কেরানীগঞ্জে আইএফআইসি ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে লুট!

কেরানীগঞ্জে অবস্থিত আইএফআইসি ব্যাংকের একটি শাখার ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ টাকারও বেশি অর্থ চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি আল আমিন হাওলাদার ও ইমরান শেখকে এক দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (১৫ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট একেএম মহিউদ্দিন এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়া আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানির জন্য ১৫ জুন দিন ধার্য থাকায় আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করে বলেন, “এই মামলার তিন আসামির কাছ থেকেই মোট ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত চুরি হওয়া টাকার সিংহভাগই ফেরত এসেছে। এমতাবস্থায় নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার যৌক্তিকতা নেই।” তবে আদালত দুই আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৯ জুন রাতে রোহিতপুর বোর্ডিং মোড় এলাকার ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত আইএফআইসি ব্যাংকের ওই শাখায় চুরির ঘটনা ঘটে। ঈদের ছুটির সুযোগে পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের পেছনের দেয়ালের অ্যাডজাস্ট ফ্যান ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। প্রবেশের পর তারা প্রথমে সিসিটিভির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর ভল্ট ভেঙে মোট ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ এবং ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ব্যাংকের নৈশপ্রহরী মো. সিয়ামসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে উঠে আসে, এই চুরির মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন নৈশপ্রহরী সিয়াম নিজেই। প্রথমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও জিজ্ঞাসাবাদে শেষ পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন তিনি।
পুলিশের অভিযানে সিয়ামের বাসা থেকে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আল আমিনের বাসা থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ইমরানের বাসা থেকে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চুরির কাজে ব্যবহৃত গ্রাইন্ডিং মেশিন, লোহার শাবল, চাকু এবং সিসিটিভির হার্ডডিস্কসহ DVR ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু জানান, “এই চুরি ছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। দীর্ঘদিন ধরে সুযোগ খুঁজছিল আসামিরা। সিয়ামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভিতরের সকল ব্যবস্থা সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে এই অপকর্মটি সংঘটিত করে।”
এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা উচিত: নাহিদ ইসলাম
সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন। খবর বাসসের।
‘রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের সংঘটিত অপরাধ’
নাহিদ ইসলাম বলেন, “দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত, সেই সুযোগও আছে। আমরাও ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাব।” তিনি দাবি করেন, ট্রাইব্যুনালের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ এসেছে। তার মতে, শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদেরকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জনগণ প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছে। ফলে এটা আওয়ামী লীগের সংঘটিত রাজনৈতিক অপরাধ। তাই দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার পর আজ নাহিদ ইসলামের জেরা শেষ হয়।
এই মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ।
অন্যান্য মামলা
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীতে তিনি এই মামলার ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্যটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।
অবশেষে কাটল জট: রিজার্ভ চুরির সেই ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিরছে দেশে!
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকে রাখা ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেয়াপ্ত করেছে ফিলিপাইন সরকার। আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাজেয়াপ্ত অর্থ দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
কীভাবে অর্থ পাচার হয়েছিল?
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন খান জানান, ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। সুইফট কোডের মাধ্যমে এই অর্থ ফিলিপাইনের মাকাতি সিটির রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার করা হয়েছিল।
২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির তদন্তাধীন।
আইনি লড়াইয়ে সাফল্য
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘ আইনি লড়াই ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ফলেই এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী দায়ের করা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে ফিলিপাইনের আদালত এবং বাংলাদেশি আদালতের সহযোগিতায় এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ চুরির মামলায় অর্থ উদ্ধারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জিত হলো।
সিআইডির একটি সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ফিলিপাইনে থাকা এই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে জমা দেওয়া হবে।
এই বিষয়ে আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ বিস্তারিত জানাবেন।
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ, উৎপত্তিস্থল সিলেটে
আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ১৯ মিনিটে সিলেট নগরীসহ আশপাশের এলাকায় ৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে ভবন দুলে উঠলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে তড়িঘড়ি করে ঘরবাড়ি ও অফিস থেকে বের হয়ে আসেন।
উৎপত্তিস্থল ও মাত্রা
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা। ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক শূন্য ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল রাজধানী ঢাকা থেকে ১৮৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর বলেন, “আজ ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে বলে আমাদের কাছে রেকর্ড আছে। এটি স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প। কিন্তু আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিলেটের ছাতক।”
ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কম
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের মতে, রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার ভূমিকম্পকে তুলনামূলকভাবে হালকা ধরনের বলা হয়। এতে সাধারণত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি থাকে না, তবে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বা দুর্বল কাঠামোয় সামান্য ক্ষতি হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ১০ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিরল প্রজাতির একটি ১০ ফুট লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার করেছে ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামের একটি বসতবাড়ির পাশ থেকে অজগরটি উদ্ধার করা হয়।
জালে আটকে ছিল অজগরটি
ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিমের সদস্য মো. আমির হোসাইন শাওন এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “বসতবাড়ির পাশের একটি জালে সাপটি আটকা পড়েছিল। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা জাল কেটে অজগরটিকে উদ্ধার করি।” তিনি জানান, এটি বার্মিজ প্রজাতির একটি অজগর, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট এবং ওজন আনুমানিক ৮-৯ কেজি।
সুস্থ করে জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে
শাওন আরও বলেন, “দীর্ঘ সময় জালে আটকে থাকার কারণে সাপটি কিছুটা আঘাত পেয়েছে। এটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার পর জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে।”
আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসতে কোনো আপত্তি নেই: হুম্মাম কাদের
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, যারা আগে আওয়ামী লীগ করতেন এবং এখন বিএনপিতে যোগ দিতে চান, তাদের আসা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই, তবে দলে যোগ দেওয়ার আগে বিএনপি নেতাদের ওপর করা অত্যাচারের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এই কথা বলেন।
‘হাইব্রিড’ নিয়ে হাসি-ঠাট্টা নয়
হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হলে বিএনপিকে মন বড় করে ক্ষমা করতে পারার প্রমাণ দিতে হবে। যারা আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসার চেষ্টা করছে, তাদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা না করে তাদের স্বাগত জানানো উচিত। তিনি বলেন, “আমাদের মুসলমান হিসেবে দায়িত্ব মাফ করা।”
তিনি অভিযোগ করেন, ১৬ বছর ধরে অনেককে আওয়ামী লীগকে চাঁদা দিয়ে জীবিত থাকতে হয়েছে। দেশের দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা আসার পরও বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এখন অনেকে চাঁদা আদায় করছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তারেক রহমানের ঘোষণা অনুযায়ী, দলের নাম ভাঙিয়ে যারা এই ধরনের কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি দুবার ভাববেন না।
‘দলে গ্রুপিং চলবে না’
হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার জন্য বিএনপিকে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কিছু লোক এখনও বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী দলে গ্রুপিং তৈরি করছে। তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, “আপনারা যদি বেগম জিয়া, তারেক রহমানকে ভালোবেসে থাকেন এবং জিয়া পরিবারকে বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে জিয়া পরিবারের দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।”
ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ ও ওয়াদা
নিজের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হুম্মাম কাদের চৌধুরী জানান, যখন তাকে এই দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়, তখন তিনি ‘আয়নাঘরে’ ছিলেন। এই সম্মান তাকে তারেক রহমান দিয়েছেন এবং তিনি সম্মানের সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছেন। তিনি তার বাবার প্রসঙ্গে বলেন, তার বাবা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলে গিয়েছেন, তার জন্ম রাউজানে হলেও রাঙ্গুনিয়ায় যেন তাকে মাটি দেওয়া হয়। তিনি জানান, রাঙ্গুনিয়ার মানুষ তাকে নিজেদের সন্তান মনে করতেন।
তিনি ওয়াদা করে বলেন, জিয়া পরিবার রাঙ্গুনিয়ার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দেবে, তা তিনি মেনে নেবেন এবং যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে কাজ করবেন। তিনি আশা করেন, বাকি যারা মনোনয়ন চাচ্ছেন, তারাও একই ধরনের ওয়াদা করবেন। কারণ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্যকে সংসদে পাঠাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
জনসভায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শওকত আলী নূরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতে গ্রেফতার হলেন ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের হোসেন
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেনকে ভারতের গেদে ইমিগ্রেশন পুলিশ জালিয়াতির অভিযোগে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে আটক করার পর বাংলাদেশের দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
যেভাবে ধরা পড়লেন জুবায়ের
দর্শনা ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই তুহিন হোসেন জানান, গত বছরের ২৪ নভেম্বর বৈধভাবে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন জুবায়ের। তবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে না গিয়েও জালিয়াতি করে ভুয়া এন্ট্রি সিল দেখিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করলে তিনি ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হন। এরপর তাকে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মামলা ও জেলহাজতে প্রেরণ
জালিয়াতির অভিযোগে দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ তুহিন হোসেন বাদী হয়ে জুবায়েরের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদ তিতুমীর জানান, শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জুবায়ের হোসেন বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
কৃষি খাতে নীরব দুর্ভিক্ষ: সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে পচছে শত শত টন ফসল
সংরক্ষণ ও পরিকল্পনার অভাবে উত্তরাঞ্চলের মাঠে পচে যাচ্ছে হাজার হাজার টন ফসল। বছরে আলু, আম ও সবজি মিলিয়ে প্রায় সাত থেকে আট লাখ টন ফসল নষ্ট হচ্ছে, যার আর্থিক মূল্য আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি। এতে কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়লেও লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, উপজেলা পর্যায়ে হিমাগার ও আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা না হলে এই লোকসান দিন দিন বাড়বে এবং দেশের জাতীয় অর্থনীতিও বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।
লোকসানের ভয়াবহ চিত্র
কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলে প্রতিবছর প্রায় ২২ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে মৌসুমে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টন আলু পচে যায়। প্রতি কেজি ১৫ টাকা ধরলেও এর ক্ষতির পরিমাণ ৭০০ থেকে ৭৫০ কোটি টাকা। একইভাবে, নওগাঁয় উৎপাদিত ৪.৫ লাখ টন আমের মধ্যে প্রায় ১.৫ লাখ টনই নষ্ট হয়। প্রতি কেজি ৪০ টাকা করে ধরলেও ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০০ কোটি টাকা। রংপুরের বিখ্যাত হাঁড়িভাঙা আমেরও ১০-১৫ শতাংশ নষ্ট হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা। জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই অঞ্চলে উৎপাদিত সবজির ২৫ শতাংশই পচে যায় বা কম দামে বিক্রি হয়। এতে ২৫০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
কৃষকের দুর্ভোগ ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ফায়দা
বগুড়ার কৃষক সেলিম মিয়া জানান, হিমাগারের ভাড়া বেশি এবং জায়গা পাওয়া কঠিন। বাধ্য হয়ে ৩০ টাকা খরচ করে উৎপাদিত আলু তিনি পাইকারদের কাছে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছেন। সেলিম মিয়ার মতো হাজারো কৃষকের এটি প্রতিদিনের চিত্র। মৌসুম শেষে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ফসল বাজারে আসায় দাম অর্ধেকে নেমে যায়।
কৃষকদের অভিযোগ, আড়তদার ও বড় ব্যবসায়ীরা হিমাগারে জায়গা আগাম বুকিং দিয়ে রাখেন। ফলে কৃষকরা জায়গা পান না। যারা পান, তাদের গুনতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া ও পরিবহন খরচ। পরে এই আড়তদাররাই ধীরে ধীরে বাজারে পণ্য ছাড়েন, দাম নিয়ন্ত্রণ করে কয়েক গুণ বেশি লাভ তুলে নেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানও এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “আমরা যারা বড় আড়ত চালাই, তারাই মূলত দাম ঠিক করি।”
বিশেষজ্ঞ ও সরকারের পরিকল্পনা
কৃষি গবেষক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান খান বলেন, আলু, পেঁয়াজ, আম—এগুলো দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সংরক্ষণ ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে কৃষক লোকসান গুনছেন আর আড়তদাররা দাম নিয়ন্ত্রণ করে ফায়দা তুলছেন। তাই উপজেলা পর্যায়ে ছোট-মাঝারি হিমাগার ও প্রি-কুলিং সুবিধা প্রয়োজন।
কৃষি গবেষণা জার্নালের গবেষক হোসেন মো. আলমগীর বলেন, প্রি-কুলিং, গ্রেডিং ও প্যাকহাউস সুবিধা না থাকায় উত্তরবঙ্গের বড় অংশের ফসল মাটিতে মিশে যাচ্ছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই সমস্যা সমাধানে সরকার নতুন হিমাগার স্থাপনের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ২১০ কোটি টাকার বিশেষ বাজেট বরাদ্দ করেছে। এই প্রকল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ ও স্থানীয় কৃষক সংগঠনগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে পোস্ট-হার্ভেস্ট ক্ষতি ২০-২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০-১২ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে ওলামা-মাশায়েখদের বিক্ষোভ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং ইসলামী শিক্ষা প্রসারের জন্য ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নেতারা। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি মিছিল বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবার বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে শেষ হয়।
‘গানের মাধ্যমে নৈতিকতা আসে না’
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব কমিয়ে গানের মতো বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেন, এটি মুসলিম সমাজের আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থী। বক্তাদের ভাষ্য, “গানের মাধ্যমে নৈতিকতা আসে না, বরং তা চরিত্রে অবক্ষয় ডেকে আনে। ইসলামি আদর্শে নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে যোগ্য আলেমদের দ্বারা ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।”
নেতারা আরও অভিযোগ করেন, বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনে ইসলামি মূল্যবোধ সংকুচিত হচ্ছে এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামকে প্রাধান্য না দিয়ে অপসংস্কৃতির প্রসারের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, “এই দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান, অথচ তাদের জন্য ফরজ দ্বীনি শিক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। এটা সরকারের ব্যর্থতা।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না হলে সারা দেশের আলেম-ওলামাদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।”
বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল, শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলামিক শিক্ষকের আবশ্যিক নিয়োগের দাবি জানান। এই কর্মসূচিতে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার, প্রচার সম্পাদক হামিম আব্দুল আজিজসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিঃস্ব ১৩ পরিবার
চট্টগ্রামের রাউজানে একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি বসতঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের বণিকপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় এক কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
যেভাবে ঘটলো অগ্নিকাণ্ড
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় শিক্ষক সিদুল কান্তি ধর জানান, সন্ধ্যায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে রাউজান ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও তার আগেই ১৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ভস্মীভূত সবকিছু
আগুনে যেসব পরিবারের ঘর পুড়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন—হারাধন ধর, প্রদীপ ধর, বিশু ধর, কৃষ্ণ পদ ধর, লিটন ধর, টিটন ধর, অখিল ধর, কার্তিক ধর, কাঞ্চন ধর, মিলন ধর, পরিমল ধর, বাবুল ধর এবং শ্যামল ধর।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আকস্মিক এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে তারা ঘরের কোনো মালামালই বের করতে পারেননি। নগদ অর্থ, আসবাবপত্র, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ সবকিছু আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রাণ ও সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী অসহায় হয়ে পড়া এই পরিবারগুলোকে দ্রুত পুনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তার জন্য প্রশাসন এবং সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। রাউজান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড ডিফেন্স সার্ভিসের ইনচার্জ সামশুল আলম অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পাঠকের মতামত:
- ত্বকের যত্নে নারকেল তেল ও কফি স্ক্রাব: দূর হবে কালো দাগ
- ‘৭টি যুদ্ধ থামিয়েছি, ৭টি নোবেল চাই’: ট্রাম্পের নতুন দাবি
- ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য কি তুরস্ক? মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে উত্তেজনা
- ভারতের আসল শত্রু বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা: নরেন্দ্র মোদি
- আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা উচিত: নাহিদ ইসলাম
- ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি : রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী
- দিল্লি হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জ্যাকুলিন ফের্নান্দেজের আপিল
- ২১ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ভারতীয় সিনেমায় পরিবার নয়, প্রতিভা: নতুন মুখ যারা ছাড়বে নিজের ছাপ
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সরকার টিকা ক্রয়ের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে
- ‘প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই’—সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার
- টেকসই উন্নয়নে নতুন জাতীয় বিদ্যুৎনীতির ওপর জোর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা: মাশরাফি ও হাবিবুল বাশার সুমনের বিশ্লেষণ
- উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন নুরুল হক নুর
- অবশেষে কাটল জট: রিজার্ভ চুরির সেই ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিরছে দেশে!
- পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব কী বললেন?
- ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ, উৎপত্তিস্থল সিলেটে
- বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না দাঁড়ালে অন্য শক্তি জায়গা নেবে : ফজলুর রহমান
- আবারও কর্মচারীদের বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয়
- ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছি: প্রভা
- লাতিন আমেরিকায় নতুন বিক্ষোভ, এবার পেরুতে ফুঁসে উঠেছে জেন-জি
- সন্ধ্যা পর্যন্ত সাত অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস
- সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সালাউদ্দিন আহমেদের ইন্তেকাল
- ট্রাম্প প্রশাসনের বড় সিদ্ধান্ত: এককালীন ফি নিয়ে আতঙ্কে বিদেশি কর্মীরা
- মিলিতাওয়ের দূরপাল্লার গোল, এমবাপ্পের নিখুঁত ফিনিশে রিয়ালের দাপট
- মৃত্যু কেন মুমিনের কাছে প্রিয়? হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা
- ইতিহাসের নতুন মোড়ে ব্রিটেন: আজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি
- নীরব ঘাতক: যে ৫টি খাবার কিডনির ক্ষতি করছে
- জানেন কি? আজ স্ত্রী প্রশংসা দিবস, কেন এই দিনটি পালন করা হয়?
- সৌদি আরবে অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ
- মহালয়া: দেবীপক্ষের শুরু, পূজার আনন্দ শুরু হলো আজ থেকে
- এশিয়া কাপ: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান মহারণ আজ
- ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এরদোগান: টানাপোড়েনপূর্ণ সম্পর্কের পর কেন এই বৈঠক?
- আফগানিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা’: ট্রাম্পের হুমকিতে নতুন করে উত্তেজনা
- নির্বাচনের আগে জোটের নতুন সমীকরণ: কোন পথে হাঁটছে বিএনপি-জামায়াত?
- জাতিসংঘ সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, সফরসঙ্গী চার রাজনীতিবিদ
- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর এখন ফাইনালের স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ
- শানাকার তাণ্ডবে ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ল শ্রীলঙ্কা
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে মাত্র ৫টি সহজ উপায়ে
- হিজাব-নিকাব নিয়ে হেনস্তা বন্ধে পাবিপ্রবি প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ
- সুপার ফোরে বাংলাদেশের দারুণ শুরু, তাসকিন-মেহেদীর আঘাতে চাপে শ্রীলঙ্কা
- ভারত আক্রমণ করলে সৌদি আরব পাশে থাকবে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
- শেখ হাসিনার দুঃশাসনের ইতিহাস নিয়ে ঢাকায় হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’
- চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা: কী প্রভাব পড়বে রপ্তানিকারকদের ওপর?
- এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তির সময়সীমা বেঁধে দিল ইসি
- মণিপুরে জাতিগত সংঘাতের পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর প্রথম হামলা
- ২৪ সিনেমাকে পেছনে ফেলে অস্কারের দৌড়ে ভারতের ‘হোমবাউন্ড’
- ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আবারও সংবাদ সম্মেলন বাতিল করল পাকিস্তান
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- ১৭ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভারতীয় প্রৌঢ় খুন: অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
- ১৫ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার