শরিফ হাদীর ওপর হামলায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তারেক রহমানের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১৮:২৪:৩৬
শরিফ হাদীর ওপর হামলায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তারেক রহমানের
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদীর ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনার ষষ্ঠ দিনের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই তিনি এই নিন্দা জানান। বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, রাজধানীর পল্টন এলাকায় দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এই ঘটনাকে তিনি নৃশংস ও গভীরভাবে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতপ্রকাশ ও গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত একজন ব্যক্তির ওপর এমন সহিংস হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ও আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে নতুন করে শঙ্কা তৈরি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ছাত্রদলসহ বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান, যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হামলার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

তারেক রহমান আরও বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এতে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সহিংসতা প্রতিরোধে ইতিবাচক বার্তা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদী। ঘটনার পর তাঁকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থাকে আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন।

-রফিক


চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১৮:১৬:৫৮
চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোশতাক আহমেদ জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান বিন হাদীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে এবং বর্তমানে তিনি গভীর অচেতন অবস্থায় রয়েছেন, যা চিকিৎসা পরিভাষায় কোমা হিসেবে বিবেচিত হয়।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে আহত অবস্থায় শরিফ ওসমান বিন হাদীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের পর চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট এলাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদীর ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, অজ্ঞাত পরিচয়ের অস্ত্রধারীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা এবং তাঁর সমর্থকেরা হাসপাতালে জড়ো হতে শুরু করেন। তারা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন।

ঢামেক হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা জানান, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সরাসরি অংশ নেওয়া একজন প্রার্থীর ওপর এমন হামলা শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং এটি পুরো আন্দোলন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। তারা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন।

-রাফসান


ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১৬:০৪:০৭
ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসন থেকে প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সশস্ত্র হামলার শিকার হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে তিনি আহত হন। পরে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে জানান, ঘটনাটি নিশ্চিতভাবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা এবং প্রার্থীর শারীরিক অবস্থা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়লে ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করতে থাকেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, দুপুর ২টা ২৫ মিনিটের দিকে তিনটি মোটরসাইকেলে চড়ে আসা দুর্বৃত্তরা হাদির অবস্থান শনাক্ত করে। তাদের একটি মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। হামলার পর তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।

পুলিশ বলছে, হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখনো কোনো গ্রেপ্তার বা সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা যায়নি। কর্তৃপক্ষ হামলার যথাযথ তদন্তে গুরুত্ব দিচ্ছে।


যে আসনের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন আসিফ মাহমুদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১২:৩২:৩১
যে আসনের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন আসিফ মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-১০ সংসদীয় আসন থেকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, দলীয় পরিচয়ের বাইরে থেকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছেন।

ভিডিও বার্তায় আসিফ মাহমুদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনীতিতে যে নতুন প্রত্যাশা ও গণআকাঙ্ক্ষার জন্ম হয়েছে, সেটির প্রতিনিধিত্ব করতেই তিনি সরাসরি জনগণের রায়ে নিজেদের অবস্থান যাচাই করতে চান। তাঁর ভাষায়, এই নির্বাচন কেবল ব্যক্তিগত নয়, বরং একটি প্রজন্মের রাজনৈতিক দায়িত্ব গ্রহণের প্রতিফলন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত ছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের শুরুতেই তাঁকে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা তরুণ নেতৃত্বকে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার একটি ব্যতিক্রমী নজির হিসেবে বিবেচিত হয়।

দায়িত্বকালে তিনি একাধিক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। প্রথম পর্যায়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বও তাঁর ওপর ন্যস্ত ছিল।

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাঁর পদত্যাগের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণের পথ উন্মুক্ত হয়।

-শরিফুল


বিএনপি ধর্মের নামে বিভাজন চায় না: সালাহউদ্দিন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১১:৪৩:৫৫
বিএনপি ধর্মের নামে বিভাজন চায় না: সালাহউদ্দিন
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা বা ধর্মের নামে সমাজে বিভাজন তৈরি করা বিএনপির অবস্থান নয়। তার মতে, দেশের কিছু রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে বিএনপিবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে, যা রাজনৈতিকভাবে অসৎ ও বিভাজনমূলক। শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক ধারাবাহিক কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনের উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

সালাহউদ্দিন বলেন, একাত্তরের চেতনা নিয়ে যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ব্যবসা করতে চেয়েছে, তারা শেষ পর্যন্ত জনসমর্থন হারিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় সম্পদে পরিণত করা সঠিক ছিল না এবং এর ফলে জাতীয় ইতিহাসের একটি মহান অধ্যায় দলীয় স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে ঘটে যাওয়া ‘হত্যাযজ্ঞ, দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও গণতন্ত্রহীনতা’ দেশবাসীর স্মৃতি থেকে মুছে ফেলার সুযোগ নেই, কারণ এগুলো দেশের রাজনৈতিক সংকটের গভীর মূল তুলে ধরে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির কৌশল সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, দলটি আবেগের জায়গা থেকে নয়, বরং সুস্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার ভিত্তিতে এগোতে চায়। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান কোনো স্বল্পমেয়াদি আন্দোলনের ফল নয়; বরং এটি দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের সংগ্রামের সংকুচিত প্রতিফলন, যেখানে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষোভের সঞ্চিত শক্তি একীভূত হয়েছিল।

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দেশের ভেতরে যে মানসিক দ্বিধা দেখা গেছে, সে বিষয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে ভারাক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও নানা পক্ষকে শেষ পর্যন্ত এটি স্বাগত জানাতে হয়েছে। কারণ, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য নির্বাচনই একমাত্র কার্যকর পথ, এবং বিএনপিও সেই বাস্তবতা উপলব্ধি করে দায়িত্বশীল ভূমিকায় থাকতে চায়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশ বিভাজনমুখী রাজনীতি নয়, বরং সমন্বিত পরিকল্পনা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে এগোলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনরুদ্ধার সম্ভব।

-রফিক


কাফনের কাপড়ে বিএনপির মিছিল, পটুয়াখালী-২ তে তোলপাড়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ২০:২০:৫৩
কাফনের কাপড়ে বিএনপির মিছিল, পটুয়াখালী-২ তে তোলপাড়
ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে নাটকীয় মোড় নিয়েছে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি। মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে বৃহস্পতিবার বিকেলে কাফনের কাপড় পরিধান করে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন উপজেলা ও পৌর বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী। বাউফল পৌর শহরের পাবলিক মাঠ সংলগ্ন উপজেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া এই মিছিল শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার মৃধা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ ডিসেম্বর ঘোষিত বিএনপির ৩৬ আসনের প্রার্থী তালিকায় পটুয়াখালী-২ আসনে সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মনোনয়নবঞ্চিত নেতা মুনির হোসেন ও একেএম ফারুক আহমেদ তালুকদারের অনুসারীরা। প্রথমে সড়ক অবরোধ, পরে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল—এবার তারা কাফনের কাপড় পরে রাজপথে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, মনোনীত প্রার্থী দীর্ঘ ১৬ বছর স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় ছিলেন এবং অতীতে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে গিয়ে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত প্রার্থীর জন্য কাজ করেছিলেন। তাদের দাবি, এমন প্রার্থীকে তৃণমূল কোনওভাবেই মেনে নেবে না।

মিছশেষ সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার মৃধা বলেন, “যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদেরও প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। দীর্ঘদিন দলের আন্দোলন-সংগ্রামে তাকে দেখা যায়নি। তৃণমূল তাকে গ্রহণ করবে না। আমরা মনোনয়ন অবিলম্বে বাতিল চাই।”

ফারুক আহমেদের অনুসারী পৌর বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ পলাশ বলেন, “যার সঙ্গে দলের কোনো আদর্শগত বা সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই, তাকে আমরা মানতে পারি না। শারীরিকভাবেও তিনি সুস্থ নন। তাকে মনোনয়ন দিলে এ আসনে বিজয় প্রায় অসম্ভব।”

-শরিফুল


কুমিল্লা ৪ এ বিএনপি প্রার্থীর ভিডিও ভাইরাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৫:২০:৩৩
কুমিল্লা ৪ এ বিএনপি প্রার্থীর ভিডিও ভাইরাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা ৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর একটি বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নির্বাচনি প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি গোপালনগর ভূইয়া বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন, যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।

ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায় যে, গত ১৭ বছর স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলতে হয়েছে কেবলমাত্র এলাকা ও নেতাকর্মীদের নিরাপদ রাখতে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি যদি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক অংশীদারদের সঙ্গে এমন সমঝোতায় না যেতেন, তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানান মামলা দিয়ে হয়রানি করা হতো এবং অনেকেই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হতেন।

ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ফেসবুকে বহু ব্যবহারকারী তার বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে মন্তব্য করেন যে এ ধরনের স্বীকারোক্তি অতীত রাজনীতির চরিত্রকে উন্মোচিত করে দেয় এবং দলীয় অবস্থানকে প্রশ্নের মুখে ফেলে।

ভিডিওতে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীকে আরও বলতে শোনা যায় যে ১/১১ সময়ে তাকে দেবিদ্বার থানায় হাতকড়া পরিয়ে এক টুকরো গেঞ্জি পরে ঘোরানো হয়েছিল, তবুও তিনি এখানকার মানুষদের ছেড়ে যাননি। তিনি বলেন, বয়স বাড়লেও এলাকার প্রতি দায়িত্ববোধ কমেনি, তবে সময় ও পরিস্থিতির কারণে বহু প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব হয়নি।

ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আফফান বিন আব্দুস সালাম নামে একজন লিখেছেন যে এমন মনোভাব ভবিষ্যতেও ‘তাল মিলিয়ে চলার’ ইঙ্গিত দেয় এবং দেবিদ্বারের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। অন্যদিকে গোলাম রাসুল মন্তব্য করেছেন যে এলাকায় বালু টেক সরানো না যাওয়ার ব্যাখ্যাও এই স্বীকারোক্তিতে পাওয়া যায়। মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন যে সত্য কখনো চাপা থাকে না; নিজের আচারকে স্বাভাবিক করতে গিয়ে প্রার্থী এখন আরও যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন।

গত ৩ নভেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কুমিল্লা ৪ (দেবিদ্বার) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর নাম ঘোষণা করেন। তিনি দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি।

-রাফসান


কাদের মোল্লার অবদান স্মরণে জামায়াত আমিরের আবেগঘন বক্তব্য

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৪:৩৬:৫২
কাদের মোল্লার অবদান স্মরণে জামায়াত আমিরের আবেগঘন বক্তব্য
ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমান দলের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও প্রখ্যাত সাংবাদিক আবদুল কাদের মোল্লার অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি কাদের মোল্লাকে দেশের ইসলামী আন্দোলন, রাজনীতি, বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গন ও সামাজিক চিন্তাচেতনায় এক সুদীর্ঘ সময় ধরে প্রভাব বিস্তারকারী নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কাদের মোল্লা শহীদ হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত দেশে ইসলামী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। তিনি শুধু রাজনৈতিক সংগঠকই নন, বরং একজন লেখক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ হিসেবে বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক চিন্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটিতে দায়িত্ব পালন করে তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর লেখনি দেশের মানুষের বিবেকবোধকে নাড়া দিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল বলেও মন্তব্য করেন জামায়াত আমির।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ২০১০ সালের ১৩ জুলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় আবদুল কাদের মোল্লাকে গ্রেপ্তারের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ আনা হয়। প্রথমে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলেও শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের দাবির পর আইন সংশোধন করে মামলাটি আপিলে গড়িয়ে দেওয়া হয় এবং শেষ পর্যন্ত তাকে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তিনি উল্লেখ করেন, কাদের মোল্লাকে আপিলের ন্যায্য সুযোগ দেওয়া হয়নি এবং রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা ১ মিনিটে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। প্রায় দেড় বছর পর রিভিউর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়, যা পুরো বিচারপ্রক্রিয়ার বৈধতা ও ন্যায়সংগততা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

জামায়াত আমির বলেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে কাদের মোল্লা নিজেকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন এবং জানান যে তাঁর রক্ত ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের আরও অনুপ্রাণিত করবে। তিনি ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখার আহ্বানও জানিয়ে যান।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা তাঁর ত্যাগ, অবদান ও আদর্শকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। তিনি যে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন রেখে গেছেন, তা বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই। তিনি জামায়াতের জনশক্তি, শুভাকাঙ্ক্ষী ও দেশবাসীর প্রতি সেই লক্ষ্য অর্জনে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

-শরিফুল


নেতা দেশে পা রাখলে পুরো বাংলাদেশ উন্মাদনায় কেঁপে উঠবে: ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৪:২৮:৫৫
নেতা দেশে পা রাখলে পুরো বাংলাদেশ উন্মাদনায় কেঁপে উঠবে: ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খুব শিগগির দেশে ফিরছেন—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নেতা দেশে ফিরে পা রাখার মুহূর্তে যেন পুরো বাংলাদেশ আন্দোলনের উন্মাদনায় কেঁপে ওঠে। তিনি জানান, সেই ঐতিহাসিক দিনের জন্য এখন থেকেই সংগঠনের প্রতিটি স্তরকে মানসিক ও সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিজয়ের মাস উপলক্ষে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিএনপির বিভিন্ন বিভাগীয় সাংগঠনিক ইউনিটের হাজারো নেতা উপস্থিত ছিলেন, যা আসন্ন নির্বাচনের আগে দলটির শক্তি–সংহতির স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে।

ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে যে নীতি, দর্শন ও উন্নয়ন ভাবনা লালন করছেন, সেটিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার উপযুক্ত সময় এখন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে পূর্ণাঙ্গ বিজয় অর্জন করতেই হবে, কারণ এই নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের মোড় ঘোরানোর এক বিরল সুযোগ।

তিনি আরও জানান, বিএনপির বিরুদ্ধে অপতৎপরতা, ভুল ব্যাখ্যা ও নেতিবাচক প্রচারণা অব্যাহত থাকলেও দলকে দৃঢ় মনোবল ও সংগঠনের শক্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। তার ভাষায়, “বিএনপি কখনো পরাজিত হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। কারণ এই দল জনগণের দল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক দল।” তিনি জোর দেন যে বিএনপিকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যাবে জাতীয়তাবাদী আদর্শ ও নেতাকর্মীদের অটুট ঐক্য।

সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আজ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার কথা। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতের ভিত্তিতে একটি প্রতিনিধিত্বশীল পার্লামেন্ট গঠনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি দাবি করেন, নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের নেতৃত্বে থাকবেন তারেক রহমান।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলের নির্বাচনগুলো অতীত হয়ে গেছে। এবার সত্যিকার অর্থে জনগণের ভালোবাসা, আস্থা ও অংশগ্রহণ অর্জনের মধ্য দিয়ে বিএনপিকে বিজয়ী হতে হবে। ভোটারদের মন জয় করে, তাদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তিকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।

-রফিক


তবে কী গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিচ্ছেন আসিফ মাহমুদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৪:১৯:১৪
তবে কী গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিচ্ছেন আসিফ মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা কোন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মকে তিনি বেছে নেবেন, কার পতাকাতলে দাঁড়িয়ে নির্বাচন করবেন, আর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথ কোন দিকে মোড় নেবে।

রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলো দুটি শিবির একদিকে তার ঘনিষ্ঠ তরুণদের নিয়ে গড়া নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি, অন্যদিকে দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধাদের সংগঠন গণঅধিকার পরিষদ। দুই দলের সঙ্গেই আসিফের ব্যক্তিগত সম্পর্ক, রাজনৈতিক যোগাযোগ ও দৃশ্যমান সখ্যতা রয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, তিনি হয়তো এ দুটির কোনো একটি প্ল্যাটফর্ম বেছে নেবেন। তবে পদত্যাগের আগের দিন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজের রাজনৈতিক গন্তব্য নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানাননি।

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ খান প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “আসিফ মাহমুদ অতীতে আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা আছে। মাত্র একদিন আগেও আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। গণঅধিকার পরিষদে যোগদানের বিষয়ে তিনি ইতিবাচক, কিন্তু এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি যদি আমাদের দলে আসেন, তবে তার যোগ্যতা ও অবস্থান অনুযায়ী যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে।”

রাশেদ খান আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি অন্যতম সাহসী ভূমিকায় ছিলেন। বিশেষ করে ৬ আগস্টের কর্মসূচিকে এগিয়ে এনে ৫ আগস্ট করার সিদ্ধান্তটি ছিল দৃঢ় ও ঝুঁকিপূর্ণ, আর এই সিদ্ধান্তই স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের গতি ত্বরান্বিত করে। তিনি চাইলে যে কোনো দলে যোগ দিতে পারেন, নতুন দলও গঠন করতে পারেন। তবে আমাদের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ও কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাই গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিলে তার পক্ষে মানিয়ে নেওয়া সবচেয়ে সহজ হবে।”

আসিফের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে রাশেদ বলেন, “তিনি এখনও তরুণ বয়সে অনেক দায়িত্ব নিয়েছেন, ভুল–ভ্রান্তি হওয়া স্বাভাবিক। সময়ের সঙ্গে তার রাজনৈতিক পরিপক্বতা আরও বাড়বে। এই মুহূর্তে তার অতীত ভুল নিয়ে সমালোচনা করা শোভনীয় নয়। বরং তাকে রাজনৈতিকভাবে আরও গড়ে তোলার সুযোগ দেওয়া উচিত।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ শুধু একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং জাতীয় রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ, জোট–বিন্যাস ও তরুণ নেতৃত্বের উত্থানের সম্ভাবনাকে ইঙ্গিত করে। তার পরবর্তী সিদ্ধান্ত যে কোনো দলের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত