কেরানীগঞ্জে আইএফআইসি ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে লুট!

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৫ ১৯:৩৫:১০
কেরানীগঞ্জে আইএফআইসি ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে লুট!

কেরানীগঞ্জে অবস্থিত আইএফআইসি ব্যাংকের একটি শাখার ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ টাকারও বেশি অর্থ চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি আল আমিন হাওলাদার ও ইমরান শেখকে এক দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (১৫ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট একেএম মহিউদ্দিন এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়া আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানির জন্য ১৫ জুন দিন ধার্য থাকায় আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করে বলেন, “এই মামলার তিন আসামির কাছ থেকেই মোট ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত চুরি হওয়া টাকার সিংহভাগই ফেরত এসেছে। এমতাবস্থায় নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার যৌক্তিকতা নেই।” তবে আদালত দুই আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৯ জুন রাতে রোহিতপুর বোর্ডিং মোড় এলাকার ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত আইএফআইসি ব্যাংকের ওই শাখায় চুরির ঘটনা ঘটে। ঈদের ছুটির সুযোগে পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের পেছনের দেয়ালের অ্যাডজাস্ট ফ্যান ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। প্রবেশের পর তারা প্রথমে সিসিটিভির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর ভল্ট ভেঙে মোট ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

ঘটনার পরপরই কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ এবং ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ব্যাংকের নৈশপ্রহরী মো. সিয়ামসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে উঠে আসে, এই চুরির মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন নৈশপ্রহরী সিয়াম নিজেই। প্রথমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও জিজ্ঞাসাবাদে শেষ পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন তিনি।

পুলিশের অভিযানে সিয়ামের বাসা থেকে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আল আমিনের বাসা থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ইমরানের বাসা থেকে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চুরির কাজে ব্যবহৃত গ্রাইন্ডিং মেশিন, লোহার শাবল, চাকু এবং সিসিটিভির হার্ডডিস্কসহ DVR ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু জানান, “এই চুরি ছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। দীর্ঘদিন ধরে সুযোগ খুঁজছিল আসামিরা। সিয়ামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভিতরের সকল ব্যবস্থা সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে এই অপকর্মটি সংঘটিত করে।”

এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত