মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার

তবে কি বাহরাইনের বন্ধ দুয়ার খুলতে চলছে?

মোঃ মাহির তালুকদার আলম
মোঃ মাহির তালুকদার আলম
বাহারাইন প্রতিনিধ
মধ্যপ্রাচ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ০৩ ২২:০৭:৪৪
তবে কি বাহরাইনের বন্ধ দুয়ার খুলতে চলছে?

অবশেষে প্রায় সাত বছর পর মধ্যপ্রাচ্যের দ্বীপ দেশ বাহরাইনে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা এই শ্রমবাজারটি পুনরায় চালুর বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. রইস হাসান সারোয়ার।

গত ১ জুন বাহরাইনের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স সালমান বিন হামাদ আল খলিফার সঙ্গে রিফা প্রাসাদে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন রাষ্ট্রদূত সারোয়ার। তিনি সাক্ষাৎ শেষে জানান, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বাহরাইনের শ্রমবাজার পুনরায় চালুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সালমান সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই বিষয়টি দ্রুত সমাধানে তাঁর মন্ত্রিসভার একজন সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত মো. রইস হাসান সারোয়ার এ সময় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শুভেচ্ছা বার্তা বাহরাইনের যুবরাজের কাছে পৌঁছে দেন। যুবরাজ সালমান বিন হামাদ আল খলিফা বৈঠকে বাহরাইনে কর্মরত বাংলাদেশি কমিউনিটির ইতিবাচক ভূমিকা ও কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।

এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান এ.কে.এম. মহিউদ্দিন কায়েস। বাহরাইনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী হামাদ বিন ফয়সাল আল মালকি, ক্রাউন প্রিন্সের আদালতের প্রধান শেখ সালমান বিন আহমেদ আল খলিফা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হামাদ আল মাহমুদ।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর থেকে বাহরাইনে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন অনিয়ম, নিয়োগে জালিয়াতি ও শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কারণে শ্রমবাজারে স্থবিরতা দেখা দেয়। এতে বাংলাদেশিদের জন্য ওই দেশে কাজের নতুন সুযোগ বন্ধ হয়ে যায় এবং রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

তবে সর্বশেষ কূটনৈতিক আলোচনায় যে আশার সঞ্চার হয়েছে, তা সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বড় অর্জন হবে। এতে শুধু কর্মসংস্থানই নয়, রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় পরিবর্তন আনার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


আমিরাতে ব্যাংকিংয়ে আর লাগবে না ‘ওটিপি’

মধ্যপ্রাচ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১১:৫৮:৫৭
আমিরাতে ব্যাংকিংয়ে আর লাগবে না ‘ওটিপি’
ছবি : সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাংকগুলো তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে। এখন থেকে লেনদেনের জন্য এসএমএস বা ই-মেইলে পাঠানো ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপির ওপর আর ভরসা করছে না তারা। এর বদলে ব্যাংকিং অ্যাপের ভেতর থেকেই লেনদেন অনুমোদনের নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ফিশিং, সিম-সোয়াপ জালিয়াতি এবং ওটিপি চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এসএমএসভিত্তিক যাচাইকরণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছিল। এসব নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতেই ব্যাংকগুলো নতুন এই প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে।

নতুন পদ্ধতিতে গ্রাহকদের কার্ড পেমেন্ট সরাসরি ব্যাংকিং অ্যাপের ভেতরেই অনুমোদন দিতে হবে। মোবাইলে একটি পুশ নোটিফিকেশন আসবে এবং সেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস আইডি বা স্মার্ট পাস পিন ব্যবহার করে লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। এতে বাইরের কোনো মেসেজের ওপর নির্ভর করতে হয় না, ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি ব্যাংকের নিরাপদ সিস্টেমের মধ্যেই থাকে।

খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমিরেটস এনবিডি ইতিমধ্যে এই অ্যাপভিত্তিক যাচাইকরণ ব্যবস্থা চালু করেছে। এখন অনলাইনে পেমেন্টের সময় কার্ডের তথ্য দেওয়ার পর আগের মতো আর ওটিপি পপ-আপ দেখা যায় না। এর বদলে পেমেন্ট স্ক্রিনে একটি বার্তা আসে, যেখানে অ্যাপ দিয়ে লেনদেন অনুমোদন করতে বলা হয়।

পেমেন্ট করার সময় ব্যাংক একটি এসএমএস পাঠিয়ে গ্রাহককে জানায় যে একটি লেনদেন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এরপর গ্রাহককে ব্যাংকের অ্যাপে লগইন করে ‘অ্যাক্টিভিটিজ’ বিভাগে গিয়ে সেই লেনদেনটি যাচাই করতে হয়।

অ্যাপে লগইন করার পর একটি নোটিফিকেশন বা ‘পেন্ডিং পেমেন্ট’ অপশন দেখা যায়। সেখানে ট্যাপ করলে লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য যেমন দোকান বা প্রতিষ্ঠানের নাম এবং টাকার পরিমাণ ভেসে ওঠে। গ্রাহক চাইলে এটি অনুমোদন বা বাতিল করতে পারেন।

নিরাপত্তার স্বার্থে এই ধাপে দুই মিনিটের একটি কাউন্টডাউন টাইমার থাকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে অনুরোধটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। গ্রাহক লেনদেনটি অনুমোদন করলে অ্যাপটি তার স্মার্ট পাস পিন চায় এবং পিন সঠিক হলে পেমেন্ট সম্পন্ন হয়।

গত ২৫ জুলাই থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাংকগুলো ধাপে ধাপে এই পরিবর্তন শুরু করেছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং নিরাপত্তা জোরদার করার অংশ হিসেবে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ব্যাংকগুলো পুরোপুরি এসএমএস ও ই-মেইলভিত্তিক ওটিপি ব্যবহার বন্ধ করে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে

সূত্র : খালিজ টাইমস


গাজায় থামছে না মৃত্যুর মিছিল: এক বাড়ি থেকেই মিলল ৩০ লাশ 

মধ্যপ্রাচ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ০৯:০০:১২
গাজায় থামছে না মৃত্যুর মিছিল: এক বাড়ি থেকেই মিলল ৩০ লাশ 
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের পশ্চিম গাজা সিটির একটি বিধ্বস্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে একই পরিবারের ৩০ জন সদস্যের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে যা আবারও যুদ্ধের ভয়াবহতা ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতকে সামনে এনেছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে যে আল-রিমাল এলাকায় অবস্থিত ওই বাড়িটিতে ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় সালেম পরিবারের এই সদস্যরা প্রাণ হারিয়েছিলেন। উদ্ধারকর্মীদের আশঙ্কা ওই ভয়াবহ হামলায় সালেম পরিবারের প্রায় ৬০ জন সদস্য নিহত হয়ে থাকতে পারেন যার মধ্যে ৩০ জনের লাশ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং বাকিদের সন্ধানে এখনো তল্লাশি চলছে।

সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে যে গাজাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজারো ফিলিস্তিনির মরদেহ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে তারা যে নতুন ও সংগঠিত উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে তার প্রথম স্থান ছিল সালেম পরিবারের এই বাড়িটি। সংস্থাটি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছে যে তাদের হাতে পর্যাপ্ত ভারী যন্ত্রপাতি নেই এবং মাত্র একটি এক্সকাভেটর ও অত্যন্ত সীমিত সরঞ্জাম ব্যবহার করেই তারা ধ্বংসস্তূপ সরানোর এই কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে বর্তমানে গাজার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ দখলে রয়েছে এবং গত ১০ অক্টোবর থেকে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও দখলদার বাহিনী বারবার তা লঙ্ঘন করে উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে হামলা অব্যাহত রেখেছে।

ভয়াবহ এই মানবিক বিপর্যয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের সিংহভাগই নারী ও শিশু এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও এমন সহিংসতা এবং ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দীর্ঘদিন পর একের পর এক লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গাজাবাসীর মনে নতুন করে আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


গাজায় যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও চলছে ইসরায়েলি হামলা, ঝরছে রক্ত

মধ্যপ্রাচ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৪ ০৯:২১:১১
গাজায় যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও চলছে ইসরায়েলি হামলা, ঝরছে রক্ত
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি বজায় থাকার কথা থাকলেও তা লঙ্ঘন করে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার ৩ ডিসেম্বর চালানো এসব হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার আল মাওয়াসি ক্যাম্পে বোমা হামলায় আগুন লেগে বেশ কয়েকটি তাঁবু পুড়ে যায় এবং সেখানেই পাঁচজন নিহত হন। চিকিৎসকরা জানান নিহত শিশুদের বয়স আট ও দশ বছর। এছাড়া উত্তর গাজার জেইতুন এলাকায় ইসরায়েলি বন্দুকধারীদের গুলিতে আরও দুই ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি দক্ষিণ রাফায় হামাস তাদের যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়ে চার সেনাকে আহত করার পরই এই পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগেই কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। হামাস আল মাওয়াসিতে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং মধ্যস্থতাকারী মিশর কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর লাগাম টানার দাবি জানিয়েছে।

এদিকে রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল তবে সেখানে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কঠিন শর্ত। তেল আবিব জানিয়েছে এই ক্রসিং দিয়ে কেবল গাজার বাসিন্দারা উপত্যকা ত্যাগ করতে পারবেন কিন্তু কোনো ত্রাণ বা সহায়তা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে মিশর এই সিদ্ধান্তকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শান্তি পরিকল্পনার পরিপন্থী ও একতরফা আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে। মার্কিন পরিকল্পনায় ছিল রাফাহ সীমান্ত উভয় দিকের চলাচলের জন্যই উন্মুক্ত থাকবে।

এর মধ্যেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী আরও এক ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস। স্থানীয় সময় বুধবার বেইত লাহিয়ায় সংগঠনটির সদস্যরা রেডক্রসের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে যা পরে ইসরায়েলে পৌঁছে দেওয়া হয়। গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৫৯১ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে যার ফলে কমপক্ষে ৩৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯২২ জন আহত হয়েছেন।


যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি হামলা

মধ্যপ্রাচ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৩ ০৮:৪৮:০৯
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি হামলা
ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি জারি থাকা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের গাজায় ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে একজন সাংবাদিক ও একটি শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়েছে ইসরায়েল ট্যাংক ও ড্রোন থেকে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে এবং এতে বারবারই লঙ্ঘিত হচ্ছে যুদ্ধবিরতি যা হতাহত ও ধ্বংসযজ্ঞ বাড়িয়ে তুলছে।

গাজার চিকিৎসা সূত্র জানায় গাজা সিটির আল তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে দুজন নিহত হন যার মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। আহত ১৫ জনকে আল আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পূর্ব গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় ইসরায়েলি গুলিতে আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত হন। পরবর্তীতে খান ইউনিসের কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ফটোসাংবাদিক মাহমুদ ওয়াদি নিহত হন। চিকিৎসকরা জানান যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে যে এলাকা ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন হিসেবে চিহ্নিত নয় সেই জায়গায় ড্রোন হামলায় তিনি প্রাণ হারান। ওয়াদির বাবা ইসসাম আক্ষেপ করে বলেন মাহমুদ নিরাপদ এলাকায় ছবি তুলছিল কিন্তু ইসরায়েল কোনো অঙ্গীকার বা প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না।

গাজা সিটির কেন্দ্রীয় অংশের আল দারাজ স্কুলে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে নারীসহ আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন। ওই স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। গাজা সিভিল ডিফেন্স বলছে আল তুফাহ এলাকায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় উত্তরের বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী বহু ভবন ও স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায় গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৫৬ জন নিহত এবং আরও ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গাজা গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস জানায় ওয়াদি নিহত হওয়ার পর গাজায় সাংবাদিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৭ জনে। তারা অভিযোগ করেছে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের ওপর বুঝেশুনে হামলা ও টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।


ইরানের হাতে এল বিশাল এক নতুন স্বর্ণভাণ্ডার

মধ্যপ্রাচ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০২ ১৪:৩৮:২৩
ইরানের হাতে এল বিশাল এক নতুন স্বর্ণভাণ্ডার
ছবি: বর্ণা নিউজ

ইরান তাদের অন্যতম বৃহৎ স্বর্ণখনিতে বিশাল নতুন স্বর্ণভাণ্ডার আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে যা দেশটির অর্থনীতির জন্য এক বড় সুখবর হিসেবে দেখা হচ্ছে। সোমবার ১ ডিসেম্বর স্থানীয় গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ হয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশে অবস্থিত বেসরকারি মালিকানাধীন শাদান স্বর্ণখনিতে নতুন এই শিরা কাঠামো পাওয়া গেছে।

ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সি একে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খনিগুলোর একটি হিসেবে বর্ণনা করেছে। এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নতুন মজুদগুলো শিল্প খনি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে যাচাই করেছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে শাদান স্বর্ণখনির প্রমাণিত মজুদ বিশাল স্বর্ণশিরা আবিষ্কারের পর উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে রয়েছে ৭ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন টন অক্সাইড স্বর্ণ আকরিক এবং ৫৩ দশমিক ১ মিলিয়ন টন সালফাইড স্বর্ণ আকরিক। অক্সাইড আকরিক সাধারণত উত্তোলন করা তুলনামূলকভাবে সহজ ও কম ব্যয়বহুল হওয়ায় এটি ইরানের জন্য বাড়তি সুবিধাজনক।

ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে তার জাতীয় স্বর্ণের মজুদের পরিমাণ প্রকাশ করেনি তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্বর্ণ কেনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে বলে তারা দাবি করে। গত সেপ্টেম্বর ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মোহাম্মদ রেজা ফারজিন বলেন ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশ্বে সর্বাধিক স্বর্ণক্রয়কারী পাঁচ ব্যাংকের একটি ছিল। স্থানীয় গণমাধ্যম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা ইয়েকতা আশরাফির উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপের মধ্যে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে স্বর্ণের মজুদ বাড়ানো সহায়ক হবে।

ইরানে মোট ১৫টি স্বর্ণখনি রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের জারশোরান খনি। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো তেহরানের বিরুদ্ধে পরমাণু কর্মসূচির সামরিকীকরণের অভিযোগ আনার পর আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় ইরানের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার পর শুরু হওয়া ১২ দিনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সাময়িকভাবে ইসরায়েলের সাথে ইরানের পরমাণু স্থাপনা লক্ষ্য করায় দেশের অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। অত্যধিক মুদ্রাস্ফীতি এবং রিয়ালের অবমূল্যায়নের কারণে ক্রমাগত ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় অনেক ইরানির কাছে স্বর্ণ একটি নিরাপদ সম্পদ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ডলার অনানুষ্ঠানিক বাজারে প্রায় ১১ দশমিক ৭ লাখ রিয়াল এবং ইউরো প্রায় ১৩ দশমিক ৬ লাখ রিয়ালে লেনদেন হয়েছে।

সূত্র: এএফপি


হামাস সদস্যকে অপহরণের ছক কষতে গিয়ে প্রাণ হারালেন চার গুপ্তচর

মধ্যপ্রাচ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০১ ১৮:০৮:২৬
হামাস সদস্যকে অপহরণের ছক কষতে গিয়ে প্রাণ হারালেন চার গুপ্তচর
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজা শহর। ছবি: সংগৃহীত

উত্তর গাজায় ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার সময় চারজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। সোমবার ১ ডিসেম্বর গ্রুপটির সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডস তাদের অফিশিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে শত্রু ইসরায়েলের হয়ে কাজ করা এবং হামাসের একজন সদস্যকে অপহরণের চেষ্টা করা চারজন গুপ্তচরকে গাজায় হত্যা করা হয়েছে। হামাস আরও জানায় নিহতদের কাছ থেকে অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে তবে তাদের পরিচয় বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তুর্কিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত ১১ অক্টোবর থেকে গাজায় মার্কিন মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও উত্তেজনা কমেনি। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি গণহত্যার যুদ্ধে অঞ্চলজুড়ে নিহতের সবশেষ সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে এবং অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

চলতি বছরের শুরুতেও একটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরায়েল গত ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছিল। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ প্রকট হয়ে উঠেছিল। ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যায়। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয় এবং সেই সঙ্গে দুর্ভিক্ষে শিশুসহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়।

আইনি প্রেক্ষাপটে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি হয়েছে।


যুদ্ধবিরতির নামে বিশ্বকে বোকা বানাচ্ছে ইসরায়েল, অ্যামনেস্টির ভয়ংকর রিপোর্ট

মধ্যপ্রাচ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৭ ২০:২৯:৩৯
যুদ্ধবিরতির নামে বিশ্বকে বোকা বানাচ্ছে ইসরায়েল, অ্যামনেস্টির ভয়ংকর রিপোর্ট
অ্যামনেস্টির পতাকা ও গাজার বিধ্বস্ত জনপদ। ছবি : সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন হামলা সহায়তা প্রবেশে বাধা এবং সীমাবদ্ধতা আরোপের ঘটনায় ইসরায়েল এখনো গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বৃহস্পতিবার ২৭ নভেম্বর এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায় ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গত সাত সপ্তাহে ইসরায়েল এটি ৫০০ বারের বেশি লঙ্ঘন করেছে যার ফলে ৩৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮৮৯ জন।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অ্যামনেস্টির এই বিবৃতি দেওয়ার সময়েই ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে নতুন বিমান হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে বুড়েইজ শরণার্থী ক্যাম্প এবং খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল রয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি বাহিনীর অপসারণ সীমার বাইরে অবস্থিত ছিল।

অ্যামনেস্টির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন ইসরায়েল তার যুদ্ধাপরাধের প্রভাব কমাতে কোনো গুরুতর পদক্ষেপ নেয়নি বরং মানবিক সহায়তা আটকে রেখে এবং প্রয়োজনীয় সেবায় বাধা দিয়ে গাজাবাসীর শারীরিক ধ্বংস নিশ্চিত করার নীতিই অব্যাহত রেখেছে। তিনি বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে বলেন বিশ্বকে প্রতারিত হওয়া যাবে না কারণ ইসরায়েলের গণহত্যা শেষ হয়নি।

গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে এই নতুন হামলাগুলো সাত সপ্তাহব্যাপী নাজুক যুদ্ধবিরতির প্রকাশ্য লঙ্ঘন। আল জাজিরা আরও জানিয়েছে গাজায় হামলার পাশাপাশি দখলকৃত পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায়ও ইসরায়েলি বাহিনী নতুন করে অভিযান ও গ্রেপ্তার চালিয়েছে। এর মধ্যে ক্বালকিলিয়া তুবাস হেবরন তুলকারে ও নাবলুসে তল্লাশি হামলা ও গণগ্রেপ্তার চালানো হয়েছে বলে খবরে উঠে এসেছে।


গাজায় সুড়ঙ্গ থেকে বের হতেই ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারালেন হামাসের যোদ্ধারা

মধ্যপ্রাচ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২২ ০৯:৪৯:৪৮
গাজায় সুড়ঙ্গ থেকে বের হতেই ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারালেন হামাসের যোদ্ধারা
ছবিঃ সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়ে হামাসের পাঁচ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। গত শুক্রবার এই হামলা চালানো হয়। গত মাসে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও রাফায় হামাসের প্রায় ২০০ যোদ্ধা আটকা পড়েছেন এবং তাঁরা বর্তমানে সুড়ঙ্গের ভেতর অবস্থান নিয়ে আছেন। যে যোদ্ধাদের ইসরায়েল হত্যা করেছে তাঁরা সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে এসেছিলেন বলে টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফের নাহাল ব্রিগেড এই হামলা পরিচালনা করে। তাদের দাবি হামাসের যোদ্ধারা সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে ইসরায়েলি সেনাদের দিকে এগিয়ে আসছিল। দখলদার বাহিনী বলেছে তাঁরা এমনভাবে আসছিল যা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠেছিল আর এ কারণেই তাঁদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির পরও রাফার প্রায় পুরো অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। এ কারণে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের যোদ্ধারা সেখানে আটকে যান। তাঁদের জীবিত বের করে গাজার অভ্যন্তরে বা অন্য কোনো দেশে পাঠানোর বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর আলোচনা চলছিল। কিন্তু এরই মধ্যে পাঁচজনকে হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী।

এর আগে ইসরায়েল শর্ত দিয়েছিল হামাসের আটকে থাকা ২০০ যোদ্ধাকে তাদের কাছে প্রথমে আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং এরপর তাদের ছাড়া হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কয়েকজনকে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু দখলদারদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে হামাস স্পষ্ট জানিয়েছিল যে তাদের যোদ্ধারা কোনোভাবেই আত্মসমর্পণ করবে না।


ইসরায়েলের গোপন ফাঁদেই উল্টো ধরা, ইরানের যে কৌশলে বোকা বনেছিল ইসরায়েল

মধ্যপ্রাচ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৯:০৬:৪৮
ইসরায়েলের গোপন ফাঁদেই উল্টো ধরা, ইরানের যে কৌশলে বোকা বনেছিল ইসরায়েল
ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরায়েল বহু বছর ধরেই ইরানের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে একটি গোপন জাল বিস্তার করে আসছিল। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল ইরানের ভেতরে ড্রোন ঘাঁটি তৈরি করা, গোপনে অস্ত্রশস্ত্র পাঠানো এবং কমান্ডো পাচার করা। সব মিলিয়ে, ইসরায়েল একটি বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুত ছিল।

কিন্তু গত জুন মাসে ইরানের ওপর চালানো অতর্কিত হামলার কড়া জবাব দিয়ে আয়াতুল্লাহ খামেনির দেশ এটিও প্রমাণ করে দেয় যে, তারাও পাল্টা আঘাত হানার জন্য প্রস্তুত ছিল।

ইসরায়েলের 'লোহার দুর্গ' হিসেবে পরিচিত আয়রন ডোম প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে ইরানের আক্রমণে একটি ইসরায়েলি সদর দপ্তর ধ্বংস হয়ে যায়। ইসরায়েল যে ফাঁদ পেতেছিল, উল্টো তারাই ইরানের এক ধরনের 'পটকা' ফাঁদে আটকা পড়ে।

সামরিক পরিভাষায় এই কৌশলকে 'ডিকয় ক্ষেপণাস্ত্র' বা ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে প্রতারণা বলা হয়। এই কৌশলের মাধ্যমে ইসরায়েলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে মুহূর্তের মধ্যে দুর্বল করে ফেলা সম্ভব হয়েছিল। খোদ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালও এই তথ্য প্রকাশ করেছিল।

এই ডিকয় বা ভুয়া ক্ষেপণাস্ত্রটি দেখতে হুবহু আসল ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই এবং এটি একই রকম আচরণ করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো শত্রুপক্ষের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করা।

এই কৌশলটি যেভাবে কাজ করে তা হলো—আসল ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সময়ই তার সঙ্গে ধাতব 'পটকা' বা ডিকয় নিক্ষেপ করা হয়, যা থেকে তীব্র আগুন বের হতে থাকে। ইসরায়েলের আয়রন ডোমের মতো স্বয়ংক্রিয় প্রতিরাব্যবস্থাগুলো এই ধাতব বস্তুকে শনাক্ত করে এবং সেটিকে আসল ক্ষেপণাস্ত্র বলে মনে করে।

যখনই সেটিকে আসল ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সেটিকে ধ্বংস করার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মারে। এভাবে যখন প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ওই ধাতব পটকার দিকে ছুটে যায় বা সেটিকে ধ্বংস করে, ঠিক সেই মুহূর্তে আয়রন ডোমের অস্ত্রভাণ্ডার খালি হতে শুরু করে। এই সুযোগেই আসল ক্ষেপণাস্ত্রটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে তার নির্ধারিত লক্ষ্যে আঘাত হানে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইসরায়েলের আয়রন ডোম থেকে একবার প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়ে গেলে, সেটি পুনরায় লোড করতে প্রায় ১০ থেকে ১১ মিনিট সময় প্রয়োজন। কিন্তু ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আয়রন ডোমে শনাক্ত হওয়ার মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যেই ইসরায়েলের মাটিতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই সময়ের ব্যবধানের কারণেই ইসরায়েল সেই হামলায় ধরাশায়ী হয়।

ইসরায়েলকে সেই ঘটনায় পরাজিত করতে পারলেও, ইরান এখন আরও বেশি সতর্ক এবং নিজেদের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। দেশটি সম্প্রতি সব আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে ঘোষণা দিয়েছে যে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অগ্রগতি যেকোনো মূল্যে অব্যাহত থাকবে এবং এর পাল্লা কোনোভাবেই সীমিত করা হবে না।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত