আবার ধর্ষণ! উত্তাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২০ ১৯:২৫:৫৪
আবার ধর্ষণ! উত্তাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়

**শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)**তে সহপাঠী দ্বারা সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী—শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থ—এর সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড ও অবিলম্বে ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২০ জুন) বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় গোলচত্বর থেকে শুরু হয় প্রতিবাদী মিছিল। শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ষকের কোনো জায়গা নেই’, ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘শান্ত-স্বাগত বহিষ্কার চাই’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর করে তোলেন পুরো ক্যাম্পাস। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে পুনরায় গোলচত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র ধর্ষণের ঘটনার বিচার নয়, এই ধরনের নিকৃষ্টতম অপরাধ রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান না হলে আন্দোলন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসাইন বলেন,

“এরা মানুষ নয়, পশুর থেকেও অধম। একজন সহপাঠী, যাকে বিশ্বাস করত, সেই বিশ্বাস ভেঙে এমন জঘন্য অপরাধ করেছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর দাবি—এই দুই ধর্ষকের ছাত্রত্ব বাতিল করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।”

আরেক শিক্ষার্থী, রাফিয়া তাসকিন নূর দোলা, বলেন,

“বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় যেখানে একজন শিক্ষার্থী নিরাপদ না, সেটি গোটা সমাজের জন্যই হুমকির ইঙ্গিত। এমন ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই এই ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি—মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।”

শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভে অংশ নেয় বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

—আশিক নিউজ ডেস্ক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত