পাঁচ ঠিকানায় নোটিশ, টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদের পথে দুদক

২০২৫ জুন ১৫ ১৮:৩১:২৫
পাঁচ ঠিকানায় নোটিশ, টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদের পথে দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে অবৈধভাবে ফ্ল্যাট গ্রহণের মামলায় পুনরায় তলব করেছে। এইবার ঢাকা শহরের পাঁচটি বিভিন্ন ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যেখানে তাঁকে মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। মামলাটি গুলশান-২, ১১ নম্বর রোডের ইস্টার্ন হাউজিং প্রকল্প থেকে ফ্ল্যাট গ্রহণের অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

গত মে মাসে দুদক প্রথমবার টিউলিপ সিদ্দিককে তলব করেছিল, কিন্তু পরে জানা গেছে তিনি চিঠিগুলো পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক ব্যবস্থা গ্রহণ করে পূর্বের ঠিকানাসহ আরও দুটি নতুন ঠিকানায় নোটিশ পাঠিয়েছে, যার ফলে মোট পাঁচটি ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে যাতে তিনি নিশ্চিতভাবে নোটিশ পেয়ে সাড়া দিতে পারেন।

রোববার দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, আগামী ২২ জুন ওই পাঁচটি ঠিকানায় তলব চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিগুলো সংশ্লিষ্ট থানাগুলো, রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এবং দুদকের কর্মকর্তারা সরাসরি ওই ঠিকানাগুলোতে গিয়ে প্রকাশ্য স্থানে রেখে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হচ্ছে যে টিউলিপ সিদ্দিক নোটিশ পেয়েছেন এবং তদন্তের জন্য উপস্থিত হতে পারেন।

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তিনি রাজধানীর গুলশান এলাকার ওই ফ্ল্যাটটি অবৈধভাবে গ্রহণ করেছেন, যা আইনের পরিপন্থী এবং দুর্নীতির আওতায় পড়ে। দুদক এই মামলায় অবৈধ সম্পদের উৎস অনুসন্ধান ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে তদন্ত চালাচ্ছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, টিউলিপ সিদ্দিকের আইনগত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দ্রুত তার থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও ব্যাখ্যা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। অভিযোগের পরিধি অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে দুদক সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে দুদক স্পষ্ট করেছে যে, কেউই আইনের বাইরে নয় এবং দেশের সর্বোচ্চ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা হিসেবে তারা সকল অভিযোগ অনুসন্ধান করবে ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। একই সঙ্গে তারা সামাজিক ও আন্তর্জাতিক চাপের বিষয়ে দৃষ্টি রেখে আইনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই মামলার জন্য টিউলিপ সিদ্দিকের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দুদক আশা করছে, তিনি নোটিশ পেয়ে সময়মতো উপস্থিত হয়ে তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবেন। তদন্ত শেষে মামলার সামগ্রিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং তার ভিত্তিতে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

-শরিফুল, নিজস্বপ্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত