ইলিশের বাজারে উত্তাপ, চাঁদপুরে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মানবে না ব্যবসায়ীরা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৯ ১২:৪৯:৪৩
ইলিশের বাজারে উত্তাপ, চাঁদপুরে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মানবে না ব্যবসায়ীরা

ইলিশের বাজারে উত্তাপ, চাঁদপুরে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মানবে না ব্যবসায়ীরাসরকার নির্ধারিত দামে ইলিশ বিক্রির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে চাঁদপুরের ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, বাজারে সরবরাহ কম, খরচ বেশি—এই বাস্তবতায় ইলিশের দাম নির্ধারণ অযৌক্তিক এবং তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।বিষয়টি নিয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ইতিমধ্যেই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে (১৭ জুন)।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ইলিশের সরবরাহ ছিল খুবই সীমিত। মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, নির্ধারিত দাম কার্যকর হলে সরবরাহ আরও কমে যাবে এবং মাছ ব্যবসা হুমকির মুখে পড়বে।

ব্যবসায়ীরা কী বলছেন?চাঁদপুর ইলিশ ঘাটের শান্তি ফিস আড়তের মালিক সম্রাট বেপারী বলেন,

“আমরা শুনেছি প্রশাসন ইলিশের দাম নির্ধারণ করতে চায়। কিন্তু এটা আমাদের কাছে অযৌক্তিক মনে হচ্ছে। সরবরাহ ও খরচ বিবেচনায় দাম নির্ধারিত হয়। যদি সরকার দাম বেঁধে দেয়, তাহলে আড়তে মাছ আসা বন্ধ হয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন,

“মাছের সরবরাহ বাড়াতে হলে কারেন্ট জাল বন্ধ করতে হবে। জাল থাকলেও চার আঙুল ফাঁক করে দিতে হবে, যাতে বড় মাছ ধরা পড়ে এবং ছোট মাছ রক্ষা পায়।”

আড়ত ব্যবসায়ী মনছুর আহমেদ মাহিন বলেন,

“বাজারে বড় ইলিশ রয়েছে, ছোট আকারের কম। দাম কিছুটা কমেছে—এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৩০০ থেকে ২৫০০ টাকা, দেড় কেজির ২৭০০ থেকে ৩০০০ টাকা এবং ৫০০–৬০০ গ্রামের ইলিশ ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।”

তিনি অভিযোগ করেন,

“জেলেরা এমনিতেই লোকসানে আছে, এখন যদি দাম বেঁধে দেওয়া হয়, তাহলে অনেকে মাছ ধরা বন্ধ করে দেবে।”

ভোক্তা ও সমিতির প্রতিক্রিয়াইলিশ কিনতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা হাসান আহমেদ মানিক বলেন,

“বছরের পর বছর ইলিশের দাম শুধু বাড়ছে। জেলে কিংবা ব্যবসায়ীদের বড় কোনো ইনভেস্ট তো লাগে না, তাহলে দাম বাড়বে কেন? যদি মাছ কম থাকে, আমরা কম খাবো—কিন্তু বাড়তি দাম দিয়ে কেন একপক্ষ লাভবান হবে?”

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার বলেন,

“কাঁচামালের দাম নির্ধারণ করে বিক্রি হয় না। সরবরাহের ওপরই বাজার নির্ভর করে। প্রশাসন যদি হঠাৎ করে দাম বেঁধে দেয়, ব্যবসায়ীরা সেটা মানবে না।”

তিনি জানান,

“আগে ঘাটে প্রতিদিন ৫০০–১০০০ মণ ইলিশ আসতো, এখন তা কমে এক–দেড়শো মণে দাঁড়িয়েছে।”

—আশিক নিউজ ডেস্ক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত