মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার
তবে কি বাহরাইনের বন্ধ দুয়ার খুলতে চলছে?
মোঃ মাহির তালুকদার আলম
বাহারাইন প্রতিনিধ

অবশেষে প্রায় সাত বছর পর মধ্যপ্রাচ্যের দ্বীপ দেশ বাহরাইনে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা এই শ্রমবাজারটি পুনরায় চালুর বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. রইস হাসান সারোয়ার।
গত ১ জুন বাহরাইনের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স সালমান বিন হামাদ আল খলিফার সঙ্গে রিফা প্রাসাদে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন রাষ্ট্রদূত সারোয়ার। তিনি সাক্ষাৎ শেষে জানান, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বাহরাইনের শ্রমবাজার পুনরায় চালুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সালমান সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই বিষয়টি দ্রুত সমাধানে তাঁর মন্ত্রিসভার একজন সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত মো. রইস হাসান সারোয়ার এ সময় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শুভেচ্ছা বার্তা বাহরাইনের যুবরাজের কাছে পৌঁছে দেন। যুবরাজ সালমান বিন হামাদ আল খলিফা বৈঠকে বাহরাইনে কর্মরত বাংলাদেশি কমিউনিটির ইতিবাচক ভূমিকা ও কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান এ.কে.এম. মহিউদ্দিন কায়েস। বাহরাইনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী হামাদ বিন ফয়সাল আল মালকি, ক্রাউন প্রিন্সের আদালতের প্রধান শেখ সালমান বিন আহমেদ আল খলিফা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হামাদ আল মাহমুদ।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর থেকে বাহরাইনে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন অনিয়ম, নিয়োগে জালিয়াতি ও শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কারণে শ্রমবাজারে স্থবিরতা দেখা দেয়। এতে বাংলাদেশিদের জন্য ওই দেশে কাজের নতুন সুযোগ বন্ধ হয়ে যায় এবং রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
তবে সর্বশেষ কূটনৈতিক আলোচনায় যে আশার সঞ্চার হয়েছে, তা সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বড় অর্জন হবে। এতে শুধু কর্মসংস্থানই নয়, রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় পরিবর্তন আনার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দুই পক্ষের ঘোষণার পরও থামছে না গাজায় সহিংসতা
যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকার ঘোষণা দেওয়ার পরও দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গাজা ভূখণ্ডে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে। এই আকস্মিক হামলায় আরও দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর একদিন আগেই, মঙ্গলবার রাতের ভয়াবহ হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলী পুনরায় কার্যকর করার দাবি জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েল গাজায় নতুন হামলা পরিচালনা করে। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। গাজার আল-শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, এই হামলায় অন্তত দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা সুনির্দিষ্ট একটি স্থানে হামলা চালিয়েছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, ওই স্থানটিতে অস্ত্র মজুত ছিল এবং সেগুলি ইসরায়েলি সেনাদের জন্য ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ তৈরি করেছিল।
এই নতুন হামলা গাজায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে আরও একবার গভীর অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দিয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে একজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু 'প্রতিশোধমূলক জোরালো হামলার' নির্দেশ দিয়েছিলেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, সেই হামলায় ১০৪ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন নারী ও শিশু।
ইসরায়েল অবশ্য দাবি করেছে যে, মঙ্গলবার রাতে চালানো হামলাটির লক্ষ্য ছিল হামাসের সিনিয়র যোদ্ধারা এবং হামলায় 'ডজনখানেক' যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এই ভয়াবহ হামলার পর বুধবার দুপুরে তারা আবারও যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরই সন্ধ্যায় তারা ফের হামলা চালায়।
এদিকে এই সর্বশেষ হামলার ঘটনা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন যে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি 'ঝুঁকির মুখে নেই'। তবে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এই হামলায় হতাশা প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে তারা জানিয়েছে যে, তারা এখনও যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে জানান, গুতেরেস গাজার বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বিশেষত এই হামলায় বহু শিশুর নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ইসরায়েলের শক্তিশালী হামলা
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ রাফায় পাল্টাপাল্টি গোলাগুলিতে এক ইসরায়েলি সেনা আহতের ঘটনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় শক্তিশালী হামলার নির্দেশ দেন। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
নিহত ও হামাসের হুঁশিয়ারি
হামলার চিত্র: গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার উত্তর গাজা শহরের সাবরা পাড়ায় একটি আবাসিক ভবনে চালানো ইসরায়েলি হামলায় ৪ জন নিহত হন। অন্যদিকে দক্ষিণ খান ইউনিসে আরও ৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
বিশাল কার্যক্রম: প্রত্যক্ষদর্শীরা এই হামলাকে 'বিশাল' বলে জানিয়েছেন। গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের পাশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে এবং গাজার আকাশে ইসরায়েলের বড় ধরনের সামরিক কার্যক্রম চলছে; সেখানে ড্রোন উড়ছে।
হামাসের অভিযোগ: হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। সেইসঙ্গে তারা নিখোঁজ এক জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বড়সড় কোনো উস্কানি দেওয়া হলে গাজায় মৃতদেহ উদ্ধারের কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং বাকী ১৩ জন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার বিলম্বিত হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
ইসরায়েলের এই হামলা সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতি এখনো টিকে আছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স। তিনি বলেন:
“তার মানে এই নয় যে এখানে-ওখানে ছোটখাটো সংঘর্ষ হবে না। আমরা জানি গাজায় হামাস বা অন্য কেউ একজন (ইসরায়েলি) সৈন্যর ওপর হামলা করেছে। আমরা আশা করি ইসরায়েল জবাব দেবে, তবুও আমি মনে করি শান্তি স্থিতিশীল থাকবে।”
অন্যদিকে, হামাস এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সর্বশেষ এই হামলাকে যুদ্ধবিরতির “স্পষ্ট লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করেছে।
বিরল ঐক্যমত: হামাস গাজার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে রাজি
যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার পরিচালনার ভার একটি স্বাধীন টেকনোক্র্যাট কমিটির হাতে তুলে দিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ন্ত্রণকারী শাসক গোষ্ঠী হামাসসহ প্রধান ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দলগুলো। এটি ফিলিস্তিনি দলগুলোর মধ্যে এক বিরল ঐক্যমত।
কায়রোতে ঐকমত্যের ঘোষণা
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতি অনুসারে, কায়রোতে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে গোষ্ঠীগুলো ‘স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অস্থায়ী ফিলিস্তিনি কমিটির কাছে গাজা উপত্যকার প্রশাসন হস্তান্তর’ করতে সম্মত হয়েছে।
কমিটির দায়িত্ব: বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই কমিটি ‘আরব ব্রাদার্স এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় জীবনযাত্রা ও মৌলিক পরিষেবার বিষয়গুলো পরিচালনা করবে’।
ঐক্যের আহ্বান: দলগুলো ‘ফিলিস্তিনিদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য’ একটি সাধারণ অবস্থানকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। তারা ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থাকে (পিএলও) পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে একটি জাতীয় কৌশল নিয়ে একমত হওয়ার জন্য সব শক্তি এবং দলগুলোকে বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক তৎপরতা
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, হামাস ও তাদের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ (যারা পিএলও নিয়ন্ত্রণ করে) এর প্রতিনিধি দলগুলো গাজায় মার্কিন সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আলোচনা করতে কায়রোতে বৈঠক করেছিল। উভয় পক্ষ আগামীতে বৈঠক চালিয়ে যেতে এবং ইসরায়েলি সরকারের সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ফিলিস্তিনি অভ্যন্তরীণ ফ্রন্টকে সংগঠিত করার জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
মিশরের গোয়েন্দা প্রধান হাসান রাশাদ হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি দলগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।
গাজায় ৭০ শতাংশ শিশুই কম ওজনের: ক্ষুধার সংকট নিয়ে UN-এর উদ্বেগ
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুই সপ্তাহ পরও ক্ষুধার সংকট বিপর্যয়কর পর্যায়ে আছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলেছে, ইসরায়েল মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে বলে খাদ্যসহ জরুরি ত্রাণসামগ্রী মানুষের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
ভয়াবহ পরিস্থিতি ও শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, “পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ, কারণ যা ঢুকছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। যথেষ্ট খাদ্য না থাকায় ক্ষুধার পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।”
অনাহারে এক-চতুর্থাংশ: জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১ হাজার ৫০০ গর্ভবতী নারীসহ গাজার অন্তত এক-চতুর্থাংশ জনগণ অনাহারে ভুগছেন।
শিশুদের জন্ম: জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) উপ-নির্বাহী পরিচালক অ্যান্ড্রু স্যাবারটন বলেন, এখন গাজায় জন্ম নেওয়া ৭০ শতাংশ শিশুই সময়ের আগেই বা কম ওজন নিয়ে জন্মাচ্ছে, যেখানে আগে এই হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।
ত্রাণ প্রবেশে বাধা
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম জোরদারের কথা থাকলেও, ইসরায়েলের বাধার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
ত্রাণের পরিমাণ: জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) প্রতিদিন দুই হাজার টন ত্রাণ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও, বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৭৫০ টন খাদ্যই গাজায় প্রবেশ করছে। এর কারণ হলো ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাত্র দুটি প্রবেশপথ খোলা রয়েছে।
দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব: সংস্থাটি সতর্ক করেছে, চলমান এই ক্ষুধা সংকট গাজায় পুরো এক প্রজন্মের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের আগস্টে গাজা সিটি ও আশপাশের এলাকায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছিল।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের বিল পাশ, আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার একটি বিতর্কিত বিল ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ‘নেসেটে’ প্রথম ধাপে অনুমোদিত হয়েছে। এটি কার্যত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সংযুক্তিরই সমান এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ১২০ আসনের নেসেটে ২৫-২৪ ভোটে বিলটি প্রাথমিকভাবে পাস হয়। এটি আইন হিসেবে কার্যকর হতে আরও তিন ধাপের ভোটে অনুমোদন পেতে হবে।
মার্কিন অবস্থান ও নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়া
এই ভোট এমন এক সময়ে হলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক মাস আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর সংযুক্তির অনুমতি দেওয়া হবে না। একই সময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও ইসরায়েল সফর করছেন।
নেতানিয়াহুর বিরোধিতা: প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার দল লিকুদ পার্টি বিলটির বিরোধিতা করেছে। তারা এই ভোটকে ‘বিরোধী দলের উসকানি’ বলে অভিহিত করেছে। লিকুদ পার্টি বলেছে, “আসল সার্বভৌমত্ব আইন দেখানোর ভান করে নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমেই অর্জন করা যায়।”
ভোটের উদ্দেশ্য: নেসেটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিলটির উদ্দেশ্য হলো ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব জুদিয়া ও সামারিয়া অঞ্চলে (পশ্চিম তীর) প্রয়োগ’ করা। এটি এখন সংসদের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটিতে পাঠানো হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হলে তা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে কার্যত শেষ করে দেবে।
আরব বিশ্বের তীব্র নিন্দা
নেসেটের এই বিতর্কিত বিল পাশের ঘটনায় ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হামাস, কাতার, সৌদি আরব ও জর্ডান তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: ফিলিস্তিনি ভূমি সংযুক্তির প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা—এই অঞ্চলগুলো একক ভৌগোলিক ইউনিট, যার ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌম অধিকার নেই।
কাতার ও জর্ডান: কাতার একে ‘ফিলিস্তিনিদের ঐতিহাসিক অধিকারের প্রকাশ্য লঙ্ঘন’ এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করেছে। জর্ডান এটিকে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে বাধা বলে অভিহিত করেছে।
বর্তমানে দখলকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৭ লাখের বেশি ইসরায়েলি অবৈধ বসতিতে বাস করছে, যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে ঘোষিত।
সূত্র: আল জাজিরা
গাজায় রক্ত ঝরছে, মার্কিন দূতরা ইসরায়েলে: শান্তিচুক্তি কি টিকে থাকবে?
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলা অব্যাহত থাকায় শান্তি টিকিয়ে রাখতে মার্কিন দূতেরা কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছেন। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার (২০ অক্টোবর) গাজা সিটির তুফাহ এলাকার পূর্বাংশ আল-শাফে দুটি ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা নিজেদের বাড়ি দেখে ফেরার পথে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারান।
সীমা না মানা ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
ইসরায়েলি দাবি: ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা এমন সন্ত্রাসীদের দিকে গুলি চালিয়েছে, যারা শুজাইয়া এলাকায় তথাকথিত হলুদ সীমারেখা অতিক্রম করে ইসরায়েলি সেনাদের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল। এই সীমারেখাটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশিত মানচিত্রে নির্ধারিত, যেখানে ইসরায়েলি সেনারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে পিছু হটে অবস্থান করছে।
ফিলিস্তিনিদের বিভ্রান্তি: গাজা সিটির বাসিন্দারা জানান, পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় এই সীমারেখাটি কোথায়, তা তারা বুঝতে পারছেন না। স্থানীয় বাসিন্দা সামির (৫০) বলেন, “আমরা মানচিত্র দেখেছি, কিন্তু বাস্তবে কোনো সীমারেখা খুঁজে পাওয়া যায় না।”
হামলার ধারাবাহিকতা: রোববারের (১৯ অক্টোবর) ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল দাবি করেছে, এটি প্রতিশোধমূলক হামলা। তবে হামাস সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ইসরায়েল অজুহাত তৈরি করে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে চাইছে।
হামাসকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি ও কূটনৈতিক তৎপরতা
ট্রাম্পের বার্তা: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, হামাসের ভেতরে কিছু বিদ্রোহী উপাদান রয়েছে, যা সংগঠনের নেতাদের ঠিক করতে হবে। তিনি বলেন, “তাদের ভালো হতে হবে। না হলে তারা নিশ্চিহ্ন হবে।” তবে তিনি স্পষ্ট করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থল সেনা এতে অংশ নেবে না।
মার্কিন কূটনীতি: অবিরত সহিংসতার মধ্যে সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনার ইসরায়েল পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামী মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইসরায়েল সফরে যাবেন।
তবে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দ্যুজারিক বলেছেন, গাজায় সাহায্য পৌঁছানো এখনো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজযুম জানান, একাধিক চেকপোস্ট সাহায্যবাহী ট্রাকগুলোকে আটকে রেখেছে।
যুদ্ধবিরতির ভয়াবহ লঙ্ঘন: গাজায় এক ফিলিস্তিনি পরিবারের ১১ সদস্য নিহত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী একটি ফিলিস্তিনি পরিবারের ১১ জন সদস্যকে হত্যা করেছে। আট দিন আগে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির এটি সবচেয়ে ভয়াবহ লঙ্ঘন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
হামলার বিবরণ ও হতাহত
গাজার নাগরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মতে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা শহরের জেইতুন এলাকায় আবু শাবান পরিবারকে বহনকারী একটি বেসামরিক গাড়িতে হামলা হয়। ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংক থেকে শেল ছুড়ে এই হামলা চালায়।
নিহত: বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, নিহতদের মধ্যে সাত শিশু এবং তিনজন নারী ছিলেন। পরিবারটি যখন তাদের বাড়ি পরিদর্শনের জন্য পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল, তখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গুলি চালালে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বাসালের মন্তব্য: বাসাল বলেন, “তাদের সতর্ক করা যেতে পারত অথবা ভিন্নভাবে মোকাবিলা করা যেত। যা ঘটেছে তা নিশ্চিত করে যে দখলদাররা এখনো রক্তপিপাসু এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ করার ওপর জোর দেয়।”
হামাসের দাবি: হামাস এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে এবং নিন্দা জানিয়ে বলেছে, পরিবারটিকে কোনো যুক্তি ছাড়াই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। গোষ্ঠীটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মধ্যস্থতাকারীদের কাছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার জন্য ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
নোবেল বিজয়ীর প্রশংসা
অন্যদিকে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, মাচাদো গাজা যুদ্ধে নেতানিয়াহুর নেতৃত্ব ও ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। তিনি ফিলিস্তিনি যোদ্ধা দল হামাসকে ‘নিপীড়ক বাহিনী’ উল্লেখ করেন এবং ইরানের শাসনকর্তাদের সমালোচনা করেন। গাজায় জিম্মি মুক্তির ঘটনায় তিনি অভিনন্দনও জানান।
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় গোলাবর্ষণ
‘ফিলিস্তিনের ম্যান্ডেলা’খ্যাত মারওয়ান বারগুতিকে ইসরায়েলের কারাগারে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। এমনকি কারারক্ষীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে, যার ফলে তিনি কারাগারের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন বলে বারগুতির পরিবার অভিযোগ করেছে। তবে ইসরায়েলের প্রিজন সার্ভিস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কারাগারে নির্যাতনের অভিযোগ
বারগুতির ছেলে বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা মুক্তি পাওয়া পাঁচ পৃথক বন্দির কাছ থেকে বারগুতিকে নির্যাতনের কথা জানতে পেরেছেন। বারগুতিকে প্রহরীরা হাতকড়া পরিয়ে নির্যাতন করে।
শারীরিক আঘাত: তাকে মেঝেতে ফেলে দিয়ে লাথি মেরে আহত করা হয়। বারগুতির মাথা ও বুকে আঘাত করা হয়েছে এবং পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে গেছে।
পরিণতি: নির্যাতনে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা অচেতন ছিলেন এবং তার শরীর থেকে রক্তপাত হয়েছে।
বারগুতিকে ইসরায়েল পাঁচবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে এবং বর্তমানে তিনি কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দী আছেন।
বারগুতির রাজনৈতিক গুরুত্ব
১৯৫৯ সালে রামাল্লাহর কাছে কোবার গ্রামে জন্মগ্রহণকারী বারগুতি কিশোর বয়সে ফাতাহ আন্দোলনে যোগ দেন এবং ২০০০ সালের গোড়ার দিকে তিনি দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের একজন ছিলেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বারগুতির প্রভাব ফাতাহ আন্দোলন ছাড়িয়ে সমগ্র ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপৃত। জনমত জরিপেও তিনি ফিলিস্তিনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থী। এ কারণেই তাঁকে মুক্তি দিতে ভয় পায় ইসরায়েল।
গাজা ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি
যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ: আল জাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখনও উত্তর গাজার শুজাইয়ার পূর্বাঞ্চলে গোলাবর্ষণ করছে। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে প্রায় দুই ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ত্রাণ সংকট: জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, যুদ্ধবিরতির এক সপ্তাহ পরও গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে খাদ্যাভাব ও হাহাকার রয়েই গেছে। এক কেজি টমেটোর দাম এখন ১৫ ডলার।
আন্তর্জাতিক বাহিনী: রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্স ও ব্রিটেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী দিনে গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে।
মানবিক সহায়তা প্রবাহ স্বাভাবিক করতে রাফাহ সীমান্ত খুলে দিল ইসরায়েল
গাজা উপত্যকার সঙ্গে মিশরের রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। একইসঙ্গে স্থগিত থাকা মানবিক সহায়তা প্রবাহও স্বাভাবিকভাবে চলবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম কান (Kan)।
এর আগে, ইসরায়েল সরকার আজ বুধবার থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা সীমিত করা এবং রাফাহ সীমান্ত বন্ধ রাখাসহ নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরিকল্পনা করেছিল। তবে শেষ মুহূর্তে এসব সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে বলে টাইমস অফ ইসরায়েলকে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রাতে হামাস আরও চারজন জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের হাতে তুলে দিয়েছে। এই নিয়ে হামাস মোট ২৮ জন নিহত জিম্মির মধ্যে ৮ জনের মরদেহ হস্তান্তর করল। ফেরত পাওয়া মরদেহগুলো ফরেনসিক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে, যেখানে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দুই দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। হামাস এখন পর্যন্ত ফেরত দেওয়া এই চারজনের পরিচয় প্রকাশ করেনি।
মধ্যপ্রাচ্যের এক কূটনীতিক এবং সংশ্লিষ্ট সূত্র টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, আজকের মধ্যেই হামাস আরও চারজন জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
পাঠকের মতামত:
- শেষ মুহূর্তে মেসির গোলেও বাঁচল না মায়ামি, ন্যাশভিলের দাপটে সিরিজ সমতায়
- সুদানের গৃহযুদ্ধ: সেনা ও আরএসএফ সংঘাত ও তীব্র মানবিক সংকট
- সাত মিনিটে কোটি টাকার জুয়েল চুরি, আরও দুইজন আটক
- রিপাবলিক ব্যাংক এর তৃতীয় প্রান্তিক (Q3) আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- এক্সিম ব্যাংক এর তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন
- মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের তৃতীয় প্রান্তিক ফলাফল প্রকাশ
- শাহরুখের জন্মদিনে পরিবার, বন্ধু ও নতুন ছবি
- ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষ আন্দালিব রহমান পার্থের কঠোর হুঁশিয়ারি
- কেনিয়ায় ভয়াবহ ভূমিধস: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১, নিখোঁজ অন্তত ৩০
- বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ল, বাজুসের নতুন ঘোষণা
- অস্ত্র হাতে ইসলামিক সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে কেন নাইজেরিয়ায় প্রবেশের ইঙ্গিত ট্রাম্পের
- জুলাই সনদ নিয়ে সরকারের মধ্যস্থতা, গোপন আলোচনায় কী ঘটছে
- টিভিতে আজকের ক্রীড়া সূচি
- ‘গোল্ডেন বুট’ হাতে, ‘গোলের বন্যা’ পায়ে
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- হাশরের ময়দান: যে অপরাধের জন্য পশু-পাখিরও বিচার হবে
- ০২ নভেম্বর: ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- হঠাৎ যমুনায় তিন বাহিনী প্রধানের আগমন নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে যা জানা গেল
- ওষুধ ছাড়াই হাতের ব্যথা সারান সহজ এই ব্যায়ামটি ঘরে বসেই করতে পারবেন
- রাশিয়ার অপ্রতিরোধ্য পারমাণবিক অস্ত্র পসাইডন ইউরোপের নিরাপত্তায় নতুন হুমকি
- সহজ কিছু টিপস মানলেই আমেরিকা ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে
- রাজনীতির স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করা হচ্ছে কড়া সমালোচনা সালাহউদ্দিন আহমদের
- যুবদল নেতার চাঁদাবাজির টাকা দিয়েই গণভোট সম্ভব: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর
- সোনার বাংলাদেশ নয় এবার 'খেলাফতের বাংলাদেশ' দেখতে চান মাওলানা মামুনুল হক
- নির্বাচন কমিশন কেকের মতো ভাগাভাগি হয়ে গেছে: হাসনাত
- আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শান্তর নতুন চক্রের সূচনা তিন অধিনায়কের যুগ বহাল
- ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সরকার বদ্ধপরিকর: ইসি আনোয়ারুল
- ১৪ বছরের প্রতীক্ষা শেষে খুলনায় আধুনিক কারাগার চালু ফুল দিয়ে বরণ করা হলো কয়েদিদের
- ধাপে ধাপে জানুন বিদেশ থেকে আনা হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের প্রক্রিয়া
- উপহার নিয়ে তোলপাড় ভারতে বাংলাদেশের 'বিকৃত' মানচিত্র প্রসঙ্গে দিল্লির জবাব
- কঠিন ব্যাকরণ নয় শিশুদের মতো করে ইংরেজি শেখার সহজ কৌশল শিখে নিন
- বিচার বিলম্বিত করার নতুন কৌশল নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনার মামলার রায় অনিশ্চিত
- ট্রাম্পের ৭,৫০০ শরণার্থী সীমা: যুক্তরাষ্ট্রের সীমাবদ্ধ অভিবাসন নীতির পুনরাবৃত্তি
- অভিনয় ছেড়ে শরীর নিয়েই বেশি চর্চা হয় কেন সিডনি সুইনি মুখ খুললেন নগ্ন দৃশ্য বিতর্কে
- তীব্র আর্থিক সংকটে অন্তর্বর্তী সরকার
- ফিলিস্তিনি বন্দির ওপর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস,শীর্ষ ইসরাইলি জেনারেলের পদত্যাগ
- বিশ্ব পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ে ভারতের বড় ধস
- ওষুধ নয় প্রাকৃতিক উপায়ে অ্যালার্জি কমাবে রান্নাঘরের ৭ সুপারফুড
- নির্বাচনের আগে গণভোট চায় না যারা তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়: জামায়াত নেতা
- ভারত কি পরামর্শ দেবে আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করতে যা জানা গেল দিল্লিতে
- চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আবারও পর্দায় পূজা চেরি
- নিম্ন-আয়ের মানুষের দুর্ভোগ গরিবের বরাদ্দ চাল নিয়ে 'চালবাজি' থামছে না
- বাংলাদেশ নেপাল শ্রীলঙ্কায় সরকার পরিবর্তন কেন হলো বিশ্লেষণ করলেন ভারতের এনএসএ
- বাংলাদেশকে নিয়ে অজিত দোভালের করা মন্তব্যে তোলপাড়
- ট্রাম্পের দেওয়া রুপার নেকলেস নিজের কাছে রাখতে মূল্য পরিশোধ করলেন কিয়ার স্টারমার
- অস্কার আলোচনায় সিডনি সুইনি: পর্দায় প্রতিভা, রেড কার্পেটে রূপের জাদু
- আপনার এনআইডিতে কয়টি সিম নিবন্ধিত জেনে নিন এখনই বন্ধ হতে পারে অতিরিক্ত সিম
- দীর্ঘমেয়াদি কাশি হতে পারে ফুসফুস ক্যান্সার জেনে নিন সতর্কতার সংকেত
- রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
- ২৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ প্রভাবে ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
- ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- আজকের বাজারের সেরা এবং খারাপ পারফরমার: লাভের সম্ভাবনা কোথায়?
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় বাবা হারানো: দুই শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্ত্রীর আকুল আবেদন
- ২৮ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৭ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ফখরুলের অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকার আস্থার সেতু ভেঙে দিয়েছে
- গ্যাস খাতে তিতাসের নতুন দিগন্ত








