শুধু সরাসরি খেয়েই নয়, বরং নানা ধরনের মজাদার খাবার তৈরিতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। যারা আম দিয়ে একটু ভিন্নধর্মী, নতুন কিছু ট্রাই করতে চান, তাদের জন্য ‘ম্যাংগো স্টিকি রাইস’ হতে পারে এক অনন্য স্বাদের অভিজ্ঞতা।

থাইল্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় এই ডেজার্টটি এখন সারাবিশ্বেই স্বাদপ্রেমীদের মাঝে সমাদৃত। থাই ভাষায় একে বলা হয় Khao Niew Mamuang, যার অর্থই হলো আঠালো ভাত, আম ও নারিকেলের মিশ্রণে তৈরি মিষ্টান্ন। পাকা আমের মিষ্টি স্বাদ, নারিকেলের ঘন দুধের কোমলতা আর বিন্নি চালের আঠালো টেক্সচারের চমৎকার সমন্বয়ে তৈরি এই খাবারটি সহজ উপকরণেই ঘরে বসেই তৈরি করা সম্ভব।

উপকরণ

বিন্নি চাল: ১ কাপ (আঠালো ভাতের জন্য আদর্শ)

পাকা আম: ২টি (স্লাইস করে কাটা)

নারিকেলের ঘন দুধ: ১ কাপ

চিনি: আধা কাপ (চাইলে পরিমাণ সামান্য কমাতে পারেন)

লবণ: এক চিমটি

সাদা তিল: পরিবেশনের জন্য পরিমাণমতো

প্রস্তুত প্রণালি

প্রথমে বিন্নি চাল ভালো করে ধুয়ে এক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর স্টিমারে অথবা পাত্রে স্টিম দিয়ে আধা ঘণ্টা সেদ্ধ করে নিন। স্টিমার না থাকলে ১ কাপ চালের সঙ্গে ১ কাপের চেয়ে কিছুটা বেশি পানি দিয়ে ঢিমে আঁচে ভাত রান্না করলেও হবে।

এবার একটি আলাদা পাত্রে নারিকেলের দুধ, চিনি ও লবণ একত্রে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন। চিনি গলে গিয়ে দুধ সামান্য ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।

সেদ্ধ করা ভাত গরম অবস্থাতেই এই দুধের মিশ্রণে ভালোভাবে মিশিয়ে ফেলুন। পাত্রটি ঢেকে রেখে দিন ১৫-২০ মিনিট চুলা বন্ধ থাকবে। এই সময়টায় ভাতের দানাগুলো দুধে ভিজে মাখামাখা এক রেশমি টেক্সচার তৈরি করবে।

অবশেষে, একটি পাকা আম খোসা ছাড়িয়ে পাতলা স্লাইসে কেটে নিন। পরিবেশনের সময় একটি প্লেটে স্টিকি রাইস পরিবেশন করে তার পাশে আমের স্লাইস সাজিয়ে দিন। ইচ্ছা হলে ওপরে সামান্য সাদা তিল ছিটিয়ে দিতে পারেন।

গরমে রুচিবর্ধক ও হালকা মিষ্টি কিছু খেতে চাইলে, ঘরোয়া উপকরণে তৈরি এই থাই ডেজার্ট হতে পারে চমৎকার এক বিকল্প। পাকা আমের মৌসুমে নিজ হাতে প্রিয়জনদের জন্য এমন একটি ব্যতিক্রমী স্বাদের খাবার তৈরি করে পরিবেশন করলেই মিলবে প্রশংসা ও তৃপ্তি দুয়োটাই।

এবারের আমের মৌসুমে রান্নাঘরেই হোক থাইল্যান্ডের স্বাদভ্রমণ!


কমলার রসের সুগন্ধে তৈরি ঘরোয়া পুডিং, সহজ রেসিপিতে চমকে দিন পরিবারকে

রান্নাবান্না ও রেসিপি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০২ ২২:০৪:১০
কমলার রসের সুগন্ধে তৈরি ঘরোয়া পুডিং, সহজ রেসিপিতে চমকে দিন পরিবারকে

ঘরে থাকা সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়েই খুব সহজে তৈরি করে ফেলতে পারেন সুস্বাদু কমলার পুডিং। ডিম, দুধ আর কমলার রসের মিশ্রণে তৈরি এই মিষ্টি খাবারটি যে কাউকে মুগ্ধ করতে যথেষ্ট। চলুন দেখে নেওয়া যাক প্রণালি।

যা যা লাগবে:

ডিম – ৬টি

ঘন তরল দুধ – আধা কাপ

চিনি – আধা কাপ

কমলার রস – ২ টেবিল চামচ

মাখন বা ঘি – ১ চা চামচ

অরেঞ্জ রাউন্ড – ১ চা চামচ

যেভাবে তৈরি করবেন:প্রথমে টাটকা কমলা থেকে রস বের করে নিন। এবার আধা কাপ চিনি হালকা আঁচে একটু গলিয়ে ঠান্ডা করে ফেলুন। ঠান্ডা হলে এর সঙ্গে ডিমগুলো ভালোভাবে মেশান। এরপর ধীরে ধীরে তরল দুধ দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। এবার দিন কমলার রস ও অরেঞ্জ রাউন্ড।

একটি বাটিতে ঘি বা মাখন ব্রাশ করে নিন। এতে ডিম ও দুধের মিশ্রণ ঢেলে দিন। এরপর একটি পাত্রে পানি দিয়ে স্ট্যান্ডের ওপর বাটি বসিয়ে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে ২০ মিনিট রান্না করুন।

২০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখুন—ডিমের মিশ্রণ জমে পুডিং হয়ে গেছে কিনা। হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

এই মিষ্টি ও সুগন্ধময় পুডিংটি পারিবারিক অতিথি আপ্যায়নে কিংবা নিজেই একটু ভালো কিছু খাওয়ার জন্য চমৎকার একটি অপশন হতে পারে।


বেকিং সোডা ও পাউডার: রান্নার সফলতার দুই গোপন যোদ্ধা

রান্নাবান্না ও রেসিপি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০২ ১৭:৫৮:০২
বেকিং সোডা ও পাউডার: রান্নার সফলতার দুই গোপন যোদ্ধা

রান্নার জগতে বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডার ভূমিকা অপরিসীম। বিশেষত কেক, প্যানকেক, বিস্কুট, ব্রেডসহ বিভিন্ন বেকড খাবারে এই দুই উপকরণ খাবারের গঠন, স্বাদ ও টেক্সচারে প্রভাব ফেলে। যদিও বহুলাংশে মানুষ এই দুই উপকরণকে এক মনে করে ব্যবহার করেন, তবে তাদের রাসায়নিক গঠন, কাজের পদ্ধতি ও প্রয়োগে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। রান্নায় সঠিক ফল পেতে হলে এই পার্থক্য বোঝা এবং উপযুক্ত উপকরণ নির্বাচন করা খুব জরুরি।

বেকিং সোডা: রাসায়নিক এবং ব্যবহারিক দিক

বেকিং সোডা, যাকে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট (NaHCO₃) বলা হয়, একটি রসায়নিক যৌগ যা নিজের মধ্যে কোনো অ্যাসিডীয় উপাদান বহন করে না। অর্থাৎ, এটি একটি ক্ষারীয় পদার্থ। নিজে থেকে বেকিং সোডার মধ্যে থাকা যৌগগুলো কোনো রিয়েকশন শুরু করতে পারে না; এর জন্য প্রয়োজন হয় কোনো অ্যাসিড জাতীয় পদার্থ। রান্নায় সাধারণত বেকিং সোডা ব্যবহার করার সময় এর সঙ্গে লেবুর রস, ভিনেগার, দই, মাখন, বা অন্যান্য অ্যাসিডযুক্ত উপাদান মেশানো হয়। এই অ্যাসিড ও বেকিং সোডার মিথস্ক্রিয়া থেকে কার্বন-ডাই অক্সাইড (CO₂) গ্যাস নির্গত হয়, যা খাবারের ভিতর বুদবুদ তৈরি করে খাবার ফোলাতে ও হালকা করে তোলে।

বেকিং সোডা ব্যবহারে খাবারের বেসিক স্বাদ ও ঘরোয়া গন্ধের ভারসাম্য বজায় থাকে, তবে অতিরিক্ত প্রয়োগ করলে খাবার তিক্ত বা লবণাক্ত হয়ে যেতে পারে, যা খাবারের স্বাদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আরেকটি বিষয় হলো বেকিং সোডা ত্বকে বা শরীরে অতিরিক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে, যদিও রান্নায় ব্যবহৃত পরিমাণ অত্যন্ত নগণ্য।

বেকিং পাউডার: রাসায়নিক গঠন ও কার্যপ্রণালী

বেকিং পাউডার হলো বেকিং সোডার একটি প্রস্তুত মিশ্রণ, যেখানে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় অ্যাসিডীয় উপাদান মেশানো থাকে। বেকিং পাউডারে সাধারণত থাকে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট, খাদ্যগুণসম্পন্ন অ্যাসিড (যেমন টার্টার ক্রিম বা সোডিয়াম অ্যালুমিনিয়াম সালফেট), এবং একটি শুষ্ক উপাদান যা মিশ্রণকে শুকনো ও স্থিতিশীল রাখে। এর ফলে বেকিং পাউডার ব্যবহার করার সময় আলাদাভাবে কোনো অ্যাসিড যোগ করার প্রয়োজন হয় না।

বেকিং পাউডার আর্দ্রতা বা গরমের সংস্পর্শে আসলেই এর ভেতরের রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হয় এবং তৎক্ষণাৎ কার্বন-ডাই অক্সাইড গ্যাস তৈরি হয়, যা রান্নার খাদ্যকে ফোলানো ও নরম করে তোলে। এটি রান্নায় দ্রুত ফলাফল দেয় এবং বিশেষত বিস্কুট, কেক, প্যানকেক বা কর্ন ব্রেড তৈরিতে জনপ্রিয়।

ব্যবহার ও পরিমাণে পার্থক্য

বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডারের ব্যবহারে বড় একটি পার্থক্য হলো পরিমাণ এবং অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে সমন্বয়। বেকিং সোডা তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী অ্যাসিড-ক্ষার বিক্রিয়া ঘটায়, তাই এর পরিমাণ খুব কম ব্যবহার করা হয়। বিপরীতে, বেকিং পাউডারে অ্যাসিড ও ক্ষারের ভারসাম্য থাকে, তাই এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ বিক্রিয়া প্রদান করে।

যদি কোনও রেসিপিতে বেকিং সোডার বদলে বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে হয়, তাহলে প্রায় তিনগুণ বেকিং পাউডার ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, ১ চা চামচ বেকিং সোডার জায়গায় ৩ চা চামচ বেকিং পাউডার দরকার। অতিরিক্ত বেকিং পাউডার ব্যবহারে খাবারে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে স্বাদ খারাপ হতে পারে, সুতরাং পরিমিত ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।

বেকিং পাউডারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেকিং সোডার তুলনায় বেশি থাকে, যার কারণে বেকিং পাউডার বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হলে খাবারের লবণাক্ত স্বাদ বেড়ে যেতে পারে।

রান্নায় কিভাবে ব্যবহার করবেন?

বেকিং সোডা: প্রাকৃতিক বা অতিরিক্ত অ্যাসিডযুক্ত উপাদানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। যেমন—লেবুর রস, ভিনেগার, দই, মাখন। বেকিং সোডা রান্নায় ফেনা তুলতে ও খাবারকে হালকা ও নরম করতে সাহায্য করে। তবে সবসময় কম পরিমাণে ব্যবহার করুন, কারণ অতিরিক্ত বেকিং সোডা স্বাদে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

বেকিং পাউডার: প্রাকৃতিক অ্যাসিড না থাকলেও এটি নিজেই অ্যাসিডীয় উপাদান বহন করে। তাই বেকিং পাউডার ব্যবহারের জন্য আলাদাভাবে অ্যাসিড যোগ করার দরকার পড়ে না। এটি কেক, প্যানকেক, বিস্কুট, কর্ন ব্রেড তৈরিতে বেশি ব্যবহৃত হয়।

বাড়িতে বেকিং পাউডার তৈরি করার সহজ উপায়

বাড়িতে যদি বেকিং পাউডার না থাকে, তবে বেকিং সোডা ও টার্টার ক্রিম মিশিয়ে ঘরোয়া বেকিং পাউডার তৈরি করা যায়। সাধারণত, ১ চা চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে ২ চা চামচ টার্টার ক্রিম ভালোভাবে মিশিয়ে রাখা হয়। রান্নার সময় প্রয়োজন অনুসারে এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে বেকিং পাউডারের মতো কার্যকর ফল পাওয়া যায়।

অন্যান্য তথ্য ও সতর্কতা

  • বেকিং পাউডার ব্যবহার করে ক্লাব সোডার মত স্নিগ্ধ পানীয়ও তৈরি করা যায়, যা দুধ বা অন্যান্য তরল পদার্থে ফেনা তৈরি করে।
  • রান্নায় ব্যবহৃত বেকিং সোডার অতিরিক্ত ব্যবহার খাদ্যের স্বাদ নষ্ট করে তোলে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সবসময় রেসিপির নির্দেশনা মেনে উপকরণের পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে।
  • রান্নায় বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডা একে অপরের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে গেলে অনুপাত এবং প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করা আবশ্যক।

সফল রান্নায় বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডার সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসায়নিক গঠন, কার্যপ্রণালী ও ব্যবহারের পার্থক্য বোঝার মাধ্যমে রান্নার স্বাদ, গঠন ও গুণগত মান বাড়ানো সম্ভব। রান্নাঘরের প্রতিটি অভিজ্ঞ রাঁধুনির উচিত এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা, যাতে তারা তাদের খাবারকে নিখুঁত ও সুস্বাদু করতে পারেন। সঠিক পরিমাণ ও প্রয়োগ নিশ্চিত করাই খাবারের স্বাদ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার মূল চাবিকাঠি।


ঘরে তৈরি করুন রেস্টুরেন্ট-স্টাইল গার্লিক বিফ!

রান্নাবান্না ও রেসিপি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১১ ১৭:০৪:৫৩
ঘরে তৈরি করুন রেস্টুরেন্ট-স্টাইল গার্লিক বিফ!

উৎসবের আয়োজনের জন্য ব্যতিক্রমী স্বাদের গার্লিক বিফ রেসিপি

গরুর মাংসের প্রচলিত ভুনা কিংবা ঝোল ছাড়াও উৎসব এবং বিশেষ অনুষ্ঠানগুলোতে পরিবেশনের জন্য রয়েছে একটি মনোমুগ্ধকর পদ গার্লিক বিফ। রুটি, পরোটা, পোলাও কিংবা খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করা এই সুস্বাদু খাবারটি আপনাদের খাদ্য তালিকায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

গরুর মাংস – ১ কেজি

পেঁয়াজ কুচি – ১ কাপ

হলুদ গুঁড়া – ১ চা চামচ

মরিচ গুঁড়া – ২ চা চামচ

আদা ও রসুন বাটা – আধা চা চামচ

রসুনের কোয়া – ৪/৫টি

ধনিয়া ও জিরা গুঁড়া – ১ চা চামচ

তেল – আধা কাপ

টমেটো সস – আধা কাপ

টক দই – ১ কাপ

গরম মসলা গুঁড়া – আধা চা চামচ

লবণ – স্বাদমতো

প্রস্তুত প্রণালী:

প্রথমে গরুর মাংস টুকরো করে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে মাংসের সঙ্গে হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, টক দই, আদা-রসুন বাটা, লবণ, ধনিয়া ও জিরা গুঁড়া মেশান এবং ভালোভাবে মেরিনেট করে আধা ঘণ্টা রেখে দিন।

একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ লালচে হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এরপর এতে মেরিনেট করা মাংস যোগ করে ঝোল শুকানো পর্যন্ত ভালোভাবে কষান। প্রয়োজনমতো পানি যোগ করে ঢেকে দিয়ে সেদ্ধ করুন। মাংস সেদ্ধ হলে রসুনের কোয়া, কাঁচা মরিচ এবং টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন।

এই গার্লিক বিফ হবে সুগন্ধি এবং স্বাদে অনন্য, যা যে কোনো উৎসবের টেবিলে চমক সৃষ্টি করবে।


চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী স্বাদ ঘরে আনুন—মেজবানি মাংস রান্নার সহজ রেসিপি

রান্নাবান্না ও রেসিপি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ৩১ ০০:০২:০২
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী স্বাদ ঘরে আনুন—মেজবানি মাংস রান্নার সহজ রেসিপি

ঐতিহ্য ও স্বাদের অনন্য মিলন ‘গরুর মেজবানি মাংস’ এখন শুধু রেস্টুরেন্ট বা বিয়ের দাওয়াতেই নয়—এই ঈদে আপনি চাইলে ঘরেই তৈরি করতে পারেন এই ঐতিহাসিক ও সুস্বাদু পদটি। রিচ মসলায় রান্না করা এই বিশেষ মাংস যে কোনো উৎসবের আয়োজনে এনে দেবে অতুলনীয় স্বাদ ও অভিজাততা।

এই রেসিপি তৈরিতে দরকার হবে গরুর মাংস ২ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ ও মরিচ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ করে, ধনে ও জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, টক দই ১ কাপ, সরিষার তেল ১ কাপ, কাঁচামরিচ ১০-১২টি, গোলমরিচ ১ চা চামচ, দারচিনি ও এলাচ ৫-৬টি, জয়ফল ও জয়ত্রী আধা চা চামচ, মেথি গুঁড়া ১ চা চামচ, মাংসের মসলা ১ চা চামচ এবং লবণ স্বাদ অনুযায়ী।

প্রথমে গরুর মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি বড় পাত্রে মাংসের সঙ্গে সরিষার তেল, টক দই, হলুদ, মরিচ, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, লবণ এবং অন্যান্য সব মসলা ভালোভাবে মিশিয়ে কিছুক্ষণ ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। এদিকে পেঁয়াজের অর্ধেক অংশ তেলে ভেজে বেরেস্তা তৈরি করে আলাদা রেখে দিন।

এরপর একটি বড় হাঁড়ি চুলায় বসিয়ে মেরিনেট করা মাংস দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। কষানো হলে ২ কাপ পানি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। যখন মাংস থেকে পানি পুরোপুরি শুকিয়ে আসবে, তখন ঢাকনা দিয়ে মৃদু আঁচে মাংস সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে।

সবশেষে কাঁচা মরিচ, ধনে ও জিরা গুঁড়া দিয়ে আরও ১০ মিনিট দমে রেখে রান্না সম্পন্ন করতে হবে। নামানোর আগে উপরে পেঁয়াজের বেরেস্তা ছড়িয়ে দিন। এরপর গরম গরম পরিবেশন করুন ‘গরুর মেজবানি মাংস’ পরোটা, লুচি কিংবা সুগন্ধি পোলাওয়ের সঙ্গে।

ঈদের আয়োজনে এই খাবারটি শুধু অতিথিদের মন জয় করবে না, বরং আপনার রাঁধুনির মুন্সিয়ানারও এক দুর্দান্ত উদাহরণ হয়ে থাকবে।

পাঠকের মতামত: