তাসনিম জারার পোস্টে নতুন বাংলাদেশ ২.০-র প্রত্যাশার প্রতিধ্বনি

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গোটা বাংলাদেশ যেন এক নতুন স্বপ্নে বিভোর হয়েছিল। রাস্তাঘাটে, অলিগলিতে, শহর-বন্দরে দেয়ালজুড়ে ভেসে উঠেছিল এক নতুন সম্ভাবনার চিত্রকল্প। দেয়ালে রং তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠেছিল ‘নতুন বাংলাদেশ ২.০’-এর স্বপ্ন, সাহসিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছিল দেয়াল লিখনগুলো। অথচ, সেই কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের বাস্তব প্রতিফলন এখনো অনেকের জন্য অধরা।
এই প্রেক্ষাপটে শনিবার সকালে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে হতাশা আর আশার মিশেলে নাগরিক অনুভূতির একটি উজ্জ্বল প্রতিফলন তুলে ধরেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকার একটি দেয়াল লিখনের ছবি পোস্ট করে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন সেই প্রাথমিক আবেগ, সেই জনতার আকাঙ্ক্ষা যা একসময় ‘সংস্কারের স্বপ্ন’ হয়ে উঠেছিল।
তাসনিম জারা লেখেন, “গত কয়েক সপ্তাহে নানা সময়ে মনে হয়েছে, সংস্কার কার্যক্রম যেন থমকে যাচ্ছে। ৫ আগস্টের পর যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন জেগেছিল, তা আদৌ বাস্তবে রূপ নেবে কি না, এমন প্রশ্ন অনেকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।”
এই অনিশ্চয়তার মধ্যেও এক ভোরবেলার মুহূর্ত তাকে নাড়া দিয়েছে বলে জানান তিনি।
“আজ সকাল ছয়টায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় একটি দেয়ালে চোখ আটকে গেল। দেয়ালে লেখা ছিল ‘স্বাধীনতা এনেছি, সংস্কারও আনবো।’”
এই লাইন তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেই দিনগুলিতে, যখন আন্দোলনের দাবিতে প্রজন্ম রাস্তায় নেমেছিল, যখন পোস্টারে, প্ল্যাকার্ডে, দেয়ালে, কণ্ঠস্বরে একটিই উচ্চারণ ছিল “নতুন কিছু চাই”।
পোস্টের শেষাংশে আশার এক নতুন রেখাও টানেন ডা. জারা।
“আশা অপেক্ষার বিষয় নয়, এটি টিকে থাকে মানুষের স্মৃতিতে, রাস্তায়, সংগ্রামে। বাংলাদেশ ২.০ এখনো সম্ভব, যদি আমরা জুলাই-এর সেই সময়কে ভুলে না যাই।”
তাসনিম জারার এই বার্তা একদিকে যেমন একটি প্রজন্মের চেতনার প্রতিচ্ছবি, তেমনি এটি একটি নাগরিক সতর্কীকরণ স্বপ্নকে যদি স্মৃতির দেয়ালে আটকে না রেখে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া না হয়, তবে ইতিহাস আরও একবার ম্রিয়মাণ হবে হতাশায়।
-অনন্যা, নিজস্ব প্রতিবেদক
"বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা হবে"
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সংবিধানে সর্বপ্রথম ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজন করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। তিনি আরও বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনায় মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাসও জিয়াউর রহমানই যুক্ত করেছিলেন।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বর্তমানে সংবিধানে মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস বহাল নেই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা হবে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা মুসলমান। আমরা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ—এ বিশ্বাস করি। নবীজি শেষ নবী, তাঁর পরে কোনো নবী আসবেন না। কেউ নিজেকে নবী দাবি করলে তিনি এ আকিদার বাইরে।”
মহাসম্মেলনের দায়িত্বশীল মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী জানান, কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা ও খতমে নবুওয়তের আকিদা রক্ষার দাবিতে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শীর্ষ আলেমরা অংশ নেন।
মতিঝিলে শরিফ ওসমান হাদির প্রচারে বাধা, গায়ে ময়লা পানি নিক্ষেপ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে মতিঝিলের এ জি বি কলোনিতে হেনস্থার শিকার হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, তিনি যখন ওই এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছিলেন, তখন তার গায়ে ময়লা পানি ছুড়ে মারা হয়। তবে এই ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। ওই ভিডিওতে শরিফ ওসমান হাদিকে কথা বলতে শোনা যায়। তিনি উল্লেখ করেন, তার গায়ে তিনবার ময়লা পানি ছোড়া হয়েছে।
ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, "ভাই ময়লা পানি যে মারছেন আরও মারতে পারেন, সমস্যা নেই মারেন...।"
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনটি শাহবাগ, মতিঝিল, রমনা, পল্টন ও শাহজাহানপুর এলাকা নিয়ে গঠিত। ইনকিলাব মঞ্চের এই মুখপাত্র ঢাকা-৮ আসনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন।
এ মাসেই আত্মপ্রকাশ ঘটছে বামপন্থিদের নতুন বৃহত্তর জোটের
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো 'যুক্তফ্রন্টে'র আদলে একটি নতুন জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, চলতি নভেম্বর মাসেই একটি 'কনভেনশনে'র মাধ্যমে দেশের প্রধান প্রধান বাম ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক জোট ও দলগুলোর সমন্বয়ে এই নতুন জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
জানা গেছে, এই বৃহত্তর বাম জোট 'জুলাই জাতীয় সনদে'র মতো একটি 'জনতার সনদ' বা জনগণের সনদ নিয়ে মাঠে নামবে। 'একসঙ্গে আন্দোলন ও নির্বাচন'—এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে তারা দেশের গণতন্ত্র এবং জনজীবনের নানা সংকট মোকাবেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
শুধু তাই নয়, আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে ৩০০ আসনেই ভোটের লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে এই জোট। জোটের সম্ভাব্য শরিক দলগুলো এরই মধ্যে নিজ নিজ দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটেই বামপন্থীরা এই নতুন জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে।
এই বৃহত্তর জোট গঠনের পেছনে মূল উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছে ছয়টি বাম দলের সমন্বয়ে গঠিত 'বাম গণতান্ত্রিক জোট' এবং শরীফ নূরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন 'বাংলাদেশ জাসদ'। বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক দলগুলো হলো— বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন এবং বাসদ (মার্কসবাদী)।
জোটের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, গত আট-নয় মাসের আলোচনার পর এই জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আরও কয়েকটি বাম ও প্রগতিশীল দল একমত হয়েছে। এর মধ্যে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম, ঐক্য ন্যাপ এবং জাতীয় গণফ্রন্ট রয়েছে।
এছাড়া, যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বামপন্থীদের আরেকটি জোট 'ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা'র শরিক দলগুলোর সাথেও আলোচনা চলছে। এই মোর্চার চারটি দল হলো— বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, বাসদ (মাহবুব) এবং গণমুক্তি ইউনিয়ন। শুধু রাজনৈতিক দলই নয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, দলিত ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একাধিক সংগঠন এবং গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনও নতুন এই জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে।
বামপন্থী নেতারা জানিয়েছেন, গত ১৫ নভেম্বর রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে একটি 'কনভেনশনে'র মাধ্যমে নতুন এই জোটের আত্মপ্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন একই স্থানের কাছাকাছি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অন্য একটি সংগঠনের মহাসমাবেশ থাকায় কনভেনশনটি স্থগিত করা হয়। তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, চলতি মাসের মধ্যেই সুবিধাজনক সময়ে কনভেনশন করে অথবা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।
এদিকে, নতুন এই জোটের নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কোনো কোনো দলের নেতা 'নয়া যুক্তফ্রন্ট' বা 'গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট' নাম রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে অনেকেই এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাদের মতে, ১৯৫৪ সালের 'যুক্তফ্রন্ট' যে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে গঠিত হয়েছিল, বর্তমান পরিস্থিতি তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ফলে, জোটের নাম কী হবে বা এটি কোন কাঠামোতে চলবে, তা সবার মতামত নিয়েই ঠিক করা উচিত। এ কারণে, কনভেনশনেই জোটের নাম এবং 'জনতার সনদ' চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই নতুন জোট শুধু আন্দোলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, তারা আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই একযোগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছে। তপশিল ঘোষণার আগেই সম্ভাব্য শরিক দলগুলো নিজ নিজ প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে। জোট গঠনের পর সব দলের প্রার্থীদের তালিকা এক করে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার ভিত্তিতে জোটগত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। জানা গেছে, শুধু দলীয় নেতাই নন, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও সমমনা বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং শ্রেণি-পেশার পরিচিত মুখগুলোকেও প্রার্থী করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া এ বিষয়ে বলেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর 'নব্য ফ্যাসিবাদের' পুনরুত্থান ঠেকাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বাম, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক শক্তির বৃহত্তর ঐক্য জরুরি হয়ে পড়েছে। এই বিবেচনা থেকেই তারা বৃহত্তর ঐক্যের বিষয়ে একমত হয়েছেন।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, তারা শাসক শ্রেণির রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরে একটি বিকল্প বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠন করতে যাচ্ছেন। এই জোটের পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করা হবে।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনও একই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশে দক্ষিণপন্থী, সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থানের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তা ঠেকাতেই বাম, প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো এক হচ্ছে। তারা একসঙ্গে নির্বাচন করার পাশাপাশি 'জনতার সনদ' নিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার বিভিন্ন সংকট সমাধানে মাঠেও সক্রিয় থাকবেন।
'ভারতের দাদাগিরি' নিয়ে ফখরুলের মন্তব্য, ক্ষমতায় এলে কী করবে বিএনপি?
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যদি তার দল জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে, তবে বাংলাদেশের ওপর 'ভারতের দাদাগিরি' বন্ধ করার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীর ওপর একটি রাবার ড্যাম পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে বলেন, "আমরা চাই যে, আমাদের প্রতিবেশী দেশ, ইচ্ছে করলেই তারা আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে পারে।" তিনি বিশেষ করে ভারতের কথা উল্লেখ করে বলেন, "আমি মনে করি, যেহেতু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তারা আমাদের সহায়তা করেছেন, তাহলে তো আরও বেশি করে আপনাদের বাংলাদেশকে সহায়তা করা দরকার।"
তবে তিনি গত সরকারের সময়ের সম্পর্কের ধরণ নিয়ে সমালোচনা করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, "দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা গত সরকার ও মোদি সরকারের সময় দেখেছি, উল্টো তারা বাংলাদেশকে চাপে ফেলেছে, সব নিয়ে গেছে, কিন্তু বিনিময়ে আমাদের কিছু দেননি।" তিনি এটিকে আওয়ামী লীগ ও হাসিনা সরকারের 'ব্যর্থতা' হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, "তারা কিছু নিতে পারেনি।"
বিএনপির এই নেতা তাদের দলের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, "তবে আমরা শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এটা আমাদের রাজনীতি।" তিনি বিস্তারিত জানিয়ে বলেন, "আমরা বাংলাদেশ নামে যে ভূ-অঞ্চলে বাস করি, এখানকার পুরো পানির হিস্যা, আমাদের সীমান্তে হত্যা, আমাদের ব্যালেন্স অব ট্রেডের (বাণিজ্যিক ভারসাম্য) সব কিছু ঠিক করা, এই জিনিসগুলোকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই।"
মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, "ওদের (আওয়ামী লীগ) মন্ত্রীদের বক্তব্য তো আপনারা শুনেছেন, তারা দেন-দরবার করতে যায় ভারতে, স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের কথা বলে। এভাবে তারা পুরো বিষয়টাকে নিচে নামিয়ে দিয়েছে।"
তিনি জোর দিয়ে বলেন, "ইক্যুয়াল ফুটিংয়ের (সমানে-সমানে) কথা বলতে হবে। সমমর্যাদা রাখতে হবে। এ দেশের স্বার্থকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে।
আগের মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নামবে: খুলনায় জামায়াত নেতার হুঁশিয়ারি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার মন্তব্য করেছেন, আগামী নির্বাচন যদি ২০১৪, ২০১৮ বা ২০২৪ সালের নির্বাচনের মতো হয়, তবে তা জাতির জন্য 'চরম দুর্ভোগ' বয়ে আনবে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সেখানকার পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম পরওয়ার বলেন, 'মানুষ পরিবর্তন চায়।' তিনি উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর তারা স্বাভাবিকভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, দেশের জনগণ 'শান্তির বাংলাদেশ' গড়ার জন্য তাদের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেবে।
এসময় তিনি প্রশাসনের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান। গোলাম পরওয়ার বলেন, 'নিরপেক্ষ থাকুন, একটি স্বচ্ছ নির্বাচন দিন এবং সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ নিশ্চিত করুন।'
জামায়াতের এই নেতা পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, অতীতে যারা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতমূলক কাজে জড়িত ছিলেন, তাদের অনেককেই পরে আইনি জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, অন্যায় করলে কারও পালানোর পথ খোলা থাকবে না।
তিনি আরও দাবি করেন, 'নতুন প্রজন্মের মধ্য থেকেই পরিবর্তনের এই ধারা শুরু হয়েছে।'
নির্বাচনে 'কালো টাকার প্রভাব' বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, যারা শত কোটি টাকা খরচ করে মনোনয়ন নিচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। তিনি মনে করেন, এ ধরনের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে দেশে দুর্নীতি আরও বাড়বে।
শোভাযাত্রাটি খুলনার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে গুটুদিয়া, ডুমুরিয়া, খর্ণিয়া, চুকনগরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে এটি শিরোমণি শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পথের দুপাশে গ্রামবাসীরা হাত নেড়ে গোলাম পরওয়ারকে শুভেচ্ছা জানান। এসময় নেতাকর্মীরা 'দাঁড়িপাল্লা' প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দিয়ে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলেন।
পথসভাটিতে সভাপতিত্ব করেন হরিণটানা থানা আমীর জি এম আব্দুল গফুর। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন খুলনা-১ আসনের দলীয় প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান এবং অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুসসহ অন্যান্য স্থানীয় নেতারা।
১৫ মাস পর মুখ খুললেন হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে হঠাৎ ভিন্ন সুর
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার প্রায় ১৫ মাস পর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, গত বছরের জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান এবং তার সরকারের পতনের পেছনে আমেরিকা বা অন্য কোনো পশ্চিমা শক্তির সরাসরি ভূমিকা ছিল বলে তিনি এখন আর মনে করেন না। এই মন্তব্যটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর আগে শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রীরা এবং দলীয় নেতারা এই ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করে আসছিলেন।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সিএনএন-নিউজ এইটিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের 'ভালো ও স্থিতিশীল সম্পর্ক' রয়েছে। তাই 'ওয়াশিংটন বা অন্য কোনো বিদেশি শক্তি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে সরাসরি জড়িত' এমন ধারণা তিনি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করেন না।
তবে সাক্ষাৎকারে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস পশ্চিমা বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন, যেটিকে অনেকেই ভুলবশত গণতান্ত্রিক যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করেছেন। হাসিনা আরও যোগ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন সঙ্গেও তার ভালো সম্পর্ক ছিল।
গত বছরের জুলাই মাসে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রথমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ও সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলার পর সেই আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে। রাস্তায় রক্তপাতের ঘটনা ঘটে এবং জনরোষ তীব্র আকার ধারণ করে। একটা পর্যায়ে সরকার পতনের দাবি উঠলে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের (ওএইচসিএইচআর) একটি প্রতিবেদন অনুসারে, জুলাই-আগস্টের ওই গণ-অভ্যুত্থানে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এদের বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর সামরিক অস্ত্র ও শটগানের গুলিতে মারা যান। ওই সময় শেখ হাসিনার ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। বিবিসির একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিংয়ের ভিত্তিতে দাবি করা হয়, তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা চলছে। একই মামলায় তার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আরও তিনজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দাবি করা হয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, বিবিসিকে দেওয়া ভিন্ন একটি সাক্ষাৎকারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি এই মামলাকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' এবং 'ক্যাঙ্গারু কোর্টের সাজানো প্রহসন' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি দাবি করেন, আন্দোলন দমনের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও তিনি কখনো নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেননি। শেখ হাসিনা বলেছেন, তার বিরুদ্ধে যেকোনো দোষ প্রমাণ করতে হলে তা অবশ্যই রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে করতে হবে।
সূত্র: সিএনএন-নিউজ এইটিন ও বিবিসি
ভোটের মাঠে নতুন দল এনসিপি, কারা লড়ছেন কোন আসন থেকে?
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম জোরালোভাবে শুরু করেছে। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত এই দলটি নির্বাচনের মাঠে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
দলটির নেতারা বিভিন্ন সংসদীয় আসনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও এরই মধ্যে ফরম নিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দলটি মোট ১ হাজার ১১টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে।
এনসিপি গত ৬ নভেম্বর থেকে এই ফরম বিতরণ শুরু করেছে, যা ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে। প্রার্থীরা শুধু কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেই নয়, বিভিন্ন জেলা কার্যালয় থেকেও ফরম নিতে পারছেন। পাশাপাশি, অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ফরম পূরণ করে জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি ডা. তাসনিম জারা জানিয়েছেন, 'খুবই আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশের' মধ্য দিয়ে এনসিপির মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমা দেওয়ার কাজ চলছে। তিনি বলেন, শীর্ষ নেতাদের অনেকেই ইতোমধ্যে ফরম কিনেছেন এবং বাকিরাও দ্রুত সময়ের মধ্যে তা সংগ্রহ করবেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ফরম বিতরণ শুরুর দিন থেকেই প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে কার্যালয়ে আসছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এনসিপির শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ (বাড্ডা, ভাটারা ও রামপুরা) আসন থেকে এবং সদস্য সচিব আখতার রংপুর-৪ আসন থেকে লড়বেন। উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব ঢাকা-১৪ আসনে প্রার্থী হবেন।
এছাড়া, এনসিপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং বর্তমানে সরকারে থাকা দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদও নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, তারা তাদের বর্তমান পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ এবং আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১০ আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন।
দলীয় সূত্র আরও জানিয়েছে, ঢাকা-১৩ আসনে আকরাম হুসেইন, ভোলা-১ আসনে সামান্তা শারমিন, নরসিংদী-২ আসনে সারোয়ার তুষার এবং নোয়াখালী-৬ আসনে আবদুল হান্নান মাসউদ প্রার্থী হবেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আবদুল্লাহ আল আমিন, কুমিল্লা-১০ আসনে জয়নাল আবেদীন শিশির, কুড়িগ্রাম-২ আসনে আতিক মুজাহিদ এবং ফেনী-২ আসনে সালেহ উদ্দিন সিফাত লড়বেন।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মোল্লা ফারুক এহসান, চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মীর আরশাদুল হক, ঝালকাঠি-১ আসনে মশিউর রহমান এবং ঢাকা-৫ আসনে নিজাম উদ্দিনের নাম আলোচনায় আছে। সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে মাহিন সরকার, নওগাঁ-৫ আসনে মনিরা শারমিন, পটুয়াখালী-২ আসনে মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আশরাফ উদ্দীন মাহাদী প্রার্থী হচ্ছেন।
এছাড়া সিরাজগঞ্জ-২ আসনে এসএম সাইফ মোস্তাফিজ, বাগেরহাট-৩ আসনে মোল্যা রহমতুল্লাহ, ফেনী-১ আসনে এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, নীলফামারী-৪ আসনে আবু সাঈদ লিয়ন, ঝালকাঠি-১ আসনে আরিফুর রহমান তুহিন এবং মেহেরপুর-২ আসনে সাকিল আহমাদ প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে।
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব এবং মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীনও শীর্ষ নেতাদের নির্বাচনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "ইতোমধ্যে অনেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন, বাকিরাও কিছুদিনের মধ্যেই কিনবেন।" তবে ঠিক কতজন ফরম কিনেছেন, সেই সংখ্যাটি তিনি এখনই প্রকাশ করতে চাননি, বলেছেন পরে আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হবে। তিনি আরও যোগ করেন যে, প্রতিদিন কেন্দ্রীয় ও জেলা কার্যালয়গুলোতে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ফরম কেনার জন্য আসছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, শুধু শীর্ষ নেতারাই নন, সাবেক আমলা, অধ্যাপক, চিকিৎসক এবং ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষও এনসিপি থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন।
এদিকে, দলের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে এবং সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। গত বৃহস্পতিবার নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এই মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রতিটি মনোনয়নপত্রের মূল্য ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে 'জুলাই যোদ্ধা' এবং স্বল্প আয়ের ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ ছাড়ে ২ হাজার টাকায় ফরম দেওয়া হচ্ছে।
ট্রাম্পের জরুরি ফোনালাপ: থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া উত্তেজনা প্রশমনে মার্কিন হস্তক্ষেপ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুটি প্রতিবেশী দেশ—থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া—এর মধ্যে নতুন উত্তেজনা দেখা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তিচুক্তির স্থায়িত্ব রক্ষায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন। শুক্রবার ট্রাম্প জানান, তিনি দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন এবং তাদেরকে শান্তিচুক্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ২৬ অক্টোবর এশিয়া সফরকালে ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে কো-সাইন করেন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি, যেটিকে তিনি তাঁর বৈশ্বিক শান্তি প্রচেষ্টার অন্যতম সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। সেই সময় তিনি দাবি করেছিলেন, সারা বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাত মীমাংসায় তাঁর ভূমিকা তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার করে তুলেছে।
তবে চুক্তি সইয়ের মাত্র কয়েকদিন পর পরিস্থিতি আবারও অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। সোমবার থাইল্যান্ড চুক্তি স্থগিত করে, অভিযোগ করে যে সীমান্ত এলাকায় একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে তাদের সেনারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর বুধবার দুই দেশের মধ্যে নতুন সংঘর্ষের অভিযোগ উঠে, যেখানে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে গোলাগুলিতে এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
ফ্লোরিডাগামী এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, দুই দেশের নেতাদের তিনি ইতোমধ্যে ফোনে কথা বলেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, “আমি আজই একটি যুদ্ধ থামিয়েছি—শুল্ক ও শুল্কের হুমকি ব্যবহার করে।” তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ছিল, বিষয়টি তিনি সরাসরি নিজের কূটনৈতিক দক্ষতা ও চাপ প্রয়োগের কৌশলের সফল উদাহরণ হিসেবে দেখাতে চান।
হোয়াইট হাউস জানায়, মালয়েশিয়ার সঙ্গেও ট্রাম্প যোগাযোগ করেছেন, যারা থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিল। কুয়ালালামপুরেই চুক্তিটি যৌথভাবে সই করা হয়েছিল।
এই উত্তেজনার পটভূমি বহু পুরনো। ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক আমলে তৈরি সীমান্ত মানচিত্র নিয়ে শতবর্ষের বিরোধ নতুন করে উসকে দেয় দুই দেশের মধ্যে অবিশ্বাস। সীমান্তবর্তী কয়েকটি মন্দিরকে কেন্দ্র করে মালিকানা বিতর্কই সংঘাতের মূল কেন্দ্রবিন্দু। গত গ্রীষ্মে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে ৪৩ জন নিহত হয় এবং প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়—যা পরিস্থিতির ভয়াবহতার এক কঠিন স্মারক হয়ে আছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সাময়িক যুদ্ধবিরতির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দুই দেশের ইতিহাস, সীমান্তব্যবস্থা ও রাজনৈতিক অবস্থানের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান। নতুবা যে কোনো সময় ছোট একটি ঘটনার সূত্র ধরে বড় সংঘাতে রূপ নিতে পারে পরিস্থিতি। এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের ফোনালাপ ও মধ্যস্থতা পরিস্থিতি শান্ত করতে সহায়তা করতে পারে, তবে প্রকৃত সমাধান নির্ভর করছে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির বাস্তব অগ্রগতির ওপর।
-নাজমুল হাসান
গণভোটে ‘না’–এর ডাক: নোয়াখালীতে বিএনপি নেতা জয়নুল ফারুকের কঠোর অবস্থান ও নির্বাচনী সমীকরণের নতুন বার্তা
গণভোটকে ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে যখন নতুন উত্তাপ তৈরি হয়েছে, ঠিক সেই সময়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক সরাসরি ভোটারদের উদ্দেশে ‘না’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এবার প্রত্যেক ভোটারের হাতে থাকবে দুটি ব্যালট পেপার। একটিতে থাকছে ধানের শীষ ও দাঁড়িপাল্লাসহ বিভিন্ন প্রতীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আরেকটি ব্যালটে থাকবে গণভোটের জন্য “হ্যাঁ” বা “না” চিহ্ন। তাঁর ভাষায়, বিএনপির পক্ষ থেকে ভোটারদের সুনির্দিষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে কোন ব্যালটে কোন প্রতীকে টিক চিহ্ন দেওয়া উচিত, এবং গণভোটের ক্ষেত্রে তাদের পছন্দ হওয়া উচিত “না”।
শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালী–২ আসনের সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে মহিলা দলের ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এই অবস্থান স্পষ্ট করেন।
নিজের বক্তব্যে জয়নুল আবদিন ফারুক দাবি করেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে ঘিরে এক ধরনের “চক্রান্ত” চলছে। তাঁর অভিযোগ, কারও বক্তব্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করা হচ্ছে, আবার কেউ কেউ নতুনভাবে উপ–প্রধানমন্ত্রীর দাবি তুলছেন। তিনি বলেন, কিছু দিন আগেও বলা হচ্ছিল পিআর ছাড়া নির্বাচন হবে না, গণভোট ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। এখন দাবি পরিবর্তন হয়ে নতুন নতুন শর্ত জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।
মহিলা দলের নেত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই নির্বাচনী লড়াই ঠেকিয়ে রাখার নয়; যে করেই হোক এই লড়াই জিততে হবে। তিনি দাবি করেন, বিএনপি জয়ী হলে তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং তাঁর নেতৃত্বে দেশে অন্তত এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের রাজনৈতিক সততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি কখনো দুর্নীতির আশ্রয় নিইনি।’ একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন যে এবারের নির্বাচন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শেষ লড়াই হতে পারে। তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, তাঁকে ব্যক্তি হিসেবে অপছন্দ করা যেতে পারে, কিন্তু ধানের শীষকে নয়।
মনোনয়ন না পাওয়া নেতাদের প্রতি কঠোর বার্তাও দেন তিনি। তাঁর দাবি, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে কেউ মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন—এ ধারণা ভুল। তিনি বলেন, এখন আর মিছিল-মিটিংয়ের সময় নয়, বরং তারেক রহমানের নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করাই হবে দলের ভবিষ্যৎ সাফল্যের চাবিকাঠি।
সভায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন পাটোয়ারী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল্লা আল মামুন, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সুফিয়া আক্তার, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হান্নান লিটন এবং সদস্যসচিব সহিদ উল্যাহ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতি পুরো অনুষ্ঠানে একধরনের সংগঠিত এবং প্রতীকী শক্তির ইঙ্গিত বহন করে।
আমিন/৯৮
পাঠকের মতামত:
- এনসিএলে আজ চার ম্যাচ: ঘরোয়া ক্রিকেটে উত্তাপ বাড়ছে
- নতুন দামে ২১ ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের মূল্যও কমল
- আজ একটি যুদ্ধ থামালাম, কাদের উদ্দেশে এই মন্তব্য ট্রাম্পের?
- ধূমপান ছাড়ার পর শরীর যেভাবে নিজেকে 'মেরামত' করে, জানুন বিস্তারিত
- সন্ধ্যার আতঙ্ক: মাত্র দুই ঘণ্টায় ঢাকার তিন এলাকায় ৪টি বিস্ফোরণ
- অ্যাকশন, রিভেঞ্জ আর সিক্রেট মিশন: দেখুন সেরা ১০ কোরিয়ান অ্যাকশন সিরিজ!
- রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদের ভাষায় কথা বলছে: ডাকসু ভিপি
- বরিশালে হুলস্থুল কাণ্ড: পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে ছাত্রদল নেতার পলায়ন
- "বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা হবে"
- রেকর্ড ভাঙল সরকারের ঋণ, অর্থ বিভাগের পরিসংখ্যানে নতুন তথ্য
- প্রকাশ হলো ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ
- মতিঝিলে শরিফ ওসমান হাদির প্রচারে বাধা, গায়ে ময়লা পানি নিক্ষেপ
- ২০ হাজার সেনা প্রস্তুত: গাজা নিয়ে জর্ডানের সাথে তথ্য বিনিময়ে ইন্দোনেশিয়া
- টাকার ফাঁদ নাকি ত্রিভুজ প্রেম? আশরাফুল হত্যায় দুই আসামি দিলেন দুই ভাষ্য, বাড়ছে রহস্য
- পুলিশের মনোবল ও দক্ষতা বেড়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
- এ মাসেই আত্মপ্রকাশ ঘটছে বামপন্থিদের নতুন বৃহত্তর জোটের
- 'ভারতের দাদাগিরি' নিয়ে ফখরুলের মন্তব্য, ক্ষমতায় এলে কী করবে বিএনপি?
- আগের মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নামবে: খুলনায় জামায়াত নেতার হুঁশিয়ারি
- ১৫ মাস পর মুখ খুললেন হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে হঠাৎ ভিন্ন সুর
- ক্ষমতার চূড়ান্ত কেন্দ্রীকরণ: পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনী কি সর্বশক্তিমান?
- ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদনে ICB–এর যেমন পারফরম্যান্স
- নষ্ট ছবি ঠিক করতে আর অ্যাপ লাগবে না, গুগল ফটোসেই নতুন 'জাদু'
- প্রবাসীরাও এবার ভোট দেবেন, জেনে নিন সহজ নিয়ম
- ভোটের মাঠে নতুন দল এনসিপি, কারা লড়ছেন কোন আসন থেকে?
- সংঘাতের ছায়ায় দম্পতির শোচনীয় পরিণতি: কোনাবাড়িতে স্ত্রী নিহত, স্বামী গুরুতর আহত
- ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার সোহেল তাজ
- শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল? শুনলেই ভয়, কিন্তু এর উপকার জানলে অবাক হবেন
- বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ রোবোটিক্স ডিগ্রি
- ব্যবসায়ীদের সতর্কবার্তা: রাজনৈতিক স্বচ্ছতা না এলে বিনিয়োগ ফিরবে না
- 'ভাড়াটে টোকাই' দিয়ে চলে দল? আওয়ামী লীগ নিয়ে প্রেস সচিবের ফেসবুক পোস্ট
- এক লাল কার্ডে জটিল সমীকরণ: রোনালদোর বিশ্বকাপ স্বপ্ন কি ভাঙবে?
- গলায় সাদা দানা? এটি খাবারের টুকরো নয়, হতে পারে টনসিল স্টোন
- সন্তানদের প্রতি ইনসাফ: রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুপম শিক্ষা
- হানিয়া আমিরের সঙ্গে কাজ নিয়ে মুখ খুললেন শাকিব, জল্পনা কি সত্যি হচ্ছে?
- একাই টানছেন দেশ ও ক্লাব: হালান্ড কি মেসি-রোনালদোর আসল উত্তরসূরি? পরিসংখ্যান কী বলছে?
- ট্রাম্পের জরুরি ফোনালাপ: থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া উত্তেজনা প্রশমনে মার্কিন হস্তক্ষেপ
- তেঁতুলিয়া–চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ১৪ ডিগ্রি, শীতের ছোঁয়া সারাদেশে
- অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে ঢাকা আবারও শীর্ষের কাতারে
- ঢাকার আজকের নামাজের সময়সূচি প্রকাশ
- নিরাপত্তা পরিষদে সোমবার ভোট: ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা ঘিরে উত্তেজনা
- শীতের সবজি এলেও স্বস্তি নেই, বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের মাথায় হাত
- রাজধানীতে আজ চারটি গুরুত্বপূর্ণ সভা ও আলোচনা
- ৭ বছরের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সেরা অবস্থানে বাংলাদেশ
- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসে আগুন
- জরুরি সংস্কার: আজ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে যেসব এলাকা
- বন্ধুকে হত্যা করে ২৬ টুকরো, আশরাফুল হত্যায় মিলছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য
- জলবায়ু সম্মেলন তেল গ্যাস কোম্পানির দখলে আলোচনা এখন দূষণকারীদের হাতে
- জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরের থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ
- নির্বাচনী ট্রেন্ড শুরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন নিয়ে সব সংশয় কাটল
- শীতের তীব্রতা বাড়লেও উষ্ণ হলো মন পর্যটন আর অতিথি পাখির ভিড়ে মুখর এখন বাংলাদেশ
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- গোলের রাজা কে, মেসি না রোনালদো? সংখ্যার হিসাবে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে!
- কোরিয়ান ড্রামায় মুগ্ধ বিশ্ব: মিস্ট্রি থ্রিলার থেকে টাইম ট্রাভেল, দেখুন সেরা ১০ সিরিজ!
- সাদমানের পর মুমিনুলকে নিয়ে জয়ী রথ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি
- মামলার রেশ না কাটতেই তিশার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ
- বাংলাদেশ নেপাল ম্যাচের আগে জেনে নিন হেড টু হেড পরিসংখ্যানে কারা চালকের আসনে
- নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ
- ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে
- আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস: একাকীত্ব নয়, স্বাধীনতার উৎসব
- আজকের খেলাধুলা সূচি
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে
- আজ রাজধানীতে রাজনৈতিক যেসব কর্মসূচি, কোথায় কী হচ্ছে জেনে নিন
- লকডাউনের দিনেও দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
- বাংলাদেশ–ভারত ফুটবল ম্যাচের টিকিটের দাম প্রকাশ
- রবিবার ঢাকায় বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট ও এলাকা








