মোবাইল জুয়াকে কেন্দ্র করে প্রাণ গেল ইজ্জল শেখের

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ০৯ ০৯:৫৫:১৮
মোবাইল জুয়াকে কেন্দ্র করে প্রাণ গেল ইজ্জল শেখের

ফরিদপুরের কানাইপুরে মোবাইল ফোনে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে মারধর এবং পরে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তি ইজ্জল শেখ (৪৫), সদর উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানান, তাকে মারধর করে নদীতে ফেলে রাখে অভিযুক্তরা। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন দুপুরে হোগলাকান্দি বাজারের পাশে নদীর পাড়ে মোবাইলে লুডু খেলছিলেন ইজ্জল শেখ ও একই গ্রামের হানিফ শেখ। খেলায় মোবাইল হারিয়ে হানিফ ইজ্জলকে সন্দেহ করে ডেকে এনে মারধর করেন। পরে ইজ্জল মোবাইলটি খুঁজে এনে ফিরিয়ে দিলেও বিকেলবেলা আবারও হানিফ ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর করে।

সন্ধ্যার কিছু পর স্থানীয়রা ইজ্জলকে অচেতন অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, তার মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছিল। এরপর হানিফের লোকজন তাকে নদীর পানিতে ডুবিয়ে রেখে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। রাত ৯টার দিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্ত্রী নবীরন বেগম বলেন, “আমার স্বামীকে মারধর করে বিষ খাইয়ে নদীতে চুবিয়ে হত্যা করেছে ওরা। এখন উল্টো আমাকে মিটমাটের প্রস্তাব আর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি গরিব হতে পারি, কিন্তু স্বামীর হত্যার বিচার চাই।”

ইজ্জলের বোন ফরিদা খাতুন জানান, “মৃত্যুর আগে ভাই একটি কাগজে হত্যাকারীদের নাম লিখে রেখে গেছে। সেই কাগজ পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আলতাফ হুসাইন বলেন, “এলাকায় মাদক ও মোবাইল জুয়া ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বহুবার চেষ্টা করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। ইজ্জল শেখের মৃত্যু সন্দেহজনক, পুলিশকে তদন্তে আহ্বান জানিয়েছি।”

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকের ধারণা, মৃত্যুর কারণ বিষক্রিয়া। আমরা একটি ইউডি মামলা নিয়েছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে মারধর ও হত্যার অভিযোগ এসেছে, তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত