কুমিল্লা ৪ এ বিএনপি প্রার্থীর ভিডিও ভাইরাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৫:২০:৩৩
কুমিল্লা ৪ এ বিএনপি প্রার্থীর ভিডিও ভাইরাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা ৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর একটি বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নির্বাচনি প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি গোপালনগর ভূইয়া বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন, যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।

ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায় যে, গত ১৭ বছর স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলতে হয়েছে কেবলমাত্র এলাকা ও নেতাকর্মীদের নিরাপদ রাখতে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি যদি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক অংশীদারদের সঙ্গে এমন সমঝোতায় না যেতেন, তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানান মামলা দিয়ে হয়রানি করা হতো এবং অনেকেই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হতেন।

ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ফেসবুকে বহু ব্যবহারকারী তার বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে মন্তব্য করেন যে এ ধরনের স্বীকারোক্তি অতীত রাজনীতির চরিত্রকে উন্মোচিত করে দেয় এবং দলীয় অবস্থানকে প্রশ্নের মুখে ফেলে।

ভিডিওতে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীকে আরও বলতে শোনা যায় যে ১/১১ সময়ে তাকে দেবিদ্বার থানায় হাতকড়া পরিয়ে এক টুকরো গেঞ্জি পরে ঘোরানো হয়েছিল, তবুও তিনি এখানকার মানুষদের ছেড়ে যাননি। তিনি বলেন, বয়স বাড়লেও এলাকার প্রতি দায়িত্ববোধ কমেনি, তবে সময় ও পরিস্থিতির কারণে বহু প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব হয়নি।

ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আফফান বিন আব্দুস সালাম নামে একজন লিখেছেন যে এমন মনোভাব ভবিষ্যতেও ‘তাল মিলিয়ে চলার’ ইঙ্গিত দেয় এবং দেবিদ্বারের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। অন্যদিকে গোলাম রাসুল মন্তব্য করেছেন যে এলাকায় বালু টেক সরানো না যাওয়ার ব্যাখ্যাও এই স্বীকারোক্তিতে পাওয়া যায়। মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন যে সত্য কখনো চাপা থাকে না; নিজের আচারকে স্বাভাবিক করতে গিয়ে প্রার্থী এখন আরও যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন।

গত ৩ নভেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কুমিল্লা ৪ (দেবিদ্বার) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর নাম ঘোষণা করেন। তিনি দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি।

-রাফসান


কাদের মোল্লার অবদান স্মরণে জামায়াত আমিরের আবেগঘন বক্তব্য

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৪:৩৬:৫২
কাদের মোল্লার অবদান স্মরণে জামায়াত আমিরের আবেগঘন বক্তব্য
ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমান দলের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও প্রখ্যাত সাংবাদিক আবদুল কাদের মোল্লার অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি কাদের মোল্লাকে দেশের ইসলামী আন্দোলন, রাজনীতি, বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গন ও সামাজিক চিন্তাচেতনায় এক সুদীর্ঘ সময় ধরে প্রভাব বিস্তারকারী নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কাদের মোল্লা শহীদ হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত দেশে ইসলামী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। তিনি শুধু রাজনৈতিক সংগঠকই নন, বরং একজন লেখক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ হিসেবে বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক চিন্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটিতে দায়িত্ব পালন করে তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর লেখনি দেশের মানুষের বিবেকবোধকে নাড়া দিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল বলেও মন্তব্য করেন জামায়াত আমির।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ২০১০ সালের ১৩ জুলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় আবদুল কাদের মোল্লাকে গ্রেপ্তারের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ আনা হয়। প্রথমে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলেও শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের দাবির পর আইন সংশোধন করে মামলাটি আপিলে গড়িয়ে দেওয়া হয় এবং শেষ পর্যন্ত তাকে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তিনি উল্লেখ করেন, কাদের মোল্লাকে আপিলের ন্যায্য সুযোগ দেওয়া হয়নি এবং রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা ১ মিনিটে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। প্রায় দেড় বছর পর রিভিউর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়, যা পুরো বিচারপ্রক্রিয়ার বৈধতা ও ন্যায়সংগততা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

জামায়াত আমির বলেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে কাদের মোল্লা নিজেকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন এবং জানান যে তাঁর রক্ত ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের আরও অনুপ্রাণিত করবে। তিনি ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখার আহ্বানও জানিয়ে যান।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা তাঁর ত্যাগ, অবদান ও আদর্শকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। তিনি যে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন রেখে গেছেন, তা বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই। তিনি জামায়াতের জনশক্তি, শুভাকাঙ্ক্ষী ও দেশবাসীর প্রতি সেই লক্ষ্য অর্জনে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

-শরিফুল


নেতা দেশে পা রাখলে পুরো বাংলাদেশ উন্মাদনায় কেঁপে উঠবে: ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৪:২৮:৫৫
নেতা দেশে পা রাখলে পুরো বাংলাদেশ উন্মাদনায় কেঁপে উঠবে: ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খুব শিগগির দেশে ফিরছেন—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নেতা দেশে ফিরে পা রাখার মুহূর্তে যেন পুরো বাংলাদেশ আন্দোলনের উন্মাদনায় কেঁপে ওঠে। তিনি জানান, সেই ঐতিহাসিক দিনের জন্য এখন থেকেই সংগঠনের প্রতিটি স্তরকে মানসিক ও সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিজয়ের মাস উপলক্ষে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিএনপির বিভিন্ন বিভাগীয় সাংগঠনিক ইউনিটের হাজারো নেতা উপস্থিত ছিলেন, যা আসন্ন নির্বাচনের আগে দলটির শক্তি–সংহতির স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে।

ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে যে নীতি, দর্শন ও উন্নয়ন ভাবনা লালন করছেন, সেটিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার উপযুক্ত সময় এখন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে পূর্ণাঙ্গ বিজয় অর্জন করতেই হবে, কারণ এই নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের মোড় ঘোরানোর এক বিরল সুযোগ।

তিনি আরও জানান, বিএনপির বিরুদ্ধে অপতৎপরতা, ভুল ব্যাখ্যা ও নেতিবাচক প্রচারণা অব্যাহত থাকলেও দলকে দৃঢ় মনোবল ও সংগঠনের শক্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। তার ভাষায়, “বিএনপি কখনো পরাজিত হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। কারণ এই দল জনগণের দল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক দল।” তিনি জোর দেন যে বিএনপিকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যাবে জাতীয়তাবাদী আদর্শ ও নেতাকর্মীদের অটুট ঐক্য।

সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আজ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার কথা। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতের ভিত্তিতে একটি প্রতিনিধিত্বশীল পার্লামেন্ট গঠনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি দাবি করেন, নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের নেতৃত্বে থাকবেন তারেক রহমান।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলের নির্বাচনগুলো অতীত হয়ে গেছে। এবার সত্যিকার অর্থে জনগণের ভালোবাসা, আস্থা ও অংশগ্রহণ অর্জনের মধ্য দিয়ে বিএনপিকে বিজয়ী হতে হবে। ভোটারদের মন জয় করে, তাদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তিকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।

-রফিক


তবে কী গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিচ্ছেন আসিফ মাহমুদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৪:১৯:১৪
তবে কী গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিচ্ছেন আসিফ মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা কোন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মকে তিনি বেছে নেবেন, কার পতাকাতলে দাঁড়িয়ে নির্বাচন করবেন, আর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথ কোন দিকে মোড় নেবে।

রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলো দুটি শিবির একদিকে তার ঘনিষ্ঠ তরুণদের নিয়ে গড়া নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি, অন্যদিকে দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধাদের সংগঠন গণঅধিকার পরিষদ। দুই দলের সঙ্গেই আসিফের ব্যক্তিগত সম্পর্ক, রাজনৈতিক যোগাযোগ ও দৃশ্যমান সখ্যতা রয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, তিনি হয়তো এ দুটির কোনো একটি প্ল্যাটফর্ম বেছে নেবেন। তবে পদত্যাগের আগের দিন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজের রাজনৈতিক গন্তব্য নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানাননি।

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ খান প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “আসিফ মাহমুদ অতীতে আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা আছে। মাত্র একদিন আগেও আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। গণঅধিকার পরিষদে যোগদানের বিষয়ে তিনি ইতিবাচক, কিন্তু এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি যদি আমাদের দলে আসেন, তবে তার যোগ্যতা ও অবস্থান অনুযায়ী যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে।”

রাশেদ খান আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি অন্যতম সাহসী ভূমিকায় ছিলেন। বিশেষ করে ৬ আগস্টের কর্মসূচিকে এগিয়ে এনে ৫ আগস্ট করার সিদ্ধান্তটি ছিল দৃঢ় ও ঝুঁকিপূর্ণ, আর এই সিদ্ধান্তই স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের গতি ত্বরান্বিত করে। তিনি চাইলে যে কোনো দলে যোগ দিতে পারেন, নতুন দলও গঠন করতে পারেন। তবে আমাদের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ও কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাই গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিলে তার পক্ষে মানিয়ে নেওয়া সবচেয়ে সহজ হবে।”

আসিফের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে রাশেদ বলেন, “তিনি এখনও তরুণ বয়সে অনেক দায়িত্ব নিয়েছেন, ভুল–ভ্রান্তি হওয়া স্বাভাবিক। সময়ের সঙ্গে তার রাজনৈতিক পরিপক্বতা আরও বাড়বে। এই মুহূর্তে তার অতীত ভুল নিয়ে সমালোচনা করা শোভনীয় নয়। বরং তাকে রাজনৈতিকভাবে আরও গড়ে তোলার সুযোগ দেওয়া উচিত।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ শুধু একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং জাতীয় রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ, জোট–বিন্যাস ও তরুণ নেতৃত্বের উত্থানের সম্ভাবনাকে ইঙ্গিত করে। তার পরবর্তী সিদ্ধান্ত যে কোনো দলের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে।

-রফিক


নারীর ক্ষমতায়নে বিএনপির রোডম্যাপ তুলে ধরলেন নওশীন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১১:৩২:০৭
নারীর ক্ষমতায়নে বিএনপির রোডম্যাপ তুলে ধরলেন নওশীন
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম–৫ (হাটহাজারী–বায়েজিদ) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার মীর হেলালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে নারী–শিশুর জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁর সহধর্মিণী নওশীন আরজান হেলাল।

]বুধবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ পাহাড়তলী ১ নম্বর ওয়ার্ডের খীল্লাপাড়া চট্টগ্রাম রেসিডেন্সিয়াল মডেল হাইস্কুল মাঠে মহিলা দলের আয়োজিত এক বৃহৎ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি জানান, মীর হেলাল নির্বাচিত হলে হাটহাজারী ও বায়েজিদের মাঝামাঝি স্থানে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন এ হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের সময়ে নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল কন্যাশিশুর বিনা খরচে শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, নারীদের জন্য পৃথক পলিটেকনিক, পোশাক খাতের সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নারীদের অন্তর্ভুক্তি এসবই বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নারীর অগ্রগতির দিকনির্দেশনা দিয়েছে।

নওশীন আরজান অভিযোগ করেন, কিছু গোষ্ঠী ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে নারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, তবে এলাকার সচেতন নারী সমাজ এই প্রচারে বিভ্রান্ত হবে না এবং ধানের শীষের ওপরই তাদের আস্থা রাখবে।

সমাবেশে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন পেলে এলাকার নারীর স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক উন্নয়নে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন হাটহাজারী উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি নাছরিন আক্তার এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মালা বেগম।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, গাজী ইউসুফ, শাহাজাহান মঞ্জু, উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক লাইলি ইয়াসমিন, নুরী মাহফুজসহ বিএনপি, মহিলা দল, যুবদল এবং ছাত্রদলের নেতারা। সমাবেশে নারীদের ব্যাপক উপস্থিতি নির্বাচনী মাঠে নতুন প্রাণসঞ্চার করেছে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত।

-শরিফুল


 জামায়াত-বিএনপি মুখোমুখি, কিশোরগঞ্জ–২ আসন বিশ্লেষণ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১১:০৭:২৮
 জামায়াত-বিএনপি মুখোমুখি, কিশোরগঞ্জ–২ আসন বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জ–২ (কটিয়াদী–পাকুন্দিয়া) আসনে নির্বাচনী উত্তাপ দ্রুত বাড়ছে। দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলে এবার ধানের শীষ ও দাঁড়িপাল্লার প্রার্থীর দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ চাঙা হয়ে উঠেছে। চায়ের স্টল থেকে শুরু করে রাস্তার মোড়, বাজার কিংবা পাড়া–মহল্লার আড্ডা সর্বত্রই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, আগামী সংসদ সদস্য কে?

বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, আইনজীবী অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন। প্রার্থিতা ঘোষণা ঘিরে শুরুতে কিছুটা মতভেদ থাকলেও বর্তমানে দলের সব মনোনয়নপ্রত্যাশী ও স্থানীয় নেতা–কর্মীরা তাকে সমর্থন জানিয়ে সম্মিলিতভাবে ভোটের মাঠে কাজ শুরু করেছেন। তাদের দাবি, জনগণ পরিবর্তনের পক্ষে, আর বিএনপির ঐতিহ্যবাহী অবস্থান কাজে লাগিয়ে এবারের নির্বাচন নিজেদের দখলে রাখতে চায় তারা।

চার দশকের নির্বাচন ইতিহাস বলছে এ আসন বিএনপির শক্ত ঘাঁটি

১৯৭৩ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে আটবারের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি চারবার জয় পেয়েছে।

• ১৯৭৯ সালে আনিসুজ্জামান খোকন

• ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন

• ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ নির্বাচনে হাবিবুর রহমান দয়াল

বিএনপিপন্থী ভোটের ধারাবাহিকতা এখনও অনেকাংশে বজায় আছে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শফিকুল ইসলাম মোড়লকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তার সমর্থকরা গ্রাম–পাড়া চষে বেড়িয়ে পরিস্থিতি নিজেদের পক্ষে নিতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাদের বিশ্বাস, ন্যায়ভিত্তিক রাজনীতির বার্তা এবার ভোটে প্রভাব ফেলবে।

অন্যান্য প্রার্থীও মাঠে সক্রিয়

এ আসনে আরও কয়েকটি দল ও সংগঠন প্রার্থী দিয়েছে

• গণঅধিকার পরিষদ- কেন্দ্রীয় সহ–সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক

• ইসলামী আন্দোলন- মাওলানা আবুল বাশার রেজওয়ান

• খেলাফত মজলিশ- মাওলানা ছাঈদ আহমদ

• জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম- মাওলানা রশীদ আহমদ জাহাঙ্গীর হোসাইনি

বিশ্লেষকদের মতে, ছোট দলগুলোর প্রার্থীরা বিএনপি–জামায়াতের ভোটে আংশিক প্রভাব ফেললেও আসল লড়াই এই দুই পক্ষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতের মতো এবারও বিএনপি–জামায়াতের ভোটব্যাংক শক্ত অবস্থানে থাকলেও প্রায় পাঁচ লাখ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে তরুণ ও প্রথমবারের ভোটাররা ফল নির্ধারণে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবেন।

বর্তমান ভোটার সংখ্যা: ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৪ জন

• পুরুষ: ২ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৪

• নারী: ২ লাখ ৪৫ হাজার ৮২৫

• তৃতীয় লিঙ্গ: ৫ জন

তরুণদের মধ্যে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির প্রতি ঝোঁক কিছুটা বাড়লেও ঐতিহাসিক ভোট প্রবণতা এখনও ধানের শীষ–দাঁড়িপাল্লার প্রাধান্যই নির্দেশ করছে।

প্রার্থীদের অবস্থান

অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন, বিএনপি: “জনগণ আজ পরিবর্তনের অপেক্ষায়। কিশোরগঞ্জ–২ আসন সবসময়ই বিএনপির ঐতিহ্যবাহী আসন। ঐক্যবদ্ধ দলের শক্তিতে ধানের শীষ জয় লাভ করবই।”

মাওলানা শফিকুল ইসলাম মোড়ল, জামায়াত: “ন্যায়ভিত্তিক সমাজের জন্য আমরা কাজ করছি। জনগণ এবার দাঁড়িপাল্লার বিচার করবে বলে আমি আশাবাদী।”

শফিকুল ইসলাম শফিক, গণঅধিকার পরিষদ: “দুই দলের ব্যর্থতায় মানুষ বিকল্প নেতৃত্ব খুঁজছে। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে জনগণ আমাদের মতো নতুন নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখবে।”

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ অনুপস্থিতি ও বিতর্কিত নির্বাচন ইতিহাস

১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপি জয় পাওয়ার পর

• ২০০১ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের ডা. আবদুল মান্নান নির্বাচিত হন

• ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন

• ২০১৮ সালে রাতের ভোটে নূর মোহাম্মদ

• ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচনে সোহরাব উদ্দিন

এ আসনে আওয়ামী লীগের রাখা রেকর্ড নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

-শরিফুল


পদত্যাগ–নির্বাচন দুটিতেই মুখ খুললেন আসিফ মাহমুদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১৭:০৫:৫৩
পদত্যাগ–নির্বাচন দুটিতেই মুখ খুললেন আসিফ মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া জানিয়েছেন, তার পদত্যাগ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেই জানানো হবে। বুধবার বিকেলে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবই এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবেন। একইসঙ্গে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন, তবে কোন আসন বা কোন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তা পরে জানানো হবে।

সরকার–সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নিয়মিত মধ্যাহ্নভোজ ও পরবর্তী বৈঠকে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। সন্ধ্যার পর সরকারে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা নিশ্চিত হন যে আসিফ মাহমুদ বুধবারই পদত্যাগপত্র দিচ্ছেন।

তবে উপদেষ্টা নিজে জানিয়েছেন, পদত্যাগ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকেই ঘোষিত হবে। এ বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে তিনি কথা বলতে চান না এবং এটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলেই তার অবস্থান।

অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে এর আগেও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং মাহফুজ আলমকে গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। দুজনই তখন কিছু অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আরও আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তিনি সরকারের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে চান, তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা তার নেই।

সম্প্রতি গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে আবারও উচ্চপর্যায় থেকে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ ত্বরান্বিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, তফসিল ঘোষণার পর ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে থাকা দুই উপদেষ্টার আর সরকারের দায়িত্বে থাকা সমীচীন হবে না। নির্বাচন করুন বা না করুন, রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে তাদের দায়িত্ব ছাড়াই সঠিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। জুলাই মাসের গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের মধ্যে তিনজন এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। তাদের মধ্যে নাহিদ ইসলাম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান, আসিফ মাহমুদ প্রথমে শ্রম উপদেষ্টা হিসেবে এবং পরে স্থানীয় সরকার বিষয়ক দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হন।

-রাফসান


নাহিদ, সারজিস, তাসনিম, নাসীরুদ্দীন-কোন আসনে কে লড়ছেন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১২:২৭:০৩
নাহিদ, সারজিস, তাসনিম, নাসীরুদ্দীন-কোন আসনে কে লড়ছেন
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থীদের প্রথম ধাপের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বুধবার সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মোট ১২৫টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে দলটি তার নির্বাচনী প্রস্তুতিকে নতুন গতি দিয়েছে।

প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ আসনে শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে নামবেন। বাড্ডা, ভাটারা এবং রামপুরা নিয়ে গঠিত এই আসনটিতে বিএনপি এরই মধ্যে এম এ কাইয়ুমকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করে রেখেছে। দুই রাজনৈতিক দলের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলে আসনটিতে উত্তাপ বাড়ার আভাস মিলছে।

উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে আলোচিত আসনগুলোর একটি পঞ্চগড়-১ এ এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। সদর, তেঁতুলিয়া এবং আটোয়ারীর কিছু অংশ নিয়ে গঠিত এ আসনে বিএনপি ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ জমিরকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। ফলে এ অঞ্চলেও একটি ত্রিমুখী লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিলছে।

ঢাকা মহানগরের আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আসনেও উল্লেখযোগ্য প্রার্থী দিয়েছে এনসিপি। ঢাকা-৯ আসনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রংপুর-৪ আসনে প্রার্থী হয়েছেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন। আর ঢাকা-১৮ আসনে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মনোনীত হয়েছেন, যিনি অনুষ্ঠানে দলীয় ‘ব্যালট বিপ্লব’ ধারণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

দলীয় মনোনয়ন ফরম সকলের জন্য উন্মুক্ত করার পর দেড় হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে বলে এনসিপি জানিয়েছে। বহু নতুন মুখ ও বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধির উপস্থিতির কারণে এবারের প্রার্থী তালিকা দলটির নীতিগত পরিবর্তন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক দর্শনের প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন তাসনিম জারা।

আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনসিপি সংগঠনিকভাবে যেসব প্রস্তুতি নিচ্ছে, এই তালিকা প্রকাশ তার একটি বড় পদক্ষেপ। পাশাপাশি গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাওয়ার জন্যও দলীয় পর্যায়ে প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব।

-রফিক


ত্রয়োদশ নির্বাচনে এনসিপির বড় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, কারা আছেন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১১:৩৮:৫৫
ত্রয়োদশ নির্বাচনে এনসিপির বড় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, কারা আছেন
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থীদের প্রথম দফার প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি। বুধবার ১০ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার বাংলামোটরে অবস্থিত দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।

এনসিপি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মোট ১২৫ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঘোষিত তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন নাহিদ ইসলাম ঢাকা ১১, আখতার হোসেন রংপুর ৪, সারজিস আলম পঞ্চগড় ১, হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা ৪, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঢাকা ১৮, তাসনিম জারা ঢাকা ৯, সামান্তা শারমিন ঢাকা ১৩, সারোয়ার তুষার নরসিংদী ২, আব্দুল হান্নান মাসউদ নোয়াখালী ৬ এবং আরিফুল ইসলাম আদিব ঢাকা ১৪।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। এর আগে দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বক্তব্যে জানান, আসন্ন নির্বাচনে তারা ব্যালট রেভুলেশন ধারণা নিয়ে মাঠে নামছেন। তিনি বলেন, জাতীয় গণভোটে ভোটারদের ‘হ্যাঁ’ ভোট প্রদান করার আহ্বান জানানো হবে এবং একইসঙ্গে দলীয় প্রতীক শাপলা কলিতে ভোট চাওয়ার প্রচারণা জোরদার করতে প্রার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, প্রথম ধাপে ১২৫ জনের নাম প্রকাশ করা হলেও পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি ধাপে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।

এ সময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, মনোনয়ন ফরম সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল এবং এবার দেড় হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে। তিনি আরও বলেন, এনসিপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় বৈচিত্র্য ও নতুনত্ব দেখা যাবে যা দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক কাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেবে।

-শরিফুল


১৬ বছরের ভয়–নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১১:৩১:৪৭
১৬ বছরের ভয়–নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশ এমন এক দমবন্ধ পরিবেশে ছিল, যা যেন দেশের ওপর কালো ছায়া ফেলে রেখেছিল। বুধবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি অতীত পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর অবস্থান তুলে ধরেন।

তারেক রহমান লেখেন, বহু বছর ধরে মানুষ ভেতরে ভেতরে এক অদৃশ্য আতঙ্ক বহন করেছে। কারও কাছে এই অন্ধকার ছিল তীব্র বাস্তবতা, কারও কাছে ছিল নীরব সহনশীলতার যন্ত্রণা। বিশেষত যেসব মানুষ তৎকালীন সরকারের বিরোধী রাজনৈতিক অবস্থানে ছিলেন, তারা প্রতিদিন ভয়, দমন-পীড়ন ও হয়রানির মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, মিথ্যা মামলা ও হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরাই। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানেও বিএনপি সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও রক্তক্ষয় সহ্য করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে তারেক রহমান উল্লেখ করেন, ভয় ও দমন-পীড়নের শিকার শুধু বিএনপি নয়, ছাত্র, সাংবাদিক, লেখক, সাধারণ মানুষ সকলেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভীষিকা অনুভব করেছেন। তিনি বলেন, মৌলিক অধিকার, নিরাপত্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ বহু বিষয়ে মানুষ নিজেকে অরক্ষিত মনে করেছে।

তিনি দাবি করেন, দীর্ঘ সময় ধরে তাঁকেও কথা বলার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের পর থেকে তাঁর বক্তব্য যেন দেশের মিডিয়ায় প্রকাশ না পায়, এমন নির্দেশনা জারি ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবুও তিনি দাবি করেন, চাপিয়ে দেওয়া নীরবতার মধ্যেও গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার নিয়ে সোচ্চার থেকেছেন।

তারেক রহমান বলেন, এই সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছিলেন প্রতিরোধের প্রধান প্রতীক। মিথ্যা মামলা, কারাবাস, রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা এসবই ছিল কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রকাশ। তবুও তিনি গণতান্ত্রিক বিশ্বাস থেকে কখনো সরে যাননি।

তিনি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন। বলেন, তাঁর মা খালেদা জিয়া নিজের চোখের সামনে দেখেছেন তাঁর ছেলেকে কারাগারে পাঠানো ও নির্যাতনের বেদনা। তাঁদের আরেক ছেলেকেও হারাতে হয়েছে। অনেকটা দেশের হাজারো ক্ষতবিক্ষত পরিবারের মতো তাঁদের পরিবারও ছিল লক্ষ্যবস্তু।

তারেক রহমান লেখেন, কষ্ট মানুষকে কখনো কখনো আরও মানবিক ও মহৎ করে তোলে। তাঁর ভাষায়, অন্যায়কে প্রতিহত করতে হবে ন্যায়-নীতি ও ক্ষমাশীলতার মাধ্যমে, প্রতিহিংসার রাজনীতি দিয়ে নয়।

তিনি মনে করেন, আজ বাংলাদেশের প্রয়োজন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র, যেখানে মানুষের অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক মতভেদ থাকবে, কিন্তু ভিন্ন মত প্রকাশের কারণে কাউকে নিপীড়নের মুখোমুখি হতে হবে না।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি পরিহার করে সমাধানমুখী পথ বেছে নিয়েছে। কোন নাগরিককে যেন রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে না হয় এমন অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি উল্লেখ করেন, মানবাধিকার দিবস মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে মানবাধিকারই বেঁচে থাকার মৌলিক শর্ত। আবরার ফাহাদ, মুশতাক আহমেদ, ইলিয়াস আলী, সাজেদুল ইসলাম সুমন, সাগর-রুনি সহ অসংখ্য নির্যাতনের শিকার মানুষের কথা মনে রেখে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

তারেক রহমানের দাবি, বিএনপি বহু ক্ষতি সহ্য করেছে, কিন্তু ভেঙে যায়নি; বরং আরও শক্তিশালী হয়েছে সত্য, জবাবদিহি, পুনর্মিলন ও আইনের শাসনের দর্শনে। তিনি বলেন, তারা এমন একটি বাংলাদেশ নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে প্রতিটি মানুষের কণ্ঠস্বর ও মানবাধিকার হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত