অবৈধ ই-বর্জ্য কারখানায় অভিযান, মালয়েশিয়ায় আটকা পড়ল অসংখ্য অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিক

(জেপিএন) এর সহযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। জনসাধারণের অভিযোগ এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
জাকারিয়া শাবান বলেন, অভিযানে মোট ৪২ জনের পরিচয় যাচাই করা হয়, যার মধ্যে ৩৯ জনকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ এবং বাকি নারী রয়েছেন। এছাড়া তিনজন স্থানীয় নাগরিককেও শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এই অভিযানে আটককৃতরা মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর ৩৯ (বি) ধারার অধীনে অপরাধী হিসেবে ধরা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় তদন্তের জন্য মাচাপ উম্বু ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
অবৈধ ই-বর্জ্য কারখানায় অভিযান দেশটির পরিবেশ, আইনশৃঙ্খলা ও অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব বহন করে, যেখানে অবৈধভাবে বসবাস ও শ্রমজীবন যাপনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হচ্ছে।
ভাগ্যের চাকা ঘুরলো হারুন সর্দারের: দুবাইয়ে এক দিনেই কোটিপতি বাংলাদেশী ড্রাইভার!
একটি মাত্র ফোন কল আর মুহূর্তেই প্রায় ৬৬ কোটি টাকারও বেশি অর্থ! এই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে দুবাইতে বসবাসকারী বাংলাদেশী প্রবাসী হারুন সর্দারের জীবনে, যিনি স্থানীয় এক আরব পরিবারের ব্যক্তিগত ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এক সামান্য ড্রাইভার থেকে লটারির বদৌলতে কোটিপতি হয়ে ওঠা এই গল্প এখন প্রবাসীদের মুখে মুখে।
১৫ বছরের প্রবাস জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল বিগ টিকিট
৪৪ বছর বয়সী হারুন সর্দার গত প্রায় দেড় দশক ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাজ করছেন। তার দীর্ঘদিনের অভ্যাস ছিল প্রতি মাসে বিগ টিকিটের লটারি কেনা। বিগ টিকিট হলো আরব আমিরাতের একটি জনপ্রিয় লটারি ড্র, যেখানে নির্দিষ্ট অর্থের টিকিট কিনে কোটি টাকার পুরস্কার জেতার সুযোগ থাকে। হারুন সর্দারও সেই আশাতেই প্রতি মাসে টিকিট কিনতেন, এই ভাবনা নিয়ে যে হয়তো একদিন তার ভাগ্য ফিরবে।
১৪ সেপ্টেম্বর তিনি ১০০০ দিরহাম (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩০,২০০ টাকা) দিয়ে দুটি বিগ টিকিট কিনেছিলেন। তবে গল্পের মোড় নেয় অন্য দিকে – তিনি সরাসরি কেনা টিকিটগুলোতে জেতেননি। বিগ টিকিটের নিয়ম অনুযায়ী, কেউ যদি একই ধরনের দুটি টিকিট কেনেন, তবে বোনাস হিসেবে আরও দুটি টিকিট দেওয়া হয়। এই বোনাস টিকিটগুলোর একটিতেই হারুন সর্দারের ভাগ্য খুলে যায়!
একসাথে দশ জনের ভাগ্য বদল
অবশেষে তিনি প্রাইজ মানি হিসেবে জিতেছেন ২০ মিলিয়ন দিরহাম, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে এই বিশাল অঙ্কের টাকা তিনি একা পাচ্ছেন না। কারণ এই ১০০০ দিরহামের টিকিট তিনি আরও ১০ জন সঙ্গীর সঙ্গে যৌথভাবে কিনেছিলেন। তার দলের সদস্যরাও সবাই সাধারণ প্রবাসী—কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কেউবা নির্মাণ শ্রমিক। ফলে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তাদের ১১ জনের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে। প্রত্যেকের ভাগে পড়বে প্রায় ৬ কোটি টাকা করে, যা কোনো অংশেই কম নয়!
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: আরব আমিরাতেই ব্যবসা
হারুন সর্দার জানিয়েছেন, তারা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি এই বিশাল অঙ্কের অর্থ দিয়ে কী করবেন। তবে তাদের ইচ্ছা এই অর্থ সঠিক উপায়ে ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই একটি ব্যবসা দাঁড় করানো। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের আয় আরও বাড়াতে চান এবং ভবিষ্যতে নিজেদের টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি তাদের পরিবারকে বাংলাদেশে থেকে আরব আমিরাতে নিয়ে আসার স্বপ্ন দেখছেন।
উল্লেখ্য, হারুন সর্দার প্রথম কোনো বাংলাদেশী নন যিনি বিগ টিকিটের লটারি জিতেছেন। এর আগেও সবুজ মিয়া নামক একজন প্রবাসী বিগ টিকিটে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা জিতেছিলেন। হারুন সর্দারের এই জয় অন্যান্য প্রবাসীদের মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে, যা প্রমাণ করে ভাগ্য কখন কার দুয়ারে কড়া নাড়ে, তা বলা মুশকিল।
আমিরাতে ধরপাকড় বেড়েছে, বিপাকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেক বাংলাদেশি কর্মী। গত বছর আমিরাতের সাধারণ ক্ষমার সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায়, তাদের এখন কারাভোগ শেষে দেশে নির্বাসিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক বাংলাদেশি কর্মী এক কাপড়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। দেশে ফেরা কর্মীদের অভিযোগ, দেশীয় স্পন্সরকে পর্যাপ্ত টাকা দেওয়ার পরও তাদের ভিসা নবায়ন করা হয়নি। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা অবৈধ হয়ে পড়েন।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মোহাম্মদ কামরুল প্রায় সাত বছর আমিরাতে কাজ করেছেন। তিনি জানান, শেষবার ভিসা নবায়নের জন্য বাংলাদেশি স্পন্সরকে সাত হাজার দিরহাম (প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা) দিলেও তার ভিসা নবায়ন করা হয়নি। দুই বছর অবৈধভাবে থাকার পর তিনি আটক হন এবং কারাভোগ শেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেছেন। তার সঙ্গে একই ফ্লাইটে আরও ১৭ জন বাংলাদেশি ফিরেছেন।
দেশে ফেরা কর্মীদের অভিযোগ
বরিশালের মোহাম্মদ শাহীন এবং বগুড়ার বাবুল মিয়াও একই অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবি, বাংলাদেশি স্পন্সর দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভিসা নবায়ন করেননি, যার ফলে তারা অবৈধ হয়ে পড়েছেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন নোয়াখালীর জাকির হোসেন, চাঁদপুরের ছমির উদ্দিন এবং সিলেটের মোহাম্মাদ মিজানও।
মোহাম্মাদ মিজান জানান, আবুধাবির সুইহান কারাগারে বহু বাংলাদেশি আটক আছেন। তাদের কাউকে এক সপ্তাহ, কাউকে ১৫ দিন, আবার কাউকে এক মাস কারাভোগ শেষে দেশে পাঠানো হচ্ছে।
দূতাবাসের তথ্য
আবুধাবি দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মোহাম্মদ উল্লাহ খান জানান, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দূতাবাসের আউটপাস নিয়ে ৫০২ জন দেশে ফিরেছেন। সর্বশেষ ৯ দিনে নির্বাসিত হয়েছেন ৭৯ জন।
আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ জানান, “সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধ বাংলাদেশিদের সঠিক পরিসংখ্যান দূতাবাসে নেই, সংখ্যাটি পরিবর্তনশীল।” তিনি বলেন, “ভিসা শেষ হওয়ার পর কেউ কেউ অভিযোগ করেন, তবে তাদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। অনেকে নিজেরা ব্যবস্থা করেন।”
বাংলাদেশ মিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাসের সাধারণ ক্ষমায় প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি নিজেদের বৈধতা নিশ্চিত করেছিলেন।
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের ভোট নিয়ে নতুন আলোচনা, বিএনপিতে বিভাজন
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রবাসী ভোটকে ঘিরে নতুন করে আলোচনায় এসেছে মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গন। বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার ও পোস্টাল ভোটে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মালয়েশিয়া শাখার তৎপরতা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
বিএনপিতে নেতৃত্ব সংকট, দুর্বল সাংগঠনিক তৎপরতা
একসময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী সংগঠন ছিল মালয়েশিয়া বিএনপি। কিন্তু বর্তমানে এটি একাধিক গ্রুপে বিভক্ত। দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, নেতৃত্ব সংকট এবং মনোনয়নকেন্দ্রিক ব্যস্ততার কারণে সাংগঠনিক তৎপরতায় স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। মালয়েশিয়ায় যুবদল প্রায় আট বছর ধরে নেতৃত্বহীন, এবং শ্রমিক দল ও স্বেচ্ছাসেবক দল কার্যত নিষ্ক্রিয়।
মালয়েশিয়া বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজি সালাহ উদ্দিন সরাসরি সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা স্বীকার করে বলেছেন, “আমাদের সাধারণ কর্মীরা সচেতন নন। প্রবাসী ভোটে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যদি হাইকমান্ড এগিয়ে এসে এর গুরুত্ব না বোঝায়।”
সহ-সভাপতি তালহা মাহমুদ অভিযোগ করেছেন যে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম উপেক্ষা করছেন। এ সংকট নিরসনে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যদিকে, সভাপতি বাদলুর রহমান খানের সমর্থকরা বলছেন, বিদেশে রাজনৈতিক দল পরিচালনা আইনের মধ্যে পড়ে না। তাই যেটুকু করা সম্ভব আমরা করছি এবং মালয়েশিয়া বিএনপি সবচেয়ে সুসংগঠিত।
জামায়াতে সাংগঠনিক দক্ষতা ও সুশৃঙ্খলতা
সাম্প্রতিক ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের সক্রিয় ভূমিকার পর প্রবাসেও সাংগঠনিক দক্ষতা ও সুশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচনায় এসেছে জামায়াত। দলটির নেতারা দাবি করছেন, তাদের আদর্শভিত্তিক কার্যক্রম, জবাবদিহিমূলক রাজনীতি এবং কর্মীদের একনিষ্ঠ অংশগ্রহণ সংগঠনটিকে মালয়েশিয়ায়ও শক্ত অবস্থানে রেখেছে।
জামায়াতে ইসলামী মালয়েশিয়া শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এনামুল হক জানিয়েছেন, প্রবাসীরা ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহী ও সচেতন। প্রশাসনিক সহযোগিতা পেলে তারা উৎসাহের সঙ্গে ভোট দেবেন এবং দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবেন।
১৫ লাখ প্রবাসীর ভোট, কে পাবে সুবিধা?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসীর ভোট বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। বিএনপির বিভক্তি, নেতৃত্ব সংকট ও সাংগঠনিক দুর্বলতা যদি কাটানো না যায়, তবে সংগঠিত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ জামায়াত পোস্টাল ভোটে এগিয়ে যেতে পারে।
আখতার হোসেনকে ডিম নিক্ষেপ: গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা মিজানুর জামিন পেলেন
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফররত ড. ইউনূসের প্রতিনিধি দলের সদস্য আখতার হোসেনকে ডিম নিক্ষেপ করা যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় জামিনে মুক্তি পান তিনি। ওয়াশিংটন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকার নবান্ন রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিউইয়র্ক পুলিশ।
ডিম নিক্ষেপের ঘটনা
সোমবার ড. ইউনূসের প্রতিনিধি দলে থাকা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে ডিম মেরে লাঞ্ছিত করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইট নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর এই ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়া হয়। একইসঙ্গে তাসনিম জারাকেও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় তারা বিমানবন্দর এলাকা ত্যাগ করেন।
সৌদি আরবে অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ
সৌদি আরবে অবৈধভাবে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর এসেছে। দেশটির সরকার কর্মক্ষেত্র থেকে পলাতক (হুরুবপ্রাপ্ত) প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব প্রবাসী নতুন কোম্পানি বা নিয়োগকর্তা খুঁজে কুয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তাদের বৈধতা দেওয়া হবে।
সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই হুরুবপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে অবৈধ হয়ে পড়েছিলেন। নতুন এই উদ্যোগের ফলে তারা বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়া
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হুরুবপ্রাপ্ত প্রবাসীরা কুয়া প্ল্যাটফর্মে গিয়ে নতুন কোম্পানি বা কফিল ঠিক করে আবেদন করতে পারবেন। এরপর কাফালা বা ট্রান্সফারের মাধ্যমে তাদের বৈধতা দেওয়া হবে। এই ট্রান্সফারের জন্য কত ফি লাগবে, তা আবেদন করার পরেই কুয়া প্ল্যাটফর্মে জানা যাবে।
উদ্যোগের সুবিধা
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবাসীরা। তারা বলছেন, এতে এতদিন অবৈধভাবে থাকা প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং তাদের নানা সমস্যার সমাধান হবে। প্রবাসীরা মনে করেন, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সবাইকে বৈধ পথে ফিরে আসা উচিত। এতে তাদের জীবন যেমন স্বাভাবিক হবে, তেমনি দেশের অর্থনীতিও আরও শক্তিশালী হবে।
তবে কর্তৃপক্ষ একটি বিষয় স্পষ্ট করেছে: যারা সৌদি আরবে আসার এক বছরের মধ্যেই কফিল কর্তৃক হুরুবপ্রাপ্ত হয়েছেন, তারা এই সুযোগের আওতায় আসবেন না।
জিরো থেকে পাবলিকেশন: গবেষণায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিল বিআরটিসি কোর্স
সম্প্রতি বাংলাদেশ অ্যাডভান্সড রিসার্চ ট্রেইনিং সেন্টার (বিআরটিসি) আয়োজিত উন্নত গবেষণা প্রশিক্ষণ কোর্স ‘কমপ্লিট রিসার্চ ট্রেনিং: ফ্রম জিরো টু পাবলিকেশন’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ কর্মসূচিতে অনলাইনের মাধ্যমে অংশ নেন দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ও গবেষক, যা দেশ-বিদেশের গবেষণা আগ্রহীদের মধ্যে এক বিরল সাড়া জাগিয়েছে।
এই কোর্সের মূল বক্তা ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য গবেষক প্রফেসর ড. মঈন উদ্দিন খন্দকার। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ার সানওয়ে ইউনিভার্সিটির অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স অ্যান্ড রেডিয়েশন টেকনোলজিস বিভাগে অধ্যাপনায় নিয়োজিত আছেন। তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর ফেলো এবং Elsevier–Stanford তালিকাভুক্ত বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকের অন্যতম। ইতিমধ্যে এসকোপাস ইনডেক্সড জার্নালে তার প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা ৭৫০ ছাড়িয়েছে, যা ২০ হাজার বারেরও বেশি উদ্ধৃত হয়েছে একটি অসাধারণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
প্রশিক্ষণে ড. খন্দকার অংশগ্রহণকারীদের শেখান কীভাবে গবেষণার সঠিক বিষয় নির্বাচন করতে হয় এবং গবেষণার মানোন্নয়নের মাধ্যমে সমাজে বাস্তব ও ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা যায়। তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেন লিটারেচার রিভিউ-এর ওপর। তার মতে, এটি কেবল তথ্যসংগ্রহ বা সারসংক্ষেপ নয়; বরং সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ, গবেষণার শূন্যতা চিহ্নিতকরণ এবং নতুন গবেষণার দিকনির্দেশনা খুঁজে বের করার একটি কার্যকর প্রক্রিয়া।
রোববার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শক্তিশালী ও বিশ্লেষণধর্মী লিটারেচার রিভিউ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফেসবুক, ইউটিউব ও জুম প্ল্যাটফর্মে সরাসরি সম্প্রচারিত এই প্রশিক্ষণে প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী রিয়েল-টাইমে যুক্ত হন। সব মিলিয়ে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের রেকর্ডিং প্রকাশের পরও এটি বিপুল সাড়া জাগায়।
কোর্সের অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব। অংশগ্রহণকারীরা গবেষণা বিষয়কে নতুনভাবে উপস্থাপন, লিটারেচার রিভিউতে ফাঁকফোকর শনাক্ত, প্রবন্ধ রচনার কাঠামো নির্ধারণ এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন করেন। ড. খন্দকার প্রতিটি প্রশ্ন ধৈর্য সহকারে উত্তর দেন এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ব্যবহারিক উদাহরণ উপস্থাপন করেন।
তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন, গবেষণার কাজ শুধুমাত্র তথ্য সংগ্রহে সীমাবদ্ধ নয়; বরং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, বিশ্লেষণ এবং নতুন জ্ঞান সংযোজনই গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে।
অংশগ্রহণকারীদের অভিমত, এই প্রশিক্ষণ তাদের গবেষণা যাত্রায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যুক্ত করেছে। তারা উপলব্ধি করেছেন যে, লিটারেচার রিভিউ কেবল পুরোনো তথ্য সাজানো নয়; বরং এটি গবেষকের নিজস্ব চিন্তা, বিশ্লেষণ এবং জ্ঞানের মৌলিক অবদান রাখার এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।
-রাফসান
ইতালির পথে আবারও ট্রাজেডি, ভূমধ্যসাগরে প্রাণহানি
একজন বাংলাদেশি অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির লাম্পেদুসা উপকূলে পৌঁছানোর সময় নৌকাতেই মারা গেছেন। ইতালীয় কোস্টগার্ড এবং আর্থিক পুলিশের সদস্যরা সোমবার রাতে ১০ মিটার দীর্ঘ একটি নৌকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। একই নৌকা থেকে আরও ৫১ জন অভিবাসীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
সন্দেহ বিষাক্ত ধোঁয়া
কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক ধারণা, সম্ভবত নৌকাটির জ্বালানির বিষাক্ত ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কালা পিসানার মর্গে পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষে
উদ্ধার হওয়া ৫১ জন অভিবাসীর মধ্যে মিসরীয়, বাংলাদেশি, ইরিত্রীয়, ইথিওপীয়, সিরীয় এবং সুদানের নাগরিকরা রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন নারী এবং একজন অপ্রাপ্তবয়স্কও রয়েছে। তাদের সবাইকে ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় ইমব্রিয়াকোলা জেলার অভিবাসনকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে লাম্পেদুসার ফাভারোলো জেটিতে পৌঁছানোর পর অভিবাসীরা জানান, উদ্ধারকারীরা আসার আগেই তাদের একজন সঙ্গী সমুদ্রে পড়ে যান এবং তাকে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অভিবাসী পরিস্থিতি
ইতালি সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে ২০২৪ সাল থেকে দেশটিতে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা কমেছিল। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। ২০২৪ সালের শুরু থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৪২,৯৯৯ জন, যা চলতি বছর একই সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩,৮৬০ জনে। তবে ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় (১,১৪,৮৬৭ জন) এই সংখ্যা এখনো অনেক কম।
চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছানো অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষে রয়েছে। প্রায় ১৩,২৭১ জন বাংলাদেশি এভাবে ইতালিতে পৌঁছেছেন। এরপরই আছে ইরিত্রিয়া (৫,৮১১ জন) এবং মিসর, পাকিস্তান, সুদান, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার নাগরিকরা।
সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস/আনসা
জার্মানিতে নানা আয়োজনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে জার্মানি বিএনপি। এ উপলক্ষে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বার্লিনে স্থানীয় একটি হলরুমে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
দিনব্যাপী আয়োজনে অংশ নেন জার্মানির বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী। এছাড়া অনেকেই ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জার্মান বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি আকুল মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক গনি সরকার। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সূচনা করেন যুবদল নেতা আবু তাহের। এরপর জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসী শিল্পী তাহ্মিনা ফেরদৌসি।
সভাপতির বক্তব্যে আকুল মিয়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রগঠনের অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক, যিনি স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক দলীয় বিভাজন ভুলে মিলেমিশে রাষ্ট্রগঠনের লক্ষ্য সামনে রেখে একসাথে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। সদ্য সাবেক প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক মান্নান নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান, সকল মতবিরোধ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
বার্লিন বিএনপির সাবেক সভাপতি জসিম শিকদার বলেন, “আমরা যে কোনো আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তবে বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া হবে না।”
ফ্রাংকফুর্ট থেকে আগত জার্মান বিএনপির সদ্য সাবেক উপদেষ্টা মিজানুর রহমান (ফিরোজ) তাঁর বক্তব্যে দলের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন জার্মান বিএনপির সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি কাজী রেজাউল হক সাঈদ, বার্লিন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুল ব্যাপারী, বিএনপি নেতা মাশরুল আলম বাবলী, আনহার মিয়া, সাইফুল ইসলামসহ অনেকে। সভায় উপস্থিত ছিলেন যুবদলকর্মী রুহেল আহমদে, রেদওয়ান আহমদসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জিয়া সাইবার ফোর্সের নেতারা। মো. মাহবুবুর রহমান অনুষ্ঠান শেষে কবিতা আবৃত্তি করেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন মিউনিখের সদ্য সাবেক সভাপতি রিয়াজ শরিফ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হোসাইন, এনআরভি’র সদ্য সাবেক সভাপতি গোলাম মাহবুব ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী, বাডেনবুর্টেমবার্গের সদ্য সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুক্তি ও সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, হেসেনের সদ্য সাবেক সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম এবং ফ্রাংকফুর্টের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুবেল খান।
-রাফসান
গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউকে (জিসিএ) এর বার্ষিক পিকনিক প্রাণের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

শহিদুল ইসলাম
প্রবাস প্রতিবেদক
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের সংগঠন গ্রেটার চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন ইউকে (জিসিএ) এর বার্ষিক পিকনিক জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত “ক্ল্যাকটন-অন-সি” তে পরিণত হয়েছিল এক প্রাণের মিলনমেলায়। গত ১০ আগস্ট ২০২৫, রোববার এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
পিকনিকের জন্য রোববার সকাল ৯টার মধ্যেই লন্ডনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক সদস্য হোয়াইট চ্যাপলের ১১৩ নিউ রোডে চিটাগাং সেন্টারের সামনে সমবেত হন। একাধিক বিলাসবহুল বড় কোচ ও অগণিত প্রাইভেট কার-জিপে করে সবার সেদিনের গন্তব্য ছিল ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত ক্ল্যাকটন-অন-সি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই শহরে তখন ছিল গ্রীষ্মের উজ্জ্বল রোদ ও সাগরের শান্ত ঢেউয়ের আহ্বান।
পিকনিক কমিটিকে নিখুঁতভাবে এই আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের পর সকালে শুরু থেকেই পিকনিক স্পটে পৌঁছার আগেই কোচে চলতে থাকে গান, কৌতুক, আবৃত্তি, অভিনয়, ধাঁধা ও স্মৃতিচারণ। আড়াই ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রাকালে বিশিষ্ট শিল্পী তাহসিন বাপ্পি, ডা. রুবেল, তানিম, রুবা হোসেন, নাবিল রহমান, তানভীর খান ও আরও অনেকে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দিয়ে পুরো সময়টাকে ভীষণ উপভোগ্য করে তোলেন। জনপ্রিয় গান ‘‘চলো না ঘুরে আসি অজানাতে’’ দিয়ে এই মনোমুগ্ধকর যাত্রার সূচনা হয়।
কোচগুলোর নেতৃত্বে ছিলেন মোঃ আলী রেজা, মাসুদুর রহমান, আরশাদ মালেক, রাজ্জাকুল হায়দার বাপ্পী। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এসোসিয়েশনের ট্রাস্টি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন ও ট্রাস্টি শওকত মাহমুদ টিপু।
সাগরের নোনাজলে অবগাহন, সৈকতে আড্ডা, খেলাধুলা, ছবি তোলা ও ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে দিনটি আরো রঙিন হয়ে ওঠে। আলী রেজা ভাই, ফটোগ্রাফার মোমিন, শওকত ওসমান এবং কুতুবুল আলম ক্যামেরায় এই স্মৃতিগুলো চিরকালের জন্য বন্দি করে রাখেন।
অনুষ্ঠানটি স্মরণীয় করে তোলার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয় ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, মাসুদুর রহমান, আরশাদ মালেক, শওকত মাহমুদ টিপু, মিসেস মাসুদ, রাজ্জাকুল হায়দার বাপ্পি, মোহাম্মাদ ইসহাক, মোহাম্মাদ কায়সার, ফারজানা খান, শহীদুল ইসলাম, শওকত ওসমান, কুতুবুল আলম, মীরা বড়ুয়া, মাহবুব আলম, এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ, সাজ্জাদ, তানিম, পরান, তানভীর, রিদওয়ান, নাবিল রহমানসহ আরও অনেককে।
ফেরার পথেও গান, গল্প আর আনন্দ বিরতিহীনভাবে চলতে থাকে। শেষে সকলেই বলেন, এটি ছিল একটি চমৎকার আয়োজন, যা অনেকদিন হৃদয়ে গেঁথে থাকবে।
ট্রাস্টি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন বলেন, “আজকের এই দিন আমাদের জীবনের এক অমলিন স্মৃতি হয়ে থাকবে। যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।”
উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালে জন্ম নেওয়া জিসিএ এখন ইউরোপ তথা বিশ্বে বাংলাদেশি প্রবাসীদের অন্যতম বৃহত্তম সামাজিক সংগঠন। এটি লন্ডনে ৫টি বৃহৎ আকারের মেজবানের সাথে মিলন মেলা, চট্টগ্রাম উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের মেজবান ও সংস্কৃতিকে বহির্বিশ্বে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এইসাথে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউকে (জিসিএ) সম্পূর্ণ করেছে অনেক মানবিক কার্যক্রম।
পাঠকের মতামত:
- উপদেষ্টাদের ‘এক্সিট’ মানসিকতা: তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া সেফ এক্সিট নেই—এনসিপি নেতা
- আজ রাতে দেখা যাবে বছরের প্রথম সুপারমুন ‘হার্ভেস্ট মুন’
- অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার: বিশ্বব্যাংক দিল বাংলাদেশকে সুখবর
- আইসিসি র্যাঙ্কিং: সুখবর পেলেন একাধিক বাংলাদেশি ক্রিকেটার
- বিপদের এলাকা’য় প্রবেশ করতে আর দেরি নেই, জানালেন শহিদুল আলম
- পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ মার্কিন বিজ্ঞানী
- ভাগ্যের চাকা ঘুরলো হারুন সর্দারের: দুবাইয়ে এক দিনেই কোটিপতি বাংলাদেশী ড্রাইভার!
- পৃথিবীর ধ্বংসের সময় ২০৬০ সাল? নিউটনের রহস্যময় ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বজুড়ে তোলপাড়!
- টানা কমছে এলপিজি’র দাম: ১২ কেজি সিলিন্ডারের নতুন মূল্য কত?
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে সূচকে চাপ, দরপতনে প্রাধান্য
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ছবিতে বিড়াল, আসলে কার? তারেক রহমান জানালেন পশুপাখির প্রতি ভালোবাসার সেই গল্প
- অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
- সন্ধ্যার মধ্যে ১১ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা
- দল হিসেবে আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের’ আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু
- এবারের নির্বাচনকে জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি: সিইসি
- ‘নতুন অবতারে রাশমিকা মন্দানা’: পরিচিত মুখের ভেতরে এক অচেনা বিস্ময়
- ফর্মহীন সালাহ: ‘মিশরের রাজা’র মুকুটে ধুলো পড়ছে?
- চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং-এর পিয়ংইয়ং সফর: নতুন ঘনিষ্ঠতার বার্তা
- নোবেল ঘিরে জল্পনা: কে জিতবেন এ বছরের সাহিত্যর মুকুট?
- “ন্যায়সঙ্গত নির্বাচনই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত”—তারেক রহমান
- দুই বছর রক্তপাতের পর শান্তির চেষ্টা: কায়রোতে নতুন আলোচনায় হামাস ও ইসরায়েল
- সিঙ্গাপুরে প্রধান উপদেষ্টার দূতের ব্যস্ত সফর: বিনিয়োগ ও সহযোগিতায় নতুন গতি
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- আগামীকাল মঙ্গলবার দৈনিক নামাজের ওয়াক্ত ও সূর্যোদয়ের সময়
- ভারতীয় ভিসা নিয়ে সুখবর, বিক্রম মিশ্রির কণ্ঠে স্বস্তির বার্তা
- কোরআনের বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণী: আধুনিক যানবাহন ও প্রযুক্তির কথা
- মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল, এক নজরে দেখে নিন সূচি
- স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল মূল্য
- পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের নতুন পথ
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি
- দেশের মূল্যস্ফীতি এখনও লক্ষ্যমাত্রার ওপরে, সেপ্টেম্বরের চিত্র প্রকাশ করল বিবিএস
- বাবিলের অভিশাপ থেকে মায়ং-এর তন্ত্র: কালো জাদুর আদি ইতিহাস
- শেখ হাসিনার আতঙ্ক কমার বদলে উল্টো বেড়েই চলেছে: গোলাম মাওলা রনি
- মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৭০ তলা! চীনের হুইজিয়াং ব্রিজে প্রযুক্তি ও রোমাঞ্চের অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন
- ৫০ বছরের সম্পর্ক: সৌদি আরবে সাধারণ কর্মী নিয়োগে ঐতিহাসিক চুক্তি সই
- বিসিবি নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণা, পরিচালক পদে জয়ী যারা
- মেয়ে ও স্ত্রী রাজনীতিতে আসা নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান?
- ঘুম থেকে উঠেই শরীর ব্যথা? হতে পারে ৫টি গুরুতর কারণ
- মানুষ হলে কোন ধর্ম বেছে নিত চ্যাটজিপিটি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্তরে বিশ্বে তোলপাড়!
- ঘুম না হলে ওষুধ নয়, মিলতে পারে সহজ ব্যায়ামে সমাধান
- এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি: ‘শাপলা প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে বিকল্প নেই’
- ভোট দিয়েছেন তামিম? ফল ঘোষণার আগে নিজের অবস্থান জানালেন
- এ সপ্তাহেই অনেক ঘটনা ঘটবে: গুম মামলা নিয়ে চিফ প্রসিকিউটরের ইঙ্গিত
- চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
- আদালতে দণ্ড থেকে রাষ্ট্রপ্রধান: তিন রাষ্ট্রের সাক্ষী ড. ইউনূসের অবিশ্বাস্য জীবনগাঁথা
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- “বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- যে সাগরে কেউ ডুবে না, কেন সেখানে লুকিয়ে আছে এক অভিশপ্ত ইতিহাস?
- রহস্যময় পাণ্ডুলিপি কোডেক্স জাইগাস: কেন এটি ‘শয়তানের বাইবেল’ নামে পরিচিত?
- ডিএসইতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরার ইঙ্গিত দিল মঙ্গলবারের লেনদেন