ঈদ শেষে সেতুতে যানজট, ঢাকার পথে দুর্ভোগ!

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৪ ১০:৫৩:৪২
ঈদ শেষে সেতুতে যানজট, ঢাকার পথে দুর্ভোগ!

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার (১৫ জুন) থেকে পুরোদমে সচল হতে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা। খুলে যাচ্ছে অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজসহ সব বাণিজ্যিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে শনিবার থেকেই রাজধানীমুখী যাত্রীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরা যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে যমুনা সেতু এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট, যার ফলে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩–৪ ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে বাসগুলোকে ঢাকা পৌঁছাতে।

সিরাজগঞ্জ থেকে যমুনা সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত মাত্র ৩–৪ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতেই লাগছে অতিরিক্ত ৪–৫ ঘণ্টা, যার ফলে বাসগুলো ঘুরছে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে।

রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একের পর এক বাস এসে পৌঁছাচ্ছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে। তবে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩–৪ ঘণ্টা পরে পৌঁছাচ্ছে অধিকাংশ বাস। যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে নেমে লোকাল বাস, সিএনজি কিংবা রিকশা ধরে ছুটছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।

হানিফ পরিবহনের কাউন্টারকর্মী মোস্তফা ঢাকা পোস্টকে জানান, “এখন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ থেকে মাত্র একটি বাস সময়মতো এসেছে, বাকি সবগুলোই ৩–৪ ঘণ্টা দেরিতে ঢাকায় পৌঁছাচ্ছে। এখনো ৮ ও ৯ নম্বর বাস এসে পৌঁছেনি।”

পাবনা থেকে ছেড়ে আসা সি-লাইন পরিবহনের একজন চালক মোহাম্মদ আকবর হোসেন জানান, গতকাল রাত ১১টায় ছেড়ে যাওয়া বাস ভোর ৫টার মধ্যে পৌঁছানোর কথা থাকলেও আজ পৌঁছেছে সকাল ৯টায়। তিনি বলেন, “সড়কে তেমন কোনো দুর্ঘটনা নেই, তবু কড্ডার মোড় থেকে যমুনা সেতুর টোল পর্যন্ত যানজট অস্বাভাবিক। গাড়ি একদম নড়ছিল না।”

রাজশাহী থেকে আসা যাত্রী আউয়াল কবির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ঈদের আগে ভোগান্তি হয়েছে, এবার আবার ফেরার পথে! হুদাই ৩ ঘণ্টা দেরি। অব্যবস্থাপনাই একমাত্র কারণ।”

দিনাজপুর থেকে শ্যামলী পরিবহনের বাসে ঢাকায় আসা মাদ্রাসাশিক্ষার্থী হোসেন আলী বলেন, “রাত সাড়ে ৯টার বাসে উঠেছিলাম, ভেবেছিলাম ভোর ৬টার মধ্যে পৌঁছে যাব, কিন্তু পৌঁছলাম সকাল ১০টায়। সেতুর মুখে ভয়ানক জট ছিল, গাড়ি যেন চলছিলই না।”

পথে পথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকা যাত্রীদের অভিন্ন অভিযোগ সুষ্ঠু সমন্বয়ের অভাব এবং যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতির ঘাটতি। ঈদের মতো জাতীয় ছুটির সময়গুলোতে প্রত্যাশা থাকে প্রশাসনের বাড়তি উদ্যোগ ও সচেতনতামূলক ব্যবস্থার।কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, ফেরা বা ফেরার পথে অতিরিক্ত সময় ও দুর্ভোগ এখন যেন অবধারিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যমুনা সেতুর টোলপ্লাজা ও সংযোগ সড়কে যুগোপযোগী ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনা না থাকায় যানজট রোধ করা যাচ্ছে না। ভ্রাম্যমাণ টোল আদায়, বিকল্প রুট ব্যবস্থাপনা এবং রিয়েল-টাইম ট্রাফিক আপডেট চালু করলে অনেকটাই সহজ করা যেত এ পরিস্থিতি।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত